১.
ক্রমে চারিদিকে রাষ্ট্র হইয়া গেল Bridgeমোহন অবশেষে গ্রামে আসিতেছেন।
Bridgeমোহনের নাম কোনকালে বৃজমোহন ছিল। কালের পরিক্রমায় সরকারি আপিসে চাকুরি করিতে তাহার নাম লোকজন এইরকম করিয়া ফেলিয়াছে বলিয়া রটনা পাওয়া যায়। যদিচ উচ্চারণের তেমন পার্থক্য নাই তথাপি বৃজ যে Bridge তাহা বুঝাইতে তাহার গায়ের লোকেরা অর্ধচন্দ্রাকৃতি ইশারা করিয়া থাকে। শুনিতে পাই Bridgeমোহন সরকারি সেতু দপ্তরে কাজ করে। তাহার অধীনে অনেক লোক কাজ করে এবং তাহাদের মাহিনাও অতি উচ্চ। ইহা ছাড়াও Bridgeমোহন ও তাহার কর্তারা ইচ্ছা করিলেই যথা তথা সেতু স্থাপন করিয়া জনগণের এবং নিজেদের প্রভূত উন্নতি সাধন করিতে পারিতেন। কিন্তু Bridgeমোহন ও তাহার ঊর্ধ্ব-অধস্থনরা নীলনগর গ্রামে কখনো সেতু স্থাপন করেন নাই। নীলনগর গ্রামে নদী যেমন আছে, নদীর পাশের আবাদি জমির উর্বরাও তেমনি বাড় বাড়ন্ত। নদীর উন্মত্ততায় এই জনপদে বর্ষাকালে চলাচল অসম্ভব হইয়া পড়ে। বিশেষত ডিস্ট্রিক্ট বোর্ডের রাস্তা ডুবিয়া নদীর দুকূল ছাপিয়া আশপাশের গ্রাম ও গঞ্জগুলির সাথে নীলনগরের যোগাযোগের কোন উপায় থাকে না। তথাপি Bridgeমোহনের কৃপাদৃষ্টি নীলনগরের গ্রাম লাভ করিতে পারে নাই। গ্রামে সেতু আছে কি নাই তদপেক্ষা সেতুর প্রয়োজন আছে কি নাই এই আলোচনা চা মন্ডপগুলিতে ঘুরিয়া ফিরিত।
গ্রাম্য লোকজন আলোচনার প্রসঙ্গ পাল্টাইবার অবকাশ পাইল। সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত কিনা এইবার তাহা নিয়া চা মন্ডপগুলিতে আলোচনা চলিতে লাগিল। কেউ কেউ সেতুর নির্মাণকৌশল নিয়া বিশাল গল্প ফাদতে লাগল। কেউ কেউ তাহাতে সমর্থন ও বাকীরা তাহাতে দৃঢ় সন্দেহ প্রকাশ করিল।
দিন আষ্টেক বাদে যন্ত্রচালিত শকটে চড়িয়া Bridgeমোহন গ্রামে পা রাখিলেন। তাহার আকর্ণ বিস্তৃত হাসি, লম্বা পাতলুনের ঘের, সুবাসিত ঘ্রাণ ও যন্ত্রপাতি সমেত লটবহর দেখিয়া গ্রামের লোক বিস্ময়ে হতবাক হইয়া গেল। কয়েকজন তাহার লটবহর বহিতে ও বাকিরা অদূরে দাড়াইয়া তামাশা অবলোকন করিতে লাগিল।
গ্রামে Bridgeমোহনের আপন কেউ নাই। এক বিধবা পিসি ছিলেন (এইসব গল্পে একমাত্র পিসিরাই বাচিয়া থাকেন এবং তাহাদের বিধবা হওয়াই রীতি), কাশীবাসী হইয়াছেন তাও বৎসরাধিক হইল। সেই কারণেই বোধ করি গ্রামের লোকজন Bridgeমোহনকে তাহাদের নিজের লোক বলিয়া জানিত। যদিচ Bridgeমোহন অতিথিপরায়ণ ও বন্ধুবৎসল এই দুর্নাম তাহার ঘোর শত্রুরাও দিতে পারিবে না।
তাড়িণীখুড়োর আগ্রহ গ্রাম্যসাধারণের চেয়ে একমাত্রা বেশী। সেই বিকেল বেলায় তাড়িণীখুড়োকে বাঁশের লাঠি হাতে Bridgeমোহনের বাটির দিকে যাইতে দেখা গেল। তাড়িণীখুড়োর আদ্যিনাম ছিল তারিণীখুড়ো। অত্যধিক তাড়ি সেবন তদকারণে খুড়ি কর্তৃক তদপেক্ষা তাড়া খাওয়ার কারণে কালের পরিক্রমায় তাহার নাম তাড়িণীখুড়ো হইয়া গিয়াছে। যদিচ উচ্চারণের তেমন পার্থক্য নাই তথাপি তারিণী যে তাড়িণী তাহা বুঝাইতে তাহার গায়ের লোকেরা গেলাস গলাধকরণের ইশারা করিয়া থাকে।
২.
তাড়িণীখুড়ো বাটিতে পৌছাইয়া দেখিলেন Bridgeমোহন তাম্রকূট সেবন করিতেছে। Bridgeমোহন আগাইয়া বয়স্ককে সম্ভাষণ করিয়া আরামকেদারায় উপবিষ্ট করাইল। চাকর ঘটিরাম তামাক সাজিয়া দিল। বাটিটি বড়ই সুন্দর, পিছনের বারান্দা হইতে দূরের নদীটির মনোরম দৃশ্য অবলোকন করা যায়। শেষ বিকেলের আলোতে স্বর্গের নন্দনকানন বলিয়া ভ্রম হয়। দুইটি অসম রুচির, অর্ধ ও পূর্ণ বয়সের প্রাণের নিম্নরুপ কথাবার্তা চলিতে লাগিলঃ
-এইবার অনেকদিন পরে এলে। কিছুদিন থাকা চলবে কি?
-তাই ত ঠিক করেছিলুম খুড়োমশাই। কিন্তু আপিসের কাজে তো ফাকি দেওয়া চলে না। দিন আষ্টেক থাকব ভাবছি।
-তা বাবা তোমার চাকরি টা কোন দফতরে সেটা জানা যায় কি?
এইখানে উল্লেখ্য যে তাড়িণীখুড়ো বয়সকালে বিলেত, বর্মা, আফগান মুল্লুক চড়িয়া বেড়াইয়াছেন; কার্যবুদ্ধিও নেহাত কম নাই। এন্ট্রান্স পাস না দিলেও ঠেকিয়া শিখার যে মূল্য বাস্তবজীবনে কিছুমাত্র কম নহে তাহা পাঠককূলের অগোচর নাই। দাপ্তরিক কাজকর্ম ও বিদেশ বিভূয়ে কিছু কম করেন নাই। মোটকথা খুড়ো একজন বিদ্যাবুদ্ধি সম্পন্ন লোক তাহাতে অন্তত গ্রামবাসীর কোন সন্দেহ নাই।
-আজ্ঞে, সেতু দফতরে।
-তা এইবার গ্রামে কি কোন কাজে আসিয়াছ নাকি ছুটি কাটাইতে?
-আজ্ঞে ছুটি কাটাইবার অবকাশ গ্রীষ্মকাল ছাড়া করিয়া উঠিতে পারি না। কাজে আসিয়াছি।
-কাজ কি নীলনগরেই নাকি আশেপাশের গ্রামে?
-আজ্ঞে, নীলনগরেই। নীলনগর গ্রামে একখানা সেতু করার প্রস্তাব আসিয়াছে। সেই প্রস্তাবখানাই সরেজমিনে পরখ করিয়া দেখিতে আসিয়াছি।
-নীল নগরে সেতু করা যাইবে কি? যে প্রমত্তা নদী।
-সেইটা এঞ্জিনিয়াররা সরেজমিনে খতাইয়া দেখিতে আসিতেছেন।
চা মন্ডপগুলিতে গায়ে সেতু হইবার কথা রাষ্ট্র হইতে সময় লাগিল না।
ধান্দাবাজের দল উর্ধ্বমুখে টু পাইসের ঘ্রাণে Bridgeমোহনের বাটির দিকে, পরিবেশবাদীরা মানব বন্ধনের জন্য সড়কে ও তারেক অণু* নদীর তীরে পাকুড় গাছের ও তৎবাসিন্দা পেঁচাকুলের ছবি তোলা নিয়া ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন।
পরদিন দ্বিপ্রহরের পূর্বেই এঞ্জিনিয়ারগণ আসিয়া পৌছাইলেন। তাহাদের শকটে লোক মাত্র তিনজন, যন্ত্রপাতি বিস্তর। তাহারা আসিয়াই যন্ত্রপাতি মেলিয়া বিস্তর মাপজোক ও তদপেক্ষা হাকডাক শুরু করিয়া দিলেন। গায়ের লোকজন কাঠালের চামড়ায় ডুমা মাছির ন্যায় তাহাদের কার্যপদ্ধতি নিরীক্ষণ করিতে লাগিল। যদিচ তাহারা কিছুই বুঝিলনা তথাপি এইখানে যে একখানি মস্তবড় কাজ হইতেছে তাহাতে গ্রামবাসীর কোন সন্দেহ রহিলনা। কাহারও কাহারও নাওয়া খাওয়ার দেরি হইয়া যাইতে লাগিল। শিশু বার্তাবাহক কর্তৃক গিন্নির বার্তা দূরে ঠেলিয়া সকলে বসিয়া এই তেলেসমাতি কারবার দেখিতে লাগিল। কিয়ৎকাল পরে Bridgeমোহন আসিয়া পৌছাইলে গ্রামবাসীর আগ্রহের পারদ তিনগুণ হইয়া উঠিল, গরুও অন্যান্য গৃহপালিত পশুদিগের পানি খড় বিচালি ইত্যাদি দিতে বিলম্ব হইতে লাগিল। ইহাদের পুনঃ পুনঃ অভিশাপ তাহাদের মালিকের অন্তর পর্যন্ত পৌছাইতে পারিলনা।
Bridgeমোহন আসিয়া কার্যনিরীক্ষণপূর্বক এঞ্জিনিয়ারদিগের সাথে কথা বলিতে লাগিলেন। তাহার এখতিয়ার ও নির্দেশনা দেখিয়া Bridgeমোহনের তীব্র নিন্দুকও বিমোহিত হইয়া গেল। বাস্তবিকই Bridgeমোহনের কর্তাগিরির সুস্পষ্ট নিদর্শন প্রতিটি মুহূর্তেই স্পষ্ট হইয়া যাইতে লাগিল। এঞ্জিনিয়াররাও বিনা বাক্যব্যয়ে তাহার নির্দেশ পালন করিয়া যাইতে লাগিল। তাহাদের ধারণা হইল Bridgeমোহন নিশ্চয়ই অনেক বড় অফিসার হইবেক, কিন্তু এঞ্জিনিয়ারদের উপরে কি হইতে পারে গায়ের লোক অনেক ভাবিয়া ও আলোচনা করিয়াও ঠাহর করিতে পারিলনা।
বেলা পড়িয়া আসিলে শহর হইতে আগত এঞ্জিনিয়ারগণ Bridgeমোহনের বাটিতে খাইতে গেল। গ্রামবাসীগণ নিজেদের উদরপূর্তি, গিন্নির অগ্নিমূর্তি দর্শন ও মূক প্রাণীদিগের অভিশাপ হইতে বাচিবার নিমিত্তে ব্রীজের ভবিষ্যৎ আলোচনা করিতে করিতে নিজ বাটির দিকে যাইবার অবকাশ পাইল।
ঘন্টাদুয়েক বাদে কাজ আবার শুরু হইল। কাজ করিতে করিতে এঞ্জিনিয়ারদের আগ্রহ পড়িয়া আসিল তদাপি তাহাদের কার্যাবলোকন করিতে আসা দর্শকগণের আগ্রহের ঘাটতি পরিলক্ষিত হইল না। সেইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ চলিল।
৩.
পরদিন সকালে নদীর নিকটে আসিয়া গায়ের লোকজন Bridgeমোহন বা এঞ্জিনিয়ারদিগের কাহাকেও দেখিতে পাইল না।
তাড়িনিখুড়ো কিছু উৎসাহী লোকজন লইয়া Bridgeমোহনের খোজ লইতে তাহার বাটিতে গিয়া দেখিল ও জানিল Bridgeমোহনের শকট আধ ঘন্টা পূর্বেই চলিয়া গিয়াছে, এঞ্জিনিয়াররা তাহাদের লটবহর লইয়া শকটে আরোহণোদ্যত। পিয়নগোছের একজন লোক ড্রাইভারের সহিত মাল সামানা শকটে তুলিয়া দিতেছে।
এতলোক দেখিয়া শহুরে এঞ্জিনিয়াররা ভয় পাইয়া গেল। এঞ্জিনিয়ারদিগের মধ্যে সবচেয়ে পৃথুল লোকটি আসিয়া তাড়িণীখুড়োকে প্রণাম ঠুকিল।
খুড়ো ভ্রু কুঞ্চিত করিয়া শুধাইলেন, ব্যাপারখানা কি বল ত বাপু? গতকল্যের পর আজিকে তো কাজ শুরু হইতে দেখিলাম না। Bridgeমোহন ই বা কোথায়? আর তোমরাই ই বা এই সাত সকালে কোথায় ছুটিলে?
কিঞ্চিৎ হাসিয়া কহিল, আজ্ঞে যেতে হচ্ছে। Bridgeমোহনবাবু পূর্বাহ্নেই রওয়ানা দিয়াছেন। আমরাও যাইতেছি। সেতুর জন্য যে অর্থকড়ি বরাদ্দ হইয়াছিল বাজেয়াপ্ত হইয়াছে।
খুড়ো জিজ্ঞাসিলেন, কি হেতু?
পৃথুল প্রকৌশলী কহিলেন, আর বলেন কেন খুড়ো? এইখানে ব্রীজ হোক মা কালীর ইচ্ছে বোধকরি সেইরকম নহে। সকল মাপজোক করিয়া আমার এঞ্জিনিয়াররা প্রায় শেষ করিয়া আনিয়াছিল। কিন্তু গতকল্য সকালেই সেতু দপ্তরে একখানা বিরাট কান্ড ঘটিয়া গিয়াছে। এইখানে সেতু খানার যে বাজেট হইয়াছিল তাহা বাজেয়াপ্ত হইয়াছে।
গায়ের লোকজনের দীর্ঘশ্বাসে আকাশ ভারী হইয়া উঠিল।
খুড়ো ঔৎসুক্যে জিজ্ঞাসা করিলেন, কিন্তু কি কারণে এইরকম ঘটিল বলিতে পার কি?
এঞ্জিনিয়ার কহিলেন, আজ্ঞে, পিয়নের কাছে বড়বুবু (বড়বাবু, স্ত্রীলিঙ্গ-বড়মেম ) চিঠি দিয়াছেন। বিশদ বলিতে পারি না; তবে শুনিতে পাই সেতুর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ এদিক ওদিক হইয়া থাকিতে পারে। সেই কারণে Bridgeমোহনবাবু সেতু হইতে তার মন্ত্রকে বদলি হইয়াছেন।
এইবার গ্রামবাসীর নির্বাক হুতাশনে বৃক্ষরাজির মৌনতা দেখা গেল। অনেকেই বলিতে লাগিল Bridgeমোহন যে এরকম একজন জোচ্চুর তাহা সে পূর্বেই ধরিতে পারিয়াছিল কিন্তু কেউ উল্লেখ না করায় চাপিয়া গিয়াছিল। অনেকেই তাহার সাথে গলা মিলাইল।
শুধু খুড়ো কহিলেন, যদি জোচ্চুরি ই হইয়া থাকে তাহলে বাপু মন্ত্রক বদলাইয়া কি ফল হইবেক? উহাকে বরখাস্ত করাই ত দস্তুর।
এঞ্জিনিয়ার কহিলেন, সেতু না হওয়াতে দফতরের যে অর্থ বাচিয়া গিয়াছে তাহা দেখিবেন না? আর আমাদের বড়বুবু অসীম ডিগ্রীধারী হওয়াতে নানা বিষয়ের নানাদিক দেখিতে পান, যা সাধারণের চর্মচক্ষে প্রকাশিত হয় না।
গ্রামবাসীর হাহাকারে বিধাতা কাপিয়া উঠিলেন কিন্তু সেতু বা তার মন্ত্রকের কানে সেই কথা পৌছিল না।
-----------------------------------------------------------------------
*জনৈক পরিব্রাজক; প্রাণিকূলের চিত্রধারণে বিশেষ পারঙ্গম।
** এই কাহিনীর সাথে আমাদিগের আশপাশের অনেক কিছুরই মিল রহিয়াছে, খুজিলেই পাইবেন।
---------------------------------------
শ্যামল
ayon99eএটyahoo.com
মন্তব্য
খাসা স্যাটায়ার!!!
বৃজ থুরি ব্রিজ না হওয়া তে তারেক অনুর প্যাচাকুলের ছবি তোলা বন্ধ হয়ে গেলে তো সমস্যা।
খাসা জিনিস!
ধন্যবাদ দ্রোহীদা।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
চমৎকার। মোহনীয় লাগলো । আর অয়ন নামটা কেন চেনা চেনা লাগতেছে
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপস দা।
খুবই উপভোগ্য লেখা। ভালতো লেগেছে বটেই।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
এই কাহিনীর সাথে আমাদিগের আশপাশের অনেক কিছুরই মিল রহিয়াছে, খুজিলেই পাইবেন।
facebook
আপনের নাম নিছি মাইন্ড খান নাই তো?
আপনের ছবি দেইখা আপামর জনসাধারণের মত হিংসার বশবর্তী হইয়া...
বড়বুবু অসীম ডিগ্রীধারী হবার কারণে যে আর কি কি ভবিষ্যত দেশের দেখতে পারছে কে জানে!! লেখা মজার হয়েছে
লেখা অতিশয় উপাদেয় হয়েছে
ধইন্য।
ফালতু পাঠক, আপনার দারুণ লেখা কই?
চমৎকার লিখেছেন।
থ্যাঙ্কু।
আপনের লেখা দেখি না বেশ কিছুদিন। আপনের জ্বালাময়ী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
বাহ, ঝরঝরে গদ্য সেইসাথে চমতকার রসবোধ
খুশী।
লেখা ভাল লাগিল, দারুন মজা পাইলাম এবং অট্টহাসিতে ঘর কাঁপাইলাম।
দীপাবলি।
বাধিত হইলাম।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
চমৎকার......
নতুন মন্তব্য করুন