২০০৮ সালের কথা আমি তখন মেডিকেল কলেজে চতুর্থ বর্ষে পড়ি। আমার এক সহপাঠী বন্ধু আমাকে বলেছিল,কি বিয়ে টিয়ে বসবি না ?
আমি তার দিকে প্রশ্নপূর্ন দৃষ্টিতে তাকাতেই সে বলল,বয়স তো আর কম হয়নি ?
আমি বললাম,তোর প্রথম প্রশ্নটাইতো ঠিক মতো বুঝতে পারিনি আবার দ্বিতীয় প্রশ্ন করছিস কেন ?
সে বলল, বুঝতে পারছিস না কেন ? আমি কি হিব্র“ ভাষায় কথা বলছি ?
আমি বললাম,বিয়েটা কি চেয়ার না-কি খাট,সোফা যে আয়েশ করে হাত পা ছড়িয়ে বসে পড়ব ?
সে এবার সবকটা দাঁত বের করে হে হে হে করতে করতে বলল,মেয়ে হয়ে জন্মেছিস যখন বিয়ে তো বসতে হবেই।
আমি বললাম,কেন বিয়ে করা যাবে না?
সে বলল,ছেলেরা বিয়ে করে আর মেয়েরা বসে।এটাই নিয়ম।
আমি বললাম,নিয়মটা একটু ভাঙলে হয় না?
সে বুরু কুঁচকে বলল, মানে ?
আমি বললাম,মেয়েরা বিয়ে করলে সমস্যা কি?
সে বলল,তোদের মতো উচ্চশিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে এই এক সমস্যা।সবকিছু নিয়েই তোদের সাথে আর্গুমেন্টে যেতে হয়।
আমার সেই বন্ধুটির ধারণা মেয়েরা উচ্চশিক্ষিত হলে তাদের পাখনা গজায় তাই তারা বড় বেশি বেয়াড়া হয়ে যায়।তবে তাদের পাখা গজানো আর উইপোকার পাখা গজানোর পরিণতি একই রকম।অল্প কিছুদিনের জন্য তারপর ভূপতিত।মাঝখান থেকে এদেরকে বিয়ে করলে জীবন বরবাদ।তাই বিয়ে করতে হবে নিজের চেয়ে অনেক কম যোগ্যতার, কম বয়সী কোনো মেয়েকে। তবেই সে হবে বাধ্য অনুগত স্ত্রী অন্যথায় সংসার হবে হাবিয়া দোজখ আর জীবন হবে কয়লা। আর সবচেয়ে বড় কথা স্ত্রীর উপর সবকিছু চাপিয়ে দেয়া যাবে অনায়াসেই এবং অনেক কিছুই সে বুঝতে পারবে না।তাই উচ্চবাচ্যও করবে না।
সংসার যে সমঝোতা আর পারস্পরিক বোঝাপড়ার জায়গা নিজের আধিপত্য বিস্তারের জায়গা না এই বিষয়টা আমার সেই বন্ধুটির মাথায় কোনো ভাবেই ঢুকেনি ।আবার কম বয়েসী মেয়ে বিয়ে করে সে হয়তো ‘কুঁড়ি থেকে ফুল ফোটাবার’ ধান্ধায়ও থাকতে পারে।থাক,সেটা তার ব্যাপার।
আমার আরেক বন্ধু আমাকে একদিন বলল,সে বিয়ে করবে,তার জন্য মেয়ে দেখতে। তার চাহিদা খুব বেশি না । মেয়ে দেখতে শুনতে ভালো,ফ্যামিলিটাও যেন শিক্ষিত আর ছোট হয়। আর মেয়েটা উচ্চশিক্ষিত তবে বয়সটা যেনো একটু কম হয়,এই আর কি?
আমি বললাম, তোর চাহিদাতো অল্পই কিন্তু একটা জায়গায় একটু গোলমাল হয়ে গেছে রে।
সে বলল,কোথায়?
আমি বললাম, মেয়ে উচ্চশিক্ষিত হলে তার বয়স কিভাবে কম হবে ?
এবারও উত্তর পেলাম সেই দাঁত কেলানো হাসি।আর সে এমন একটা ভাব দেখাল, এইটাই যেনো তার বিয়ের ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত আর বাকি শর্তগুলো কিছুটা শিথিলযোগ্য হলেও এটা দুষ্পরিবর্তনীয়।
অনেক চিন্তা ভাবনার পর এই সমস্যার একটা সমাধান অবশ্য আমি করতে পেরেছি।তা হলো, মেয়ে বাচ্চা জন্ম নেয়ার সাথে সাথে বাবা মায়ের উচিত ন্যাপি কেনার এক ফাঁকে গিয়ে স্কুলের ভর্তি খাতায় নাম তুলে দিয়ে আসা।অথবা আরেকটা কাজ করা যায় হাসপাতালের লেবার রুম কিংবা ওটিতে একটা স্পেশাল খাতা রাখা উচিত।যেখানে শুধু মেয়ে বাচ্চাদের নাম তোলা হবে তারপর তা স্কুলে স্কুলে পৌছে দেয়া হবে। তাহলেই দুকুল রক্ষা হবে । মেয়ে উচ্চশিক্ষিত হবে পাশাপাশি বয়সটাও কম থাকবে। এছাড়া আর কোনো সহজ সমাধান কী আছে? থাকলে জানাবেন,প্লিজ।তবে এটাতো পরবর্তী জেনারেশনের জন্য প্রযোজ্য হবে ।কিন্তু আমাদের কি হবে ?
আর হ্যাঁ,আমার সেই বন্ধুটি ঠিকই তার কথা রেখেছে। সে কম বয়সী মেয়েকেই বিয়ে করেছে।তবে বিয়ের বছর খানেক পরই সে এখন আবার ভিন্নসুরে গান গাইছে । এই মেয়ে না-কি তার জীবন অতিষ্ট করে ফেলেছে। একে বিয়ে করা ঠিক হয়নি । এখন সে অকুল পাথারে হাবুডুবু খাচ্ছে।
তার কথা শুনে বললাম,কেনো রে তোকে কি মারধর করে?
সে বলল,ঐ একটা কাজই বাকি আছে ।
আমি বললাম,তো ঐ বাকি কাজটা কবে নাগাদ হতে পারে?
কথাটা শুনে সে এমন ভাবে আমার দিকে তাকাল যে আমার মুখখানা আপনা আপনি বন্ধ হয়ে গেল।
শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য শান্তিপূর্ণ সংসার অপরিহার্য।আর সেক্ষেত্রে যদি কেউ বিচার করে বউ হিসেবে ভাল হবে সুন্দরী,স্মার্ট,আর কম বয়সী মেয়ে। তাহলে তাদেরতো কিছুটা জিনিসপত্র ছুড়াছ–ড়ি,বেশকিছু গালাগালি আর চিৎকার চেচাঁমেচি এগুলোতো বিনাবাক্য ব্যয়ে হজম করতেই হবে ।আর আমার মতে করা উচিত।তা না হলে সে কিভাবে উপলব্ধি করবে যে তার মতো গবেটের জন্য এটাই উপযুক্ত শিক্ষা।
তবে তার জীবন কয়লা হলেও সে কিন্তু বরাবরের মতোই আমাকে বিনা পারিশ্রমিকে সদোপদেশ দিয়েই যাচ্ছে। আমার ইণ্টার্ণশীপ শেষ এখনো কেনো বিয়ে বসছি না,বিয়ে বসা উচিত ইত্যাদি ইত্যাদি ........
আমি বললাম,ঠিকমতো চেয়ার পেলেই বসে পড়ব ।
সে বলল,রসিকতা বাদ দিয়ে সিরিয়াসলি ভাবো ।
প্রত্যেুৎতরে আমি বাধ্য মেয়ের মতো মাথা ঝাঁকিয়ে তাকে আশ্বস্ত করলাম বিষয়টা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাববো। কারণ এই বিষয়টা নিয়ে আমি এই শ্রেণীর বুদ্ধজীবীদের সাথে বেশি কথা বলতে চাই না। কারণ আমার একটু লেখালেখির বদভ্যাস আছে তো । তাই এসব নিয়ে চুন থেকে পান খসলেই আমার নামের সাথে (-) লেখক বলে একটা বিশেষণের সংযোজন ঘটতে খুব একটা সময় লাগবে না।তার উপর বাড়ি আমার ময়মনসিংহে।
আর আমার মা বলতে গেলে আমাকে নিয়ে একটু বেশি মাত্রায়ই চিন্তিত ।তাইতো বারবার আমাকে সাবধান করে দেন আমি যেনো আর কখনো “আমি কী অবরোধবাসিনী ?” এই টাইপের কোনো লেখা না লিখি ।আর যদি লিখি তাহলে না-কি আমাকে চিরকুমারীই থাকতে হবে। কোনো ছেলে আমাকে বিয়ে করবে না।(তাইতো বিয়ের প্রপোজাল আসলে আমার মা একটা বিষয় সব সময়ই চেপে যান যে তার মেয়ে লেখালেখি করে)আর তার এই ধারনা আরও জোরালো হয়েছে আমাদের এক প্রতিবেশীনির বিয়ে ভেঙে যাওয়াতে।মেয়েটি আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকে।আর নিকটতম প্রতিবেশীর খোঁজ খবর না রাখার মতো অতি আধুনিক এখনো আমরা হতে পারিনি।তাইতো বিয়ে ঠিক হবার খবর যেমন রাখি (বিয়ের কার্ডও দেয়া হয়েছিল) তেমনি ভেঙে যাবার খবর রাখাটাও আমাদের নৈতিকতার মধ্যেই পড়ে।
বিয়ে ভাঙার সারকথাটা এবার একটু বলি।কনে তার হবু ননদদের (পাঁচ জন)সাথে গিয়েছে বিয়ের গয়নার অর্ডার দিতে।পাঁচ ননদের সবচেয়ে ছোটজনের ভাষ্যমতে,কনেকে যেমন গয়না তারা দিচ্ছে সেরকম তো কনে পক্ষকে দিতে হবে না আর তাদের কোনো দাবী দাওয়াও নেই।শুধু তাদের দিককার ট্র্যাডিশন হিসেবে বরের পাঁচ দুলাভাইকে পাঁচটি আংটি দিতে হবে।আর বরের ব্যাপারটাতো আলাদা। ছোট বোনের যুক্তিকে সমর্থন করলেন বাকি বোনেরা।
মেয়েটি তখন বলেছিল,বিয়েতে যদি আমার বাবাকে যৌতুকই দিতে হয় তাহলে আমাকে কেনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করিয়েছেন ? আর আমাকে কেনো একটা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেব জয়েন করা পর্যন্ত বিয়ের কথা ভাবেননি ? আমার জন্য আমার বাবা যে পরিমান খরচ করেছেন তার অর্ধেক টাকা হলেই অনেক ধুমধাম আর কয়েক ডজন আংটি সহ আরও অনেক কিছু মেয়ের সাথে দিতে পারতেন।তিনি তা করেননি কারণ তিনি আমাকে মেয়ে হিসেবে ভাবেননি ভেবেছিলেন মানুষ হিসেবে।
তারপর কথা কাটাকাটি তবে অনুপাতটা হলো ৫ঃ১।যাইহোক ফলশ্র“তিতে যা হবার তাই হলো কনেকে তার এই জঘন্য অপরাধের (!)জন্য বরের বোনদের কাছে ক্ষমা চাইতে হলো বরের অনুরোধে।তা না হলে যে বিয়েটা হবে না আর বরের কনেকে খুব পছন্দ হয়েছে তাই বিয়েটাতো হতেই হবে।তার পরও শেষ রক্ষা হলো না।এলাকা সহ রটে গেল এই মেয়ে দজ্জাল,ঝগড়াটে,বেয়াদব ....ইত্যাদি ইত্যাদি।একপর্যায়ে বরের মা কনের বাবা মাকে ফোন করেও একচোট দেখালেন,এহেন বেয়াদব মেয়ের জন্ম দেয়ার জন্য।পরিশেষে বিয়ের আংটি ফেরত।
কিন্তু ঐ যে বললাম বরের কনেকে একটু বেশি মাত্রায়ই ভালো লেগেছে।তাইতো এতোকিছুর পরও সে কনের সাথে দেখা করতে চায়।তার কথাগুলো সে বলতে চায়।আর কনে বেচারা গেল একদিন দেখা করতে।পরদিন সকালে বরের বোনের ফোন ।আর দুর্ভাগ্যক্রমে আমি তখন আপুটির পাশেই বসে ছিলাম।ওপাশ থেকে যেসব কথা ভেসে আসছিল তা শুনে আমি বেশ অবাক হলাম। কোনো শিক্ষিত মানুষ এতো বিশ্রি ভাষায় কথা বলতে পারে তা আমার জানা ছিল না।আমি মোবাইলটা নিয়ে লাইনটা কেটে দিলাম।আপু কাঁদছে আর বলছে ,রিমু ,আমি জীবনে এতো অপমানিত কখনো হইনি ।
আমি বললাম,গতকাল যে গাধার সাথে দেখা করলে সেই গাধার নাম্বারটা দাও অথবা তার অফিসের ঠিকানা।
আপু বলল,থাক।তোকে কিছু বলতে হবে না।
আমি বললাম,কেন গতকাল তো ঠিকই তোমার সাথে রেস্টুরেন্টে কতো ভাবের গপ্পো মেরে গেল।
আপু সেল নাম্বার বা অফিসের ঠিকানা কিছুই আমাকে দিলো না।
শুনছি বরের না-কি আবার নতুন জায়গায় বিয়ের কথাবার্তা চলছে।তাতো চলবেই কারণ একান্ত বাধ্যগত আর অনুগত ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বলে কথা!এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি বরের একটা অর্থপূর্ণ কথাই শুনেছি তা হলো ..সেদিন মেয়েটির এসব কথা বলা একদম ঠিক হয়নি।কারণ ট্র্যাডিশন তো ট্র্যাডিশনই তা কি কখনো যৌতুকের পর্যায়ে পড়ে!!!
আমার খুব ইচ্ছে করছিল এই বিনয়ী, গর্ধভ পাত্রকে অকথ্য ভাষায় কিছু গালি গালাজ করি।কারণ এর চেয়ে ভালো কিছু শোনার যোগ্যতা তার আছে বলে আমার মনে হয় না। ন্যায় অন্যায় বুঝার ক্ষমতা যদি আপনার না-ই থাকে তাহলে মেয়েটিকে দিয়ে নিজের বোনদের কাছে ক্ষমা চাওয়ানো..... এটা তো ভালই পেরেছেন। নিজে একটা মেরুদন্ডহীন প্রাণী তা জানা সত্বেও কেন মেয়েটির সাথে দেখা করতে এসেছেন আর তাকে নিজের বোনকে দিয়ে অপমান করালেন।আরে আপনার তো দরকার রক্ত মাংসে গড়া একটা মেয়ে মানুষ,জীবন সঙ্গিনী তো দরকার না।জীবন সঙ্গিনী দরকার হলে তার প্রতি বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ আপনার থাকতো।
বরের কর্মকান্ডে আমার একটা কথাই মনো হলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই সে মানুষ হয় না।মানবিকতা আর ন্যায় অন্যায় বুঝার ক্ষমতাই যদি তার না থাকে তাহলে তার সাথে একজন রিক্সা চালক যে বিয়েতে একটা রিক্সা যৌতুক নিয়েছে তার পার্থক্য কোথায় ? আছে । পার্থক্য অবশ্যই আছে। ঐ রিক্সা চালক রিক্সাটা নিয়েছে তার পেটের দায়ে একটু ভালো মতো বাঁচার জন্য আর এই ইঞ্জিনিয়ার নিতে চায় ট্র্যাডিশনের জন্য ।
আমি বুঝিনা একটা মেয়ে সর্বোচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তারপর ভালো একটা চাকরি করবে তারপরও কেনো তাকে এইসব উদ্ভট ট্র্যাডিশনের ধার ধারতে হবে ? অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্যে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে ? তথাকথিত প্রথাবিরোধী কোনো কথা বললেই তার নামের সাথে যোগ হবে অনেকগুলো বিশেষণ ?
( লেখাটা আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে এবং অনেকটা ক্ষোভ নিয়ে লেখা।আর এই লেখাটা পড়ে তাদেরই আতে ঘা লাগবে যারা ইনাদের সমগোত্রীয়। )
শামীমা রিমা
মন্তব্য
আশা করছি ঐ মেয়েগুলো এই লেখাটি পড়বে।মেয়েরাই অনেক সময় মেয়েদের শত্রু হয়।
আমি পুরানো আমলের মেয়ে। তখনও দেখেছি ইঞ্জিনিয়াররা কমবয়সী মেয়ে বিয়ে করতে পছন্দ।করতো। কারন কি?
সাংসারিক জীবনে দুজনের বুদ্ধির মিল অনেক দরকার।তাতে অচেনা মেয়ের সাথে বিয়ে হলেও মনের মিল হতে পারে।আমি সবসময়েই প্রেমের বিয়ের পক্ষে।প্রেমের সময়ের সুন্দর দিনগুলি রোমন্থন করতে বিবাহিত জীবনে বড্ড ভাল লাগে।
ঝগড়া ঝাটিও বেশিক্ষণ থাকে না।
লেখার জন্য ধন্যবাদ।
আমি পুরানো আমলের মেয়ে। তখনও দেখেছি ইঞ্জিনিয়াররা কমবয়সী মেয়ে বিয়ে করতে পছন্দ।করতো। কারন কি?
আমার জানামতে সচলে অনেক ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন এই প্রশ্নটার জবাব আশাকরি তারা দিবেন।
শুভেচ্ছা রইল।
এইটা ভুল কথা। বিবাহযোগ্য যেকোন ছেলেরই বা তার পরিবারের এই রকম মানসিকতা থাকতে পারে। ইঞ্জিনিয়ার নির্বিশেষে এইটা অতিসরলিকরন হয়ে গেলো না? ছেলের গর্বীত পরিবার সর্বদা কমবয়েসি মেয়ে খোঁজে, অন্যদিকে মেয়ের বাবারাও মেয়ের চেয়ে বেশি বয়সের পাত্র খোঁজে। কারণ সম্ভবত এটাই সমাজে প্রচলিত। আর সমাজের প্রচলিত যা কিছু তার বাইরে এক পা ফেললে চারিদিক থেকে দাঁ-কুড়াল নিয়ে লোকজন তেড়ে আসে। আবার এটাও দেখেছি যে বাই চান্স স্বামী বয়সে ১/২ বছর ছোট হলে মেয়েরাও সেটা যেভাবেই হোক ভুলে থাকার বা মুছে ফেলার চেষ্টা করে এবং এক ধরনের হিন্মন্নতায় ভোগে। তাদের হাবভাবে মাঝে মাঝে মনে হয় স্বামীর চেয়ে বয়সে ছোট হলেই যেন ভাল হত!!!!!!
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
স্বামী ২-১ বছরের ছোট হলে সবাই এমন ভাব দেখায় যেনো এটা অন্যায় এবং অশোভন কাজ।পারস্পরিক বোঝাপড়াটা ভালো হলেই তো হলো ।
আর ইঞ্জিনিয়ার ব্যাপারটা ঘটনাক্রমে এসেছে ।
ইঞ্জিনিয়াররা অল্প বয়সী পাত্রী খুজে এই ব্যাপারটা নতুন শুনলাম,এবং সবিনয়ে বলছি এটা ঠিক না।কিন্তু বয়সের পার্থক্যের ব্যাপারটা একটু বলতে চাই,একটা ছেলে গ্রাজুয়েশনের পরে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হতে আরো ২~৩ বছর সময় নেয় (ডাক্তার বাদে) এবং আমাদের দেশের "প্রচলিত আইন" মোতাবেক গ্রাজুয়েশনের আগে পরেই মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেবার একটা হিড়িক পড়ে যায়।তখন প্রস্তাবের পাল্লায় ভারী হতে হলেও সব ছেলের নামের পাশে ৫ অংকের একটা বড় সংখ্যা থাকা লাগে। আর ৪ বছরের পার্থক্যকে আদর্শ ধরা হয় (আমি না,সায়েন্স বলেছে!আর্টিকেলের লিংকটা দিতে পারছি না বলে দুঃখিত)। আর বয়সের পার্থক্য আসার আরেকটা কারণ, ফ্রাংকলি বলছি.....কম বয়সী মেয়েরা কিঞ্চিৎ গাধা হয়,তাই তাদের পটানো সহজ প্রথম প্রথম সবাই আশেপাশেই নজর দেয়,ফেইল মেরে তার পরে অন্যত্র সন্ধানে যায়,আর কারোর নজর উপরে থাকে না,নিচেই থাকে।
হা হা হা, অনেক মজা পাইলাম
আমার প্রেমিকা এর মায়ের requirement হলো ছেলে ম্যজিস্ট্রেট হতে হবে, এবং ছেলের **** শহরে বাড়ি থাকতে হবে
এই জন্য আমার প্রেমিকা আমার কথা এখনো তার বাসায় বলার সাহস পায়নি, অথচ আমাদের সম্পর্ক ৪ বছর হয়ে গেল।
তার মানে আমি একটা ছেলে, কিন্তু আমাকে বিয়েতে যৌতুক হিসেবে একটা বাড়ি দিতে হবে, আর এখন তো ২০ লাখ টাকার কমে দেনমোহর হয় না। নাহ, বিয়ে করাটা মনে হয় এই জীবনে আর হবে না।
এরপর মেয়ের গা ভর্তি করে গয়না দেওয়া তো আছেই।
আমি আমার প্রেমিকাকে অনেক বার বলেছি যে আমি বিয়েতে কিছু চাই না, যদি তার পরিবার থেকে কিছু দেয়, সেটাও আমি নিতে দেব না।
একটা সুতাও না। আর দেনমোহর যেটা ঠিক হবে, আমি সেটা বিয়ের দিনই দিয়ে দেব।তাই আমি যেন দিতে পারি, সেজন্য দেনমোহর কম হতে হবে।
শামীমা রিমা আপা, আপনি বলছেন আপনি কোন গয়না বা দেনমোহর নিবেন না, তাই আপনাকেই বলি, আমার কিছু একাডেমিক সার্টিফিকেট আছে, আমি শিক্ষিত কিনা জানি না, আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন?
এটা বলেন না যে আমি লুইস, কারন আমার প্রেমিকা থাকার পরও আমি আপনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছি। আমার প্রেমিকার সাথে আমার যে বিয়ে হবে না সেটা তো তার মায়ের requirement থেকেই বোঝা যায়।
অপ্রিয় সত্য কথা
চমৎকার, সুপাঠ্য ও সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ।
আরো লিখুন, স্তব্ধ হোক শিক্ষিত গর্দভদের ভন্ডামি।
কথায় দুএকটা মইসিঙ্গা ডায়ালগ থাকলে ভাল লাগতো, মন খ্রাপ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই শ্যামল,আইন্যে মন খারাপ করছুইন এইডা হুইনন্যা আমার মনডাও খারাপ অইয়া গেলো ।
বর হালার ঠিকানা যোগাড় করেন। তারপর আরামসে গিয়া রামঘষা দিয়া আসেন। হালায় আসলেই একটা ফাউল।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমারতো খুব ইচ্ছা ।কিন্তু সমস্যা হলো মুরুব্বিরা বলছেন চুপ একদম চুপ।তবে আপনাদের মতো দু একজন পাশে থাকলে তা করা যাবে।কি বলেন ?
A literate person may not be educated. An educated person may not be enlightened. কথাটা কে বলেছিলেন মনে করতে পারছিনা; তবে কথাটা যে সত্য আপনার কাহিনীগুলো পড়ে আবার মনে পড়ে গেল।
আমিও না।:)
আলো চায় আলো, দূর হোক অশিক্ষা, কুশিক্ষা। দূর হোক অজ্ঞানতা।
facebook
আমরাও মনে প্রাণে চাই । কিন্তু তা আর কতদূর?
আপনাকে ধন্যবাদ তারেক অণু ।
আমাদের সমাজের এই চরম সত্যটি (ব্যাধিটি)... সাবলীল ভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
চলেন এবার এই ব্যাধিটা সারনোর চেষ্টা করি।
লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
এরকম মেন্টালিটির লোকজনকে আমি বন্ধু ভাবি না।
ঈর্ষা : লেখাটা পড়ে সুরঞ্জনার এই গল্পটা মনে পড়ল।
কমবয়সী মেয়ে-- এই থিমের ওপর মীনার একটা কার্টুনও আছে।
আমার এক মামার বিয়ে ঠিকঠাক হলো সম্প্রতি। উনি বুয়েট থেকে পাশ করে কাজ করছেন শেভরনে। পছন্দের বিয়ে, হবু পাত্রীও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের ছাত্রী।
পারিবারিক ভাবে মেয়ে খুঁজতে গেলে কি আমরাও আরো 'কম বয়সী' মেয়ে খুঁজতাম? কে জানে!
মেয়েদের সবচেয়ে বড় শত্রু মেয়েরাই, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে কনে দেখে মুখ কুঁচকে বিরূপ মন্তব্য করার সময় আমি কিংবা আমরা ভুলে যাই নিজেদের কথা। ছেলে দেখতে যেমনই হোক, মেয়েকে তো সুন্দরী হতেই হবে। রূপ ছাড়া 'মেয়েমানুষের' আর কী দরকার?
সেটেলড ম্যারেজ, ব্যাপারটা এক ধরনের জুয়োর মতো মনে হয় আমার কাছে। সিভি চালাচালি, দিন তিনেক ফোনে কথা আর ঘন্টা দুয়েক কেএফসিতে কথা বলে একসঙ্গে জীবন কাটানোর মতো ডিসিশান লোকজন কীভাবে নেয়, সেও এক রহস্য। শেষমেশ ক্লিক করলে তো চমৎকার, না করলে মাথায় বাড়ি।
প্রেমের বিয়ে মানেই যে সুখী হওয়াটা গ্যারান্টেড, তাও অবশ্যই নয়। কিন্তু সেখানে বোঝাপড়ার সুযোগ খানিকটা হলেও বেশি থাকে।
আর বিয়ে করতেই হবে, এমন কী আছে! অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে একটা মেয়ে একা থাকলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে কেন?
জীবনের অনেককিছুতেই তো কমপ্রোমাইজ করি আমরা, করতে হয়-ই। অ্যাকাডেমিক লাইফে বিষয় নির্বাচনে, কাজের ক্ষেত্রে ক্ষেত্র নির্বাচনে। মনে না নিয়েও অন্তত মানিয়ে নিই।
শুধু মেয়ে হয়েছি বলে এই একটা ব্যাপারে অন্তত নতজানু হয়ে পড়ার প্রশ্নই আসে না।
স্বভাববিরুদ্ধভাবে খানিকটা দীর্ঘ মন্তব্য করে ফেললাম।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আর বিয়ে করতেই হবে, এমন কী আছে! অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে একটা মেয়ে একা থাকলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে কেন? বা একটা ছেলে? এতদিন তো এই কথাই বললাম বোনডি !
facebook
এই পোস্টে বহুৎ বকে ফেলেছি। শ্যাষ কথা কই---
আপনাকে ধরেবেঁধে অতি দ্রুত একটি চণ্ডালনী কনের হস্তে সঁপে দেওয়াটা অতীব জরুরী! যাতে 'ভলগা থেকে গঙ্গা' ঘুরোঘুরি করে সচলে আর পোস্ট দেওয়ার সুযোগ না পান। নীড়পাতায় তারেক অণুর নামঠিকানা দেখলেই আমি হিংসায় লগাউট করি।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসময় উপন্যাসে পড়েছিলাম,
মেয়েরা বিয়ে না করলে সন্দেহ,বিয়ে করে স্বামীর সংসার না করলে সন্দেহ,স্বামী মারা যাবার পর বিধবা হলেও যে তাদের সম্পর্কে আমরা নিঃসন্দেহ হয়ে যাই তাও নয়।
এবার বলেন যাব কোথায়?
সেটেলড ম্যারেজ আমার কাছে অনেকটা জুয়ার মতোই মনে হয়।মাত্র কয়েক দিন কথা বলা,কফি খেতে যাওয়া।এভাবে একজন আরেকজনকে কতটুকু জানবে।আর তখন দুজন দুজনের ভালো দিকগুলোই দেখানোর চেষ্টা করবে।
কিন্তু সব প্রেমেরই য়ে পরিণতি বিয়ে হবে এমন তো কথা নেই।তার চেয়ে আপনার কথাটাই আমার মনে ধরেছে....
আর বিয়ে করতেই হবে, এমন কী আছে! অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে একটা মেয়ে একা থাকলে মহাভারত অশুদ্ধ হবে কেন?
১. কমবয়সী মেয়েরা হলো কাদামাটি, তাদের নিজের মত করে গড়ে নেয়া যায়। সুতরাং কমবয়সী মেয়ে লাগবে।
২. বাজারের যে অবস্থা, একজনের রোজগারে সংসার চলেনা। সুতরাং চাকরীজীবি মেয়ে লাগবে।
আবার ,
১. কমবয়সী মেয়েরা সংসারের ঝামেলা বুঝেনা, মানিয়ে চলতে পারেনা।
২. বেশি শিক্ষিত মেয়ের নিজের ব্যক্তিত্ব গড়ে উঠে, তারা অন্যের সাথে কম্প্রমাইজ করে চলতে পারেনা।
আরো আছে,
১. ছোট ফ্যামিলির মেয়েরা অনেক মানুষের সাথে মানিয়ে চলতে পারেনা।
২. বড় ফ্যামিলির মেয়ে বিয়ে করলে বিরাট ঝামেলা, জামাই আদর ঠিকমত পাওয়া যায়না, নানান পদের ঝামেলা লেগেই থাকে।
এই শেষ নয়;
১. মা মরা মেয়ে সংসারী হয়, যেহেতু নিজে সংসার চালিয়ে অভ্যস্ত
২. মা মরা মেয়ে কোন কাজ জানেনা, জামাই আদর পাওয়া যায়না
এদের জন্য একটা মাল্টিঅবজেক্টিভ অপ্টিমাইজেশন ইকুয়েশন ডেভেলপ করা দরকার। কেউ প্লিজ এগিয়ে আসুন, দেশ ও জাতি তাকে স্মরণে রাখবে
চরম বলেছেন
এদের বিয়ে করাই উচিত না।না একটু ভুল হলো,কোনো মেয়েরই উচিত নয় এসব বিচিত্র প্রাণীদের বিয়ে করা।
Multi_objective_Optimization eqn..... আমি develop করতে পারি, কিন্তু এইরকম পরস্পর বিরোধী constraints নিয়ে কোন slover program optimal solution পাবে না। তবে লেখিকাকে বলতে চাই, ইঞ্জিনিয়ার মানেই এই রকম চামার হয় না কিন্তু সবাই। আরেকটা বিষয় মা-বাবা, ভাই-বোন এর ভুল ভাঙ্গানো সব সময় সম্ভব হয় না। তাদের বিরুধে কোন মতামত দিলে তারা হয়ত emotional blackmailing শুরু করে নতুবা পুরা shut down হয়ে যায়। এই বৃত্ত break করার মানসিক শক্তি সবার থাকে না।
ইঞ্জিনিয়ার এখানে ঘটনার প্রেক্ষিতে এসেছে।
বাঙ্গালী বিয়ে আমার কাছে অত্যন্ত অশ্লীল মনে হয়। বাঙ্গালী বিয়েতে প্রেমের চেয়ে দর-কষাকষিটাই যেন মুখ্য। মেয়ে বড় হলে বাবা-মা এমন একটা ভাব করেন যেন মেয়েটাকে বিদায় করে দিতে পারলে তাঁরা একটু শান্তি পান। আমি বুঝি যে তাঁরা মেয়ের ভালর জন্যই এসব করেন, কিন্তু তাঁদের এটাও বোঝা উচিত যে একজন বিবাহযোগ্য মেয়ের ঠিকই নিজের ভাল-মন্দ বোঝার যোগ্যতা আছে।
সম্প্রতি আমার সর্বকনিষ্ঠ ফুপুর নোয়াখালিতে বিয়ে হয়ে গেল। আমরা নোয়াখালিতে পৌছেই সরাসরি মসজিদে চলে গেলাম আকদ্ এর জন্য। মসজিদে গিয়ে কাজিনদের সাথে কথাবার্তা বলে জানতে পারলাম যে আমাদের হবু ফুপার নাম, কর্মস্থল, বাসার ঠিকানা, ভাই-বোনের সংখ্যা কিছুই আমরা জানি না, শুধু এটুকু জানি যে উনার বেতন ৭০০০০ টাকা।
অনেকের ধারনা জগতে টাকাই সব।এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার।
আপাতত করা বা বসা নিয়ে আমার কোন সমস্যা নাই, যে কোন একটার ব্যবস্থা হলেই বেঁচে যাই ...
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সে কি চপেটাঘাত করে চলে গেছে? আমি ভাবছিলাম যায় নাই . ফেরা তাড়াতাড়ি দিলে, বসার একটা ব্যাবস্থাও হয়ে যাবে... ইশাআল্লাহ...
এই তাহলে অবস্থা?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
সহমত।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আশা করছি ঐ মেয়েগুলো এই লেখাটি পড়বে।মেয়েরাই অনেক সময় মেয়েদের শত্রু হয়।
আমি পুরানো আমলের মেয়ে। তখনও দেখেছি ইঞ্জিনিয়াররা কমবয়সী মেয়ে বিয়ে করতে পছন্দ।করতো। কারন কি?
সাংসারিক জীবনে দুজনের বুদ্ধির মিল অনেক দরকার।তাতে অচেনা মেয়ের সাথে বিয়ে হলেও মনের মিল হতে পারে।আমি সবসময়েই প্রেমের বিয়ের পক্ষে।প্রেমের সময়ের সুন্দর দিনগুলি রোমন্থন করতে বিবাহিত জীবনে বড্ড ভাল লাগে।
ঝগড়া ঝাটিও বেশিক্ষণ থাকে না।
লেখার জন্য ধন্যবাদ।
এখন আমার বয়স ২৭ বছর ৪ মাস...একটা চাকরী করছি যেটার মাত্র শুরু...ঘোষণা দিয়েছি আরো ২ বছর পর নিজেকে একটু গুছিয়ে নিয়ে তারপর বিয়ে করবো....কিন্তু আমার চারপাশের আত্মীয় নামের সমালেচকরা এরই মধ্যে আমার বিয়ের যাবতীয় দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে নিয়েছেন। চেহারা খারাপ হয়ে যাবে, বাচ্চা হবে না, কেউ পছন্দ করবে না...কত রকম কথা। মেয়েদের বেশী পড়ালেখা করালে মাথায় ওঠে একথা আমার বাবা মা কে সকাল বিকেল শুনতে হয়। এসব কারনে আজকাল আর আত্মীয় স্বজন ভালো লাগে না। কেউ বুঝতেপারে না, আমার জীবন..একটা পরিকল্পনা নিশ্চই আমার আছে...কাকে কখন বিয়ে করবো এটা একান্তই আমার সিদ্ধান্ত....২ দিনের পরিচয়ে কোন মানুষের সাথে বিছানা শেয়ার করাটা আমার পক্ষে সম্ভব না....সেটা আমি কাউকে কেমনে বোঝাই...ভাল্লাগে না আর...
কাউরে বোঝানোর কিছু নাই। বিয়ে আপনার মনমতো করবেন, না করলে নাই, আবার কি। থোড়াই কেয়ার, নিজে শক্ত থাকেন, দেখবেন সব সাইজ হয়ে যাচ্ছে। আর আত্নীয় স্বজনরে একটু কম কেয়ার করাই ভাল, এরা ম্যাক্সিমামই কোন লাগে না ঝামেলা করা ছাড়া। ভাল থাকুন।
জীবনটা যেহেতু আপনার তাই সঠিক একটা সিদ্ধান্ত আপনাকেই নিতে হবে এবং কে কি বলল বা ভাবল তা নিয়ে মাথা না ঘামানোই ভালো।
যথেষ্ট টাকা জমানোর আগে বিয়ের চিন্তাতে যাওয়াটা আসলেই বোকামি।
আমি মানুষ হিসাবে খুবই খারাপ। তাই আমার পরিচিতদের মধ্যে আপনার বন্ধুর মত লোকজনদের সাথে আমি নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। বিয়ের পর, যখন এরা সাইজ হয়, তখন এদের গল্প শুনতে শুনতে অতন্ত করুন মুখ করের এসব কথা মনে করিয়ে দেই। তখন চেহারাটা যা হয় সেটা অত্যন্ত আনন্দদায়ক। আর কোনভাবে কথাটা যদি এদের বউ বা শ্বশুরবাড়ির কারো কানে যায়... তাহলে তো কথা ই নেই। যদিও উচিত না , তবুও না করে পারিনা।
একগাদা কথা লেখার জন্য হাত নিশপিশ করছে!
যাইহোক, আমারও বয়েস হয়ে গেছে অনেক, মোটাশোটা মানুষ, দেখতেও বেশী ভালোনা, বাবারও পয়সা নাই, খালা মামাদের আমার চিন্তায় ঘুম আসেনা রাতে। এর মাঝে আবার এজেন্সিতে চাকরি করি, রাত করে বাসায় ফিরি, জিন্স ফতুয়া পরি, সবচেয়ে বড় কথা জাবির ছাত্রী! হায় খোদা, না জানে জাবির কোন চিপায় কার সাথে কী করে এসেছি! আমার বাবার মোটেও উচিৎ হয়নাই আমাকে পড়াশোনা করানো! বেশী লায়েক হয়ে গেলে নাকি মেয়েদের কনট্রোল করা যায় না। মেয়েরাতো রিমোট। তাদের কন্ট্রোল না করতে পারলে ক্যাম্নে কী!
মা বাবার স্বার্থহীন ভালোবাসা আজকাল আর স্বার্থহীন লাগে না। আর আত্মীয় স্বজনদের মতো চু** ভাই আর দুনিয়াতে নাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আমার আত্মীয় সজনও এক্ষেত্রে কম যায় না।আর আমার সমবয়সী যেসব মেয়ে বিয়ে করেছে তাদের বাবা মায়েরা আমার মায়ের কানের কাছে প্যান প্যান করছে মেয়েকে এখন বিয়ে না দিলে পরে এই আইবুড়ো মেয়েকে কে বিয়ে করবে ???????
আমার বাবার মোটেও উচিৎ হয়নাই আমাকে পড়াশোনা করানো! বেশী লায়েক হয়ে গেলে নাকি মেয়েদের কনট্রোল করা যায় না। মেয়েরাতো রিমোট। তাদের কন্ট্রোল না করতে পারলে ক্যাম্নে কী!
একগাদা কথা লেখার জন্য হাত নিশপিশ করছে!
যাইহোক, আমারও বয়েস হয়ে গেছে অনেক, মোটাশোটা মানুষ, দেখতেও বেশী ভালোনা, বাবারও পয়সা নাই, খালা মামাদের আমার চিন্তায় ঘুম আসেনা রাতে। এর মাঝে আবার এজেন্সিতে চাকরি করি, রাত করে বাসায় ফিরি, জিন্স ফতুয়া পরি, সবচেয়ে বড় কথা জাবির ছাত্রী! হায় খোদা, না জানে জাবির কোন চিপায় কার সাথে কী করে এসেছি! আমার বাবার মোটেও উচিৎ হয়নাই আমাকে পড়াশোনা করানো! বেশী লায়েক হয়ে গেলে নাকি মেয়েদের কনট্রোল করা যায় না। মেয়েরাতো রিমোট। তাদের কন্ট্রোল না করতে পারলে ক্যাম্নে কী!
মা বাবার স্বার্থহীন ভালোবাসা আজকাল আর স্বার্থহীন লাগে না। আর আত্মীয় স্বজনদের মতো চু** ভাই আর দুনিয়াতে নাই!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
বাবামা এমন কথাও বলে যে পড়াশুনা করানো ভুল হয়েছে।
তাদের কথার অন্তর্নিহিত অর্থটা এমন যে - বেশি পড়াশুনা না করলে নিজের পায়ে দাড়ানোর মত শক্তি যেহেতু হতোনা তাই যে যাই বলত মেনে নিতে হতো, যোগ্যতার যাচাইবাছাইটাও এতোগুলো ফ্যাক্টর ভারাক্রান্ত হতো না। অল্প ঝামেলায় বিলাই পার করা যেতো।
আমাকে এটা বলতে আসলে আমি বলে দেই নিজের খরচে পড়সি, আমাকে কেউ পড়ায়নি। সুতরাং আমাকে পড়ানো ভুল হয়েছে কীনা এটা বলার কোন অধিকার কারো নাই
লিখুন না কিছু ......
আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
নারীরা যেহেতু সমাজে পিছিয়ে পড়া জন গোষ্ঠীর একজন মানুষ, এই জন্যই পুরুষের পাশাপাশি নারীর সুশিক্ষা খুব জরুরী। মায়েরা বোনেরা যেন বুঝতে পারেন, একজন ফর্সা, আপাতঃ সুন্দরি অশিক্ষিত ছেলের বউ/ভাবীর চেয়ে একজন স্বশিক্ষিত নারী সংসারে, সন্তান পালনে, পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক বেশী প্রয়োজন। একজন মা যদি সংসারে তার মেয়েকে শুধু মেয়ে বলে নানান বিষয়ে বঞ্চিত করেন আর ছেলে সন্তানকে সকল সুবিধা দেন। তাহলে তো বোনেরা ভাইয়ের বিয়েতে এমন করবেই।
পরিবার তো এক তরফা হয় না, পিছিয়ে থাকা নারীদের পাশাপাশি তথাকথিত এগিয়ে থাকা পুরুষদের আরও এগিয়ে আসতে হবে। স্বশিক্ষিত হয়ে, উন্নত মানসিকতা নিয়ে।
আপনার কথাগুলো শুনে ভালো লাগল।
ধন্যবাদ।
আমার কাছে সেটেল ম্যারিজের ক্ষেত্রে যেটা খুব কঠিন মনে হয়েছে, এবং হচ্ছে--- নিজেকে প্রায় পুরোপুরি সৎ, মোটামোটি স্বচ্ছল, এবং বন্ধুবৎসল রাখার/থাকার পরেও শপিং করে (শব্দটা শুনতে কটু মনে হলেও, এটাই সত্যি) পাত্র/পাত্রী বের করাটা শালীনতা বর্জিত মনে হয়েছে। ঠিক আছে, আপনি হয়ত পেলেন, আপনার চাওয়া-পাওয়ার কিছুটা কাছাকাছি-- হুম, পরে? পরে এই অল্প সময়ে একে অন্যের উপরে বিশ্বাস (ট্রাস্ট) স্থাপন করাটা কঠিন, ভীষন কঠিন। দিন দুই ফোনালাপ আর মিষ্টি সংলাপ, এরপরে কোন আত্নিক ছোঁয়ার শুরু হওয়ার আগেই শারীরিক যোগাযোগ। অন্যায় মনে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছিঃ যতদিন ক্যারিয়ার বিল্ডিং নিয়ে মগ্ন ছিলাম, ততদিন মনেই হয়নি হয়ত কোনদিন বিয়ে শাদী করতে হবে, অথবা ভাগ্যের কারনেও হতে পারে, এমন কেউ সামনে আসেনি যে আমার মনের ভারটুকু নিতে পারে। তাই অগত্যা পাত্রীর সন্ধান। পরিবার থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে পাত্রী খোঁজ (আমার অন্যান্য ভাইদেরও এভাবেই হয়েছে, আমি জানি না ওরা ২২/২৩ দিনে কিভাবে জীবনসঙ্গী পেয়ে গেছে!)। আমার কাছে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনজন পাত্রীর ছবিও বায়োডাটা দিয়ে পাঠানো হয়। সেগুলো থেকে একজনকে ভাল লাগে। আর আমি পরে ওর সাথেই কথা বলা শুরু করেছি। পরে একটা সঙ্গত কারনে একটা খটমট শুরু হয় (যৌতুক কিংবা, অসম্মানজনক কিছু নয়)। সেই খটমট'র ফলশ্রুতিতে পরিবার থেকে একেবারেই নিষেধ করা হয় যাতে ওর সাথে কোনরুপ যোগাযোগ না করি। লে হালুয়া, বিয়ে আমার, জীবন আমার, সব কিছু আমার থাকার পরেও পারিবারিক সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিয়ে ওদের পছন্দের মেয়ের সাথেই কথা বললাম, এখন যখন কথা বলে ওকে ভাললেগে গেল, তখন বলে নাহ, এখানে হবে না। বড়ই আজব। এরপরের ঘটনা আরো হিউমিলিয়েটিং। পরিবার যখন বুঝলো আমি মেয়েটির প্রতি উইক, তখন ওরা এটা নিয়ে ফান করছে। মাত্র এক মাসের কথায় আমার উইক হওয়াটাকে অনেকের কাছেই গ্রহনযোগ্য হয়নি। প্রসঙ্গতঃ খটমট'র পর মেয়েটি কোন এক রহস্যজনক কারনে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে আমি বিভিন্নভাবে আমার মানসিকতার অবস্থা ওকে বোঝানোর চেষ্টা করি। লাভ হয়নি। জানি না, কোন ভয়ে, নাকি আমাকে অপছন্দের কারনে 'ও' পিছিয়ে গেছে!
---------------------------
আপনি যে ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন, এ ঘটনার জন্য মেয়েরা আমাদের দেশের মেয়েরা নিজেরাও অনেকাংশে দায়ী। যেমন, এই ঘটনার পর মনে হয়েছে, নাহ, পারিবারিকভাবে আমার মনের মানুষ পাওয়া হবে না। আমার নিজেকেই একটিভ হতে হবে। আমার উপরোক্ত ঘটনা বন্ধু-বান্ধব অনেকেই জানার পর একজন জুনিয়র বন্ধু একটা মেয়ের কথা আমাকে জানালো মেয়েটির ছবিসহ। পরে সেই মেয়েটিকে নিজের পরিচয় দিয়ে মেইল করি (আমার এখন দেশের বাইরে থেকে এর চেয়ে ভাল কোন পদ্ধতি জানা নেই কিংবা উপায়ও নেই), আপনাকে জানতে চাই। যাই হোক, মেয়েটি প্রথম মেইলে উত্তর (ঠিক উত্তরও বলা যাবে না) দেয়ার পরে দ্বিতীয় মেইলে আমি বলি, আমি আপনাকে জানতে চাই ঠিক আছে, কিন্তু আপনার আমাকে জানার আগ্রহ না থাকলে সে পথে আমার মাড়ানোর ইচ্ছে নেই। মেয়েটি কোন উত্তর দেয়নি। এর অনেকদিন পরে আমি রিমাইন্ডার দিয়েছি। নাহ, তিনি এখনো নিরুত্তর। কথা হলো, এটা ছিল প্রথম পদ্ধতি, এটা যখন কাজ হয়নি, এখন দ্বিতীয় পদ্ধতি, সেটা হলো, আমার পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়োজিত করা মেয়েটির খোঁজ নেয়ার জন্য। যেহেতু ইন্টেরেস্ট ফিল করেছি, সেহেতু। কথা হচ্ছে, পরিবারের সদস্যরা যখন খুঁজতে যাবে, তারা কি আমার মত করে ডিল করবে? এখানে অনুযোগটা হচ্ছে, যে মেয়েটি প্রথম মেইলের উত্তর দিতে পারলো, সেই মেয়েটি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে সমস্যা কোথায় ছিল (হ্যা বা না একটা বলাই যেত)? মেয়েরা নিজেরাই তো নিজেদের পিছিয়ে রাখছে। তারা নিজের অভিব্যক্তি নিজে প্রকাশ না করে অন্যকে দিয়ে করাচ্ছে। একটি পুর্ন প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে সে নিজেই জানাতে পারে, এখন তা না করে হয় ওর বন্ধু অথবা আমার পরিবারের সদস্যরা ওর পরিবারের কাছে থেকে জানবে। হুম, বুঝুক!
সবার মন মানসিকতা সামগ্রিকভাবে উদার না হলে, এ ধরনের সমস্যা যাবে না। নিজেরা কনফিডেন্ট না হওয়া পর্যন্ত পরিবারকে ইনভল্ভ করা বোকামী।
আপনি তো ভাই একটা চরম লুল দেখা যাচ্ছে! মেয়ে দেখলেই আপনার 'ভালো লেগে' যাচ্ছে। কোনো মেয়ে আপনার 'জানতে চাওয়া'তে সাড়া দিতে না চাইলেও পরিবার দিয়ে জোর করে সেই চাওয়াতে সাড়া দেওয়ার বন্দোবস্ত করছেন। পরিবার আপনাকে কোন কাইতে শুইতে হবে সেটা ঠিক করে দিচ্ছে, আপনি সেটা মেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী শুয়ে পড়ছেন। আবার আপনার পরিবার দিয়েই নিজের বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছেন। দ্ব্যর্থহীনভাবে সেটা প্রকাশও করছেন। আপনার লজ্জা করে না একজন পুরুষ হিসেবে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ডাকঘর | ছবিঘর
আগ্রহ প্রকাশ আর ভালোলাগা এক? ভাল বলেছেন! ফুল স্টোরিতে খেয়াল করুন, বায়োডাটা-ছবি মানে পাত্রী আরো বাকী। প্রথম জনের সাথে খটমটোর পরে পরিবার অনেক চেষ্টা করেছে বাকী দু'জন থেকে একজনের সাথে ম্যাচ করাতে। লাভ হয়নি। যাকে দেখে তাকে ভাল লাগলে ত পাত্রী অভাব ছিল না। সমস্যাটা এখানেই। পটেনশিয়াল বলে একটা কথা আছে। মেয়েটাকে পটেনশিয়াল মনে হয়েছে। ভাল লাগবে কিনা সেটা এখনো অজানা। আর পরিবারের চেয়ে এই মুহুর্তে দেশে আর কেউ নেই এ বিষয়ে হেল্প করার জন্য। ঠিক আছে, আমি পাত্রী খুঁজবো না, পরিবারেরও সাহায্য নিবো না, আপনি আমার মনের মত একজন খুঁজে দিন। আমি জানি না, আপনার সেটেল ম্যারিজের এক্সপেরিয়েন্স আছে কিনা। ঘরের কারো হয়ে থাকলেও বুঝার কথা। পরিবার মনে করে পাত্রী'র বাবার সাথে তাদের খুব খাতির আছে, তাহলে পাত্রীর সাথে পাত্রের কোন সমস্যা হবে, পাত্রীর বাবাকে পছন্দ হয়ে গেছে তাহলে আর সমস্যা নেই। বিয়ে এখানেই ঠিক। কিন্তু আমি তো আর পাত্রীর বাবার সাথে সংসার করবো না, আমার তো প্রয়োজন সমমনা পাত্রী। এ জিনিসটা বুঝাতেই জান বেরিয়ে গেছে। দ্বিতীয় পাত্রীর ক্ষেত্রে পরিবারকে বুঝাতে বেগ পেতে হয়েছে। আর যদি বলেন প্রথমে পাঠানোটা পরিবার কাত করিয়ে দিয়েছে, হ্যা, দিয়েছে। আমি বিয়েটা বিশ্বাস করি ভাগ্যের। প্রথম যাদের পাঠিয়েছিল, তাদের মধ্য থেকে একজনকের উপর মনে হয়েছে আস্থা রাখা যেতো। এটা লাকিলি। পরে হয়নি এটাও লাক। কিন্তু এই ব্যাপারটা নিয়ে পরিবার যেভাবে ভিন্ন পথে হেঁটেছে (মেয়েটিই পিছিয়ে গেছে, তাই নিজে থেকে দমিত হওয়া ছাড়া কিছুই করার ছিল না এখানে), তখনই নিজের একটিভ হওয়ার বিষয়টি মাথায় এসেছে। দেশে থাকলে ই-মেইল বা কারো হেল্প নিতাম না, বড়জোর প্রয়োজনে মেয়েটির বন্ধুকে সাথে নিয়ে সরাসরি মেয়েটির কাছেই যেতাম। প্রত্যেকটি সৎ সমস্যার ধরন ভিন্ন। কারো জায়গায় কেউ না হাঁটলে বুঝা যাবে না। কোথাও কোথাও ফ্যাক্ট ফিকশানকেও হার মানায়। একটি/দু'টি মন্তব্যে দিয়ে পুরো পার্সনকে যাচাই করার মত অসাধ্য কাজটা আপনি সহজেই করতে পেরেছেন, আর এই সময়ে যদি অন্য কাউকে না, আমার নিজেকেই ঠিকমত জেনে বুঝে সব কিছু ছেড়ে, মানে পরিবারের পছন্দেও করবো না, আর আমি নিজেও খুঁজবো না, তাহলে "অ-লুল/সাধুতা" নিয়ে হ্যাপি থাকতে পারতাম। কিন্তু আমার জীবনের সহযাত্রী হবে তাঁকে নিয়ে পরিবারের জোরাজোরির পর যে ভিত্তিটা নড়বড় হইয়ে গেছে, সেটা আরো নড়বড় করার সুযোগ না দেয়ার জন্য নিজে লুল না হয়ে অন্য কোন উপায় পাচ্ছি না।
একটা অনেষ্ট উপায় বলুন তো, কিভাবে পরিবারকেও জড়াব না, নিজেও কোন মেয়ের কাছে জানতে চাইবো না। কিন্তু তারপরেও আমি আমার মনের মত একজনকে চাই, যে শুধু পরিবার বলেছে বলে নয়, নিজে থেকে আমাকে চাইবে। এখন প্রেম/ফ্লার্ট করার ইচ্ছা বা মানসিকতা কোনটাই নেই। এখন উপায় কী বলেন?
হুমম! এর উলটা পৃষ্ঠাটা একটু বলুন, শুনে ধন্য হই। গত রাত থেকে মেজাজ খিচড়ে আছে। একটাই বিয়ে করতে চাইছি। কিন্তু হচ্ছে না। নাহ ম্যাম, আমার কোনই চাহিদা নেই, শুধুই উচ্চ শিক্ষিত একটা মেয়ে চাই।
আমার অযোগ্যতাসমুহঃ
১। আমি বিদেশে পড়াশোনা করে বুড়া হয়ে গেছি। আমি জানি না, কোন বাঙ্গালীর ২০/২৫ বছর বয়সে পিএইচডি ডিগ্রি নিতে পারে কিনা?
২। আমার নিজের কোন টাকা পয়সা নেই। আমি জানিনা, পড়াশোনাকালীন কেউ বিত্তবান হতে পারে কিনা?
৩। আমি বিদেশে থাকি, গবেষণা করি এবং সেটা চলিয়ে যাওয়ারই ইচ্ছা। দেশে আমার চাকুরী করার যোগ্যতা নেই, বিদেশে করার যোগ্যতা আছে। কিন্তু ছেলে বিদেশে থাকলে হবে না।
৪। খোদার কসম, আমি কিংবা আমার পরিবার মেয়ের পক্ষের কাছে একটা সুতাও চাই না, কিন্তু মেয়েকে আমার সোনা-দানা-হাতি-ঘোড়া দিতে হবে। লাখ লাখ টাকা দেবো এমন চুক্তিতে সই করতে হবে।
৫। সার্টিফিকেট থাকলেও আমার সৌন্দর্য/বিত্ত নেই, তাই বিয়ে হবে না।
৬। না ম্যাম, আমি না হয় বিয়ে বসবোই কিন্তু এমন কোন উচ্চ শিক্ষিত কি আছেন যিনি আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবেন? আমি জানি হবেন না। সো ফার পাইনি।
৭। নেশার মধ্যে বিড়িটা টানি লোনলিনেস থেকে, ওটাও ছেড়ে দেওয়া যাবে, কেনো না আমার দ্বারা অন্যের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ক্ষতি হোক, এমন কাজ আমি পারত পক্ষে করি না।
৮। মিথ্যা কথা পারত পক্ষে বলিনা।
এতসব অযোগ্যতা থাকলে কোন উচ্চশিক্ষিত মেয়েকি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হবে কিংবা রাজি হওয়া উচিৎ বলেন?
গত রাতে ইচ্ছে হচ্ছিলো সার্টিফিকেটটা ছিড়ে ফেলে সৈদি আরব যাওয়ার। পয়লা বয়সে সৈদিয়ারব গেলে এতদিনে অনেক টাকা কড়ির মালিক হতাম নিশ্চিত।
লেখক আপনার জন্য উল্টা পৃষ্ঠা দেখাবেন হয়তো। একজন "উচ্চশিক্ষিত মেয়ে" হিসেবে আপনার পয়েন্টগুলোর উত্তর দেই?
১. কোন উচ্চশিক্ষিত মেয়ে ২০/২৫ বছরের ছেলে বিয়ে করতে চাচ্ছে, যেখানে আন্ডারগ্র্যাড করতেই ২৫বছর লেগে যায় ? মেয়েদের জন্য এই সময়টা কম লাগে বলে তো জানিনা। আর কোন বাঙ্গালী মেয়ে নিজের চেয়ে কম বয়সের ছেলে বিয়ে করতে চায় বলে শুনিনি।
২. পড়াশুনাকালীন কেউ বিত্তবান হতে পারেনা এটা কোন উচ্চশিক্ষিত মেয়ে বুঝেনা কিভাবে সেটাই বুঝলাম না।
৩. অনেক মেয়ে আছে যাদের কাছে 'ছেলে বিদেশে থাকে' এটাই সবচেয়ে বড় যোগ্যতা। আর যারা দেশে থাকতে চায় তাদের নিয়ে টানাটানি কেন? বিদেশে যেতে চায় এমন কেউ খুঁজে বের করুন না।
৪. মেয়েকে সোনাদানাহাতিঘোড়া দিতে হবে- এটা একটা জঘন্য কালচার। এটা মানলাম অনেক "উচ্চশিক্ষিত মেয়ে"ও সোনার জন্য কাতর থাকে। আবার অনেকে থাকেও না।
৫. ছেলেদের জন্য সৌন্দর্য কবে মাপকাঠি হয়ে গেলো জানলামই না !
৬. এই পয়েন্টটা পরীক্ষার প্রশ্ন কমন না পড়লে মনের মাধুরি মিশিয়ে লেখা উত্তরের মত, একই কথার পুনরাবৃত্তি।
৭. শুধু বিড়ি টানা কারো অযোগ্যতা হতে পারে বলেও শুনিনি। তবে বিড়ি টানলে লোনলিনেস যায় এটা আবার কেমন কথা? লোনলিনেস বাড়ার কথা, চোখের সামনে একটা জিনিস শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখে
৮. মিথ্যা বলা "মানুষ" পছন্দ করতেও কাউকে দেখিনি।
উচ্চশিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করতে হলে সার্টিফিকেট ছিড়ে ফেললে তো হবেনা, সুন্দর করে যত্ন করে রাখেন।
@কালো কাক,
১। আপনি আমার কথাটা বুঝেন নাই। আমি আমার অযোগ্যতার কথা বলেছি। আমি আমার নিজের বুড়িয়ে যাবার কথা বলেছি। আমি ছেলেদের উচ্চশিক্ষার সাথে বয়সের সম্পর্কের কথা বলেছি। উচ্চশিক্ষিত ছেলেও চাইবেন, আবার বয়সও থাকতে হবে তিরিশের মধ্যে তাহলে ক্যামনে হবে? বাংলাদেশে মাস্টার্স করতে করতেই হোয়ে যায় প্রায় তিরিশ। এর পরে যদি কেউ বাইরে আসে পিএইডি করতে তবে তার বয়স তিরিশের মধ্যে থাকবে কিভাবে?
নিজের চেয়ে কম বয়সের ছেলেকে বিয়ে করতে চাওয়ার কথা বলিনি। যে মেয়ের বয়স ২৭, সে চায় ২৮-৩০ এর মধ্যে। তার থেকে একটু বড়।
২. পড়াশুনাকালীন কেউ বিত্তবান হতে পারেনা এটা কোন উচ্চশিক্ষিত মেয়ে বুঝেনা কিভাবে সেটাই বুঝলাম না।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি। আমাদের মনে রাখতে হবে, বড় স্কুলে পড়লেই মানুষ বড় হয় না। যত উচ্চশিক্ষিতাই হোন, আলটিমেটলি আমি দেখেছি বিয়ে করতে চাওয়ার সময় বিত্তটাই দেখেন ম্যাডামেরা। নীতিবাক্য সব ব্লগে, ফেসবুকে, বাস্তবে ঠনঠন।
৩. অনেক মেয়ে আছে যাদের কাছে 'ছেলে বিদেশে থাকে' এটাই সবচেয়ে বড় যোগ্যতা। আর যারা দেশে থাকতে চায় তাদের নিয়ে টানাটানি কেন? বিদেশে যেতে চায় এমন কেউ খুঁজে বের করুন না।
জ্বি, এতদিন আমিও জানতাম ছেলে বিদেশে থাকে এইটা অনেক বড় যোগ্যতা, এখন্ দেখছি এসব মিছা কথা। নাহ, যে বিদেশে যেতে যায়না তাকে নিয়ে টানাটানি করছিনা। ছেলে উচ্চশিক্ষিত দেখে এগিয়ে পরে পিছিয়ে যাচ্ছেন। তখন বুঝলাম, বিদেশে থাকাটা এখন অযোগ্যতার পর্যায়ে পড়ে।
৪ নাম্নার এর সাথে এগ্রি করলাম। অনেকেও সোনা দানার প্রতি কাঙাল থাকে না, তেমন কাউকে খুজছি।
৫। আপনে জানেন না? হায় হায়? হতাশ হইলাম। ছেলে শাহরুক্ষান হৈতে হইবে এমন আবদার কুনু শিক্ষিত মেয়ের কাছ থেকে শুনেন্নাই? আমি নিজে এই ঘটনার শিকার। মেয়ে সিএসই থেকে অনার্স মাস্টার্স করা।
৬ নাম্বারটা বুঝি নাই কি বলেছেন।
৭। না না, আমি যাস্ট উল্লেখ করলাম যে আমার বদভ্যাসের মধ্যে এটাই আছে। আর কী করি কী করি (ভাবতে ভাবতে) একটা বিড়ি টানি ! এইটাই হচ্ছে লোনলিনেস কাটানোর জন্য বিড়ি টানার তরিকা।
৮। মিথ্যাবাদি কি বলে যে সে মিথ্যা বলছে? মিথ্যাবাদিরা নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু লোকায়, আর সেইটাতে পা দেয় মেয়ে রা। সেই দিক থেকে আমি পিছিয়ে আছি না? আমি তো বলতে পারি, আমি বিদেশে অনেক বড় জব করি, নিজের গাড়ি বাড়ি সব আছে। মেয়ের ভাই-ভুই সবাইরে বিদেশে নিয়ে আসবো ইত্যাদি। দেশেও অনেক কিছুর বর্ণনা দেওয়া যায় মিথ্যা বলে। এই যোগ্যতা আমার নাই বলে নিজেকে অন্যের কাছে একেবারেই সাদামাটা লাগে।
আমার ব্লগিং এর অভিজ্ঞতা মোটামুটি চার বছরের বেশি। ফেসবুকেও আছি সেই শুরু থেকেই। মানুষ এর নীতিবাক্য বলা দেখলে হাসি পায়। এখন আর তর্ক করতে ইচ্ছে করে না। হাফায়া গেছি।
মেয়ের মা হিসাবে আমার প্রথম চাওয়া একটি ভাল ছেলে যে আমার মেয়েকে ভাল বাসবে। সম্মান করবে। শিক্ষিত মেয়ের জন্য তো শিক্ষিত ছেলে আশা করে বাবা মা।নিজে পছন্দ করার সুযোগ বিদেশে অনেক কম (বাঙালি ছেলে)।তাই বাবা মা যোগাযোগ করিয়ে দেয়। কখনো হয় ,কখন হয় না।ফলে অনেকে বিদেশি ছেলে পছন্দ করলে বাবা মা আর না করে না।
আপনি যদি আমেরিকা থাকেন ,আর এদেশে বড় হওয়া মেয়ের সাথে পরিচিত হতে আপত্তি না থাকে ইমেইল দিন চেষ্টা করব। নিজের জন্যে ধুমপান ছেড়ে দি্ন ক্লিন ফুসফুস আর উদার মন সবায় চায়।
সার্টিফিকেট ছিড়ে ফেলে সৌদি যাওয়ার চিন্তা বাদ দেন।আপনার সব প্রশ্নের জবাব কালো কাক দিয়ে দিয়েছেন।তবু বলি
১,উচ্চশিক্ষিত ছেলেকে বিয়ে করতে গেলে তার বয়স কতো হবে তা একটা উচ্চশিক্ষিত মেয়ে খুব ভালো ভাবেই জানে।
২,সৌন্দর্য বরাবরই মেয়েদের যোগ্যতার মাপকাঠি বিশেষ করে বিয়ের বাজারে।
৩,বিদেশে সেটেলড পাত্রের অনেক ডিমান্ড ।তবে যারা দেশে থাকতে চায় তাদের কথাটা ভিন্ন।
৪,আর বিড়ি টানাটা অপরাধের মধ্যে পড়ে না যদি না আরও কিছু সেবন করেন লোনলিনেস কাটানোর জন্য।
৫,এমন কাউকে খুঁজে বের করেন আপনার যা আছে তা নিয়ে সে সন্তষ্ট থাকবে এবং যাওক সোনা-দানা-হাতি-ঘোড়া যাকে দিতে হবে না।
পরিশেষে আপনার জন্য আমরা না হয় পাখি ভাই ই হয়ে গেলাম ।তবুও মেজাজ খিঁচড়ানো বন্ধ করে নিজের কষ্টার্জিত সার্টিফিকেটগুলো যত্ন করে রাখুন।
আমি এখনও কোনো উচ্চশিক্ষিত মেয়ে দেখিনি যে স্বর্ণের জন্য কাতর না । কিজানি ? আমার অভিজ্ঞতা অনেক কম বলতে হবে।
বিড়ি খেলে লোনলিনেস কাটে কিভাবে এটা যারা বিড়ি খায়না তাদেরকে বোঝানো সম্ভব নয়।
সার্টিফিকেট ছিড়ে ফেলে সৌদি যাওয়ার চিন্তা বাদ দেন।আপনার সব প্রশ্নের জবাব কালো কাক দিয়ে দিয়েছেন।তবু বলি
১,উচ্চশিক্ষিত ছেলেকে বিয়ে করতে গেলে তার বয়স কতো হবে তা একটা উচ্চশিক্ষিত মেয়ে খুব ভালো ভাবেই জানে।
২,সৌন্দর্য বরাবরই মেয়েদের যোগ্যতার মাপকাঠি বিশেষ করে বিয়ের বাজারে।
৩,বিদেশে সেটেলড পাত্রের অনেক ডিমান্ড ।তবে যারা দেশে থাকতে চায় তাদের কথাটা ভিন্ন।
৪,আর বিড়ি টানাটা অপরাধের মধ্যে পড়ে না যদি না আরও কিছু সেবন করেন লোনলিনেস কাটানোর জন্য।
৫,এমন কাউকে খুঁজে বের করেন আপনার যা আছে তা নিয়ে সে সন্তষ্ট থাকবে এবং যাওক সোনা-দানা-হাতি-ঘোড়া যাকে দিতে হবে না।
পরিশেষে আপনার জন্য আমরা না হয় পাখি ভাই ই হয়ে গেলাম ।তবুও মেজাজ খিঁচড়ানো বন্ধ করে নিজের কষ্টার্জিত সার্টিফিকেটগুলো যত্ন করে রাখুন।
ওনেক মেয়ে এখন বিদেশে পড়ছে এবং ঠিক আপনার মতোই পাত্র খুজছে। পেয়ে যাবেন, ধইর্য্য ধরুন।
সহমত
আমি একজন মেয়ে, আমার বিয়ে হয়েছে ১ যুগ আগে। আমি জানি একটা মেয়ের পরিবার থেকে যডি বিয়ে ঠিক করা হ্য, তবে তাকে কত কঠিন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, আমি নিজে তার ভীষন ভুক্তভোগী।
তারপরও বলছি, আমার ১২ বছর জীবনে দেখা অভিজ্ঞতা হল, বিয়ের বাজারে ভালো ছেলেরাও কিন্তু অনেক পিছিয়ে থাকে। সেখানে চেহারা বয়স, টাকা-পয়সা অনেক কিছুই এসে যায়। বেশীর ভাগ ঘটনাগুলো শহরকেন্দ্রিক। এ কথা সবার মনে রাখা উচিত, যে সব বাবা-মা মেয়েকে উচ্চশিক্ষিত করান। তারা সমাজের এগিয়ে থাকা মানুষদের একজন। তারা যখন মেয়েকে অন্যের হাতে তুলে দিতে যান, তখন তারা বয়স, চেহারা, ছেলের অর্থনৈতিক অবস্থা সবই বিবেচনায় রাখে।
আমার চেনা একজন জুনিয়র ছেলে ব্লগার আছেন, যিনি আমার অনেক জুনিয়র। মেধাবী, বুয়েট থেকে পাশ করা। এখন বড় চাকরী করে। যতদিন তাকে চিনি, খুব স্বচ্ছ মনের ছেলে। কিন্তু শুধু তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য তার বিয়ে হচ্ছে না। মেয়েরা ছেলেকে দেখার পর পিছিয়ে যাচ্ছে।
বেশীর ভাগ মেয়ের ক্ষেত্রে এসব হচ্ছে বলেই যে ছেলেদের ক্ষেত্রে মেয়েদের এমন প্রতিশোধ নেওয়া উচিত, সেটা ঠিক নয়। এ সমস্যা মোকাবেলায় পরিবার, পরিবারের ছেলে-মেয়ে উভয়কেই উদার মানসিকতা নি্যে এগিয়ে আসতে হবে।
বিয়েতে যৌতুকের সাথে মেয়েদের গয়নার পার্থক্যটা ঠিক কোন জায়গায়? যৌতুক একটা অতি আত্মসম্মানহানিকর ব্যাপার। কিন্তু মেয়েদের গয়না সম্পর্কে ছেলেমেয়ে উভয় পক্ষের কনসেনসাস বেশ ইতিবাচক। কেন?
আপনার লেখায় বর্ণিতা মেয়েটি ট্র্যাডিশনের ছদ্মবেশে যৌতুকের যে প্রবল প্রতিবাদ করেছেন, সেটি প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করে, ক্যারিয়ারে স্থির হয়ে কেন তিনি বিয়েতে গয়না নেয়ার ট্র্যাডিশনটির প্রতিবাদ করলেন না, সেটা একটু বুঝতে চাই। মেয়েদের আত্মসম্মান জ্ঞান এখানেও সক্রিয় দেখতে পারলে খুব ভালো লাগতো।
বিয়েতে লাখ টাকার দেনমোহর আর কাঁড়ি কাঁড়ি সোনার গয়না দেয়ার যে ট্রাডিশন, দুটোই ফালতু।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
গয়না দিয়ে জবরজং সাজানোর ট্র্যাডিশনটাও বন্ধ হওয়া উচিত।
গয়না যে শুধু ছেলেপক্ষ থেকেই দেয়া হয় তা না। এই নিয়েও দুইপক্ষের প্রতিযোগীতা চলে। ছেলেপক্ষ কয় সেট/ভরি দিলো, মেয়ের বাবা কয় ভরি দিলো এই নিয়ে ! ছেলের মা'কে বলতে শুনেছি "তোমার বাবা গয়না দিলে সেগুলো তো তোমারই থাকতো, আমি কি ঐ গয়না পড়ে বসে থাকতাম?"
এই জিনিস নিয়ে অনেক কুরুচিকর কচলাকচলিই চলে। কিন্তু আমি যেটা বুঝতে চাইছি, সেটা হচ্ছে, এই লেখায় উঠে আসা যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদিনী একটি শিক্ষিতা ও স্বনির্ভর মেয়ে কেন গয়না নেয়ার ব্যাপারটার কোনো প্রতিবাদ করছেন না? এইখানে স্ববিরোধিতা ছাড়া আর কিছু দেখতে পাচ্ছি না। জিনিসটা নিয়ে ছেলের বাপমা মেয়ের বাপমা কী বলছে, সেটা গৌণ। "বাপমা বলে দেখে আমি গয়না নেই" কথাটা "বাপমা বলে দেখে আমি যৌতুক চাই" থেকে ভিন্ন কোন মানদণ্ডে?
ভিন্ন না তো ! একটা ছেলের যৌতুক চাওয়া আর একটা মেয়ের গয়না দাবী করা দুইটাই একইমাত্রার খারাপ।
তাহলে লেখিকার প্রতিবেশিনী বিনা প্রতিবাদে তাঁর ননদদের সাথে গয়নার অর্ডার দিতে গিয়ে শুধু এটাই প্রমাণ করেছেন, নেয়ার বেলায় তাঁর আত্মসম্মানবোধের সুইচটা অফ করা থাকে।
নেয়ার বেলায় তার আত্মসম্মানবোধের সুইচটা অফ করা আপাতদৃষ্টিতে তা আপনার মনে হতে পারে।কিন্তু মেয়ের বাবাও মেয়েকে গয়না দিচ্ছে।তার মানে কি দাঁড়ালো হিমু ভাই ?
"মেয়ের বাপ মেয়েকে দিচ্ছে, অতএব ছেলের বাপের কাছ থেকে মেয়ে গয়না নিতে পারে" এইটা আপনার যুক্তি? তাহলে তো ছেলের বাপ ছেলেকে একটা মোটর সাইকেল কিনে দিলে, ছেলে মেয়ের বাপের কাছ থেকে গাড়ি নিতে পারে।
দিন শেষে দুইজনেই যৌতুকবাজ। আপনি একজনকে ভিক্টিম দেখানোর চেষ্টা করছেন। কেন?
না ,এটা আমার যুক্তি না।আমি বলতে চাই আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থাটা এতো খারাপ কেন?
কথা ঘোরাচ্ছেন কেন? সৎসাহস থাকলে প্রশ্নের উত্তর দিন।
আপনার প্রতিবেশিনীও যৌতুকবাজ, তার সম্ভাব্য ননদদের চেয়ে কোনো অংশে মহত্তর নয়। আপনি তার গয়নালোভী চেহারাটা আড়াল করে তাকে ভিক্টিম হিসেবে দেখাচ্ছেন। এর কারণ জানতে চাইলে একবার বলছেন গয়নার প্রতি মেয়েদের "বিশেষ দুর্বলতা" আছে, আরেকবার বলছেন আরে মেয়ের বাপও তো গয়না দেয়। ঝোপেঝাড়ে না পিটিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিন। আপনি কত বড় যৌতুকবিরোধী লেখিকা সেটার একটা মাপ পাঠক হিসেবে আমরা চাইতেই পারি।
হ্যাটস অফ!!
আর দেনমোহর? দেনমোহর, গহনা- এইসবে কি একজন মেয়েকে কেবল একজন মেয়ে হিসেবেই দেখা হচ্ছে না? মানুষ হিসেবে কই দেখা হচ্ছে? যৌতুকের পাশাপাশি এইসব ফাউল প্রথা বাতিলের জন্য কাউকে উচ্চকণ্ঠ হতে দেখি না কেনো?
ছেলেরা যতোটা সোচ্চার যৌতুকের বিরুদ্ধে, মেয়েরা কি ততোটাই সোচ্চার দেনমোহর আর গহনা কালচারের বিরুদ্ধে?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দেনমোহর যেহেতু মেয়ে পায় তাই ছেলের জন্যে সমমূল্যের দানমোহরের ব্যবস্থা রাখা উচিত। আর যে টাকার গয়না মেয়ে পাবে সেই পরিমাণ টাকা ছেলেকে দিয়ে দিতে হবে সে ইচ্ছা মত খরচ করবে। নাইলে কাউরে কিছু দেয়া যাবে না।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
সমস্যাটা এতো সরল না হিমু ভাই। পুরা সিস্টেমে প্যাঁচ আছে। আশেপাশের মানুষকে দেখানোর প্রবণতাও এখানে অনেক বেশি করে কাজ করে বলে আমার সবসময় মনে হয়েছে। আর সিনিয়র মহিলারা এক্ষেত্রে নাম ভূমিকায় আছেন। ছুটিতে দেশে গেলে আমার বউ কারো বাসায় বেড়াতে যায় না, কারণ সব মহিলাদের ২য় বা ৩য় কথাটা থাকে স্বশুর বাড়ি থেকে সোনা কি পেয়েছো দেখি? আজব ঘটনা!!!! খালি তাই না, আশেপাশের লুকজন বাসায় এসে এবং চামে চিকনে শুনায় দেয় নতুন গয়না কি নিলা? কিছু না? তুমি না স্বামীর সাথে দেশের বাইরে থাক? তোমার স্বামী কি আসলেই ইঞ্জিনিয়ার? বিদেশে কে যে কি করে তা কে আর দেখতে যাচ্ছে...বাড়ি করছ না কেন...ইত্যাদি ইত্যাদি। বড়ই বিচিত্র এই দেশ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনি কি বলতে চাইছেন, পাড়ার লোকের মুখ বন্ধ করার জন্য মেয়েরা গয়না নিয়ে থাকে?
পাড়ার লোকের মুখ বন্ধ করা একটা কারণ। প্রতিযোগিতা, দেখাদেখি সখ, সম্পদ বিবেচনা এগুলোও গয়না নেয়ার কারণ হতে পারে।
তাহলে যে ছেলে যৌতুক চায়, সে কনডমটাও শ্বশুরবাড়ি থেকে চাইতে পারে। অজুহাত হিসেবে সে বলতে পারে, তার কলিগরা তাকে অফিসে গেলেই অস্থির করে তোলে শ্বশুরবাড়ি থেকে কী যৌতুক নিয়েছে দেখানোর জন্য। কিছু নেয়নি, এ কথা জানাজানি হলে সে মুখ দেখাতে পারবে না। যৌতুকবাজেরও তো পাড়া আছে, সে পাড়ায় লোক আছে, সেই লোকদের মুখ আছে, তাই না?
পাড়ার লোক, প্রতিযোগিতা, এইসবের বিরোধিতা করার সাহসটা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে লেখাপড়া করে, নিজে চাকরিবাকরি করে কোনো মেয়ে দেখাতে পারে না কেন? খালি যৌতুকের বিরোধিতা করলেই হবে?
হিমু ভাই,গয়না শুধু ছেলেপক্ষই দেয় না মেয়ে পক্ষও দেয়।আর সেই গয়না নিয়েও আবার নানান বাহানা।এই পক্ষের চেয়ে ঐ পক্ষের গয়নার ওজন বেশি,ডিজাইন ভালো,এবং কোনটা কত ক্যারেটের তা বলাও বাকি থাকে না।
আর একটা কথা একা একজন কখনো প্রতিবাদ করে টিকে থাকতে পারে না যদি তার পাশে অনেকে না থাকে।
একটা মেয়ে উচ্চশিক্ষিত হলেও তাকে সামাজিকতার ধার ধারতে হয় ।
আমরা প্রতিবাদ করব যৌতুকের বিরুদ্ধে,দেহমোহরের বিরুদ্ধে আর আপাদমস্তক গয়নায় মোড়ে জবরজং হবার বিরুদ্ধে ।তখন আপনারা পাশে থাকবেন তো?
আরে ভাই, এই একই প্যাচাল কেন বারবার পাড়ছেন? মেয়েপক্ষ গয়না দিলে যদি ছেলেপক্ষর কাছ থেকে গয়না নেয়া সিদ্ধ হয়, তাহলে ছেলের বাপ ছেলেকে একটা মোটর সাইকেল দিয়ে যৌতুক হিসেবে গাড়ি চাইলে সেইটা অসিদ্ধ হয় কোন রীতিতে?
একা প্রতিবাদ করে টিকে থাকতে না পারলে, খালি যৌতুকের বেলায় প্রতিবাদ করে ক্যান? গয়না নেয়ার বেলায় সামাজিকতার ধারে ধারালো হয়ে উঠবেন, আর যৌতুক দেয়ার বেলায় হাউমাউ করবেন, এইটা কোন কিসিমের যুক্তি?
ফ্র্যাঙ্কলি স্পিকিং, আপনি দেনমোহর আর আপাদমস্তক গয়নার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারবেন, এই ভরসা আমি আপনার লেখা পড়ে পাচ্ছি না। আপনি একবারও বলছেন না মেয়ের গয়না নেয়াটাও সমান অন্যায়। আপনি মেয়ের বাপ গয়না দিচ্ছে এই যুক্তি দেখিয়ে পার পেয়ে যেতে চাইছেন। আপনি এই গয়না নেয়ার একজন ছদ্মসমর্থক মাত্র। যতক্ষণ ঐ উপলব্ধিতে আসতে না পারছেন যে গয়না নেয়া যৌতুক নেয়ার সমতুল্য, ততদিন এইসব প্রতিবাদের মুলা ঝুলায়েন না।
দুঃখিত হিমু ভাই,এক প্যাঁচাল বার বার পারছি বলে।মেয়ের বাপ গয়না দিচ্ছে এই যুক্তি দিয়ে পার পেতে চাচ্ছি না।মেয়ে পক্ষ ছেলে পক্ষ সবাই গয়না দিবে মেয়েকে।কোনো পক্ষেরই দেয়ার দরকার নেই,ব্যাস।স্বীকার করছি দুটোই অন্যায় ।কিন্তু ছেলের বোনজামাইদের জন্যও গয়না লাগবে,এটা কেমন কথা ?তাহলে তো ছেলেদের উচিত শ্যালকের সংখ্যা বেশি দেখে বিয়ে করা।
আমি জানি আপনার যুক্তি দেখানো ক্ষমতা বাড়াবাড়ি রকমের বেশি এবং বুঝার ক্ষমতাও।তবে আমি গয়না নেয়ার সমর্থক কি-না সেটা আপনাকে আমার বিয়েতে নিমণ্ত্রণ জানিয়ে দেখাবো ।আসবেন তো ?
আপনি গয়না নেয়ার সমর্থক কি না, সেইটা আপনার বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে দেখে আসতে হবে? আপনার লেখা পড়ে বোঝা যাবে না? মেয়েদের গয়না নেয়ার এই নোংরা চর্চার প্রতিবাদে কড়া একখান পোস্ট দেন দেখি সচলে।
পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আছে।
যৌতুকও তো দেখানোর জন্যই নেয় মনে হয়। নইলে ফ্রিজটিভিসোফাআলমারী নাই এমন পরিবার কি আছে?
দুইটাই খারাপ। একটা সচেতন ছেলে যেমন যৌতুকের বিরোধিতা করে তেমনি একটা সচেতন মেয়েও এইসব গয়নাগাটিদেনমোহরের বিরোধিতা করে (আমি করি) / করা উচিত।
আর এই লেখার স্নাতকোত্তর পর্যায়ের মেয়ে কেন বিরোধিতা করেনি (করা উচিত ছিলো অবশ্যই) সেটা লেখক বলতে পারবে, আমি তো নিজের মত বললাম।
ভালো বলেছেন। এতক্ষন ধরে সবার মন্তব্য পড়ে যাচ্ছিলাম তবে বার বার মনে হচ্ছিল কোথাও কিছু বাদ থেকে যাচ্ছে। সৎ বক্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
শিক্ষিত স্বাবলম্বী মেয়ের দেন মোহরনা আর গয়না নেয়া ছেলেদের যৌতুক নেয়ার সমতুল্য অপরাধ ।
আমার তো তাই মনে হয় (মাথা চুল্কানি ইমো)। যারেই জিজ্ঞেস করি খালি পাশের বাড়ির উদাহরণ টানে কার কি আছে। কেউ কয় না তার নিজের দরকার। দরকারটা কিসের তাও খুলে বলে না
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
তাহলে শিক্ষাদীক্ষা স্বনির্ভরতা ইত্যাদির ফুটাঙ্গি না মারাই ভালো।
আমাদের দেশে সত্যিকারের শিক্ষিত হওয়ার জন্য কতজন পড়াশোনা করে? ফুটানি মারা বা পয়সা কামানোই যে দেশে বিদ্যার্জনের মূল উদ্দেশ্য সেই দেশে সমাজ সংস্কার এর দোহাই দিয়ে যৌতুক আর দেন্মোহর নেবেই।
উচ্চ পদস্থ মহিলা কর্মকর্তা যারা অনেক ক্ষেত্রেই নীতিনির্ধারকও বটে এই ফুটানি মারতে ছাড়েননা যে কার স্বামী কত বড় আমলা ইত্যাদি।
আমরা উচ্চশিক্ষিত পাত্র/পাত্রী ধরার জন্য শিক্ষিত হই। টাকা কামানোর জন্য, বাপ মায়ের ঋণ শোধ করতে শিক্ষিত হই।
আসলে জাতিগত ভাবেই আমরা ভণ্ড।
আসেন আমরা যৌতুক দেই আর দেন্মোহর নেই।
মানুষ আমরা হতে চাইনা।
তোমার এই অবস্থান আশা করিনি হিমু। মেয়েদের দেনমোহর আর গহনা গাটির ব্যাপারটায় খানিকটা যৌতুক গন্ধ আছে এটা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু ছেলে যদি গহনা দিতে না পারে তাহলে তার অন্যত্র বিয়ে করবার স্বাধীনতা যেমন আছে তেমনি বিয়ের পর তাকে খোঁটা শুনতে হয় না। মেয়েদের এই স্বাধীনতাটা নেই। যেখান মেয়েদের বিয়ে হচ্ছে যৌতুকের 'বিনিময়ে' সেখানে মেয়েদের 'অপশনাল' গহনার আবদারের তুলনাটা অপ্রাসঙ্গিক।
মুর্শেদ, তুমি তোমার যুক্তিটা আবার পড়ে দেখো।
ছেলে যদি গহনা দিতে না পারে তাহলে তার অন্যত্র বিয়ে করবার স্বাধীনতা থাকলে, মেয়ে যদি যৌতুক দিতে না পারে তাহলে তারও অন্যত্র বিয়ে করার স্বাধীনতা আছে। তুমি বলছো নাই। কেন? কোনো শালা চুদির ভাই যৌতুক চাইলে মেয়ে তারে মুখের উপর না বলতে পারে না? আমি গ্রামের গরিব পরিবারের কথা বলছি না, বলছি সেইসব মেয়েদের কথা যারা শিক্ষিত এবং কিছুটা/সর্বাংশে স্বনির্ভর। দেনমোহর/গহনার কথা উঠলেই সবাই এক টানে গরিবদরদী হয়ে যায়, গ্রামের মেয়েদের চিন্তায় ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
বিয়ের পর গহনা নিয়ে ছেলেদের খোঁটা শুনতে হয় না, এইটা তুমি কি বললা?? ওয়েইক আপ ম্যান, স্মেল দ্য রটেন ওয়র্ল্ড অ্যারাউণ্ড আজ!
ওয়েইক আপ মনে হয় তোমাকে করতে হবে।
যৌতুক হলো যেটা বিয়ের প্রাথমিক শর্ত, অদল বদলের একক।
অপরপক্ষে মেয়েদের দাবীটা অপশনাল।
মানছি, যৌতুককে প্রকারান্তরে এভাবেও চাওয়া যেতে পারে।
এবং এই সবগুলো ফর্মই পরিত্যাজ্য। কিন্তু যৌতুক আর অপশনাল দাবীগুলোর কম্প্যারিজন যৌক্তিক নয়। আর ছেলেদের খোঁটার কথা যতই বল সেটা মেয়েদের দূর্ভাগ্যের তুলনায় নস্যি।
যদি সবগুলো ফর্মই পরিত্যাজ্য হয়, তাহলে তুলনায় নস্যি বলে একটাকে ছাড় দেয়ার কোনো অর্থ নাই। নস্যিই যদি হবে তো পরিত্যাজ্য বলছো কেন?
যৌতুকের অনুমিতি হচ্ছে, মেয়ে < ছেলে, অতএব মেয়ে + যৌতুক = ছেলে,
আর গয়নার অনুমিতি হচ্ছে, ছেলে < মেয়ে, অতএব ছেলে + গয়না = মেয়ে।
যৌতুকের জন্য কিছু হারামজাদা ফিজিক্যাল ভায়োলেন্সে যায়, সেগুলি পত্রিকায় আসে দেখে আমরা জানতে পাই। আর গয়না নিয়ে যে নোংরামি হয়, সেইটা পত্রিকায় কাভারেজ পায় না, আমরা ঐটারে নস্যি বানায় দেই। দুইটা আদতে একই। যৌতুকের জন্য যদি ভায়োলেন্স না হতো, তাহলে কি যৌতুক নিন্দনীয় হতো না?
হিমু ভাই aggresive হলেও কথাগুলো সত্য । যৌতুকের ভায়োলেন্সের কথা বাহিরে আসে, আর গয়নার ভায়োলেন্সের কথা বাহিরে আসেনা।
ব্যাপারটা তো স্রেফ ছেলেটার কথা শোনার মধ্যেই থাকে না। হ্যাঁ, হয়তো এটা সত্যি যে ছেলেদের এসব কম শুনতে হয়, বা ছেলেটা কেবল বউয়ের কাছেই খোঁটা খায়, যেখানে মেয়েটা শ্বশুরবাড়িতে সবার কাছে মার খায়, কিন্তু তাই বলে একটা আরেকটার চেয়ে কম খারাপ হয়ে যায়না। আর শ্বশুরবাড়ি থেকে কম গয়না/দেনমোহর নিলে তো খালি ছেলের না, মেয়েরও কথা শুনতে হয়, তাও নিজের বাড়ি থেকেই, নিজের বোন, কাজিন বাদ যাবে কেন?
বিয়েটা হওয়া উচিত ছেলেটা আর মেয়েটার মধ্যে। বাংলাদেশে, "দৃঢ় পারিবারিক বন্ধন"এর উসিলাতেই নাকি জানি না, বিয়েটা হয় ছেলে আর মেয়ের পরিবারের মধ্যে, যেখানে নতুন জীবন, হোপফুলি আনন্দময় জীবন শুরু হওয়ার আগেই দুইজনের ঘাড়েই দুই পরিবারের সবার মন জোগানোর ভার চাপায়ে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠিত মেয়ের নতুন সংসার শুরুর জন্য মেয়ের বাবামাকে ফার্নিচার দিতে হবে, ছেলের চাকরি না থাকলে সেটায় সাহায্য লাগবে, এগুলা অনেক হাইলাইট হওয়া জিনিস, ওভাররেটেড বলব না যদিও। পাশাপাশি, সদ্য চাকরি পাওয়া ছেলের দেওয়া লাগবে লাখলাখটাকার দেনমোহর, "আরে, সত্যিই কি দেওয়া লাগবে নাকি, ওমুকের মেয়ের ছিল এত লাখ টাকা, আমাদের মেয়ের দাম কম কিসে?! এইটুক দিলে লোকে কি বলবে?!", গয়নার কোয়ালিটি, আত্মীয়-স্বজনের জন্য ব্র্যান্ডের জিনিসপত্র, বর কনে নিজের বিয়ের দিনে কি পড়বে সেটায় তাদের মতের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় বরের খালা মেয়েকে কি দিতে চায় সেটা। বছরের পর বছর প্রেম, বোঝাপড়া কোন ব্যাপারই না, বিয়ের আগেই তিক্ত হয়ে যায় সম্পর্ক।
ছেলে বা মেয়ে পরিবারসুদ্ধ "উচ্চশিক্ষিত" হলেই কি আর না হলেই কি, এগুলার পার্থক্য খুব বেশি হতে দেখিনা। আর এইগুলা দরকষাকষির চিপায় পড়ে বরকনে নিজেই, তাদের দিয়েই এইসব ডিমান্ডের মেসেজ কনভে হয়। তাদের যদি দুইজনেরই এ ব্যাপারে সচেতনতা থাকে, তাহলে পরিবারের থেকে শুরু হয় ইমোশনালসহ নানানরকম ব্ল্যাকমেইলিং, যেটা সহ্য করার মানসিক শক্তি হয়ত অনেকেরই থাকেনা। আর যদি দুজনের একজনের এইসব সেন্স না থাকে, বিশাল কুরুক্ষেত্রে অন্যজনকে হতে হয় একা।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
মন্তব্যের এই অংশে পাঁচতারা।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
এই কথাটা মানতে পারলাম না। সবার কাছে মার খাওয়া, সেটা যদি একজনের কাছেও হয়, খোটা শোনার থেকে অনেক বেশি খারাপ। অতুলনীয় রকমের খারাপ।
আমি অ্যাকচুয়ালি "কথা শোনা" বলতে গেসিলাম। মার খাওয়া অবশ্যই খারাপ। তবে বটমলাইন, দুইটাই, এবং "পরিবারের বিয়ে' জাতীয় ট্রেডিশন বেশিরভাগই খারাপ এবং ত্যাজ্য। একটাকে হাইলাইট করে আগে ঐটা বন্ধ করা মোটেও কার্যকর কিছু না, প্রতিবাদ করলে সবকয়টাকেই করা উচিত। একজন প্রতিষ্ঠিত ছেলে বা মেয়ে যদি যৌতুকের প্রতিবাদ করতে পারে, তাহলে তার গয়না/ দেনমোহর এইসবও যে খারাপ সেটা বুঝা উচিত, প্রতিবাদ করা উচিত। পাশ কাটানো, বা আস্তে আস্তে কমবে, বা "গিফট পাইসে" এইসব কাম্য নয়।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আচ্ছা। আসলেই, গয়না/দেনমোহর/গিফট (যৌতুক না কিন্তু) নিয়ে প্রচুর নোংরামি দেখেছি। ভাবছি জেহাদি জোশে সকল অবিবাহিতদের আহবান জানাবো, নতুন বছরে যারা বিয়ে করতে চান এইসকল লেনদেন বিবর্জিত বিয়ে করুন। এবং কেউ কাউকে কথা শুনাচ্ছে দেখলে, আরও বেশি জেহাদী জোশ নিয়ে প্রতিবাদ করুন।
@রু সবচেয়ে কাছের মানুষটির কাছ থেকে খোঁটা খাওয়া টাকে আপনি কম করে দেখবেন না কাইনডলি।
আমাকে প্রতিনিয়ত খোঁটা শুনতে না হলেও অনেক সময় কম গয়না দেয়ার জন্য কথা শুনতে হয়েছে। তাই গয়নার ব্যাপারটা একেবারে অপ্রাসঙ্গিক বলি কী করে...
গয়না কম দেয়া হলো কেন এই কথা বলে আপনাকে শারীরিক নির্যাতন বা ঘর থেকে বের করে দেয়া (অত ভরি গহনা না আনতে পারলে এই বাড়ির দরজা বন্ধ) এসবের শিকার হতে হয়েছে ? @ সাই দ
মারধোর করে নাই...তবে অনেকবার বাসার বাইরে থাকতে হয়েছে...@ কালো কাক
আর হ্যাঁ আমার কাছে মানসিক নির্যাতন ক্ষেত্রবিশেষ শারীরিক নির্যাতন থেকেও বেদনাদায়ক
আমার কাছেও
কিষ্ণিৎ রুড শোনালেও এখানে লেখিকার প্রতিবেশিনীরও সামান্য গলতি আছে বৈকি!
যেমন,
তার মানে কি দাঁড়ায়, বিয়েটা কেবল ঐ বরের পছন্দের ওপরই নির্ভরশীল?
যদি জানি উচিত কথাটা মুখের ওপর বলে আমি আদৌ কোন অন্যায় করিনি, তাহলে অযৌক্তিক ভাবে ক্ষমা চাইবোই কেন?
সংসার শুরু করার আগেই সমঝোতার যাবতীয় দায় নিজের কাঁধে টেনে নিলে তো বদ পুলারা মাথায় চড়ে বসবেই!
বিবাহসভায় শো অফ এবং পরবর্তীতে লোকজনকে দেখানোর জন্য সোনাদানা দেয়া/ নেয়া বন্ধ করা অত্যাবশ্যকীয়।
লকারে পড়ে থাকা এবং নমাসে/ ছমাসে গলায়/ কানে ঝুলিয়ে বিপদজনক প্রদর্শনী ব্যতীত এইসব শেকলবাকলের আর কোন উপযোগিতা দেখি না।
এক ভরি সোনার দাম সম্ভবত এখন পঞ্চাশ হাজার ছুঁইছুঁই! [ক্লিয়ার আইডিয়া নেই ]
এই টাকায় কত্তোগুলো গল্পের বই কেনা যায়.. আহা!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
৫০ হাজার ছুঁই ছুঁই? সে দিন গত হয়েছে বুন্ডি। আর খালি বই কেন? বেশ একখান ঘুরান দেয়া যায়, চাইকি এক্ষান লেন্স বা গিটার কিনে ফেলা যায়।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ঠিক। আমার আত্মীয়স্বজনেরা রাতে মনেহয় ঘুমাতে পারেনা আমার বিয়ের গয়না কেন এখনও বানানো হচ্ছেনা সেই চিন্তায় ! তাদের কথার টোন এমন যে "বাবামা নাহয় গরীব/কিপটা ,গয়না দিতেই পারছেনা কিন্তু তুমি এত ভাল চাকরি কর, সেই টাকায় কেন গয়না বানাচ্ছো না? "
এখানে কিন্তু তারা ছেলেপক্ষ গয়না দিবে এই আশায় বসে নাই। বিয়েতে গয়না থাকতে হবে একগাদা এটা হলো বটম লাইন।
এখন আমি অবশ্যই "আত্মীয়স্বজন বলেছে তাই গয়না নিয়েছি" বলবো না।
আসলে গয়না,যৌতুক,দেনমোহর এসব গুলোই জঘন্য ব্যবস্থা।তবে কেন জানি মেয়েদের গয়নার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা আছে।বিয়েতে গয়না লাগবে না একথা শুনে একজন আমাকে বলেছিল আমি না-কি মেয়ের পর্যায়েই পড়ি না !! এখন কি মেয়ে হবার জন্য নিজের ভিতর গয়না প্রীতি জাগ্রত করতে হবে ?
আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিলেন না তো। আপনার প্রতিবেশিনীকে আপনি আপনার লেখায় একজন ভিকটিম হিসেবে তুলে ধরলেন তার এই "বিশেষ দুর্বলতা"কে হালাল দেখিয়ে, বা ছাড় দিয়ে। এটা করলেন কী যুক্তিতে? যেই হারামজাদা মোটর সাইকেল যৌতুক চায়, সেও আপনার মতো করে বলতে পারে, মোটর সাইকেলের প্রতি ছেলেদের বিশেষ দুর্বলতা আছে। প্রশ্নটা বিশেষ দুর্বলতা থাকা না থাকার না, এই বিশেষ দুর্বলতা হালাল কি না সেটা।
একটা মেয়ের বিয়ে ভেঙে যাওযা আর একটা ছেলের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার মাঝখানে অনেক তফাৎ।মেয়ের গোটা পরিবারকে নাস্তানাবুদ হতে হয় কিন্তু ছেলেটি ঠিকই পার পেয়ে যায় এবং এই মেয়ে পক্ষকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করে ফেলে।কিন্তু মেয়েটির নতুন কোনো জায়গায় বিয়ের কথা হলেই প্রথমে বিয়ে বাঙার প্রসঙ্গটা চলে আসে?তাহলে ভিক্টিম কে? আর এর জন্য দায়ি কে ?
আর বিয়েতে গয়না নেয়া আর যৌতুক নেয়া একই পর্যায়ে পড়ে।আর গয়নার প্রতি বিশেষ দুর্বলতার জন্য আমি তাকে ছাড় দেইনি।এই দুর্বলতাটা না থাকাই যুক্তিযুক্ত ।
আমি তো উল্টো উদাহরণ দিতে পারি। ডিভোর্স করে এক বড় ভাই বহুত ভুগেছে। মেয়ের ফ্যামিলি থেকে একটা প্রশ্নই করা হয়, আগের বৌয়ের সাথে ডিভোর্স হলো কেন? ঐ ভাবী ঠিকই ওদিকে আরেক বিয়ে করে ফেলেছে।
এখন বলেন, ভিক্টিম কে? এর জন্য দায়ী কে?
আপনি এখনও ত্যানা পেঁচিয়ে প্রমাণ করতে চাইছেন, মেয়েদের গয়না নেয়া ঠিকাছে কিন্তু ছেলেদের যৌতুক নেয়া খারাপ। প্রথমে বললেন বিশেষ দুর্বলতা, তারপর বললেন বাপও দেয়, এখন এইটারে বানাচ্ছেন ডিভোর্স ইনস্যুরেন্স। ডিভোর্সের ইনস্যুরেন্স হিসেবে যদি গয়নাই নিতে হবে, তাহলে শিক্ষা এবং শিক্ষার ওপর ভিত্তি করে পাওয়া স্বনির্ভরতা, যেগুলোর জোরে আপনার প্রতিবেশিনী যৌতুককে না বললেন, সেগুলির কী মূল্য?
আপনি ঐ মেয়েকে ছাড় দেন নাই মানে কী? আপনি তো এ প্রসঙ্গে কিছু বলেনই নাই। আমি এই প্রসঙ্গ না তুললে এ নিয়ে কথাই তো উঠতো না। গয়নার ব্যাপারটাকে ইউ টুক ফর গ্র্যান্টেড। এইটা হচ্ছে সেই ট্র্যাডিশন যেটাতে আপনি কোনো দোষ দেখেন না। দোষ দেখেন যৌতুক চাইলে। আপনি হচ্ছেন মহিলা যৌতুকবাজের অ্যাপোলজিস্ট।
বিয়েতে গয়না নেয়া আর যৌতুক নেয়া একই পর্যায়ে পড়ে এবং জঘন্য একটা ব্যাপার ।একথাটা বলার পরও আপনার কেন মনে হচ্ছে গয়না নেয়ার ট্র্যাডিশনটাতে আমি কোনো দোষ দেখি না।আমিই হয়তো আপনাকে ঠিকমতো বুঝাতে পারছি না,এটা আমার ব্যর্থতা।
আর আপনার এক বড় ভাইয়ের কথা বললেন ।তবে সেই সংখ্যাটা মেয়েদের চেয়ে অনেক কম।আশাকরি এটা স্বীকার করবেন।
আপনি নিশ্চয়ই বাংলাদেশে ডিভোর্স নিয়ে পরিচালিত কোনো গবেষণাকর্মের ভিত্তিতেই ডিভোর্সের ফলে ভোগান্তিতে পড়া মেয়েদের সংখ্যা অনুরূপ ছেলেদের চেয়ে বেশি বলে দাবি করছেন। সেটার রেফারেন্স দিন।
আমি বলতে চাইছিলাম ডিভোর্সের পর ভোগান্তির স্বীকার হওয়ার সংখ্যাটা মেয়েদের বেশি।
রেফারেন্স প্লিজ।
আমার মেয়ে যখন ছোট ছিল তখন অনেকে বলত, ভাবি মেয়ের জন্য গয়না কিনে রাখেন। আমি বলতাম আমার মেয়েই আমার গয়না । ছেলের ব্যাপারেও এটা সত্যি।বাবা মাকেই ঠিক করতে হবে সোনা দানা চায় নাকি একটা ভাল ছেলে বা মেয়ে চায়।
চরম চরম চরম অইছে । প্রথমে একটা হাত্তালি
তারপর বলি সেই ইঞ্জিন এর বাচ্চাকে একটা ধোলাই দিলেন না ক্যান ।
ডাকঘর | ছবিঘর
চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি তাপস দা।
ধন্যবাদ।
প্রথমেই বলে রাখছি, আমি ঠিক আপনাদের মতো সুশীল চরিত্রের মানুষ নই। আমি আপনার জায়গায় হলে ওই হবু বর বেটাকে যা শোনাতাম তা ওর ৩ প্রজন্মধরে কেই শোনে নি। খা**র বাচ্চা একটা।
আসলে শুনতে খারাপ লাগলেও বলতে বাধ্য হচ্ছি যে সমস্যাটা মেয়েদেরকেই বেশী পোহাতে হয় তাই এর সমাধান মেয়েদেরকেই করতে হবে। তাতে যে বাধাই আসুক পেরিয়ে যেতে হবে, তখন দেখবেন অনেক মানুষই সাহায্য করছে। মেয়েরাই ভাংচুর করতে চায়না ততোটা (ব্যাতিক্রম আছেই) আমি যে কারনে আমার যতো নারীবাদী ছেলেবন্ধু পেয়েছি তার ভগ্নাংশও নারীবাদী মেয়েবন্ধু পাই নি।
আমার এক বন্ধু ও বড়আপুর কথা বলি উদাহরন হিসেবে, উনি প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন, একটা বাচ্চা ও হয়েছে কিন্তু শেষমেষ সংসার করতে পারলেন না। বাচ্চাটাকে মা'র কাছে রেখে উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন, পরিবারের প্রচুর চাপ থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করেননি আর, প্রচুর সংগ্রাম করেছেন আর এখনো করছেন। ওনাকে আমি কাদতে দেখিনি কোনদিন, ভেঙ্গে পড়তে দেখিনি কখনো আর সত্যি কথা বলতে আমি বা অনেক বন্ধুই ওনাকে অনেক সহযোগীতা করেছেন।
আমি নিজে ছেলে বলে বোধহয় একটু সুবিধাজনক অবস্থায় আছি। তারপরও বিয়ের জন্য চাপ আছে, থোড়াই কেয়ার, বিয়ে আমি করছি না। আমি বিয়ে না করলে দেখা যাক কোন শালা আমাকে জোর করে বিয়ে করায় !!
তো কোনকিছুকে ভয় করে লাভ নেই, এগিয়ে যান সব ঠেলে, দেখবেন অনেক বন্ধু পাবেন আপনি।
আউটসাইডার
আমি নিজে ছেলে বলে বোধহয় একটু সুবিধাজনক অবস্থায় আছি।
জ্বি,ঠিক বলেছেন।কিন্তু আমাদের উপর প্রতিনিয়ত এই চাপটা আসে।মাঝেমাঝে এও শুনতে হয়,এখনতো বিয়ে করছ না তারপর এক সময় চাইলেও করতে পারবে না।এবার বুঝেন?
কথাটার সাথে ১০০ ভাগ সহমত...
@হিমু ভাই, সাহস পাই নাই রে ভাই, নাইলে সরাসরিই আরও কিছু কথা বলতাম। সো কোল্ড নীতিবান নারীদের মানসিকতা দেখতে দেখতে ত্যাক্ত হয়ে গেছি। (পুরুষদের প্রসংগ তো অনেকই আলোচনা হয়েছে)। আর দেনমোহর???? থাক, আর কিছু বলছিনা, আপনারাই আলোচনা করেন।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেনমোহরের বিপক্ষে।তবে এখানেও একটা সমস্যা একটা অশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিত মেয়ে তার ডিভোর্সের পর কিভাবে চলবে?আর দেনমোহরের ভয়েই হয়তো অনেক নিম্নবৃত্ত পরিবারের মেয়েদের নামের সাথে ডিভোর্সী শব্দটা যোগ হয় না।যদিও তার সাথে কিছু মারধর ফ্রি থাকে।
এখানে আমার একটু বলবার আছে।
১। ধরে নিলাম ডিভোর্সের পর একটা অসহায় মেয়ে ক্যামনে চলবে তার বিবেচনায় দেনমোহরটা বেশি চাওয়া হয়। বাট শিক্ষিত-স্বাবলম্বি মেয়ের বেলা? তার তো প্রাক্তন স্বামীর টাকায় চলার ব্যাপারটা রুচিতে লাগবার কথা। কিন্তু কমের মধ্যে কুড়ি লাখ টাকা এখন দেনমোহর এর রেট, শিক্ষিত সমাজে।
২। বেশি দেন মোহর দিয়ে যদি কেউ স্বল্প শিক্ষিত/পরনির্ভরশীল মেয়েকে বিয়ে করে, তবে সে ক্ষেত্রে স্বামী একটি বেশিই অধিকার খাটাবে। কারণ তার কাছে মনে হবে এত টাকা দিয়ে কিন্যা আনছি তোরে, আমি যা কই তুই তাই করবি।
৩। বিয়েটা যদি দুইজন এর মধ্যে হোয়ে থাকে (বর বিয়ে করলো, আর কনে বিয়ে বইল এর বাইরে) তবে একই কারণেই তো দুইজনে বিয়ে করেছেন। ইন দ্যাত কেইজ মেয়ে তার স্বামির কাছে দেনমোহর আশা করে কোন যুক্তিতে? নাকি সে নিজেও বিশ্বাস করে একজন পুরুষকে তার ইজ্জত দিয়েছে? আর এই ধরনের বিশ্বাস থেকে যদি দেনমোহর দাবি করে তবে তার সাথে বিক্রির পার্থক্য কি? আমি মনে করি এইসব বিশাল এমাউন্টের দেনমোহরের মাধ্যমে উচু দরে শয্যাসংগিনি কেনা যে কিনা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে একজন নির্দিষ্ট পুরুষের যৌনানাঙ্খা মেটাবে। আর বিয়েটা যদি দুইজনের মধ্যে হোয়, তবে সেখানে কেউ কাউকে নয়, উভয়ে উভয়কে হ্যাপি করবে, এমন মানসিকতা থাকবে দুইজনের মধ্যেই।
এখন দেনমোহর টা কোন অর্থনৈতিক নিরাপত্তার মধ্যে নেই। ফ্যাশনের মধ্যে পড়েছে। বাকিতে হাতিও কেনা যায়। বাকি যেহেতু, সেহেতু কম করে হলেও কুড়ি লাখ হাকো! এর কম হলে কি সমাজে মুখ দেখানো যাবে?
মানুষ ক্যামনে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে তা দেখে অবাক হই।
উল্লেখ্য, যৌতুকের ব্যাপারটা নিয়ে বোধ হোয় আর কথা বলবার দরকার নেই, কারণ এটা একটা নিষিদ্ধ বিষয়।
ডাকঘর | ছবিঘর
।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অশিক্ষিত কিংবা স্বল্পশিক্ষিত মেয়ে যারা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী নয় তাদের জন্য দেনমোহর বেশ গুরুত্বপূর্ণ ।তবে শিক্ষিত এবং স্বাবলম্বী মেয়েদের এথেকে বের হওয়াই শ্রেয়।
দেনমোহর একটা নোংরা বিষয় মনে হয়। একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিয়ে কিনে নেয়ার মতই, আপনি যা বললেন। আর ডিভোর্সের পর ঐ টাকা নেয়ার কথা তুলতেই তো আত্মসম্মানে লাগা উচিত।
আর অশিক্ষিত/ দরিদ্র মেয়েদের জন্যও দেনমোহর যে কার্যকরী কিছু তা কিন্তু নয়। কারণ এই টাকাটা শোধ তো আর করা হয় না। বেশিরভাগটাই কাপড়গয়না ইত্যাদি খাতে উসুল দেখানো হয়। বাকিটা বিয়ের রাতেই মাফ করিয়ে নেয়া হয় (সচরাচর)। উচ্চশিক্ষিত/অশিক্ষিত কারো জন্যই তো এটা কোন কার্যকরী কিছু না।
দেনমোহর নিয়ে যেরকম মাছবাজারের মত মুলামুলি চলে তাতে যেকোন মেয়ের আত্মসম্মান বলে কোন জিনিস থাকলে এই দেনমোহর প্রথা অস্বীকার করে বিয়ে করতে যাওয়া উচিত।
দেন মোহরের সাথে একটা শর্ত আছে, জানিনা কতজন স্বনির্ভর নারী সেটা জানেন। স্বামী দেনমোহর পরিশোধ না করে স্ত্রীকে ছোঁয়ার অধিকার পাননা।
আর আমাদের সমাজে শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত ভুল শিক্ষিত সব মেয়েরাই বিন্দাস দেনমোহর নিচ্ছেন।
ডিভোর্সের হার আগের চাইতে বেড়েছে, বেশিরভাগ মেয়েই দেনমোহর নিচ্ছেন। কিসের মূল্য নিচ্ছেন, জানেন কি?
শহরে ছেলে আর মেয়ে পক্ষ যখন আপসে 'গিফট' / দেনমোহর নিয়ে দর কষাকষি করছেন , তখন গ্রাম বাংলায় কত অসহায় মেয়ে যৌতুকের কারনে খুন হয়ে যাচ্ছে, তার খোঁজ কতজন রাখেন?
আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্লগার নই, তবে আপনার মন্তব্যটি পড়ে মনে হল কিছু কথা শেয়ার করা যায়। আচ্ছা, আমরা আসলে ঠিক কোথায় পেলাম যে দেনমোহর দেয়া হয় ডিভোর্স এর পর মেয়েদের অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য? যেহেতু দেনমোহর বিষয়টি ধর্মের সাথে সম্পর্কিত তাই বলতে হচ্ছে যে, ইসলাম কি এই দৃষ্টিকোন থেকেই দেনমোহর দেয়া জরুরী মনে করে নাকি অন্য কোন কারনে? আর দেনমোহর এর সাথে ১০/২০ লাখ টাকা অথবা গয়নার কি সম্পর্ক? আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
আমার বাক্তিগত experience লিখছি। দেশে এই দু মাসের ছুটিতে আসার পর আমার চেয়ে ২/৩ বছরের ছোট মেয়েকে খুজছি। কারন আমার সহপাঠিনীদের বিয়ে হয়ে গেছে। ইঊরোপে গত ৩ বছর Masters শেষ করেই আমার PhD ১ম বছর চলছে। কিন্তু দেখলাম, আমার সব relatives ইচ্ছা আরো বয়স কম মেয়ে বিয়ে করতে হবে। আমি বুঝিনা, মেয়ে যদি undergard এ পড়ে , তাহলে আমার সাথে যাবে কি করে, এই simple বিষয়টা কি কারোর মাথাতে আসে না
আরিফিন সন্ধি
বিয়ে "খাওয়া"টা বাদ গেছে। গহনার ব্যাপারে হিমুর তোলা প্রশ্নগুলো ঠিকাছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
আমি এক পরিবারকে চিনি, যাদের ঐতিয্য হচ্ছে হলুদ টলুদ বাদ দিয়ে বিয়েতে শুধু একটি অনুষঠান করা ও সেই অনুষঠানে ফুলের গয়না পরা। তো তাদের বাড়ির একমাত্র ছেলেটির যখন বিয়ে হচ্ছিল তখন সেই ছেলের বউকেও ফুলের গয়না দেওয়া হল, আর মেয়েটি বিয়ের দিন ফুলের গয়না দেখে রেগে মেগে ছিরে ছুরে একাকার কাণ্ড। আসলে এখানে যেটা ভুল হয়েছে তা হল বিয়ের আগেই মেয়েটির চাওয়া পাওয়া আর আমার পরিচিত পরিবারটির চাওয়া পাওয়া মিলিয়ে নেয়া হয়নি। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার হল বিয়ের আগে থেকেই এই পাত্রপাত্রির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
সেটা কি আদৌ প্রেম ছিল ?
আমার ছেলেবন্ধুটিও আমার কাছে তার বোন জামাইয়ের জন্য আংটির আবদার করেছে। এটা নাকি সামাজিক প্রথা(!!!!!!!!!!!!!) নাকি কুপ্রথা???????????তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যদিও আমাদের বিয়ের কথাবার্তা এখনো কিছুই ঠিক হয়নি। কিন্তু কথা প্রসঙ্গে একদিন সে এটা আমাকে বলে ফেলে। আমি এখনো কায়মনো বাক্যে প্রার্থনা করি যেন শেষ পর্যন্ত সে এটা আমার বা আমার পরিবারের কাছে না চায়। তার ব্যক্তিত্বটুকু আমার কাছে ছোট হয়ে যাক এটা আমি চাই না.........কিছুতেই না।
কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চডিগ্রীধারী ছেলেগুলো তাদের মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে পারে না ? কখন সেই দিন আসবে যখন আমরা সনদপত্রের জন্য নয় নিজেকে শুদ্ধ করার জন্য পড়াশোনা করব?
দীপাবলি।
কায়মনো বাক্যে প্রার্থনা না করে এটা আপনার ছেলে বন্ধুকে বুঝান যে এটা একটা ঘৃনতম্য ব্যাপার ।আশাকরি সে তা উপলব্ধি করতে পারবে।
আমি অনেক ব্যাপারে রিমা আপুর সাথে একমত। যেই সমস্যাগুলোর কথা আপনি লিখেছেন সেগুলোর প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমাদের মত উচ্চশিক্ষিত মেয়েরাই যাদের বাবা মা অল্প বয়েসেই ধরে বিয়ে দিয়ে দেয়নি। আমার বাবা তার দুই মেয়েকে মানুষের মত মানুষ করতে চেয়েছেন। মেয়ে মনে করেননি দেখেই হয়ত মেয়েদেরকে তাদের মনের মত যতদূর ইচ্ছা লেখা পড়ার সুযোগ দিয়েছে। ১৫ বছর বয়েসে বিয়ে দিলে সেটা নিশ্চয়ই করতে পারতাম না আমরা।
আমার বোন উচ্চশিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ার মেয়ে। সরকারী চাকরী করছে। কিন্তু বিয়ের বাজারে এই মেয়ের কোন দাম নেই। কারণ মেয়ে কচি খুকী না। তার পার্সোনালিটি খুবই প্রবল সেটাও ছেলে পক্ষের পছন্দ না। আর সবচেয়ে বড় যেই সমস্যা সেটা হলো মেয়ে শ্যামলা। জাত মারা গেলো ছেলে পক্ষের। বিশেষ করে ছেলের মা বোন ভাবী থেকে শুরু করে সমস্ত নারী সম্প্রদায়ের। উচ্চশিক্ষিত বিদেশে থাকার ছেলের সাথে অনেকদিন ধরে কথাবার্তা চলার পর ছেলে বিয়ে করার জন্য বাংলাদেশে এসে আমার বোনের সাথে দেখা করতে গেলো রেস্টুরেন্টে। ছেলে বাসায় ফিরে না করে দিয়েছে ফ্যামিলি কে। কারণ কি? কারণ মেয়ের বেশী পার্সোনালিটি, যুক্তি দিয়ে কথা বলে। এই মেয়েকে তো বিয়ে করাই যাবে না। বাহ! কি তামাসা! ওরে হারামজাদা তুই বিদেশে বসে যখন ৬ মাস ধরে কথা বললি ফোনে তখন তোর মনে হয়নি মেয়ের পার্সোনালিটি আছে?! পরে জানা গেলো কি তার না করে দেবার কারণ ছিলো ছবি দেখে নাকি সে বুঝতে পারে নি মেয়ে শ্যামলা! তার জীবনের একটাই শখ লাল টুকটুকে একটা মেয়ে বিয়ে করবে!
কি আর বলবো বলতে গেলে রাগ উঠে যায়। কিন্তু কিছুই বদলায় না।
এই পাত্রকে ধরে একটা ধোলাই দিলেই লাল টুকটুকে আর পার্সোনালিটিলেস মেয়ে বিয়ে করার শখ নিমিষেই উধাও হয়ে যেত।
আমি প্রকৌশলী; আমি কিন্তু কচি খুকি বিয়ে করি নাই, আমার সহপাঠীনীকেই করেছি।
[ঢালাও অভিযোগ মানি না, মানবো না ]
আমাদের সমাজে বাবা-মা চান ২১-২৫ এর মাঝে মেয়ের বিয়ে দিতে, ছেলেরা নিজের পায়ে না দাঁড়ালে তাদের বিয়ে হওয়াটাই প্রায় অসম্ভব। কাজেই, ঘটকের পোর্টফোলিওতে উঁকি মারলে দেখতে পাওয়া যায় ২১-২৫ বয়সের মেয়ে বেশি, আর বেশিরভাগ ছেলেই ২৮-৩০ এর কোঠায়।
আমার একটা প্রশ্ন আছে: মেয়েরা কি প্রস্তুত প্রায় তাদের সমান বয়সের ছেলে বিয়ে করতে? একটা ২৭ বছর বয়সী মেয়ের বাবা-মা কি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবনে ২৭ বছররে একটা ছলেরে সাথে পারবিারকিভাবে বয়িে আয়োজন করত?ে
সমবয়সী ছেলে বিয়ে করতে সমস্যা তো দেখছি না উল্টো মনে হয় বুঝাপড়াটা ভালো হবে।আর ছেলে মেয়ে কেউ যদি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নড়াচড়া না দেয় তাহলে ফ্যামিলিও মানতে বাধ্য হবে।
আরেকটা ব্যাপারকি আমরা খেয়াল করেছি? অনেক সময় মেয়ে পক্ষের অনেক দাবি থাকে। এত পরিমাণ সোনার গহণা দিতে হবে, এরকম দামী শাড়ি চাই-এসব নিয়ে ছেলের ব্যাংক শূণ্য হয়ে যেতেও কি আমরা দেখি না?
ছেলের আংটির বায়না ধরাটা খারাপ, কিন্তু মেয়েরাও (সবাই না, অনেকে) যে একগাদা স্বর্ণালঙ্কারের জন্য উৎসুক থাকে সেটাও ভাল না। এক্ষেত্রে আমি দোষ দেব খালা,মামি -এদেরকে। কোন কাজিনের বিয়েতে কোন বরপক্ষ কি দিয়েছে -সেটা অনেক বিশাল আলোচনার বিষয়।
ছেলের বিয়ের আংটি ছেলে মামা, চাচাকে, ফুপা, খালুকে দেখিয়ে দেয়ার প্রচলন নেই, অথচ মেয়ের সব গয়না মামী, চাচী,খালা, ফুপু -সবার সামনে দেখিয়ে আনা হয়। (আমাদের মেয়ের জামাই এত এত দিয়েছে- এ ধরণের শো-অফ)
বেশি দূরে যাবো না নিজের পরিচিতদের মধ্যে দেখেছি বিবাহের আগে পাত্রীপক্ষ নিজেদের প্রয়োজনের লিস্ট কাগজে লিখে জামাইকে ধরিয়ে দিয়েছেন যেইখানে জিনিসের নাম এবং সম্ভাব্য দাম লেখা। সেই লিস্টে বিয়ের শাড়ি থেকে বেল্ট সহ স্যানিটারি নেপকিনও আছে। (ভাল কথা এইটা কিন্তু এরেঞ্জ বিয়ে না ৫/৬ বছরের প্রেম এর বিয়ে ) খুব ভাল বোঝাপড়ার ফলাফল বোধ হয় । আমাদের কালচারে বিয়ে ব্যাপারটি মানবিক এর চাইতে বাণিজ্যিক ভাবে বেশি দেখা হয় দেনমোহর গয়না, যার প্রমান।
লেখাটা পরে অনেক ভালো লাগল সব মেয়েরা যদি এমন হত তাহলে আমরা দেশটাকে আরো সুন্দর করতে পারতাম
প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করা নাইলে লিভটুগেদার, এই দুইটা ছাড়া হাতে কোনো অপশন থাকলো না আর
আপনি সমাজের রীতি ভাজ্ঞতে চান, বিয়েটা তো একটা সমাজের রীতি ও টা না মানলে কি হয় না? সব ঝামেলা ছুকে যাই, নাকি বিয়ে করতে চান কিন্তু রীতি মানতে চান না? আপনি তো ডাক্তার, বিয়ে করে কি লাভ, মানুষের এ সেবা করুন।
আপনার মতো মানুষের দেশহীন থাকাই মনে হয় যে কোন দেশের জন্য ভালো
দেশহীন মানুষ,
শুধু ডাক্তারই মানুষের সেবা করে না অন্যান্য পেশার মানুষও বিভিন্নভাবে তা করে থাকে।
তবে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে এভাবে আক্রমন করা ভালো কোনো মানসিকতার পরিচায়ক না।আমি কি করব না করব সেটা আমার ব্যাপার।
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে যেভাবে যা চলছে ঠিক সেভাবেই তা চলতে দেয়া উচিত যদি সেটা অন্যায় এবং অনেকগুলো মানুষের জন্য ভোগান্তির কারণও হয়।যে রীতি থেকে খারাপ বৈ ভালো কিছু ফল আসে না আমরা সে রীতির বিরুদ্ধেও কিছু বলতে গেলেই এসব কথা শুনতে হবে।
কোনটা সামাজিক রীতি? যৌতুক নেয়া?
আপনার মতে সমাজের প্রচলিত রীতি- তা সে যে রীতিই ভাংতে গেলেই নিজের মতামত বিসর্জন দিতে হবে নাকি? আপনার মত মানুষ(? এই ব্যাপারে আমার সন্ধেহ আছে রীতিমত )দের শুধুমাত্র দেশহীন নয়, উপরন্তু আবু গারিব এর নির্যাতন সেলে পাঠানো উচিত।
আপ্নারা কী চান? ক্রীতদাশের মত সমাজব্যাবস্থা- আপানার পিছনে সবসময় একজন মহিলা তেলের দিব্বা নিয়ে ঘুরবে...আর আপানার পায়ে তেল মালিশ করবে?
পৃথিবী টা অসুস্থ লোকে ভরে যাচ্ছে দিনকে দিন! অসুস্থ একটা সময়ে বসবাস আমাদের!
আপনি যেমন আশংকা করেছিলেন ঠিক তেমনি পুরুষদের আক্রমনে জর্জরিত হয়ে পড়েছে পোস্টটা। বাংলাদেশে নারীদের সামাজিক অবস্থান যে কোথায় সেটার একটা আঁচ পাওয়া যায় এখানে।
তবে ভেঙ্গে পড়বেন না। 'আমরা যদি না জাগি মা কেমন সকাল হবে?'
মডারেটরদের এই পোস্টে মন্তব্যের সুযোগ রহিত করতে অনুরোধ জানাই।
বাহ। কেন রহিত করা হবে একটু খুলে বলুন দিকি।
তোমার মন্তব্যে একমত নই মুর্শেদ। পুরুষবাদী, নারীবাদী- সবরকমবাদী দৃষ্টিভঙির বাইরে থেকে পোস্টের মন্তব্যগুলো দেখার অনুরোধ জানাই।
'আমরা জাগলেই তবে সকাল হবে' নিশ্চিত কিন্তু সকালের আলো দেখতে হলে জানালাটাও খুলতে হবে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
একমত নই।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
গয়না নেয়া খুবই বিরক্তিকর বাজে ব্যাপার।
সম্ভবত এই ব্যাপারটা নিয়ে খুব বেশি উচ্চবাচ্য হয়না গয়নাটা দুইপক্ষ থেকেই দেয়া হয় বলে।
যেখানে যৌতুকের সাধারণ আইটেম যেমন মোটর সাইকেল ফ্রিজ শুধুমাত্র ছেলেপক্ষের দাবী থাকে আর দাবী মেটাতে হয় শুধুমাত্র মেয়ের বাবাকে এবং টপ অফ দ্যাট গয়না। আরেকটা ব্যাপার ভেবে দেখার মতো যৌতুকের জন্য অনেক মেয়ে মানসিক নির্যাতন থেকে শুরু করে শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়। গয়না দেয়া নিয়ে কোন ছেলের এরকম অশান্তি শুনিনি। তবে এখন মনে হচ্ছে হয়তো আছে এরকম। আমিই জানিনা।অন্তত এই লেখাটা যারা পড়ছেন তাদের অনুরোধ করবো গয়না নেয়ার এই বাজে ট্রাডিশনটা থেকে বের হয়ে আসার জন্য।
হিমু
আপনি ডিভোর্সের কারণে মেয়েদের ভোগান্তি ছেলেদের চেয়ে বেশি হয়, এর রেফারেন্স চেয়েছন।
বাংলাদেশের একটা মেয়ের সাধারণ অবস্থা আপনার অনেক ভালো জানার কথা। তারপরো এরকম একটা প্রশ্ন তুললেন।
আমার কাছেও কোন রেফারেন্স নেই। শুধু আমার সেঝো বোনের কথাই বলি।
সে ইউকেতে থাকে। দুটো মেয়ে আছে। তার বর ছিল একদম সিনেমায় দেখা বাজে লোকদের মতো । অ্যালকোহল ড্রাগস আর এগুলোর সাথে আসা আরো অনেক উপসর্গ। তাও আমার বোন ছিল অনেকদিন দাঁত চেপে। কারণ দুটো মেয়ে আছে তার আর তার নীচে ছিল আরো দুটো বোন।তার বিয়ে ভাঙার অপরাধে যদি আমাদের বিয়ে না হয় (আমার এক বন্ধুর মেঝ বোনের বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় এমন কি তার বিবাহিত বড় বোনকে শ্বশুড়বাড়িতে খোঁটা শুনতে হয়, সেই পরিবার কিন্তু মোটামুটি ভালোই শিক্ষিত)
তারপর একসময় ধৈর্যের বাঁধ ভাঙলো। আমার বোন আলাদা হয়ে গেল। দেশে এবং দেশের বাইরে রটে গেল তার স্থৈর্যের অভাবের কথা। তার নিজের মেয়ে এবং বোনদের কে অবিবেচকের মতো বিপদে ফেলার কথা।সে দেশে এলে শুনতে হয় বিদেশ আছে বলে বেঁচে গেছে। দেশে থাকলে কী করতো। আর এখানে সেদিন তার বাঙালি কলিগ তাকে বোঝালো একা থাকলে মানুষ মনে করবে 'এই মেয়ের সাথে তো যে কোন কিছু করা যায়'।তার মেয়েদের বয়স আঠারোর ওপরে। সেই মেয়েরা কিছু ঊল্টোপাল্টা করলেও আমার আত্মীয় সমাজ তাদের মাকে দোষ দেয়। মেয়ে স্বামীকে ছেড়ে এসেছে বলে কথা।
গয়নার অথবা যৌতুকের প্রতিবাদ করতে গিয়ে কি আমরা এমন কিছু বলবো যা আসলে শেষ বিচারে একজন বিবাহবিচ্ছেদি নারীর অসম্মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে? খারাপ লাগে সচলে এরকম দেখলে।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
এরকম জলজ্যান্ত উদাহরণ আমার পরিবারেও আছে। কী যে অসহ্য যন্ত্রনা!
ঠিক এরকম ঘটনা আমার পরিচিতের মাঝেও দেখেছি। শাড়ি গহনার ব্যাপারে শ্বশুড়বাড়িকে খোটা দেওয়া বা আমার বাপের বাড়ি ভাল তোমার বাপের বাড়ি খারাপ জাতীয় ঘটনার সাথে যৌতুক নিয়ে হরহামেশা যেসব অত্যাচার ঘটে সেটা মেলানোটা দুঃখজনক।
তোর যুক্তিটা হচ্ছে এমন, দবির যৌতুক না পেয়ে বৌ পিটাচ্ছে দেখে মিসেস কবির সপরিবারে কবিরের জানটা যে ভাজাভাজা করে খেয়ে ফ্যালে সেটা নিতান্তই হালকা হয়ে যায়।
দবিরকে ছাড় দেবো না আমরা। মিসেস কবির আর তার পরিবারকে কেন দেবো?
মিসেস কবির আর তার পরিবারকে ছাড় দেওয়ার কথা তো বলছিনা, দবিরের ঘটনার সাথে কবিরের ঘটনা এক পাল্লায় কি মাপা উচিত? সেই প্রশ্ন করেছি।
আমাদের দেশে যত খুন হয়, তারচেয়ে অনেক বেশি ছিনতাই হয়। এখন তুই যদি বলিস, খুন আর ছিনতাই কি এক পাল্লায় মাপা উচিত, তাহলে এর উত্তর কী হতে পারে?
এর উত্তর হতে পারে এক পাল্লায় মাপা উচিত না। খুনের শাস্তি মৃতু্যদন্ড আর ছিনতাইয়ের শাস্তি জেল।
তার মানে দুইটাকেই শাস্তি দিয়ে নিরুৎসাহিত করা দরকার। একটা আরেকটার তুলনায় কিছুই না বলে উড়ায় দেয়ার জিনিস না, তাই না?
উড়ায় তো দেইনাই, দুইটাতেই শাস্তির কথা বলেছি, কিন্তু শাস্তির মাত্রার পার্থক্য আছে সেইটা গুরুত্বপূর্ণ। সেই জন্যই এক পাল্লায় মাপা উচিত না।
এই জন্যই কি পত্রিকায় খুনের খবর যেভাবে আসে, ছিনতাইয়ের খবর সেইভাবে আসে না? গোটা ব্যাপারটার মিডিয়া কাভারেজ দিয়েই কি আমরা এর গুরুত্ব বিচার করি না? ছিনতাই হলে তো পুলিশও মোবাইল হারানোর জিডি লেখে। আমরা থানায়, মিডিয়ায়, ব্লগে সব জায়গায় ছিনতাইকে নিজেরাই তো আশকারা দিচ্ছি তাহলে। এইটার শাস্তি তাহলে আর জেল দিয়ে লাভ কী? চল এটাকে ট্র্যাডিশন বানায় ফেলি। ছিনতাই একটি ট্র্যাডিশন। তবে ছিনতাই খুপ খারাপ। আমি ছিনতাই সমর্থন করি না, এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
আমি তো বলছি না, মেয়েরা ভোগে না। আমি বলছি ছেলেরাও ডিভোর্সের কারণে ভোগে। তাদের ভোগান্তিটা আপনি অস্বীকার করছেন কেন?
আর যদি পাড়ার লোকই আমাদের জীবনের নিয়ামক হয়, তাহলে শিক্ষাদীক্ষার ফুটানি মারার কী দরকার? চলেন সবাই লেখাপড়া বাদ দিয়ে পাড়ার লোকের কথায় উঠি আর বসি। আর এই পাড়ার লোকের অজুহাত তো যৌতুকবাজেরাও দেয়। নিজের কানে শোনা, বুড়ি বুড়ি মহিলা ছেলের শ্বশুরের বদনাম করে যাচ্ছে সমানে, কোনো যৌতুক দেয় নাই বলে, পাড়ার লোকের কাছে নাকি মুখ দেখাতে পারে না। ঐ বুড়িগুলি মাটি ফেটে বের হয় নাই, তারা আপনার আমারই মা-খালা।
তো আপনি বলতে চাচ্ছেন কী আসলে? পাড়ার লোকের অজুহাতে মেয়েরা গয়না নিলে ছেলেরাও যৌতুক নেয়া উচিত? মিসেস কবির ও তার পরিবারকে ছাড় দেয়া হলে দবিরকেও ছাড় দিতে হবে?
আমি বলতে চাচ্ছি, যারা যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, তাদের গয়নার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদী হতে হবে। পাড়ার লোকের বালছাল অজুহাত দিয়ে সেটাকে হালাল করা চলবে না। ঐটাও যে যৌতুক, সেটা বুঝতে হবে এবং সেটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। কথায় আর কাজে। মেয়ের বাপও গয়না দেয়, মেয়েদের বিশেষ দুর্বলতা আছে, পাড়ার লোকে কী বলবে ... এইসব ফালতু কপ আউট চলবে না।
ঠিকাছে। সেটা অবশ্যই বলতে পারেন। আর অনেক মেয়েও এটা বলছে সেটা এই লেখার কমেন্টেই দেখছেন। কিন্তু তারপরেও অনেক ছেলেই যেমন গিফট হিসেবে যৌতুক নিতে বাধা মনে করেনা তেমনি অনেক মেয়েও গয়না/দেনমোহর নেয়াটাকে খারাপ মনে করছেনা। আস্তে আস্তে এখানেও পরিবর্তন আসবে (আপ্নারা নাহয় গয়নাযুগের শেষ বলি হইলেন )।
কেন গয়না / দেনমোহর নেয়া খারাপ সেটা যুক্তি দিয়ে বলতে পারেন । কিন্তু এইরকম দবিরকে ছাড় না দিলে মিসেস কবির কে কেন দেবো বললে ব্যাপারটা যৌতুক হালাল করার প্রোপাগান্ডা মনে হয়।
আপনি উল্টা বুঝলে কার সাধ্য আপনাকে সোজা বোঝায়? যৌতুকের উল্টো পিঠ গহনা, সেটাকে যখন অনেক মেয়ে খারাপ মনে করছে না, তখন যৌতুককে তারা খারাপ মনে করে কোন মুখে, কোন যুক্তিতে? আপনি তো এখন মাঠে নেমেছেন আমাকে যৌতুকের সমর্থক বানানোর জন্য।
গহনা হালাল করার প্রোপাগাণ্ডা থেকে আপনি নিজেও মুক্ত নন। এজন্যই আস্তে আস্তে পরিবর্তন চান। আপনি নিজে এই পরিবর্তনটা করে দেখানোর ব্যাপারে কিন্তু আগ্রহী নন, তাই না ? এরকম বহু বিপ্লবী আছে, যারা চায় তাদের পর থেকে সমাজে বিপ্লব করে লোকে ফাটিয়ে ফেলুক।
যৌতুক হালাল করার প্রোপাগাণ্ডার বিরুদ্ধে কথা বলতে নামলে, যৌতুকের বাম হাত আর ডান হাত দুটোই ভেঙে দিতে হবে। বাম হাতের ওপর বেত মেরে ডান হাত ধরে বসে থাকলে সেটা ভণ্ডামি হয়।
সব মোটরশাইকেলওয়ালা, গহনাওয়ালা আর দেনমোহরওয়ালাকেই ধরে কানসা পাতালি মারার কথা বলা হচ্ছে মন্তব্যগুলোতে। আপনি কথা ঘুরিয়ে কাউকে ছাড় দিতে চাচ্ছেন কেনো?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি কাউকে ছাড় দিতে চাচ্ছিনা।
এই কথাটার অর্থ জিজ্ঞেস করলাম মন্তব্যকারীকে।
এই কথাটার অর্থ তো কাউকেই ছাড় দিতে না চাওয়া। আপনি এটাকে যৌতুকের পক্ষের স্টেটমেন্ট বানালে কি আপনার গহনার পক্ষাবলম্বনে কিছু সুবিধা হয়?
যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন আর গহনার দাবীতে নির্যাতনের মাত্রাটা সমান না। এই কারণে দুইটাকে এক পাল্লায় রেখে ছাড় না দেয়ার কথাটা বুঝতে সমস্যা হচ্ছে।
"মাত্রাটা সমান না" কোন গবেষণার ভিত্তিতে বলেছি চাইলে দিতে পারবো না। কিন্তু কোনদিন পত্রিকায় গহনার দাবীতে কোন পুরুষ খুন হয়েছে এমন খবর পড়িনি, যৌতুকের দাবীতে মেয়ে খুন হয়েছে এমন পড়েছি অনেক। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি দুইটার মাত্রা সমান না।
আমিতো গহনার পক্ষাবলম্বন করছি না। "গহনা ভাল" কোথাও বলেছি? এই লেখায়ই অনেকগুলো কমেন্টে স্পষ্ট করে বললাম গহনা পছন্দ করা একই রকম অনুচিত এবং আমি নিজে গহনা ও দেনমোহরের বিরোধী।
আপনার স্টেটমেন্টটা বুঝতে সমস্যা হলো বলে বুঝে নিলাম।
তার মানে খুন না করলে ঐটারে হিসাবে আনা যাবে না? গহনার বিরুদ্ধে আমরা কথা বলা শুরু করবো যখন গহনার দাবিতে মেয়ে ছেলেরে পিটায় মেরে ফেলবে, এইটা আপনার যুক্তি?
আমাদের চোখে নির্যাতনের মাত্রার লিটমাস রং পাল্টাবে যখন পত্রিকায় রিপোর্ট আসবে তখন? তার আগ পর্যন্ত গহনা নিয়ে খিটিমিটি, মানসিক অত্যাচার এইসব চললে কোনো সমস্যা নাই, এইটাই বলতে চাইলেন তো?
আপনি যখনই মাত্রা নিয়ে কথা বলছেন, তখনই আমি এটাকে একটা কপ আউট হিসেবে বিবেচনা করছি। মাত্রা সমান, সেটা তো আমি বলিনি। কিন্তু দুইটাই আপত্তিকর এবং বর্জনীয়। মাত্রা বিচারে খুন করা আর চড় মারা তো সমান না, তাই বলে আপনাকে কেউ চড় মারলে কি আপনি সহ্য করে যাবেন? আপনি এবং এইখানে আরো অনেকে গহনাকে যৌতুকের উল্টোপিঠ হিসেবে মিনমিন করে স্বীকার করেছেন কারণ এই পোস্টের লেখিকাকে আমি চিবি দিয়ে ধরেছি দেখে। নাহলে আপনারা এই প্রসঙ্গে কিছু বলতেন বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না। আমি আবারও কমেন্টগুলো দেখলাম। আমার আগে এক অতিথি (মাহবুব) কেবল এই প্রসঙ্গে বলেছেন। বাকি সবাই পুরুষ যৌতুকবাজকে গালি দিয়ে নেকি হাসিল করছিলো। আমি পয়েন্টটা না তুললে ঐটাই চলতে থাকতো, গয়নার প্রসঙ্গই আসতো না। এই পোস্টের লেখিকাও অনেক ক্যানেস্তারা বাজিয়েছেন, যথাক্রমে গয়নার প্রতি মেয়েদের বিশেষ দুর্বলতা, মেয়ের বাপও গয়না দেয়, ডিভোর্স ইনস্যুরেন্স হিসেবে গয়না কাজ করে ইত্যাদি ইত্যাদি, তারপর অবশেষে বাটে পড়ে মিনমিন করে স্বীকার করেছেন গয়না নেয়া খারাপ। আমি বিশ্বাস করি না, বাস্তব জীবনে আপনি বা এই পোস্টের লেখিকা বা সমাগতা অন্য কোনো আপাতগয়নাবিরোধী মেয়ে গয়নার বিরুদ্ধে কোনো জেহাদ করবেন। আপনাদের দৌড় পুরুষের যৌতুক দাবিকে গালি দেয়া পর্যন্ত, যেহেতু বাংলাদেশে প্রায়ই কিছু মাদারচোদ যৌতুকের দাবিতে বউকে মানসিক নির্যাতন করে, পিটায়, এসিড ঢালে, অঙ্গহানি করে বা খুন করে। যতদিন পর্যন্ত কোনো মেয়ে কোনো ছেলেকে ওগুলি না করছে, ততদিন পর্যন্ত বিয়ের সময় নির্লজ্জের মতো মেয়েরা গয়না চেয়েই যাবে, আপনারাও সেগুলো নানা ফোরামে দেখেও না দেখার ভান করবেন, খুব বেশি হলে মিনমিন করে বলবেন, এটাও খারাপ। তাই না ?
আমার কোনো কথা না বুঝলে বলবেন। বুঝিয়ে বলবো।
বাহ হিমু ভাই,
আপনার অনুধাবন ক্ষমতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারছি না !আপনি জার্মানীতে বসেই বুঝতে পারেন বাংলাদেশে কে কোন বাক্যটা মিনমিন করে বলছে না জোর দিয়ে বলছে।
গয়না নেয়া আর যৌতুক একই পর্যায়ে পড়ে এবং জঘন্য ব্যবস্থা ।এই বাক্যটার আগে পিছে কিংবা ব্রাকেটে কোথাও কি মিন মিন শব্দটা লেখা ছিল?
আপনি কি এদেশে বড় হননি ?হয়তো তখন আপনি চোখ কান বন্ধ করে থাকতেন ।তা না হলে এখানকার পারিপার্শ্বিক অবস্থা,সামাজিকতা,নারী পুরুষের বৈষম্য,আর এসবের ফলে ভোগান্তির স্বীকার মানুষদের জীবন কাহিনী এবং এসবের স্বীকার কারা বেশি হয় তা আপনার জানা থাকতো।এখন আবার বলবেন রেফারেন্স দিন।এসব অনুধাবনের জন্য একটু চোখ কান খোলা রাখলেই হয় রেফারেন্স লাগে না।
আমাদের বক্তব্য শুনে যদি আপনার মনে হয় আমরা গয়না নেয়ার পক্ষে ।তাহলে আপনার বক্তব্য শুনেও আমরা বলতে পারি আপনিও য়ৌতুক নেয়ার পক্ষে ।এবং বিয়ের পর আপনি যে যৌতুকের জন্য বউকে নির্যাতন করবেন না তার কোনো নিশ্চয়তা আছে বলে মনে হয় না।কারণ আপনি ঘুরে ফিরে একই জায়গায় আছেন।আপনার বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে...আসুন আমরা যৌতুক দিই এবং গয়না নেই।
হ্যাঁ। বোঝা যায় তো। এটাকে বলে রিডিং বিটউইন দ্য লাইনস। প্রথমে বললেন মেয়েদের গয়নার প্রতি বিশেষ দুর্বলতা, তারপর মেয়ের বাপও মেয়েকে গয়না দেয় এ থেকে কী বোঝা যায়, তারপর ডিভোর্সে মেয়েদের ভোগান্তির কথা বলে ইঙ্গিতে সেই সম্ভাব্য ভোগান্তির ইনস্যুরেন্স হিসেবে গয়নার উপযোগিতা, তারপর ন্যাকা সেজে আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা অ্যাতো খারাপ কেনু কেনু কেনু, সবশেষে না পেরে মিনমিন করে স্বীকার করা, হ্যাঁ, গয়না নেয়া খারাপ।
আপনার এই ঠাঠা মুখস্থ কথা শুনে হাসলাম। এখন কি "পারিপার্শ্বিক অবস্থা", "সামাজিকতা", "নারী পুরুষের বৈষম্য" আর "এসবের ফলে ভোগান্তি" দিয়ে যৌতুকের অন্য পিঠে মেয়েদের গয়না আদায়ের দিকটা হালাল করবেন? মেয়েরা বিয়েতে গয়না নিলে পারিপার্শ্বিক অবস্থা পাল্টে যাবে, সামাজিকতা বদলে যাবে, নারী পুরুষের বৈষম্য ঘুচে যাবে আর ভোগান্তি কমে যাবে মানুষের? বগলতলা থেকে কথা বের না করে রেফারেন্স দিয়ে বলতে শিখেন, লোকজন গুরুত্ব দেবে বেশি। যৌতুকের বিরুদ্ধে লিখছেন যখন, গুছিয়ে কাজ করতে এতো আলস্য কেন?
আমি তো পুরুষ যৌতুকবাজ আর নারী যৌতুকবাজ, দুইটারেই এক পাল্লায় চড়াচ্ছি। আপনি তো সেই পর্যন্ত যেতেই নারাজ। অজুহাতের পর অজুহাত বের করছেন গহনার পক্ষে। আপনি কতবড় যৌতুকবিরোধী, সেটা আমি ধৈর্য ধরে দেখতে চাই। আশা করি যৌতুকের উল্টা পিঠ নিয়ে অনলবর্ষী কিছু লিখবেন আমাদের জন্য। দেখি আপনার যৌতুকবিরোধিতার দৌড় কোন মসজিদ পর্যন্ত।
আমি কখনো বলিনি আমি গয়না নেয়ার পক্ষে ।তারপরও আপনি আমাকে জোর করে স্বীকার করাতে চাইছেন আমি এর পক্ষে।একটা কথা এতোবার বলার পরও আপনার মাথায় কেন ঢুকছে না তা বুঝতে পারছি না।কেউ বুঝে না বুঝার ভান করলে তাকে আর বুঝিয়ে বৃথা সময় নষ্ট করার কোনো মানে হয় না।
আর আমি গুছিয়ে লিখতে পারি কি-না এবং আমার দৌড় কোন মসজিদ কিংবা মন্দির পর্যন্ত তা সময়ই বলবে।
আপনি গহনা নেয়ার বিপক্ষে যে নন, সেটা তো আপনার লেখাতেই স্পষ্ট! আমার আপত্তি তো সেখানেই। আপনি মন্তব্যের মাঠে এসে আমি চামারের মতো চিবি দিয়ে ধরার পর তিন দফা কুযুক্তি দেখানোর চেষ্টা করে বিফল হয়ে তারপর স্বীকার করেছেন গহনা নেয়া খারাপ। আপনি যৌতুকবিরোধী হিসেবে লেখায় নিজেকে জাহির করেছেন, তুমুল পালোয়ান আপোষহীনা মমিনসিঙ্গা লেখিকা হিসেবে যৌতুকের বিরুদ্ধে জেহাদ করেছেন, অথচ আপনার লেখায় নির্যাতিতা মেয়েটি ড্যাং ড্যাং করে গয়নার অর্ডার দিতে চলে যায় ননদদের সাথে। কেন রে ভাইডি? ঐটা যৌতুকপ্রথার বাইরে কিছু? ঐটার বিরুদ্ধে আপনার ক্ষোভ কই, প্রতিবাদ কই, জেহাদ কই?
নাই। নাই কারণ অ্যাট দ্য ব্যাক অভ ইয়োর মাইন্ড আপনি এই ট্র্যাডিশনকে গ্রহণযোগ্য এবং "অ্যামনেই হয়" ধরে নিয়েছেন। আপনি বরের ফকিন্নি ননদদের বিরুদ্ধে আপনার প্রতিবেশিনীর প্রতিবাদে শিক্ষাদীক্ষা স্বনির্ভরতার কথা তুলে ধরেছেন, কিন্তু একটিবারের জন্যেও গহনার বিরুদ্ধে একটা নোকতাও লেখেননি। অথচ, আপনি নিজেই এখন বার বার বলছেন, এটা খারাপ, আপনি এটার পক্ষে নন। যদি এটা খারাপই হবে, আপনি যদি এটার বিপক্ষেই হবেন, লেখায় তার প্রতিফলন নেই কেন?
মসজিদ বরাবর আপনার দৌড় শুরুর আগে যতিচিহ্ণের পর একটা স্পেস ব্যবহার করবেন প্লিজ। নাহলে পড়তে গিয়ে চোখের ওপর চাপ পড়ে। সচলে আপনার লেখালেখি আনন্দময় হোক। সম্ভব হলে আপনার পরবর্তী পোস্টটিই হোক যৌতুকের আরেক দিক গয়নাপ্রথার বিরুদ্ধে। শুভকামনা।
হিমু,
লেখা এবং মন্তব্যগুলো পড়ে মনে হচ্ছে এ আর থামার নয়।আমি আপনাদের মতো শক্তিমান লেখক নই অতি নগন্য পাঠক মাত্র। গয়না নেয়া এবং যৌতুক নেয়া একই ক্যাটাগরির।তবে এখানে যে বিষয়টা আমাদের মাথায় ঢুকছে না,যে সাফারার কিন্তু নারীরা বেশি।আমাদের দেশে এমন পরিবার খুব কমই আছে যারা এর কবলে পরেনি ।এটা তো আপনি মানবেন?
আমার বড় বোনের ডিভোর্সের পর ছোট বোনের বিয়ে দিতে কি পরিমান কষ্ট যে হয়েছিল তা আমরা জানি।বড় বোনটা আর বিয়ে করেনি কিন্তু বোন জামাই ডিভোর্সের এক মাসের মাথায় বিয়ে করেছে।শুধু তাই না ।সেই মেয়ে আমার বোনের চেয়ে অনেক ভালো এসব খবর নিয়মিতই এবাড়িতে আসত।
বিয়ের কথাবার্তা পাকাপাকি হবার পর বিয়েটা কোনো কারণে না হলে তা কিন্তু মেয়ের ঘাড়েই চাপেএবং পরবতীর্তে বিয়ের ক্ষেত্রে সমস্যাটা মেয়েরই বেশি হয়।আর ডিভোর্সী মেয়ের বিয়ে সেটা আরও কষ্টকর।আর ডিভোর্সী মেয়েকে কোন অবিবাহিত ছেলে বিয়ে করতে চায় এটা রেয়ার।কিন্তু ডিভোর্সী পাত্র ঠিকই অবিবাহিত মেয়ে বিয়ে করে অনায়াসেই।
তবে বশেরিভাগ মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আমরা ব্যক্তগিতভাবইে এখানে জয়ী হতে চাইছি ।আসল ব্যাপারটা এর নজিে চাপা পড়ে যাচ্ছ?েযে যার মতো করে বলে যাচ্ছে ।এমন হলে কভিাবে ইতবিাচক পরবির্তন সম্ভব?
আপনারা যে কুযুক্তিটা বারবার দিচ্ছেন, সেটা হচ্ছে বিবাহবিচ্ছেদের সম্ভাব্য ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিয়ের সময় দেয়া গয়নাকে বিবেচনা করছেন। তাহলে, আপনার বড় বোনের কি বিয়েতে পাওয়া গয়নায় বিচ্ছেদের কোনো ক্ষতিপূরণ হলো? কয়েক ভরি বাড়তি সোনা দিয়ে আপনারা কি এই ক্রমাগত উদ্বেগ, অপমান, কৈফিয়ত আর কিছু কুত্তার বাচ্চা পাড়ার লোকের বিদ্রুপের যন্ত্রণা লাঘব করে ফেললেন?
বাংলাদেশের যত হারামজাদাদের আপনারা বিয়ে করে ডিভোর্স দিবেন, সলিড মাদারচোদগুলির কাছে বোনের বিয়ে দিয়ে তারপর নিজেরা ভুগবেন, তারপর অচেনা অবিবাহিত জনগোষ্ঠী ঘাড়ে সেই ভোগান্তির একটা পরোক্ষ দায় তুলে দেবেন, এটা কেমন কথা? আপনার বোনের ভোগান্তির উদাহরণের জন্য এখন আরেকটা ছেলেকে বিয়ের সময় গয়নার দাবি মেটাতে হবে, যাতে করে সম্ভাব্য বিচ্ছেদের আগাম ক্ষতিপূরণ নেয়া যায়? এটা কি কোনো যৌক্তিক আবদার হলো?
বিয়ের সময় গয়না আদায় করে মেয়েরা ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়ে ফেলবে? ইজ দ্যাট সো?
তর্কের মাঠে উল্টোদিকের মানুষের প্রতি আমার কোনো সমমর্মিতা থাকে না। আপনি যদি আমার কথায় আঘাত পেয়ে থাকেন, আমি দুঃখিত। নিজের উদাহরণ টেনে আমার সাথে তর্ক না করাই হয়তো ভালো।
চলতি বিতর্কে এই মন্তব্যটা অনাকাংখিত হিমু। আমি অংশ না নিলেও বিতর্কটা উপভোগ করছিলাম। কিন্তু এই জায়গায় এসে থমকে যেতে হলো।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
গ্যালারিতে বসে সবকিছু উপভোগ করা যায় না।
আশাকরি আপনি গয়না নামক কুপ্রথা নিয়ে যথেষ্ট রেফারেন্স সহ একটা লিখা লিখবেন।তাহলে সবাই অনেক উপকৃত হবে।আপনি কোনো ভাবেই স্বীকার করবেন না যে সব প্রসঙ্গ এক লেখায় উঠে আসবে না।তাহলে আপনি এমন একটা লেখা লেখেন যেখান সারা দুনিযার সব সমস্যা এবং তার সমাধান থাকবে।
দুনিয়ার সব কিছু আপনার লেখায় উঠে আসবে, সেই আবদার কেউ করেনি। খুব যৌক্তিকভাবেই প্রত্যাশা করতে পারে পাঠক, যে যৌতুকের আরেক পিঠ আপনি দেখাবেন। সেটা দেখাতে না পারলে, যৌতুক বিরোধিতার ফাঁপা তোপধ্বনি করে লাভ নাই, এইটা আগে বুঝুন। পরের লেখায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের গর্তগুলির মতো বড় বড় গর্ত রেখে দিয়েন না, রাখলে অনুরূপ প্রতিক্রিয়া পাবেন।
ঢাক ময়মনসিংহ রোটের খানা খন্দ বুজিয়ে একেবারে জার্মানীর রাস্তার মতো ঝকঝকে চকচকে একটা লেখা আপনার কাছে আশা করছি গয়না প্রথা নিয়ে । অন্যের কাধে বন্দুক রেখে শিকার তাক না করে বন্দুকটা নিজের কাধেই তুলে নিন না ।
ভালো থাকবেন।
একটা লেখায়ই যদি মানুষ সবকিছু বলে ফেলে তাহলে সবাই জীবনে একটা লেখাই লিখত।আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে যা কিছু বলার সব একবারে বলতে হবে।আর একটা কথা যুক্তি আপনি দেখাতে পারেন কিন্তু যুক্তির মাঝেখানে দু চারটা অশালীন কথা বার্তা বললেই তা খুব শক্তিশালী হয়ে যায় না ।আশাকরি পরবর্তীতে আপনি এসব ভাষা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
একটা লেখা মানুষ ভেবেচিন্তে লিখবে, এটাই কাম্য। সেই লেখায় বিরাট একটা ফাঁক রেখে দিলে শালীনতার প্যানপ্যানানি দিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ করা যাবে না। ভবিষ্যতে এইসব খানাখন্দ বুঁজিয়ে লিখবেন, এ-ই আশা করি।
এইবার আপনি পরিষ্কার করে বলুন তো আসলে কী বলতে চাচ্ছেন আপনি!
যেহেতু গহনা কালচার নামক য়ৌতুকের কারণে কোনো পুরুষকে মরতে হয়েছে, এমনটা এখনও পত্রিকায় পড়েননি তাই সেটা আপনার কাছে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
@ ধুসর গোধূলীঃ জ বললে জার্মানী বুঝে ফেললে তো সমস্যা ভাইসাহেব।
গহনা দেয়া/নেয়া খারাপ ট্র্যাডিশন (আপনি আমার ঘাড়ে "গহনা পছন্দকারী" সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিতে চাইলেও সেটা নিতে আমি বাধ্য নই।) কিন্তু যতদিন না এর জন্য কোন পুরুষকে মরতে দেখব ততদিন অবশ্যই আমি একে যৌতুকের মত একই মাত্রার খারাপ অপরাধ হিসেবে গণ্য করব না যে তার জন্য একই পাল্লায় বসিয়ে ছাড় দেয়া/না দেয়ার চিন্তা করতে হবে।
@হিমুঃ এই লেখাটা যৌতুক প্রথা সম্পর্কিত একটা ঘটনা নিয়ে। সেজন্য এখানে সবাই যৌতুকের বিরুদ্ধে বলছে। আপনি গহনাপ্রথার অপকারীতা সম্পর্কিত যথেষ্ট রেফারেন্সসহ (কোন গবেষণায় প্রকাশিত কত পারসেন্ট ছেলে গহনার জন্য নির্যাতিত হয়, নির্যাতনের মাত্রা ইত্যাদি) একটা লেখা দেন, ঐখানে গহনার বিরুদ্ধে মিনমিন না করে উচ্চকিত হয়ে উঠবে সবাই। এক জায়গায় বসে আরেক জিনিস চাইলে তো হবেনা ভাইয়া।
সেটাই। কেউ মরার আগে কারও শিক্ষা হয় না।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
এই তো আপনার গলা পরিষ্কার হলো কিঞ্চিৎ এবার!
যৌতুক বলতে কেবল মোটরশাইকেল টিভি আর ফ্রিজ-ই বুঝে থাকলে তো বানান করে করে আপনাকে পুরা আদর্শলিপি বুঝিয়ে দিলেও আপনি 'অ' এর মাথায় নোকতা খুঁজতে বেকুল হয়ে যাবেন! 'অ' এর মাথায় নোকতা লাগার আগ পর্যন্ত আদর্শলিপি আপনাকে পঠন করায়, এমন সাধ্যি কার!
গহনাপ্রথা আর মোটরশাইকেলপ্রথা দুইটাই যৌতুকপ্রথা। প্রতিবাদ হলে গোটা প্রথাটার বিরুদ্ধেই হতে হবে। প্রতিটা বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা ক্বেবলা কাবা কিংবা মোরাকাবার অপেক্ষা করে বসে থাকলে চলবে?
যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে একটা রেখে আরেকটা ছেড়ে প্রতিবাদ করে আকাশবাতাস এক করে ফেলা স্রেফ ভণ্ডামী। দুঃখজনক হলেও সত্যি, আপনার মধ্যে সেটাই প্রকাশ পাচ্ছে বেশি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি গহনাপ্রথাকে যৌতুকপ্রথার বাইরে ধরছেন কেন? ১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন মোতাবেক যৌতুক আর গহনা দুইটাই তো পণ। বিয়ের শর্ত হিসেবে কোনো মূল্যবান সামগ্রী দাবি করা এই আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য।
গহনার বিরুদ্ধে উচ্চকিত হওয়ার জন্য আপনাদের আলাদা পোস্ট লাগবে এখন ? তার আগে উচ্চকিত হতে পারবেন না? ইট মাস্ট বি দ্য মাদার অফ অল কপ আউটস!
@ ধুসর গোধূলীঃ আমার গলা শুরু থেকেই পরিষ্কার। উপরে দেখেন ছিনতাই আর খুনের শাস্তির একটা উদাহরণ আছে। আশা করি বুঝবেন।
@হিমুঃ "১৯৮০ সালের যৌতুক নিরোধ আইন মোতাবেক যৌতুক আর গহনা দুইটাই তো পণ। বিয়ের শর্ত হিসেবে কোনো মূল্যবান সামগ্রী দাবি করা এই আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য।"
সুতরাং এখন থেকে কোন মেয়ে বা তার পরিবার গহনা চাইলে আপনারা মামলা করবেন আশা করি। যেকোন প্রতিবাদে ভিক্টিমকেই এগিয়ে আসতে হয়, তাইনা?
আলাদা পোস্ট কেন দরকার একবার বলেছি, আবারো বলি। দরকার এজন্য যে এই পোস্টে একটা মেয়ের যৌতুকের শিকার হওয়ার কাহিনী আছে যার প্রেক্ষিতে সবাই যৌতুকের বিরুদ্ধে বলছে এবং আপনার ভাষায় গহনার বিরুদ্ধে মিনমিন করে প্রতিবাদ করছে। আপনি যথোপযুক্ত রেফারেন্সসহ গহনার বলী হওয়ার পুরুষের কাহিনী লিখুন, সেখানে বজ্রকন্ঠে গহনার প্রতিবাদ করা যাবে।
এই পোস্ট মেয়ের যৌতুকের শিকার হওয়ার কাহিনীর পাশাপাশি মেয়ে কর্তৃক পণ আদায়েরও কাহিনী। কিন্তু ওখানে কবি শ্রুতিকটু রকমের নীরব। সম্ভবত কবির এখন পৌষ মাস, চৈত্র মাস না এলে বেগানা নারীর বোনা কাঁথাকে মুমিনের জন্য হারাম ফতোয়া দেয়া কবির নিজের জন্য রিস্কি, নাকি ?
গয়নার বিরুদ্ধে মিহিম্যাঁওমুখর নারীকুলের কেউ আপনার আবদার মোতাবেক একটা পোস্ট দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। আপনি যখন দাবি করছেন আপনিও গয়নার বিপক্ষে, আপনিও তো লিখতে পারেন। একটা সিরাম আগুনঝরানো পোস্ট দিন না, সেখানে আমরা সবাই বজ্রকণ্ঠে নারা তুলি? নাহলে এই পোস্ট লেখিকার কপ আউট ধার করে বলতে হবে, আমাদের পারিপার্শ্বিক এত খারাপ কেনু কেনু কেনু?
আহা আমাদের দৌড় তো কোন মসজিদ পর্যন্ত সেটা যাচাইএর ব্যাপার আছে। আপনার দৌড় সম্পর্কে আমরা সবাই যেহেতু জানি, আপনিই এগিয়ে আসুন ভাইয়া। গহনার শিকার পুরুষের কাহিনী লিখুন নির্যাতনের রেফারেন্স সহ। আরেকজনের জন্য বসে থেকে কী লাভ বলেন? নইলে তো আমরা তো বলতে শুরু করবো রেফারেন্স ছাড়া আপনি কথা বলেন কেনু কেনু কেনু ?
বসিয়ে রাখবেন কেন, বলুন? আপনারা না যৌতুকের বিরুদ্ধে জেহাদে নেমেছেন? আর গয়নার বিরুদ্ধে একটা পোস্ট দিতে এত গড়িমসি? বিপ্লব করতে নেমে এত টিফিন ব্রেক নিলে হবে?
এক কথা বারবার বলতে হচ্ছে। প্রতিবাদে ভিক্টিমকেই এগিয়ে আসতে হবে সবার আগে।
আপনার ভাষ্যমতে মেয়েরা সবাই গহনার পক্ষে। তাদের কাছে প্রতিবাদ আশা করলে হবে কীভাবে ভাইয়া? প্লিজ যথোপযুক্ত রেফারেন্সসহ একটা গহনাযৌতুকবিরোধী পোস্ট দিন, আমরা ঢোলকরতাল বাজিয়ে সাপোর্ট দিব (রেফারেন্স ভ্যালিড হলে)।
টিফিন ব্রেকে আপনাকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য শক্তি সঞ্চয় করি বরং।
আপনার ভাষ্যমতে মেয়েরা যৌতুকের বিরোধী। আমিও তাই মেয়েদের কাছ থেকেই যৌতুকের বিরোধিতা দেখতে চাই। যৌতুকের এক দিকের বিরোধিতা নয়, দুই দিকেরই।
এই পোস্টটাকে কপিপেস্ট করে প্রতিবেশিনীর জায়গায় কলিগ, ননদের জায়গায় মেয়ের ভাবী বানিয়ে গুছিয়ে লিখলে আপনি রেফারেন্স হিসেবে মানবেন? এইখানকার রেফারেন্স কিন্তু চোখ বন্ধ করে ভ্যালিড হিসেবে মেনে নিয়ে ঢোলকরতাল বাজিয়েছেন। চিন্তা করে জানান।
মেয়েরা যৌতুকের যে অংশের ভিক্টিম (আপনার ভাষ্যমতে) তার বিরোধিতা করেছে। তো ছেলেরা যেখানে ভিক্টিম সেখানের প্রতিবাদও ছেলেরা শুরু করবে আশা করি।
এই পোস্টকে কপিপেস্ট করলে রেফারেন্স মানবো কেন ভাইয়া? এই পোস্ট তো চোখ বন্ধ করে ভ্যালিড হিসেবে মেনে নেইনি। চোখের সামনে প্রতিনিয়ত যা ঘটছে তাই দেখে মেনেছি। আপনিও এমন কিছু নিয়ে আসুন যা আমরা দেখছি চারপাশে, রেফারেন্স হিসেবে অবশ্যই মানবো।
তার মানে আপনি একটা দুধারি তলোয়ারের যে ফলাটা আপনার দিকে ফেরানো, সেটাকে চেঁচিয়ে ধারালো বলবেন, আর অন্যদিকটা নিয়ে চুপ করে থাকবেন, কারণ সেটা আপনার দিকে ফেরানো নেই? এটা কি ফেয়ার? বিশেষ করে আপনাদের ভূমিকাই যেখানে প্রত্যক্ষ এবং গুরুত্বপূর্ণ?
আপনার চোখের সামনে প্রতিনিয়ত যা ঘটে বলে ভাবছেন, সেগুলোর একটা বড় অংশ আপনার চোখের সামনে ঘটে না। সেগুলো আপনি জানতে পারেন মিডিয়ার কাভারেজের কারণে। আমরা কাগজে পড়ি, টিভিতে দেখি যৌতুকের জন্য মারপিট খুনাখুনি হয়। গহনা নিয়ে ছেলেদের ওপর যে পীড়নটা চলে, সেটা তো মিডিয়াতে আসে না। ছেলেরাও নিজেদের প্রেস্টিজের কথা ভেবে চুপ থাকে। আমি এক ভদ্রলোককে একটু আগে অনুরোধ করলাম আপনার কথা শুনে, তিনি ইন্টারভিউ দিতে রাজি হলেন না। বললেন, থাক এগুলো নিয়ে আর কথা না বাড়াই। উনি মার খাননি, এসিডেও পোড়েননি, কিন্তু ভুক্তভোগী তো বটেনই। ওনার কথা কাগজে আসেনি বলে কি ওনার নিগৃহাটা উবে যাবে?
আপনার কথা হচ্ছে, গহনা নিয়ে খুনজখম না হওয়া পর্যন্ত আপনি এর ক্ষতিকর দিকটা নিয়ে কথা বলতে নারাজ। তাহলে এই পোস্টে দেখুন তো, যৌতুক নিয়ে কি এখানে খুনজখম হয়েছে? হয়নি। কিন্তু আমরা কেন এটাকে খারাপ হিসেবে চিনতে শিখেছি? কারণ আমরা দেখেছি এর প্রান্তিক দিকটা কত ভয়াবহ আর এক্সট্রিম হতে পারে। এখন যদি যৌতুকের জন্য ফিজিক্যাল ভায়োলেন্সের পরিবর্তে মানসিক পীড়ন চালানো হয়, সেটা কি গ্রহণযোগ্য? এই পীড়নের কথা আপনি পত্রিকায় পড়েন না বলে কি সেটা ঘটে না? পত্রিকায় তো পোস্টম্যারিটাল রেইপের খবর আসে না, পত্রিকাতে তো ফোর্সড সোডোমির কথা আসে না, কিন্তু এগুলো কি ঘটে না?
আপনার টোন হচ্ছে, আমাদের ঝামেলা আমরা দেখি, তোমাদের ঝামেলা তোমরা দেখো। আমি এটারই আপত্তি জানাচ্ছি। ঝামেলাটা কোনো একটি পক্ষের না। যদি এক পক্ষের ঝামেলা হিসেবে দেখাতে চান, সেটা যে যৌতুকের বিরোধিতা আপনি করছেন, সেটারই পক্ষাবলম্বন হয়।
আমিও বলছি দুইটাই খারাপ , দুইটাই বন্ধ হওয়া উচিত। এবং গহনার ভিক্টিম হিসেবে যেভাবে আপনি শুধু ছেলেদের তুলে ধরছেন ঘটনা আসলে তা নয়। গহনাপ্রথার ভিক্টিম ছেলেদের চেয়েও মেয়েরাই বেশি। সেটা আপনার চোখে পড়েনি কারণ গহনার জন্য মেয়েদের উপরেও নির্যাতনটা হয় মানসিক। বিয়েতে বাপের বাড়ি থেকে গহনা কম দেয়া হলো কেন/ পুরনো ডিজাইন দেয়া হলো কেন/ ওটা দিলোনা কেন এসব বলে কোন মেয়েকে খুন করা হয়নি কখনও, কখনও পত্রিকার খবর হয়েও আসেনি।
কিন্তু তারপরেও দুইটার মাত্রা সমান নয় বলে দুইটাকে একই পাল্লায় তুলতে রাজী নই।
এই পোস্টের ঘটনায় খুনজখম ঘটেনি কিন্তু "প্রান্তিক দিকটা কত ভয়াবহ আর এক্সট্রিম হতে পারে" অভিজ্ঞতা থেকে আমরা সেটা জানি বলেই প্রতিবাদের ভাষাটা অনেক জোরালো। আপনার কাছে ছেলেদের উপর গহনাযৌতুক নির্যাতনের রেফারেন্স এজন্যেই চাওয়া যে গহনার জন্য "প্রান্তিক দিকটা কত ভয়াবহ আর এক্সট্রিম হতে পারে" সেটা আমাদের চোখের সামনে আসুক একটু।
অর্থাৎ একটা চর্চা এক্সট্রিমে যাবে, তারপর সেটাকে খারাপ বলবেন? তার আগে নয়?
যৌতুকের কারণে তো একদিনে মেয়েদের ওপর হামলা শুরু হয়নি। আপনার মতো করেই লোকজন ব্যাপারটাকে খুনজখম অঙ্গহানি পর্যন্ত গড়াতে দিয়েছে, "দেখিই না কতদূর কী ঘটে" লাইনে ভেবে। ভেবে দেখুন, এটা সুস্থ অ্যাপ্রোচ কি না।
আমরা তো আমাদের দেশে আগে কখনো ট্র্যানজিট দিইনি। তাহলে ট্র্যানজিটের কুফল কী হতে পারে, সেটা নিয়ে আগে চিল্লাচিল্লি করি কেন? চলেন ট্র্যানজিট দিয়ে রাস্তাঘাটের বারোটা বাজাই, বেশ্যাপাড়ায় ভারতীয় ট্রাকারবাহিত এসটিডি ছড়াতে দিই, বাতাস পানি জমি দূষিত হতে দিই, এক্সট্রিমগুলি দেখি, তারপর এটা নিয়ে কথা বলি, নাকি?
হিম্ভাই, লাভ নাই, উপরে কইলাম না? কেউ মরার আগে কারও শিক্ষা হয়না। কয়েকটা ছেলে সুইসাইড না খাইলে যৌতুক বলতে খালি মোটরসাইকেল বুঝবে সবাই। তারপর কেউ লেখা দিবে, তখন এরা বলবে, "অ!"
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
জ্বী ভাই। প্রায় ১০০বার বলা হয়ে গেছে আবারো বলি, মেয়েদের উপর যৌতুকের জন্য নির্যাতন আর ছেলেদের উপর যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মাত্রা সমান না বলে দুইটাকে এক পাল্লায় তুলবো না, তোলাটা মানবোও না। এবং আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে সেটা সমান হবেও না। ছেলেরা সুইসাইড খাবে, মেয়েরা মারবে, শ্বাশুরীশালিশালা মিলে মারবে, এরপর মানবো।
@হিমুঃ ট্রানজিটের জন্য ক্ষতিগুলো কী কী হতে পারে তার একটা ধারণা আমরা পাই অভিজ্ঞতা ও তথ্যের ভিত্তিতে। যেমন কোন রাস্তা কতটুকু লোড বহনে সক্ষম, কোন জায়গা কতজন মানুষের চলাচল ধারণে সক্ষম ইত্যাদি ডাটার ভিত্তিতে আমরা ধারণা করতে পারি ট্রানজিটের ক্ষতি সম্পর্কে। আপনি দয়া করে গহনাযৌতুকের শিকার পুরুষদের উপর অন্তত কী কী নির্যাতন হতে পারে তার একটা ধারণা দিন আমাদের (প্রকৃত ঘটনার রেফারেন্স যখন দিতে পারবেন না বলছেন)। নির্যাতন হয় নির্যাতন হয়, এভাবে ফাঁকা বুলি আওড়ালে তো কাজ হবেনা। কিছু ফ্যাক্ট নিয়ে আসুন।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
আমি পারিবারিক সূত্রে এক ভদ্রলোককে চিনি, যার স্ত্রী বিয়েতে উপযুক্ত পরিমাণে গয়না পাননি বলে ধারণা করতেন। সেই মহিলা আর তার মা মিলে ঐ ভদ্রলোকের জীবনটা আক্ষরিক অর্থে শেষ করে দিয়েছে। ভোর চারটায় তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে তুলে সেই মহিলা গঞ্জনা দেয়া শুরু করতেন। গয়নাগাটি দিয়েও তাকে শান্ত করা যায়নি। বছর চারেক ঘুমাতে না পেরে ভদ্রলোক যখন মোটামুটি মানসিক ব্রেকডাউনের মুখোমুখি, ব্যাপারটা তখন বিবাহবিচ্ছেদের দিকে গড়াতে যাচ্ছিলো। মুরুব্বিরা মহিলার শাশুড়িকে অনুরোধ করেন, তিনি যেন তার মেয়েকে এইসব কুবুদ্ধি দেয়া থেকে বিরত থাকেন। অনেক হাঙ্গামা শেষে ব্যাপারটা মিটমাট হয়। দীর্ঘদিন ঐ দম্পতির সাথে যোগাযোগ নেই, জানি না তারা এখন কেমন আছেন। তাঁকে পেলে অনুরোধ করে দেখবো, একটা অডিও ইন্টারভিউ তিনি দেন কি না। তবে তাঁকে যতটুকু চিনি, মনে হয় না তিনি রাজি হবেন। পুরুষেরা নিজেকে স্ত্রীর হাতে অত্যাচারিত হিসেবে প্রকাশ করতে রাজি হয় না সবসময়।
এই নিয়ে আমি একটা পোস্ট ফেঁদে বসতে পারি। এমনভাবেই লিখতে পারি যে আপনার মন দ্রবীভূত হবে। কিন্তু আমি সেটা করবো না, কারণ আমি দেখতে পাচ্ছি, আপনি মৃত্যু, অঙ্গহানি ছাড়া গয়নার অন্য কোনো ফিনোটাইপিক এফেক্ট স্বীকার করতে নারাজ। আপনি দুইটাকে এক পাল্লায় না চড়ানোর অঙ্গীকার করে কৌশলে গয়না নিয়ে এই নিপীড়নগুলিকে কার্পেটের নিচে চাপা দিয়ে যেতেই বেশি উৎসুক। আপনিও তো এই পোস্টের মেয়েটার মতোই সো-কল্ড শিক্ষিতা আর স্বনির্ভর, কিন্তু গয়নার পক্ষে লড়ে তো যাচ্ছেনই। বাংলাদেশের বাকি মেয়েরা কমবেশি আপনার মতোই, কে কী বোঝাবে আপনাদের? গ্রামে যে লোকের মা-বোন সাইকেলের জন্য ঘরের বৌকে পিটায়, তার সাথে আপনাদের মনোভূমির পার্থক্য বড় সূক্ষ্ম, শিক্ষা আর ক্যারিয়ার শুধু একটা প্রলেপ দিয়ে আলাদা করেছে আপনাদের। যৌতুক নিয়ে জেহাদ চালিয়ে যান আর হাবির গলায় পাড়া দিয়ে গয়না আদায় করেন, শুভকামনা রইলো।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
"ভোর চারটায় তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘুম ভাঙিয়ে তুলে সেই মহিলা গঞ্জনা দেয়া শুরু করতেন। " এই মহিলা তো সাইকো/ স্যাডিস্ট ! আর ভদ্রলোক সমাজের দুর্লভ প্রকৃতির মানুষ। (আপনি পোস্ট দেয়ার আগেই তো মন দ্রবীভূত হয়ে গেলো)
পরের ধনে পোদ্দারী করার লোভ ছেলে, মেয়ে দুই প্রজাতির মাঝেই আছে। কিন্তু আমাদের সমাজের প্রেক্ষাপটে এই লোভ চরিতার্থ করতে যেয়ে একটা মেয়ের উপর যতটুকু নির্যাতন চালানো সম্ভব ছেলের উপর তা নয়। সেজন্যই ঐ প্রান্তিক এফেক্টের কথা চিন্তা করেই মেয়েদের প্রতি যৌতুকদাবীর বিরুদ্ধে সচেতনতা এবং গলার জোর বেশি। আপনি কথাটা না তুললে এখানে গহনার ব্যাপারটা হয়তো হাইলাইটেড হতো না। সেজন্য ধন্যবাদ। কিন্তু আপনি যদি ধরে নিয়েই থাকেন মেয়ে মাত্রই গহনালোভী
এবং ছেলেপক্ষের কাছ থেকে সেটা আদায় করতে সংকল্পবদ্ধ তাহলে আর এতো কথা বাড়ানোর দরকার ছিলোনা। স্বতঃসিদ্ধ মেনে নিয়ে বসে থাকেন আর আপনার বউ এসে গলায় পাড়া দিয়ে গহনা আদায় করবে এই দুঃস্বপ্ন দেখতে থাকেন। আপনার জন্যও শুভকামনা।
আর একটা কথা, আপনি অ্যাডাম টিজিং এর বিরুদ্ধে আজকে থেকেই মাঠে নামেন ভাইয়া। কারণ আস্তে আস্তে করে আজকে ইভটিজিং এতো ভয়ংকর রূপ নিয়েছে, একসময় অ্যাডামটিজিং'ও এই পর্যায়ে চলে আসতে পারে, তাইনা? আগে থেকেই মাঠে নামেন আর রেফারেন্স কালেক্ট করা শুরু করেন। নির্যাতিত ছেলেরা পরে ইন্টারভিউ দিতে রাজী নাও হতে পারে।
অ্যাডামটিজিং কিন্তু চলমান ইস্যু। মাদ্রাসা, এতিমখানা এমনকি ভাসমান বালকেরাও অ্যাডামটিজিঙের শিকার। কিন্তু জিনিসটা আমাদের চোখে পড়ে না, কারণ এটা মিডিয়ায় আসে না বা এলেও খুব কম আসে। অতএব, আমরা এটাকে তর্কে প্রতিপক্ষকে বিদ্রুপ করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ফেলি। ভাবি, কীই বা এমন হয়? হয়তো দুই চারটা ছেলে গোয়ামারা খায়, সেটা কি ঈভ টিজিঙের মতো মিডিয়া কাভারেজ পেয়েছে নাকি যে পাত্তা দিবো?
মেয়ে মাত্রই গয়নালোভী না হয়তো, কিন্তু গয়নার প্রসঙ্গ ধামাচাপা দিতে যে বহুদূর তর্ক করতে রাজি, সেইটার পেছনে লোভ ছাড়া আর কী ফ্যাক্টর থাকতে পারে, বোঝার চেষ্টা করছি।
চলমান ইস্যু, কিন্তু হাইলাইটেড না। এটা নিয়েও প্রতিবাদ ইভটিজিং এর সাথে সাথেই হওয়া উচিত।
গহনার প্রসঙ্গ কেউ ধামাচাপা দিতে চাইছে না। কিন্তু আপনার নিজের একটা কিছু মনে হলো আর সেটা আরেকজনকে মাথা পেতে মেনে নিতে বললেন, এটা মানতে পারার তো কোন কারণ নাই। বহুদূর তর্কের পিছনে আপনার দেয়া "গহনালোভী" সাইনবোর্ড বহন করতে অনিচ্ছা দায়ী। আর কোন ফ্যাক্টর খুঁজে পেলে দয়া করে জানাবেন। আর রেফারেন্সসহ যৌতুকের জন্য পুরুষ নির্যাতন নিয়ে পোস্টটা দেবেন। ধন্যবাদ।
ইস্যুটা মিডিয়ায় হাইলাইটেড হয়নি, সেজন্য আপনি এটাকে বিদ্রুপের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে ফেললেন? সংকোচও হলো না?
গহনার প্রসঙ্গ আপনি এবং এই পোস্টের লেখিকা ক্রমাগত ধামাচাপা দিয়ে যাচ্ছেন। পয়েন্ট করে দিচ্ছি, পড়ে দেখুন:
১. মেয়েদের গয়নার প্রতি "বিশেষ দুর্বলতা" আছে, অতএব একে যৌতুক বলা যাবে না
২. মেয়ের বাপও মেয়েকে গয়না দেয়, অতএব ছেলের কাছ থেকে নেয়া গয়নাকে যৌতুক বলা যাবে না
৩. ডিভোর্স হয়ে গেলে গয়না মেয়েদের ইন্স্যুরেন্স হিসেবে কাজ করে, অতএব একে যৌতুক বলা যাবে না
৪. যৌতুকের কারণে মেয়েরা যে পরিমাণ শারীরিক অত্যাচারের শিকার হয়, ছেলেরা তা হয় না, অতএব গয়নাকে যৌতুক বলা যাবে না।
এগুলো সব কয়টাই বিগ টাইম কপ আউট। আপনার যৌতুকপ্রার্থীকে গালি দিবেন, আর নিজেদের গয়না আঁকড়ে ধরে বসে থাকবেন, এটা একটা স্পষ্ট দ্বিচারিতা আর স্ববিরোধিতা। এটা মাথা পেতে মেনে নেয়ার দরকার নাই, মাথা সোজা রেখেই মেনে নিন। মানতে পারছেন না বলেই তর্কের ত্যানা পেঁচিয়ে যাচ্ছেন, এবং সেই ত্যানা প্যাঁচানোর স্বার্থে অতি অনায়াসে অ্যাডামটিজিঙের শিকার হওয়া বালকদেরও বিদ্রুপের কামানের সামনে ঠেলে দিচ্ছেন।
আপনি ব্যাক্তিগতভাবে গহনালোভী কি নন, তাতে কিছু এসে যায় না, আপনার যুক্তিগুলো আসছে একটা গহনালোভী মেয়ের মুখ থেকেই। আপনি যদি সেই মেয়ের জুতোয় পা গলাতে না চান, তাহলে গহনার পক্ষে কেন কুযুক্তি দিয়ে যাচ্ছেন। গহনালোভী সাইনবোর্ডের নিচে দাঁড়িয়ে সেই সাইনবোর্ডের দায় নিতে অস্বীকার করাও তো ভণ্ডামি।
রেফারেন্সসহ যৌতুকের জন্য পুরুষ নির্যাতনের পোস্টটা আমি দেবো না। আমি ওটা আপনাদের কাছ থেকে আসতে দেখতে চাই। আমি দেখতে চাই, একটা মেয়ে যৌতুকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে স্পষ্ট হরফে লিখে জানাচ্ছে যে সে এই গয়নার সংস্কৃতিকেও ভিন্ন চোখে দেখে না, এবং একে সে সমান ধিক্কার জানায়। সেটা যদি আপনারা কেউ করতে না পারেন, তাহলে স্বীকার করবেন যে আপনারা যৌতুকের বিরোধিতা করছেন নিজেদের স্বার্থটা আগলে রেখে। শ্লুস।
অ্যাডাম টিজিং ইস্যুতে আপনি যে দিকটা তুলে এনেছেন এটা আমার মনে হয়নি। তাই এটাকে বিদ্রুপের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করায় আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
সামারী পয়েন্টগুলোর ৪নাম্বারের অর্ধেক আমি বলেছি, বাকিটুকু আপনার আরোপিত। "গয়নাকে যৌতুক বলা যাবেনা" বলিনি , বলেছি দুইটার জন্য রেসপন্স সমান হবেনা।
এবং আমি গহনার পক্ষে কোন যুক্তি দেইনি।
যথেষ্ট বলা হয়েছে। এবার আমিও "শ্লুস" বলি।
সমান রেসপন্স হবে না, অর্থাৎ, যৌতুককে গলার রগ ফুলিয়ে গালি দেয়া হবে, ওদিকে গয়নার কিচ্ছা যেমন চলছিলো চলতে থাকবে। মাথার পেছনে হাত ঘুরিয়ে ভাত খাওয়া আর কি।
আপনি তো উলটা বোঝাতে চাইছেন, বরং এখানে বলা হচ্ছে, যৌতুকলোভী আর গহনালোভী দুইদলেরই পশ্চাতদ্দেশে গদাম। আর আপনি উলটা বোঝাচ্ছেন গহনালোভীদের সাপোর্ট দিয়ে লোকজন এখানে যৌতুককে হালাল করার ধান্ধায় আছে? আপনি কোন পক্ষের?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
মাইন্ড নিয়েননা, একটা কথা কই। পাড়া পড়শি সমাজ বাদ দেন। আমার নিজের ভাই বউ সে আমাকে টাইট দেয়, কেন জানেন? আমি সংগত কারণে আমার সাথে যার বিয়ে হয়েছিল তারে ডিভোর্স দিয়ে আসছি। আমি সমাজে যেমন ক্যারিয়ারের মেয়েদের জন্য শাশুড়ি, পাত্র'রা মুখিয়ে থাকে সেই রকম সার্টিফিকেটধারী। আমি স্বনির্ভর, নিজের রোজগার আছে। তারপরেও আমার কথা শুনতে হয়।
ছেলেরা ডিভর্সের পরে ভোগে, রোগীর মত। সুস্থ'ও হয়ে যায়। মেয়েরা সারা জন্মের মত দাগী হয়ে যায়।
মানসিকতা না বদলাইলে,এই সমস্যা মিটবেনা। শিক্ষা, সার্টিফিকেট সব চুলায় জালায়া দিলে হয়তো জ্বালানী সমস্যা মিটবে।
আপনার এই ভোগান্তি কি বিয়েতে পাওয়া গয়না দিয়ে উপশম হলো কিছু?
ডিভোর্স নিয়ে এই পোস্টে আর প্রশ্ন না তোলাই ভাল। কারন আমাদের সমাজে অ/স্ব/অর্ধ/সু শিক্ষিত এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবেনা যারা ডীভোর্সী কোন নারীকে নিয়ে বাঁকা কথা বলেননি। বুকে হাত রেখে কেউ অস্বীকার করতে পারবেন?
আর গয়না? হ্যা। মেয়ে পক্ষ যদি গয়না বেশি না দেয়, তাহলে ছেলের বাড়ীর ঝি, ছেলের আত্মীয় (নিকট/ দূরবর্তী) কেউ'ই বউকে দুকথা শোনাতে ছাড়েননা।
আর সবচাইতে মজা হল, শিক্ষার সংগে এই রকম মানসিকতার কোন সম্পর্ক নেই।
আমরা জাতিগত ভাবে একজন নারীকে তার মেরুদন্ড গুড়িয়ে তারপর শিক্ষায়, অর্থনীতিতে স্বনির্ভর করছি।
অসধারন।
কষ্টের ব্যাপারটা কি জানেন, ছেলে বা মেয়েই শুধু নয়, তাদের মা-বাবা বা পরিবার তুলে গালি দিতে বা কথা শোনাতেও তাদের জিহ্বায় আটকায় না।
শাফি।
তখন পাল্টা জবাব মুখের উপর দিতে হবে।তবে যদি কিছু হয়।
লেখাটা একপক্ষীয়। কিছুটা প্রতিহিংসাপরায়নতার আভা পাওয়া যাচ্ছে। ইন ডেপথ এনালাইসিস এবং নিরপেক্ষ বিচার বিবেচনার পরিবর্তে খুব দ্রুত ভাসা ভাসা ঘটনা বর্ণনা করে কেমন যেন ঝাল মেটানোর প্রচেষ্টা। সম্ভবত এ কারনেই অনেকটা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার শ্রেণীয় যুক্তির সমাহার ঘটেছে লেখায়। গহনাপ্রীতির সংক্রান্ত ব্যাপারে অলরেডি বলা হয়ে গেছে, তাই ওপথে আর যাচ্ছি না।
>> নিজেকে সাপোর্ট/প্রটেক্ট করার জন্য "তুমি নিম্ন, আমি উচ্চ, কিন্তু তোমাকে জাস্ট ছেড়ে দিচ্ছি" এ জাতীয় একটা মনোভাব প্রকাশ করছে।
কিংবা
>> আমার ভুল হতে পারে, কিন্তু আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা - আমার ব্যাপার। সো আমাকে কিছু বলতে যাবেন না।
>> আমাকে কিছু বলবেন না, যদি বলেন তাহলে আপনি খারাপ। হুমকি দিচ্ছি।
যথেষ্ট সময় নিয়ে, চিন্তা ভাবনা, গবেষনা করে করা কম্পোজিশন নয় এটা। আরেকটু সময় নিয়ে ঝাল ঝাড়লে, কমা (,) র পর স্পেস দিয়ে পরবর্তী শব্দটি শুরু করলে, বা দাড়ির পর স্পেস দিয়ে পরবর্তী বাক্যটি শুরু করলে সেটা হয়ত কিছুটা কম বুঝা যেত। তারপরও লেখিকাকে সাধুবাদ বক্তব্য উপস্থাপন করার জন্য।
পপেল,
আপনার কোটেশনের সাথে আমি একমত নই। আমি যদি এরকম ভাবে চিন্তা করতাম তাহলে লেখাটা সচলায়তনের মতো জায়গায় পোস্ট করতাম না।আর সব বিষয় একটা লেখায় উঠে আসলে কোনো লেখক তার সারাজীবনে একটা লেখাই লিখত।
ধন্যবাদ আপু, এরকম লেখা আর আসা উচত। তথাকথিত ট্রেডিশন, উপহার- র নামে যউতুক চলতে পারে না। এগুল বন্দ করা উচিত। আর আমার মনে হয় এসব সার্টিফিকেটধারি ভুয়া শিক্ষিত লকেদের নাম ঠিকানাসহ উল্লেখ করা উচিত, যাতে সবাই একবার তার নাম ধরে ছি......ছি বলতে পারি। এসব ভুয়া শিক্ষিতদের সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলা উচিত। এদের সাথে ১টা রিক্সাওয়ালার কোন পার্থক্য নেই। শত ধিক্কার এসব ভুয়া শিক্ষিতদের..............................
এই ধরনের ব্লগ পড়তে মজাই লাগে। প্রচুর কমেন্ট হয় আর বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। হবে ও না। কেন হবে না বলি -
১। শিক্ষিত আধুনিকা মেয়ে ফেসবুক আর ব্লগে অনেক দেখি। তাদের একজনের সাথে কথা হচ্ছিল। তাকে বললাম, সোনার যা দাম এই জীবনে মনে হয় বিয়ে করা যাবে না। সে বলে, ভাইয়া পরে আরো দাম বেড়ে যাবে। এখনি কিনে রাখেন।
২। আরেকজনের কথা। বললাম দেনমোহর বিষয়ে তোমার কি ভাবনা? মেয়ের উত্তর, এটা তো দিতেই হয়, না দিলে কেমনে কি? আমি তারে যুক্তি দিয়া বুঝানোর চেষ্টা নিলাম, এটা এক প্রকার ছেলেদের কাছ থেকে যৌতুক নেয়ার মতন। শিক্ষিত মেয়ে বিয়ে করলে তাকে লাখ লাখ টাকা দিবো এমন চুক্তিতে কেন সই করতে হবে? তখন মেয়ে বলে, আপনের মতন লোক আমার ফ্রেন্ডলিস্টে থাকাটাই রিস্কি।
৩। দেনমোহর বিষয়ে আমার বাসার লোকজনের ধারনাটা ঐ মেয়ের মতন। আমি দেনমোহরের বিপক্ষে কথা বলায় আমাকে ধর্ম কর্ম মানি না বলে কথা শুনায় দেয়া হইল।
৪। ছেলেদের কথায় আসা যাক। ব্লগ-ফেসবুকে বেশীরভাগ সুশীল। বাস্তবে কতজন? আমি নিজেই না। আমার আশেপাশের মানুষজন/বন্ধুদেরকেও দেখি না। সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করতে কে না চায়? এতে অসুবিধা কি সেটা আমি বুঝি না। এরেঞ্জড ম্যারেজে ছেলে/মেয়ের মন বোঝার উপায় নাই। তাই মেয়েপক্ষ পয়সাওয়ালা ছেলে আর ছেলেপক্ষ সুন্দরী মেয়ে খুঁজতেই পারে এবং এভাবেই চলছে ...
"... আর এই লেখাটা পড়ে তাদেরই আতে ঘা লাগবে যারা ইনাদের সমগোত্রীয়।"...
আপনার লেখা পড়ে আমার আতে ঘা লাগতেই পারে, কারন আমি এখন ইঞ্জিনিয়ার । আর আপনার তীরটা সরাসরি ইঞ্জিনিয়ারদের দিকে- "আমার জানামতে সচলে অনেক ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন এই প্রশ্নটার জবাব আশাকরি তারা দিবেন।" ......
এখন আপনি বলেন কয়টা শিক্ষিত মেয়ে শুধু ছেলের শিক্ষা দেখে বিয়ে করে...তাদের ব্যাংক ব্যালান্স দেখে না ? ছেলের হাইট দেখে না ? তার মাথার টাক আছে কি না দেখে না ? তার কয়টা বাড়ি আছে দেখে না ?
আমি বিয়ে করতে পারতেছি না - কারন মেয়ের মায়ের মতামত- আমার বয়স মেয়ের তুলনায় যথেষ্ট কম! তার পাশে আমাকে বাচ্চা লাগে... উপরুন্তু আমার বাঙ্কের ব্যালান্স তো ফাকা !
আর কম বয়সি মেয়ে- শুধু ইঞ্জিনিয়ার কেন, সব ছেলেরাই চাই, ইন ফ্যাক্ট ছেলেরা না- ছেলের মায়েরা চায়...তীরটা শুধু ইঞ্জিনিয়ারদের দিকে কেন?
আপনি তো শিক্ষিত, আপনি কি একজন শিক্ষিত-টাক পড়া ছেলে বিয়ে করবেন? মেয়েদের গায়ের রঙের দিকে তাকালে তাহলে কেন শিক্ষিত ইঞ্জিনিয়ারদের দোষ ধরবেন?
এখন আপনি বলেন কয়টা শিক্ষিত ছেলে মেয়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে বিয়ে করে?তার সৌন্দর্য দেখে না?তার হাইট দেখে না ? তার গায়ের রং ? তার ফিগার ?তার ফ্যামিলি ?তাদের বাবার বাড়ি গাড়ি?
আর আমি এমন একজনকেই বিয়ে করতে চাই যে প্রকৃত পক্ষেই একজন শিক্ষিত ভালো মানুষ।
আর ইঞ্জিনিয়ার কথাটা ঘটনা প্রসঙ্গে এসেছে ।
তাহলে এই -
"আমার জানামতে সচলে অনেক ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন এই প্রশ্নটার জবাব আশাকরি তারা দিবেন"
ট্যাগ দেয়ার দরকার ছিল না।
এমন চমৎকার মন্তব্যগুলো আসার রাস্তা করে দেয়া লেখার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
লেখার থেকে মন্তব্যগুলো বেশি উপভোগ করলাম।
রিমা আপা লেখা খুবই ভাল হএছে। আমি সব সময় আপনার লেখার ভক্ত...।চালিেয় যান............
সচলায়তনে আপনার এই তিনটি লেখা ছাড়া আর কোনো লেখা প্রকাশিত হয়েছে?
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42490
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42558
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42593
এছাড়া আরও তিনটি লেখা আছে ।আরেকটা লেখার লিংক দিতে পারছি না ।ওটা ছিল ২৫ জুন,২০১০ নাম ‘স্বপ্নজাল’।
http://www.sachalayatan.com/guest_writter/41718
http://www.sachalayatan.com/guest_writter/39945
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/39582
ইমেইল চেক করেন প্লিজ।
ইমেইল চেক করে তো আমার খুশিতে লাফাতে ইচ্ছে করছে।
ধন্যবাদ সচলায়তন টিমকে।
আপু লেখাটা পড়ে অনেক ভাল লাগছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।সামনের দিন আপনার অনেক লেখা পাবো এই আশায় থাকলাম।
অভিনন্দন!!
আপু বোধ হয় হাচল হয়ে গেলো অভিনন্দন আপু।
অভিনন্দন!
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
এইটা তো বিয়ের আগে। কাহিনী তো শুরু হ্য় পরে।
"বাবা, গাধারাও বিয়ে করে?
হ্য বাবা গাধারাই বিয়ে করে"
পরের কাহিনীটার জন্য না হয় আরেকটা পোস্ট দেয়া হবে।
লেখা এবং মন্তব্য পড়ে অনেক কিছুই বোঝা গেল, লেখিকাকে ধন্যবাদ এরকম একটা লেখার জন্য। ভবিষ্যতে এরকম আরো ভাল ভাল লেখা আশা করছি ।
এক্ষেত্রে আমার কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আমার বাবা যখন দ্বিতীয়বার বিয়ে করে আমাকে এবং আমার মাকে ছেড়ে চলে যান যখন আমি প্রাইমারি স্কুলের গন্ডিও পেরোতে পারিনি। সেই থেকেই আমাদের একা একাই পথ চলা। একজন পুরুষের এইরকম কর্ম-কান্ডের কারণে অন্যান্য মানুষের জীবনে যে কি পরিমাণ দুর্ভোগ নেমে আসতে পারে তা আমি আমার জীবন থেকেই সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছি। সমাজ এক্ষেত্রে মা ছেলে কারো প্রতিই সদয় হয় না। আমাদের তারপর যে পরিবেশে থাকতে হয়েছে আমার মনে হয় তা গড়পড়তা "খারাপ" এর চেয়ে অনেকগুণ নিচেই হবে। আমার মায়ের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উপায় ছিল না, সেক্ষেত্রে আমাদের অপরের উপরেই নির্ভর করতে হয়েছে, অত্যাচারের মাত্রাটাও যে কারণে ছিল কয়েকগুণ বেশিই। আমি শুধু এগুলো দেখেই যেতাম, কিন্তু কিছু করার সামর্থ্য তখনো ছিল না। শুধু মনে মনে প্রার্থনা করতাম যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারি একদিন। সারাজীবন আমাকে আমার মায়ের ছেলে হিসেবেই ভেবে এসেছি, ভেবে যাব। লেখিকাকে ধন্যবাদ এই ব্যাপারগুলো সামনে নিয়ে আসার জন্য।
পড়ালেখার ব্যাপারে সবকিছু নিজেকেই একা একা ওই বয়স থেকেই ম্যানেজ করে নিতে হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে নিজের চেষ্টায় এমন একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলাম যেখানে পড়ার জন্য বাংলাদেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রীই মুখিয়ে থাকে। পাস করে বের হওয়ার পর চাকরীও জুটে গেল বেশ ভাল, মাকে নিজের কাছে নিয়ে এসে নিজেরাই আলাদা থাকা শুরু করলাম। কোন আত্মীয়-স্বজন কারো সাথেই আর কোন রকম যোগাযোগ রইল না।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষদিকে এসে একজনকে ভাল লেগে গেল। তাকে জানালাম, সেও তার পরিবারকে জানাল। তাদের কাছে কোন কিছুই গোপন করিনি, সবকিছু সরাসরিই জানিয়েছিলাম। তাদের কাছ থেকে যে উত্তরগুলো আসল, সেগুলোকে যদি এক লাইনে বলতে যাই, তাহলে বলতে হয় -
At the end of the day, I am just a dirty-blooded low-class piece of s**t
আমার তো বাকি সবার মত মোটা ব্যাংক ব্যালান্স নেই, আমার তো ঢাকায় গাড়ি-বাড়ি কিছুই নেই, বিয়ের সময় অত ভাল ভাল গহনা, শাড়ি এগুলো কিছু দেওয়ার মত সামর্থ্য তো আমার নেই। তার উপর আমার বাবার এই অবস্থা। অতএব, আমি মোটেই ভাল মানুষ না। আমাকে যে সংগ্রাম করতে হয়েছে এই পর্যন্ত আসার জন্য, আমার নিজের যে চেষ্টা, আমার নিজের যে চিন্তা-ভাবনা, আমার নিজের যে রুচি, আমার নিজের অর্জিত যে শিক্ষা - সেগুলো দিয়ে কি হবে? আমার যে গোড়াতেই গলদ!
তাহলে "ভাল মানুষ" কারা? তার বড় বোনের বিয়ে হয়েছিল আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক বড় ভাইয়ের সাথে, অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ। বিয়ের আগে একবার উনাদের মধ্যে ২-৩ ঘন্টা কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাতেই উনারা বুঝে ফেলেছিলেন যে উনি ছিলেন "ভাল মানুষ"। কিভাবে বুঝলেন? তার কারণগুলো ছিল -
১। বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ডিগ্রীধারী (ওই দিক থেকে আমার ডিগ্রীটাকে অবশ্য ভাল বলেই ধরা হবে হয়ত)
২। তার বাবা ব্যাংকের বড় অফিসার ছিলেন
৩। তাদের মোটা ব্যাংক ব্যালেন্স আছে
৪। তাদের ঢাকায় বাড়ি, গাড়ি সবই আছে
৫। বিয়েতে তারা প্রচুর গহনা, উপহার অনেক কিছু দেওয়ার সামর্থ্য রাখেন। পাড়া-পড়শীকে দেখানোর জন্যে লাগবে না?!?!?!
এগুলো শোনার পরেও অনেক, অনেক দিন আমাকে তার সাথে যোগাযোগ, তাদের বাসায় যাতায়াত সবই রাখতে হয়েছে, কারণ ও আমার উপর একটা ব্যাপারে নির্ভরশীল ছিল। যখন সেই নির্ভরশীলতা আর রইল না, সব রকম যোগাযোগের উপায়ই বন্ধ করে দেওয়া হল, ও নিজেই করল সেটা। তারা কিন্তু নিজেদেরকে উদারমনা, প্রগতিশীল, ভদ্র মানুষ হিসেবেই বিচার করেন। তারা সবাই ই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত, বিশিষ্ট রুচির অধিকারী, মানুষকে যথাযথ সম্মান প্রদান করেন। শুধুমাত্র সেটা যখন নিজেদের সাথে সম্পর্কিত কোন ব্যাপার হয়, তখনি বোধহয় এই ব্যাপারগুলো মাথায় থাকে না।
আপনার পোস্টে কিন্তু আমার গল্পের এই দ্বিতীয় ভাগটা উঠে আসে নি, উঠে এসেছে শুধু প্রথম ভাগটাই। এবং বাকি সবাইও যথারীতি সে অনুসারে তুলোধোনা করা শুরু করে দিয়েছে। যদি এবং কেবল যদি হিমু ভাই গহনার ব্যাপারগুলো না ধরতেন, তাহলে এর যে উলটো পিঠটা আছে সেটা উঠে আসত না। এই জন্যে হিমু ভাইকে হাজার বার ধন্যবাদ।
আমি জানি এখানে অনেকেই আছেন যারা নিজেদের মুক্তমনা, সুশীল, প্রগতিশীল, উচ্চ শিক্ষিত বলে দাবী করেন/করবেন। আমি নিশ্চিত তারাও এই একই রকম কাজই করবেন ।
আপনি কোন একটা মন্তব্যে বলেছিলেন, আপনি বিয়ে করবেন একজন শিক্ষিত ভাল মানুষকে। আমার খুবই জানতে ইচ্ছে করছে আপনার ভাল মানুষের সংজ্ঞাটাও কি ওই রকমই ? যদি প্রশ্নটা প্রাইভেসির ইনভেশন বলে মনে করেন তাহলে বলার কোন দরকার নেই, এবং আমি আগেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি।
@হিমু ভাইঃ অফটপিকঃ ভাইয়া আমি আপনাকে ফেবুতে অ্যাড করেছি, অ্যাক্সেপ্ট করে নিলে খুবই খুশি হতাম।
আপনাদের মতো যারা বিনা অপরাধে ভোগান্তির স্বীকার তাদের নিয়ে একটা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছে আমার আছে ।
আর একটা কথা ।বাবা বড় চাকুরে,তাদের বাড়ি গাড়ি ব্যাংক ব্যালেন্স সবই আছে।তার মানেই সে বাবার ছেলে আমার কাছে যোগ্য তা কিন্তু না।আমি তো তার বাবার সাথে সংসার করব না ।করব ছেলের সাথে।তাইতো আমার দরকার সে কেমন তা জানা।
আর হ্যাঁ,
অনেক মেয়েই আপনার দেয়া বিষয়গুলোকেই ছেলের যোগ্যতা মনে করে।তাদের এমন বিশ্রি মন মানসিকতা এবং চিন্তা ধারা থেকে বের হওয়া উচিত।আপনার গার্লফ্রেন্ডকে আপনি কেন ছেড়ে দিলেন?ভালোবাসেন বলে ? সে যদি আপনাকে ভালোবাসত তাহলে আপনার প্রতি তার কিছুটা হলেও শ্রদ্ধাবোধ থাকতো,আপনার পরিস্থিতিটা অনুধাবন করার চেষ্টা সে করত।সে হয়তো তার নিজের স্বার্থের জন্য আপনার সাথে দুটো মিষ্টি কথা বলেছে,আপনার সাথে ঘুরতে গেছে আর আপনিও কম গাধা না তা বুঝতেই পারেন নি।এখন হা-পিত্যেস করে মরছেন ।
হা হা, আপনার শেষের দিকের কথাগুলো পড়ে কিছুটা হাসি পেয়ে গেল, দুঃখিত।
আমার "গার্লফ্রেন্ড" চলে গিয়েছে বলে আমি হা-পিত্যেশ করে মরছি, আপনার মাথায় এটা কেন এল আমি তা বুঝতে পারছি না। আমার মন্তব্য পড়ে যদি তাই মনে হয়ে থাকে, তাহলে বলতে হবে আমি আপনাকে ঠিকমত বোঝাতে পারিনি।
আমি আবারো বলছি, আমাদের সমাজে একজন মানুষের যোগ্যতা বলতে গেলে সবাই ওই বিষয়গুলোকেই দেখে। এটা ছেলেদের ক্ষেত্রে যেমন সত্য, মেয়েদের ক্ষেত্রেও তেমনি সত্য। আমি আমার আশে পাশের অনেক ছেলেকেই বলতে শুনেছি, "আরে মেয়ে বিয়ে করব এমন, যেন মেয়ের বাবার অনেক যোগাযোগ থাকে, চেনাজানা থাকে। তাহলে আমার ক্যারিয়ারের জন্য অনেক লাভ হবে" । শুনে আমি শুধুই হেসেছি, কিছু বলার ছিল না। বলে যে শুধু আমার মুখের শক্তিটাই খরচ হবে, এছাড়া আর কিছু হবে না, তা তাদের আচরণ দেখেই বোঝা গিয়েছিল। এবং সত্যি কথা বলতে কি, এক সময় তারা তাদের পছন্দমত মেয়ে খুঁজে পাবেই। তারাও খুশি, মেয়েরাও খুশি, সমাজও খুশি ।
বিয়ের কথা নাহয় বাদই দিলাম, আপনি সাধারণভাবে চিন্তা করুন। আপনি খেয়াল করে দেখবেন, পরিবারে যে মানুষটির টাকা-পয়সা, সম্পত্তি যত বেশি, তাকে বাকিরা সবাই "ভাল মানুষ" হিসেবেই গন্য করে চলে ।
আর আমার ভালবাসার কথা বলছেন ? আমি যখন প্রথমবার ওই কথাগুলো শুনি, তারপরেও আমি পরবর্তী ২ বছর যোগাযোগ রেখে গিয়েছি, তাকে যথাসম্ভব তার ক্যারিয়ার বিল্ড-আপ করার জন্য সাহায্য করে গিয়েছি। তার প্রয়োজনে রাতের পর রাত জেগে থেকে তাকে সাহায্য করে গিয়েছি, পরেরদিন ঝিমাতে ঝিমাতে অফিসে যেতাম। হ্যাঁ, এটা স্বীকার করব যে মাঝে মাঝেই আমার কাছে সবকিছু অসহ্য লেগেছে, আমি বিরক্ত হয়েছি, কিন্তু তারপরেও ঠিকই রয়ে গিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে আমাকে ওই কথাগুলোই নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বার বারই শুনতে হয়েছে, আমি শুনে গিয়েছি। আমাকে যদি আবার আমার ওই সময়টা ফিরিয়ে দেওয়া হত, তাহলে আমি আবারো একই কাজ করতাম, এই ব্যাপারে আমার মধ্যে বিন্দুমাত্র কোন সন্দেহ নেই। সিদ্ধান্তটা সম্পুর্ন আমার নিজের ছিল, নিজের থাকবে, কাজেই এই ব্যাপারে সম্পুর্ন দায়ভার আমি নিজেই বহন করছি, করব। তাই "আমার গার্লফ্রেন্ড চলে গিয়েছে রে, মোর কি হবে গো" বলে হা-পিত্যেশ করার কোন প্রশ্নই আসে না।
আমার যে ব্যাপারটা খারাপ লেগেছে, "তা হল আমার বাবার রক্ত আমার শরীরে আছে, খারাপ রক্ত, তাই ভবিষ্যতে আমিও আমার বাবার মত খারাপ হয়ে যাব", "আমাকে তো বাবা-চাচা-মামা-খালু কেউ নেই, আমার পক্ষে তো স্বাভাবিক ভাবে ক্যারিয়ার বানানো সম্ভব না, ক্যারিয়ার করতে হলে তো আমাকে খুনোখুনি করতে হবে", "আমার মত ছেলের সাথে নিজেকে জড়ানো মানে তো নিজের হাতে নিজের পায়ে কুড়োল মারা, আমি যে বড্ড খারাপ", "আমার তো ঢাকায় গাড়ি নেই, বাড়ি নেই, গয়না-গাঁটি এসব কিছু দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তার উপর আমার ফ্যামিলির এই অবস্থা, লোকজনকে কি বলব, লোকজন (খালা, চাচী, মামী, ফুফু ইত্যাদি ইত্যাদি) তো নানা কথা শুনাবে" - এই মনোভাবগুলো । ভাল বাবা, ফ্যামিলি থাকলেই যদি ভাল মানুষ হওয়া যেত, তাহলে ছোটবেলা থেকে এত কষ্ট করার কি দরকার, কি দরকার "উচ্চ শিক্ষিত" হওয়ার, কি দরকার নিজের বিবেকে শান দেওয়ার? আমাদের তো তাহলে জন্ম থেকেই সবকিছু ফিক্সড অ্যান্ড ডিফাইন্ড।
কচলাকচলি কি পরিমাণ চলে এইবার বুঝতে পেরেছেন কি ?
আর হ্যাঁ, সে আমার সাথে কখনোই দুটো মিষ্টি কথা বলেনি, আমার সাথে কখনো ঘুরতেও যায় নি। "ভালবাসা" বলতে যে শুধু এগুলোকেই বোঝায় তা আমি বিশ্বাস করি না। যদি আপনি ভালবাসা বলতে শুধু এগুলোকেই বুঝে থাকেন, তাহলে বলব, আপনি "ইনফ্যাচুয়েশন" আর "ভালবাসা" কে এক করে ফেলছেন।
আরেকটা মজার ব্যাপার কি, জানেন? আপনি যে বিষয়গুলো দেখার কথা বললেন, যেমন "আমার দরকার সে কেমন তা জানা......আমি তো তার বাবার সাথে সংসার করব না......" - এই কথাগুলোও কিন্তু আমি তাদের সবার মুখ থেকেই প্রথম প্রথম শুনেছি । কিন্তু যেটা বললাম, আমরা সবাই নিজেদের মহৎ, উদার, প্রগতিশীল, চিন্তাশীল, মুক্তমনা অনেক কিছু দাবী করে থাকি, কিন্তু যখন নিজের স্বার্থে টান পড়ে, তখন কিন্তু একবিন্দু ছাড় দিতে চাই না , সেটা আমরা পুরুষই হই, বা নারী হই।
আর আপনার আরেকটি কথার উত্তরে বলতে হয়, হ্যাঁ, আমি গাধা, আসলেই অনেক বড় গাধা। যে কারণে "সুশীল" লোকদের কথা শোনামাত্রই হয়ত বিশ্বাস করে বসি। আমি জানি আমি মরার আগ পর্যন্ত এরকমই থাকব।
কি আর করব বলেন, আমি যে আসলেই অনেক বড় একটা গাধা ।
হা হা হা, অনেক মজা পাইলাম
Hats Off হিমু ভাই।
আমার প্রেমিকা এর মায়ের requirement হলো ছেলে ম্যজিস্ট্রেট হতে হবে, এবং ছেলের **** শহরে বাড়ি থাকতে হবে
এই জন্য আমার প্রেমিকা আমার কথা এখনো তার বাসায় বলার সাহস পায়নি, অথচ আমাদের সম্পর্ক ৪ বছর হয়ে গেল।
তার মানে আমি একটা ছেলে, কিন্তু আমাকে বিয়েতে যৌতুক হিসেবে একটা বাড়ি দিতে হবে, আর এখন তো ২০ লাখ টাকার কমে দেনমোহর হয় না। নাহ, বিয়ে করাটা মনে হয় এই জীবনে আর হবে না।
এরপর মেয়ের গা ভর্তি করে গয়না দেওয়া তো আছেই।
আসল কথাটা তো এখনও বলাই হয়নি যে আমার মা ডিভোর্সী। Breaking পরিবার ছেলে বিষয়ে একদিন তার পরিবারে কথা উঠেছিল। তো তাদের সরাসরি কথা হল এমন ছেলে তার বৌকেও divorce দেবে। হা হা হা।
আমি আমার প্রেমিকাকে অনেক বার বলেছি যে আমি বিয়েতে কিছু চাই না, যদি তার পরিবার থেকে কিছু দেয়, সেটাও আমি নিতে দেব না।
একটা সুতাও না। আর দেনমোহর যেটা ঠিক হবে, আমি সেটা বিয়ের দিনই দিয়ে দেব।তাই আমি যেন দিতে পারি, সেজন্য দেনমোহর কম হতে হবে।
শামীমা রিমা আপা, আপনি বলছেন আপনি কোন গয়না বা দেনমোহর নিবেন না, তাই আপনাকেই বলি, আমার কিছু একাডেমিক সার্টিফিকেট আছে, আমি শিক্ষিত কিনা জানি না, বয়সে আপনার সমান বা ছোটও হতে পারি, আমি breaking পরিবারের ছেলে। আপনি কি আমাকে বিয়ে করবেন?
তাহলে আমি আমার ফোন নাম্বার দেই, আপনি আমার সাথে কথা বলে দেখেন আমাকে ভাল লাগে কিনা, সরাসরি প্রেমের প্রস্তাব দিলাম, কিছু মনে করেন না।
এটা বলেন না যে আমি লুইস, কারন আমার প্রেমিকা থাকার পরও আমি আপনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছি। আমার প্রেমিকার সাথে আমার যে বিয়ে হবে না সেটা তো তার মায়ের requirement থেকেই বোঝা যায়।
আপনার শেষের দিকের কিছু মন্তব্যের কারণে আপনার পুরো মন্তব্যটাই কিছুটা হালকা হয়ে গিয়েছে বলে আমার মনে হল (হয়ত ভুল মনে করেছি, যদি তাই হয় তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)। যদি আপনি কোন একটা সিরিয়াস ব্যাপারে কথা বলতে চান, তাহলে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিরিয়াস থাকাটাই বোধহয় ভাল।
আপনি যেহেতু মেয়ের সাথে সংসার করবেন তার মায়ের সাথে না ।তাহলে শুধু শুধু লাফালাফি না করে ব্যাপারটা মেয়েকে বুঝিয়ে বলুন।বাবার জন্য ছেলে কেন শাস্তি পাবে।
আপনার লেখা ভালো লেগেছে, রিমা।
গয়না/ যৌতুক দুটোরই উত্থান সেই একই পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যাবস্থা থেকে। দুটো মানুষ, তাদের জীবন ই বিয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
তবে ঠিক বুঝছি না, ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলেদের অপমান করে এই পোস্টে কোথায় কি লেখা আছে যে রিএকশন টা এই পর্যায়ে যাচ্ছে। অন্তত "এই এই বললেন তো এখন আমাকে বিয়ে করে এটা প্রমাণ করেন" জাতীয় কথাবার্তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে।
কোন একটা অদ্ভুত কারণে আপনার মন্তব্যের জন্য লেখা জবাবটা আগের মন্তব্যের নিচে পড়ে গিয়েছে। আমি সেটা আবার এখানে দিয়ে দিচ্ছি।
হ্যাঁ, আপনার কথার সাথে আমি একমত। "এই এই বললেন তো এখন আমাকে বিয়ে করে এটা প্রমাণ করেন" জাতীয় কথাবার্তাগুলো একটু হালকাই শোনায়।
বোধহয় আমার আগের মন্তব্যটি আপনি দেখেছেন। আমার ওই মন্তব্য করার কারণ ছিল, সবাই বলেই যাচ্ছিলেন এক্ষেত্রে খোঁচা/কটু কথা শুধুমাত্র মেয়েদেরই শুনতে হয়। মুদ্রার একটি পিঠ নিয়েই সবাই বলে যাচ্ছিলেন, অপর পিঠেও যে কিছু ব্যাপার আছে সেটা মোটামুটি সবাই ই এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। যখন হিমু ভাই সেটাকেও টান দিয়ে নিয়ে আসলেন, তখন অনেকেই নানা রকম মন্তব্যও করেছেন। ছেলেরা নাকি এমনিতেই পার পেয়ে যায়, তাদেরকে কিছুই সহ্য করতে হয় না, মেয়েদের গয়না দিতে হয় কারণ মেয়েরা গয়নার প্রতি দুর্বল, মেয়ের বাবাও তো মেয়েকে গয়না দেয়, দেনমোহরের টাকা বেশি না হলে মেয়েদের কোথাও মুখ দেখানো যায় না ইত্যাদি ইত্যাদি :)।
আমার দুর্ভাগ্য/সৌভাগ্য, যেটাই হোক না কেন, মুদ্রার দুইটি পিঠই আমি দেখেছি, আমার নিজের জীবনেই। একজন পুরুষের এইরকম নীতি-বিবর্জিত কাজের কারণে তার স্ত্রী এবং সন্তানদের যে পরিমাণ দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমি নিজেই তার জলজ্যান্ত সাক্ষী। ঠিক তেমনি কোন মেয়ে, মেয়ের বাবা মা, আত্মীয়-স্বজন যখন এইসব ব্যাপার নিয়ে খোঁচাখুঁচি করে, যখন এইগুলোকে "ভাল মানুষ" যাচাই করার মানদন্ড হিসেবে ধরে, তখনও যে কি পরিমাণ খারাপ লাগে সেটাও আমি জানি :)। আমাকে যে কথাগুলো শুনতে হয়েছিল সেগুলো কিন্তু কোন পুরুষের কাছ থেকে আসেনি! আর হ্যাঁ, আরেকটা কথা বলতে চাই। যতদিন আমি উনাদের আমার এসব পারিবারিক ব্যাপারগুলো জানাইনি, ততদিন আমি তাঁদের সবার কাছেই খুব ভাল ছেলে ছিলাম। তাঁরা আমাকে তাঁদের "ঘরের ছেলে" বলেই গন্য করতেন। কিন্তু যখনি সবকিছু খুলে বললাম, তখনি তাঁরা বুঝে ফেললেন আমার মত খারাপ মানুষ এই দেশে খুব কমই আছে, যদিও তাঁদের সাথে আমার এর দেড় বছর আগে থেকেই পরিচয় ছিল । তাহলে সবকিছুই পুরুষদের উপর চাপিয়ে দিলে সেটা যদি আমার কাছে একপেশে বলেই মনে হয়, তাহলে কি আমাকে দোষ দিতে পারবেন ?
তাহলে দোষ কার? দোষটা এককভাবে নারী-পুরুষ কারোই না, দোষটা হচ্ছে মানুষের :)। আমরা অনেকেই নিজেদের মহান, উদার, প্রগতিশীল ভাবতে পছন্দ করি, সেরকম দাবীও করি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যখন আমাদের নিজের স্বার্থের ব্যাপারটা চলে আসে তখন কোন মানুষই সে ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে চান না, হোক না তিনি পুরুষ অথবা নারী।
যতদিন আমরা এই ব্যাপারটা মেনে না নিব, যতদিন এই রকম কোন একটা নির্দিষ্ট প্রজাতির উপর দায়ভার চাপাতে থাকব, যতদিন আমরা "মানুষ" হিসেবে চিন্তা না করে নারী-পুরুষ হিসেবে চিন্তা করে যাব, যতদিন আমাদের "ভাল মানুষ" যাচাই করার মানদন্ড হিসেবে বাবা-চাচা-মামা-খালু-ফুফা, ব্যাংক ব্যালান্স, প্রপার্টি, গয়না, স্যালারি এগুলোকেই ধরব ততদিন এই রকম ঘটনাগুলো ঘটতেই থাকবে, কখনোই থামবে না :)।
জাতি হিসেবে এতটুকু মহান বোধহয় আমরা এখনো হতে পারিনি।
(আমি বোধহয় সবকিছু একটু বেশিই বুঝি, অথবা একদমই বুঝি না। তাই আমার মন্তব্যগুলোর কারণে যদি কারো মনে আঘাত লেগে থাকে তাহলে তার জন্য আমি দুঃখিত। আমি আমার জীবনে যা যা দেখেছি, তার আলোকেই কথাগুলো বললাম।)
ভাই, "নারী অধিকার" নিয়ে কথা বলি বা সমানাধিকার চাই, এর মানে এই না যে সব মেয়েকে ধোয়া তুলসীপাতা বলতে চাচ্ছি। বা মেয়েদের পরিবারকে নির্লোভ সাজাতে চাচ্ছি। এবং যতদূর বুঝি, রিমা ও তা বলতে চান নাই। ওনার এক্সপেরিয়েন্সে ওনার কাছে যা মনে হয়েছে, সেটাই লিখেছেন। কিন্তু যা লেখেন নি, তার উনি হালাল করতে চান, এরকম বললে আমরা তো লেখকের উপর অবিচার করবো। আমি আমার পরিবারেই খোঁটা দিতে দিতে কারো জীবন অতিষ্ঠ করা দেখেছি, সুতরাং আপনার সাথে দ্বিমত নেই।
এ নিয়ে কথা বাড়ালে তো আবার বিশাল ইতিহাস হবে, নিজেকে সুপিরিয়র ভাবা - কারো চৌদ্দ পুরুষের ইতিহাসে কোনো দুর্বলতা পেলেই ঝাপিয়ে পড়া এগুলোও তো আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্যই। কেবল কি বিয়ের বাজারেই এই কথা সত্য! জাতি হিসেবে "মহান" না, একটু "বিবেচক" হলেই হয়ত উতরে যেতাম।
অবশ্যই পোস্টে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি বলেই যে আমি ধরে নিয়েছি তিনি এটাকে হালাল ধরে নিয়েছেন, আমি কিন্তু তা বলিনি। আমি পোস্টের মন্তব্যগুলোর কথাই বলছি। মন্তব্যগুলো পড়ে কেন যেন মনে হয়েছে দোষগুলো সব একদিকেই যাচ্ছে, এবং আরো অনেকেই সেগুলোকে ওইদিকেই নিয়ে যেতে চাচ্ছেন ।
হিমু ভাই বার বার বলেছিলেন, দেনমোহর, গয়না এইগুলোকে নিয়ে যে পরিমাণ কচলাকচলি চলে তা নিয়ে কেউ কিন্তু কখনো বলে না। সাথে সাথেই তার এই মন্তব্য নিয়েও অনেক মতামতই চলে আসল। সবার মোটামুটি বক্তব্য ছিল ওইটাই, যা সওয়ার সব মেয়েদেরই সইতে হয়। অনেকে এও বলেছেন এইগুলো তো পেপারে আসে না। তার মানে পেপারে আসে না বলেই সেগুলো খুব খারাপ নয়, জাস্ট খারাপ, পরোক্ষভাবে এটাও বলতে চেয়েছেন অনেকে। । আপনি যদি আগের দিকের কমেন্টগুলো পড়েন, তাহলেই আশা করি ব্যাপারটা পরিস্কার হয়ে যাবে। তবু একটা ব্যাপার দেখে ভাল লাগছে যে অন্ততঃ আপনিও ব্যাপারটা মানছেন যে এইগুলো নিয়ে যে কচলাকচলি চলে তাও কিন্তু কম খারাপ নয় ।
আর আমি আবারো বলব, "নারী", "পুরুষ" এইরকম ভেদাভেদ এই ক্ষেত্রে আমি করিনি। আমি আবারো বলব, আমরা মানুষ মাত্রই অপরের দুর্বলতা খুঁজে সেটাকে ব্যবহার করায় বেশ পারদর্শী, এবং "মানুষ" বলতে আমি নারী-পুরুষ দুই পক্ষকেই বুঝিয়ে থাকি ।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
প্রসঙ্গ কিভাবে এখানে আসল সেটাই বুঝতে পারছি না।
ধন্যবাদ আপনাকে।
পাঠক ,
সহমত
আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে আবার এলাম। এই পোষ্টে যে ক্ষোভটুকু উগরে দিয়েছেন আর তা থেকে ব্লগার হিমু'র মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য থেকে যে প্রতিক্ষোভ উঠে এসেছে, এটা খুব দরকার ছিল। এই ব্লগটা ঠিক কতজনের চোখে পড়বে, যাদের দেখা প্রয়োজন সেই ছেলে কিংবা মেয়ের সেই সাথে তাদের অভিবাবকদের চোখে পড়লে খুব ভাল হতো।
আমার প্রথম মন্তব্যে অলরেডী লুল উপাধি পেয়ে বসে আছি। তাই একটু বিরক্তি ও সংকোচ থেকে লিঙ্কটা দিলাম না। ডিভোর্স নিয়ে আমার একটা লেখা আছে, সেটা তথ্যমূলক না, সাবধানতা বানী সমৃদ্ধ সেই সাথে অভিজ্ঞতা সম্বন্ধ। এ অন্য এক অধ্যায়, যারা দেখেনি, কিংবা সামনে দেখে ডিল করেনি তাদের বুঝার কথা না (আপনাকে পড়ানোর ইচ্ছে আছে, হয়ত আপনার কোন লেখায় কাজে লেগেও যেতে পারে)। গহনা নিয়ে বড়সড় কথা বলা যাবে, যাচ্ছে। কিন্তু ডিভোর্সের পরে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ছেলের আর মেয়ের অবস্থা কোনক্রমেই এক নয়। ভেবেছিলাম ডিভোর্স শুধু সেই মেয়েটি পর্যন্ত ব্যাপৃত এখন তো দেখছি পরবর্তী প্রজন্মও এর ফল ভোগ করে।
আর যত মন্তব্য চালাচালি হচ্ছে (সবগুলো পড়িনি), এর মূলটাতেই আমি একমত নই, সেটা হলো, জোর করে চেয়ে নেয়া যৌতুকের সাথে এমনিতে দেয়া গহনা'র তুলনাটা শুরুতেই ত্রুটিপূর্ণ লেগেছে। তবে যে মেয়েরা চেয়ে নিচ্ছে তাদের জন্য যৌতুকলোভীর মত তার জন্যও সমান ঘৃণা।
প্রসঙ্গক্রমে বলি, আমার আগের মন্তব্যে খেয়াল করলে দেখতে পাবেন, তিনটি পাত্রীর কথা উল্লেখ্য করা আছে। আমি ঢালাওভাবে সবার সাথে কথা বলার পক্ষপাতী ছিলাম না। কিন্তু বাসা থেকে, এবং পাত্রীর বাবার কাছ থেকে ক্রমশঃ অনুরোধের (সরাসরি মেইল করার) কারনে একজন পাত্রীর সাথে ১৫-২০ মিনিটের কথোপকথনের প্রায় ৯০ ভাগ প্রশ্ন ছিল আমার বাবা কি করতেন? আমি যতভাবেই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি, তিনি ততবারই প্রশ্নগুলো তুলেছেন। একজন পাত্রীর সাথে প্রথমদিনে একাত্তরের যুদ্ধে পুরো কোম্পানী জ্বালিয়ে দেয়ার পর, একজন সর্বস্বহীন মানুষের পাঁচ ছেলে-মেয়ের মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য কি কি ব্যবসা করেছিলেন, আমি কে/কি/কেমন এটার চেয়ে সেগুলো কেন গুরুত্বপুর্ণ হলো বুঝিনি। ওহ, ভুলে গিয়েছিলাম,তার আগে আমি বলেছিলাম, আমি পি এইচ ডি করছি, বললাম এখানে অনেকেই ছাত্রাবস্থায় ফ্যামিলি মেইনটেইন করছে, স্টাইপেন্ড যা পাই, চলে যায়। উনি কিছুতেই না জেনে ছাড়বেন না আমি মাসে ঠিক কত ডলার হাতে পাই!
তো, বলেন এ ক্ষেত্রে কি রকম ভাবা উচিত? নাহ, আমি সবাইকে একই ভাবে ভাবছি না। ম্যাটেরিয়ালিস্টক কেউ কেউ তো থাকবেই। তবে সেটা আমার জন্য না। পাত্রীটি একজন ডাক্তার। যদি একজন ডাক্তারের (ইকোনমিক্যালি সিকিউরড পার্সন) চিন্তা-ভাবনা এমন থেকে থাকে, আর অন্য ক্ষেত্রে যাদের আপনি কি বলবেন?
আপনার আগ্রহ থাকলে আমার লেখাটি মেইল করে দিতে পারি।
আপনি একজন ডাক্তার মেয়েকে দিয়ে দুনিয়ার সব মেয়েকে বিচার করতে পারেন না । আবার ভাববেন না আমি নিজে ডাক্তার বলে তাদের সাফাই গাইছি ।
আপনি লেখাটা মেইল করেন
জলের ফোটা,
আপনি লেখাটা মেইল করেন ।
আমি লেখাটা পড়তে চাই।
মেইল করতে গেলে বলে Access Denied। আপনি দয়া করে আমাকে মেইল করলে আপনার আইডিটা আমি পেয়ে যাবো। পরে পাঠিয়ে দিব। আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।
shamima595@yahoo.com
শামীমা রিমা আপা,
মেয়ে সবই জানে, কিন্তু তার কথা হল সে পরিবারের অমতে কিছু করবে না
এখানে মেয়ের মায়ের requirement হল আমার **** শহরে বাড়ী থাকতে হবে।
আপনার কি মনে হয়না এখানে আমার কাছে যৌতুক চাওয়া হল?
তাছাড়া মেয়ের মায়ের আরো একটা requirement হল আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট হতে হবে!!!
আমি তো দেখি মেয়ে পক্ষ যে যৌতুক হিসেবে শুধু গয়না আর বাড়ী নিয়েই ক্ষান্ত হয় তা না, তারা যৌতুক হিসেবে তাদের পছন্দ মত চাকরীও চায়।
এবং এটা সর্বদা সত্য যে ছেলেদের যৌতুক হিসেবে একটা চাকরি দিতেই হয়।
আমি যে ব্যবসা করি তাতে আমি বাৎসরিক ৬০০,০০০ টাকা আয় করি, মাসে ৫০,০০০ দাঁড়ায়, এতে তাদের চলবে না, তাদের যৌতুক হিসেবে চাকরী চাই, তাতে বেতন যাই হোক না কেন।
এই চাকরী যৌতুকটা এখন সব ছেলেকেই দিতে হয়। আপনারা হয়তো বলবেন, ছেলের চাকরী না থাকলে মেয়েকে খাওয়াবে কি? কিন্তু যেক্ষেত্রে মেয়ে চাকরী করে, তাকে বিয়ে করতে হলেও কেন চাকরীজীবি ছেলে লাগবে? এক্ষেত্রে তো মেয়েই ছেলেকে খাওয়াতে পারে।
কিন্তু না সেক্ষেত্রে ছেলের আরো বড় চাকরি লাগে(মেয়ের চাকরি থেকে বড় চাকরী লাগে ছেলের), নাহলে বিয়ে হয় না।
তার মানে কি এই না যে, মেয়ে চাকরী করে তাই ছেলেকে যৌতুক হিসেবে আরো বড় চাকরী দিতে হবে?
শ্বশুর,শাশুড়ি, স্বামী যখন চাকুরিজীবি বউ এর বেতন চায় ( যদিও সে সংসারে অর্থনৈতিক অবদান রাখে), সেটা নিশ্চই যৌতুক না। তাইনা?
কথা ঘুরায়েন না। তর্কে কেউ বলতেসে না এইটা যৌতুক না। এইটাকে যৌতুক ধরে নিয়ে বলতে চাইতেসি যে ঐটাও যৌতুক। দুইটাই খারাপ। একটাকে বেশি হাইলাইট করে অন্যটারে পাশ কাটানোর প্রবণতা কোনভাবে কাম্য না।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ছেলেরা সবসময়ই চায় নিজেকে বেটার পজিশনে রাখতে। ছেলেরাই বউএর চেয়ে কম বেতনের/ নিচের পজিশনের চাকরী কম্ফোর্টেবল মনে করেনা। এটা আমার অভিজ্ঞতা। তবে আপনি যদি বলতে চান বউএর চেয়ে কম বেতনের চাকরী করতে/বেকার থাকতে কোন ছেলে কমপ্লেক্সে ভুগবে না তাহলে সেটা খুবই আনন্দের সংবাদ, অন্তত আমার জন্য ।
আর চাকরীকে যদি যৌতুক বলেন তাইলে ছেলেদেরই সংসারে বেশী কন্ট্রিবিউট করতে হয়, এটাকেও যৌতুক বলেন, নাকি?
বিয়ের পর সংসার কিভাবে কার বেতনে কার টাকায় চলে সেটা নিয়ে এখানে কথা হচ্ছে না
এসব নিয়ে কথা বললে এখন ভিন্ন প্রসঙ্গে টানতে হবে। ছেলের শহরে বাড়ি থাকতে হবে তাকে ম্যাজিষ্ট্রেট হতে হবে তার ব্যাংকে মোটা অংকের নগদ ক্যাশ থাকতে হবে।এসব মেয়ের বাবা মা এবং মেয়ের চাহিদা ।এগুলো অবশ্যই খারাপ ব্যাপার। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলের পরিবার এবং ছেলের নিজের চাহিদাও কিন্তু কম নয়।এসববের জবাব আমি অন্য একটি পোস্টে দিয়েছি ।
আর নিজের চেয়ে বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন স্ত্রী কিংবা স্ত্রী স্বামীর চেয়ে ভালো চাকরী করবে এমনটা ছেলেরা কখনোই মেনে নিতে পারে না। তাইতো বিয়ের ক্ষেত্রে যেমন মেয়ের বয়সের দিকে নজর থাকে তেমন তার যোগ্যতার দিকেও থাকে।কারণ আপনারা মনে করেন নিজেদের সংসারের সর্বময় কর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কম বয়েসী এবং কম যোগ্যতার মেয়ে দরকার ।
ছেলেদের যোগ্যতা মেয়েদের চেয়ে বেশি হবে সে সুযোগটা তো আপনারাই করে দিয়েছেন।
জনাব গাধা মানব,
এসব নিয়ে কথা বললে এখন ভিন্ন প্রসঙ্গে টানতে হবে। ছেলের শহরে বাড়ি থাকতে হবে তাকে ম্যাজিষ্ট্রেট হতে হবে তার ব্যাংকে মোটা অংকের নগদ ক্যাশ থাকতে হবে।এসব মেয়ের বাবা মা এবং মেয়ের চাহিদা ।এগুলো অবশ্যই খারাপ ব্যাপার। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে ছেলের পরিবার এবং ছেলের নিজের চাহিদাও কিন্তু কম নয়।এসববের জবাব আমি অন্য একটি পোস্টে দিয়েছি ।
আর নিজের চেয়ে বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন স্ত্রী কিংবা স্ত্রী স্বামীর চেয়ে ভালো চাকরী করবে এমনটা ছেলেরা কখনোই মেনে নিতে পারে না। তাইতো বিয়ের ক্ষেত্রে যেমন মেয়ের বয়সের দিকে নজর থাকে তেমন তার যোগ্যতার দিকেও থাকে।কারণ আপনারা মনে করেন নিজেদের সংসারের সর্বময় কর্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কম বয়েসী এবং কম যোগ্যতার মেয়ে দরকার ।
ছেলেদের যোগ্যতা মেয়েদের চেয়ে বেশি হবে সে সুযোগটা তো আপনারাই করে দিয়েছেন।
বাঙ্গালী কাজের চাইতে আকাইমা কথা কইতে ওস্তাদ। এই পোস্ট পড়লে যে কেই বিয়ে করতে ডরাইবো।
বাংলাদেশটা এখনো গ্রাম প্রধান। আপা এবং ভাইজানেরা দয়া কইরা একবার গ্রামের আসল চিত্রটা দেখে আসেন। রেফারেন্স লাগবেনা। যুক্তি তর্ক মুখে আসবেনা, যদি সত্যি চিত্রটা দেখে আসেন।
এই পোস্টে তো গ্রাম আলোচ্য না। দেনমোহর আর গয়নার প্রসঙ্গ উঠলেই সবার কেবলা গ্রামের দিকে ফিরে যায় কেন?
আমার মনে হয় গয়না কালচার, বিরাট অনুষ্ঠান করার কালচারের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ হওয়া দরকার| মেয়েদের ও এইসব মানসিকতার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে| ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিশ্চয়ই দেখেছেন, ফেসবুকে 'বাংলাদেশী ব্রাইডাল' জাতীয় গ্রুপগুলায় 'লাইক' এর সংখ্যা কত? পেপার-গুলো ও কম যায় না| নকশাতে দেখবেন খালি বউ-এর গয়না, মেক-আপ, সাজ-গোজের পরামর্শ, বিয়ের আয়োজনের পরামর্শ | এত কিছু করার টাকাটা আসবে কোত্থেকে? এইসবের মাধ্যমে মানুষের মনে ঢুকায় দেওয়া হচ্ছে যে এগুলা করতেই হবে| ফেসবুকে সবাই বিয়ের ছবি, গয়না-সাজ গোজের ছবি শেয়ার দিতে ব্যস্ত| লোক-দেখানোর একটা প্রতিযোগিতায় ঢুকে গেছি আমরা|
মেয়েরা চেয়ে গহনা নেয় এটা ঠিক না। আমার বান্ধবীর বিয়ে হলো কিছুদিন আগে। ওর শাশুড়ী মেয়েকে আংটি পরাতে এসে দেখেছে নাক ফুটো করা নেই। তাই সে নিজেই বলছে তাহলে তোমাকে নথ কিভাবে দেবো? নথ না পরলে কি আর বউ বউ লাগে? ঐ বিয়েতে আমি দেখেছি পুরো ছেলের বাড়ীর মানুষের গহনা প্রদর্শনী। মেয়ের বাড়ী থেকে ছেলেদের বাড়ীর জন্য দেয়া আসবাবপত্রের বাহার দেখে মনে হচ্ছিলো কোথায় এসে পরলাম! তবে কেউ কিছু চেয়ে নেয়নি। নিজেরাই দিয়েছে মানুষকে দেখানোর জন্য কার কত বেশী আছে এটা বুঝানোর জন্য। এখানে কাকে খারাপ বলবো? ঐ মেয়ের মানসিকতায় সমস্যা আছে বলবো নাকি ঐ ছেলের সমস্যা বলবো যেখানে প্রতিযোগীতা তাদের বাবা মায়ের ধন সম্পদ দেখানোতে?
মারদাঙ্গা টাইপের লেখা ম্যাডাম ।
চালিয়ে যান।
অনেক সময় নিয়ে মন্তব্যগুলি পড়লাম। গয়নাপ্রসঙ্গটা উত্থাপনের সাথে সাথেই শেষ হওয়া উচিত ছিল। একই কথা নিয়ে দীর্ঘ ত্যানাপ্যাচানিতে খুবই বিরক্ত হলাম।
বিয়েতে পণ দেওয়ার অর্থ মেয়েক্রয় করা বা লিজ নেওয়া, সেটা ছেলেপক্ষ থেকেই হোক আর মেয়েপক্ষ থেকেই হোক। এই কথাটা "শিক্ষিত" মানুষরা বহুদিন থেকে জানেন। মানেন না/মানতে পারেন না পারিপার্শ্বের চাপে এবং সেই পারিপার্শ্বটা হচ্ছে পুরুষতান্ত্রিক উপরিকাঠামো।অবকাঠামো বললাম না ১৯৮০ সালের পণ আদানপ্রদান বিষয়ক আইনের কারণে। অর্থাৎ পণ জিনিসটা রাস্ট্রের আইনে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত অনুশীলন হতে থাকা একটা বিষয়।
এখন কথা হচ্ছে এই নিয়মিত অপরাধ করার চাপ যে পারিপার্শ্ব দিচ্ছে তাকে কী কারণে এড়াতে কারো কারো কষ্ট হচ্ছে। এখানে কারো কারো বলতে শুধুমাত্র "শিক্ষিত" "সচেতন" টাইপ মানুষদের বোঝানো হচ্ছে। আমার মতে এর গড়পড়তা কারণ দুইটা
১. বাবামাভাইবোনআত্মীয়স্বজনের "আকাংখা"
২. ভারতীয় মিডিয়া বিশেষ করে উত্তর ভারতে ধোনকুবের পরিবারগুলোকে ভিত্তি করে তৈরী করা টিভি সিরিয়ালগুলি আর সেই সাথে "হাম আপকে হ্যায় কৌন", " হাম সাথ সাথ হ্যায়", "দেবদাস","হাম ঢিল দেচুকেসানাম" জাতীয় জঘন্য প্রতিক্রিয়াশীল সিনেমাগুলি। যেগুলি আবার আত্মীয়স্বজনদের ঐ আকাঙ্খা তৈরীর প্রধান অনুঘটকগুলির একটি।
আমার বুঝ মোটামুটি এইটুকই। এর বাইরের কথাবার্তা বাহুল্য মনে হলো।
অজ্ঞাতবাস
অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই, আমার বলতে চাওয়া কথাটা আগেই বলে ফেলায়।
আর বাকিটাও কোট!
আর গড়পড়তা কারণেও একমত।
মানুষ সমাজ দ্বারা অবশ্যই প্রভাবিত হয়, তবে সামাজিক ও পারিবারিক শান্তি বজায়ে রাখতে, বা স্রেফ অপ্রীতিকর বৈষয়িক আলাপ এড়াতে, বা তর্ক করে কালক্ষেপণ ও শক্তি অপচয়ে যাদের আগ্রহ নেই, সেই সকল নারী ও পুরুষ হয়তো বৈবাহিক অনুষ্ঠান সুসম্পন্ন হওয়াতক নতুন পরিবারের লোকজনের শপিং টু গেট ধরার টাকার পরিমাণে (এইটা আসলো না যে আলাপে?! নাকি এসেছিলো আমিই বিরক্তিতে লক্ষ্য করি নাই!) বৃথা গ্যাঞ্জাম (হ! গ্যাঞ্জাম অবশ্যই বিশেষ করে সাধারণ জ্ঞান বলে বর-বউয়ের আরও চৌদ্দটা চিন্তায় জর্জরিত থাকার কথা বিবাহের সময়ে!) করতে আগ্রহী না হয়ে তাড়াতাড়ি ঝক্কি সামলাতে চাইতে পারেন। এইটাও বিবেচনায় আনা দরকার দুই আলাপচারী পক্ষেরই।
আর যেসব পুরুষ এবং মহিলা উচ্চশিক্ষিত হয়েও সামাজিক চিন্তাভাবনার বাইরে দাঁড়িয়ে নিজের কী অপছন্দ আর পছন্দ সেটা স্পষ্ট করে বুঝতে বা অন্যকে জানাতে ব্যর্থ হয়, নিজে পরিবর্তীত হতে পারেনা, পরিবারের মানুষদেরকেও পরিবর্তনে বা সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যর্থ হয়, আর হয় কূটকচালি করে নাইলে ফিঁচফিঁচ করে কাঁদে, দুই পক্ষই বিরক্তিকর।
এর বাইরের সব কথাবার্তাই বাহুল্য মনে হলো।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন