আজকের দিনটা অনেক বড়, শেষ হচ্ছে না। সন্ধ্যার পর কোথাও দাওয়াত থাকলে ওর দিনটাকে আরও বড় মনে হয়। আজ ওর সবচেয়ে প্রিয় কলিগ লোরা আপুর মেয়ের জন্মদিন। না এসেও উপায় ছিল না। ঘরভর্তি মানুষ, সবাই কথা বলছে কেউ কারোটা শুনছে বলে মনে হচ্ছে না। ভিড়, হইচই ওর কোনকালেই পছন্দ না, ইদানীং তো একেবারেই সহ্য করতে পারে না। কথা যা বলে মনে মনে, নিজের সাথে।
হৃদি, একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছ, চল আমার লাইব্রেরি দেখবে – ওর পাশে এসে বলে শাহিন ভাইয়া,লোরা আপুর বর।
লাইব্রেরি তে ঢুকেই দেখে কে একজন আগে থেকেই বসে বই ঘাঁটছিল। হাতে হৃদিরই একটা বই, আপু এনেছিল পড়তে।শাহিন ভাইয়া ওদের দুজনের পরিচয় করিয়ে দিল। উনি রুদ্র,ভাইয়ার মামাতো ভাই। পেশায় আর্কিটেক্ট ।সম্ভবত হৃদির মতই মানুষের ভিড়ে অনভ্যস্ত। ওদের বসিয়ে রেখে ভাইয়া চলে যায়। যাওয়ার সময় বলে যায় “তোমার বই দুটো মনে করে নিয়ে যেও হৃদি”
হৃদি চুপচাপ বই ঘাঁটছিল, ভদ্রতা করে কিছু একটা বলা উচিৎ, কিন্তু ওর ভদ্রতা করতে ইচ্ছে হচ্ছে না।
এ বইটা আপনার? রুদ্রই প্রশ্ন করে ।বইয়ের উপরই হৃদির নাম লেখা আছে।
হুম, হৃদি মাথা নাড়ে
লেখাটা কার? বলে বই এর প্রথম পাতায় লেখা কবিতাটা পড়ল সে।
From childhood's hour I have not been
As others were; I have not seen
As others saw; I could not bring
My passions from a common spring.
From the same source I have not taken
My sorrow; I could not awaken
My heart to joy at the same tone;
And all I loved, I loved alone.
বাহ,কণ্ঠ তো চমৎকার, মনে মনে ভাবল হৃদি, মুখে বলল “এটা অ্যালান পোঁর কবিতা”।
সেটা জানি, হাতের লেখাটা কার?
আমার?
তাই, ডাক্তারদের লেখা এত ক্লিয়ার হয়?
কবিতা লেখার সময় হয়।
ওর উত্তর শুনে মুচকি হাসে রুদ্র, বাচ্চাদের পাকা কথা শুনে বড়রা যেভাবে হাসে।ওর রাগ হয় দেখে। হাসির কি হল এত!
বাসায় ফিরেই দেখে আম্মু কেন যেন রেগে আছে, আম্মুর অবশ্য ইদানীং রাগতে খুব একটা কারণ লাগে না।কি করবে বেচারি। সারাটা জীবন যুদ্ধ করেই গেল।সেই ছোটবেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে, কারও সাহায্য ছাড়াই ওকে মানুষ করেছে। তবু শেষ মুহূর্তে ওই তাকে হারিয়ে দিল। আম্মু সবসময় বলত একটা মায়ের জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক হল তার হাজার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তার মেয়েটাকে যখন তারই মত একটা জীবন কাটাতে হয়। একা, বোকা,অর্থহীন একটা জীবন। আম্মুর তো তাও সে ছিল।
ফ্রেশ হয়ে বারান্দায় দাড়ায় হৃদি। পাশের বাসায় ফুল ভলিউমে হিন্দি গান বাজছে। ইদানীং নতুন এক কালচার এসেছে, বাচ্চার জন্মদিনেও ডিজে পার্টি করে লোকজন। সুহানেরও এসব খুব পছন্দ ছিল, হয়ত এজন্যই ওকে পছন্দ হল না। কিন্তু পছন্দ করেই তো বিয়ে করল।তাহলে সেই ছেলে বিয়ের দুবছরের মাথায় ওরই আর এক বান্ধবীর সাথে সম্পর্কে জড়াল কি করে। ট্রেনের প্লাটফর্মে ঢোকার মত হুড়মুড় করে ওর মাথায় চলে আসে দিনগুলো। সুহানের রাত করে ফেরা, ঘন ঘন অফিস ট্যুর, মাঝে মাঝেই ফোন বন্ধ পাওয়া। “উফ, আর বোলনা যা একটা প্রেজেন্টেশন দিতে হল না!” ওর এসব উত্তরে হৃদি কি এতোটুকুও অসংগতি পায়নি খুঁজে? নাকি ইচ্ছে করেই চোখ বন্ধ করে ছিল। সবাই যে বলে ছেলেমানুষকে সারাক্ষণ চোখে চোখে রাখতে হয়।তবে কি ওরাই ঠিক। যাকে ভালবাসি তাকে অবিশ্বাস করব কেন, এভাবেই যে ভেবে এসেছে ও সারাটা জীবন। ভুল কি তাহলে ওরই ছিল?
ওর বান্ধবী রিয়া, ওর বর দেশের বাইরে। সেদিন রিয়ার জন্মদিন ছিল। হৃদি আর সপ্না মিলে ওকে সারপ্রাইজ দিতে দুপুরবেলা হাজির হয়েছিল রিয়ার বাসায়।সারপ্রাইজ অপেক্ষা করছিল হৃদির জন্য।হৃদিকে অবাক করে দরজা খুলেছিল সুহান। দৌড়ে রাস্তায় নেমেছিল হৃদি, তারপর সোজা মায়ের বাসায়। সপ্নাকে সব বলেছে রিয়া।ওদের সম্পর্ক গত ৬ মাস। সুহান তো ইচ্ছে করলেই রিয়া কে বিয়ে করতে পারত। তবে তখন কেন ওকে চেয়েছিল? হৃদি ভাবে, ভাবনার তল খুঁজে পায়না। ভাবতে ভাবতে গভীর এক কুয়াতে ও ঘুরপাক খায়, আলোহীন, শব্দহীন, বোধহীন এক কুয়া। মাঝে মাঝে নীচের থেকে মাধ্যাকর্ষণ ওকে টানে প্রচণ্ড জোরে, ওর ভয় হয় কবে ও চিরদিনের জন্য ওই কুয়াটাতে হারিয়ে যাবে। কেউ জানবেও না।
এরপর সুহান ক্ষমা চাইতে এসেছিল কয়েকবার। আত্মীয়স্বজনরাও বলেছে ছেলেমানুষ ভুল করতেই পারে, মাফ করে দাও। ও মাফ করে দিয়েছে, কিন্তু থাকতে চায়নি আর। উকিল নোটিশ পাঠানোর পর সুহান কিছুদিন খুব শাসিয়েছে “তোমার তেজ বেশি, তেজ কমাও” বলে।ও কিছুই বলেনি।বলতে ইচ্ছে হয়নি।
কেমন আছেন?- একমনে বই দেখছিল হৃদি,হটাত প্রশ্নে ঘুরে তাকায়,রুদ্র দাড়িয়ে সামনে।
ভাল, আপনি?
এইতো,বেচে আছি।
কিছু একটা বলা দরকার, কথা খুঁজতে থাকে হৃদি।
আপনাকে বিরক্ত করলাম খুব? ওকে চুপ থাকতে দেখে বলে রুদ্র।
না না, আমি আসলে কথাই খুব কম বলি।
এমন মেয়ে আছে নাকি পৃথিবীতে?
না থাকলেই হয়ত ভাল ছিল – হেসে উত্তর দেয় হৃদি।
কবিতা পছন্দ খুব?
পছন্দ বললে কম বলা হবে, কবিতা আমাকে বাঁচিয়ে রাখে।
আমি অবশ্য গদ্য প্রিয়, কবিতা বুঝি কম।- বলে হাসে রুদ্র। হাসিটাতে বিষণ্ণতা মাখানো।
কফি শপে ঢুকে কফির অর্ডার দেয় রুদ্র। হৃদি ভাবছে ও রাজি হল কি ভেবে। হুট করেই ওকে কফির দাওয়াত দেয় রুদ্র। ওর নিজের কাছেই বেখাপ্পা লাগছে এখন। চিনে না জানে না, ধ্যাত , কেন আসল। লোরা ভাবি অবশ্য রুদ্রর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সেইদিন পার্টির পর ওকে বলছিল রুদ্রর জন্য মেয়ে দেখতে, সাথে একগাদা সুনামও করেছে। কিন্তু যতই শুনুক, ছেলেমানুষ তো। এদের কে হৃদির চেয়ে ভাল আর কে চিনে?ও ছেলেদেরকে অবিশ্বাস করে তা না,ও আসলে নিজেকেই অবিশ্বাস করে ,আবার কখন ভুল করে বসে।
গান শুনছিল রুদ্র। pink floyd ওর শেষ আশ্রয়। গানটা ওর বুকের মধ্যে বাজছে। I wish you were here ..।হৃদি, দু অক্ষরের মনভুলানো একটা নাম। আজ হল কি ওর?ঘুরে ফিরে হৃদির চোখ দুটো ভেসে উঠছে চোখের সামনে। গত ১০ বছর ও কোন মেয়ের দিকে ভাল করে তাকিয়েই দেখেনি। কথা বলা তো দূরে থাক। অথচ আজ হ্যাংলার মত হৃদি কে কফির দাওয়াত দিয়ে বসে। আর সবচেয়ে ভয়ানক হল যে ঘটনাটা অনেক চেষ্টা করেও ও নিজের মুখে কাউকে কখনও বলতে পারেনি, আজ কি অবলীলায় সেটা এই প্রায় অচেনা মেয়েটাকে বলে ফেলল।
নিজের অজান্তেই অনেকক্ষণ আড্ডা দিচ্ছিল ওরা। এতটা সময় কোন মেয়ের সাথে আড্ডা দেয়া রুদ্রর জন্য অসম্ভবই বলা চলে। কিন্তু এই মেয়েটার সাথে কথা বলা কেন যেন খুব সহজ, ভাবতে হয় না,কথারা সব নিজে থেকেই চলে আসে। একসময় ও হৃদিকে প্রশ্ন করে হৃদি আবার বিয়ে করছে না কেন?ওকে লোরা ভাবি সেদিনই জানিয়েছে হৃদি ডিভোর্সি।
“আসলে মানুষের জীবনের প্রথম সুযোগটা সবচেয়ে সহজ আর স্বচ্ছ। প্রথম সুযোগটাতেই যে জট পাকিয়ে ফেলে তার জন্য পরের বার সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতোটুকু? চেষ্টা করা যায়, কিন্তু চেষ্টা করতে গিয়ে আমি আমার অবশিষ্ট মানসম্মানটুকুও হারাতে চাই না সবার কাছে”। হৃদি বলেছিল। একটু থেমে বলেছিল “আপনি বিয়ে করছেন না কেন?”
এমনি, পছন্দের কাউকে খুঁজে পাই না তাই।
পছন্দের কেউই ছিলনা?
ছিল। আমি তখন বুয়েটে ৩য় বর্ষে, ও মেডিকেলে। ১ বছর চুটিয়ে প্রেম করা বলতে যা বুঝায়, তাই করেছি। কোন সমস্যাই সমস্যা মনে হত না। বয়সটাই ছিল শরৎকালের মেঘের মত, উড়ে বেড়ানোর। তখন ড্রাইভিং শিখেছি নতুন, বাবার গাড়িটা নিয়ে বের হয়েছিলাম জয় রাইডে। ফেরার পথে সাভারে হটাতই কোত্থেকে এক ট্রাক এসে পড়ল। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই জ্ঞান হারিয়েছিলাম। ৩ দিন আই সি ইউ তে থেকে জেগে উঠেছি, কিন্তু রুলি আর জাগেনি। এরপর অনেকটা বছরের স্মৃতি আমার কিছু মনে নেই। সময় থেমে গেছে হয়ত,বছর ঘুরেনি তাই স্মৃতিও জমেনি। শুধু জানি বোধহীন ছিলাম, এখনও হয়ত আছি। মনে হত আমি একটা বায়ুশূন্য কাচের ঘরে আটকা পরে আছি। চারপাশে আনন্দ , দুঃখ, রাগ, হতাশা আরও অসংখ্য সব অনুভূতিরা ঘুরপাক খাচ্ছে,আমি সব কিছুর মাঝে থেকেও সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন। রুলির মৃত্যুটা আমার জন্য আনাস্থেসিয়ার কাজ করেছে, কোন ব্যথাই আর গায়ে লাগে না, কোন দুঃখকেই আর দুঃখ মনে হয় না”। - কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে ফেলেছিল রুদ্র। অনেক অনেক দিনের জমানো কথা, বলতে যেয়েও বলতে পারেনি প্রিয়তম বন্ধুকেও, ওর বুকটা ইদানীং বড় বেশি ভারী হয়ে গিয়েছিল। “আসলে এসব বলে”- হটাত রুদ্র কথা থামিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। হৃদি কাঁদছে, ওকে কাঁদলে এত সুন্দর লাগে,ভাবছে রুদ্র।আজব মেয়ে তো, অন্যের দুঃখে কেউ এত কাঁদে বোকার মত।
হৃদির ওই কান্না ভেজা চোখ দুটোই ও সরাতে পারছে না সামনে থেকে। ওর কেবলই মনে হচ্ছে ওর অনেক বছরের জমানো কান্নাগুলো আজ হৃদি কেঁদে দিয়েছে।
“তোমার জন্য থাই-সুপ নিয়ে এসেছি” দরজা খুলতেই হৃদি জড়িয়ে ধরে আম্মুকে, সেই পুরনো দিনগুলির মত। আম্মু সাথে সাথে কেঁদে দেয়। কাঁদুক, আজ হৃদিও কেঁদেছে।অনেকটা দিন ও কান্না লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে।তারপর সত্যি সত্যি একদিন হৃদি কাঁদতেই ভুলে গেছে। ও ভাবত ওর চোখেই কোন সমস্যা, অ্যাকুয়াস হিউমার শুকিয়ে গেছে, অথবা অশ্রু-নালি বন্ধ হয়ে গেছে, আজ আবার এত অশ্রু কোত্থেকে এলো তবে! শাওয়ার শেষে অনেকক্ষণ আয়নার সামনে দাড়িয়ে থাকে হৃদি, আগে যেটা ছিল ওর প্রিয় বদভ্যাস। আজ হটাত করেই কেন যেন পৃথিবীটাকে খুব হালকা মনে হচ্ছে, খুব সুখী হতে ইচ্ছে হচ্ছে আবার, বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছে হচ্ছে, জোরে গান শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে, প্রিয় কবিতাগুলো বের করে পড়তে ইচ্ছে হচ্ছে, ছাদে গিয়ে নাচতে ইচ্ছে হচ্ছে, অনেক অনেকক্ষণ বসে কাঁদতে ইচ্ছে হচ্ছে।
অনেকটা সময় ও নিজেকে নিয়ে বুঁদ হয়ে ছিল। নিজের কষ্টগুলোকেই ওর সবচেয়ে বড় মনে হত।ও কারো দিকে ফিরে তাকাত না, এমনকি আম্মুর দিকেও না। ও ভুলে গিয়েছিল পৃথিবীটা আসলে অনেক সুন্দর। বেচে থাকাটাকে অর্থহীন লাগত। আজ অনেক অনেক দিন পর ও অন্য কারো জন্য কাঁদল,অন্য কারো দুঃখে,যে দুঃখের স্বরূপ ওর জানা নেই। রুদ্র যদি এত দুঃখ চেপেও এত সুন্দর করে বাচতে পারে ও কেন পারবে না। রুদ্র কে দেখে ওর নিজেকে খুব বোকা আর তুচ্ছ মনে হচ্ছে।
এর পরের গল্পটা অনেক তাড়াহুড়োর। হৃদি আর রুদ্র এরপর প্রতিদিন দিনশেষে একসাথে কফি খেয়েছে, অল্প কয়েকদিনেই ওরা একজন আর একজন কে বলে দিয়েছে জীবনের অর্ধেকেরও বেশি গল্প। ওদের কথা খুঁজতে হয় না, কোনটা রেখে কোনটা বলবে মাঝে মাঝে বরং তাই ভাবতে হয়। ওদের দিনগুলো শরতের মেঘের মত হালকা, ফুরফুরে না হলেও বসন্তের মত স্নিগ্ধ, শান্তির,ভাললাগার।
তারপর হটাতই একদিন রুদ্র ওকে বলে বসে “আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই হৃদি,সারাজীবন তোমাকে পাশে চাই,শুধু বেচে থাকতে না, বাচার মত করে বাচতে। ” হৃদি প্রথমে ছোটখাটো একটা চিৎকার দেয়, তারপর রুদ্রকে জড়িয়ে ধরে অঝোর ধারায় কেঁদে দেয়,সেইদিনকার মত। রুদ্র শক্ত করে ধরে রাখে হৃদিকে। আর সশব্দে ভেঙ্গে যায় সেই কাচের দেয়ালগুলো, যা ওকে সব অনুভূতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল। জমাট বাধা শক্ত দলাটা যেটা বুকের উপর চেপে থাকত, গলে গিয়ে জল হয়ে নেমে আসে চোখ থেকে। আনন্দ, সুখ, কষ্ট , ভালবাসারা ভিড় জমায় চারপাশে। ও মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে “ আমি আর কখনও কোন কুয়াতে ঘুরপাক খেতে দিব না তোমাকে,হৃদি,তুমি কখনই হারিয়ে যাবে না "
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বেচে থাকার দীর্ঘ পথে আমরা মাঝে মাঝেই হোঁচট খাই,ভুল করে ঢুকে পড়ি কোন অন্ধ গলিতে, অথবা পথ হারিয়ে ঘুরপাক খাই কোন কুয়া অথবা কাচের বদ্ধ ঘরে। আমরা ভাবি, এই বুঝি শেষ, কিন্তু আবার কোন এক অদৃশ্য সুতোর টানে আমরা ঠিকই উঠে দাড়াই, পথ খুঁজে নেই, হেটে চলি গন্তব্যের দিকে। হাজার দুঃখের মাঝেও লড়াই করে বেচে থাকি আবার কখনও স্বপ্ন দেখব বলে। কারণ দুঃখ যত বড়ই হোক তা সবসময়ই স্বপ্নের কাছে হার মানে।
মন্তব্য
শিরোনামটা বেশ পছন্দ হলো বলে পড়তে শুরু করলাম।
হয়তো খানিকটা রুটিনড সমাপ্তি, তবু গল্প ভাল লেগেছে। বিশেষ করে লেখার ধরন।
টাইপো সমস্যা আছে কিছু, শুরু থেকে শেষেও।
বায়ুশুন্য> শূন্য।
ধুসর > ধূসর জলছবি।
লিখতে লিখতেই নিশ্চয়ই দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। কিপিটাপ।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
অসংখ্য ধন্যবাদ, আসলেই আমার টাইপে সমস্যা আছে। এখনও অভ্যাস হয়ে উঠেনি ।
পিংক ফ্লয়েড শেষ আশ্রয়
ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ । আমার শেষ আশ্রয় pink floyd ,তাই লিখে দিলাম ।
কেমন গোলমাল পাকিয়ে গেল
আমিই বোধহয় পাকিয়ে ফেলেছি ।
ধন্যবাদ তিথিডোর, আমার টাইপে আসলেই সমস্যা আছে। অভ্যাস হয়ে উঠেনি এখনও ।
অসংখ্য ধন্যবাদ তানিম এহসান। আমার শেষ আশ্রয় pink floyd. তাই লিখলাম ।।
রাফি ভাইয়া , গোলমাল কেন, আমিই হয়ত পাকিয়ে ফেলেছি।
কিছু কিছু বানান ভুল ভীষণ চোখে লাগল। এমনিতে গল্প খারাপ লাগেনি
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
ধন্যবাদ , আমার আরও সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল ।
ভালো লেগেছে লেখাটা ধূসর জলছবি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বন্দনা ।
নতুন মন্তব্য করুন