অস্ট্রিয়ান বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ইম্পিরিয়াল অস্টেন্ড কোম্পানি ১৭১৭ সালে ভারতের সাথে ব্যবসার পত্তন করে। প্রথম প্রথম লাভ করে ঠিকই কিন্তু মাত্র চোদ্দ বছর পরে ইংরেজের চড় খেয়ে তারা ভারত থেকে কেটে পড়তে বাধ্য হয়। নিচের অংশটি ১৮১২ সালে প্রকাশিত ডেভিড ম্যাকফারসন লিখিত “The History of the European commerce with India” এর কিছু অংশের ভাবানুবাদ।
…..........................................
১৭০০ থেকে ১৭১৩ সালের স্পেনের গৃহযুদ্ধের পর হল্যান্ড অস্ট্রিয়ান শাসনের আওতায় পড়ে। নতুন সম্রাট ঠিক করেন অস্টেন্ড কোম্পানীর নামে দুটি জাহাজ ভারতে পাঠিয়ে দিতে, মেলা মালবোঝাই করে তারা ফিরে এলে অন্যান্য অস্ট্রিয়ান ব্যবসায়ীরাও উৎসাহিত হয়। তারা সকলে জোট বেঁধে সরকারি ফরমান বের করতে উদ্যত হয়, ভিয়েনার কোর্ট থেকে সম্রাটের সইওয়ালা চার্টার তারা বের করে আনে। গঠিত হয় অস্টেন্ড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী।
ঝামেলা লাগতেও দেরি লাগেনা, ১৭১৮ সালের ডিসেম্বরে আফ্রিকার ঊপকূলে তাদের মালবোঝাই কার্গো আটক করে ওলন্দাজ কোম্পানি। অস্ট্রিয়ান সম্রাট এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সকল ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণ দাবী করলে ওলন্দাজ তার জবাবে মাঝ-সাগরে আরেকটা অস্টেন্ড জাহাজ জব্দ করে। জাহাজের অস্ট্রিয়ান ক্যাপ্টেন উইন্টার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে পালিয়ে যান, পথে পড়ে গজদন্ত আর স্বর্ণচূর্ণবোঝাই ওলন্দাজ জাহাজ। ক্যাপ্টেন ওই জাহাজ দখল করে অস্ট্রিয়ার পথ ধরেন। এইরকম চোর পুলিশ খেলার মধ্য দিয়ে দুই প্রতিবেশী দেশ বাণিজ্য চালাতে থাকে।
১৭২০ সালে পাঁচটি অস্টেন্ড জাহাজ যাত্রা করে, পরের বছর আরো ছয়টি। তিনটে যায় চীনে, একটা মোকায়, একটা সুরাট আর একটা বাংলায় পাঠানো হয়। ওলন্দাজদের হলদে ভুরু ব্যাপক কুঁচকে যায় এতে, তারা একটা জাহাজ আটক করে হেগ শহরে নিলামে বেচে দেয় মালসুদ্ধ। এদিকে এক ইংরেজ জলদস্যুর পাল্লায় পড়ে মাদাগাস্কারের কাছে অস্টেন্ড কোম্পানি খোয়ায় আরেকটা ভারতীয় মালবোঝাই জাহাজ। এত যন্ত্রনার মধ্যেও যখন অস্টেন্ড ঊপকূলে চারটে জাহাজ এসে হাজির হয় তখন মালের পরিমান ও গুণাগুণ দেখে ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যেতে মনস্থ করে।
নতুন কোম্পানী গজিয়ে উঠতে দেখে ইংরেজ ভারি বিরক্ত বোধ করে, তারা ১৭২১ সালে পার্লামেন্টে আইন পাশ করে ইংরেজ ডমিনিয়নভুক্ত এলাকা থেকে স্মাগলিং এর উপর চড়া শাস্তি বসায়। কয়দিন পরে আইনে কোন লাভ হচ্ছেনা দেখে আরেকটা আইন পাশ করে সকল কর্মকর্তার জন্য অস্ট্রিয়ান কোম্পানীর সাথে সবরকম লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়। আইন অমান্যকারীকে ধরে তার যাবতীয় ধনসম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সোজা ইংল্যান্ড চালান করা হত শাস্তি দেওয়ার জন্যে।
এদিকে অস্টেন্ড কোম্পানী পরের বছর বাংলার উদ্দেশ্যে একটা জাহাজ পাঠায়, ওখানে মহান মোগল সম্রাট তাদের একটা কুঠি আর দূর্গ গড়ার পরোয়ানা দিয়েছিলেন। এই জাহাজে মোগল সম্রাটের উপহারস্বরূপ ছয়টি মনোগ্রামখচিত কামান পাঠান অস্ট্রিয়ান সম্রাট।
কোম্পানী চার্টারপ্রাপ্ত হয়, অ্যান্টওয়ার্পে ১১ই অগাস্ট সাবস্ক্রিপশন ছাড়া হয় ব্রাসেলস, অস্টেন্ড, নিউপোর্ট, গেন্ট আর বার্জেসের ব্যাংকারদের মাঝে। প্রতিটি শেয়ার বারো থেকে পনেরো পার্সেন্ট প্রিমিয়ামে বিক্রি হয়।
ওলন্দাজ ইস্ট ইন্ডিয়া আর ওয়েস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী রেগে ফুলতে থাকে, নতুন কোম্পানীর সকল জাহাজ গুঁড়িয়ে দেবার অনুমতি চায় তারা সদর দপ্তরে। ফ্রান্সের রাজাও ব্যাপক রাগ করেন, অস্টেন্ড কোম্পানীর সাথে ফরাসী নাগরিকের লেনদেন নিষিদ্ধ করা হয়। ১৭২৪ সালে স্পেনের রাজাও কোম্পানীর নিন্দা করেন। এত কেষ্টবিষ্টুকে খেপিয়ে তুললেও তাদের ব্যবসা কিন্তু মন্দ চলছিলোনা, ইয়োরোপ আর ভারত দুজায়গাতেই লাভ হচ্ছিলো। তাদের বেশিরভাগ কর্মচারী অন্যান্য কোম্পানী থেকে উচ্চবেতনে ভাগিয়ে আনা অভিজ্ঞ লোক, তারা তাদের কাজ জানত।
সম্পূর্ণ কাকতালীয় একটি কারনে তাদের ব্যবসা আরো পোক্ত হল। সারা জীবনের শ্ত্রু স্পেনের রাজা ফিলিপ আর অস্ট্রিয়ার সম্রাট রাজনৈতিক কারনে আবার ভাই ভাই হবার সিদ্ধান্ত নিলেন। সই হল একগাদা চুক্তি, তাদের মধ্যে একটি ছিলো “বাণিজ্যিক বন্ধুত্বমূলক” সন্ধি। সন্ধি অনুযায়ী, দুদেশের জাহাজ একে অপরের বন্দরে থেমে কোক-চিপস কিনতে পারবে এই শর্তে যে, তারা বন্দরে কোন মাল পাইকারি কিনাবেচা করবে না। এর ফলে চীন থেকে অস্ট্রিয়ামুখী জাহাজের ভারতীয় স্প্যানিশ বন্দরে থেমে রসদ কিনার উপায় হল।
স্পেন-অস্ট্রিয়ার এই চরম দোস্তী দেখে শংকিত হয়ে ব্রিটেন, ফ্রান্স আর প্রাশিয়ার রাজারা পালটা চুক্তি করলেন। চুক্তি অনুযায়ী নিজেদের বন্দরে স্প্যানিশ বা অস্ট্রিয়ান জাহাজ পাওয়া গেলে পিটিয়ে তক্তা বানানোর প্রস্তাব আনন্দের সাথে পাশ হল।
কূটনৈতিক চাল যেমন চলছিলো কোম্পানীও ফুলেফেঁপে উঠছিলো, শেয়ারের মুল্য পরিশোধ হবার পরে আরো ৩৩.৩৩ শতাংশ হারে ডিভিডেন্ড প্রদান করা হল। কিন্তু শেয়ারহোল্ডাররা চিন্তিত ছিলো কোম্পানীর ভবিষ্যত নিয়ে, মহাশক্তিমান তিনটে জাতের বিপক্ষে টিকে থাকা কম কথা নয়।
এদিকে স্পেনের রাজা ফিলিপ তার ছেলে কার্লোসের সাথে তার নতুন ব্রাদার অস্ট্রিয়ান সম্রাটের কন্যা মারিয়া তেরেসার বিয়ে দিয়ে ভ্রাতৃত্ব মজবুত করার প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু সম্রাট তাতে সায় দিলেন না দেখে স্পেনের রাজা রেগেমেগে সব চুক্তি বাতিল করে দিলেন। গ্রেট ব্রিটেনের রাজা এইবার অস্ট্রিয়ান সম্রাটকে বললেন হে ছোট ভাই, এইবার স্পেনের রাজা তোমার জাহাজ বাঁচাতে আসবেনা। বুদ্ধি দেই শোন, ইন্ডিয়াতে জাহাজ পাঠানো বন্ধ কর। কথা দিচ্ছি ওখানে যেসব জাহাজ এখনো আছে ওগুলি ফিরিয়ে নেয়ার পথে আমরা হাঙ্গামা করবোনা, এমনকি আমাদের হাতে যেকয়টা অস্টেন্ড জাহাজ আছে এখন সেগুলিও ছেড়ে দিচ্ছি। ইন্ডিয়া ছাড়বা কিনা কও?
বৃদ্ধ সম্রাট মেয়ের হাতে ব্রিটেন ফ্রান্স প্রাশিয়ার রাজাদের শত্রু অস্ট্রিয়া রেখে যাবার কথা ভেবে ভীত হলেন, ১৬ই মার্চ ১৭৩১ সালে ব্রিটেনের রাজার সাথে চুক্তি করেন যে আর কোনদিন ভারতে বাণিজ্যতরী পাঠাবেননা। অস্টেন্ড ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর ভবলীলা সাঙ্গ হল।
সত্যপীর
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%6d%69%72%31%37%38%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%6d%69%72%31%37%38%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))
মন্তব্য
আর বাঙালি খালি হাঁটুপানিতেই জলদস্যুপনা করে গেলো
হ রে ভাই...
হিমুভাই .....
লেখায়
ডাকঘর | ছবিঘর
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
হুম্ম
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
কি বুzলেন?
দারুণ লেখা! চলুক!
দারুণ লেখাটায় সচলরা মন্তব্য করেনি কেন!!!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
মাত্র গতকাল (০৯/০১/২০১২) ফেসবুকে দেয়া আমার স্ট্যাটাসটা তুলে দিচ্ছিঃ
"অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে ইছাপুরে জার্মান আর বঙ্কিপুরে (ব্যারাকপুরের কাছে) বেলজিয়ানদের এবং ১৭৭৮ থেকে ১৭৮৩ সাল পর্যন্ত নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও বঙ্কিপুরে অস্ট্রিয়ানদের ঔপনিবেশিক তৎপরতা নিয়ে পড়তে চাই। বাংলা বা ইংরেজী ভাষায় লেখা বই সাজেস্ট করুন।"
আপনি আপাতত আমাকে কোন বই সাজেস্ট না করে নিজেই বিষয়গুলো নিয়ে লিখে ফেলুন। তাতে সচলের পাঠককুল সকলেই উপকৃত হবেন।
ভারতে ঔপনিবেশিক শক্তিগুলোর তৎপরতার ইতিহাস সিরিজ চলুক!
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
অবশ্যই লিখবো, ইছাপুর বাঁকিবাজারে সুইডিশরাও এসেছিলো শুনেছি। খুঁজে দেখি ভালো কি পাওয়া যায়।
সাথে থাকার জন্যে থ্যাঙ্কু।
অস্ট্রিয়া আর নেদারল্যান্ডকে প্রতিবেশী বলা যায় না। ম্যাপ দেখুন। তবে অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্য তখন জার্মানীসহ থাকলে অন্য কথা। তাই ছিল কি?
ম্যাপ দেখেছি ভাই, আজকের অস্ট্রিয়ার কথা হচ্ছেনা ১৭১৭ সালের অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের কথা হচ্ছে
আরেকটা কথা যোগ করতে চাই। জার্মানি আর অস্ট্রিয়ার ভাষা কিন্তু এক - জার্মান। কিন্তু দেশ কেন দুইটা, সেটা জানি না। আসলে ভাষা এক হলেও এরা জাতে এক কি ? জার্মান Ostend শব্দের অর্থ কিন্তু east, or eastern (?)
অস্টেন্ড এখনকার বেলজিয়ামের একটি বন্দরনগর। মধ্যযুগে ওলন্দাজ শাসক, অস্ট্রিয়ান সম্রাট, হোলি রোমান সম্রাট এদের মধ্যে শহরটাকে নিয়ে কাইজা লাগতো প্রায়ই। যাহোক, কোম্পানী গঠনের সময় অস্টেন্ড ছিলো অস্ট্রিয়ান সম্রাট ষষ্ঠ চার্লসের অধীনে। মূলতঃ উত্তর আফ্রিকার সাথে ব্যবসার জন্য কোম্পানী খোলেন সম্রাট, লং রুটের জাহাজ ভেড়ানোর জন্য অস্টেন্ড ছিলো স্ট্র্যাটেজিক্যালি চমৎকার লোকেশন।
অস্ট্রিয়া আর জার্মান এক জাত নয়, একই ভাষা হলেই এক দেশ হতে হবে এমন কোন কথা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে সবগুলি দেশ এক ভাষায় কথা বলে, এমনকি ধর্মও এক...কয়টা দেশ খিয়াল কইরা দেখেন তো ভাই?
প্রশ্নের জন্য থ্যাঙ্কু, আপনের নিকটা চরম ফানি।
"অস্ট্রিয়া আর জার্মান এক জাত নয়, একই ভাষা হলেই এক দেশ হতে হবে এমন কোন কথা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে সবগুলি দেশ এক ভাষায় কথা বলে, এমনকি ধর্মও এক...কয়টা দেশ খিয়াল কইরা দেখেন তো ভাই"
আবার একটু বিরক্ত করছি। অস্ট্রিয়ানরা জাতে জার্মান বলেই মনে হয়। হিটলারের জন্ম অসিট্রয়ায়, জার্মািনর চ্যান্সেলর হয়েছিলেন। তারপরের ঘটনা তো জানেন। মনে হয় অসিট্রয়া জার্মানি এক হওয়ার বিরুদ্ধে কোন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। যেমন, অধূনা আলবানিয়া আর কসোভো -যদিও দুটোই জাতিগত এবং ভাষাগত ভাবেআলবানিয়ান- চাইলেই এক হতে পারবে না। এ রকম আরো আছে। ভারতের বাংলাভাষী ত্রিপুরা আর আসামের করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দি-কাছাড়, তিনটিই বাংলাভাষী জেলা, চাইলেই এক হতে পারবে না। অতীত ঐতিহাসিক কারণে এমন হতে পারে।
গুগলে দেখলাম অস্টেন্ড (অস্টেন্ড বাড বেনথাইম) জার্মানির একটা শহর। আশেপাশে কোন সমুদ্দুর আছে বলে তো মনে হলো না। মনে হয় ঐ শহরেই কোম্পানি গঠন হয়েছিল, তাই ঐ নাম।
অসংখ্য ধন্যবাদ হিমু ভাই। আবদুল ভাই, এখানে ক্লিক করে দেখতে পারেন অস্টেন্ড শহরের ইতিহাস।
"অস্ট্রিয়ানরা জাতে জার্মান বলেই মনে হয়", এই কথা বলা আর চাটগাঁ এর লোক জাতে আরাকান বলা একই কথা...অনেক আগে এক ছিলো হয়তো কিন্তু এখন আর নাই। আধুনিক জার্মানি অস্ট্রিয়া সবই ছিলো হোলি রোমান সাম্রাজ্যের অধীনে, এটা পড়ে দেখতে পারেন। পশ্চিম ইয়োরোপের ইতিহাস খুব জটিল, কে যে কোন জাত সেটা বলা অসম্ভব মুশকিল।
এখানে দেখুন। বেলজিয়ানরা বানান করে OOSTENDE। শহরটা সমুদ্রের পাশেই।
@ সত্যপীর
দেখলাম। ধন্যবাদ। অস্ট্রিয়ান, জার্মান - বিষয়টা ঘেঁটে দেখতে হবে। আপনার 'চাঁটগাইয়া, আরাকানি' মন্তব্যটা খুব কড়া হয়ে গেছে।
বেশি কড়া হয়ে গেছে ভাই? মনে হলো তাই বললাম, ভেবে দেখবেন। আজকের চাটগাঁয়ের লোক কি আরাকান? আরাকান বা রাখাইন আজ এক ভিন্ন উপজাতি। কিন্তু এই চাটগাঁ শহর একসময় ছিলো আরাকান রাজার অধীনে, অর্ধেক লোক ছিলো মগ আরাকান। তাই বললাম তিনশ বছর আগের ইতিহাস মাথা থেকে বর্তমান সরিয়ে পড়তে হয়
দারুণ লাগলো লেখাটা!
ইতিহাস খুব বোরিং জিনিস হলেও রসের ছিটেফোঁটা দিতে জানলে পড়তে ভাল লাগে।
পড়ে ভাল লেগেছে শুনে খুশি হলাম, অনেক ধন্যবাদ।
পুরো জমিয়ে তুলেছেন। এ্যাডিক্টেড হয়ে যাচ্ছি
দারুণ লাগলো লেখাটা!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন