"জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।" http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-13/news/216248
কারণ তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং সরকার তাঁর প্রতিভাকে কাজে লাগাতে চেয়েছে। এই সরকার দেখলাম লোকজনের ইচছাকে বেশ গুরুত্ত দিচ্ছে। একজন দৌড়ে এসে ইচ্ছা প্রকাশ করল মন্ত্রী হবার, তিনি যোগাযোগ মন্ত্রী হয়ে গেলেন! আরেকজন দূতাবাসের জন্য কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন, আর বিশেষ উপদেষ্টা হয়ে গেলেন। এত দেখি 'ইচ্ছা পূরন' রাজ্য!!!
ব্যক্তিগতভাবে হুমায়ুন আহমেদের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ। আমার মত পড়াচোর পাবলিককে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করার জন্য। কিশোরবেলায় যে কয়েকজন লেখকের বই পড়ে আমি হাতের আঙ্গুলের ডগা পর্যন্ত খেয়ে শেষ করে ফেলেছিলাম, হুমায়ুন আহমেদ তাঁদের মধ্যে একজন। তাঁর অবশ্যই ক্ষমতা আছে। বছরের পর বছর হাজার হাজার বই লেখা আর তার বেশির ভাগ ভাল বিক্রি তা অবশ্যই প্রমান করে।
কিন্তু তাঁর এই প্রতিভা কিভাবে তাঁর জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগের যোগ্যতা হয় তা বুঝলাম না। আমরা দেখেছি সেলিব্রেটিদের বিশেষ দূত হতে। আমার ধারনা উপদেষ্টা একটি গুরুত্তপূর্ন পদ। যদি হুমায়ুন আহমেদ যোগ্যতম ব্যক্তিও হন, তাঁর এই শারীরিক অবস্থায় তিনি কি তাঁর দায়িত্ত ঠিকমত পালন করতে পারবেন?
এছাড়াও বাংলাদেশের বর্তমান সরকারী অবসর পালনের বয়সের হিসাবে(যেটি ড. ইউনুসের ব্যপারে একটি বড় পয়েন্ট ছিল) কি তাঁর বয়সের ব্যাপারটি বিবেচ্য নয়?
যদি হুমায়ূন আহমেদের চিকিত্সার খরচের বিষয়টি এখানে বিবেচ্য হয়, তা হলে অন্যভাবে চেষ্টা কি করা যেত না?
---------রুমঝুম---------
মন্তব্য
এক্কেবারে জায়গামতো ঘুষি মেরেছেন!
তিনি একজন ফুল-টাইম লেখক। এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। জাতিসঙ্ঘ বিষয়ক এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালনের জন্য কতটুকু যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা তাঁর আছে? তিনি নিজেই তো স্বীকার করেছেন যে, এই বিপুল কর্তব্য পালনের জন্য শারিরীকভাবেও তিনি রেডী নন।
সরকারের একের পর এক বাল-ছাল কির্তী-কারবার দেখতে দেখতে আমার মাথার মেঘের মতো এত্ত সুন্দর চুল অকালে পেকে বৃষ্টির মত ঝরে যাচ্ছে!
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমি কিন্তু কাউকে আঘাত করিনি। শুধু আমার কিছু প্রশ্ন ছিল তার উত্তর চেয়েছি।
আপনি কোন কারণ ছাড়াই একজনকে "গবু মন্ত্রী" বলবেন, তাকে একটা পদের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করবেন, তার নামের বানানটা পর্যন্ত ঠিকমত চেক করে লিখবেন না, তারপরে বলবেন কাউকে আঘাত করেন নি !!!
প্রশ্নের উত্তর খুঁজলে লেখাটা অন্যরকম হত, আরো বিশ্লেষণমূলক হত। আর এটা এমন কোন কঠিন প্রশ্নও নয়। উত্তর খুঁজে আপনি নিজেই আলোচনা করতে পারতেন ঠিক কোন কোন আযোগ্যতার কারণে হুমায়ূন আহমেদ এই পদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।
আসুন গঠনমূলক সমালোচনা করি। হুমায়ূনকে যুক্তি দিয়ে এভাবে ধুয়ে ফেলি -
http://www.sachalayatan.com/aninda21/38694
শুভেচ্ছা
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ।
বানান ভুলে ভর্তি আপনার এই লেখাটার উদ্দেশ্য পরিষ্কার না আমার কাছে।
কোন যুক্তিতে হুমায়ূন আহমেদ গবু মন্ত্রী বলেন তো? বোঝাই যাচ্ছে এটা অলংকার বা সম্মানজনক পদ, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ নয়। এখন বলেন – জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা হতে কী কী যোগ্যতা লাগে? তার মধ্যে কোনটা কোনটা হুমায়ূন আহমদের নাই?
জানা কথা, হুমায়ূন আহমেদের লেখার ধার ফুরিয়ে গিয়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনপথ সরল নয়। তাই বলে অযৌক্তিক সমালোচনা স্রেফ উস্কানিমূলক।
সবচেয়ে মেজাজ খারাপ হল ক্যান্সার আক্রান্তদের প্রতি আপনার সহানুভূতি দেখে। কেমোথেরাপির পরপর শারীরিক কিছু প্রতিবন্ধকতা বাদে একজন ক্যান্সার পেশেন্ট বেশিরভাগ সময়ই ডেস্ক জবের জন্য কর্মক্ষম থাকেন। কাজের ক্ষমতা রোগের স্টেইজের উপর নির্ভর করে। একজন মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত, তাই তার দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে – এই ধরনের স্টিরিওটাইপ বিরক্তিকর।
স্টিভ জবস, র্যান্ডি পশ ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েও তাদের দায়িত্ব ঠিক মতই পালন করে গিয়েছেন। এরা বাদেও বাংলাদেশেই শত শত ক্যান্সার পেশেন্ট আছেন যারা অসুখের মাঝামাঝি স্তরেও ঠিক মত কাজ করে যাচ্ছেব।
এই ভিডিওটা দেখেন। আশা করি আপনার মানসিকতার পরিবর্তন হবে -
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
প্রথম আলোর নিউজ থেকে -
আরেকটা কথা - আপনার পোস্টের ট্যাগে ও লেখার অংশে "হুমায়ূন আহমেদ" - বানানটাই ভুল আছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ আপনার সাজেশনের জন্য।
বানান ভূলের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত। বাংলা টাইপিং আর বানান আরো ভাল মত শিখে লিখব আশা করি।
আমি শেষের প্যারাগুলোতে কিছু প্রশ্ন করেছি। তার জবাব আপনি দিতে চেষ্টা করেছেন বলে ধন্যবাদ। আমার পোষ্টের উদ্দেশ্য জবাব পাওয়া উস্কানি দেয়া নয়। আমি আমার দৃষ্টিতে ব্যাপারটাকে যেভাবে দেখেছি, তাই বলেছি।
হুমায়ুন আহমেদ একজন যোগ্য শিক্ষক, কৃতী ছাত্র, জনপ্রিয় লেখক। এইকথা সত্য। কিন্তু তার ভিত্তিতে তিনি কূটনৈতিক পদের যোগ্য, তা আমার মনে হয়না। তা অলংকারিক পদ হোক বা না হোক। বিশেষ দূত আর বিশেষ উপদেষ্টা নিশ্চয় এক পদ নয়।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
প্রথমতঃ বিশেষ দূতও একটি কূটনৈতিক পদ।
দ্বিতীয়তঃ কূটনৈতিক পদের যোগ্য হতে কি লাগে? আশা করি উত্তর দিবেন।
তৃতীয়তঃ
এসব কথা বলছেন কিন্তু আপনার পোস্টের শিরোনামটাই যথেষ্ট উস্কানিমূলক
নুসায়ের, জাতিসংঘ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক দক্ষ কূটনৈতিক আছেন যাঁরা এই সন্মানটি পেতে পারেন বাংলাদেশী হিসাবে। হুমায়ূন আহমেদ নিজেই 'উপদেশ' ব্যাপারটি পছন্দ করেননা বলেছেন।
আর শিরোনামে আমি যা বলেছি তা আমি মনে করি বলেই বলেছি। আমি বলতেই পারি। আপনার বা আর কারো ভিন্নমত থাকতেই পারে। উস্কানি দেইনি বরং আমার ভাবনা প্রতিফলিত করেছি।
অবশ্যই হুমায়ূন আহমেদ একজন জনপ্রিয় উপন্যাসিক। কিন্তু জনপ্রিয় হলেই তাঁর অন্যান্য যোগ্যতা অটোমেটিকভাবে এসে যাবে তা 'আমি' মনে করিনা।
অফটপিকঃ মনে হচ্ছে সরকারের এই নিয়োগের পক্ষে না থাকায় আমার জেল হবে।
আপনি হয়তো অনেক কিছুই 'মনে' করতে পারেন। প্রথম দেখায় একটা খবর আপনার ভালো নাই লাগতে পারে। কিন্তু আপনি আপনার সেই ভাবনা গুলো যখন প্রতিফলিত করেন, তখন কি একটু খোজ-খবর নিয়ে, বিশদ চিন্তা করে কথা গুলি বলা শ্রেয় না?
যে পদটি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটির দায়িত্ব, ক্ষেত্র, কিছুই ঠিক মতো আপনার লেখায় (বা আলোচনায়) আসে নাই, তাহলে আপনি হুমায়ূন আহমেদের (বা অন্য কারো) যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন কিভাবে? অর্থনৈতিক উপদেষ্টার যোগ্যতা আর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার যোগ্যতাই বা এক কাঠিতে মাপবেন কিভাবে?
আর সরকারী নিয়োগ নিয়ে কেউ এখানে কথা বলছে না। আলোচনা শুরু হয়েছে (আপনার লেখার থেকেই) এই পদে হুমায়ূন আহমেদের 'যোগ্যতা' নিয়ে।
আপনার 'মেজাজ' দেখে ভয় পেলাম । আমি অন্তত এমন কোন ভাষা ব্যবহার করিনি যা হুমায়ূন আহমেদের শারীরিক অসুস্থতাকে খাটো করা হয়।
আমার কথা রূঢ় শোনালে দুঃখিত। কিন্তু আপনার লেখা পড়ে মনে হয় নাই আপনি কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। আপনার শিরোনামটা পড়ে দেখেন - আপনি অলরেডি সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছেন যে হুমায়ূন একজন গবু মন্ত্রী। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের যৌক্তিকতা কী?
আপনার কথা তখনই গ্রহণযোগ্য হবে দেখাতে পারবেন -
(ক) বর্তমানে দায়িত্বপালনরত বাংলাদেশী কূটনীতিবিদদের গড় গুণাবলী হুমায়ূনের গুণের থেকে বেশি
(খ) হুমায়ূন আহমেদের মাঝে এমন অযোগ্যতা আছে যা এই পদের জন্য তাকে গ্রহণযোগ্য করে না।
------
যুক্তি দেখান, মেনে নিব।
(হুমায়ূন কোন দেবতা নয়। মধ্যশ্রেণীর হুমায়ূনকে নিয়ে অনিন্দ্য রহমানের লেখা আছে। সেটা পড়ে বুঝতে কোন সমস্যা হয় না। কিন্তু আপনার লেখাটা অযৌক্তিক ও অর্থহীন মনে হচ্ছে।)
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
দেখুন, আমার লেখনীর দূর্বলতা পাঠককে হয়ত বিভ্রান্ত করতে পারে। অবশ্যই আমার এই মুহুর্তের সিদ্ধান্ত অবশ্যই হুমায়ূন আহমেদ এই পদের যোগ্য নন। এখানে " দায়িত্বপালনরত বাংলাদেশী কূটনীতিবিদদের গড় গুণাবলী" মূখ্য নয়। মুখ্য হচ্ছে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা আর বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর শারীরিক অবস্থা।
আর একটি মন্তব্যে 'মেজাজ খারাপ', 'উস্কানিমূলক', 'মানসিকতার পরিবর্তন' ইত্যাদি দেখে একটু ভাবনায় পরে গেছিলাম। এখন 'ইটস ওকে'
কেন হুমায়ূন আহমেদ যোগ্য না? এই প্রশ্নের উত্তরটা এখনো পেলাম না। একজন উপদেষ্টা হিসেবে কোন কোন দায়িত্ব পালনে তিনি অক্ষম?
আপনি কী একটু কষ্ট করে এই উত্তরটা দিবেন?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
কষ্ট করে ৭ এবং ১০নং মন্তব্য পড়ুন। জবাব পাবেন
পদটি সম্মানজনক। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে সরকার নিয়োগ দিল যে তাতে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন হল না। সুস্থ থাকতে যদি সরকার তাকে সম্মান জানানোর জন্য এমন একটা নিয়োগ দিত তাহলে তা যথার্থ হত।
দোয়া করি হুমায়ূন আহমেদ সুস্থ হয়ে ওঠুন।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
ভাই,স্থায়ী দূতের উপদেষ্টা খুব সম্ভবত কোনও একজিকিউটিভ পদ না, অলঙ্করনের মত। এইখানে একজন 'ব্যাক্তি' কাজ করবেন না, বরং মুখ্য হল তার 'ইমেজ'। অনেকটা শুভেচ্ছা দূতের মত। আর তিনি বাংলাদেশের আইকন, এই ব্যাপারে নিশ্চয়ই সন্দেহ থাকার কথা নয়।
দেখুন পথের ক্লান্তি, অন্তত কূটনৈতিক দক্ষতা কম ইমেজ ওয়ালা আরো অনেকের আরোও বেশী আছে বলে আমার মনে হয়। এমন কি জাতিসংঘে কাজ করেছেন এমন অনেক বাংলাদেশী আছেন যাঁরা আরোও বেশী দক্ষতার সাথে উপদেশ দিতে পারেন। সন্মানসুচক অন্য কোন পদ হুমায়ুন আহমেদকে দেয়া যেতে পারত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন সাহেব না'কি ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকেন এখন। কি অবিচার বলেন তো, উনি থাকতে হুমায়ূন আহমেদ কে উপদেষ্টা... ছ্যা ছ্যা ছ্যা...
যেমন? দুই-একজনের নাম বলেন শুনি। এই পদের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের প্রোফাইল নিয়েই নাহয় আলোচনাটা হোক। তারপরে সিদ্ধান্ত নেই।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
শুধুমাত্র জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে আবদুল মোমেনের প্রোফাইল দেখুন। http://www.un.int/wcm/content/site/bangladesh/pid/12449
আর নামের লিস্ট দিতে গেলে বাংলাদেশের অনেক কৃতী সন্তান যাঁরা পৃথিবীর নানা দেশে কূটনীতি, আইন, অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন, তাঁদের সবার কথা চলে আসবে।
দেখলাম। আব্দুল মোমেনের প্রোফাইল বেশ ভাল।
কিন্তু উনি একজন স্থায়ী প্রতিনিধি - দাপ্তরিক পদে কর্মরত।
হুমায়ূন আহমেদকে দেওয়া হয়েছে আলঙ্কারিক পদ। সংস্কৃতি বিষয়ে দুই-দশটা উপদেশ উনি দিবেন এতে অমত থাকার মত ঘাটতি হুমায়ূনের আছে বলে মনে হয় না।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
উনাকে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা বানানো হয়েছে?
এটা অলঙ্কারিক পদ বলেই মনে হয়। নামী ব্যক্তিরা অলঙ্কারিক পদে বসেন সে তো নতুন নয়! আর তাছাড়া অনেক সরকারি গরুর চাইতে হুমায়ূন আহমেদ হাজারগুণে বুদ্ধিমান। সমস্যা কোথায়?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অবশ্যই অনেক সরকারি গরুর চাইতে বুদ্ধিমান তিনি। আমার তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু তিনি উপদেষ্টা হিসেবে যে উপদেশ দেবেন, তার যোগ্যতা কি তাঁর আছে? আমি বলতে চাইছি তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতার কথা। যার ভিত্তিতে তিনি উপদেশ দেবেন। নাকি আমাদের সন্মানসূচক ডি-লিট পদের মত এই পদটা তাঁর নামের পাশে থাকলেই তাঁর, আমাদের দেশের সন্মান বাড়বে?
জাতিসঙ্ঘে স্পেশাল সিনিওর এ্যাডভাইজার হতে কি কি যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা প্রয়োজন, নিচের লিঙ্কগুলতে গেলেই তার কিছুটা ধারনা পাওয়া যেতে পারে। এখানে তিনজন UN এ্যাডভাইজার সম্পর্কে কিছু তথ্য দেয়া হয়েছে।
http://www.un.org/en/preventgenocide/adviser/advisers.shtml
http://www.un.org/en/preventgenocide/adviser/edwardluck.shtml
http://www.un.org/en/preventgenocide/adviser/juanmendes.shtml
রোগী তো নিজেই আত্মবিশ্বাসী নন এ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে। ওনাকে নিয়ে আপনার-আমার আত্মবিশ্বাস আর আবেগ প্রদর্শন খুব একটা কাজে আসবে না, মনে হয়।
লেখকের এ যুক্তিটি ভেবে দেখবার মতো।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ধন্যবাদ উচ্ছলা।
পদটি জাতিসঙ্ঘের বিশেষ উপদেষ্টার নয়, বরং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ বিশেষ উপদেষ্টা। দু'টার ভেতরে সম্ভবতঃ বেশ পার্থক্য রয়েছে। তাছাড়া আপনি যেসব লিঙ্ক দিলেন, তার সব কয়টাই জেনোসাইড প্রিভেনশন অফিসের বিশেষ উপদেষ্টাদের। তাদের যোগ্যতা দেখে কিভাবে বলি হুমায়ুন আহমেদ যোগ্য না'কি অযোগ্য? আর এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা তোলাটাও বৃথা। হুমায়ুন আহমেদের একটা পিএইচডি ডিগ্রী (যদিও কেমিস্ট্রীতে) আছে।
জনপ্রিয় লেখক-Cচলচিত্র নির্মাতা হিসেবে তাকে যদি সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা জাতীয় কোন পদে বসানো হয় তাহলে সমস্যা কোথায়?
আর সরকার জাতিসঙ্ঘে তাদের এজেন্ডা পূরনের জন্য যাকে ইচ্ছা তাকে মনোনীত করতে পারে। সেই এজেন্ডা যদি সংস্কৃতি বিষয়ক কিছু (বা ইউনেস্কোর সাথে জড়িত কিছু) হয়ে থাকে তবে সেখানে ডঃ ইউনুসকে নিয়োগ দিতে হবে কেন?
কথাটি আপত্তিজনক। এখানে ব্যক্তি হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে কথা হচ্ছে, ক্যান্সারাক্রান্ত হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে নয়।
মূল লেখাটার শিরোনাম অত্যান্ত আপত্তিকর মনে হয়েছে।
চার নাম্বার মন্তব্য লক্ষ্য করুন, জনাব ফাহিম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন এই কারনে যে, একজন মানুষ ক্যান্সার আক্রান্ত, তাই তার দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আর লক্ষ্য করে দেখুন প্রথম-আলোতে জনাব হুমায়ূন নিজেই বলেছেন, "অসুস্থ অবস্থায় বিশাল দায়িত্ব পালন করতে পারব মনে করার কোনো কারণ নেই।"
এই পরিপ্রেক্ষিতেই আমি বলেছিলাম, "রোগী তো নিজেই আত্মবিশ্বাসী নন এ দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে"।
ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমার উক্তিটি আপনার কাছে আপত্তিজনক প্রতিয়মান হওয়াতে।
লিঙ্কগুল দিয়ে আমি শুধু একটি সাধারন ধারনা দিতে চেয়েছিলাম যে ঐ পদের দায়িত্ব-যোগ্যতাগুলো কি ধরনের হয় সাধারনত। এগজ্যাক্টলী এগুলোই প্রত্যাশিত যোগ্যতা, তা কিন্তু বলিনি
...কোনো সমস্যা নেই, বরং এটিই কাম্য তবে তাঁকে যদি আন্তর্জাতিক কুটনৈতিক বিষয়ে এম্ব্যাসেডার বা কমার্শিয়াল কাউন্সিলারকে উপদেশ দিতে বলা হয়, শংসয় সেখানটাতেই।
ধন্যবাদ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
আমি আরো খুলে বলি -
১। হুমায়ূনের কথাটা বিনয়সূচক মনে হয়েছে।
২। এই পদে হুমায়ূন আহমেদ কি সিভি ফেলে দরখাস্ত করেছেন? এইটা একটা সম্মানসূচক পদ। হুমায়ূন আহমেদ চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আছেন, তাই সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড নিয়ে তিনি কিছু পরামর্শ দিবেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া তার প্রোডাক্টিভিটি বা দায়িত্ব পালনে বাধা দিবে - আগেই এমন সিদ্ধান্তে আসাটা কতটা যৌক্তিক? য়টা-ছয়
৩। ক্যান্সার একটা রোগ। নিরাময়ের সম্ভাবনা কম, কিন্তু রোগ। এই রোগের বিভিন্ন প্রকার আছে, নানা স্তর আছে। কিন্তু একজন মানুষের ক্যান্সার ধরা পড়েছে - আর সাথে সাথেই তার কর্ম দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে অযোগ্য ভেবে বসাটা ভুল। বড় ভুল। রোগির প্রোডাক্টিভিটির উপর ক্যান্সারের নেগেটিভ প্রভাব আছে, অবস্থা ভেদে তা থাকতেই পারে, কিন্তু ডেস্ক জবের জন্য তিনি সাথে সাথেই বাতিল গণ্য হয়ে যান না। সম্মানজনক উঁচু পদে, অ্যাডভাইজার হিসেবে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জটিল রোগ নিয়েও খুব ভালভাবে কাজ চালিয়ে নিতে পারেন, যেখানে একজন গায়ে খাটা শ্রমিক তার নয়টা-ছয়টা চাকরি হয়ত আগের মত করতে পারবে না। কনটেক্সটটা বোঝার চেষ্টা করুন।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
১। সহমত।
২। তিনি কিন্তু আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
৩। আমি লেখক হুমায়ূন আহমেদ, চলচিত্র পরিচালক হুমায়ূন আহমেদ,শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদ- এইকটি ক্ষেত্রে তাঁর কর্মদক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলিনি কিন্তু। সুতরাং আপনার তিন নং যুক্তিটি খাটেনা এই ক্ষেত্রে।
আমি কিন্তু লেখায় বা মন্তব্যে এখনো পেলাম না যে উপদেষ্টা পদের কাজ কী এবং হুমায়ূন ঠিক কোন ক্ষেত্রে অযোগ্য।
আপনার মনে হতেই পারে যে হুমায়ূন আহমেদ এই পদে সম্পূর্ণ অযোগ্য। সেই মনে হওয়ার পিছনে নিশ্চয় যুক্তি আছে তাই না? আপনি সেই যুক্তিগুলো পাঠকের সাথে শেয়ার করুন। যদি সেগুলো অর্থবহ হয়, অবশ্যই আমরা আপনার সাথে একমত হব। কিন্তু সেই যুক্তিগুলো তো দেখছি না।
----
অফটপিক: সচলায়তনে সম্ভবত এটা আপনার প্রথম লেখা। আমার মন্তব্যে আশা করি কিছু মনে করেন নাই। আমার এত কথা বলার উদ্দেশ্য একটাই - লেখাটার ত্রুটিগুলো নিয়ে আলোচনা। হুমায়ূন নিয়ে আগে কিছু আলোচনা হয়েছে, তবে আরো আলোচনার অবকাশ আছে বৈকি। কিন্তু পদ নিয়ে এই ইস্যুটা খুব ছোট একটা ব্যাপার। উপদেষ্টা বিষয়ক একটা আলংকারিক পদ, হুমায়ূন আহমেদ নিজেও যুক্তরাষ্ট্রে আছেন - তাই হয়ত সরকার থেকে সম্মান জানিয়ে দেওয়া। যোগ্যতর প্রার্থী আছে কীনা জানি না, তবে হুমায়ূন কী খুব বেমানান?
দরকার হলে ইন্টারনেট ঘেঁটে আরেকটু দেখুন, এই পদের কাজ কী, আগে কারা কী করেছেন। তারপরে বিস্তারিত লিখুন।
আশা করি সচলায়তনে নিয়মিত লিখবেন ও মন্তব্য করবেন।
শুভেচ্ছা রইল।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
বুঝিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ, ফাহিম
উপরে নুসায়ের একটা কথা বলেছেন, "তাকে যদি সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা জাতীয় কোন পদে বসানো হয়, তাহলে সমস্যা কোথায়?"...আবার বলছি, তাতে মোটেই সমস্যা নেই।
তবে প্রথম-আলো বা ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, " হুমায়ূন আহমেদকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।"...এখানে তাঁর পেরিফেরি শুধুমাত্র সাংস্কৃতিক কি না তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। এটিও পরিষ্কার নয় যে তিনি ডিপ্লোম্যাটিক ব্যাপারগুলোরও উপদেষ্টা কি না। এ কারনেই বোধয় এই বিতর্কের উৎপত্তি।
'দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ বিশেষ উপদেষ্টার' পদের সম্মানটি আলঙ্কারিক হোক বা আর যাই হোক, সঠিক এবং যোগ্য কেউ এ পদটি অলঙ্কৃত করুক, এটাই চাওয়া।
ধন্যবাদ।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
* রোগির > রোগীর
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
লেখাটি স্বয়ংসম্পূর্ন নয়, যুক্তির ধারও নেই সেই সাথে আছে আলোচনার আগেই সিদ্ধান্ত নেবার বা দেবার প্রবনতা। আশা করি আপনি গুছিয়ে পরবর্তীতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ন লেখা দিবেন।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
সহমত। ধন্যবাদ সাজেশনের জন্য।
পদটি আলংকারিক। এর আগে অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ যখন অসুস্থ হয়ে আমেরিকায় ছিলেন তখন সরকার থেকে তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
ধন্যবাদ খবরটি দেয়ার জন্য। লিঙ্ক দিতে পারবেন?
আপনি খুব সম্ভবত উনার কথা বলছেন। লিঙ্কটিতে উনার অভিজ্ঞতা এবং কর্মজীবন দেয়া আছে। হুমায়ূন আহমেদের কর্মজীবনের সাথে তুলনা করে দেখতে পারেন।http://en.wikipedia.org/wiki/Momtazuddin_Ahmed
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
ভুল লিঙ্ক
http://www.un.int/wcm/webdav/site/bangladesh/shared/office/momtazuddin_ahmed.html
এটা দেখুন।
কিন্তু অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ জাতিংঘের উপদেষ্টা ছিলেন তা কিন্তু লেখা নেই। বরং আমি যে লিঙ্কটা দিয়েছি উনি জাতিসংঘের উপদেষ্টা ছিলেন।
আগেও একবার বলছি, আবার বলছি -
পদটি জাতিসঙ্ঘের বিশেষ উপদেষ্টার নয়, বরং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ বিশেষ উপদেষ্টার।
এই লিঙ্কে আপনি এ দূতাবাসের সবার নাম-পরিচয় পাবেন -
http://www.un.int/wcm/content/site/bangladesh/pid/8216
খেয়াল করলে দেখবেন এখানে আগের থেকেই অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন। অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আহমেদ এর পদটি সাংস্কৃতিক মন্ত্রীর (আমি ৪১ নং মন্তব্যের সূত্র ধরে লিঙ্ক দিয়েছি)। ২০১১ সালে ফিলাডেলফিয়া শহরে বাঙ্গালীদের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উনি বক্তব্য রাখেন, সেখান থেকে জানতে পারি, তাঁর পদটিও অনেকটাই আলংকারিক। হুমায়ুন আহমেদকে এই দূতাবাসের বিশেষ উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আমি অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আহমেদ স্যারের (অনেকের কাছে উনি নাট্যকার এবং নাট্য অভিনেতা হিসাবে পরিচিত) কথা বলেছি। আমার কাছে লিংক নাই তবে উনার খবরটাও প্রথম আলোতে এসেছিল এবং উনিও তখন চিকিৎসার জন্য আমেরিকা গিয়েছিলেন কিংবা যাবার কথা চলছিল।
রাষ্ট্র যদি কাউকে সম্মান দেখিয়ে এরকম পদে নিয়োগ দেয় আমাদের তা উৎসাহিত করা উচিত। একজন হুমায়ুন আহমেদের আরেক পরিচয় হচ্ছে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন, তিনি একজন ডক্টরেট।
এখন সরকার যদি বিভিন্ন দূতাবাসে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া অযোগ্য কোন ব্যাক্তির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন করতেন তবে হয়তো আপনার এই লেখার টাইটেল টা স্বার্থক হতো।
হুমায়ুন আহমেদের একটা পিএইচডি ডিগ্রি আছে। যদি ধরেও নেই বাংলাদেশের ৫০,০০০ জনের পিএইচডি ডিগ্রি আছে, সেই হিসেবে তিনি ০.০৩% এর মধ্যে পড়েন শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক দিয়ে। তিনি দীর্ঘ্য দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। যোগ্যতার মানদন্ডে উনি কতখানি পিছিয়ে আছেন সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। তাছাড়া পদটি সরকারের পক্ষ থেকে সম্মাননা জানানোর মত, এর বেশী কতখানি দাপ্তরিক দক্ষতা প্রয়োজন হবে সেটা জানতে চাই।
তিনি নিজেই বলেছেনঃ অসুস্থ অবস্থায় বিশাল দায়িত্ব পালন করতে পারব মনে করার কোনো কারণ নেই। তার
মানে 'বিশাল দায়িত্ব' নিশ্চয় আছে। আর শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা কি কুটনৈতিক উপদেষ্টার জন্য যথেষ্ট?
এ জন্যই আপনার কাছে জানতে চাইলাম কী দাপ্তরিক দক্ষতা প্রয়োজন হতে পারে। আপনিই নাহয় বলেন, এই পদের জন্য আপনি কি যোগ্যতা যথেষ্ট মনে করেন
অবশ্যই কুটনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এই দুই ক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
লেখাটি সাময়িক উত্তেজনার বশে লেখা হয়েছে মনে হল। আরেকটু ধীরে সুস্থে লিখলে ভালো হতে পারতো, সুন্দর আলোচনাও চালানো যেতো।
নিয়মিত লিখবেন, ভড়কে যাবে না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে দেখি প্রায়ই মন্তব্য দিতে। কিন্তু লিখতে গিয়ে একটু ঝামেলা করে ফেলেছেন। সাময়িক আবেগের ওপর ভিত্তি করে হুট করে কারও ওপর একেবারে অভিযোগের খড়্গ নামিয়ে এনেছেন। হালকা লেখা হিসেবে ছাড় পেতে পারতেন হয়ত। কিন্তু সচলে সেটা তেমন একটা হয়না। লেখার মেরিট অনুযায়ী আপনি কঠোর সমালোচনা পাবেনই। সচলে অনেকদিন আছেন এটা বুঝে যাওয়ার কথা আপনার। তবে আশা করব, এতে দমে যাবেন না। পরের লেখা একটু চিন্তা ভাবনা করে লিখবেন। শুভকামনা আনার জন্য।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ।
আমি তেমন একটা সময় না নিয়ে লিখেছি আর আমার লেখনীর দূর্বলতার জন্য আমার মূল বক্তব্যটা অন্যদিকে চলে গেছে। কিন্তু আমি যা মনে করি, তাই লিখেছি। লেখার মান নিয়ে সমালোচনা গুলো অবশ্যই শিক্ষনীয় দমে যাওয়ার মত না। পরেরবার আরো ভাল লেখা লিখতে চেষ্টা করব।
মহাস্থবির জাতক আমারে একটা কমেন্ট লিখছিল। "মাঝেমধ্যে বারুদ ছাড়াই ফায়ার হয়্যা যায়" - মনে পড়ল। নানা টাইপের বিদ্বেষে জগাখিচুড়ি লেখা হইছে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
পূর্ন সচল হিসেবে মন্তব্যটা আরো গঠনমূলক হতে পারত ব্যঙ্গ না হয়ে।
লেখক, আপনি সম্ভবত মন দিয়ে খবরটি পড়েন নি। আপনি যাই বলুন না কেন, হুমায়ূন আহমেদ দেশের প্রথিতযথা সাহিত্যিক হিসেবে এই আলংকারিক পদটি পাওয়ার যোগ্যতা অবশ্যই রাখেন। অন্তত বাংলাদেশের অনেক কুটনৈতিক পদে রাজনৈতিক নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তির চাইতে তাঁর যোগ্যতা অনেকটাই বেশী। সবচেয়ে বড় কথা, পদটি ঠিক কুটনৈতিক নয়, উপদেষ্টার পদ মাত্র। এ পদে আগে শিক্ষানবীশ হিসেবে তরুণ প্রবাসী বাংলাদেশীদেরও নেয়া হয়েছে। অকারণে হুমায়ূন আহমেদের সমালোচনা করা অবশ্য এখন চলতি ফ্যাশন। কাজেই খুব অবাক হচ্ছি না।
bdnews24 এ লিখেছে - http://www.bdnews24.com/details.php?cid=2&id=215965
It is believed his new position at the Bangladesh mission at UN will allow the writer to claim state funding for his medical expenses.
হয়ত সরকার ফ্রি লাঞ্চ দিতে চায় নাই ...
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমার শেষ লাইনটা খেয়াল করুন। অসহায় পেয়ে কিনে নিলো কিন্তু স্টেট।
যুক্তি-তর্কের মাথা খেয়ে, সরাসরি "হবু রাজার গবু মন্ত্রী" শিরোনাম দেয়াটা অন্যায়। গঠনমূলক সমালোচনা কাম্য। লেখাটা পড়ে আমি লজ্জা পেলাম। লেখক যদি আমার মন্তব্যে কষ্ট পেয়ে থাকেন, আমি দূঃখিত।
নতুন পাঠক
লেখাটার পেছনে লেখকের কি প্রতিক্রিয়া কাজ করেছে তা বুঝতে পারছি... আসলে এই ধরণের লেখা হঠাত একটা বোধ এর ফলেই সৃষ্টি হয়। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজেও হুমায়ূন আহমেদকে খুব বেশী পছন্দ করিনা(একসময় করতাম)।
যাই হোক এই পদটির জন্য উনি হয়তো একেবারেই অযোগ্য লোক নন। তবে এইভাবে উনাকে এই পদ পাইয়ে দেওয়ার কারণটাও বোধ হয় উনাকে তাঁর শেষ দিন গুলিতে একটা কিছু সম্মান জানানোর উপলক্ষ মাত্র।
লেখককে বলব আপনি আরেকটু গুছিয়ে লেখার চেষ্টা করুন। আরও ভালো ভাবে আলোচনা উঠে আসুক।
আপনি অনেক মন্তব্য করেন দেখেছি। এখন লেখাও শুরু করেছেন, ভালো লাগল দেখে। ওয়েলকাম টু সচলায়তন
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক ধন্যবাদ। আসলেই লেখাটা অগোছাল হয়েছে। যদিও আমি এখনো মনে করি এই পদের কিছু কর্তব্য আছে এবং হুমায়ূন আহমেদকে দেশ অন্যভাবে শ্রদ্ধা জানাতে পারত।
আমি কেন জানি লিঙ্ক দিতে পারছিনা গতকাল থেকে। সময় পেলে শিক্ষা ট্যাগে 'বর্ণবাদঃ শিশুপাঠ, বর্ণবাদঃ কিশোরপাঠ', ইংরেজি, আঁরো দ্যাশত যাইও তুঁই, এমার্জেন্ট কারিকুলাম এই লেখাগুলো পড়ে দেখতে পারেন।
- এই লেখা গুলি কোথায় আছে, তাই তো বুঝলাম না।
ডাকঘর | ছবিঘর
শিক্ষা ট্যাগে আছে দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু লিঙ্ক দিতে গেলে error দেখাচ্ছে।
্লেখিকার উর্বর মস্তিস্ক। সচলে প্রথম লেখা তাই রাতারাতি পপুলার হইবার মত বিষয় নেছে।।
H. Ahmed
আপা লিখতে জহন মঞ্ছায় ত constructive কিছু লেহেন না কেন?????????????
তাই, constructive লেখা আপনি পড়েন? "আঁরো দ্যাশত যাইও তুঁই……আঁরো বাড়ীত যাইও", 'ইংরেজি', 'বর্ণবাদঃ শিশুপাঠ',"বর্ণবাদঃ কিশোরপাঠ ', ' এমার্জেন্ট কারিকুলামঃ বচ্চারা কি শিখছে?" এই লেখা গুলো পড়েছেন?
ভাই আজগ্র সাপ - ব্যাপারটা আপনি এভাবে না বললেও পারতেন। এমনি লেখককে অনেক কথা খুব ভালো ভাবে বলা হয়েছে। উনি কিছু একটা বলতে চেয়েছেন, হয়তো গুছিয়ে বলতে পারেননি। কিন্তু তাই বলে এভাবে বলাটাও খারাপ লাগে তাইনা। সবার মধ্যেই একটা চেতনা কাজ করে। লেখকের চেতনাতেও বিষয়টা এইভাবে কাজ করেছে। তাতে পপুলারিটির কি আছে ভাই... এখানে কেউ পপুলার নয়, সবাই মনের খুশিতে লিখছেন ।
ডাকঘর | ছবিঘর
আমি আসলেই আমার নিজের ভাবনা গুলোই বলেছি। সবার ভিন্নমত থাকতেই পারে। আর লেখার দূর্বলতার কারনে হয়ত আমার standpoint তা পরিষ্কার হয়নি।
ধন্যবাদ তাপস শর্মা আপনার মন্তব্যের জন্য।
আজগ্র সাপ - এটা স্রেফ ব্যক্তিগত আক্রমণ। আপত্তি জানিয়ে গেলাম।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
যখন সুস্থ ছিলেন তখন দেয়া উচিত ছিলো ।
উপরের বক্তব্য থেকে আমি যা বুঝলাম -
১। তাঁকে কোনো টাকা-পয়সা দেওয়া হবে না
২। হুমায়ুন আহমেদের দায়িত্ব হচ্ছে কেবলমাত্র দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে মাঝেমধ্যে বিনা পারিশ্রমিকে কথাবার্তা বলা। নিজে থেকে কোনরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বাস্তবায়ন বা কর্ম সূচনা বা সম্পাদন করা নয়।
৩। উপরন্তু, দূতাবাসের ঐ কর্মকর্তারা অর্থাৎ অভিজ্ঞ পরিপূর্ণ ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাটরাই (আব্দুল মোমেন সাহেবের মত দীর্ঘ ও দুর্ধর্ষ অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা সম্পন্ন এওয়ার্ডপ্রাপ্ত কূটনীতিবিদসহ) যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা বাস্তবায়ন বা কর্ম সূচনা ও সম্পাদন করার করবেন - হুমায়ুন আহমেদ না। হুমায়ুন আহমেদ বড়জোর কোন কোন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে মৌখিক পরামর্শ দিতে পারেন - কিন্তু সেই পরামর্শ এইসব অভিজ্ঞ পরিপূর্ণ ক্যারিয়ার ডিপ্লোম্যাটদের সুগভীর জ্ঞানবুদ্ধি, অভিজ্ঞতা ও বিবেচনাবোধের মধ্য দিয়ে ফিল্টার হয়েই যাবে এবং তারা হুমায়ুনের কোন পরামর্শ গ্রহণ করতে বাধ্য নন। নিজেদের সুদীর্ঘ পেশাগত অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানবুদ্ধির পরিপূর্ণ প্রয়োগ করে হুমায়ুনের কোন পরামর্শ সঙ্গত মনে হলে তারপরই কেবল তারা সেটা গ্রহণ বা বাস্তবায়ন করবেন। কিম্বা আদৌ করবেন না। সুতরাং হুমায়ুনের 'কুটনৈতিক' যোগ্যতাগত যেকোন ঘাটতি তাঁদের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার মাধ্যমেই চমৎকার ভাবে কাভার্ড হয়ে যাচ্ছে। সৌজন্যপূর্ণ কূটনীতিক-সুলভ ভাষায় আব্দুল মোমেন সাহেব তাই বলেন - "আমরা.... কাজে লাগানোর চেষ্টা করব" মাত্র। এই "চেষ্টা" শব্দটা এধরণের ক্ষেত্রে অতি সুপরিচিত একটা কুটনৈতিক/ভদ্রজনোচিত 'নন-কমিটাল' শব্দ।
মোদ্দা কথা হচ্ছে, উদ্ধৃত অংশটুকু থেকে আব্দুল মোমেন সাহেবের বক্তব্য আমি যেটুকু বুঝলাম, তা হলো হুমায়ুন আহমেদের আসলে "কূটনৈতিক" বা "আন্তর্জাতিক সম্পর্ক" বিষয়ে তেমন কোন যোগ্যতার প্রয়োজনও নেই। ঐ অংশটুকু তারাই কাভার করবেন।
আর এজন্যেই, তিনি পরে বলেন "বিশিষ্টজনদের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে"। আমিও যদ্দুর জানি, কূটনীতির ক্ষেত্রে অনেক ধরণের লোকেরই প্রয়োজন হয় এবং তাদের সবাইকে যে সবসময় পেশাদারী কূটনৈতিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হতেই হবে এমন কোন কথা নেই। আর হুমায়ুন আহমেদ যে বাংলাদেশের একজন অত্যন্ত "বিশিষ্টজন" সে ব্যাপারে তো আমার মনে হয় না খুব বেশি লোক দ্বিমত করবেন। তিনি সুদীর্ঘকাল ধরে বাংলাদেশের "জনপ্রিয়তম" লেখক। তার লেখা কারো কারো ভালো না লাগতেই পারে (আমার তো একেবারেই লাগে না), কিন্তু এই সত্যটা কোনক্রমেই অস্বীকার্য নয়। নয় মোটেই উপেক্ষনীয় ! যে যাই বলুক না কেন, যে লোক লক্ষ-কোটি মানুষের নিস্বার্থ (এমনকি উলটে নিজেদের গাঁটের পয়সা খরচ করে!) ভক্তি-ভালোবাসা অর্জন করতে পারে, পারে তাঁদের 'ইমাজিনেশন ক্যাপচার' করতে, তাদেরকে প্রভাবিত করতে, পারে একাধিক প্রজন্মের মানুষের 'পাঠাভ্যাস' গড়ে দিতে - এবং এরকম ক্ষেত্রে হতে পারে একটা দেশের পূরোধা ব্যক্তি যে দ্বিতীয় জনের থেকে সহস্র যোজন অগ্রবর্তী - সে যোগ্য "বিশিষ্টজন" হবে না তো কে হবে ? তার ক্ষেত্রে তার তুলনা আর কে আছে ? এটা কি একটা ফেলনা বিষয় ?
এবং, অন্তত মোমেন সাহেবের ভাষ্য মতে, এমন এক ব্যক্তির সার্ভিস পাওয়া যাচ্ছে সম্পূর্ণই "বিনা পারিশ্রমিকে"! এটা আসলে মনে হয় করা হচ্ছে, যেমনটা হুমায়ূন বলেছেন, স্রেফ তাকে সম্মানিত করতেই - জীবিত অবস্থাতেই। আর স্বক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে তাঁর চেয়ে যোগ্যতর তেমন কেউ নেই। আমার তো মনে হয় না বাংলাদেশ সরকার তাকে কোনরকম দয়া করছে, বরং তিনিই আসলে আমাদের ধন্য করছেন। গুনীজনকে সম্মান করে আমরা আসলে নিজেরাই সম্মানিত হই। আর কেউ না। এমনকি ঐ গুনীজনও না। এটাই মানবিকতা ও সভ্যতার লক্ষণ। আমার একটাই কেবল প্রার্থনা, আমরা যেন কোনরকম পরশ্রীকাতরতা, মানসিক কৃপনতা-সঙ্কীর্ণচিত্ততা- বা ক্ষুদ্রতা বা অন্য কোন নেতিবাচক বৈশিষ্টের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে নিজেদেরকে সর্বতোভাবে সেরকম লক্ষণবর্জিত বলে প্রমান না করি।
****************************************
"পরশ্রীকাতরতা, মানসিক কৃপনতা-সঙ্কীর্ণচিত্ততা- বা ক্ষুদ্রতা বা অন্য কোন নেতিবাচক বৈশিষ্টের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে নিজেদেরকে সর্বতোভাবে সেরকম লক্ষণবর্জিত বলে প্রমান না করি"-প্রশ্নই উঠেনা।
রাষ্ট্র যদি সন্মান বা মানবিকতা দেখাত তা ভিন্ন ব্যাপার ছিল। রাষ্ট্র একজন গুনীজনের চিকিতসা ব্যয় বহন করতেই পারে। আর সন্মান তাঁর সুস্থ অবস্থায় দেখানোটাই শোভন ছিল যদি এই পদ সন্মানের পদ হয়ে থাকে কেবল।
কিন্তু ব্যাপারটিকে আমার এই রকমই মনে হয়েছেঃ
জনাব ফাহিমের মন্তব্য অনুসারে,
.........
It is believed his new position at the Bangladesh mission at UN will allow the writer to claim state funding for his medical expenses.
হয়ত সরকার ফ্রি লাঞ্চ দিতে চায় নাই ... "
আমি শেষ লাইনে তা বলেছি ও।
আর হুমায়ূন আহমেদ মরনাপন্ন রোগী নন। তাঁর সুষ্ঠ চিকিতসা চলছে এবং তিনি অবশ্যই (অন্তত আমি আশা এবং কামনা করি) পুরোপুরি সুস্থ হয়ে দেশে ফিরবেন। রাষ্ট্র তাঁর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানালে সেটিও অমানবিক বলে আমি মনে করি।
উঠে। কারন শিরোনামে "[b]গবু" শব্দটা ঠিক সেটাই প্রকাশ করছে।[/b]
প্রথম কথা প্রথম আলোর রিপোর্টটা পড়ে আমার বরং মনে হয়েছে টাকা-পয়সা নয়, বরং বিদেশ-বিভূঁইয়ে হাসপাতালে বা অন্য কোথাও নিষ্কর্মা পড়ে থাকার বদলে এপ্রিশিয়েটিভ ও উষ্ণহৃদয়ের কিছু দেশের মানুষের সান্নিধ্যে ইন্টারেস্টিং কোন কাজেকর্মে ব্যাপৃত থাকার আকাঙ্খাটাই তাকে এক্ষেত্রে তাড়িত করেছে। আব্দুল মোমেনের এটাকে বিনা পারিশ্রমিকের ব্যাপার বলাটা সেদিকেই বরং ইঙ্গিত করে। অন্য কোন পদ্ধতিতে বা অন্য কোন সময়ে দেয়া লাখো সম্মানের চেয়ে এই সম্মান ও এপ্রিসিয়েসনটাই বরং আমার কাছে অনেক বেশি টাইমলি, এপ্রোপ্রিয়েট, সময়োপযোগী, কার্যকরী ও যথার্থ বলে মনে হচ্ছে! সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ে... নয় কেন অনেকসময় হাজার ফোঁড়ও তখন তুলনায় মূল্যহীন।
দ্বিতীয়তঃ সচল ফাহিমের মন্তব্য থেকে আপনার উদ্ধৃত ইংরেজি উদ্ধৃতিটা সচল ফাহিমের নয়, ওটা bdnews24.com-এর একটা তথ্যপ্রমানহীণ, সূত্রবিহীণ, রেফারেন্সহীণ ও ভিত্তিহীণ কানকথা বা বানোয়াট কথা মাত্র। কোনটা জানিনা, তার দরকারও নাই। বাংলাদেশের (এবং বিশ্বের) মিডিয়া ও সাংবাদিকরা "It is believed..."-জাতীয় অস্তিত্বহীণ ধরি-মাছ-না-ছুঁই-পানি-মার্কা অনেক মনগড়া মিথ্যা, চরিত্রহননমূলক, উস্কানিমূলক, তুচ্ছতাচ্ছিল্যসূচক বা নিন্দাসূচক কেচ্ছাকাহিনি অহরহই ফেঁদে থাকেন। সিরিয়াস প্রসঙ্গে স্রেফ সন্দেহ, গুজব, কানকথা বা সূত্রভিত্তিতথ্যপ্রমাণহীণ হলুদ সংবাদের নেগেটিভিটি বা সেনশেনালিটিকে প্রায়োরিটি দিয়ে বা হাইলাইট করে দেশের একজন অত্যন্ত সম্মানিত, গুনী ও কৃতী মানুষকে "গবু" বলা জাস্টিফাই করার দুঃখজনক প্রচেষ্টাটাও আমার আগের মন্তব্যের শেষ লাইনে ব্যক্ত আকাঙ্খাটার চরম ব্যর্থতা প্রতিপন্ন করে, সেসম্পর্কে গুরুতর "প্রশ্ন" তুলে।
অথচ আমি কিন্তু "বিনা পারিশ্রমিক"-এর যে বিষয়টা উল্লেখ করেছি সেটা এই সিদ্ধান্তের পিছনে সরকারের কাছে প্রস্তাবক ও সম্ভবত পুরো ব্যাপারটায় অণুঘটকের ভূমিকা পালনকারী একজন অত্যন্ত দায়িত্বশীল কর্মকর্তার দায়িত্বপূর্ণ ও দ্ব্যর্থহী্ণ, সুস্পষ্ট জবানীর বরাতেই বলেছি। যিনি আসলে জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত স্বয়ং - ঐ মিশনের সর্বোচ্চ কর্তা। সুতরাং এই কথাটা বিডিনিউজের মত হাওয়া থেকে পাওয়া তথ্যসূত্রবিহীন ম্যাজিক ট্রিক নয়।
হুমায়ুনের কি ক্যান্সার হয়েছে বা কি স্টেজে আছে সেটা বা তার প্রগ্নসিস কি আমার জানা নাই। তবে এটুকু জানি অনেক ধরনের ক্যান্সারেই (বিশেষ করে একদম প্রাথমিক স্টেজে ধরতে না পারলে) "পুরোপুরি সুস্থ" হওয়া বা আরোগ্য (cure) হওয়া বলে কিছু নাই... রেমিশন আছে। রেমিশন প্রাপ্ত রোগী এক অর্থে মরনাপন্নই - ক্যান্সারের হাতে জিম্মী সে। কখনো স্বল্প মেয়াদের জন্য, কখনো দীর্ঘ মেয়াদের। কিন্তু জিম্মীই। তো পূর্ণ আরোগ্য হোক (যা আমরা আশা করি) বা রেমিশনই হোক, এইদিক থেকে চিন্তা করলে সরকারের সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে - সাবধানের মার নাই। সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ে... নয় কেন অনেকসময় কোন ফোঁড়েই আর কাজ হয় না। এটাই ভাল তার চেয়ে।
সরকারের চিন্তাটা মনে হয় এরকম ছিল - Better late than never। বিখ্যাত আপ্তবাক্য এটা - এবং এমনি এমনি না। সরকারের সিদ্ধান্তটা তাই ঠিকই আছে। তাছাড়া কাজ করতে হুমায়ূনই আগ্রহ প্রকাশ করেছেন প্রথমে (সূত্রঃ প্রথম আলো), তাই সুস্থ অবস্থায় সম্মান দেখানো হয়নি বলে এখনো সেটা দেখানো যাবেনা, ফিরিয়ে দিতে হবে বিদেশ বিভুঁইয়ে অসুস্থ মানুষটাকে - এটা যুক্তিহীণ বক্তব্য এবং নির্মমও বটে।
কে বললো এটা "শেষ শ্রদ্ধা" ?
পরিপূর্ণ সুস্থ হয়ে হোক বা রেমিশন পেয়ে হোক, দেশে ফিরে আসলে এর পরও তিনি আরো অনেক সম্মান ও পুরষ্কার পেতেই পারেন!
আর শ্রদ্ধা জানালে অমানবিকতা ? হাহ্! ক্যান্সার কি ভয়ঙ্কর যন্ত্রনাকর একটা বিষয় হতে পারে এবং কেমোথেরাপি কি ডেস্ট্রাক্টিভ একটা চিকিৎসা হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা আছে ? আমার এক প্রিয়জনকে প্যালিয়েটিভ বাদে প্রপার কেমো দেয়াই যায়নি স্রেফ এর ডেস্ট্রাক্টিভিটির (সাইড ইফেক্ট) কারনে তিনি সাথে সাথে মারা যাবেন বলে, যেটা যদিও তিনি গিয়েছিলেন এমনিতেও ৮ মাস পরে। আপনার ধারণা আছে এরকম রোগী শারীরিক যন্ত্রনার পাশাপাশি কি প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রনা আর হতাশার মধ্যে থাকতে পারে (পাব্লিকলি যতই সাহস দেখাক না কেন) ? কিভাবে তার শরীর ভেঙ্গে যায় নাটকীয় ভাবে এবং তার কি প্রভাব পড়ে তার মনের উপর ? আপনি জানেন এতটুকু সহানুভূতি, সহযোগিতা, সান্নিধ্য, উষ্ণতা, এপ্রিসিয়েশন, মূল্যায়ন, সম্মান তাদেরকে কতটা শান্তি ও শক্তি যোগাতে পারে, তাদের মানসিক যন্ত্রনাটা কতটা তুলনামূলকভাবে সুবহ করতে পারে ? আমার কিন্তু এর সবটাই - পুরো স্পেকট্রামটাই নিজের চোখে দেখা আছে। তাই আমি বলতে পারি, এই শ্রদ্ধাটা অমানবিক নয়, বরং চরম মানবিক হবে। ইন ফ্যাক্ট, 'বিনা পারিশ্রমিকে' 'আ্লঙ্কারিক' ইত্যাদি জানার পরও ( এমনকি তা যদি নাও হতো ) এমন একটা গভীর মানবিক বিষয়কে 'অমানবিক' বলাটাই বরং চরম অমানবিক ও নির্মম । এবং এর সবচেয়ে বড় প্রমান হচ্ছে রোগী নিজেই এটা চেয়েছেন এবং পেয়ে অত্যন্ত অবাক, আনন্দিত ও খুশি হয়েছেন (সূত্রঃ প্রথম আলো)। এটাই এই সিদ্ধান্তের সার্থক মানবিকতার প্রমান। আর হ্যাঁ, এখানে আপনার মনে করাকরির কিছু নাই। এটা সম্পূর্ণ আপনার এক্তিয়ার বহির্ভূত এবং অযাচিত - কারন রোগী নিজেই এর মানবিকতা ঘোষনা করে দিয়েছেন (সূত্রঃ প্রথম আলো)।
সবশেষে আবারো বলছি - আমার তো মনে হয় না বাংলাদেশ সরকার তাকে কোনরকম দয়া করছে, বরং তিনিই আসলে আমাদের ধন্য করছেন। গুনীজনকে সম্মান করে, তা সে যেভাবেই হোক না কেন (এক্ষেত্রে হুমায়ূনের জন্য প্রয়োজনীয় উপায়েই), আমরা আসলে রাষ্ট্র ও সমাজ হিসেবে নিজেরাই সম্মানিত হই। আর কেউ না। এমনকি ঐ গুনীজনও না আসলে। এই উপলব্ধিই সভ্যতাতবোধের লক্ষণ।
****************************************
হুমায়ূন আহমেদ তাঁর অভিলাষের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের কাছ থেকে যথাযোগ্য মানবিক আচরণ পেয়েছেন। আশা করি তিনি এবার হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা বিষয়ে দৈনিক সমকালে প্রকাশিত তাঁর বক্তব্যটি পুনর্বিবেচনা করবেন এবং এই বক্তব্যের জন্যে ক্ষমা চেয়ে নিজেও মানবিকতা প্রদর্শন করে আমাদের আরেকবার ধন্য করবেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিশেষ উপদেষ্টার কাছ থেকে আমরা এই মানবিক আচরণ প্রত্যাশা করতে পারি, কী বলেন?
একশ বার পারি! হাজার বার পারি!
হুমায়ূন আহমেদের ঐ মন্তব্যটা অত্যন্ত অন্যায় এবং নির্মম ছিল। এই বক্তব্যের জন্যে ক্ষমা চেয়ে তিনি নিজেও তার মানবিকতা ও সভ্যতাবোধের প্রমান দিতে পারেন।
****************************************
আলোচনার জন্য পোষ্ট হলে টাইটেলটা অন্যরকম হবার প্রয়োজন ছিল। শুরুই করলেন খোঁচা দিয়ে, আর লেখার ভেতরে উক্ত পদে নিয়োগ পাবার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা বা প্রয়োজনীয় যোগ্যতার কোন পরিষ্কার ধারণা পেলামনা। লেখার ভেতরে বললেন "আপনার ধারণা" কিন্তু সেই ধারণা হবার পেছনের যৌক্তিক কারণগুলো দিলে আরও ভালো হতো।
যাহোক, ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদকে নিয়োগ দেওয়ার আগে একই পোষ্টে অতীতে কাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল?
অঃটঃ আপনার কি মনে হয় দৌড়ে আসবার কারণেই যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে মন্ত্রীত্ব দেওয়া হয়েছিল?
নতুন মন্তব্য করুন