পত্রপত্রিকায় “সম্পাদক সমীপে” নামে একটি অর্থহীন পাতা বরাদ্দ থাকে, যেখানে টিকাটুলি রায়েরবাজার বরিশাল নেত্রকোনা প্রভৃতি স্থান থেকে মানুষ এলাকার পানি সমস্যা, ভাঙা রাস্তাঘাট অথবা কৃমি সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে অভিযোগ করে চিঠি লেখেন। এসব চিঠি লিখে কেউ সমস্যা সমাধান করেছে বলে কখনো শোনা যায়নি, শেষ পর্যন্ত এইসব চিঠি হয়ে দাঁড়ায় মূল্যহীন স্থানীয় সংবাদমাত্র। মোটামুটি অনর্থক এই কাজটি করার ঐতিহ্য আমাদের প্রাচীন, জর্জ টয়েনবি লিখিত “A sketch of the administration of the Hooghly district from 1795 to 1845” বইতে পাওয়া যায় দেড়শ বছর আগে কোলকাতা নগরী হতে প্রকাশিত দ্য ইংলিশম্যান পত্রিকার সম্পাদক বরাবর আমাদের এক পূর্বপুরুষ লিখিত চিঠি।
…...................................................
“প্রিয় সম্পাদক মহাশয়,
একটি অতি দূর্ভাগ্যজনক কথা লিখবার জন্য আজ আমার এই কলম ধরা, দেশ ও জনতার বৃহত্তর স্বার্থে আমি আর চুপ করে রইতে পারছিনা। যে স্থূল ভাষায় আমার এই চিঠি রচিত তার ভাষার নিম্নমানের জন্যে অধমকে মাপ করবেন, দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো আপনার মূল্যবান ও বহুল প্রচারিত পত্রিকা মারফত আমি আমার অভিযোগ জানানো কর্তব্য বোধ করছি।
কলিকাতা শহরের বড়বাজারে দীর্ঘকাল ধরে আমার একটি কাপড়ের দোকান আছে। চন্দ্রকোনায় দুই গাঁট কাপড় কিনে ফিরে আসার পথে বহরমপুরে হুগলী জিলার জাহানাবাদ থানার মুহুরী আমার মাল জব্দ করেন ও চারজোড়া ধুতি তুলে নেন। ওগুলোর কেনা দাম ১৪ রূপী, কিন্তু উনি আমাকে মোটে ১০ রূপি ধরিয়ে দেন। এই লোকসান গ্রহনে আমি অসম্মতি জানালে তিনি আমার হাত বেঁধে ফেলেন জোরপূর্বক আর বলেন আমি নাকি একটা আস্ত চোর। দূর বিদেশে এমন অসহায় পরিস্থিতিতে আমার কিইবা করার ছিল, বাধ্য হয়ে আমি ১০ রুপীতেই রাজী হলাম। মুহুরী তখন তার দুই বরকন্দাজ জয়কেষ্ট তিওয়ারী আর শ্যামলাল পাঁড়েকে আমাকে দেবার জন্য ১০ রূপি দিলেন। জয়কেষ্ট আর শ্যামলাল দুই রূপি পকেটস্থ করে আমায় দিল মোটে আট রূপি! এই অধর্ম দেখে আমি টু শব্দটি না করে মাল নিয়ে পা চালাই আমার দোকানের দিকে। হুগলীর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কড়া প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেই তখন।
পরদিন গঙ্গাতীরে স্নান করতে গিয়ে দেখি নদীপাড়ে জটলা বেঁধে কিছু মানুষ হল্লা করছে। একটু এগিয়ে গেলাম ব্যাপার বুঝার জন্য। দেখি দুইদল লোক, একই মামলার আসামী ও ফরিয়াদি, তারা মিলে একত্রে ম্যাজিস্ট্রেটের মামলা মিটে যাওয়ায় পূজো দিচ্ছে। দুই দলের খুশি দেখে আমার কেমন ধন্দ লাগলো, কেমন মামলা রে বাবা হারু পার্টি জিতু পার্টি দেখে বুঝার উপায় নাই। কথা বললাম ফরিয়াদি পার্টির সাথে, তারা মামলায় জিতেছে কিন্তু আনন্দ সেই কারনে নয়, তারা আনন্দিত কোর্টে আর ধর্না দিতে হবেনা দেখে। গত এগারো মাস দৈনিক কোর্টে হাজিরা দিতে বাধ্য হওয়ায় তাদের ব্যবসা লাটে, প্রায় পথে বসার অবস্থা। এই পরিনতি হবে জানলে তারা মোটেই মামলা-মোকদ্দমার ধারে কাছে যেতনা। আসামীরও একই অবস্থা, মামলায় হেরেছে আর কয়েক রুপী ফাইন করেছে দুঃখ নাই, দৈনিক হাজিরার যন্ত্রনা থেকে মুক্ত হয়েছে এই আনন্দেই তারা অস্থির।
আমার মনে স্বভাবতঃই প্রশ্ন জাগলো, নিজেরা স্বশরীরে না গিয়ে উকিল মোক্তার পাঠালেই তো চলতো। তারা বললো মোক্তারনামার আর্জি পেশ করা হয়েছিলো, ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব ওটা বাতিল করে দেন আর হুকুম করেন দুই পক্ষকেই প্রতিদিন কোর্টে চাঁদমুখ দেখাতে হবে। শুনলাম, এই হুকুম অবাধ্যকারীদের নামে হুলিয়া জারি হয়, “ফেরারী বহি” নামের লিস্টে তাদের নাম ওঠে। এই ফেরারী বহি সকল নিকটবর্তী থানায় পাঠানো হয়, আর দারোগা প্রতিদিন ভয় দেখায় তাদের ঘুষ দেওয়ার জন্যে নইলে সোজা কোমরে দড়ি। সে এক বিরাট যন্ত্রনা, পালিয়ে থাকার মত। ফেরারী বহির লোক নিজে গিয়ে আত্মসমর্পণ করলে আরেক বিপদ, ম্যাজিস্ট্রেট কেসের বয়ান না শুনেই ঘ্যাচাং করে তার বিপক্ষে রায় দেন আর স্বাভাবিক শাস্তির বাইশগুণ সাজা প্রদান করা হয়। কিছু বদমাশ লোক আবার এই কড়া নিয়মের সুযোগ নেয়, আর নিরীহ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে।
আমি অতি সাধারন কাপড় ব্যবসায়ী, এগারো মাস বাদ দেন এগারো দিন আমি না থাকলেই আমার কোম্পানীর লালবাত্তি জ্বলে যাবে। হুগলী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জাহানাবাদ থানার মুহুরী আর বরকন্দাজ জয়কেষ্ট তেওয়ারী আর শ্যামলাল পাঁড়ের বিরুদ্ধে মামলা করে ব্যবসা খোয়ানোর চেয়ে ছয় রুপী আর অপমান সহ্য করাই শ্রেয় মনে করি। তবু প্রিয় সম্পাদক মহাশয়, আপনার বহুল প্রচলিত পত্রিকা মারফত নালিশ জানিয়ে গেলাম এক অদ্ভুত আইন ব্যবস্থার যেখানে জিতে যাওয়া অপেক্ষা মামলা না করাই অধিকতর লাভজনক।
আপনার একান্ত অনুগত,
শ্রী শ্রী ব্রজমোহন দাস
বড়বাজার, কলিকাতা।
১০ই ফেব্রুয়ারী, ১৮৪১।”
….............................................
অফ টপিকঃ বরকন্দাজ জয়কেষ্ট আর শ্যামলালের দুই রুপী হজম করার ঘটনা পড়ার সময় হাসিতে আমার দাঁত বেরিয়ে গিয়েছিলো, একবারে খাঁটি বাংলাদেশের পুলিশ।
সত্যপীর
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%6d%69%72%31%37%38%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%6d%69%72%31%37%38%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))
মন্তব্য
পয়লা মন্তব্য আমার।
পাইলেন কই এই জিনিস?
পাইলে আরো দিয়েন, গাওক আছে।
খুzলে কত কিসু পাওয়া যায়রে ভাই...আরো দিমুনি ভয় নাই
এক দেওয়ানী মামলার অভিজ্ঞতার কথা বলি। আসামী উকিল নোটিশের উত্তর দেয়নি। মামলার প্রথম দিন থেকে শেষ দিন ইস্তক আদালতে হাজিরা দেয়নি। ফরিয়াদী উকিল মারফত হাজিরা দিতে পারেন বটে, তবে উভয় পক্ষ গরহাজির থাকলে হাকিম সাহেব মামলা নিয়ে আর বিশেষ কোন কথা বলতে আগ্রহী হন না - মাসখানেক পরের আরেকটা তারিখ দেন। বাধ্য হয়ে ফরিয়াদীকে প্রতি তারিখেই হাজিরা দিতে হয়। এভাবে বছর সাতেক চলার পর মামলার রায় হয় আসামীর অনুপস্থিতিতেই। আসামীর সাজা হয় সামান্য অর্থদণ্ড - আইনে অমনটাই আছে, হাকিম সাহেবের কিছু করার নেই। এদিকে মামলা চালাতে সাত বছরে ফরিয়াদীর তার চেয়ে ঢের বেশি টাকা খরচ হয়ে গেছে। আর সাত বছর ধরে নিয়মিত হাজিরা দেবার কষ্টতো আছেই। দুইশ' বছরেও ব্যবস্থাটা বিশেষ কিছু পাল্টায়নি। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের ধারাবাহিকতাই চলছে আজো। একটা স্বাধীন দেশের উপযুক্ত আইন ও বিচার ব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত সেটা নিয়ে ভাবার প্রয়োজনও কেউ বোধ করেনা মনে হয়।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
কিসসু পাল্টায়নি পান্ডবদা, কোর্ট-কাচারী ঠিক আগের মত বেনিয়মে চলছে। মেজাজ খারাপ হয় মাঝে মাঝে।
সহমত।
পাণ্ডবদার সূত্র ধরে বলি, আমাদের বিচার ব্যবস্থার এইদীর্ঘসূত্রিতা আমাদের চিন্তার দৈন্য প্রকটভাবে প্রকাশ করে। আমাদের ক্রিমিনাল ল সমূহ আবর্তিত হচ্ছে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড এবং ১৮৯৮ সালের সি আর পি সি অনুসারে। অন্যদিকে সি পি সি (কোড অব সিভিল প্রসিডিওর) হল গিয়ে দেওয়ানী মোকদ্দমাসমূহ পরিচালনার ক্ষেত্রে মাদার ল। এই কোড আর আইন বিধি বিধানের বাইরেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইনের মূল উৎস ব্রিটিশ শাসনামল। গত দেড়শ বছরের ভেতর প্রণীত অনেক আইন সুস্পষ্টভাবে একে অন্যের সাথে সাংঘর্ষিক। অনেকগুলো আইন তার প্রয়োগযোগ্যতা অনেক আগেই হারিয়েছে। বাংলাদেশ কোড খুললে দেখা যায় অপ্রয়োজনীয় আর প্রয়োগের অযোগ্য অনেক আইন এখনো বলবৎ রয়ে গেছে। ভাবতে খুবই অসহায় লাগে আমার, এতোগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও আইনগুলো যুগোপযোগী করার কোন বড় রকমের চেষ্টা করা হয়নি। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ডঃ আকবর আলী খানকে প্রধান করে একটা রেগুলেটরি রিফরমস কমিশন গঠিত হয়েছিল। কিন্তু এই কমিশনকে তার কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। বছর বছর আইন কমিশন বড় বড় প্রতিবেদন পেশ করে। সেগুলো কতোটুকু বাস্তবায়িত হচ্ছে তা ভেবে দেখা যেতে পারে। মাঝে মাঝে তাই দুঃখ নিয়ে ভাবি, ভাগ্যিস ব্রিটিশরা এসে আমাদের শাসনের সাথে সাথে নিজেদের প্রয়োজনে কিছু আইন করে দিয়ে গিয়েছিল! আমরা হয়ত নিজেরা এই আইনগুলোও ঠিক ঠাক বানাতে পারতাম না!
--------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
আইন বিষয়টাকে এমন ভয়ংকর একটা বস্তু হিসেবে ধারনা দেয়া হয়েছে যে সাধারণ মানুষ আইনি ঝামেলায় পড়লে ভয়ে বেদিশা হয়ে যায়, এর সুযোগ ষোল-আনা নেয় পুলিশ, উকিল এবং আরো সবাই।
বৃটিশদের প্রেতাত্মা এখনও পুরো ঘাড় মটকে বসে আছে। যাদের উপর বদলে দেবার ভার তারা তাদের ক্ষমতা ভাগে রাজি নয় বলেই মনে হয় আমাদের আইন ব্যবস্থা এখনও পুরোপুরি ক্ষমতাবানের জন্য।
পোস্টটা খুব প্রয়োজনীয় এবং প্রাসঙ্গিক। অনেক ধন্যবাদ।
একবারে খাঁটি কথা, পুলিশ ছুঁলে আঠেরো ঘা। তারাপদ রায়ের গল্প মনে পড়ে যায়, যেখানে হাকিম সাহেব চেন হারিয়ে মামলা করেন কিন্তু দুই দিন পরে বাথরুমে চেন ফিরে পেয়ে পুলিশে আবার ফোন দেন। দারোগা তাকে জানান মামলা তুলে নেবার প্রয়োজন নেই... এরই মধ্যে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৭ জন চেন চুরির কথা স্বীকার করেছে আবার দুই জন চেন ফেরত ও দিয়েছে।
খুবই ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে. যদিও ঘটনাটি অতীত এর কিন্তু সমস্যা টি চিরন্তন.তবে আমার মনে হয় এটা শুধু বাংলাদেশ এর জন্য প্রযোজ্য নয়. আমি বলতে পারি আমি যেখানে থাকি সেখানেও একই সমস্যা . তবে হয়ত এর সমস্যার যে মূল 'দুর্নীতি' সেটা হয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশ এর তুলনায় বাংলাদেশ এ বেশি. সাধারণ মানুষ এইসব ক্ষেত্রে সবসময়ই দুর্ভোগ এর শিকার.
বাঘে ছুলে আঠারো ঘা, পুলিশে ছুলে ছত্রিশ ঘা আর উকিল ছুলে ... এখনো নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি
love the life you live. live the life you love.
হাহা! দারুন জিনিস পাইছেনরে ভাই!
কিন্তু একটা জায়গায় খটকা লাগল, ১৪ রুপী। চার জোড়া ধুতির ক্রয়মূল্য সেই ১৮৪১ সালে ছিল ১৪রুপী!! আমি তো শুনেছি, ব্রিটিশদের শেষদিকে থানার দারোগার বেতন ছিল আড়াই টাকা। আর তাতেই দারোগা বাবু গ্রামে নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসলে গাঁ শুদ্ধা লোক দেখতে আসত, কেননা গাঁয়ের অন্যতম ধনকুবের দারোগাবাবু।
সুতরাং তারও ১০০ বছর আগে চার জোড়া ধুতির দাম ১৪ রুপী রীতিমত অবিশ্বাস্য। বড়জোর ১৪ পাই/পয়সা হতে পারে।
কি জানি বলতে পারলামনা ক্লান্তি ভাই, মূল বইয়ে দেখলাম রূপীই লিখা। উনিশ শতকে ব্রজবাবুর রূপী ছিলো রূপা ভিত্তিক, আর দুনিয়া চলতো গোল্ড স্ট্যান্ডার্ডে। পরে একদিন রূপী গোল্ড স্ট্যান্ডার্ডে রূপান্তর করার পরে দুম করে রুপীর দাম পড়ে যায়। এইটা ১৮৪১ সালের পরের কথা। পরে অবশ্য রূপী একটু উঠে দাঁড়ায়। ১৯৫৭ সালে ১৬ আনা ভিত্তিক রূপী পরিবর্তন করে ১০০ নয়া পয়সা প্রচলন করা হয়।
অতএব আপনার ধনকুবের দারোগাবাবুর রূপী আর ব্রজবাবুর রূপী তুলনা করতে গেলে এইসব কারেন্সি ইকোনোমিক্স হিসেবে নিতে হবে। সচলে কারো জানা থাকলে আওয়াজ দিয়েন। আরেকটা কথা ক্লান্তি ভাই, দারোগাবাবুদের ধনকুবের হওয়ার একমাত্র উপায় কি সরকারী বেতন বলে আপনার মনে হয়?
ধুতির কোয়ালিটি ভিন্ন হয়তো। আটপৌরে ধুতির সাথে দরবারি ধুতি নিশ্চয়ই ছিলো। এজন্য হয়তো দাম বেশি। একটা সম্ভাবনার কথা বললাম। ভুল হতে পারে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হতে পারে। মূল ইংরেজী, "...and took out 4 pairs of dhooties,", তাই লিখেছিলাম চারজোড়া ধুতি। হতে পারে কেলভিন ক্লাইন ধুতি টাইপ কিছু, এক্সপোর্ট কোয়ালিটি। অথবা হতে পারে চার পিস পাইকারী ধুতির কাপড় যা দিয়ে অনেকগুলো ধুতি বানানো যায়।
১০% নেয় সবাই, আর দোষ পড়ে শুধু আসিফ জারদারি আর তারেক জিয়ার। ইঞ্ছাপ্নাই।
কুনো ইঞ্ছাপ নাই হিম্ভাই, জালিম দুনিয়া।
রাস্তা-ঘাট সংস্কার, পথের বাতি চাই -এসব চেয়ে আর ফায়দা নেই এই কলিযুগে।
মনে আছে, ক্লাস নাইনে একবার বাংলার শিক্ষক সম্পাদকের কাছে চিঠি পাঠাতে (মানে পরীক্ষায় লিখতে বলেছিলেন)।
আমি ছাড়া প্রায় সবাই লাড্ডু পেয়েছিল। কারণ, কাঙ্ক্ষিত বস্তু ছিল "গভীর নলকূপ স্থাপন", আর বাকি সবাই সেই নলকূপের পানি পান করার জন্য ঊদগ্রীব ছিল। আমিই কেবল মাত্র সেই পানি সেচকার্যে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম।
facebook
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
সিস্টেম আরও বিগড়েছে। ঐ দিন এর চারাগাছ গুলি আজ মহীরুহে পরিণত।
পোস্ট খুব ভালো হয়েছে।
ডাকঘর | ছবিঘর
ঠিক কথা, ঐ মহীরুহের ছায়ায় আমাদের বেড়ে ওঠা। আপনি আমিই ঐ মহীরুহে পানি দেই প্রতিদিন। বিরক্তিকর।
পোস্ট ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো। নেন ।
অবস্থা আগের মতোই আছে। তবে এখন মনে হয় পাবলিক বুঝে গেছে চিঠিফিঠি লিখে আসলে কিছু হয় না।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ইন্টারেস্টিং জিনিষ হইলো হাসিব ভাই, যদি ধরেও নেই দেশে বিশটা পত্রিকা (আসলে আরও বেশি) আর গড়ে পত্রিকাপিছু কমপক্ষে পাঁচটি চিঠি ছাপা হয় তাহলে প্রতিদিন ছাপা হয় ১০০+ চিঠি, লিখা টু ছাপা রেশিও ১:৩ ধরে নিলে প্রতিদিন পাঠানো হয় তিনশ চিঠি! তার মানে বছরে এক লাখের উপর মানুষ একটি অনর্থক কাজ করে নিয়ম করে।
এর বদলে একলাখ গাছ পুঁতলে কাজ দিত।
আরো কিছু অনুবাদ করে একটা ই-বুক করে ফেলুন। সংগ্রহে রাখার মতো জিনিস হবে।
কি যে বলেন তানভীর ভাই, ইবুক হতে হয় তাসনীম ভাইয়ের স্মৃতির শহর কোয়ালিটির লিখা। আমার লিখা বই হবার অনেক দূর। তবে মন্তব্যে অসম্ভব খুশি হলাম, ইউ মেড মাই ডে টাইপ খুশি। ঠিক লিখবো ফাঁক পেলেই কথা দিলাম।
আপনার অন্য পোস্টগুলো বিদেশী পর্যটক বা ঔপনিবেশিকের চোখে বাংলা এবং বাংলানিবাসী ইয়োরোপীয়দের অবস্থা বর্ণনা নিয়ে। এটা একটু ভিন্ন ঘরানার। আগের ঘরানায় আরো কিছু যোগ করে একটা বই বের করে ফেলুন। ই-বুক হলে খুব ভালো, কাগুজে বই হলেও মন্দ হয় না।
অনেক শরমিন্দা হইতেসি আজকে।
লিখতেসি, বইয়ের চিন্তা করিনা কে পড়বো আমার বই। এইখানে ছাপা হয় আপনেরা পড়েন এই তো অনেক। ঔপনিবেশিক শক্তিগুলার অর্থনীতি নিয়ে কয়টা বই পড়তেসি এখন, চমৎকার কয়েকটা পোস্ট হবে। নীলচাষ, তুলা অথবা আফিং নিয়ে লিখবো দেখি।
আমি চিন্তা করি, আজকালকার পেপার পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে যদি 'চিঠি' লেখার চল চালু করা হতো, তাইলে সেই চিঠিগুলার প্রথম চিঠিটাই হয়তো শুরু হতো 'হোয়াই দিস কোলাভেরি ডি' দিয়ে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভাবতেও বমি আসতেসে, একদম সহ্য হয়না গানটা
ভাল লাগল। পুরনো বইয়ের এক ধরণের ধুলোটে গন্ধ আছে। আপনার লেখাগুলো পড়ে সেরকম আমেজ পাওয়া যায়।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নতুন মন্তব্য করুন