ঈশানের ভাঙ্গা হাত-পা : ছাত্রলীগের দায় কোথায়?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৫/০১/২০১২ - ১২:৪৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ। বুয়েট, কুয়েট হয়ে সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়েছে তাদের ধ্বংসলীলার আগুনে। বিগত রাজনৈতিক সরকারের আমলে শিবিরের রগকাটা রাজনীতি আর ছাত্রদলের নৃশংসতাকে ছাপিয়ে চারদিকে এখন কেবলই ছাত্রলীগের বর্বরতার সাতকাহন। কিন্তু কেন? যে সংগঠনের সাথে জড়িয়ে আছে দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস, অনেক মহান নেতার উঠে আসার গল্প, সেই সংগঠন কেন আজ পরিচিতি লাভ করছে কুত্তালীগ নামে, খাইখাইলীগ নামে, সর্বোপরি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে??

স্নাতক শেষ করে স্নাতকোত্তর ধাপটাও বুয়েটেই করছি। আর অনেকটা সেইসূত্রেই বুয়েটের রাজনীতিকে দেখা হয়েছে অনেকদিন ধরে। দেখেছি গৌতমের উপর সেই পাশবিক অত্যাচার, দুই দুই শুধুমাত্র বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো ইস্যুকে কেন্দ্র করে দেশসেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যেতে আর সর্বশেষ দেখেছি ঈশান নামের একটি নির্ঝঞ্ঝাট মেধাবী ছেলেকে ভাঙ্গা হাত-পা নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে। যেই ছেলে তার সৃষ্টিশীল প্রোগ্রামিং দিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে, দেশনেত্রীর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে, সেই ছেলেরই হাড় গুড়িয়ে দিয়েছে দেশনেত্রীর সোনার ছেলেরা।

কমবেশী প্রতি পাঁচবছর অন্তর অন্তর এদেশের রাজনীতিতে পালাবদল ঘটাটা প্রায় নিয়মেই পরিণত হয়েছে। একবার আওয়ামী লীগ তো পরেরবার বি,এন,পি। আর জাতীয় রাজনীতির সাথে সাথে ক্যাম্পাসের ছাত্রসংগঠনগুলোর আধিপত্যেও আসে পরিবর্তন। এরই মাঝে কিছু কিছু থাকে যারা সকল দলের, সকল সময়ের সুবিধাভোগী। এরা দলের আদর্শ নয়, মেনে চলে নিজের স্বার্থগত প্রয়োজনীয়তাকে। বুয়েটের ছাত্ররাজনীতিও তার ব্যতিক্রম নয়।

রনক হাসান। বুয়েট ছাত্রলীগের ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতা! বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের উপ-তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ’০৪ ব্যাচের এই সোনার ছেলে নির্বাচনী পালাবদলের আগে পর্যন্তও ছিলো ছাত্রদলের একনিষ্ঠ কর্মী(অনেকের মতে নেতা!)। বুয়েট ক্যাম্পাসে এই রনকের বহুল আলোচিত একটি উক্তি আছে। আর সৌভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্যক্রমেই হোক, আমার সুযোগ হয়েছিলো সেই বক্তব্যের সরাসরি শ্রোতা হওয়ার। সেদিন দৃপ্ত কণ্ঠে রনকের উচ্চারণ ছিলো, “শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে এই রনক কোনোদিন ছাত্রদলের সাথে বেইমানী করবে না।” আর সাথে সাথে সবাই হাততালি দিয়েছিলো, বাহবা দিয়েছিলো। বলেছিলো, এই না হলে রাজনীতিক! এই না হলে নেতা!

এর কিছুদিন পরই রনক ছাত্রলীগে যোগদান করে। আচ্ছা, রনকের শরীরে এখন কি সবই পানি? না, তা নয়। বরং রনকের শরীরে রক্তের ঘনত্ব আরো বেড়েছে। আর সেই রক্তের তেজে রনক তার কালোহাতে বুয়েট ক্যাম্পাসকে ক্রমাগত কলঙ্কিত করে গেছে। রনক ছাত্রদলের সাথে বেইমানী করেনি। ছাত্রলীগে যোগদান করে সে একে একে শায়েস্তা করেছে পুরনো ছাত্রলীগারদেরকে, ছাত্রফ্রন্টকে; বুয়েট ছাত্রলীগকে পরিণত করেছে ক্যাডারের আখড়ায়।

বুয়েটের যেকোন সচেতন ছাত্রমাত্রই জানে যে, গৌতমকে কে মেরেছে, কারা মেরেছে, আর কে এর মূল হোতা। এর মূল হোতা ঐ রনক হাসান, আর তাকে সহযোগীতা করেছে মোকাম্মেল-লিমন গং। হ্যাঁ, ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার ভিপি মোকাম্মেল, যে কিনা একসময় সক্রিয় শিবির করতো, যার বাবা জামায়াতে শিবির উচ্চপর্যায়ের একজন নেতা। এই সেই মোকাম্মেল যার নামে হলের গেস্ট রুমে জোরপূর্বক বাইরের মেয়ে নিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে আরো একাধিক নারীসংক্রান্ত কেলেঙ্ককারির।

আরেকজন হচ্ছে ’০৭ ব্যাচের লিমন। এই লিমনেরও ছাত্ররাজনীতির শুরুটা হয়েছিলো ছাত্রশিবিরের ছায়াতলে। এখন সেই লিমনই নাকি ছাত্রশিবিরকর্মীকে মারধর করে হলছাড়া করে। সেই লিমন এখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের উপ-বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক। সম্প্রতি ঈশানের উপর ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত হামলার মূলহোতাও যে এই লিমন, সেটা ঈশানের বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ থেকেই বোঝা যায়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সুজিত ও মিঠুনকে শাস্তি দিলেও লিমনের ব্যাপারে ছিলো একেবারেই নীরব। তাই না বলে পারছি না যে, যতদিন লিমনের মতো ছেলেরা ক্যাম্পাসে উপস্থিত থাকবে, ততদিন একের পর এক সুজিত-মিঠুনেরা জন্ম নিবে, হাত-পা ভাংবে ঈশানদের, ক্যাম্পাসছাড়া হবে গৌতমেরা আর কলঙ্কিত হতে থাকবে বুয়েট ক্যাম্পাস।

বুয়েট ক্যাম্পাসের আরেক আলোচিত চরিত্র ’০৬ ব্যাচের ফাইরুজ চৌধুরী। ক্যাম্পাস সংশ্লিষ্ট কারোরই অজানা নয় যে, বুয়েট ক্যাম্পাসের বেশির ভাগ অস্থিরতার পেছনেই অবদান থাকে এই সোনার ছেলের। কিন্তু বিশ্বকাপ ইস্যুসহ বিভিন্ন ঘটনায় একাধিকবার তদন্ত কমিটি গঠন ও শোকজ করেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ কিছুই করতে পারেনি এই সোনার চাঁন পিতলা ঘুঘুর। এখানে উল্লেখ্য যে, রশীদ হলে ঘটে যাওয়া এক বিশৃংখল ঘটনার জের ধরে এই ফাইরুজ তার সুযোগ্য বন্ধু ম্যাকসহ বহিষ্কৃত হয়েছিলো ছাত্রদল থেকে। আর তারপরই ছাত্রলীগের বুয়েটশাখার সুযোগ্য নেতৃত্ব তাদের আধিপত্য বিস্তারের তাগিদে দলে ভিড়িয়ে নেয় এই সোনার ছেলেকে।

শিরোনামের প্রশ্নটি করেছিলো আমার এক সংগ্রামী ছাত্রলীগার সহপাঠী। কিন্তু তার রুদ্রমূর্তির সামনে সাহস হয়নি এ প্রশ্নের উত্তর দেয়ার। তাই উত্তর দিচ্ছি এখানেই। ছাত্রলীগের দায় এখানেই যে তারা আধিপত্যের নেশায় মত্ত হয়ে তারা আশ্রয় দিয়েছে এই সব ক্যাডারদের, দলীয় সিদ্ধান্তের দোহাই দিয়ে মৌন কিংবা সরব সমর্থন দিয়েছে এদের অপরাধকর্মকে, আর সময়ে সময়ে ক্যাডারসঙ্গে নিজেরাও পরিণত হয়েছে একেকটা ক্যাডারে।

শুধু বুয়েটের কথা জানি। ওটুকুই বললাম। রনক-মোকাম্মেল-লিমনদের হয়তো আরো অনেকেই এভাবে ছড়িয়ে আছে ক্ষমতার শীর্ষে। সময় এসেছে এদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর। সচেতন হতে হবে প্রকৃত রাজনীতিকদের, ঘুরে দাঁড়াতে আমাদের তথা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরকে। বুয়েটে আমাদের সাথে আছে সফলতার নিকট অতীত। তবুও কি আমরা এগিয়ে আসবো না শিক্ষাঙ্গণ থেকে সন্ত্রাস বিতারণের এই লড়াইয়ে? প্রশ্নটা রইলো বিবেকের কাছে---

(ভালো লিখতে পারি না। তবু সত্য শেয়ার করার তাগিদেই লিখলাম। ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।)

অমিত ফাগুন
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%61%6d%69%74%5f%66%61%67%75%6e%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%61%6d%69%74%5f%66%61%67%75%6e%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))
_______________________________________
“নিঃশেষে প্রাণ, যে করিবে দান, ক্ষয় নাই, তার ক্ষয় নাই...”


মন্তব্য

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

হ্যা, একটা প্রশ্ন আমার এবং আমার মত অনেকেরই ছিল: লিমনের শাস্তি হল না কেন? আর যাদের শাস্তি হয়েছে ওরা আবার ক্যাম্পাসে ফিরবে না তো?

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

লেখাটায় একটা টোন পাচ্ছি যে ছাত্রলীগের হয়ে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা নোংরা রাজনীতির ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারে ব্যস্ত তারা সবাই হয় ছাত্রদল বা ছাত্রশিবির থেকে কনভার্ট হওয়া লোকজন। আপনার উদাহরণগুলো সেরকমই ইন্ডিকেট করছে। আপনার শিরোণামের প্রশ্ন, "ছাত্রলীগের দায় কোথায়?"-এর জবাব যেন অনেকটা এরকম, ছাত্রলীগে যারা ছাত্রদল বা শিবির থেকে আসা বহিরাগত, তাদের সুযোগ দেয়াটাই ছাত্রলীগের দায়, পিওর ছাত্রলীগার যারা বা, বা যারা আগে থেকেই ছাত্রলীগ করে তাদের তেমন কোন দায় নেই।

আমি কি ভুল বুঝলাম? নাকি আপনি ভুল বোঝালেন? নাকি ঠিকই বুঝেছি, যা বোঝাতে চেয়েছেন? আশা করি পরিষ্কার করবেন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

কেউ এর ছবি

আমিও ত্রি-কবির প্রশ্নের সাথে একমত।বোঝাতে চাচ্ছেন, বস্তাপচা মাল এনেই ছাত্রলীগের এই হাল? টোনটা কনফিউজিং।

রনক-কে বাস্তবে চিনতাম অল্প। কারণ, আমরা যখন ছেড়ে চলে আসি, তখন তারা ঢোকে। এলাকার ছেলে হিসাবে বুয়েটেই পরিচয়। তখন কিন্তু এমন মনে হয়নি! পরে শুনে তো বিশ্বাসই করতে পারিনি প্রথমে!

লিমনের ব্যাপারে '০৬ এর একজনের কাছে শুনলাম, যে কিনা স্লোগানে সামনেই ছিলো... লিমনের 'লিঙ্ক' এস-এম হল সহ আরো উপরে... সুতরাং সেখানে হাত দেয়ার সাধ্য কারোই হয়নি... উপরে বলতে মন্ত্রী- আরো মন্ত্রীই বুঝি আমরা।

অমিত_ফাগুন এর ছবি

আর সময়ে সময়ে ক্যাডারসঙ্গে নিজেরাও পরিণত হয়েছে একেকটা ক্যাডারে।

এরপরও যদি কোন প্রশ্ন থেকে যায় তাহলে অনুরোধ করবো বুয়েট ক্যাম্পাসে কয়েকদিন চলাফেরা করে, স্টুডেন্টদের সাথে কথা বলতে। আমি এই লেখায় বুয়েটের রাজনীতির কোনো গোপন অধ্যায় নিয়ে লিখিনি। এখানের কথাগুলো কমবেশী প্রায় সব বুয়েটিয়ানই জানে। আমি শুধু সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করলাম। তাতে ছাত্রলীগ ফায়দা লুটলো নাকি _য়া মারা খেলো, হু কেয়ারস?

বেশী কষ্ট করতে হবে না, একটু চেষ্টা করলেই জানতে পারবেন। জানার চেষ্টা করুন সাম্প্রতিক সময়ে বুয়েটে ঘটে যাওয়া অস্থিরতাগুলো সম্পর্কে, কারা জড়ীত ও কারা মদদদাতা। নিজেই উত্তর পেয়ে যাবেন।

আমি গোয়েন্দা নই, কোনো দলের কর্মীও নই, এসব জেনেছি শুধুমাত্র একজন রাজনীতি সচেতন বুয়েটিয়ান হয়েই। আপনিও জানবেন।

পিউর ছাত্রলীগের দায় নেই বলা হয় নি, তাদের দায় তো অবশ্যই আছে এবং প্রধান দায়টা তাদেরই। এ বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশের কোনোই সুযোগ নেই। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বেশি ভয় করি পল্টিবাজ রাজনীতিকদের। এরা যেমন দেশের বারোটা বাজায়, তেমনি ক্যাম্পাসের জন্যও বিষ্ফোঁড়াস্বরূপ।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

এমন ভাব করলেন, যেন পল্টি মারা পাব্লিক ছাড়া লীগের বাকি পোলাপান সব ধোয়া তুলসীপাতা। শুধুমাত্র পল্টিমারা পাব্লিকরাই লীগের বারোটা বাজাচ্ছে! আমিও পাস করে বের হয়েছি। সব জায়গার কিছু পোলাপানের সাথে আমারও পরিচয় আছে, তাদের কে কেমন সেটাও কিছুটা জানি। এই লেখাটা আমার কাছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত লাগছে। ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব শুধুমাত্র বহিরাগত পল্টিবাজদের ঘাঁড়ে চাপিয়ে আপনি আপাতত ছাত্রলীগের অ্যাপোলোজিস্ট হিসেবে নিজের পরিচয় দিলেন।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

আরেক  এর ছবি

ছাত্রলীগের সব কর্মকাণ্ড এর পিছনে ছাত্রদলের আর শিবিরের দোষ খুঁজে বের করা, আর ছাত্রলীগের দোষ লুকানো।

মাহবুব এর ছবি

ছাত্রলীগের ব্যানারে যারা অপরাধ করছে তাদের দায়দায়িত্ব অবশ্যই ছাত্রলীগের। তারা শিবির থেকে আসছে নাকি কোথা থেকে আসছে সেটা আলোচ্য বিষয় নয়। আপনার লেখাটা ভালো লেগেছে কিন্তু এটার মাধ্যমে যদি আপনি ছাত্রলীগের দায় এড়ানোর ব্যাপার বোঝাতে চান, তাহলে সেটা অবশ্যই নিন্দনীয়।

বুয়েটিয়ান এর ছবি

ছাত্রলীগের ব্যানারে যারা অপরাধ করছে তাদের দায়দায়িত্ব অবশ্যই ছাত্রলীগের। তারা শিবির থেকে আসছে নাকি কোথা থেকে আসছে সেটা আলোচ্য বিষয় নয়।

চলুক চলুক চলুক

অমিত_ফাগুন এর ছবি

প্রথম লাইনের সাথে পুরোপুরি একমত।

তবে ছাত্রলীগে শিবিরের ঢুকে যাওয়া এবং উচ্চ পদে আসীন হওয়াটাকে এড়িয়ে যেতে পারেন না।

এটা অবশ্যই আশংকাজনক একটা ব্যাপার।

কালো কাক এর ছবি

চলুক

nirobotar ekso boshor এর ছবি

আমি শুধু একটা কথা ই বলব যারা এভাবে দল change করে তারা কোন দলেরি না......আর ছাত্রলীগের দায় ভার তাদেরি নিতে হবে.........কারন রনক বলেন আর ফাইরুজ বলেন এদের ছাত্রদলে কখনই কোন পোস্ট ছিল না.........।।

অমিত_ফাগুন এর ছবি

অবশ্যই ছাত্রলীগকে দায় নিতে হবে। এ বিষয়ে কোনই দ্বিমত নেই

তবে পদ থাকাটাই সংগঠন করার একমাত্র প্রমাণ হতে পারে না। সুজিত, মিঠুনেরও ছাত্রলীগে কোনো পদ নেই। কিন্তু তারা ঠিকই সংগঠনের ক্ষমতা দেখিয়ে ঈশানকে পিটিয়েছে।

বুয়েটিয়ান এর ছবি

যারা দল বা শিবির থেকে লীগে আসছে, তাদের দোষটাই দেখলেন, যারা আসলেই লীগ করে, তারা কি দুধে ধোয়া তুলসী পাতা? যাদের নাম বললেন, তারা লীগে জয়েন করার আগে তো তাদের নামে এতো বদনাম ছিলো না। তার মানে কি এই না যে, লীগে জয়েন করার পরে লীগের অতিরিক্ত আস্কারাই তাদের আজকের এই পরিণতির কারণ? আপনি বা আপনার ঐ লীগার বন্ধু এটার দায় কীভাবে এড়াবেন? এমন অনেক নিরীহ ছাত্রকেও চিনি, যারা ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে উচ্ছন্নে গিয়েছে, পাওয়ারের খেলায় মত্ত হয়ে গিয়েছে। কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন এগুলো?

নিধিরাম সর্দার এর ছবি

লেখকের নিকট হতে জবাবের অপেক্ষাই রইলাম upore। আর যদি সে এড়িয়ে যায় তাহ্লে বুঝতে হবে লেখাটা শুধু অন্যের উপর দোষ চাপানো ছাড়া আর কিছুই না। তার লেখা পরে মনে হচ্ছে সে নিজেও বুয়েট ছাত্রলীগের একজন কর্মী। তাই তার কাছে জানতে চাই সে নিজে এই উৎপাত ঠ্যাকাতে কি করেছে নাকি লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে???

হাসিব এর ছবি

ছাত্রলীগের তো দেখছি মহাদুর্যোগময় সময় উপস্থিত। এতোদিনের পুরনো একটা দল কর্মী বাড়াতে শিবিরের দারস্থ হচ্ছে।

স্বপ্নহারা এর ছবি

হ!

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনার লেখার পিছনে যদি কোনও মহতী উদ্দেশ্য থেকেও থাকতো, লেখার শিরোনামের কারনে আপনার সেই উদ্দেশ্য পুরোটাই মাঠে মারা গেছে। আপনার একটু বুঝতে হবে জামাত আকাম কুকাম করে বেড়ালে মানুষ বিএনপিকে গালি দেয় কেনো। এই ধরনের পোষ্ট দিয়ে ছাত্রলীগের কুকীর্তিকে ইমিগ্র্যান্টদের কাঁধে চাপিয়ে আড়াল করার যতোই চেষ্টা করা হোক, তা আখেরে কোনও কাজে দেবে বলে মনে হয়না। যে যেখান থেকেই আসুক না কেনো, আশ্রয়দাতাকেই তার দায় নিতে হবে।

আপনি বয়কে তরুন হলেও খবরাখবর রাখেন বলেই বিশ্বাস করছি। নীরু-বাবলু-অভি-বি. সেলিমদের ইতিহাস জানুন। সাথে সাথে জানুন মন্টু-খসরু-আওরঙ্গ-লিয়াকত-অশ্রুদের ইতিহাস। এরা যদি কোনওকিছু ভালো করেও থাকে সেই দোহাই দিয়ে এদের কুকীর্তিগুলো আড়াল করতে পারবেন না। আর যদি কোনও সদুদ্দেশ্য থেকে পোষ্ট দিয়ে থাকেন, তবে শিরোনামের ব্যাপারে যত্নবান হোন। নতুবা হয়তো সেই নতুন বউ আর শ্বশুরের মতো অবস্থা হতে পারে-

ডাইনিঙে বসে শ্বশুরের বায়ুত্যাগের দারুন তাড়না অনুভূত হলো। শেষে চেপে রাখতে না পেরে নতুন বউয়ের সামনেই চেয়ারটা খটাশ করে সরিয়ে একটা শব্দ করে বাবা সেই শব্দের ফাঁকে একটা ঝেড়ে দিলেন। সহজ-সরল নতুন বউ মুচকি হেসে শ্বসুরের দিকে এক চোখ টিপি দিয়ে বলে বসলো-

বাবা, শব্দে নাহয় শব্দ ঢাকিলো, গন্ধ ঢাকিবে কিসে?

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।