এখনকার কাচ্চা বাচ্চাগুলি ঘুমায় কখন বুঝিনা। চব্বিশ ঘন্টা কার্টুন দেখার সুযোগ থাকলে আমি দিনে কয় ঘন্টা ঘুমিয়ে নষ্ট করতাম বলা মুশকিল! এই বাচ্চা ভয়ংকরগুলি আশে পাশে থাকলে টিভির রিমোট কন্ট্রোলের কন্ট্রোল সম্পূর্ণ ভাবেই তাদের দখলে থাকে। হয় কার্টুন নেটওয়ার্ক, নয় নিকোলডিয়ান, না হয় ডিসনি চ্যানেলের বেনটেন, ড্রাগন বলযি বা স্পঞ্জবব টাইপ পচা কার্টুনগুলো বাধ্য হয়ে দেখতে হয় কিংবা তাকিয়ে থাকতে হয়। সবারই তো নিজেদের ছোটবেলাকে সোনালী সময় বলে মনে হয়, আমিও এর ব্যতিক্রম নই।
কার্টুন এর কথা ভাবতে ভাবতে বিটিভির স্বর্ণ যুগের কথা মনে হল হঠাৎ। ঘড়ির কাটা ঠিক দশটায় পৌঁছালে “এক সাগরও রক্তের বিনিময়ে...” অথবা “সব কটা জানালা খুলে দাও না......” সুর দুটা অ্যালার্মের মত বেজে উঠত আর টিভি পর্দায় ফুটে উঠত স্মৃতি সৌধের মিনার। আর আম্মু তক্ষন কপাল কুঁচকে বলতেন, “ঘুমাতে যাও, কালকে স্কুল আছে”। টিভি দেখার সময় নির্দিষ্ট ছিল রাত সাড়ে আটটা থেকে দশটার ইংরেজি “দি নিউজের” আগ পর্যন্ত। অবশ্য আটটার বাংলা সংবাদে আমার আগ্রহ ছিল না মোটেও। তবে স্কুলে ভর্তি হবার প্রথম তিন চার বছর পর্যন্ত আটটার সংবাদ ছিল পড়ার টেবিলে বসে থাকার ডেড লাইন। এরপর হোম ওয়ার্ক শেষ হোক বা না হোক আমি আর টেবিলে থাকতাম না।
দশটার সময় বাবা এসে বসতেন “দি নিউজ” দেখতে। তখন আমি ইংরেজি বুঝতাম না, অবশ্য এখনো বুঝি কিনা ঠিক বুঝি না। তবে তখন ম্যাকগাইভার বুঝতাম। বুধবার রাত নয়টা ছিল প্রচণ্ড প্রতীক্ষিত প্রহর। ওই ছোট্ট লাল ছুরিটা কেনার যে কি শখ ছিল। মনে হত ওরকম একটা ছুরি সংগে থাকলে ছেলেধরা আমাকে যেখানেই বেধে রাখুক আমি ঠিক পালিয়ে যাব। অবশ্য এই ব্যাপারটা আমার কাছে পরিস্কার ছিল না, যে ছেলে ধরার তো শুধু ছেলেদের ধরার কথা, আমাকে কেন ধরবে। পরে ম্যাকগাইভার শেষ হবার পর ফল গাই, রেভেন , দা উইজার্ড এইসব দেখাত কিন্তু ম্যাকগাইভারের জায়গা কেউ দখল করতে পারেনি।
মঙ্গল বার ছিল ধারাবাহিক নাটকের দিন। যার মধ্যে বহুব্রীহি’র কথাই সবচেয়ে মনে পড়ে। আদর্শ বাঙালি মামার রূপ এর চেয়ে সফল ভাবে বোধ হয় আর কোন নাট্যকার ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়নি। অয়োময়ের জমিদার বাড়ির কথাও মনে পড়ে। লবঙ্গ, এলাচি নানা গরম মসলার সমাহার। শুক্রবারের সাপ্তাহিক নাটক থাকত যা একঘণ্টা পরে কাহিনী শেষ। বাকি অংশ দেখার জন্য সাতদিন অপেক্ষা করতে হত না। মাঝে মাঝে বৃহস্পতিবার চলে আসত সাপ্তাহিক নাটক।
বিকালবেলা সাড়ে পাঁচটায় থাকত কার্টুন ছবি। ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট মনে হয় বৃহস্পতি বার হত। পাঁচটার সময় টিভি খুলে পবিত্র কোরআন পাঠ, গীতা ও ত্রিপিটক পাঠ সব কিছু দেখে ফেলতাম। অতঃপর অপেক্ষার পালা শেষ হত যখন স্বাস্থ্যবতী ঘোিষকা ঘোষণা দিতেন, “ছোট্ট বন্ধুরা, এবার তোমাদের জন্য পরিবেশিত হবে কার্টুন ছবি দি ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট”।
ছোট্ট বন্ধুদের জন্য আরো থাকত শুক্রবার সকালবেলা আমরা নতুন, আমরা কুড়ি আবহ সঙ্গীত সম্বলিত প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান নতুন কুঁড়ি। প্রতিযোগিতার বিষয় পছন্দ না হলে এটা দেখতাম না। যেদিন বলত আজকের বিষয় “গল্প বলা”, শুধু সেদিন দেখতাম।
শুক্রবার তিনটার সময় থান্ডারক্যাটস এর থান্ডারের জন্য অপেক্ষা ছিল। পরে দেখাত, “টিনেজ মিউটন নিনজা টারটেলস”। মাইকেল এঞ্জেলো কমলা, রাফায়াল লাল, ডনোডাল বেগুনী, লিওনারদও নীল ব্যান্ড পড়া, চারজন অসামান্য শিল্পীর নাম প্রথমে এভাবেই শিখেছিলাম। তারওপরে শুরু হল ক্রনিক্যালস অফ নারনিয়া। এর রিমেক মুভ্যি দেখার সময় মনে হয়েছিল সিরিয়ালটা অনেক ভাল ছিল। আসলানকে দেখার জন্য অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
শুক্রবার কোন কোনদিন দুপুরে বাংলা ছায়াছবি দেখাত, বুয়া সকলের মূল আকর্ষণ ছিল এটা কিংবা ছায়াছন্দ। বাসার আর সবার চেয়ে এদের সাথে আমার সংগত কারণে খাতির বেশী ছিল, কারণ এরা কখনই আমাকে বোকাঝোকা করত না, বরং প্রয়োজনের অতিরিক্ত আহ্লাদ দিত। তাই এদের সাথে বসে বসে জসিম আর রোজিনার সিনামা ও দেখতাম মনোযোগ সহকারে।
এখনকার মত না হলেও অনুষ্ঠানের মাঝে বিজ্ঞাপন বিরতি বরাবরই বিরক্তির উদ্রেক করত। কিন্তু সেটা বড়দের বেলায়, আমার তো এ্যাড দেখতেই বেশি ভাল লাগত। বিশেষ এ্যাড গুলির মধ্যে “আলো, আলো...চাকা চাকা বুমবুম পা পা” অলিম্পিক ব্যাটারির এ্যাড “ও মানিক, কি বাত্তি লাগাইলি” সেই বাত্তির রাজা ফিলিপস এর এ্যাড এদুটি বেশি মনে পড়ে।
প্রথমে জাম্প কেডস এর এ্যাড দেখে মনে হয়েছিল আমার জাম্প করার জন্য এটাই লাগবে। বাবাকে বললাম কিনে দিতে। বাবা ভাল বাবার মত কিনেও দিলেন। এরপর বেলী কেডস এর এ্যাড দেখে মনে হল এটাই বেশি ভাল, বেলী কেডস কিনে দিতে বলার পর ঝাড়ি খেলাম একটা। মিমি গিফট বক্স এর এ্যাডটাও মনে পড়ে। “মামা মামী আসে নাই।” “মামী আসে নাই তবে মিমি আসছে”। অনেকদিন পর্যন্ত আমার স্বপ্ন ছিল প্রথম চাকরী করে বেতন পেলে একটা মিমি গিফট বক্স কিনে আমি একা একা পুরাটা খাব।
বাংলা টিভি কমার্শিয়ালের নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করে ক্লোজ আপের “কাম আন এভ্রিবডি স্মাইল” এ্যাডটা। সম্ভবত আফজাল হোসেনের করা। তারপর মৌ আর নোবেলের করা সিল্ভারক্রস কন্ডেন্সডমিল্কের এ্যাডটাও খুব সুন্দর ছিল। তখনকার বাচ্চাদের মা রা এইসব এ্যাড দেখিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতেন, আমার একটা পিচ্চি ভাইকে খাওয়ানোর জন্য ফিল্মফেয়ার ভিডিও’র দোকান থেকে রেকর্ড করিয়ে আনা হয়েছিল সেসব এ্যাডের ভিডিও ক্যাসেট।
শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় থাকত বিশেষ কমেডি শো ‘দা পারফেক্ট স্ট্রেইঞ্জারস”, বাল্কি বারতাকুমস এবং ল্যারি এ্যাপেল্টন মানে কসিন ল্যারি সেই সময়টা মাতিয়ে রাখত বিটিভির দর্শকদের। দশটার খবরের পর লেইট নাইট সিরিয়াল দেখাত ডেলাস। বিটিভির সেন্সর বোর্ড যথেষ্ট কর্মঠ থাকা সত্ত্বেও কেন জানি সেই শো দেখার অনুমতি মিলত না আমার। আমি জানতাম ওটা বড়দের জন্য।
কখনো কখনো আমরা বিভিন্ন নোটিশ দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম, যেমন, "যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ আন্তরিক ভাবে দুঃখিত"। অথবা "অনুষ্ঠানের বাকি অংশ দেখবেন রাত ১০টার ইংরেজী সংবাদের পর।"
এইভাবে প্রতিনিয়ত বিটিভির অনুষ্ঠানমালা প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণ করত আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে। এখন আমরা অনেক অবাধ, মুক্ত, স্বাধীন দর্শক। তাও কখনও কখনও কেন জানি মনে হয়, টিভি স্টেশান কখন খুলবে এই ভেবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোগোটার দিকে তাকিয়ে থাকার মধ্যে একটা অন্যরকম প্রতীক্ষার আনন্দ ছিল।
শাব্দিক।
মন্তব্য
প্রতিটা লাইন মিলে গেলো। আমাদের সময়ের সবার ছোটবেলা একইভাবে একই রুটিনে কেটেছে। এখনকার বাচ্চাদের বোধহয় তা নয়। কেউ কম্পিউটারে, কেউ বাংলা টিভি চ্যানেলে, কেউ হিন্দি , কেউ ইংরেজীতে আটকে থাকে। সেখানেও আবার অনেক অপশন।
মাটি ও মানুষ দেখতেন না? আমার খুব পছন্দের ছিলো।
ধন্যবাদ কালোকাক লেখা পড়বার জন্য। "মাটি ও মানুষ" অবশ্য এখন 'হৃদয়ে মাটি ও মানুষ" হিসেবে এখনো দেখা যায় চ্যানেল আইয়ে। এই একটা অনুষ্ঠানই বোধ করি উন্নত পর্যায় ধারণ করেছে।
'হৃদয়ে মাটি ও মানুষ" দেখার চেষ্টা করেছিলাম। ভাল লাগেনি।
এই একটা অনুষ্ঠান মনে হয় বিটিভির সবচে দীর্ঘসময় ধরে চলা অনুষ্ঠান। ২৬ বছর ধরে চলছে। রেজাউল করিম সিদ্দিক নামের ঐ টিং টিঙ্গে ভদ্রলোকের এলেম আছে বলতে হবে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
মাটি ও মানুষের থিম সংটা শুনলে খুব ভাল লাগত, "আমারো দেশেরও মাটিরও গন্ধে..."
আহ বিটিভি! ছিতি তুমি বেদনা...
কিন্তু এত বড়সড় টপিক নিয়ে এইটুকুনি পোস্ট! ক্যাম্নে কী!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
বোনরে, ছিতি শক্তি বড় দুব্বল, চারণ করতে গেলে ক্ষেত্র কমে যায়।
আজকাল বিটিভিতে কিছু কি দেখায়?
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আজকাল বিটিভি কি কেউ দেখে?
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আমি তো অন্তত দেখি না, বাকিদের টা জানা নেই।
কিছু তো অবশ্যই দেখায়, সেই কিছুটা যে কি তার কোন ধারণা নাই।
কতদিন আগের দেখা অ্যাড ফট করে মনে পড়ে গেল। লন
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ সত্যপীর, মিমি'র বদলে (গুড়) লন।
বিটিভি নিয়ে আমার মনে রাখা গুলোও এইরকম। আরও য়োগ করতে চাই, রবিবারের উড উড প্যাকার আর টম & জেরী কিডস শো। উডির সেই হাসি মাঝে মাঝে আমি হাসি, তবে মনে মনে। হি হি হি।
উডি উড প্যাকারের লালচুলের ঝুঁটি আর হাসির তুলনা নাই।
কত্ত কিছু মনে পড়ে গেল...শুক্রবার থান্ডার ক্যাটস আর মঙ্গল বার স্পাইডার ম্যান...ইশ কত্ত সুন্দর সেই সব দিন।
আপনার লেখা পড়তে খুব ভালো লেগেছে।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
উচ্ছলা লেখা পড়বার জন্য।
আমাদের ছোটবেলায় টিভিই ছিলনা।
আমরা কী উল্টোপথে হাঁটছি! এক সময় বিটিভিতে কিন্তু বেশ ভাল ভাল অনুষ্ঠান হত। সাহেব-বিবি-গোলামের বাক্সে পরিণত হবার পরই বিটিভি তার উৎকর্ষ হারাতে থাকলো।
আপনার স্মৃতিচারণ ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ মুরুব্বি,
বিটিভি বোধ হয় উল্ট পথেই হাটে।
অনেক কথা মনে পড়ে গেল।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
ধন্যবাদ জিজ্ঞাসু।
ভাই, টারজানের কথা কইলেন না? মুভি অব দ্য উইক? নাকি অইগুলা আরো আগে দেখাইত? আমার স্মৃতি বড়ই বিপর্যস্ত।
অনেক কিছু মনে করায় দেয়ার জন্য আপ্নারে একখান
ভুলে গেসিলাম , মনে করায়ে দেয়ার জন্য
আমাদের বাসায় তখন টিভি গাইড কেনা হত। সেইখানে একটা পোষ্টকার্ডের মত থাকতো দর্শকের মতামত/পরামর্শ লিখে পাঠানোর জন্য। একবার আব্বুকে ধরে আমি লিখলাম যে "উডি উড পেকার" কার্টুন যেন আবার দেখানো হয় বিটিভিতে। এই কার্টুনটা সম্ভবত অনেক আগে দেখাত যার প্রশংসা শুনেছিলাম আব্বুর কাছে। আব্বু ঐ পোষ্টকার্ডটা পোষ্ট করে দিয়ে আসেন! এর অনেকদিন পর যখন উডি উড পেকার আবার দেখানো শুরু করে বিটিভিতে তখন আমার ভাবতে ভালো লাগতো যে আমার অনুরোধেই তারা এই কার্টুনটা প্রচার করছে আব্বুও আমাকে তেমনই বুঝিয়েছিলেন।
আপনার জন্য ফিলিপ্সের অ্যাড
ফিলিপ্সের এ্যাড এর জন্য
এখন তো উডি উড ও দেখতে মুঞ্চাইতেসে।
কত যে পুরানো স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
লেখা ভাল না লেগে উপায় আছে !!!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নষ্টালজিক পোষ্ট!
স্মৃতির পাতা গুলো খুব সুন্দর করেই উল্টেপাল্টে দেখালেন। ভালো লাগলো খুব। আমার নিজের যদিও এমন স্মৃতি নেই, টিভি পোকা ছিলাম না । টিভি দেখতে খুব একটা পছন্দও করতাম না । আর ঐ সময় গোটা এলাকাতে হাতে গোনা কিছু মানুষের বাড়িতে টিভি থাকত। বাড়িতে অনেক সময় লাইন লেগে যেতো, বিশেষত রবিবারে... সেই অনেক কথা। আপনাদের বিটিভির মতো আমাদের ছিল - দূরদর্শন।
ডাকঘর | ছবিঘর
দূরদর্শন আমাদের কাছে দূরররর দর্শনের মতই ছিল, হঠাত হঠাত আমরাও পেয়ে যেতাম।
টিভি দেখেন বা নাই দেখেন আমার নাড়ু কই আগে বলেন, সেই লোভেই না লিখলাম।
আরে আরে ... এ দেখি কিছুই ভুলেনা । আছে আছে ... এসে খাবেন , না নিয়ে আসতে হবে নাড়ু ?
ডাকঘর | ছবিঘর
নিয়ে আসবেন অবশ্যই, সাথে দাওয়াত ও রইল
হা হা !!! তাই !!! আচ্ছা তাই হবে ক্ষণ !! আওয়াজ দিয়েন তাহলে সময় মতো পৌঁছে যাবো ... হা হা হা
ডাকঘর | ছবিঘর
আওয়াজ তো কবেই দিসি, অপেক্ষায় রইলাম
কই । আমি আওয়াজ শুনি নাই তো
ডাকঘর | ছবিঘর
টেলিপ্যাথি
আহ ম্যাকগাইভার!! বুধবার!
এর আগে ছিল নাইট রাইডার...
পেছন ফিরে তাকালে মনে হয় এই সে সেদিন! উফ! How time does fly!
----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ...
অস্ট্রেলিয়ান টিভির সৌজন্যে ছোটবেলার বিটিভিরে ফিরে পেয়েছি। সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান, নাইট রাইডার, দ্য এ টিম দেখলাম বেশ কিছুদিন। এখন নিয়মিত দেখাচ্ছে ম্যাকগাইভার, ইনক্রেডিবল হাল্ক, ম্যাগনাম পি আই। আবার দেখলাম বেওয়াচ ও শুরু হয়েছে, এটা যদিও আমার আগে খুব একটা দেখা হয় নি। ও আর বহু দিন ধরে দেখেছি ম্যাশ। অবশ্য এ সবই গভীর রাতে। দিনে বা সন্ধ্যায় টিভির দখলীস্বত্ত্ব কন্যার।
তাহলে তো বিটিভি এখন অস্ট্রেলিয়ায়।
কন্যার দখলীসত্ত জারি থাকুক।
আসলেও সময় যেন উড়য়েই চলেছে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সবাই কি ০৭টা ৩০ মিনিটের আলিফ লায়লার কথা ভুলে গেলো ???? বিটিভি' র সবচে' রোমহর্ষক সিরিয়াল...
না, সে কি আর ভোলা যায়।
"আক্রাম আক্রাম আক্রাম" যাদু মন্ত্রের বল।
জিনদের সেই কোয়েকাফ শহর,মালেকা হামিরা,কুলফানের আংটি... আর অনেক কষ্টে জোগাড় করা শুরুর গানটা তো এখন আমার মোবাইলের রিংটোন... হা হা হা হা...
অনেক কিছু কমন পড়েছে।
বন্দনাদি, লেখা পড়ার জন্য।
অনেক স্মৃতি পুরনো এ্যালবামের মতো চোখের সামনে পৃষ্ঠা ছড়ালো। এতকিছু মনে রেখেছেন কি করে?
, স্মৃতি ঘাটতে ঘাটতে মনে পড়ে গেল।
নতুন মন্তব্য করুন