হেমন্তের উত্তরবঙ্গ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০১/২০১২ - ৩:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম পর্বঃ অভিযাত্রিক

অভিযাত্রিক হবার নেশাটা অনেক আগেই রক্ত-অস্থি-মজ্জায় ঢুকে গিয়েছিল। এবার ছিল ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করে নেওয়ার যে দীর্ঘ পদক্ষেপ তার একটা কিস্তিশোধ মাত্র। গন্তব্য-বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সর্বশেষ স্থান। ঢাকা থেকে প্রায় পাঁচশ’ কিমি দূরের বাংলাবান্ধা। আমাদের দেশের অনেকেই হয়তো বলবেন তেতুলিয়া হল বাংলাদেশের সর্বউত্তর (Extreme north)।একদিক থেকে এটা ঠিক। স্থূলভাবে ঠিক। কিন্তু স্থলবন্দরের মর্যাদা পাবার পর থেকে বাংলাবান্ধাকে এখন আলাদাভাবেই চেনা উচিত। তাছাড়া মহানন্দার অপার সৌকর্য, পরিষ্কার আবহাওয়ায় হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্খা দর্শন আর এর সাথে বোনাস হিসেবে ভারতের নির্লজ্জ আগ্রাসন নগ্ন চোখে প্রত্যক্ষকরণ তেতুলিয়া থেকে বাংলাবান্ধাতেই সবচেয়ে ভালো হয়। এইসব কারণে বাংলাবান্ধার স্বকীয়তা আজ মাননীয় (Esteemed)।

আমি যাত্রা শুরু করি আমার বাসা থেকে। যাত্রার উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সর্বউত্তরে পৌঁছানো এবং সেটা বাসা থেকে এবং সেটা আম্মার কাছ থেকে দোয়া ও বিদায় নিয়ে। ২০১০ সালের ৩ নভেম্বর যখন আমি জুরাইনের ভাড়া বাসা থেকে বের হই তখন বাজে সকাল ১১টা ২৬ মিনিট। ধুলাউড়ানো সড়কের বাঁদিক দিয়ে হাঁটা শুরু করি। আমার সাথে কেবল আমিই। ১৭ মিনিটের মধ্যে যাত্রাবাড়ী এসে পৌঁছলাম। যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় তখন চলছিল এক বিরাট কর্মযজ্ঞ। গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী উড়ালসেতুর নির্মাণকাজ। এটা হলে নাকি যানজট অনেক কমে যাবে; ঢাকার দক্ষিণ-পূর্বাংশে নাকি যানজট বলে কিছুই থাকবে না! আর যেহেতু অত্র অঞ্চল থেকে যানজট বিদায় নিয়েই নিচ্ছে। তাই অত্র অঞ্চলে যাতায়াতকারী এবং বসবাসকারী প্রাণীদের আখেরি ভোগান্তিদানের একনিষ্ঠ কর্মযজ্ঞই মহোৎসাহে চলছিল। সাথে বোনাস হিসেবে জনজট তো ছিলই। কিছু আবুলদের বরকতে এখনও অবশ্য এসব আছে। আমাকে এইসব ঝক্কি-ঝামেলায় যেতে হয়নি। আমার কাজ একটাই- পূর্বের হয়ে যাওয়া ও করে ফেলা ভুলগুলো শুধরে চোখকান খোলা রেখে হাটতে থাকা।

দুপুর পৌনে একটা নাগাদ খিলগাঁও এসে পৌঁছলাম। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। দেড়টার দিকে রামপুরা টিভি সেন্টার পার হলাম। বিটিভির অঙ্গনে ঢোকার সৌভাগ্য হয়নি। তাছাড়া সেখানকার নিবেদিতপ্রাণ (সরকারদলীয়) কর্মীগণ দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসাতে সদা সচেষ্ট থাকেন। এ অবস্থায় আমার উচিত হবে না এমন কিছু করা যাতে তাদের কর্মে কোন ব্যাঘাত ঘটে। অবশ্য আমার বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মন্ত্রীর একটা সুপারিশ পেলে (চেষ্টা করলে পাওয়া যেত) টিভিতে আমার মুখখানা কার্যসিদ্ধির আগেই দেখিয়ে নিতে পারতাম। যাহোক রামপুরা ব্রিজ পার হয়ে দুপুর সোয়া দুটো নাগাদ আমেরিকান দুতাবাস (অথবা বাংলাদেশের সত্যিকারের নীতিনির্ধারণী সদরদপ্তর) –এর কাছাকাছি এসে পৌঁছলাম। পাঠকদের কাছে আমার আগেই ক্ষমা চেয়ে নেওয়া দরকার বলে মনে হচ্ছে। কারণ আমি মূল ঘটনার চেয়ে পার্শ্বঘটনার পুথিগত আর ব্যক্তিগত বর্ণনাই বেশি দিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এভাবে চলতে গিয়ে আমার মনের মধ্যে অনেক ক্ষোভ-হতাশা-দুঃখ তৈরি হয়েছে; কোথাও কোথাও অবশ্য নির্মল আনন্দও পেয়েছি, আশান্বিত হয়েছি। হোক আমার কাঁচা হাত কিন্তু এগুলো লিখতে না পারলে লিখেও আমি শান্তি পাবো না যে।

কিছুক্ষণ পর নির্মাণাধীন যমুনা ফিউচার পার্ককে পাশ কাটালাম। এখানে নাকি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল থাকবে। তিনটার কিছু আগে কুড়িল বিশ্বরোড আসলাম। ওখানকার যাত্রীছাউনিতে মিনিট ছয়েক বিশ্রাম নিলাম। যাদের ময়মনসিংহ যাওয়া পড়ে তারা হয়তো ঠিকই ধরতে পারবেন আমি কোন ছাউনির কথা বলছি। নগরীর চিরায়ত যন্ত্রণায় বিরক্ত হলেও একটা দিক দিয়ে কিছুটা মুক্ত ছিলাম। তা হল- মানুষজনের কৌতূহল আর অবাক চাউনি। আস্তে আস্তে তা কেটে যাচ্ছিল। মিথ্যা বলবো না-সেটা আমার ভালোও লাগছিলো। মানুষজনের কৌতূহল আর অবাক চাউনি এসময় টনিকের মত কাজ করে।

যেকোনো কিছুর একটা লক্ষণীয় দিক থাকে। আমার কাছে সেদিনের চোখে পড়ার মত দিকটি ছিল বিমানবন্দর এলাকার চলমান দীর্ঘ যানজট। দুই ঈদ ও হরতাল (এখন অবশ্য হরতালেও কোথাও কোথাও ছোট ছোট যানজট হয় শুনেছি) ছাড়া ঢাকা নগরীতে যানজট থাকবে না এটা তো বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু তাই বলে বিমানবন্দর এলাকার মত মহাগুরুত্বপূর্ণ সড়কে! আমি আমার যাত্রাপথের প্রায় ৪০ মিনিট কেবল এই যানজটই দেখলাম। স্বস্তি কেবল একখানেই- ওটা ছিল আমার উল্টোদিকে আর আমি ছিলাম রাস্তার বাঁদিকে। বিকাল চারটা নাগাদ হযরত শাহজালাল (রহঃ) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছলাম। ওখানে কোন যানজট ছিল না। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। শীত আসেনি, কিন্তু আসি আসি করছে এরকম হেমন্তের বিকাল হয় অসাধারণ মনোরম আর তা যদি ব্যস্ততম ফাঁকা রাস্তার একপাশে একলা উপভোগ করা যায় তা হলে তো অতুলনীয়। পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। তবে শর্ত হল প্রকৃতিকে অবচেতন মন থেকে ভালবাসতে হবে। ঠিক করলাম (আসলে বাসা থেকে বের হবার আগেই ঠিক করে এসেছিলাম) মেজো খালার বাসাতে সেদিনের মত যাত্রাবিরতি করবো। খালারা উত্তরা থাকেন, হাজি ক্যাম্পের কাছাকাছি। বাকি পথ আস্তে আস্তে হেঁটে সোয়া চারটার দিকে খালার বাসার দরজায় নক করলাম। রাতে খালা-খালু আমাকে কোন পথ ধরে কিভাবে যেতে হবে তার একটা ধারণা দিলেন। তার উপর চাকরির সুবাদে খালুর ছিল প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতা। সেই অভিজ্ঞতাজাত মূল্যবান উপদেশ আর খালার অকৃত্তিম আদর-যত্ন নিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে গেলাম। লক্ষ্য- আজকের রাতটা ভালো করে ঘুমানো। কারণ আমার অভিজ্ঞতা বলে, সামনের রাতগুলো আমাকে অচেনা জায়গায় বিপদ মাথায় নিয়ে ঘুমাতে হবে। তবে একদিক দিয়ে আনন্দও লাগছিলো। মৃত্যুর খুব কাছাকাছি যাবার যে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা আমার আগের জার্নিতে হয়েছিলো তার সম্ভাবনা যে কাল থেকে বাড়তে শুরু করবে। অভিযাত্রিকের আসল স্বাদ তো কাল থেকেই পাওয়া যাবে।

বি: দ্র: এখানে বর্ণিত সমস্ত ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য


মন্তব্য

সাফি এর ছবি

পুরোটাই কি পদব্রজে নাকি? বর্ণনায় পারিপার্শ্বিকের চেয়ে হাঁটা এবং পথের খুঁটিনাটি বেশী প্রাধান্য পেয়েছে বলে মনে হয়েছে। সামনের কিস্তিগুলোতে, পথ চলতে দেখা ঘটনা বা মানুষের বর্ণনা আশা করছি।

সচলায়তনে স্বাগতম। অনুগ্রহ করে আপনার নিবন্ধিত নামে লেখার শেষে উল্লেখ করবেন।

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক এর ছবি

হ্যাঁ, পুরোটাই বিশুদ্ধভাবে পদব্রজে। আমি কখনো মহাসড়ক ধরে আবার কখনো আঞ্চলিক সড়ক ধরে হেঁটেছি। পারিপার্শ্বিক বলতে আপনি যদি পথের চারপাশের বর্ণনা বোঝান তাহলে তা সামনের পর্বগুলোতে পাবেন। আমি এই যাত্রাপথের কাহিনী প্রায় ১৩-১৪ পর্বে লিখবো। ইতোমধ্যেই ৪ পর্ব লিখে ফেলেছি। আস্তে আস্তে ব্লগে দিবো, ইনশাল্লাহ। আমার কাহিনী পড়তে আপনাদের হয়তো ভালো লাগবে না। কিন্তু আমার কাহিনীতে কোন মিথ্যা থাকবে না এই ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারি।

সাফি এর ছবি

আপনার কাহিনী পড়তে যেন আমাদের সবার ভাল লাগে সেই প্রচেষ্টাতেই মন্তব্য করেছি। উদাহরন দিয়ে বলি -

কিছুক্ষণ পর নির্মাণাধীন যমুনা ফিউচার পার্ককে পাশ কাটালাম। এখানে নাকি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল থাকবে। তিনটার কিছু আগে কুড়িল বিশ্বরোড আসলাম। ওখানকার যাত্রীছাউনিতে মিনিট ছয়েক বিশ্রাম নিলাম।

এই বর্ণনাটুকু লক্ষ করুন। এখানে পথের বর্ণনাই সব। এবং এই বর্ণনা অগরুত্বপূর্ণ। আপনি ঢাকা থেকে দেশের উত্তরতমপ্রান্তে হেঁটে গেছেন। কষ্টসাধ্য কাজ এবং একই সাথে অন্যন্য একটা ব্যাপার। অথচ আপনি যে বর্ণনা দিচ্ছেন তা নিতান্তই সাধারণ এবং গতানুগতিক। হেঁটে না যেয়ে যদি কেউ গাড়িতে যেত, তাহলেও তাকে ফিউচার পার্কে পার হয়ে বিশ্বরোডে উঠতে হত। আপনার বর্ণনায় যেমন যাত্রী ছাউনিতে বিশ্রাম নেওয়া কথা এসেছে তার বর্ণনায় হয়ত ট্রাফিক সিগন্যালে আটকা পড়ার কথা থাকত এই যা পার্থক্য। অথচ হেঁটে চলেছেন বলে আপনার কিন্তু সুযোগ অনেক বেড়ে যাচ্ছে, অনেক কিছু দেখা শোনা সম্ভব হচ্ছে যা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি অন্যন্য অভিজ্ঞতা। হয়ত গার্মেন্টস অভিমুখী কোন মেয়ে তার স্বপ্নের কথা বান্ধবীকে বলতে বলতে আপনার পাশ দিয়ে হাঁট্ছে। অথবা রাস্তার পাশে হাড়িটে মা পিঠা বসিয়েছে আর পাশে তার সন্তান আগুনে হাত সেঁকতে সেঁকতে অপেক্ষা করছে কখন পিঠা হবে - এরকম বর্ণনার আশায় থাকলাম।

ফাহিম হাসান এর ছবি

ভাল ফিডব্যাক চলুক

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক এর ছবি

প্রিয় সাফি ভাই,
আপনার কথার সাথে আমি একমত। আসলে এটা প্রথম পর্ব ছিল তো তাই তেমন ভালোভাবে লিখতে পারিনি। আমি ব্লগে দেওয়ার আগে আরেকটু বড় করে নিতে পারতাম। কিন্তু এটাও ঠিক যে প্রথম দিন আমি তেমন বলার মতো কিছু দেখিনি। আর আপনি ঠিকই ধরেছেন। আমার ঐ বানানগুলো ভুল হয়েছে। এরকম করা আমার মতে ঠিক না। আমরা ফটাফট ইংরেজি বলি অথচ বাংলাটা ঠিকমতো লিখতে পারি না এটা তো কাম্য নয়। আপনার মতো বন্ধুই আমার দরকার। কারণ আপনি এক দেখাতেই চারটা বানান যে ভুল হয়েছে ধরতে পারছেন। আপনার প্রথম মন্তব্যের পর আমি পুরো গল্পে চোখ বুলিয়ে মাত্র একটা বানানের ভুল ধরতে পারছিলাম।

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক এর ছবি

দুঃখিত সাফি ভাই।
বানানের ব্যাপারটা ভুল করে আপনার স্লটে চলে গেছে।

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অন্যকেউ এর ছবি

আপনি এখানে বর্ণিত ঘটনার সত্যাসত্যের ওপর এতোটা জোর দিচ্ছেন কেন? এটা তো আদালত না, সাহিত্য। আপনি বানিয়ে লিখলেও পড়ব, যদি সুপাঠ্য হয়।
আপনার লেখায় আপনার দেখা দৃশ্যগুলো বর্ণিত হচ্ছে হয়তো, কিন্তু পাঠকের মনে দৃশ্যটা পুনঃস্ফুটিত করে তুলতে পারছে না। দুয়েকটা বানানবিভ্রাটও নজরে এলো। আশা করি পরবর্তীতে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠা আরও ভালো কিছু লেখা পাবো।
সচলায়তনে স্বাগতম। লেখনী চলুক।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

নিঃসঙ্গ অভিযাত্রিক এর ছবি

আপনি বানান বিভ্রাটের কথা বললেন। ঘটনা যদি তাই হয় তো খুবই খারাপ। আপনি কি আমাকে দু একটা বানান ধরিয়ে দিতে পারেন যাতে আমি পরবর্তীতে ঐগুলো আর ভুল করতে না পারি?

অন্যকেউ এর ছবি

কাঞ্চনজঙ্খা - কাঞ্চনজঙ্ঘা, হাটতে - হাঁটতে, দুতাবাস - দূতাবাস, অকৃত্তিম- অকৃত্রিম।
সবারই অজান্তে কিছু না কিছু ভুল হয়ে যেতে পারে। কাটিয়ে উঠবেন নিশ্চয়ই, এই শুভকামনা রইল।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

তাপস শর্মা এর ছবি

ভ্রমণ বৃত্তান্ত আরও ভালো ভাবে ফুটে উঠুক এই আশা রাখি। পদব্রজে এই ভ্রমণ কাহিনী শুনার জন্য উৎসুক হয়ে বসলাম।

পরিসরে একটু বড় হলে ভালো হয়। আর উপরে অন্যকেউ যা বললেন যে ঘটনার সত্য অসত্যের উপর জোর দেওয়ার তো দরকার নেই, আপনি ভালো ভাবে লিখলে আমরা তা আনন্দের সাথেই পড়ব। হাসি

সচলায়তনে স্বাগতম।

আশালতা এর ছবি

মজা হবে মনে হচ্ছে। এই বসলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

দ্যা রিডার এর ছবি

সচলে স্বাগতম । চালান , সাথে আছি । আশা দির পাশের বেঞ্চিতে আমিও বসলাম পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

আপনার পাশের টাই তাইলে আমি চাল্লু

-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

দ্যা রিডার এর ছবি

সচলে স্বাগতম । চালান , সাথে আছি । আশা দির পাশের বেঞ্চিতে আমিও বসলাম

চিলতে রোদ এর ছবি

অনেকটা ইবনে বতুতার বর্ণনার মত মনে হচ্ছে...
সাফি ভাইয়ের মতামতের সাথে সম্পূর্ণ একমত। তবে সামনের লেখাগুলোর প্রত্যাশায় রইলাম। হাসি

তদানিন্তন পাঁঠা এর ছবি

আমি আশাদির সামনে বইলাম। উনারে ফিলিম দেখতে দিমুনা।। আমারে পুরায় পুরায় হাত সেঁকে। খাইছে

আপনার সাথে কি ক্যাম্রা ছিল? ছবির গ্যাটিস মাঝে মাঝে বর্ণনাকে শক্তি যোগায়। যেটাই হোক। আপনি মন খুলে নিয়ে হাত দিয়ে লিখতে থাকুন। আমরা কে বিশ্বাস করলাম আর কে করলাম না তার দায়ভারতো আপনার নারে ভাই।

ওই যে আপনি বলেছেন -

কিন্তু এভাবে চলতে গিয়ে আমার মনের মধ্যে অনেক ক্ষোভ-হতাশা-দুঃখ তৈরি হয়েছে; কোথাও কোথাও অবশ্য নির্মল আনন্দও পেয়েছি, আশান্বিত হয়েছি। হোক আমার কাঁচা হাত কিন্তু এগুলো লিখতে না পারলে লিখেও আমি শান্তি পাবো না যে

এটাই আসল কথা। আমরা জানতে চাই আপনার ক্ষোভ - হতাশা - দুঃখ এবং অবশ্যই আনন্দটাও।

কল্যাণ এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।