আজ অবেলার অবসরে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৮/০১/২০১২ - ১:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডায়েরি লেখার অভ্যেস নিয়মিত নেই আমার। সবুজ মলাটের ডায়েরিটায় তাই কখনো সময়ের অভাবে,কখনো অলসতায় কলম ধরা হয়ে উঠে না।তাও মনে দাগ কেটে যাওয়া মুহূর্তগুলো কালির অক্ষরে হয়তো দু-তিন মাসে,কখনো ৫-৬ মাসে একবার লিখে রাখি।ক'দিন আগে মনে হল,পাতাগুলো একবার উল্টিয়ে দেখি,মনটাকে একটু পেছনে ফেরাই।দেখলাম,বুয়েটের পাঁচটা বছর কীভাবে চলে গেল ! ভার্সিটি লাইফের ৫ বছর সত্যিকারের বড় হয়ে উঠার,নিজস্ব স্বাধীনতার ৫ বছর।

ভার্সিটি লাইফ শেষ হবার পর হয়ত আমারও অন্য সবার মত সবচে বেশি মনে পড়বে হলে কাটানো সময়গুলো। মুভি,আড্ডায়,ফিফা আর কার্ড খেলায়,কখনো হলের ছাদে গল্প করে,কখনো ঢাকার ফাঁকা রাস্তায় ঘুরে -- কতো রাত আমাদের নির্ঘুম কেটে গেছে; ঝুমবৃষ্টিতে ছাদে চলে গিয়েছি একসাথে ভিজব বলে… মনে পড়ে, একবার রিজা,ফারুক,লতিফের সাথে এক বসায় ১০০ ডিল আই.বি. খেলে সন্ধ্যা হতে ভোর পার করে দিয়েছিলাম।

শুরুর দিকে বড় ভাইদের মাইনকা চিপায় পড়ে হলে বেশ কয়েকটা রুম ঘোরাঘুরি করতে হয়েছিল। আর ডাইনিং- এ ঢুকলে ভাইয়াদের দেখে ভাবতাম- বাহ!! সবাই ইঞ্জিনিয়র.. কেউ আড্ডা দিচ্ছে,কেউ সিগারেট খাচ্ছে, কেউ মোবাইল ফাইট দিচ্ছে, কেউ ক্রিকেট খেলছে-- সবাই...! আর ছিল চারিদিকে অনুষ্ঠান... আজকে এন্ট্রান্স ডে, কালকে লেভেল কমপ্লিশন, তারপর র্যাচগ ... কখনো সেন্ট্রালি, কখনো হলে হলে..আবার নবীন বরণ,প্রবীণ বিদায়—ডিপার্টমেন্ট থেকে, কখনো অঞ্চলভিত্তিক সমিতি থেকে… সব মিলিয়ে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশ।

মাঝে মাঝে ভাবি,নিজের কম্পিউটার আর ক্যালকুলেটর ছাড়া বুয়েট লাইফ কীভাবে কাটিয়ে দিলাম। অবশ্য এজন্য কখনো কারণে, কখনো অকারণে হল থেকে হলে ঘুরে বেড়ানোই দায়ী। নিজের রুমেই (রশীদ-৪০০৭) থাকতাম সবচে কম। গান শোনা,মুভি দেখা,ফিফা খেলা-সবই হত অন্যদের পিসি-তে। এতে করে যা হল,প্রচুর বন্ধু হয়ে গেল সব হলে। ল্যাব রিপোর্টের কাজ থাকলে চলে যেতাম সোহরাওয়ার্দীতে,দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হত কপি-পেস্ট; হয়ত ল্যাব শুরু হবার ১০-১৫ মিনিট আগে কাজ শেষ হত,এরপর কোনরকমে প্রিন্ট করে-- দে দৌড়।

আহসানউল্লাহ হলের লাইব্রেরিতে রয়েছে বুয়েটের সবচে মজার স্মৃতিগুলো। এক রুমে গাদাগাদি করে থাকতাম ২০-২৫ জন। একজনের শার্ট আরেকজনের গায়ে,একজনের বালিশ আরেকজনের মাথার নিচে;হয়ত দেখা গেল বাড়ি থেকে খাবার পাঠানো হয়েছে,নিজেই খেতে পারল না। একসাথে সবার হাসি-কান্না সবাই ভাগ করে নিতাম... এজন্য কখনো হোম সিকনেসে ভুগতে হয়নি। শহীদ মিনারে বসে ক্লাসের পর জমিয়ে আড্ডা দিতাম।কখনো চলে যেতাম 'স্টার'-এ খেতে। এরপর শিখলাম কার্ড খেলা--প্রথমে কলব্রীজ,আস্তে আস্তে টুয়েন্টি নাইন, আইবি… রমজানে ইফতার করে কার্ড খেলতে বসে উঠতাম সেহরীর সময়। তখন কিন্তু আমাদের পিএল চলছিল- তিনদিন গ্যাপে এ দেওয়া আমাদের প্রথম এবং শেষ পরীক্ষার পি.এল ।

এভাবেই চলে যাচ্ছিল সময়। লাইব্রেরির দিনগুলো একসময় ফুরিয়ে আসল,সবাই নিজের রুম বুঝে নিল। আউলার ৩০৯,৩০৬ নং রুমে নতুন করে আড্ডা শুরু হল।আড্ডা চলত শেরে বাংলা-১০০৯,৩০০৩ এ। ক্রমশ আড্ডায় মানুষজনের সংখ্যা কমতে লাগল--কেউ টিউশনি ,কেউ প্রেমে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।তবে মাঝে মাঝেই একেকজনের জন্মদিন উপলক্ষে কেক আনা হত,চলত মাঝরাতে নাচের আসর।

বুয়েটের সবচে রোমাঞ্চকর স্মৃতি ১/১-এ, বিশ্বকাপে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন।জীবনে প্রথমবারের মত মিছিলে নেমে গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিতাম। কথায় কথায়-''জ্বালো রে জ্বালো,আগুন জ্বালো''। রক্ত টগবগ করত ওইসময়,একদিন দিনেদুপুরে চার-পাঁচশ ছেলে মিছিলে নেমে গিয়েছিল।যাই হো্‌ক,৪৭ দিনের বিশ্বকাপ বন্ধের পর আবার পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হল,আবার পরীক্ষা পেছানোর মিছিল।স্যারদের একগুঁয়েমিতে শেষ পর্যন্ত ভাঙচুর,পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস --শেষে হল ভ্যাকেন্ট…. বুয়েটের প্রথম টার্ম শেষ হল দশ মাসে। এরপর আরো পরীক্ষা পেছানোর মিছিল হয়েছে-কিন্তু ওই অনুভবটা কখনো পাই নি আর।

ওএবি-২১৬ রুমে বুয়েট জীবন শুরু হয়েছিল অন্যভাবেই।ক্লাশে তানভীর ছাড়া কাউকে চিনতাম না,নিজে গিয়ে নতুন কারো সাথে পরিচিত হবার ধাতটা নেই আমার ; স্কুল-কলেজে সবার কাছে বেশ পরিচিত আমার এই অপরিচিত হয়ে থাকা ছিল অন্যরকম মজার । ১/১-এ ল্যাব পার্টনার ছিল ফারুক। ফ্যাকাল্টি ক্রিকেট প্র্যাক্টিসেও দুজন একসাথে যেতাম, ক্রমশ বন্ধুত্বের সীমানা বাড়তে থাকে।পরে মেয়ে সংক্রান্ত বেশ কিছু ঘটনার জন্ম দেয় 'পাগলা' ফারুক। তারপর ১/২ তে 'কেমিক্যাল ডে'-র পর থেকেই অন্য সবার সাথে ঘনিষ্ঠতা শুরু হয়।একসাথে ডিপার্টমেন্টের কাজ করতে গিয়ে,ঘুরে বেড়াতে গিয়ে ইমন, জাহিদ, অর্ক, পাপ্পু, জনির সাথে ঘনিষ্টতা বাড়ে। ৩/১ থেকে সোহরাওয়ার্দী হলের ৪০০৪,৪০০২-এ স্বপন,সজীব,লতিফ,রাহুল,ফারুক--এদের সাথেই সবচে বেশি স্মৃতি আমার।হাতি ফারুক,জিসান,নবাব কাওসার,জাহিদ,হ্লা থুন,রিজা,জয়ন্তদের গ্রুপ্টা ছিল অফুরান আনন্দের উৎস। আর শেষ দুই টার্মে লতিফ একের পর এক কাহিনীর জন্ম দিয়ে যাচ্ছিল প্রতিদিন। তানজিল,মাহফুজ,লিমন,মাকসুদ-- কেউই আমাদের অ্যাডাম টিজিং-র হাত থেকে রেহাই পায়নি। ক্লাসে কখনোই মনোযোগ দিতে পারিনি, পেছনে বসে গল্পবই পড়তাম, না হয় পেছনের দরজা দিয়ে বাইরে…কত স্মৃতি এই কয় বছরে !!! ফুটবল মাঠে হঠাৎ পরীক্ষার কথা মনে পড়ায় ভাবুক হয়ে জনির হেঁটে বেড়ানো, ফোরট্রান ক্লাসে মিকির 'পাতিয়ে দেওয়া', বিল্লাহর হাসি, মেকানিক্স ক্লাসে আনোয়ারের সেই ঐতিহাসিক প্রশ্ন-''ম্যাডাম,ঘড়ি কোনদিকে ঘুরে?''... এসব স্মৃতি মাঝে মাঝেই উঁকি দেয় মনে। আবার জাহিদের সাথে শিল্পকলায় নাটক দেখা, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রবীন্দ্রসংগীত শুনতে যাওয়া,বইমেলা,পহেলা বৈশাখ, ঘুড়ি উৎসবে ঘুরতে যাওয়া, ফটোগ্রাফি আর ভায়োলিন শেখাও মিস করব অনেক।

অর্গানিক কেমিস্ট্রি-র ল্যাব সবচে বেশি মজার ছিল।একেকজনের পিঠে বরফ ঢুকিয়ে দেওয়া হত।দল বেঁধে আম চুরি করতে যেতাম।একবার বোতলে করে অ্যালকোহল চুরি করে এনেছিলাম ল্যাব থেকে,রাতে নান আর গ্রীল চিকেন দিয়ে ভয়ে ভয়ে খেয়েছিলাম। আর ইংলিশ সেশনালে ক্রিকেট প্র্যাক্টিস-এ যাওয়ার নাম করে প্রতি সপ্তাহে ফাঁকি দিতাম। ভাইভা বোর্ডে-এ নিশ্চুপ বসে থাকতে হত।আর কুইজ শেষে কেবলামার্কা হাসি দিয়ে খাতা জমা দিতে হত।

কেমিক্যাল '০৫-- ওএবি এর করিডোরে পাঁচটি বছরে কখনো রং হারায়নি। এই বিভক্ত পৃথিবীতে বড় শক্ত বাঁধন ছিল আমাদের, সবার ইউনিটি ছিল দেখার মত।তাই স্লাইড শো শেষে এক ঘন্টা গলাগলি করে কেঁদেও আমরা মন হালকা করতে পারি না। আমি সবসময় গর্ব করে বলব,বুয়েটে '০৫ ব্যাচের মধ্যে কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অন্তরঙ্গতা সবচ বেশি। মাঠে গিয়ে ফুটবল,ক্রিকেট খেলতে খেলতেই বন্ধুত্বটা আরো গাঢ় হয়েছে। ৪/১,৪/২- তে উঠেও সবাই নিয়মিত মাঠে যেত। একে অন্যকে পঁচানো,ক্ষ্যাপানো-- এসব ছোট ছোট ঘটনার মাঝেই লুকিয়ে ছিল ভালোবাসার বীজ। সময় এভাবে পালিয়ে যায় কেন? বুকের ভেতরটা কেমন যেন ফাঁকা হয়ে যায়...

পি.এল-এর সময় লাইব্রেরী যেতাম—রুমে বসলে খালি ঘুম পায় বলে। তবে ছিলাম 'পাস ফাইটার'… একদিন,মনে হয় ২/২ এর পি.এল, বৃষ্টি পড়ছিল সেই বিকেলে, ক্যাফে থেকে কফি নিয়ে বের হয়ে অডিটোরিয়ামের সামনে বসে ভাবছিলাম—ক্যাম্পাসে বসে একদিন এই বৃষ্টি আর দেখা হবে না।

দুই জনের কথা না বললেই নয় .. কার্টুন রিফাত আর সুবীর। কার্টুন এঁকে দেওয়ার জন্য আমি-ই সবচেয়ে বেশি বিরক্ত করেছি রিফাতকে- নানা প্রোগ্রামের জন্য ; কিন্তু বলে রাখি বুয়েটের যে কয়টা স্মৃতি আমার সারাজীবন মনে থাকবে,তার মধ্যে একটা হল, কার্টুন আঁকার সময় রিফাতের পাশে বসে থাকা,। ওকে কেবল আইডিয়াটা বলতাম, আর ও একটু ভেবে নিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে একটানে কি অসাধারণ সব কার্টুন এঁকে দিত... আর এন্ট্রান্স ডে-র রিহার্সেলের সময় কিশোর কুমারের সেই বিখ্যাত গানের শুরুতে অবিকল কিশোরদার মত একটা টান দিয়েছিল সুবীর, আমরা মনে করেছিলাম গলা মনে হয় ভাঙ্গা ছেলেটার...পরে সবার মন্ত্রমুগ্ধের মত ৫ মিনিট বসে থাকা, এখনো চোখে ভাসে...

আমার এই ২৪ বসন্তের জীবনে অন্যতম সেরা স্মৃতি--বন্ধের ফাঁকে সবাই মিলে ঘুরতে যাওয়া। কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন,রাংগামাটি, বান্দরবান, কেওকারাডং, বগালেক, বগুড়া, সিলেট, কুয়াকাটা, রাজশাহী, খুলনা, সুন্দরবন ,বিরিসিরি--সবই ঘুরে এসেছি টিউশনির টাকা জমিয়ে। এরপর ভারত ভ্রমণও হয়ে গেছে; তাজমহল,দিল্লী,শিমলা,মানালী,জয়পুরের স্মৃতি ভুলি কেমনে?

বুয়েট নিয়ে একটা মান্থলি পেপার বের করেছিলাম রাশেদ আর সৌমিক সহ '০৬এর আরো কিছু জুনিয়র মিলে...''খসড়া'' নামে। ক্যাফেবয়দের পড়ানোও শুরু করলাম। প্রজেক্ট ফ্লপ মারল তিন মাসে, কেউ পেপার পড়তে চায় না,সবার ফেসবুকই পছন্দ।

বুয়েটের মাঠও আমার প্রিয় তালিকায় সবসময়ই থাকবে।প্রতিদিনই একবার যেতাম বিকেলবেলায়।অবশ্য এজন্য অল্পসল্প ইনজুরির পাশাপাশি একবার ডিএমসি-র ইমার্জেন্সী ইউনিট-ও ঘুরে আসতে হয়েছে চোখে ব্যথা পেয়ে।তবু মাঠে নেমে সব ভুলে যাই…

কত কিছুই বদলে যায়, স্কুল-কলেজে মিনিমাম ২/৩ বার রিভিশন দিয়ে যেতে হত পরীক্ষার আগে... এখন পরীক্ষার আগে সিলেবাস একবারও 'ভিশন' শেষ হয়না... 'রিভিশন' তো পরের কথা...। তবুও জীবন নিজের মত করে উপভোগ করতে চেয়েছিলাম,যেন বুড়ো বয়সে নাতি-নাতনিদের বোরিং গল্প বলতে না হয়।

একে একে শেষ ল্যাব,শেষ ক্লাস টেস্ট,শেষ ক্লাস হয়ে গেল... পেছনে পড়ে থাকল-- বুয়েটের, ক্যাম্পাসের, হলের, মাঠের, ক্যাফের, বন্ধুদের... ৪ বছর ৯ মাসের স্মৃতি..

বুধবার আসার জন্য কি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম একসময় ক্লাস আর সেশনাল থেকে বাঁচার জন্য....এখন তো আমার আবার ক্লাস করতে ইচ্ছে করছে…

কিছুদিন আগে র্যা গ হয়ে গেল।সব স্মৃতিতেই একসময় ধূলোর আস্তরন পড়বে।

জানিনা,আর কখনো তোদের সবাইকে একসাথে এভাবে পাবো কিনা...

কখনো বলব কিনা, মনে আছে, ক্যাফের সেই আড্ডার কথা, টার্ম ফাইন্যালের আগের রাতে পলাশীতে গিয়ে চা খেয়ে আসার কথা,... জানিনা আর কি কখনো কাউকে বলা হবে কিনা,'' মনে আছে প্রক্সি দেওয়ার কথা, ওই মেয়েটার কথা.."

জানিনা আর কখনো বুকে বুক জড়িয়ে কষ্ট হাল্কা করতে পারব কিনা...

আমাদের এলোমেলো কত কথা উড়ে যেত বুয়েটের ইথারে ইথারে...

হয়তো দেখা হয়ে যাবে রাস্তায়,বাসে,ট্রেনে... গাড়ির কাঁচ নামিয়ে হাত বাড়িয়ে ডাক দিবি, হয়ত দেখা হবে কোনো বিয়ে বাড়ির দাওয়াতে...হয়তো অনেকের সাথে আর কখনোই দেখা হবে না.. জীবন আর ব্যস্ততার নানা কারণে..কিন্তু তোদের কি কখনো ভুলে থাকা যাবে? এই ছোট ছোট ভালোবাসার,ভালোলাগার মুহূর্ত কখনো কি ভুলে থাকা সম্ভব?

তোদের সঙ্গ পেয়েছি বলেই একদিন নিঃসঙ্গতায় ভুগব...

ভাল থাকিস সবাই,নিজের মতো করে…

-প্রিয়ম
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%70%72%69%79%6f%6d%5f%73%70%65%63%69%61%6c%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%70%72%69%79%6f%6d%5f%73%70%65%63%69%61%6c%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))


মন্তব্য

আশফাক আহমেদ এর ছবি

ভাইয়া কি বৈদেশ পাড়ি জমাচ্ছেন নাকি?
লেখায় কেমন বিষাদের সুর

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

প্রিয়ম এর ছবি

না, আসলে লেখাটা এক বছর আগের।

আজকে এন্ট্রান্স ডে তো, তাই মনে পড়ল এটার কথা হাসি

দেশ ছাড়ার আপাতত ইচ্ছে নাই।

স্বপ্নাদিষ্ট এর ছবি

বুয়েটের মজাগুলোর কথা মনে পড়লে দু:খ লাগে..পাঁচ বছর..কত স্মৃতি.. তারপর হঠাৎ করে শূণত্যা..হতে পারে আর কয়েকদিনের মাঝে পরে অনেকের সাথেই আর দেখা হবে না..যদিও ইন্টারনেট থাকাতে কিছুটা মনে হয় পাশাপাশি আছি...তার পরেও সামনাসামনি আড্ডার মজা কি নেটে হয়... মন খারাপ

-স্বপ্নাদিষ্ট
=======================
যে জাতি নিজের ভাগ্য নিজে পরিবর্তন করে না, আল্লাহ তার ভাগ্য পরিবর্তন করেন না।

সাত্যকি. এর ছবি

এওগগা সওয়ালঃ
১.কোন মেয়ের নাম নাই ক্যালা?
ওয়ান রিকুয়েস্টঃ
৩. আপনার ফেসবুকের স্ট্যাটাসগুলা সংকলন করে এই জায়গায় দ্যান। স্কুপারহিট হবেক।

প্রিয়ম এর ছবি

সওয়ালের জবাবঃ
মেয়েদের কথা অন্তরের মইধ্যিখানেই থাউক।

রিকুয়েস্টের প্রসঙ্গেঃ
একদিন দিয়ে দিতেও পারি, কওয়া যায় না...

মরুদ্যান এর ছবি

আহা বুয়েট! আহা স্টুডেন্ট লাইফ!

প্রিয়ম এর ছবি

আহা !

তিথীডোর এর ছবি

প্রিয়ম,
'আবুল হাসান'কে নিয়ে আপনার পোস্টটা ছিল দুর্দান্তিস, অনেকবার অনেক জায়গায় বলেছি।
সচলে লিখুন নিয়মিত, সঙ্গে চেষ্টা করুন মিথষ্কিয়াতেও এক-আধটু অংশগ্রহণের।
হ্যাপি ব্লগিং। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

প্রিয়ম এর ছবি

অনেকবার বলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফেবু অ্যাক্টিভিটির কারণে ব্লগে আমি একটু অলস কিনা, তাই নিয়মিত হওয়া এট্টু কষ্ট হয়ে যায়।

তাপস শর্মা এর ছবি

সচলে এসে বুয়েট সম্পর্কে এত কিছু শুনেছি যে বুয়েট এখন চেনাচেনা লাগে। ভালো লাগল লেখাটা পড়ে... কবে যে ভার্সিটি থেকে বিদায় নিলাম...এখনও বুকে ব্যাথা করে, বারবার।

প্রিয়ম এর ছবি

চিনচিনে ব্যথা খাইছে

তাপস শর্মা এর ছবি

হা হা হা হা হাসি । হুম ওটাই...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।