আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত: সরকার আসলে কি চায়!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০২/২০১২ - ৩:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আওয়ামী লীগ সরকারের ৩ বছরের সুশাসনে বাংলাদেশ হঠাৎ করে ৬০ দশকের জার্মানী হয়ে গেছে।ব্যাপক গতিতে শিল্পায়ন চলছে, সাঁ-সাঁ করে অবকাঠামো দাঁড়াচ্ছে, দেশের অর্থনীতি ধাঁই-ধাঁই করে এগুচ্ছে। সমস্যা একটাই এই শনৈ-শনৈ উন্নতির সাথে তাল মেলানোর মতো দক্ষ বা অদক্ষ জনশক্তি পাওয়া যাচ্ছেনা, বেকারত্বের তো প্রশ্নই উঠে না।প্রবাসী জার্মানদের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশ গঠনের এই ব্যাপক কর্মযজ্ঞে অনুপ্রাণিত করতে নেয়া হচ্ছে "ইস্পেশাল প্যাকেজ"।অবস্থাদৃষ্ট যা মনে হচ্ছে তাতেও কুলোবে না। আমাদের মায়ানমার থেকে বিশেষ ট্রেনে গেষ্ট ওয়ার্কার নিয়ে আসতে হবে।এমন অবস্থায় যেসব বেঈমান ও নির্বোধ দেশের বাইরে কাজ খুজতে যায়, তাদের নিরুৎসাহিত করতে নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

একক ভিসায় বিদেশ যেতেও দূতাবাসে ধরনা দিতে হবে!

এমন মহৎ উদ্দেশ্যে এবং পরিকল্পনার মধ্যে শুধু উন্নয়ন বিরোধী'রাই মন্দ কিছু খুঁজবে।

আবেগ মানুষের যুক্তিবোধকে আক্রান্ত করে। সব যুক্তিবোধ ছাপিয়ে এমূহুর্তে আমার উপর ভর করছে প্রচন্ড রাগ, প্রচন্ড।সরকার আসলে কি চায়!

একক ভিসা নিয়ে বিদেশে কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি সরকারি এই সিদ্ধান্ত হচ্ছে "শ্যুটিং অ্যাট ওন ফুট"। অবশ্য আমাদের মতো কামলা'দের কালো পা'তে শ্যুট করে যদি কিছু ঝোলা-গুড় মেলে, তাতেই সরকার-বাহাদুর ও তার আমত্য-বর্গের লাভ।আম-জনতার ভোগান্তি; হু কেয়ারস..

পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে বিদেশগামীদের ৯০ শতাংশ যায় একক ভিসায়।।সুনির্দিষ্টভাবে কত শতাংশ যায় তা বলতে পারবো না কিন্তু আমি ও আমার পরিচিতদের সবাই এসেছি একক ভিসায়।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ‘বিদেশগামী কর্মীদের মধ্যে ৯০ শতাংশই একক ভিসায় বিদেশে যান। এসব কর্মীর নিয়োগকর্তা, মজুরি, কাজের পরিবেশসহ নানা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস, বিএমইটি এবং মন্ত্রণালয় অবহিত নয় বিধায় কর্মীদের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

প্রবাসী কর্মীদের দূর্দশা আর প্রতারণার খপ্পর থেকে সরকার "মাসুদ রানা" সেজে উদ্ধার করবেন ভেবে আমার আনন্দে হাততালি দিতে ইচ্ছা করছে।

এসব কর্মীর চাকরির নিরাপত্তা, প্রতিশ্রুত মজুরিপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা এবং সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস বা হাইকমিশন থেকে নিয়োগসংক্রান্ত সব কাগজপত্র সত্যায়িত করাতে হবে।

আচ্ছা, তাইলে বাংলাদেশ দূতাবাস বা হাইকমিশন থেকে সত্যয়িত করে নিলেই প্রবাসী শ্রমিকদের সব সমস্যার সমাধান। বাংলাদেশ দূতাবাস আসলেই জানেই না, শ্রমিকরা কি ধরণের সমস্যায় পড়ে।তাই শত চেষ্টা সত্ত্বেও সাহায্য করতে পারছেন না!

যা হবে, বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি রপ্তানি স্রেফ শুন্যের খাতায় নেমে আসবে।ভিনদেশি নিয়োগকর্তার ঠেকাও পড়েনি যে বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়ার জন্য সে বাংলাদেশি দুতাবাসে গিয়ে পান-খাওয়া কর্মকর্তার স্ট্যাম্পের সিল নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকবে।

জিনিসটা কতটা অবাস্তব এবং উদ্ভট একটা উদাহরণ দিলেই বোঝা যাবে।প্রথমবার আমি আফ্রিকায় যে দেশে কাজ করতে যাই, সেদেশে বাংলাদেশি দূতাবাস নাই।আশেপাশের কোন দেশেই নাই।আমার রিক্রুটিং এজেন্সি ছিলো সুইডিশ এক ফার্ম আর চাকরিস্থল এক বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানির স্থানীয় অফিস।এখন আমার নিয়োগপত্র সত্যয়িত হবে কিভাবে?

রিক্রুটিং এজেন্সির কোন প্রতিনিধি আফ্রিকার কোন দেশে বাংলাদেশি দূতাবাস আছে, সেটা খুঁজে বের করে সেখানে গিয়ে সত্যায়িত করবেন! সেলুকাস!

লাতিন আমেরিকায় কোন দেশেই বাংলাদেশি দুতাবাস নাই।কোন বাংলাদেশি ব্রাজিলে কিংবা মেক্সিকো'তে কাজ করতে চাইলে, তার নিয়োগকর্তা আমেরিকায় বাংলাদেশি দূতাবাসে যাবেন সত্যায়িত করতে!

সরকার বিদেশগামি শ্রমিকদের তথ্য যথাযথভাবে নিবন্ধন ও সংরক্ষণ করতে চান।খুবই ভালো উদ্যেগ।বিমেট'এর আধুনিকায়ন করেন।[আমার বন্ধু যখন প্রথম রুয়ান্ডা যাওয়ার প্রাক্কালে বিমেট'এ নাম নিবন্ধন করেছিলো।আমি নিজে সাক্ষী, নামটা নিবন্ধন করতে সময় লেগেছে সাকুল্যে ৭ দিন, তারপর অফিস কর্তাদের "উপরি" আর গুলশান-মিন্টো যাওয়ার ঝক্কি তো আছেই]

দেশে যখন ডলারের তীব্র সংকট, টাকা মূল্য হুহু করে নিচে নামছে, তখন সরকারের এই আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত দেখে বলতেই হয় সরকারের "কইলজা" আছে বটে।নির্বোধও মাঝে মাঝে দু:সাহসী হয়ে উঠে।

অনতিবিলম্বের সরকার বাহাদুর এই নির্বোধ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন, এইটাই দাবি।

[আমি সচলায়তনে কোনভাবেই মন্তব্য করতে পারছিনা।মন্তব্যের ঘরে লেখার পর পোষ্ট করতে গেলে ক্যাপচা দিতে বলে কিন্তু "গুগল" বা "মজিলা কোন" ব্রাউজারেই ক্যাপচা দেখায় না।উবুন্টু কিংবা উইন্ডোজ; একি অবস্থা]

-অনিশ্চিত


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

এই মন্ত্রকের মন্ত্রীকে সৌদিতে ছয় মাস কামলা খেটে খেতে দেয়া হোক। আছে তো সুখে, ফুঁ দিলে বাজে।

তারেক অণু এর ছবি
ধ্রুব বর্ণন (অফলাইন টেস্টিং) এর ছবি

মন্ত্রী এও বলেছেন, একটু ক্ষতি তো হবেই। দেখা যাক কী হয়।পরে এটা বাতিল করতে তো সমস্যা নাই। কী মজা!

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

প্রথমে ওয়ার্ড ভেরিফিকেশান করতে ‍বলেছে, যদিও সেটা করার জন্য কিছু দেখা যায় নাই। আমি সংরক্ষণ বাটনে তখন জোর করে আবার চাপ দিলাম, দেখি মন্তব্য ঠিকই জমা হয়ে গেছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

নিবন্ধন না করলে সাধারনত তেমন কিছুই হয়না। তবে রিপ্যাট্রিয়েশনের ক্ষেত্রে কিছু ঝামেলা এড়ানো যায়, বিশেষ করে তা যদি হয় ফোর্স রিপ্যাট্রিয়েশন বা মৃতদেহ ফেরত পাঠানো। এক্ষেত্রে দূতাবাস আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে টিকেটের ব্যবস্থা করে বলেই একজন দূতাবাসে কর্মরত কর্মকতার কাছ থেকে শুনেছি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনিশ্চিত এর ছবি

আমার ধারনা, এইটাই ঘটবে।বেশিরভাগ লোকই নিবন্ধন করবেনা(অনেকক্ষেত্রেই নিবন্ধন করা অসম্ভব)।বিমানবন্দরে ইমিগ্রশন পুলিশ আটকে দিবে।পুলিশ কর্তাটি যদি "ইশমার্ট" এবং ঘুষ নিতে"সিদ্ধহস্ত" হয়, তাহলে "উপরি" দিয়ে ছাড়া পাবেন আর উজবুক টাইপের পাল্লায় পড়লে সোজা ফেরত ।

তবে আশার কথা আমাদের ইমিগ্রশনের বেশিরভাগ "ইশমার্ট" এবং উপরি নিতে"সিদ্ধহস্ত", সুতরাং সাহস করে "উপরি" দেওয়ার জন্য রেডি হয়ে বিমানবন্দরে গেলে ছাড়া পেয়ে যাবেন।সরকারও এইটাই চাই; কিছু লোকের বাড়তি আয়-রোজগার।
মন্ত্রীর পাল বলদ হৈতে পারে কিন্তু আমলা'রা তো না।তারা ঠিকই জানে এ পদ্ধতি কাজ করবে না, বরং বিদেশগামী শ্রমিকদের "চেপে-চুপে" যদি কিছু বের হয়।অসাধু জনশক্তি রপ্তানীকারকদের লাখের উপরে দেয়, সেখানে ১০ হাজার টাকা "ন্যায্য" উপরি দিতে পারবে না!

Amit এর ছবি

এ অনিশ্চয়তা নিয়ে বিমানবন্দরে যাওয়া যায় কি?

shafi.m এর ছবি

লেখায় চলুক

মন্তব্য করতে আপ্নার যে ঝামেলা হচ্ছে, এই সমস্যা নিয়ে অন্য পোস্টে আমার করা এক্টা মন্তব্য সরাসরি কপি-পেস্ট করে দিলাম।

"এ ঝামেলা এড়ানোর সহজ উপায় হচ্ছে, "জবাব" বা "নতুন মন্তব্য করুন" -এ রাইট ক্লিক করে "ওপেন ইন এ নিউ ট্যাব/উইন্ডো" তে ক্লিক করে নতুন পেজে গিয়ে মন্তব্য লেখা। তাহলে ক্যাপচা পেজের নিচে দেখতে পাবেন। আমি এভাবেই ফাঁকিবাজ মার্কা সমাধান বের করেছি দেঁতো হাসি

চেষ্টা করে দেখতে পারেন, ফলপ্রসূ হতে পারে।"

শাফি।

সাগর এর ছবি

একই সমস্যায় আগে পড়েছি, দেখি আপনার বুদ্ধিতে কাজ হয় কিনা শয়তানী হাসি

রিসালাত বারী এর ছবি

একটা হাস্যকর প্রক্রিয়া আগে থেকেই ছিল। সেটাতে এখন পর্যাপ্ত পরিমানে মূর্খামি ঢোকানো হচ্ছে।

মনে করেন, আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে একটা চাকরি পেলাম। এখন আমাকে কাজ করতে যেতে হবে ওয়ার্ক ভিসায়। ওয়ার্ক ভিসার জন্য আমাকে ওয়ার্ক পারমিট বের করতে হবে কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে। খুব ভালো কথা, কিন্তু সেই পারমিটের জন্য আবার আমার পাস্পোর্ট জমা দিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে। এখন কথা হচ্ছে সেই পাসপোর্ট আমি পাঠাবো কিভাবে? আমার তো ভিসাই নেই! নিজে নিয়ে যেতে পারব না। কাজেই পাসপোর্ট হয় আমাকে কুরিয়ার করতে হবে অথবা কোরিয়াতে অবস্থানরত কোন বন্ধু বা পরিচিতের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। সমস্যা আরো আছে। পাসপোর্টের সাথে অরিজিনাল সার্টিফিকেট (স্নাতক এবং চাকরি অভিজ্ঞতা) ও পাঠাতে হবে! কুরিয়ার করার পর সেই পাসপোর্ট আদৌ ফেরত আসবে কিনা তার কোন নিশ্চয়তা কেউ দেবে না! বাংলাদেশের কোন এজেন্সি এক্ষেত্রে কতটা নির্ভরযোগ্য হতে পারে সেই আলোচনায় আর নাই বা গেলাম। তবে কথা হচ্ছে বিদেশি টেলিকম কোম্পানিগুলো বিদেশি কোন এজেন্সির মাধ্যমেই সাধারনত নিয়োগ দেয়। সেসব এজেন্সিতে কাগজপত্র পাঠানো কিছুটা নিরাপদ, কাগজ ফেরত আসে। কিন্তু তাদেরকে যদি এরপর বাংলাদেশ এম্ব্যাসিতে যেয়ে সত্যায়িত করে আনতে হয় তো এই ঝামেলা তারা কেন নিবে, যেখানে অতি সহজেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, চায়না, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এমনকি পাকিস্তান থেকেও তারা রিক্রুট করতে পারে!!??

এই সব জটিলতা সহজ করার কোন পরিকল্পনা না করে মন্ত্রী মহোদয় আরো কিছু উটকো ঝামেলা যোগ করে ট্রায়াল এন্ড এরোর গেম খেলার মুডে আছেন। পাকস্থলি হয়ত সত্যিই তার মস্তিস্কে অবস্থান নিয়েছে।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

একটা হেল্পার এজেন্সী খুলে মন্ত্রীর ভায়রা টু পাইস কামিয়ে নিতে পারবে আশা রাখি।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমি বিদেশে যে ধরনের কাজ করি তাতে রেজিস্ট্রেশন বা এটেস্টেশন, কোনওটাই বাধ্যতামূলক নয় কারণ আমার চড়া দামে রিপ্যাট্রিয়েশন (জীবিত অথবা মৃত) ইনস্যুরেন্স করা থাকে। তবুও বিদেশে গেলে বাংলাদেশী এম্ব্যাসী বা হাইকমিশন খুঁজে বের করার চেষ্টা করি, তারপর খুঁজে পেলে একসেট কাগজ ধরিয়ে দিয়ে আসি। এটা সুযোগ থাকলে করা ভালো। কিন্তু যেখানে বাংলাদেশী দূতাবাস নেই সেখানে কি হবে!

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে বৈদেশিক মুদ্রার যে ভয়াবহ আন্তঃপ্রবাহের সংকটে পড়েছে, তাতে করে এই সিদ্ধান্ত এই সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে বলেই মনে হচ্ছে। আমার পরিচিত অনেক প্রবাসী এখন আর দেশে টাকা পাঠায় না, বিদেশেই স্বল্পকালীন, মধ্যমেয়াদী বা অনেকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করে থাকে। দেশে টাকা খাটাতে চাইলে খুবই স্বল্প সময়ে সেই টাকা লোপাট হয়ে যায়। পুলিশ থেকে শুরু করে মাস্তান, রাজনৈতিক পাণ্ডারা এইসব প্রবাসীদের পিছনে লেগে থাকে তার নিঃস্ব হওয়া পর্যন্ত।

বেনিফিটের সাথে হার্ম বিষয়টা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত, এটা এড়িয়ে যাওয়ার কোনও উপায় নেই। সরকার যে দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এই দূতাবাসে ধরনা দেওয়ার বিষয়টাকে জাস্টিফাই করছে, সেখানে এই বিশ্লেষণটা করা হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। শতকরা কয়টা ক্ষেত্রে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে এবং তার ফলাবর্তন কি, সেটা পরিষ্কার করতে হবে এবং প্রকাশ করতে হবে। নইলে এই সিদ্ধান্তকে একটা হঠকারী এবং স্বার্থান্বেষী সিদ্ধান্ত হিসেবেই ধরে নিতে হবে।

আর দূতাবাসগুলোর আন্তরিকতা নিয়ে কথা না কই!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই ব্যবস্থার ভালো দিক হলো দেশের মানুষ দেশেই থাকবে। বিদেশে কামলা দেয়া কিংবা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হওয়ার চেয়ে প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে দেশের উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখতে পারবে। উন্নয়ন খাতগুলোও আরো সমৃদ্ধ হবে। চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, সেনা, পুলিশ, ছাত্রলীগের বাইরে আরো নোতুন খাতও তৈরি করা যাবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অরফিয়াস এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ|

ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি- বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস যতদুর জানি খুব একটা কাজে কারোই আসেনা, বরং দূতাবাস না হয়ে দুটাবাঁশ হওয়া উচিত ছিলো| বিশেষ করে অনেক ছাত্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পড়তে যায় আমার জানা মতে বাংলাদেশের সেইসব দেশস্থ দূতাবাসের কারো কাছেই তাদের কোনো লিস্ট পর্যন্ত নেই, তাই কোনো জরুরি প্রয়োজনেও হয়তো সাহায্য সহযোগীতা পৌঁছানো সম্ভব নয়| বাংলাদেশ দূতাবাস অনেক ক্ষেত্রেই তাদের কাজ-কর্মের ক্ষেত্র থেকে অনেক পিছিয়ে আছে|

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

শতভাগ সহমত।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

Amit এর ছবি

ইরানে জব অফার ছিলো। কি করতে পারি? আওয়ামী লীগের জ্বালায় তো কিছু করার উপায় নাই

মূর্তালা রামাত এর ছবি

বাংলাদেশের মন্ত্রীদের চেয়ারগুোলোতে জাদু আছে....তাই মন্ত্রী হলেই মানুষ বলদ টাইপে পরিণত হয়....এই ঘটনা তারআরেকটা প্রমাণ...

মূর্তালা রামাত

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।