আজ কিছুদিন হল চাকরিটা হারিয়েছে আদনান। সারাদিন বাসায় বসে থাকা আর টিভি দেখা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই তার। তার স্ত্রী মৌ কাজ করে একটা খাবার দোকানে। দুজন মিলে সংসারের ঘানিটা ভালই চালিয়ে নিচ্ছিল। একটাই মেয়ে পুষ্পিতা নার্সারি তে পড়ে। আগে স্বামি-স্ত্রী দুজন মিলে মিশে বাচ্চাকে পালতেন। মৌ সকালে কাজ করত আর তিনি রাতে। লণ্ডন শহরে একটুখানি সুখের আশায় দিনরাত খাটনিতে কোনো বাধা ছিলনা মনে। হঠাৎ করে চাকরিটা চলে যাওয়ায় খুব ঝামেলার ভেতর পড়ে গেল আদনান। এই মুহূর্তে লণ্ডন এ চাকরি পাওয়া আর কলসী ভর্তি সোনা পাওয়া একই কথা। বাংলাদেশ এ ফেরত যাবেন সেই উপায় নেই। প্রতিমাসে দেশে মাকে টাকা পাঠাতে হয়। তাছাড়া আছে চক্ষুলজ্জার ভয়। সবাই মনে করে বিদেশে একবার আসতে পারলেই হল, এরপর সুখের জীবন। হায়রে জীবন! হারে হারে টের পাচ্ছেন তিনি জীবন কাকে বলে। বাংলাদেশের রিকশাওয়ালারা রিকশা চালাতে চালাতে হাপিয়ে উঠলে একদণ্ড বসে বিশ্রাম নিতে পারেন,এখানে সেই সুযোগটিও যেন নেই। এ কারণেই চাকরিটা হারিয়েছেন তিনি। একটু বেশিক্ষণ ধরে ব্রেক নিয়েছেন বলেই চাকরিটা গেল। অতটা চিন্তা নেই কারণ কিছু জমানো টাকা আছে,ও দিয়ে চলে যাবে দু তিন মাস ,হয়ত এ মাসে দেশে টাকাটা পাঠাতে পারবেন না তিনি। নতুন কিছু চিন্তা তার মাথায় আছে । মৌ আজ বাসায় আসলে বলবেন ওকে। লণ্ডন এ ওকে নিয়ে আসাটাই ভুল হয়েছে । কত ভাল একটা মেয়ে, অনেক ভালোবাসে তাকে । ভাবছেন আজ রাতে রান্না করে মৌ কে চমকে দেবেন। এখুনি চলে আসবে মৌ। মেয়েটা স্কুল থেকে এসে ঘুমিয়ে পড়েছে। এখুনি রান্না টা চাপিয়ে দেয়া যায়। বেল বাজছে। মৌ হবে।
কী খবর?কাজ কেমন হল?
বাথরূম এ যেতে যেতে বলল মৌ, 'আর বলনা, ঐ বদমাশ ম্যানেজার আরও কিছুক্ষণ কাজ করতে বলে। আমি মুখের ওপর বলে দিয়ে আসছি যে পারব না ।'
সমস্যা হবে না তো?
আরে না ,এসব নিয়ে আর মাথা ঘামাই না । তোমার কী খবর?
কিছু কথা আছে , শুনবে?
তাহলে আমার জন্য এক কাপ চা কর। খেতে খেতে গল্প করি।
আচ্ছা তুমি ফ্রেশ হয়ে আস।
বাবু কোথায়?
ঘুম।
চা বানাতে বানাতে নিজের কথাগুলো গুছিয়ে নিচ্ছিল আদনান । কোত্থেকে শুরু করবেন, কোথায় শেষ করবেন বুঝে উঠতে পারছিল না। তবুও, যেভাবেই হক, কথাগুলো এমন ভাবে বলতে হবে যাতে মৌ রাজি না হয়ে পারে না।
২
পড়ন্ত বিকেলে একটুখানি রোদ এসে পরেছে সামনের বাগানে। আর তার সবটুকু রূপ যেন গিয়ে ঠেকেছে মৌ এর চোঁখ দুটিতে। এই সুন্দর পরিবেশে মন খারাপ করা কথা গুলো বলতে চাচ্ছিল না আদনান। তবুও এই জীবনে কিছু কিছু কথা বলে ফেলাই ভাল । তাতে দুঃখগুলো কিছুটা হলেও হয়ত কমে।
বল, কী বলবে? মৌ বলল।
পরে বলি, সময় তো আছে।
না না , এখুনি বল। রান্নাবান্না পরে আছে। পুষ্পিতা উঠলে আর কাজ এগুবে না।
রান্না আজ আমি করব।
কী? কত বছর রান্না করনা খবর আছে? আগে যখন স্টুডেন্ট ছিলা তখন রান্না করতা, ভাল , কিন্তু এখন আমি তোমাকে রান্না করতে দিব না।
আমি তো এখনো স্টুডেন্ট ,তো সমস্যা কী?
'বছর বছর ভিসা রিনিউ করে স্টুডেন্ট থাকা কোনো কাজের কথা না।'একটু যেন রাগ করেই কথাগুলো বলে মৌ।
'দেখ মৌ, আমি তো ইচ্ছে করে আর স্টুডেন্ট হিসেবে থাকছি না। তুমি ভাল করেই জান আর কোনো উপায় নেই। এখানে একটুখানি ভাল থাকার জন্যই থাকা, আর কিছু নয়।'
'তাহলে তো দেশেই থাকতে পারি।' মৌ বলে ।
আদনান বলল 'তুমি জান দেশে গিয়ে আমাকে আবার সব কিছু প্রথম থেকে শুরু করতে হবে।সেটা আমার পক্ষে সম্ভব না।'
আচ্ছা কী বলবা বল। সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
মন দিয়ে কথা গুলো শুনতে পারবে?
পারব,তুমি বল।
একটু ভেবে নেয় আদনান । তারপর শুরু করে,'মৌ, তুমি জান যে স্টুডেন্ট দের জন্য ব্রিটিশ গভর্নমেন্ট খুব কড়া কিছু রুল্স বানাচ্ছে। এই যেমন ধর কাজ করা যাবে না, পাঁচ বছরের বেশি থাকা যাবে না। ঠিকমত কলেজ করতে হবে,তা ঠিক আছে, কিন্তু আসল সমস্যা হল কাজ নিয়ে। কাজ না করলে খাব কী?বাসা ভাড়া কিভাবে দিব,বাচ্চাকে কী খাওয়াব?তোমাকে কী খাওয়াব?নিজে কী খাব?
'কী বলবা সেটা বল।'থামিয়ে দিয়ে বলে মৌ।
আমার এক বড় বই আছে না,জামাল ভাই....
হু।
ওনার সাথে আমার কথা হয়েছিল।
কী কথা..?
ফ্রাণ্স এ যাওয়ার ব্যাপারে। ঐ যে, আমাদের নিয়ে যাবে , কাজ দেবে আর ছয় মাস পর সিটিজেন্সিপ। আমি ভাবছি ঐ দেশেই চলে যাব।
মৌ বলল "ওখানে গিয়ে তোমাকে নতুন করে শুরু করতে হবে না?'
'অবশ্যই,কিন্তু লণ্ডন এর এক্সপেরিয়েন্সটা তো আমার কাজে লাগবে। বাংলাদেশ এ এই কাজ দেখিয়ে আমি কী করব?'
কবে যেতে চাও?
যত তাড়াতাড়ি পারি...
কিভাবে যাবে?
সেটা তোমার জানা লাগবে না।
পুষ্পিতা উঠে পড়েছে। চিৎকার করে কাদছে। মৌ দৌড়ে মেয়ের কাছে যায় । ফেলে রেখে যায় অন্ধকার মন খারাপ করা এক সন্ধ্যা।
৩
রাত আনুমানিক বারো টা।আজ রাতেই ফ্রাণ্স এ যাচ্ছে আদনান । জামাল সাহেব সব কিছু ঠিক করে রেখেছেন। ৫০০০ পাউন্ড দিতে হয়েছে তাকে। ভিসা ছাড়া একটা দেশে ঢোকা যাচ্ছে এই তো বেশি। এছাড়া ফ্রাণ্সে ইতিমধ্যে জব রেডি।
লণ্ডন শহর থেকে অনেক দূরে একটা অন্ধকার রাস্তায় অপেক্ষা করছে আদনান, তার স্ত্রী মৌ আর মেয়ে পুষ্পিতা। আজ ঠান্ডাটাও মারাত্তক। পুষ্পিতা মায়ের কোলে ঘুমাচ্ছে। আজ সারাদিনে স্বামীর সাথে একটি কথাও বলেনি মৌ। সকালে একবার একটি কথাই বলেছিল।
"না গেলে হয় না ?"
আদনান বলেছে "না ,টাকা দেয়া শেষ।"
আধাঘণ্টা অপেক্ষার পর বিরাট একটি লরী এসে থামে তাদের সামনে । জামাল সাহেব বের হয়ে আসেন পিছন থেকে। ফিস ফিস করে বললেন,
"আসেন আসেন। এই গাড়ি নিয়ে যাবে আপনাদের ।"
"মানে?" মৌ বলে।
আরে আসেন তো।
লরীর পেছনে উঠতে গিয়ে মাথা খারাপ হয়ে গেল মৌ এর । ভেতরে প্রচন্ড ঠান্ডা । আর সারি সারি খাবার এর কেজ । স্যান্ডউইচ ,ফল-মূল ,ইয়োগার্ট এইসব এ ঠাসা।
"এটায় চড়ে আমরা ফ্রাণ্স এ যাব?তোমার কী বিচার বুদ্ধি লোপ পাইসে? এটায় কোনো মানুষ চড়তে পারে..! তুমি কী মানুষ না আর কিছু..!"চিৎকার করে আদনান কে বলে মৌ । "আমার কথা তোমার মাথায় না থাকতে পারে ,তোমার মেয়েটার কথা কী একবার ও ভাবলানা? চল, যাওয়া লাগবে না ফ্রাণ্সে। "
আদনান চেচিয়ে বলে "আরে ধূৎ টাকা দিয়ে দিসি না..! এখন তো বাংলাদেশ এ যাওয়ার টাকাটাও নাই । কই যাব?বাসা ছেড়ে দিয়ে আসছি। এখন কই থাকবো..?মাত্র পাঁচটা ঘণ্টাই তো। চাদর আছে। মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকবা। দেখতে দেখতে চলে যাব।"
"শুয়ে থাকবো?কোথায় শুয়ে থাকবো?শোওয়ার জায়গাটা কই দেখলা তুমি?দেখ, তুমি যদি যেতে চাও, যেতে পার।আমার মেয়েকে নিয়ে এইভাবে আমি কোথাও যেতে পারব না ।"
আদনানের চোখে পানি এসে যায়। সে বুঝতে পারছেনা কেন মৌ ব্যাপারটা ধরতে পারছে না। সে বলে "মৌ ,মৌ, লক্ষী বউ আমার, একটু বোঝো আমাকে । আমি তো ইচ্ছে করে এমন করিনি। আমি তো জানিওনা এভাবে কোথাও যাওয়া যায়। আগে শুনেছিলাম,আর এখন দেখলাম, প্রতি বছর লাখ লাখ লোক এভাবেই বিদেশে যায়। তারপর ইউরোপিয়ান সিটিজেনশিপ নিয়ে আবার লণ্ডন এ এসে কাজ করে। ছয় টা মাস কষ্ট করে থাকতে পারবে না...!"কাঁদতে কাঁদতেই কথা গুলো বলে আদনান।
জামাল সাহেব এতক্ষণ কিছু বলেননি। এবার বললেন, "আপনারা যাবেন নাকি যাবেননা । এতক্ষণ গাড়ি আটকায় রাখতে পারব না।"
আদনান এবার জামাল সাহেব কে একটু সাইড এ নিয়ে এসে বলে,"ভাই, যামুনা। টাকা গুলি ফিরত দেন। দেশে চইলা যাই।"
জামাল সাহেব বললেন"আপনার কী মাথা খারাপ হইসে? আপনি জানেন আমার কয়জন রে টাকা খাওয়াইতে হয়! ড্রাইভার রে টাকা দিসি, সিকিউরিটি গার্ড রে টাকা দিসি, দালাল রে টাকা দিসি,আপনি কী মনে করেন,সব টাকা আমি নিসি?...ভাই ,একটা কথা কই,মাইয়া মানুষের পাল্লায় পইড়া এই সুযোগ টা হারায়েন না।এই সুযোগ টাও সবাই পায় না"।
এই সুযোগ হারাতে আদনানও চায়না। দৌড়ে মৌ এর কাছে যায় সে।
লরী তে উঠতে গিয়ে দেখে ভিতরে এক কোণায় কোনোমতে বসে আছে মৌ। জাপটে ধরে আছে পুষ্পিতাকে, আর পুষ্পিতা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে। মায়ের চোখে কখনো এত পানি দেখেনি ও।
৪
গাড়ি চলতে শুরু করেছে। বাইরের দুনিয়া দেখার উপায় নেই । ভেতরে রাতের অন্ধকার। একটা ছোট বাল্ব জলে আছে । শীতে কাপছে পুষ্পিতা । হঠাৎ করে ঠান্ডাটা যেন অনেক বেড়ে গেল। যখন লরি তে উঠছিলাম তখন তো এত ঠান্ডা ছিল না। তাহলে কী দরজা খোলা ছিল বলে ভেতরটা এত গরম ছিল ! উত্তর খুজে পায়না আদনান। এটা তো এখন ডিপ ফ্রীজ মনে হচ্ছে ।সব রকম ব্যাবস্থা আগে থেকেই নেয়া। শীত এর জামা-কাপড় তো পরাই,আর আছে ছোট দুটো চাদর। বুদ্ধি করে আগেই ব্যাগ এ ঢুকিয়ে রেখেছিল আদনান ।
মৌ এখন অনেক টা দূরে গিয়ে বসেছে। খুক খুক করে কাশা ছাড়া আর কোনো শব্দ করেনি মা মেয়ে। চিন্তায় পরে যায় আদনান। একটু সামনে গিয়ে ড্রাইভার এর সাথে একটু কথা বলতে পারলে ভাল হতো। অনেক কষ্টে,হামাগুরি দিয়ে মৌ কে পাশ কাটিয়ে সামনের দিকে যায় আদনান। অনেক ঠান্ডা এদিকটায়। শব্দও প্রচুর। ও, এসির শব্দ। পর মুহূর্তে খেয়াল হল লরীর কন্টেইনারটা তো ড্রাইভার এর সিট থেকে অনেক পেছনে আলাদা ভাবে সংযুক্ত। এখানে বোম ফাটালেও ড্রাইভার শুনতে পাবে না। আবার পিছনে গিয়ে বসে পরে আদনান।
মৌ কে ডেকে বলে,'এখনো মন খারাপ?'
জবাব দেয় না মৌ।
চাদরটা গায়ে জড়িয়ে একটু ঘুমাতে চেষ্টা করে আদনান। ঘুম আসে না ওর। প্রচন্ড শীতে কুকড়ে যায় একসময়। বুকে চিনচিনে ব্যাথা হয়। মৌ এর কাছে গিয়ে বসতে ইচ্ছে হয়। তিনটা ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে। একটু কষ্ট করে মোবাইল এর আলোয় এগিয়ে যায় আদনান। মৌ আর পুষ্পিতার কোনো সারা নেই।
'মৌ,এই মৌ।' খুব আরাম করে মা-মেয়ে ঘুমাচ্ছে। তবুও কেন যেন ব্যাপারটা ভাল লাগলো না আদনানের। আবার ডাকল ও, 'মৌ,এই পুষ্পিতা,মা, ওঠো। চলে এসেছি আমরা। সমস্যা নেই। বর্ডার ক্রস করে ফেলেছি। আর কোনও সমস্যা নেই। ওঠো।'
সাড়া দেয় না কেউ। চিৎকার করে ডেকে ওঠে আদনান। 'জান,ওঠো। দেখ আমরা চলে এসেছি। এমন করোনা তোমরা, প্লীজ ওঠো। পুষ্প মা,এস ,কোলে এস, আজ আমাদের ছুটি।'
৫
দরজা খুলে যায় লরী'র। সূর্যের আলো এসে পড়ে মৌ আর পুষ্পিতার মুখে। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে আদনান। চেয়ে দেখে, মা আর মেয়ে, দুজনার গালেই এক টুকরো বরফ কণা।
মন্তব্য
ভালই... তবে আরেক্ টু ড্রামা থাকলে মনে ধরত !
সুন্দর লিখেছেন। সচলে কি এটা আপনার প্রথম লেখা ? তাহলে এরপর লেখার নিচে নাম দিয়ে দেবেন। নইলে এত সুন্দর লেখা কে লিখলো জানবো কি করে ?
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভাল লাগল
ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ সময় দেবার জন্য।
ভারি সুন্দর গল্প। চমৎকার।
..................................................................
#Banshibir.
ধন্যবাদ, সাহস দেবার জন্য।
বিদেশে থাকি বলেই মনে হয় গল্পটা বুকের ভিতর গিয়ে ধাক্কা দিল। কত আরামে আছি ভাবলে শিউরে উঠি।
..................................................................
#Banshibir.
ভালো লেগেছে আপনার লেখাটি। মনে হচ্ছে লেখাটাকে আরেকটু টেনে নিয়ে যেতে পারতেন। শেষ হয়েও যেন হইলো না শেষ। চলুক...
আবেগটা ধরে রাখতে পারিনি। ছেড়ে দিয়েছি।
এই ধরনের যাত্রাকে বলে ডাংকি মারা। এখনো অনেক বাংলাদশী বিভিন্ন রুটে ডাংকি মারে। আমার নিজের চোখে দেখা একদল তুরস্ক থেকে গ্রীসে ডাংকি মারলো। সেই যাত্রায় এক বাংলাদেশী সীমান্ত রক্ষীর গুলিতে মারাও গেল। ভার্সিটি সেই সময় সবাই মিলা তার জন্য দোয়া করছিলাম। মনে পড়লো তাই শেয়ার করলাম। ভাল হইছে।
সময় করে পড়া এবং শব্দটা(ডাংকি) জানানোর জন্য ধন্যবাদ। মনে রাখবো।
শব্দটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ । আর পড়ার জন্যও ।
ভারি সুন্দর আর জীবন্ত।
এটা ত গল্প না, বাস্তব ঘটনা বলেই শুনেছি এরকম। অনেকেই এই লরীতেই নিরুদ্দেশে গেছে বলে জানি একেবারেই।
=ইফতি=
হু, সত্য ।
ভাল লেগেছে বললে কম হবে। শেষটা দারুন। কিন্তু জীবনের সংঘাতটা সংক্ষিপ্ত মনে হয়েছে। সাংসারিক টানাপড়েনটা আরও স্পষ্ট হতে পারত। এসবের পরেও লেখাটি মানসম্পন্ন । লেখককে শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ । শুভেচ্ছা আপনাকেও ।
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা তে থাকলাম
নাওয়ারিদ নূর সাবা
একটাই জীবন, একটাই পর্ব...
ভালো লিখেছেন।
ভালো লাগলো।
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা...।
নতুন মন্তব্য করুন