শিশুকালে দাদুবাড়িতে থাকতে “মেলা” বলতে আমি একটা জিনিসকেই বুঝতাম। সেটা হলো গ্রামের ঈদগাহ ময়দানে ঈদের দিনে হরেক রকম বাহারি জিনিসপত্রের বিশাল হাট। সপ্তাহের হাটের দিনে যেভাবে গ্রামের বাজারে ঢাকে করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে সবজির পসরা বসে ঠিক সেরকমভাবে ফেরিওয়ালারা ময়দানের পরিসীমা জুড়ে ছড়িয়ে বসতো। আর এই মেলার প্রধান লক্ষ্যবস্তুই ছিলাম আমরা মানে শিশুরা। শিশুদের আকর্ষণের জন্যে ফেরিওয়ালাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকতো না। খেলনার আর মিষ্টি জাতীয় খাবারের বৈচিত্রে ভরপুর হয়ে থাকতো পুরো ঈদবেলায় সেই ময়দান।
ঈদের আগের রাতে ঈদের আনন্দ তো বটেই, কিন্তু সেই সাথে এই মেলায় গিয়ে কে কী কিনবো সেই উত্তেজনায় ঘুমই আসতো না। দাদুবাড়িতে আমাদের বিশাল একান্নবর্তী পরিবার ছিলো তখন। আর আমরা বাচ্চা ভয়ংকরের প্রায় পনের-ষোলোজনের দুর্ধর্ষ ব্যাটালিয়ান। অবশ্য মেলা থেকে কে কত কিনবে তা নির্ভর করতো কতটুকু সেলামি পাওয়া যায় তার উপরে। আর এজন্যে আমরা চাচাতো-ফুফাতো ভাই-বোনেরা মিলে মনে মনে বিভিন্ন রকমের বাজেট কষতাম আগের রাতে। আর অধৈর্য্য হয়ে অপেক্ষা করতাম, সকাল কখন হবে। মাঝে মাঝে রোজার ঈদের সময় মনে হতো, সারা মাস রোজা রেখে সূর্যমামাও এখন ক্লান্ত। তাই ঈদের আনন্দ প্রাণভরে করার জন্যে আগের রাতে ভালো মতো জিরিয়ে নিচ্ছে। নতুবা রাত শেষ হতে এত দেরি হয় নাকি?
যাইহোক, ঈদের দিন সকাল না হতেই কোনোমতে হুটহাট স্নানাহার সেরে আব্বুর হাত ধরে ছুটতাম ঈদগাহ ময়দানে। সেইসময় একটা বিষয় বেশ মজাদার ছিলো যা পরে বড় হয়ে খেয়াল করেছি। ব্যাপারটা এরকম, গ্রামের রাস্তা ধরে সারি বেঁধে বড়রা হেঁটে যাচ্ছে। আর প্রায় প্রত্যেকের সাথে একটা বা দুইটা করে পিচ্চি, মানে আমাদের সমান। বাবা বা এ জাতীয় বুজুর্গের হাত ধরে ধরে যাচ্ছে। অনেকটা ক্যাঙ্গারুর মতো, পিচ্চি সমেত এক একটা এবং প্রায় প্রত্যেকে! পার্থক্য শুধু, এইখানে পিচ্চি পেট ভরে না, হাত ধরে যাচ্ছে।
ময়দানে ঢোকার সময়েই আড়চোখে চারপাশে এক নজর বুলিয়ে বাছাই করতাম কোন ফেরিওয়ালার কাছে যাওয়া সবচেয়ে ভালো হবে, সঙ্গে থাকা জিনিসপত্রের পরিমাণ এবং বৈচিত্র দেখে। যদিও আমাদের কেনা জিনিস আসলে বেশি কিছু থাকতো না। যত যাই পরিকল্পনা করতাম কিংবা প্রস্তুতি নিতাম, কেনার মধ্যে সব মিলে থাকতো হয়তো একটা ব্যাঙ-গাড়ি, একটা ঘুর্ণি-গাড়ি, একটা বাঁশি, একটা লাটিম, কিছু রঙ্গীন বেলুন এবং দুই-তিন পদের মিষ্টান্ন (যেমন কেক, বাতাসা, লাড্ডু) এইটুকুই। আর কেনার পরেই শুরু হতো আমাদের আসল আনন্দ। প্যাঁপুঁউউউউউউ করতে করতে এইসব সাজোঁয়া মারণাস্ত্র সমেত বাড়ির দিকে রওনা দিতাম মেলায় ঘুরাঘুরি শেষে। আসার পথে ভাইবোনদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যেতো কার জিনিস কতো ভালো হয়েছে তার যুক্তি এবং প্রমাণের। যেমন, কার ব্যাঙ-গাড়িতে বেশি টক্-টক্ আওয়াজ করে; কার ঘুর্ণিতে বেশি বাতাস হয়, কার বাঁশির সুর বেশি সুরেলা, কার বেলুন বেশি ফুলে ইত্যাদি ইত্যাদি। যুক্তিতে কেউ হার না মানলেও যুক্তিবিদ্যার প্রমাণ দিতে গিয়ে বাড়ি আসার পর দেখা যেতো কেউই আর অক্ষত নেই। কারও ব্যাঙ-গাড়ি অতিরিক্ত ডাকতে গিয়ে পেট ফাটিয়ে ফেলেছে, কারও ঘুর্ণিতে স্ক্রু-ঢিলে হয়ে খুলে গেছে, কারও বাঁশিতে খুশখুশে কাশির মতো ফ্যাঁসফ্যাঁস আওয়াজ বের হচ্ছে শুধু। আর কারও বা আবার বেলুন ফুলে না, ফুটে গিয়ে ফেঁসে গেছে।
সেইসব বিশাল ইতিহাস। আর কেউ ভাববেন না যে, আমি সেই ইতিহাস লিখতে বসেছি। সেইসব পুরো বয়ান করতে গেলে আলোকবর্ষ স্কেলের সময় লাগবে। আমার লেখার বিষয় কিন্তু আসলে অন্য। মূল ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি যা লিখি তা বারো হাত কাঁকুড়ের তেরো হাত বিচির মতো হয়ে যায়। বইমেলায় যাওয়ার পথে ফেরিওয়ালার পসরা দেখে ঈদের সেইসব ফেরিওয়ালার কথা মনে পড়লো হঠাৎ। বইমেলা নিয়ে লিখতে বসে ফেরিওয়ালা দিয়ে বাই-পাস হয়ে লেখা যে বাল্যকালের ঈদমেলার দিকে ধাবিত হয়ে গেছে ইতোমধ্যে খেয়ালই করিনি।
আজ ফেব্রুয়ারির দশ। যাবতীয় খারাপ “ব্যাড লাক” কাটিয়ে আজ প্রথম বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ মিললো। আগের দিনগুলো কোনোভাবেই সুবিধা করতে না পারলেও গত দুইদিন ধরে আমি বাঁকা আঙ্গুল সোজা করে বইমেলার দিকে তাক করে ছিলাম। আর গতকাল রাতে সেই উত্তেজনা, রাত যায় না কেন? উশখুশ করতে করতে যখন চোখ ধরে এসেছে, ঘড়ি তখন রাত চারটায় তেলে নাক দিয়ে পুরোপুরি সংজ্ঞাহীন।
ইতোমধ্যে ব্লগে আর ফেসবুকে বইমেলা নিয়ে পরিচিতজনদের হিংসাভরপুর জ্বালাময়ী পোস্ট দেখে দেখে আমার শরীরের সমস্ত কার্বন পুড়ে কপার হয়ে গেছে। তার উপরে আবার খাঁড়ার উপরে মরার ঘা হিসেবে বসে আছে মানিব্যাগের পোলিওরোগ আর বইয়ের “বুর্জ আল দাম”। কী আছে কপালে, যতটুকু পারি ঘোলের স্বাদ ঘুঁটবো ঠিক করে বের হলাম বেলা প্রায় তিনটায়। ওইদিকে সুদূর উত্তর ঢাকা থেকে রওনা দিলো এক বন্ধু। ঠিক হলো দুইজনে মিলে আজ ফাল হয়ে ঢুকে সুঁই হয়ে বের হবো।
আমি ঢুকলাম সাড়ে তিনটার দিকে। সেই পরিচিত দৃশ্য। একইরকম, মাধুর্যতায় চিরভাস্বর। শুধু বিন্যাস সমাবেশে এদিক-ওদিক। রকিব এলো আরেকটূ পর। এসেই নিজে চক্কর খেলো, আরও আমাকেও খাওয়ালো। মেলার প্রধান গেটে আছি বললাম আমি ফোনে। কিছুক্ষণ পর সে ফোন দিয়ে বলে, সে খাঁচার সামনে, সাথে পুলিশ! শুনে আমার খাঁচারাম আত্মাছাড়া, বলে কী! পুলিশে খাঁচায় নিয়েছে নাকি? ভীড়ের মধ্যে হৈ-চৈ এ ঠিকমতো শুনতেও পারছিলাম না কথা ফোনে। একটু ফাঁকা জায়গায় দ্রুত এসে আবার ফোন দিলাম। বলে, প্রথম গেটে। তড়িঘড়ি গিয়ে দেখি বাংলা একাডেমীর স্টলের সামনে, পাশে জনাকয়েক পুলিশ বিরস বদনে বসে আছে। বুঝলাম, আমারই শোনার ভুল। বাংলা একাডেমীর স্টলের গ্রিলকে খাঁচা বলেছে সে।
শুরু হলো বাংলা একাডেমী দিয়ে। রকিব রুশ ইতিহাস কিনলো একটা। আমি তালিকায় মোমেনীন এর “একুশে সংকলন” দেখে কিনতে গেলাম। পেলাম না। বের হয়ে মাওলা ব্রাদার্স দিয়ে শুরু হলো চক্কর। বই দেখতে দেখতে মেলার আগের স্মৃতিগুলোও মনে আসছিলো ফাঁকে ফাঁকে। তবে ছুটির দিন হওয়ায় আস্তে আস্তে মানুষের ভীড় বাড়তে লাগলো। স্টলগুলোতে ঠিকমতো দাঁড়াতেই পারছিলাম না। একুশে বইমেলার স্টলগুলোর নকশা একটু পরিবর্তন করা উচিত বলে মনে হয়। এখন স্টলগুলো বেশিরভাগই পাশাপাশি লাগানো এবং সমান্তরাল সারিতে মাঝে দোকানের মতো করিডর দেয়া। ফলে পাঠক প্রবেশ এবং বের হতে জটলা লেগে যায়। এর পরিবর্তে যদি নজরুল মঞ্চের মতো গোলাকার, আলাদা আলাদা স্টল করা যেতো তাহলে স্টলে বই ভালোমতো দেখা যেতো। জটলাও হতো কম। শুধু অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট স্টলগুলোকে সারি বেঁধে রাখা যায়, অনেকটা লিটল ম্যাগ চত্বরের মতো। অবশ্য বাংলা একাডেমীর মধ্যে এমনিই জায়গা কম। তার উপরে ভেতরের দিকে পুকুরের কাছে প্রতি বছরই দেখছি নতুন দালান উঠছে। আজকে ঐদিকে যাইনি। আরও কিছু জায়গা বেদখল হয়ে গেছে কিনা কেজানে। আর একটা কাজ করা যেতে পারে। সেটা হলো স্টলগুলোকে লাইনাকারে না রেখে ভাষা শহীদদের যে মনুমেন্ট আছে তাকে কেন্দ্র করে বৃত্তাকারে সাজানো। তাহলে “অ্যাক্সেসিবিলিটি” বাড়বে বলেই আমার ধারণা।
আরেকটা সমস্যা বইএর প্যাকেট বা ব্যাগ। বেশিরভাগ স্টলে বই এর সাথে যে ব্যাগ দিচ্ছে তাতে নিজে সাথে ব্যাগ না নিয়ে আসলে মেলায় কিনে নিয়ে তারপর ঘোরা খুব ঝামেলা। আমরা দুইজন এই ঝামেলায় পড়লাম যখন দুইজনের হাতে প্রায় দশটা বই হলো। সবগুলোই প্রায় মোটা মোটা কিনেছি, এখন হাতে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। উপরন্তু কেউই সাথে ব্যাগ আনিনি। বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে যেরকম ব্যাগ দেয় ওরকম দিলে বহন করতে সুবিধা হয়। ওইখানে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাই বই টানতে গিয়ে বেশ কষ্ট করতে হলো। পরে ঐখান থেকে অতিরিক্ত ব্যাগ চেয়ে নিয়ে তবে ঝামেলা মুক্ত হলাম। অনেকে দেখি হাতে আঁটাতে না পেরে বগলদাবা করে রেখেছে বই। অবশ্য বাইরে টিএসসির অদূরে ফেরিওয়ালার কাছে বিভিন্ন সাইজের ব্যাগ কিনতে পাওয়া যায়। যেটা আমরা মেলা থেকে বের হয়ে পরে কিনলাম সব বই একসাথে রাখতে।
মেলায় আনাচে কানাচে প্রচুর মিডিয়ার আনাগোনা দেখলাম প্রতিবারের মতোই। সং সেজে নানা ঢং এ একেকটা তাদের প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যস্ত। আর তা ঘিরে উৎস্যুক জনতার ভীড়ও কম না। হাঁ করে ধূলার সাথে ঢোক গিলে গিলে দেখছে শ্যুটিং। আর কিছু উটকো মানুষেরও আনাগোনা বেশি মনে হয়। এরা বই দেখতে বা কিনতে না, নিজেদের দেখাতে বেশি উৎসাহী। বিশেষত মনুমেন্ট এর সামনে মাত্রাতিরিক্ত ফটোসেশন আমার কাছে চরম বিরক্তিকর লেগেছে। অনেককে দেখে মনে হলো এইখানে শুধু দাঁড়িয়ে ছবি তোলার জন্যেই এসেছে। সাথে ক্যামেরা বা মোবাইল কিন্তু কোনো বই কিংবা বই এর ব্যাগ নেই। এটা একটা উৎসব বটে কিন্তু আমার মনে হয় এখানে আনন্দের আধিক্য দেখানো যেতে পারে, আদিখ্যেতা নয়।
বরাবরের মতো স্টলগুলো দেখতে চমৎকার হয়েছে। আজ সব স্টল ঘোরা হয়নি। কিন্তু যা যা দেখলাম, বড় বড় প্রকাশনীর প্রায় সবগুলোর স্টলই চমৎকার হয়েছে দেখতে। শুধু মানুষের ভীড়টা এড়িয়ে সহজভাবে বই দেখার সিস্টেম করতে হবে। আমি নিজেই এর প্রমাণ এবং অনেককে দেখেছি যে, শুধুমাত্র ভীড়ে সুবিধা করতে না পেরে স্টল পাশ কেটে চলে গেছে। আর মেলায় একটা পাঠক কর্ণার থাকলে খুব ভালো হয়। তাহলে বই কেনার ফাঁকে আড্ডা বাদেও আমরা মেলায় বসেই অনেক নতুন নতুন বই পড়তে পারি। আমি একুশে বইমেলায় এর আগে কখনও দেখিনি যে পাঠক কর্ণার আছে কিনা। আমার স্কুলের বই যে লাইব্রেরি দোকান থেকে কিনতাম ঐটা আমার স্কুলেরই এক স্যারের ছিলো। স্যার ঐ দোকানে দুটো অতিরিক্ত বেঞ্চ রেখেছিলেন দোকানে বসেই বই পড়ার সুবিধার জন্যে। অনেকে সেখানে বই পড়তো, না কিনেই এবং বিনামূল্যে। অনেকে আবার বই দেখেই না কিনে দোকানে বসে পড়ে ফেলতো আগে। পরে পছন্দ হলে কিনে নিতো। আমার “সেবা” প্রকাশনীর সাথে হাতেখড়ি এই দোকানে হয়েছিলো।
আমি যেটুকু পড়েছি, তার মধ্যে ছোটগল্পই বেশি। আজকেও গল্পের বইই কিনলাম মূলত। বেশিরভাগই মোটামুটি পুরোনো এবং নিজের সংকলনে রাখার জন্যে কিনলাম আজকে। এবং বেশিরভাগই বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র থেকে। সাম্প্রতিক সময়ের কিনলাম, পাঠসূত্র থেকে “সচলায়তন সংকলন তৃতীয় খন্ড”, হাসান খুরশীদ রুমী সম্পাদিত “কালো বিড়াল”, সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের “বেলা অবেলার গল্প”, সায়ার এর “কয়েকটি অপেক্ষার গল্প”, আহমাদ মোস্তফা কামালের “ঘরভর্তি মানুষ অথবা নৈঃশব্দ্য”, আশরাফুল হকের “শাহনামার গল্প” এবং এরকম আরও কয়েকটি। শুদ্ধসরে গিয়ে দেখি মহা ধুন্ধুমার অবস্থা টুটুল ভাই এর সামনে। ক্যামেরা এড়াতে ওইখান থেকে সরে গেছি, যেতে না যেতেই। পরের দিন ঐখানে হামলা দিতে হবে। কালকেই আবার যাবো মনে হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আজকেরগুলো নাড়াচাড়া করি।
পুনশ্চ, আমি কিন্তু বই উপহার পেতে খুবই ভালোবাসি। আমার জন্যে সবাই হ্যাঁ বলুন।
অতীত
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%61%6d%6b%68%66%6f%69%73%61%6c%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%22%3e%61%6d%6b%68%66%6f%69%73%61%6c%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))
মন্তব্য
আলোকবর্ষ দূরত্ব পরিমাপের একক,সময়ের নয়। লেখা ভালো লাগল। বিশেষ করে প্যাকেটের সমস্যা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আলোকবর্ষের ব্যাপারটা ধরিয়ে দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। আসলে বোঝাতে চেয়ে ছিলাম আলোকবর্ষ পরিমাণ দূরত্বে যেতে আলোর না, আমার যেই সময় লাগবে, বর্ণনা করতে সেই একই প্রায় সময় লাগবে। লিখতে গিয়ে গোজামিল করে ফেলেছি।
পড়া এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্যে কৃতজ্ঞতা।
অতীত
১০ তারিখে আমিও বইমেলায় গিয়েছিলাম, ধনুক ভাঙ্গা পন করে, বই কিনব না, অর্থ সঙ্কটে আছি। তারপরও কিনেছি, তবে হাত ভরে কিনতে পারিনি। শুদ্ধস্বরের স্টল খুঁজে পাইনি, লিটল ম্যাগাজিন এর সারিতে শুধু শুদ্ধস্বরলেখা দেখতে পেয়েছি।
বাংলা একাডেমীর ভেতরে যে পুকুর আছে সেটাই জানতাম না, সচলে এসে জানতে পেরেছি। কাল সেই পুকুর খুঁজে পেয়েছি।
কী বলেন, শুদ্ধস্বরের এত্ত সুন্দর এবং বেশ বড় স্টলটা খুজে পাননি!!! দিক ভুল না করলে বলি, লিটল ম্যাগের পশ্চিম পাশের সারিতেই শুদ্ধস্বরের অবস্থান।
হাত না ভরতে পারলেও বইমেলায় গিয়ে বই দেখার মধ্যেও প্রচুর সুখ বিদ্যমান, সাথে আক্ষেপ ফ্রি। ফ্রি ফালায় দিয়া আসলটা সাথে রাখেন।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
অতীত
অনেকদিন পর, বদ্দা
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
হ, প্রায় বইমেলা টু বইমেলা।
অতীত
অতীত
নতুন মন্তব্য করুন