এইবেলা নদীর কথা না বললে আর শান্তি পাচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হলো কিভাবে বলবো? যতই বলি খুব সুন্দর, মনোমুগ্ধকর, অস্থির কিংবা অদ্ভুত- কিছুতেই তৃপ্তি হয় না। শুধু মনে হয়- হলো না! ঠিক করে বলতে পারলাম না। তাই ভাবলাম চুপ যাই। কিছু ফটুক তুলে দেই- তারপর ঐ বিশেষন গুলো না হয় আপনারাই ঠিক করে নিবেন।
[ধরলা-১]
এইবেলা নদীর কথা না বললে আর শান্তি পাচ্ছি না। কিন্তু মুশকিল হলো কিভাবে বলবো? যতই বলি খুব সুন্দর, মনোমুগ্ধকর, অস্থির কিংবা অদ্ভুত- কিছুতেই তৃপ্তি হয় না। শুধু মনে হয়- হলো না! ঠিক করে বলতে পারলাম না। তাই ভাবলাম চুপ যাই। কিছু ফটুক তুলে দেই- তারপর ঐ বিশেষন গুলো না হয় আপনারাই ঠিক করে নিবেন।
[ধরলা-১]
পুরো উত্তরবংগের বেশ খানিকটা ঘুরে আমার যে-ক'টা জিনিষ ভালো লাগলো তার মধ্যে এই নদীগুলোর লিষ্টি হয়তো সবার আগে। এর মধ্যে যমুনার কথাও বলা দরকার ছিলো কিন্তু ব্রীজ এর উপর থেকে দেখে যমুনা দেখার স্বাদ মেটে নি। আরেকটু কাছ থেকে দেখতে চাই। তাই এ যাত্রায়
যমুনা তুলে রাখালাম কম্পুটার এর ছবির গুদাম-এ।
'আহামরি' তো মেলা দুরের কথা, 'ভালো' ফটুক এখনো তুলতে পারি না। তাই ছবিগুলি দেখা শুরু করার আগেই আমি ক্ষমা চাই, যিনি দেখতে যাবেন তার খানিকটা সময় নষ্ট হতে পারে।
সবার আগে ধরলা নদী। সব গুলো ছবি এই শীতে তোলা যখন বেশীর ভাগ জলাধার তার কমে যাওয়া পানির জন্য দুঃখ ভারাক্রান্ত। যমুনার পর সবচেয়ে বেশী পানি এই ধরলাতেই দেখতে পেলাম। স্রোতহীন শান্ত শীতাক্রান্ত ধরলা। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড নদীর পাড়ে বাধের উপর ভালো বসার শুযোগ করে দিয়েছে দেখলাম। ভালোই হয়েছে। পাড়ে বসে উদাস হতে পারবেন। তবে নাকটা চেপে ধরে বসতে হতে পারে কোথাও কোথাও। বেশী উদাস হতে গিয়ে অনেকেই প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে যায় এখানেই। ধরলার উপর ব্রীজ থেকে সন্ধার আবির মাখানো আলোয় নদী আর দিগন্ত দেখতেও বেশ লাগলো। উত্তম যন্ত্রের অভাবে সেটাকে স্মৃতি করে রাখতে পারলাম না।
[ধরলা-২]
[ধরলা-৩]
এরপর তিস্তা আর আত্রাই। দুটোই ব্রীজের উপর থেকে তোলা।
[তিস্তা]
[আত্রাই]
ঢেপা নদী। কান্তনগরের কান্তজীও মন্দির আর নয়াবাদ মসজিদের পাশ দিয়ে বয়ে চলার অদম্য ইচ্ছা ছিলো এ নদীর। কিন্তু পারবে কেন মানুষের সাথে। নদীর স্বচ্ছ পানি আর সে পানিতে কখনো আকাশের নীল আবার কখনো আশেপাশের সবুজ দেখে আমার আপনার ভালো লাগতে পারে, কিন্তু অনেকের-ই ভালো লাগে নি হয়তো। ব্রীজ তৈরীর কাজ চলছে এর উপর দিয়ে। জাপটে ধরে মেরে ফেলতে চাইছে মাটি দিয়ে।
[ঢেপা-১]
[ঢেপা-২]
[ঢেপা-৩]
পঞ্চগড় শহরের উঠতেই সবার আগে চোখে পড়বে করতোয়া ব্রীজ আর তার নীচ দিয়ে বয়ে চলা করতোয়া নদী। এর আগে করতোয়া দেখেছিলাম বগুড়ায়। সেখানে পানি নেই- পুরো মুমুর্ষ হয়ে পড়েছে মহাস্থানগড় এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়। আর এখানে! এই শীতেও বয়ে চলেছে। থামেনি নিরন্তর ছুটে চলা স্রোত। ব্রীজের পাশ দিয়ে নদীতে নামার পথে সরকারী ভাগাঢ় এর 'সু' গন্ধ ভেসে আসে। তাই বলে নিচে না নামলে রোদের ঝিকমিক আর কিশোর-কিশোরীর দুরন্তপনা মিস করতাম।
[করতোয়া-১]
[করতোয়া-২]
আর মহানন্দার কথা কিস্যু বলার নেই। সর্ব-উত্তরের বাংলাবান্দা দিয়ে ঢোকা এ নদীর অগভীর স্বচ্ছ পানিতে পা ডুবিয়ে রেখে একটি কথাও বলি নি অনেকক্ষন; শুধু চেয়ে দেখেছি মজুরের পাথর তোলার নিরন্তর পরিশ্রম। অনুভব করেছি হিম-শীতলতা। মুগ্ধ হয়েছি স্বচ্ছ পানির নিচে পাথরের গায়ে রোদের ছটার বিচ্ছুরণ দেখে।
[মহানন্দা-১]
[মহানন্দা-২]
[মহানন্দা-৩]
উদ্ভট রাকিব,
ফেব্রুয়ারী ২১, ২০১২।
মন্তব্য
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
:)
এই সবগুলো নদী দেখেছি আমি ।. তিস্তার উপর ব্রীজটা একটা অদ্ভুত ব্রীজ, বাসে বসে থাকতাম কিন্তু মনে হতো ট্রেন এ চড়ে যাচ্ছি। এখনো কি সেই ব্রীজটা আছে, নাকি নতুন ব্রীজ হয়েছে? উত্তরবঙ্গে যাইনা বহুদিন। মহানন্দা’র ছবিগুলো কি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে তোলা?
ভালো। ঘুরান্তিস জীবন সার্থক হোক ......
ঠিক বলেছেন প্রদীপ্তদা, ব্রীজ টা আসলেই অদ্ভুত! বন্ধ করে দিবে শুনলাম ছবির ব্রীজটা তৈরী হয়ে গেলে।
মহানন্দার ছবিগুলো একি সময়ের তোলা, যন্ত্রের সেটিংস উলটা পালটা করেছিলাম হয়তো।
আমার নাম প্রদীপ্ত নয় ভাই, তবে প্রদীপ্ত মানুষ খুব পছন্দ করি। শুভেচ্ছা,
দুঃখিত তানিম ভাই, উপরে নিচে মন্তব্য দুটো এক সাথে পড়েছিলাম তাই গুলিয়ে ফেলেছি
ছবিগুলো খুবই ভালো লাগল ভাই ।
তবে বিশেষণ খুঁজে পেলাম না ।
দিলেন তো চিন্তায় ফেলে, এখন আবার ব্যকরণের বই নিয়ে বসতে হবে বিশেষন খোজার জন্য
ধন্যবাদ।
নোডির বুকে রোদের ঝিকিমিকি খুব ভাল লাগলো।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
সে জন্যই হয়তো ঘোরের মধ্যে চলে গিয়েছিলাম নদীর পানিতে পা ডুবিয়ে!
করতোয়ায় এক সময় জাহাজ চলত, বিশ্বাস হয় !
facebook
কি বলেন!
আমার মায়েরা বলে নিজেরাই দেখেছেন যে বিশাল বিশাল স্টিমার করতোয়ায় আসতে। তাঁদের আগের প্রজন্মই পেয়েছে জাহাজ। আমিও বর্ষাকালে আজ থেকে মাত্র ১৭ / ১৮ বছর আগেও বগুড়াতে করতোয়ার যে রুপ দেখেছি তা একমাত্র প্রমত্ত পদ্মার সাথেই তুলনীয় ছিল। কত সহজেই একটা বহতা জীবনকে মরে যেতে দেখি আমরা। কোনও ধরনের মানসিক বৈকল্যবোধ ছাড়াই।
মানসিক বৈকল্য? সে আবার কি জিনিষ? নিশ্চই আগের প্রজন্মের কোন কিছু হবে। দাড়ান! দেখি নানীর কাছে জিজ্ঞাসা করে। উনি নিশ্চই বলতে পারবেন
দেশে যাইতে মঞ্চায়।
ছবি ও লেখা সুস্বাদু পাইলাম। উত্তরবঙ্গে কয়েকবার গিয়েছি, ছবিও তুলেছি অনেক, সব ছবিতেই কারো না কারো খোমা হাজির।
নতুন মন্তব্য করুন