স্রষ্টা বড়ই নিষ্ঠুর, মনে মনে ভাবি আমি। নয়ত আমার গতকাল কেনা ছোট্ট লাল গাড়িটা, চাপ দিলেই যেটা দৌড় দেয়, ইদুরের চেয়েও জোরে দৌড়াতে পারে সেটা, এত তাড়াতাড়ি হারায় কিভাবে? আর গেল কোথায় ওটা? খাট, ড্রেসিং টেবিল, শো-কেস কোন কিছুর নিচেই তো খোজা বাদ দেই নি!স্রষ্টা নামক না দেখা অস্তিত্বের প্রতি প্রবল একটা অভিমান জমা হয় আমার।
সৃষ্টিকর্তা শুধু নিষ্ঠুরই না, ওনার তৈরি মানুষগুলোও নিষ্ঠুর।স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর ভাবি আমি। নিষ্ঠুর না হলে এতটা নিষ্ঠুর মা কেউ কাউকে দিতে পারে? দুপুর বেলা একটা ঘুমানোর সময় হল? এসময় যদি বাইরে একটু দৌড়াদৌড়ি করার সুযোগই না পেলাম, দুই একটা বড়ই গাছে ঢিলই না ছুড়লাম তাহলে পিচ্চি হয়ে লাভটা কি? আর শুধুকি এই অত্যাচার? যুদ্ধ করে মা টা স্কুল থেকে ফেরার পর গোসল করায়, মার পিট করে ভাত খাওয়ায়!চোখ পিটপিট করে তাকাই আমি, দেখি আম্মু ঘুমিয়েছে কিনা, এরপর দরজার উপরের ছিটকিনিটা খোলার জন্য একটা চেয়ার নিয়ে আসি। কিন্তু দেখ কান্ড!তাও যে হাত অতদূর পৌছায় না! এরপর বাধ্যহয়ে রান্নাঘরে গিয়ে ড্যানিশের কৌটাটা নিয়ে বসি। লুকিয়ে লুকিয়ে ড্যানিশ খেতে খেতে ভাবি, আমার এই কান্ডটা যদি আম্মু টের না পায় তাহলে বুঝব স্রষ্টা এতটা খারাপ না, বাধ্য হয়ে তাকে কিছুটা ছাড় দিতে রাজি হই আমি।
স্রষ্টা নামক অস্তিত্বের মত এত অবুঝ, নির্দয় আর কেউ নেই, ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দেয়ার পর আবার মনে পড়ে আমার। নয়ত এতগুলা বন্ধু বৃত্তি পেল, আমি কেন পেলামনা ? নিশ্চয়ই খাতাটা গিয়ে পড়েছিল আরেক নির্দয়ের কাছে! আরে ভাই ছোট মানুষ, কিছু তো ভুল করবই, তাই বলে বৃত্তিটা দিবি না আমাকে? এখন একটা দিন শুধু শুধু মন খারাপের ভান করে পরে থাকতে হবে, আজকেই যদি মাঠে খেলতে যাই তাহলে সবাই নির্লজ্জ বলবেনা?
মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার অন্য ধর্মের বন্ধুগুলো নাকি কোন এক সময় আমার সৃষ্টিকর্তাকে না মানার জন্য অনেক মার খাবে, আর ওই খারাপ স্যারগুলো নাকি মার খাবে না। এটাও কি হতে পারে? স্রষ্টা কি বোঝেননা কে ভাল আর কে খারাপ?ভেতরের এই প্রশ্নগুলো ধামাচাপা দিয়েই আমার নির্দয়, নির্মম স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করেই কেটে যায় দিনগুলো।কখনো কখনো প্রার্থনা করার সময় মনে হয়, প্রার্থনাটা নিজের ভাষায় করলে ভাল হত না? কি চাচ্ছি, কি বলছি তা যদি নাই বুঝতে পারি, তাহলে প্রার্থনা করে লাভটা কি?
কলেজে ওঠার পর স্বার্থপরের মত, হিপোক্রেটের মত স্রষ্টার প্রার্থনা শুরু করি, ভয়াবহভাবে ভিক্ষা চাওয়া শুরু করি পরীক্ষার আগের দিন, হায় খোদা, এইবারের মত পাশ করিয়ে দেও। আর কখনো প্রার্থনা ফাকি দিবনা। তা সে কে শোনে কার কথা? বায়োলজি কোশ্চেনগুলা যেন সব মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়।মনে যদিও একটু খচখচ করে, জহরলাল স্যারের মত ভালমানুষও একসময় আমার স্রষ্টার কাছে শাস্তি পাবে তাও কি হয়? এসব আজেবাজে চিন্তাভাবনা মুছে ফেলে পড়ায় মনোযোগ দেই আমি।
আরেকটু বড় হবার পর স্রষ্টার সম্বন্ধে অভিযোগ অনুযোগ গুলো প্রশ্নে রূপান্তরিত হয়। আমার হলের সামনে রাতের বেলা দেখি প্রায়ই রাস্তার পিচ্চি গুলো প্রচন্ড ঠান্ডায় একটা চাদর গায় দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে। এরা কি জন্মের সময় কোন পাপ করেছিল? নাকি এদের বাবা মা পাপ করেছিল? যদি তাদের মা বাবাই পাপ করে থাকে তাহলে তাদের অপরাধে এই বাচ্চাদের শাস্তি দেবার মানে কি? স্রষ্টার কাছে আমার ভিক্ষা চাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।এরপর চিন্তা করতে শুরু করি আমি। আফ্রিকার কোন এক দুর্গম অঞ্চলের উপজাতি এক কিশোর, সে আমার স্রষ্টা তো দূরে থাক, কোন স্রষ্টারই নাম শোনেনি। সেও নাকি সৃষ্টিকর্তার মারপিট থেকে রেহাই পাবে না!শুধু কি তাই!গৌতম বুদ্ধ, আইনষ্টাইন কারোই মাফ নেই! কিন্তু আজ সকালে পেপারে দেখা এক শিশুনিপীড়ন কারীও এক সময় ক্ষমা পাবে কারণ সে নাকি আমার স্রষ্টা কে মেনেছিল। এও কি সম্ভব?হওয়া উচিত?
এটা নাকি একটা পরীক্ষা, আমার কিছু কিছু বন্ধু আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। আরে!পরীক্ষা হলে সবার কি এক প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়া উচিত না? কেউ রাস্তায় অভুক্ত থেকে, ডাস্টবিন থেকে খুটে খুটে খাবার খেয়ে পরীক্ষা দেবে আর কেউ পরীক্ষা দেবে রাজপ্রাসাদে বসে? একি পরীক্ষা নাকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের সহচর ডঃ ম্যাঙ্গেলের সেই নিষ্ঠুর খেলার মত! যাকে ইচ্ছে পঙ্গু করে দিলাম, যাকে ইচ্ছে অন্ধ করে দিলাম, আবার কাউকে সুস্থ সবল করে পাঠালাম!
বাসায় আব্বুর সাথে ভীষন তর্ক চলে আমার।স্রষ্টা নাকি সবার ভাগ্য আগে থেকেই ঠিক করে রাখলেও সবাইকে বিবেক দিয়েছেন। সবাই নিজের বিবেক-বুদ্ধিমত চলে। ধর তুমি একটা যন্ত্র মানব বানালে,আমি বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। একে তুমি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দান করলে। এরপর এর কার্যকলাপ কি তুমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে? স্রষ্টার নির্দেশ ছাড়া যদি একটা গাছের পাতাও না নড়ে, তাহলে আমার বিবেক তো কোন ছাড়!তিনি নির্দেশ না দিলে কি আমার বিবেক আমাকে সঠিক পথ দেখাবে? বিশ্বাসীরা নাকি দূঃসাহসী হয়, মানবতাবাদী হয়, আব্বু আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এক স্রষ্টা ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করেনা।
আমি আশেপাশের ভীরু মানুষগুলোর উদাহরণ গুলো দেখালে চুপ করে যায়, একসময় স্রষ্টার কাছে আমার নির্বুদ্ধতার জন্য আমাকে ক্ষমা করার প্রার্থনা জানায়।
আমার আম্মু একসম্য় ভয়ানক অসুস্থ হয়, আমি স্রষ্টার দিকে ফিরে তাকাই আর ঠাণ্ডা মাথায় থ্রেট দিই, আমার মায়ের যদি কিছু হয়, আমার কাছ থেকে জীবনেও আর কোন কথা শুনবেনা তুমি। আমার মা সেরে ওঠেন।বাসায় যখনি যাই, মা বাবাকে সান্তনা দেয়ার জন্য আমি প্রার্থনা করি। এতটুকুর জন্য আমার আব্বু আম্মুর স্রষ্টাকে ধন্যবাদ দিই যে এরকম মা বাবা আমি পেয়েছি।
আর আমি রাতের রাস্তার হাটার সময় স্রষ্টাকে চেনার চেষ্টা করি। তাকে চেনার চেষ্টা করি, আমার অন্য ধর্মের এক প্রিয় বন্ধুর মুখের দিকে চেয়ে, চেনার চেষ্টা করি ফার্মগেটের ওভারব্রিজের ওপর শুয়ে থাকা পঙ্গু বাচ্চাটাকে দিয়ে, বোঝার চেষ্টা করি তাকে শীতের রাতে কম্বলের নিচে শুয়ে যখন হলের সামনেই এক অতি বৃদ্ধ রিকশাচালক একটা চাদর দিয়ে শরীর জড়িয়ে রিকশায় বসে ঘুমানোর চেষ্টা করে।
কে তুমি সেই অলৌকিক অস্তিত্ব? আমার কল্পনা নাকি কল্পনাচালক?
(কোয়াসিমোডো)
মন্তব্য
আনেক কিছু মিলে গেল তো!
চমৎকার চিন্তাভাবনা। মহান আল্লাহ (ইসলাম ছাড়া অদৃশ্যে ও অলীকে বিশ্বাসী অন্য ধর্মগুলো আমার কাছে অগ্রহণযোগ্য, কেননা ইসলাম বাস্তবের ধর্ম, এখানে দেখার বিষয়ও আছে। কোরআনে আছে, “বান্দা, আমি তোমার শাহী রগের চাইতেও নিকটে, কেনো তুমি আমাকে দেখতে পাও না।” এরপরও কেউ যদি আল্লাহকে না দেখতে পায় তাহলে দোষ কি আল্লাহর না যে দেখতে পারছে না তার?) তাঁর অস্তিত্তের জানান দিতে এবং তাঁকে বুঝার জন্য অনেক দৃষ্টান্ত এ পৃথিবীতে রেখেছেন। বিনিময়ে তিনি চেয়েছেন প্রেম (মোল্লারা শুধু নামায, নামায বলে গলা ফাটায়, কিন্তু সেই নামাযে যদি প্রেম না থাকে তবে তাও বৃথা), কয়জনে আমরা দিচ্ছি? সৃষ্টির মধ্যে বৈচিত্র থাকবে যেভাবে আছে মানুষে মানুষে, ভারসাম্যের জন্য। সুতরাং কেউ ধনী কেউ গরীব হবেই। আমাদের বরং উচিত যার যার জায়গায় সৎ থাকা এবং আল্লাহকে প্রেমের মাধ্যমে খোঁজা।
।। অজেয় ।।
হ! আল্লার মাল আল্লায় নিছে।
আমাদের এখনও এই অবস্থা ভাবলে কষ্ট হয়।
ক্ষুধার্ত, রোগাক্রান্ত হয়ে সৎ থাকাটা মনে হয় স্রষ্টা একটু বেশি সোজা ভেবে ফেলেছেন, এতটা সোজা মনে হয় না।
ক্ষুধার্ত, রোগাক্রান্ত হয়ে সৎ থাকাটা মনে হয় স্রষ্টা একটু বেশি সোজা ভেবে ফেলেছেন, এতটা সোজা মনে হয় না।
যে ছেলেটার ভাইকে গতকাল খুন করা হয়েছে, বা অন্য কয়েকজন বান্দা মিলে যার ডান হাতের লম্বা হাড়টা ভেঙে পাউডার বানিয়ে দিয়েছে এবং আর কোনও দিন সেই হাতে লেখা যাবে না এটা ডাক্তাররা নিশ্চিত করেছে, অথবা যেই বাবার তিন মাস বয়েসী সন্তান নিউমোনিয়ায় ভুগে মারা গেছে, বা যে মেয়েটা গত রাতে রেপড হয়েছে কয়েকজন পুরুষ বান্দার কাছে; এই মানুষগুলোকে প্রেমের কথাটা একটু শিখিয়ে দেবেন।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ইসলাম বাস্তবের ধর্ম-- এই কথাটা এত জোর দিয়ে বললেন কারণ আপনি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেই পরিবারে বেড়ে উঠেছেন।
কোরআনের যে আয়াতের কথা বললেন এমন কথা সব ধর্মেই আছে- মায়াদের লোককথায় আছে ঈশ্বর মানুষের মাঝে লুকিয়ে আছেন। কালী পূজারী রামকৃষ্ণ বলল- দেখতে চা, চাইলেন ভগবান দেখবি।
যদি প্রেমের কথা বলেন, তাহলে সুফিদের কথা আসে, সুফি শ্রেষ্ঠ হাফেজ, রুমি, সাদির কবিতা পড়ে কি আপনার মনে হয়েছে- তারা এক ধর্মের অনুসারী ছিল !
facebook
স্বর্গ নরক বেহেস্ত দোজখ সব রূপকথা ভাই। ঝেড়ে ফেলে দেন। এসব কিছু নাই, নাই পুনর্জন্ম বা পরকাল। জীবন একটাই। এরপর কিছু নাই। বিজ্ঞান অমরত্ব দিতে পারবে হয়তো একসময়(ব্যক্তিগত আশা); তখন প্রাকৃতিক মৃত্যু বলেও কিছু থাকবে না।
ধর্ম টর্ম সব মানুষের সৃষ্টি। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে সৃষ্ট, মনগড়া। শুধু যে ধর্ম পালন করা যেতে তা হলো মানবতার ধর্ম, মনুষ্যত্বের ধর্ম। আর সব ধর্মই অমানবিক, সংস্কারাচ্ছন্ন।
বিশ্ব ব্রম্মাণ্ডের কোন সৃষ্টিকর্তা নাই, থাকতে পারে না। ব্ল্যাক হোল ছিল, যেখানে সময় বলে কিছু ছিল না। বিগব্যাং হল; সময় আর স্থানের সৃষ্টি হল; ধনাত্মক আর ঋণাত্মক শক্তি বিভক্ত হয়ে গেল; বিশ্ব ব্রম্মাণ্ড প্রসারিত হতে থাকলো। কোন সৃষ্টিকর্তার কারসাজি নাই। প্রকৃতির নিজস্ব নিয়ম আছে, এই নিয়মে সে চলেছে, চলবে। প্রার্থনায় কিছু যায় আসে না। যেমন কর্ম করবেন তেমন ফল হবে। প্রার্থনা নিষ্ফলা। সোজা কথা।
মানবিক থাকেন, মানুষের উপকার করেন তাহলেই হবে, নিজের মন যা চায় তাই করবেন (শুধু শর্ত হচ্ছে অন্যের ক্ষতি করা যাবে না)। অবশ্য যে ধার্মিক তার উপরও মানবিক থাকা প্রয়োজন, তাকে ঘৃণা করা অনুচিত।
ভালো থাকেন। দুশ্চিন্তিত হবার কিছু নাই, একটু চিন্তা ভাবনা করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
হা হা হা, ভাই স্বনাম, কোয়াসিমোডোর লিখার টোন থেকে কি আপনার মনে হয়েছে, উনি স্রষ্টার অস্তিত্ব নিয়ে কোন কনফিউশনে ভুগছেন? অথবা জহরলাল স্যারকে নমায-কলাম না পড়ে অঙ্কশাস্ত্র পড়ার জন্য ঈশ্বর কি ভয়ানক ঠ্যাঙানি দিবে সেটা নিয়ে তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন ?
আমি ভাই এইটুকু বুঝি ভাল আর খারাপ ।
সৃষ্টিকর্তা বিষয়ে কিছুই জানি না । জানতে চাইও না ।
যদি কেউ ফুটপাথের উলঙ্গ শিশুকে কম্বল দিয়ে আসে তবে সেই মানুষটা ভাল, সেই জন্যেই ।
আবার কেউ যদি মেতে ওঠে অত্যাচারে, গণহত্যায় তবে সেটাও সেই মানুষটা খারাপ বলেই ।
এখানে সৃষ্টিকর্তা কোথায় ?
দোষ বা গুণ, তা মানুষেরই আর তার কাজে ।
ভাল থাকা আর ভাল রাখার চেষ্টা করাই আমার কাছে ধর্ম ।
কারণ সময়কালে সৃষ্টিকর্তা বা জল্লাদের রূপ নিয়ে যে আমার সামনে এসে দাঁড়াবে, আদতে সে একজন মানুষ ।
লেখার ধরণ ভাল লাগল । আরও লিখুন ।
খুব ভাল থাকবেন ।
শুভেচ্ছা ।
আপনার সাথে সহমত। ধন্যবাদ।
আপনি যেভাবে চিন্তা করছেন, সে চিন্তা করার ক্ষমতাও ঐ স্রষ্টাই দিয়েছেন। তবে কেন চিন্তা করবেন না?
তাই? কোন স্রষ্টা দিয়েছেন? নাম কী তার? সেই যে স্রষ্টা, বা কেউ আসলেই সৃষ্টি করেছে, এসবের প্রমাণ কী?
চিন্তা যথেষ্ট এগোনোর পরে, ধর্মগ্রন্থগুলোকে অন্তসারশূন্য রূপকথা ছাড়া আর কিছুই মনে হোল না। ঠাকুরমার ঝুলি, গীতা, বাইবেল, এবং আপনার ধর্মগ্রন্থ, সবই একই রকম কল্পকাহিনি। বাকি সবকটাকে মিথ্যা এবং কল্পনা বলে শুধু নিজের একটা গ্রন্থকে সত্য বলাটা পুরোপুরিই ভ্রান্তি।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
হুমম।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
আজকাল বড্ড ঈশ্বর হইতে মঞ্চায়। হ ।
ডাকঘর | ছবিঘর
যে প্রশ্নগুলো আপনার মনে হয়েছে, সেগুলো আমাদের সবারই হয়তো হয়। তারপরও ইচ্ছা করে সেগুলোকে ভুলে থাকি, আর নিজের ধর্মকেই শ্রেষ্ঠ ভেবে দম্ভ করতে থাকি।
লেখা ভালো লাগলো।
পুরান কথা বলে যাই ....
ঈশ্বর নির্মাণ মানুষের সৃষ্টিশীলতার পরাকাষ্ঠা বলা যাইতে পারে। তবে তিনিও বুড়ো হইলেন একসময়। তারপর কাব্য আর আউগায় না। পুনশ্চ ১,২,৩ ..দিয়া আরো কয়েক অধ্যায় বাড়ানো গেল।তারপর শুরু হইলো চোথাবাজী। ই-হক বনাম মিশাও। ইউরিয়া প্রস্তুতির প্রবাহ চিত্র ইম্পর্টেন্ট কিনা এই নিয়া খন্ডযুদ্ধও হইয়া গেল চশমখোরদের মধ্যে। তারপর একসময় সিলেবাস বদলাইল। কিন্তু ছাপাখানার গুদাম তখনও পুরানা বই এ ঠাসা। তারা নাড়া দিয়া বললেন ধর্মের ঘট বাতাসে নড়ে। সুতরাং আগে পুরানা চালান শেষ করা লাগবো । তারপর নতুন বই এর কন্ট্রাক্ট আমাগো দেওয়া লাগবো । আরও ঝামেলা লাগলো। পুরাণা চালান ছিল কম্পোজিটার প্রেস থিকা । এখন কম্পিউটার-কম্পোজ ছাড়া চলে না। তারমানে আমাগো কম্পু শিখানো লাগবো। ক্যাচাল লাইগা গেল। তখন আড়তদার অনেক চিন্তা ভাবনা কইরা দেখলো বাজারে দুই চালানেরই খরিদ্দার আছে। তাইলে আর সমস্যা কি? সিলেবাসও দুইটা বানাও। আর সেই ছাপার কাম সবাইরে ভাগ কইরা দ্যাও যাতে আর কেউ চ্যাও ম্যাও না করে। সেই থিকা বাজারে দুই সিলেবাসের বইই চলে। এর নাম প্যারালfল ইনস্টিটিউশান।
অজ্ঞাতবাস
অসাধারণ!!
নতুন মন্তব্য করুন