শীতের সকালে মফস্বলে যা যা থাকার কথা মোটামুটি সব-ই আছে, নেই শুধু ঠান্ডা আর কুয়াশা। আমারই ভাগ্য খারাপ। উত্তরবংগ আসার আগে কতো জল্পনা কল্পনা করলাম- কাপড় চোপড় এর বস্তা নিয়ে। কতো সংশয়! ভাগ্যিস, শেষ পর্যন্ত আলসেমির জয় হয়েছিল, না হলে এখন শুধু শুধু গরম কাপড় গুলো টানতে হতো।
যাই হোক, সকালের প্রায় সোনালী রোদে চান করতে বের হয়ে গেলাম। গন্তব্য অংপুর। আক্ষরিক অর্থে ধুলি-ধুসরিত একটা বাসে উঠলাম খাসা একটা ৫০ টাকার নোট দিয়ে টিকেট কেটে। ঠেলতে ঠেলতে এগিয়ে যাচ্ছে বাস আর আশে পাশের গাছ-বাজার-মানুষ দেখতে দেখতে আর ধুলো খেতে খেতে বেশ কেটে যাচ্ছে সময়।
পথেই একটা মোটামুটি এন্টিক হবার যোগ্যতা রাখে এমন একটা সেতু পার হলাম। তিস্তার পুরোনো সেতুটা। জানামতে এটাই একমাত্র সেতু যার উপর দিয়ে বাস কি ট্রেন যেটাতেই চড়া হোক, ট্রেনে চড়ার স্বাদ মেটে। বাস সেতুর মাঝে এসে কি কারনে একটু থামলো কিন্তু নেমে ছবি তুলতে পারলাম না। নেমে গিয়ে আবার উঠে আসতে পারবো কিনা নিশ্চিত হতে হতে বাস পুরোদমে দৌড়াতে শুরু করে দিয়েছে কুউউউ-ঝিকঝিক-ঝিকঝিক করতে করতে। আফসোস হলো অনেক।
তিস্তায় নতুন সেতুটা হলে এটাকে জাদুঘরে তুল রাখা যাবে। দূর থেকে নদী আর নদীর পানির ভাজে ভাজে রোদের ঝিলিক দেখলাম চেয়ে চেয়ে।
ধীরে ধীরে পৌছে গেলাম অংপুরে। পথেই জমিদার বাড়ির রাস্তা চোখে পড়লো। লালবাগ নাম জায়গাটার। ইয়া বড়ো করে একটা সাইন বোর্ড লাগানো- "তাজহাট জমিদার বাড়ি-র রাস্তা এই দিকে"।
কিন্তু আগে শহরে যেতে হবে একটু। তাই নামা হলো না। শহরে নামার আগে চোখে পড়লো রংপুর ক্যাডেট কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।হঠাৎ মনে পড়ে গেল অংপুর তো এখন বিভাগ হয়ে গেছে। শহরের নতুন নতুন প্রচুর দালান হচ্ছে। টাউন এর খোলস ছেড়ে দিয়ে সিটির খোলস গায়ে দিচ্ছে।
শাপলায় নামলাম। ছোট একটা কাজ সেরে আবার এইখান থেকেই লালবাগ এর দিকে রওনা হতে হবে। ঢাকা থেকে বাসে আসলে এই শাপলার কাছাকাছি নামতে হবে। বাস ভাড়া চার'শ টাকার মতো। শাপলার মোড় থেকে দিয়ে টমটম ভাড়া করে রওনা হতে হতে বেলা বারোটা। আর এমনি কপাল, খানিক যেতে না যেতেই টমটমের ব্যাটারীর তার গেলো ছিড়ে। অবশ্য অতোটা খারপ হয়নি । একটা দোকানে ঢু মেরে মিষ্টি(বিস্কুট এর মতো দেখতে-নাম টা মনে নেই) কিনে খেলাম। তার পর আবার অন্য টমটমে করে লালবাগ এর ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে রাজবাড়িতে পৌছে গেলাম। শহর থেকে দক্ষিন-পুর্ব দিকে মোটামুটি তিন কিলো রাস্তা।
বিশ টাকার টিকিট কাটতে হলো ভেতরে ঢুকতে। বিশাল জায়গা দখল করে জমিদার সাহেব বানিয়েছিলেন এই জমিদার বাড়ি। কিন্তু কোন জমিদার সাহেব বানিয়েছেন তা নিয়ে খানিক বিতর্ক শুনতে পাই। সম্রাট আউরঙ্গজেব এর শাসনামলে শিখদের সাথে সম্রাট এর বিরোধ লাগলে পাঞ্জাব থেকে মাহিমাগঞ্জে চলে আসেন মান্নালাল রায় নামের এক লোক। তিনি আগে থেকেই ভালোই অবস্থাসম্পন্ন ছিলেন। রত্ন ব্যবসা করতেন আর সম্ভবত সেখান থেকেই এই জমিদারীর নাম হয় 'তাজ' হাট জমিদারি। কেউ কেউ বলে তিনি এই বাড়ি তৈরী শুরু করেছিলেন এবং ১৮৯৭ এর ভুমিকম্পে ব্যপক ক্ষয় হলে তার দত্তক ছেলে গোপাল লাল রায় ১৯১৭ এর দিকে সংস্কার কাজ শুরু করেন। আবার কেউ বলে এই বাড়ি তৈরী শুরুই করেছিলেন গোপাল লাল রায় । এই জমিদারির অন্য যে সব রাজাদের নাম শোনা যায় তাদের মধ্যে আছেন গিরীধারীলাল রায়, গোবিন্দলাল রায়। ১৯৫০ এর পর জমিদারি হারিয়ে তারা চলে যান ভারতে।
ষোল একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত প্রায় ৭৬ মিটার লম্বা রাজবাড়িটা ৪তলা বিশিষ্ট। সবচেয়ে বেশি যা চোখে পড়ে তা হলো বিশাল সিড়ি। সরাসরি দোতলায় ওঠার জন্য। সাদা পাথরের তৈরী। জমিদারবাড়িটির স্থাপত্য শিল্পে কি যেন সৌন্দর্য্য আছে বলে শুনলাম, কি সব পিলার এর উপর এর গম্বুজ আর বারান্দা নাকি ভর দিয়ে আছে; সেগুলো আমার মাথায় গেলো না। কেউ বুঝে খানিকটা সহজ করে আমাকে বুঝিয়ে দিলে বেশ হয়। আমি যেটা বুঝলাম তা হলো বেশ সুন্দর বাড়িটা, সুন্দর তার সামনে বিশাল বড়ো চারটা শাপলা পুকুর, আর সুন্দর পেছনের ফল গাছের বাগান টা।
জানতে পারলাম এরশাদ সাহেব এর জমিদারির সময়ে এখানেই সুপ্রিম কোর্ট ছিল। সে সময়ে ভবন-টাতে সাদা চুনকাম করা হয়। এরপর যে আর কোন সংস্কার হয় নি সেটা চোখে দেখে বোঝা যায়।
বাড়িটি ২০০৫ সালের পর থেকে জাদুঘর। মানুষের বেশ আনাগোনা। কেউ আসে এই জাদুঘর দেখতে আর কেউ কেউ আসে একে অন্যকে জাদু করতে- অভিসারে, কলেজ পালিয়ে। দোতলায় উঠেই প্রচুর পুরাকীর্তি দেখতে পেলাম। বেশীর ভাগ নওগা, দিনাজপুর ইত্যাদি জেলা থেকে আনা। অনেক দুর্লভ মুর্তি আছে। প্রাচীন গীতা, কোরআন শরীফ, রাজ-রাজরাদের চিঠিপত্র ইত্যাদি। পুরো প্রাসাদে নাকি ২২টা ঘর আছে। বিশাল বিশাল তার দরজা। সবে মাত্র দেখা শুরু করলাম, অমনি এসে এক লোক বললো বের হয়ে যান। আমি তো ভেবেই পাই না কি করলাম; না হয় লুকিয়ে দুই একটা ছবি তোলার চেষ্টা করছিলাম, কিন্ত সেটা তো দেখতে পাওয়ার কথা না! জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে? বলে যে দেড়টা বেজে গেছে। এখন বন্ধ! খেতে যাবে লোকজন। পরে আবার ৪টার দিকে খোলা হবে। আরে বাবা তোমরা খেতে যাবা তো আমি কি করবো? সবাই এক সাথে যাওয়ার দরকার আছে নাকি! একে একে গিয়ে খেয়ে ফিরে আসলেই হয়। হাসবো না কাদবো বুঝলাম না। নিচে নেমে গেলাম।
কিন্তু ২০টা টাকার টিকিট এর দিকে চোখ গেলে মনে হলো টাকা তো উসুল হলো না। বাড়ির পেছন দিকটাও দেখা হলো না। লুকিয়ে পেছনে গিয়ে দেয়াল টপকিয়ে নামার দুরভিসন্ধি করছি এমন সময় দেখলাম পেছনেও একটা গেট আছে, খোলা। এতো কষ্ট করে দেয়াল-এ ওঠার দরকার ছিল না। পেছনে ফুলের বাগান, বারান্দায় পেচানো সিড়ি। গোলাপি রঙ করা পেছনটা দেখতে বেশ অন্য রকম।
আর কিছু দেখার নেই, নর-নারীর প্রেম লীলা বাদ দিয়ে। সে দিকে তাকিয়ে আর আফসোস না বাড়িয়ে বের হয়ে আসলাম। এরা অন্তত রাজস্ব দিয়ে প্রেম করছে, কয় জনে করে এই ভ্যাটযুক্ত প্রেম?
ফিরে যাওয়ার পথে লর্ড ব্যারন কারমাইকেলের এর কলেজ দেখতে গেলাম। ১৯১৬ সালের দিকে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজের জন্য জমিদার গোপাল লাল রায় অনেক সাহায্য করেছিলেন। তার নামে এই কলেজে একাধিক ভবন এর নাম আছে। বিশাল বড়ো জায়গা জুড়ে কলেজ। সম্ভবত সবচেয়ে বড়ো কলেজের মধ্যে এটার নাম প্রথমে আসবে। প্রথমে ঢাকা ও পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজটি ১৯৯২ সালের পর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে চলে গেছে। এবং উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে।
কলেজে ঢুকতেই আরেক জমিদার বাড়ি চোখে পড়লো- কলেজের বাংলা ভবন। তার পাশে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য। অনেক বড়ো বড়ো মাঠ আর একদম পেছনে একটা অ-বিশাল পুকুর। পুকুরের পাশে বট গাছ। কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ভীষণ পছন্দের আড্ডার জায়গা। পা ব্যাথা হয়ে গেলো এতো বড় জায়গা ঘুরতে। কলেজের বাইরেই দুনিয়ার দোকান পাট, বাস-স্ট্যান্ড, মানুষজন গিজ গিজ করছে। ক্ষিধে লেগে গেল। হোটেলে বসে মোঘলাই অর্ডার করলাম।গত কয়েকযুগ আগে ভাজা মোঘলাই নিয়ে এলো। কি কি সব দিয়ে বানানো বুঝে উঠতে পারলাম না।
এখনকার মতো অংপুর ঘোরা শেষ। বগুড়া যাওয়ার বাস স্ট্যান্ড-ই পরের গন্তব্য...
উদ্ভট রাকিব,
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১২
মন্তব্য
হায় হায়! তাজহাট জমিদার বাড়ি আর কারমাইকেল কলেজ দেখেই বিদায় নিলেন? বিকেলে যেতে পারতেন রংপুর জিলা স্কুলে, সেটা ১৮৩২ সালে স্থাপিত। বিগত ২০০৭ সালে আমরা ১৭৫ বছর পূর্তি উৎসব করেছিলাম :)। তারপর যেতে পারতেন চিক্-লি বিল দেখতে, শীতকালে সেখানে অর্ধেক জুড়ে ধান চাষ করা হয়। একই পথে আরো কিছুদূর গেলে পাবেন কুকরুল বিল, সেটা আকারে আরেকটু বড়। রংপুরে আছে ঢাকা চিড়িয়াখানার পরেই মোটামুটি দ্বিতীয় বৃহত্তম চিড়িয়াখানা। শহরের মাঝে পাশাপাশি তিনটা বিশাল মাঠ আছে। পুলিশ লাইন মাঠ, ক্রিকেট গ্রাউন্ড আর তারপাশে কালেক্টরেট মাঠ যেটা আবার ঈদগাঁ। ঈদগাঁ মাঠের পেছনে রাধাবল্লভ এলাকায় একটা ফায়ারিং রেঞ্জ আছে বেশ ভেতরের দিকে। স্কুল পালিয়ে সেই রেঞ্জের দেয়ালের ছিদ্রতে বুলেট খুঁজতে যেতাম আমরা। লালকুঠিতে আছে একটা মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর। ধাপ এলাকায় একবার রিকশা নিয়ে চক্কর দিয়ে আসতে পারতেন। এক জায়গায় এত বেশি ডাক্তারের চেম্বার আর ক্লিনিক মনে হয় বাংলাদেশে আর কোথাও নেই। এরপর ক্যন্টনমেন্ট এর ভেতরে একদম পেছনে চলে গেলে পাবেন ঘাঘট নদীর পার। জাহাজ কোম্পানির মোড়ে সন্ধ্যার পর পাওয়া যায় পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শিক কাবাব, মুরগীর টিক্কা আর বট। ভাগ্য ভালো থাকলে পেয়ে যাবেন কোয়েল পাখির ডিম সেদ্ধ! রংপুর থেকে সামান্য দূরে পাগলাপীর এলাকার খলেয়া ইউনিয়নের গঞ্জিপুর গ্রামে আছে ভিন্নজগৎ। ফ্যান্টাসি কিংডমের মত না হলেও সেই অজ গ্রামে এমন একটা ফ্যান্টাসি পার্ক দেখার মতই। সমস্ত শহরের জঞ্জাল বুকে নিয়ে ছুটে চলেছে শ্যামা সুন্দরী। আরো কতকিছু যে আছে রংপুরে সেটা আমি লিখে শেষ করতে পারবো না। এইচএসসি'র পর রংপুর ছাড়লেও আমার বাবা-মা এখনো সেখানেই থাকেন। আমি প্রতি মূহুর্তে প্রহর গুনি রংপুর ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায়।
লেখাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
(
আপনি আগে কই ছিলেন ভাই? আফসোসে মরার দশা!
আসলে কুড়িগ্রাম থেকে বগুড়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছিল। রংপুর এর উপর দিয়ে যেতে হবে যেনে ভাবছিলাম নেমে দেখে আসি রংপুর শহরটাও। আগে কখনো যাইনি, আর যার কাছে গিয়েছিলাম সে তো দেখি কিছুই চেনে না! কতোবার করে বললাম যে কি কি আছে বলো; সে শুধু ভিন্ন জগৎ আর চিকনির (আপনি যেটাকে হয়তো চিক-কি বলছেন) বিল এর কথা বলেছিল। ফ্যান্টাসী কিংডম এর মতো বলে ইচ্ছে করেনি, আর চিক-কির বিলে যেতে অনেক সময় লাগবে বলে নিরুৎসাহিত করেছিল। কতোবার করে নদীর কথা জিজ্ঞেস করলাম; বললো যে নাহ, কোন নদী নাই এদিকে! তার উপর এতো সব খাবার এর সন্ধান!
অবশ্য সময়ের অভাবে বদরগঞ্জের মেলা মিস করেছিলাম-সেটা নিয়ে এম্নিতেও আফসোস রয়ে গেছে। এরপর যখনি যাই আপনাকে পেরা দিয়ে আপনার কাছ থেকে সব লিখে নিয়ে যাবো- এইটাই আপনার পাওনা, আমার আফসোস বাড়ানোর জন্য।
ভাল লাগল ।
পরেরটার অপেক্ষায় থাকলাম ।
ভাল থাকবেন ।
আপনার ফটোগ্রাফি সেন্স খুব তীক্ষ্ণ, উপর থেকে ৪ নাম্বার ছবির কম্পোজিশান চমৎকার।
আরেকটু মন দিলে আমার ধারণা আপনি ফাটায় দিবেন, সিরিয়াসলি
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
নিজেই ফেটে গেলাম ভাই! অ-নে-ক ধন্যবাদ এভাবে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
খুব ভালো ছবি তুলেন।
পোস্টও খুব ভালো লাগল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনেক
ভাল লাগলো, জমিদার বাড়ীর ছবিগুলো বিশেষ করে
facebook
কিছুদিন আগে আমিও ঘুরে এসেছি রংপুর শহর,
বেশ ভালো লাগলো লেখা !
আমি তো কিছুই দেখতে পারিনি যতদুর বুঝলাম। আপনি একটা লিখা দিন না, অন্তত পড়ে স্বাদ মেটাই।
রাকিব, ছবি গুলো খুব সুন্দর। কিন্তু দেখে আফসোস হচ্ছে। গত ১৭ তারিখ রংপুর গিয়েছিলাম কিন্তু কিছুই দেখতে পারিনি। চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছিলাম ১৬ তারিখ সন্ধ্যা সাতটায়, রংপুর পৌঁছালাম পরদিন সকাল অর্থাৎ ১৭ তারিখ সাড়ে ন'টায়। ঐদিন বিকাল চারটায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক পদের সাক্ষাৎকার দিয়ে আবার সন্ধ্যা সাতটার বাসে উঠলাম চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে। এখন খুব খারাপ লাগছে। এত কাছে গিয়েও কিছুই দেখতে পারলাম না বলে। তবে শহরটি আমার দারুণ পছন্দ হয়েছে। বেশ ছিমছাম আর গোছালো। ঢাকা- চট্টগ্রামেতো বহুতল ভবন ছাড়া কিছুই দেখা যায় না।
দীপাবলি।
আশা করছি আপনার প্রভাষক পদের সাক্ষাৎকার আপনাকে রংপুর শহরে থাকার ব্যবস্থা করে দেবে, তখন নিশ্চই দেখতে পারবেন ইচ্ছে মতো সবকিছু
শুভকামনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, রাকিব।
দীপাবলি।
আহারে শৈশব! আমি সেই কবে, তা প্রায় ৫০ বছর আগে রংপুর জিলা স্কুলের ছাত্র ছিলাম। তখন 'তাজহাট' রাজবাড়ি, কারমাইকেল কলেজ দেখেছি। 'তাজহাট' রাজবাড়ি প্রাঙ্গনে তখন ইউক্যালিপটাস জাতিয় কিছু গাছ ছিল। লোকে বলত ইংরেজী তালগাছ।
দিলেনতো স্মৃতিমেদুরতায় আক্রান্ত করে!
ছবিগুলো দারুণ হয়েছে।
ধন্যবাদ। ভাল থাকুন। লেখা চলুক।
ইংরেজী তালগাছের গল্প শুনতে চাই আর শুনতে চাই ৫০ বছর আগের রংপুর এর কথা! স্মৃতিমেদুরতা থেকে একটি লেখা আসবে সেই অপেক্ষায় পেজ রিফ্রেশ করে যাচ্ছি
রংপুর যাওয়া হয়নি কখনো! ছবি ও লেখা অনেক ভালো লাগলো।
শাপলা ফোটা পুকুর দেখে মনটা উদাস হয়ে গেল।
আপনার এই ভ্রমন কাহিনীটা পড়লে কান্না পায় ব্যাপক। ( কেন কে জানে)
বগুড়া ভ্রমন নিয়ে সুন্দর করে লিখবেন
ঐটা আমার জন্মস্থান। আমার 'কলিজার টুকরা' শহর। আমি এক সেকেন্ডের জন্যও বগুড়ার আলো বাতাসকে ভুলতে পারিনা।
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
সে-কি দিদি, মন খারাপ করিয়ে দিলে দুঃখিত
আপনার "কলিজার টুকরা" শহরের কথা আপনি একটু বলুন না- আমরা শুনি "কলিজার টুকরা" শহর কেমন হয়!
আমার উত্তরবঙ্গে যাবার খুব ইচ্ছা। সময় ও সুযোগের অভাবে হচ্ছে না
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
বের হয়ে যান হঠাৎ করে। আমি কয়েক বছর ধরে যাবো করেও যেতে পারছিলাম না; শেষে ধুম করে একদিন কিছু না চিন্তা করেই বের হয়ে গেছি আর এজন্যই যেতে পেরেছি হয়তো।
নতুন মন্তব্য করুন