মেডিকেল লাইফ সাক্স

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৫/০২/২০১২ - ১২:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তুমি শালা একটা ফেইলিউর। পরীক্ষায় ফেইল না করলে কি হবে, পুরা জীবনটাই তোমার ফেইলে ভর্তি।

মনে মনে এই কথাগুলো ভাবছিলাম। শালার জীবন! কিনা করেছি প্রায় ২১ বছরেরে এই জীবনে। সিলেট থেকে লন্ডন, ব্যাংকক থেকে চ্যামসফোর্ড, বিড়ি থেকে বাংলা, অখ্যাত গ্রামের স্কুল থেকে মেডিকেল কলেজ, মিলিটারি স্কুল থেকে ইউনিভার্সিটি লাইফ, সুবীর নন্দী থেকে স্বপন চন্দ্র বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু থেকে গো আযম (পাশে থেকে কে যেন বলল 'অর্গাজম'), বিষ্ণু পদ দেব নাথ থেকে রায়হান উদ্দিন, জেমস ব্রায়ান গোমেজ থেকে আমীর আব্দুল্লাহ। কিন্তু তার পরেও মনে হয় ''লাইফ সাক্স''। চরম উদাসের ভাষায় ''জীবন চোষে''।

কথাটা মিথ্যা না। আমার ব্যক্তিগত জীবনকে বর্তমান জীবন চোষতে চোষতে ছিবড়ে বানিয়ে ফেলেছে। নিউ মার্কেটে যখন যাই, কিছু কিনতে বা শুধু 'পাখি' দেখতে, তখন রাস্তার পাশে দেখি আখের রস বিক্রি করতে। আমরা বাঙ্গালীরা খুবই উৎসাহী। আমাদের উৎসাহ জুতা সেলাই থেকে চন্ডী পাঠ সবকিছুতেই। সবসময় দেখি আখের রসওয়ালার পাশে ভিড় জমে আছে। কেউ রস কিনছে না। শুধু পাশে দাঁড়িয়ে কিভাবে আখ ছিবড়ে বানিয়ে রস বানানো হয় তাই শুধু দেখছে। আমি ছিবড়ে বানানোর প্রক্রিয়াটার দিকে তাকাই আর আখের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করি। আর বলি ''জীবন চোষে''।

২০০৯ সালে ভর্তি হলাম মেডিকেল কলেজে। ক্লাস শুরু হল ১ ফেব্রুয়ারি ২০১০। বারো বছরের শিক্ষা জীবনে ফেইল করেছি শূণ্য বার। মেডিকেলে ভর্তি হয়ে প্রথম আইটেমে করলাম জীবনের প্রথম ফেইল। কথাটা লক্ষ্য করুন। বলেছি জীবনের প্রথম ফেইল, পরীক্ষায় প্রথম ফেইল বলিনি। আইটেমের নাম 'Bones & joints of thorax'. তিনজন শ্রমিকের সাথে পরীক্ষা দিতে ঢুকলাম। শ্রমিক এই অর্থে, খাওয়া , শৌচকার্য আর ঘুমের জন্য ন্যূনতম যে সময়টুকু দিলেই নয়, সেই সময়টুকু ছাড়া তাদের ধ্যান-জ্ঞান এনাটমি, ফিজিওলজি আর বায়োকেমিস্ট্রি। এরমধ্যে একজন আমার পূণ্যবান রুমমেট। পরীক্ষা দিতে ঢুকে দেখি আপাদমস্তক কালো বোরকায় ঢাকা, শুধু চোখ দুটো ছাড়া, রওশন ম্যাডাম। একবার ছাদের দিকে তাকালাম। আকাশে আল্লাহ খোজার প্রচেষ্টা। উনাকে আশেপাশে কোথাও দেখতে পেয়ে মনে মনে তসবি জপতে জপতে বসে পড়লাম।

এনাটমি পড়ার সময় প্রথম যেগুলো শিখেছিলাম তা হচ্ছে attachment আর relation. অ্যাটাচমেন্ট সহজেই বোঝা যায়, যা গায়ে এসে লাগে তাই অ্যাটাচমেন্ট। রিলেশনও খুব কঠিন কিছু না। যা আশ-পাশ দিয়ে যায় তাই রিলেশন। অবশ্য সারা জীবন রিলেশন মানে জেনে এসেছিলাম ''লাইন''। ছোটবেলায় একদিন কাকে যেন বলতে শুনেছিলাম, ''মফিজর লগে হান্নান মিয়ার ফুরির লাইন আছে'' (সিলেটি ভাষা, যার তর্জমা হচ্ছে- মফিজের সাথে হান্নান মিয়ার মেয়ের লাইন আছে।)। আমি লাইন থাকার অর্থ এবং লাইন থাকার সম্ভাব্য পরিণতি বুঝতে না পেরে আমার মাতাজীকে 'লাইন করা'-র অর্থ জিজ্ঞেস করলাম। আমার শ্রদ্ধেয় মা আমার পিঠে ভাতের চামচ দিয়ে কষে দুইটা বাড়ি দিয়ে বললেন, ''ইতা খই তনে হিকসত?'' (এগুলো কোথা থেকে শিখেছিস?) আমি অবস্থা বেগতিক দেখে চম্পট দিলাম। কিন্তু লাইন করার অর্থ তো তখনও বুঝতে পারলাম না। শুধু এটুকুই বুঝলাম বিষয়টা খুবই জটিল এবং আমাকেও বড় হয়ে লাইন করতে হবে। এর মধ্যে আমাদের একজন আত্মীয় তার সহপাঠিনীর সাথে লাইন করতে গিয়ে ধরা খেলেন। তুলকালাম কান্ড। এবার আর আম্মুকে জিজ্ঞেস করার রিস্ক নিলাম না। মামাকে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ''মামা লাইন মানে কিতা?'' (মামা লাইন মানে কি?')। মামা তখন তার চারখানা লাইন করার কাহিনী বর্ণনা করে, ১৩ টি প্রেমপত্র দেখিয়ে আমাকে বুঝিয়ে দিলেন লাইন করার অর্থ কি। যখন ইংরেজি শেখা শুরু করলাম তখন relation এর বাংলা শিখলাম 'সম্পর্ক'। তবে relation এর খাঁটি বাংলা যে 'লাইন করা' তা শিখেছিলাম ক্লাস সিক্সে মিলিটারি স্কুলে ভর্তি হয়ে।

পরীক্ষার আগের রাতে সবাইকে ডেমো দিয়েছি ''স্টার্নামের উপরের পার্ট মেনুব্রিয়াম স্টার্নি। এর পিছনে থাকে হার্ট এবং গ্রেইট ভেসেলস। এর অ্যান্টেরিয়র অ্যাটাচমেন্ট স্টার্নোক্লিডোমাস্টয়েড মাসল...ব্লা ব্লা ব্লা।'' পরীক্ষায় ম্যাডাম আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, ''ম্যানুব্রিয়ামের রিলেশন বল?'' আমি তখন আশেপাশের বাতাসে-দেয়ালে রিলেশন খুজতে লাগলাম। মৃত্যুর সময় নাকি মানুষের চোখের সামনে পুরো জীবনটা ভেসে উঠে। আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল মামার দেখানো সেই তেরোটা প্রেমপত্র। তবে মুখে বললাম, ''স্টার্নোক্লিডোমাস্টয়েড''। ম্যাডাম আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছেন। আমার মনে হলো, নিজের মানুষের সাথে লাইন মারা যায় না। লাইন মারতে হয় দূরসম্পর্কের কারো সাথে। স্টার্নোক্লিডোমাস্টয়েড তাই রিলেশন হতে পারে না। কিন্তু ম্যানুব্রিয়ামের সেই দূরসম্পর্কের লাইন কে হবে। আবার আসে পাশে তাকালাম। সাদা দেয়াল আর কালো ব্ল্যাকবোর্ড ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। ম্যাডাম বললেন, ''যাও! শুদ্ধ হয়ে এসো।'' আমি বললাম ''জি ম্যাডাম। স্লামালিকুম।'' বের হওয়ার সময় শুনি আমার রুমমেট বলছে, ''হার্ট, ব্রাকিওসেফালিক...''। আমার হৃদয় সাথে সাথে বিদীর্ণ হয়ে গেল। পরীক্ষা শেষে যখন দেখলাম গতকাল যাদের ডেমো দিয়েছিলাম তার সবাই পাশ করেছে আর আমি ফেল করেছি (মেডিকেলে তো আর ফেইল বলে না, বলে পেন্ডিং) তখন জীবনের প্রথম বললাম ''জীবন চোষে''। একইসাথে অনুভব করলাম লাইন মারতে গেলে কেন ছ্যাকা খেয়ে সবাই বলে ''লাইফ সাক্স''।

অবশ্য ওই একবারই। আর কখনো ফেল করিনি। ফেল না করলে কি হবে? জীবনে যা চেয়েছিলাম তার কিছুই তো হতে পারলামনা। হতে চেয়েছিলাম সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, হচ্ছি ডাক্তার। ডাক্তাররা হচ্ছে নিকৃষ্ট প্রাণী। তারা অন্যের রোগ-ব্যাধীর সুযোগ গ্রহণ করে। অন্যের অসুখের উপর আমি বেঁচে থাকব মনে হলেই গা ঘিন ঘিন করে। একজন মানুষ অসুস্থ হবে, সেই অসুস্থতার আমি সুযোগ নেব আর টাকা কামাই করব! ইয়াক। নিজের উপর নিজেরই কিরকম লাগছে। পুনশ্চঃ এই কথাগুলো আমার নিজস্ব অভিমত। দয়া করে কেউ অফেন্ডেড হবেন না।

মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর হোস্টেল পেলাম ''কি পাইলাম? মোড়'' নামে এক জায়গায়। আমার রুমমেট নবীন। নবীন খুবই ভালো ছেলে। শ্রমিক সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। প্রতিদিন সকালে কলেজে যাওয়ার আগে গোসল করে। তার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য সে ডাক্তার হবে। যেদিন আইটেম থাকে সেদিন সকালে সে কারো সাথে কথা বলে না। গবেষণা করে আবিষ্কার করা হয়, কথা বললে যদি প্রশ্নের উত্তর ভুলে যায় এই ভয়ে সে কথা বলে না। সে এখন আর আমার রুমমেট না। তার দিকে এখনো মাঝে মাঝে তাকাই, আর ভাবি এই না হলে ছাত্র। ছাত্রনং অধ্যয়ং তপস্য। আমি আর ছাত্র হতে পারলাম কই?

থার্ড ইয়ারে উঠার পর সাবজেক্ট হল পাঁচটা। প্যাথলজি, ফরেনসিক মেডিসিন, কমিউনিটি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি এবং ফার্মাকোলজি। একটামাত্র সাবজেক্ট যা আমি পড়ি তার নাম মাইক্রোবায়োলজি। ফার্মাকোলজি আর ফরেনসিক মেডিসিন যেমনতেমন। আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে ভয়াবহ সাবজেক্ট প্যাথলজি। প্যাথলজি ক্লাসের একটা স্যাম্পল দেখাই। লেকচার ক্লাস হচ্ছে। কেউ ফেসবুকে, কেউ কবিতা লিখছে, কেউ ছবি আঁকছে, কেউ লুকিয়ে লুকিয়ে পেপার পড়ছে। স্যার ক্লাসে তার লাল ডাইরি দেখে বলেই যাচ্ছেন, ''Repaire is the restoration of lost tissue by granulation tissue which matures to form scar tissue. Repair হচ্ছে granulation tissue দিয়ে lost tissue replace করা যা mature হয়ে scar tissue তৈরি করে। This is inevitable when the surrounding specialised cells do not possess the capacity to proliferate and replace the lost tissue eg muscles and neurons. যদি surrounding cell এর proliferation এবং replace এর ক্ষমতা না থাকে যেমন muscle এবং neuron এর ক্ষেত্রে তাহলে এটা inevitable. Repair most often consist of a combination of regeneration and scar formation by the deposition of colagens. Repair সাধারণত composed of regeneration এবং scar formation by the deposition of colagens...ব্লা ব্লা ব্লা।''। এই তর্জমা কতক্ষণ শোনা যায়।গ্রররররররররররররর।

কমিউনিটি মেডিসিন আরেক চিজ। একটা সংজ্ঞা বললেই টের পাবেন। নিচে যতটুকু ইংরেজি দেখতে পাচ্ছেন তা Public health এর সংজ্ঞা এবং মাত্র ১ লাইন। The WHO expert committee on public health administration adapting the defiition of public health has defined it as The science and art of preventing disease, prolonging life and promoting health and efficiency through organised community efforts for the sanitation of the environment, the control of communicable infections, the education of the individuals by personal hygiene, the organisation of medical and nursing services for early diagonosis and preventing treatment of disease, and the development of social machinary to ensure for every individual a standard of living adequate for the maintainave of health, so organising these benefits as to enable every citizen to realise the birthright of health and longivity. আপনারাই বলেন এই বস্তু কিভাবে মুখস্ত করা যায়? এখানেই শেষ না। ল্যাট্রিনের সংজ্ঞাও আমাদের মুখস্ত করতে হয়। হাহ...জীবন চোষে।

দুইটা প্যাথেটিক ক্লাসের কথাতো বললাম। গুরুর কথা না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। আমি মাইক্রোবায়োলজি পড়ি শুধু এই ব্যক্তিটির কারণে। ডাঃ রাফিউদ্দিন। আপনি ক্লাসে বুঝবেননা। গিলিয়ে খাইয়ে দিবে।

আজ আর লিখতে ইচ্ছা করছে না। অভয় দিলে দ্বিতীয় খন্ড আসতে পারে।

_______________________________________________________________________________
এ হাসনাত
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%61%68%61%73%6e%61%74%31%33%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%61%68%61%73%6e%61%74%31%33%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))

সচলে আমার অন্যান্য লেখাঃ
মৃত্যু
আমি যামুনা। আমার ইচ্ছা।
ঢাকা-সিলেট বাস ভ্রমণ এবং আমার স্বজাতি ভাবনা


মন্তব্য

আশফাক আহমেদ এর ছবি

আপনার লেখা প্রথম পড়লাম।
চলুক

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

এ হাসনাত এর ছবি

ধন্যবাদ

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

আপনার আগের সব লিখাগুলো পড়লাম।
দুর্দান্ত লিখেন আপনি।
চালিয়ে যান।

এ হাসনাত এর ছবি

ধন্যবাদ। বুকের ছাতি তো কয়েক ইঞ্চি বেড়ে গেল।

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

এ হাসনাত এর ছবি

হাসি

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

এ হাসনাত এর ছবি

হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখা পড়া শুরু করতেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল, এত ইংরেজি শব্দ আর ভুল বানানের ছড়াছড়ি, আশাকরি ভবিষ্যতে আরো যত্নবান হবেন। আর শিরোনামে ইংরেজি নাম দেখে বেকুব হয়ে গেলাম, মনে হচ্ছে মডারেশনের হাত এখন অনেক নরম হয়ে গেছে!

আর হ্যাঁ, ১ তারাটা আমার দেয়া!

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

চরম উদাস এর ছবি

সাইফ ভাই, একটু কি বেশী কর্কশ হয়ে গেলো প্রতিক্রিয়াটি? ইদানিং কিন্ত এরকম অনেক নতুনদের মাঝ থেকেই চমৎকার সব লেখা বের হয়ে এসেছে।
মথ থেকে প্রজাপতি বের হবার আগেই মথ কুচলে দিতে চাইনা। পাঁচ তারা আমি দিলাম, লেখার ধাঁচ আমার কাছে ভাল লেগেছে, আশাকরি ছোটোখাটো ভুলত্রুটি শুধরে উনি আর চমৎকার সব লেখা লিখবেন

কালো কাক এর ছবি

চলুক

এ হাসনাত এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনি আমার খুব প্রিয় একজন লেখক। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

চলুক

এ হাসনাত এর ছবি

দুঃখিত। আসলে বাংলা লেখা হয়না তো এজন্য এই অবস্থা। সেদিন প্যাথলজি ক্লাসে একটা গল্প লেখার চেষ্টা করেছিলাম। দুই লাইন লিখে দেখি আর হাত চলে না। ৩ বছর ধরে শুধু ইংরেজি লিখি এজন্য বোধহয় এই অবস্থা।

ফাহিম হাসান এর ছবি

আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে, চিন্তা করেন না দেঁতো হাসি

সত্যপীর এর ছবি

মফিজর লগে হান্নান মিয়ার ফুরির লাইন আছে'

হি: হিঃ হিঃ, হাসা নি?

চমৎকার পোস্ট।

..................................................................
#Banshibir.

এ হাসনাত এর ছবি

হাসা।

পীর সাহেব দেখি সিলেটি ফুয়া। বালা আসইন নি?

সত্যপীর এর ছবি

হাহা জ্বী অয় আসি বালাই।

..................................................................
#Banshibir.

ফাহিম হাসান এর ছবি

মজা পেলাম।

তাপস শর্মা এর ছবি

আমার কাছে লেখাটা একটু খাপছাড়া লেগেছে। বাকিটাতো ঠিকই আছে। ভালো লাগল লেখা। আরও লিখুন। বানান এর প্রতি যদি একটু যত্নবান হন তাহলে ভালো হয়। এবং যেহেতু এটা বাংলা ব্লগ, লেখার মাধ্যম বাংলা তাই লেখার ক্ষেত্রে বাংলা শব্দের প্রয়োগ বেশী হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।

শুভেচ্ছা।

এ হাসনাত এর ছবি

ভবিষ্যতে সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।

রিসালাত বারী এর ছবি

নির্ভয়ে হাত খুলে লিখতে থাকুন। ছোট খাটো সমস্যা এক সময় কেটে যাবে। (এমন ভাব যেন আমি বিরাট লেখক, উপদেশ দিতে আইছি চাল্লু )

নিটোল এর ছবি

সুন্দর লিখেছেন।

_________________
[খোমাখাতা]

ধূসর জলছবি এর ছবি

আপনার ফেল করার গল্প শুনে আমারও প্রথম ফেল করার গল্পটা বলতে ইচ্ছে হচ্ছে।। একটা সময় পর এ গল্পগুলোই মনে থাকবে , কষ্টের দিনগুলির কথা মনে করেও হাসি আসবে। ফেল না করলে কি ডাক্তার হওয়া যায় নাকি আবার খাইছে । যত বেশি ফেল করবেন তত বড় ডাক্তার হবেন দেঁতো হাসি
লেখা খুব ভাল লেগেছে। কিন্তু একটা জায়গায় এসে থমকে গিয়েছি। ডাক্তাররা অন্যের রোগ ব্যধির সুযোগ গ্রহন করে, অন্য কেউ অসুস্থ হবে আর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে টাকা কামাই করব!!! এ কথাগুলো পড়ে। (কিছু অসাধু ডাক্তার অবশ্যই সেটা করে। দুর্নীতি সবজায়গাতেই আছে। সেটা বদলাতে হবে আমাদেরকেই ।) কিন্তু যে মানুষটা এখন মেডিকেলে পড়ছে তার আদর্শ হওয়া উচিৎ আরও ভাল কিছু করার। পেশাটাকে তার যোগ্য সম্মান দেয়ার এবং এমন কাজ করার যাতে অন্য মানুষও সেই সম্মান টা দেয়। যার নিজেরই ডাক্তার পেশাটাকে নিকৃষ্ট মনে হয় সে এই পেশার মহত্ত্ব কিভাবে ধরে রাখবে। একজন মেডিকেল ছাত্রের এই পেশাটা সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি দেখে খুব আহত হলাম। আপনার যেভাবে খুশি ভাবতে পারেন , কিন্তু এরকমভাবে চিন্তা করলে ডাক্তারি করাটা ঠিক হবে না বলে মনে করি।

এ হাসনাত এর ছবি

যত বেশি ফেল করবেন তত বড় ডাক্তার হবেন

প্রফে ফেল করে ভালো ডাক্তার হওয়ার আনন্দের চেয়ে আবার ফরম ফিলাপের টাকা দেয়ার কষ্টটাই আমার গায়ে লাগে বেশী। ওঁয়া ওঁয়া খাইছে

আমার চিন্তাভাবনা আপনাকে আহত করেছে দেখে দুঃখিত। আসল কথা হল কারো অসুখই আমার ভালো লাগেনা। সে আমার মা-ই হোন, আর রাস্তার ভিখারীর হোক। একটা কথাকি জানেন, আমি পারলে অসুস্থ কারো বাসায় যাই না। গেলে আমার নিজেরই অসুস্থ লাগে। ওয়ার্ডে গেলে যে কিরকম লাগে, তা শুধু আমিই জানি।

ধূসর জলছবি এর ছবি

আমারও রোগ ভাল লাগে না। তাই অসুস্থ কেউ দেখলে মায়া লাগে আরও বেশি। ডাক্তার হতে না চেয়েও এখন ডাক্তারি করতে আমার ভাল লাগে। মানুষকে কষ্টের সময়গুলোতে সাহায্য করার একটা আলাদা আনন্দ আছে। অন্য কোন কিছুতেই এত আনন্দ আমি পাইনি। তাই কাজ করতে হাজার ঝামেলা থা্কলেও গায়ে লাগাই না। যেদিন এই আনন্দটা বুঝে যাবেন সেদিন আর লাইফ সাক্স মনে হবে না। শুভকামনা রইল।

পদ্মজা এর ছবি

প্যাথলজি ভালু পাইতাম।
কমমে্ড এর সংজ্ঞা। ইয়া আল্লাহ। হে ধরণী দ্বিধা হও।
লাইফ সাকিঙএর সবে শুরু। হো হো হো চলুক পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

এ হাসনাত এর ছবি

প্যাথলজি ভালু পাইতাম।

কস্কি মমিন!

লাইফ সাকিঙএর সবে শুরু

মন খারাপ

মাহমুদ এর ছবি

মেডিকেলে প‌াঁচ বছর ধরে আইটেম, কাড‍, টার্ম, প্রফেশনাল পরীক্ষা পাস করার পরে বুঝতে পারবেন ডাক্তারি কি জিনিস।সুতরাং এতো তাড়াতাড়িই হতাশ হবার কিছু নাই। আর রোগ বা রূগী সম্পকে কোনো ডাক্তারেরই এমন মনোভাব আশা করি না।

পদ্মজা এর ছবি

আমার একজন রোগী আছেন। বয়স্ক। হাইপারটেন্সিভ। উনি আমাকে মা ডাকেন। আমি বয়সে নবীন, কিন্তু আমার ওপর তার আস্থা দেখে মনে হয় আমার চিকিতসক জীবন সার্থক। কারণ আমি তার আস্থা অর্জন করতে পেরেছি।
এমন ছোট ছোট কারণে মনে হয়না যে লাইফ সাক্স। অন্য কারও জীবনে সুখের কারণ হতে পারা যে আনন্দের সেটা আর কিছুদিন পরে বুঝবে। হাসি

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

আপনার আগের লেখাগুলিও পড়েছি। ভাল লেগেছে। এই লেখাটিও ভালো লাগল। তবে নিজের কথা একটু বলতে চাই বাংলায় লেখা নিয়ে। আমার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চার যোগ দুই মোট ছয় বছরের পড়ায় কোথাও এক অক্ষর বাংলা ছিল না, কিন্তু আমি কখনোই বাংলায় কিছু লিখতে হোচঁট খাইনি এখনও বরং ইংরেজিতে এখনও শব্দ হাতড়ে বেড়াই। আপনার লেখার হাত ঝরঝরে।
আর যতই আমরা ইংরেজিতে লিখিনা কেন, মূল শব্দগুলো/চিন্তাগুলো মনে কিন্তু আগে বাংলায় তৈরি হয়ে পরে ইংরেজিতে হয়।
সামনে আরো লেখার জন্য শুভ কামনা রইলো। চলুক
শিক্ষা গ্রহন আমার কাছে সাধনার মত মনে হয়। সব মনযোগ, আগ্রহ, মেধা, পরিশ্রম দিয়েই শিক্ষা লাভ করা যায় বলে আমি মনে করি। আপনার শিক্ষাজীবন আনন্দের হোক।

আমি শিপলু এর ছবি

উত্তম জাঝা! >>চলুক।।।।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা ভালো লেগেছে। কমিউনিটি মেডিসিন বা পাবলিক হেলথ ভীষণ জরুরি একটা বিষয়। কিন্তু এই লোকগুলোকে দেশে কোন দাম দেয়া হয় না। এই হতাশায়ই বেচারারা ছাত্রদের বধ করে মুখস্থবাণ মেরে। পাবলিক হেলথের সংজ্ঞাটা খুব সুন্দর করে ইংরেজি বা বাংলায় গুছিয়ে বলা সম্ভব এই সংজ্ঞাটি তোতাপাখির মত মুখস্থ না করেও! এ বিষয় নিয়ে আগেও লিখেছি। ভবিষ্যতে লেখার উৎসাহ পাই না। মন খারাপ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।