আমিই সেই চেইন-লেটারের মেয়েটি
আমিই সেই মেয়ে – শুধু কফিন আর তালা-চাবির ফুটো নিয়ে যার গল্প,
টেলিফোন বিল-এ এই মেয়েটিই,
দোমড়ানো, মোচড়ানো ছবি আর যতসব হারানো ঠিকানা,
এই সেই মেয়ে যে কিনা কেবলই বলত-
শোনো ! শোনো !
আমাদের কখনোই ! আমাদের কখনোই !
আর ওইসব নানাকিছু...
এই সেই মেয়ে
যার চোখের অর্ধেকটা থাকত কোটের নিচে,
ভালোবাসার গান
মূলঃ এ্যান স্যাক্সটন
অনুবাদঃ কল্যাণী রমা
আমিই সেই চেইন-লেটারের মেয়েটি
আমিই সেই মেয়ে – শুধু কফিন আর তালা-চাবির ফুটো নিয়ে যার গল্প,
টেলিফোন বিল-এ এই মেয়েটিই,
দোমড়ানো, মোচড়ানো ছবি আর যতসব হারানো ঠিকানা,
এই সেই মেয়ে যে কিনা কেবলই বলত-
শোনো ! শোনো !
আমাদের কখনোই ! আমাদের কখনোই !
আর ওইসব নানাকিছু...
এই সেই মেয়ে
যার চোখের অর্ধেকটা থাকত কোটের নিচে,
সীসার গুলির মত ঠান্ডা, বাদামি-নীল বড় বড় দু’টো চোখ,
গলার বাঁকে টিউনিং-ফর্কের মত
গুনগুন করে কাঁপত সরু শিরা,
মেয়েটির খোলা কাঁধ এক দালানের মত নগ্ন,
হালকা-পাতলা পা, পায়ের পাতা, আঙ্গুল,
বড়শির পুরনো, লাল আঁকশি গাঁথা ঠোঁটে
আর সেই ঠোঁট থেকে শুধুই রক্ত ঝরে পড়ত
ওর হৃৎপিন্ডটার ভিতর...
এই সেই মেয়ে
যে কেবলই ঢলে পড়ত ঘুমে ,
যেন পাথরের মতই বয়স হয়েছিল ওর,
এক একটা হাত সিমেন্টের টুকরা,
ঘন্টার পর ঘণ্টা
এবং তারপর ঘুম ভাঙ্গত,
এক ছোটখাটো মৃত্যুর পর,
আর তখন মেয়েটি
নরম হয়ে যেত, স্নিগ্ধ কোমল হয়ে যেত...
মেয়েটি স্নিগ্ধ কোমল আর নরম হয়ে যেত
এক অফুরন্ত আলোর মত,
যেন কিছুই ভয়ানক নয় আর,
খাবার খুঁজে পাওয়া ভিখারির মত ও তখন
কিংবা ছাদের উপর এক ইঁদুর যেন
যেখানে মরণ ফাঁদ নেই কোন,
তোমার হাতের ভিতর মেয়েটির হাত
এর থেকে অন্য আর তো সত্য নেই-
অন্য কেউ নয়, অন্য কেউ নয়, কেবল তুমি !
আর সেইসব নানাকিছু।
অন্য কেউ নয়, অন্য কেউ নয়, কেবল তুমি !
আহা! এই ছবি আর কোনভাবেই যে আঁকা যায় না।
সেই সমুদ্র,
সেই সঙ্গীত,
সেই রঙ্গমঞ্চ,
আর সেই ঘোড়া ছুটে যাওয়া মাঠ।
(১৯শে এপ্রিল, ১৯৬৩)
মন্তব্য
ভালো লাগল।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনেক ধন্যবাদ।
কবি সম্পর্কে কিছুটা লিখলে ভালো হইত।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অজ্ঞাতবাস
ধন্যবাদ।
একদম ঠিক। দেখি একটু সময় পেলেই এক সময় লিখে ফেলব। অনুবাদ পড়বার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
---------------------------------------------
মানুষ নিকটে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়
ধন্যবাদ।
ভালো লাগল।
অনেক ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন