‘উঁহুরে... মরার মশা!’’
রহিমুন বিবি প্রচণ্ড আক্রোশে নিজের বাম গালের উপর, কানের লতির ঠিক নীচে সশব্দে হাত চালায়। এবং পরক্ষণেই বুড়ো আঙ্গুলের সাথে মধ্যমা আর অনামিকার ডগার ঘর্ষণে একটু পিচ্ছিল মতন আঠা আঠা কিছু একটা এই অন্ধকারেও টের পায়। মশাটা মরেছে। অনেকক্ষণ ধরেই মশাটা কানের কাছে ভনভন করছিল আর সুযোগমতন এখানে ওখানে কামড়াবার জুতসই জায়গা মতন বসছিল। মশাগুলো কি করে যে গায়ের ঠিক অনাবৃত অংশগুলোই খুঁজে পায়! আজ মশার উৎপাত একটু বেশি। সন্ধ্যায় ঘরে ধোঁয়া দেয়া হয়নি। অন্যান্যদিন বেলাবেলি ঘরে ফিরে কুসুম ধোঁয়া জ্বালানোর কাজটি করে। মেয়েটি যেন কোথা থেকে নারকোলের অনেকগুলো ছোবরা জোগাড় করে এনেছে। সন্ধ্যে হতেই একটা পুরনো আধভাঙ্গা স্টিলের বাটিতে গুটিকয়েক ছোবরা রেখে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তার ওপর একটু জলের ছিটে দিয়ে আগুনটা কমিয়ে নিলে খুব ভালো ধোঁয়া উঠে। আর কড়া ধোঁয়ায় ঘরের কোণা কানি থেকে মশারা দুদ্দার পালায়। মেয়েটার কি যে হল আজ! বাড়ির টিনের বড় গেটটাতে ক্যাচর ক্যাচর শব্দ উঠল হঠাৎ।
কুসুম এলি!!
রহিমুন বিবি প্রায় চিৎকার করে উঠে। হাচর পাচর করে ঘরের সামনের দাওয়ায় নেমে আসে সে। বিদ্যুৎ নেই অনেকক্ষণ। ঘুটঘুটে অন্ধকার জমে আছে বাড়িটায়। কেউ একজন পুরুষমানুষ গলাখাঁকারি দিয়ে গেট পেরিয়ে উঠোনে পা রাখে। নাহ। কুসুম না। পূবের ঘরের আঞ্জু মিয়া এসেছে। ভাড়ায় সি এন জি চালায় লোকটা। রাত বারোটায় গাড়ি গ্যেরেজ করে তবেই বাড়ি ফেরে। উঠোনে নেমেই নিজের দাওয়ার উপর দাড়িয়ে আঞ্জু প্রায় ফিসফিস করে ডাকে- ‘পরী! ও পরী! পরীইই!!’’ ভেতরে আঞ্জুর বউ তখন বিভোর ঘুমে। রহিমুন জানে, পরীর ঘুম এতো সহজেই ভাঙ্গবে না। আঞ্জুর গলা চড়তে থাকবে একটু একটু করে। শেষে ঘরের টিনের দরজা আর বাঁশের বেড়ায় ধুপধাপ আঘাত করতে থাকবে আঞ্জু। আশেপাশের আর সব ঘরের ক্লান্ত মানুষগুলোর ঘুম ভাংলে পরে পরী জেগে উঠবে। দরজা খোলার পর সারা বাড়ি মাথায় তুলে আঞ্জু বউকে শাসাতে থাকবে তার বেমক্কা ঘুমের স্বভাবের জন্য। এরকম তো প্রতিদিনই হচ্ছে। তবে প্রতিদিনের সরল ঘটনাগুলোর বাইরে আজ একটা অদ্ভুত ঘটনা ঘটে গেছে। মাঝ রাত পেরিয়ে গেলেও কুসুম বাড়ি ফেরেনি।
মকবুল মিয়ার টিনের ছাপরা তোলা এই বাড়িটায় ৮টা ছোট ছোট ঘর। একেকটা ঘর জুড়ে রহিমুনদের মতন একেকটা পরিবার। পেছনদিকে কোণায় একটা পানির কল বসানো। তার পাশেই বাঁশের চাটাই ঘেরা ছোট্ট পায়খানা। সকাল হলে কলপাড়টা ভিড়ে ভিড়াক্রান্ত হয়ে যায়। রহিমুন বিবি অবশ্য সেই ভিড়টা টের পায়না। খুব ভোরে সে চলে যায় পাশের পাঁচ তলা ফ্লাট বাড়িটার তিন তলায়। ঐ বাসার নাস্তা বানিয়ে দোতলা ঘুরে সব শেষে পাঁচতলায়। এবাসা ওবাসা ঘুরে কাজ শেষে ঘরে ফিরতে ফিরতে এশার আজান পরে যায়। কলপাড়ের ভিড় ঠেলতে না হলেও রান্না করতে গিয়ে মাঝেমাঝে ঠিকই লাইন ধরতে হয় তার। এবাড়ির আট পরিবারের জন্য দুটো হিটার বসানো আছে এক কোণায়। ওখানেই পালা করে রান্নাবান্না চলে সবার। বড় মেয়ে কুসুম অবশ্য সন্ধ্যায় ফিরেই রান্নার আয়োজন করে ফেলে। এটাসেটা কুটে বেছে ভাত চড়িয়ে দেয় হিটারে। মেয়েটা খুব সংসারী হয়েছে। নিজের ঘর সামলানোর জন্য তাই তেমন ভাবতে হয়না রহিমুনের। ছোট মেয়ে শেফালি তেমন কাজের না। খুব চুপচাপ থাকে। দেখতেও কালকুলো হয়েছে। নাকমুখ ভোতাভোতা। এই মেয়েটাকে নিয়ে তার খুব ভয়। কিকরে যে বিয়ে হবে মেয়েটার! বড়টাকে নিয়ে চিন্তা নেই। বড় মেয়ে কুসুম আসলে বড় না। কুসুম আর শেফালি জমজ বোন। জন্ম কুসুমেরই পরে হয়েছে। কিন্তু কি করে যেন মেয়েটা হাতে পায়ে বেড়ে উঠেছে খুব। আর সব থেকে অবাক হল ওদের দু বোনের চেহারা। জমজদের চেহারায় নাকি খুব মিল হয়। আর ওদের হয়েছে উলটো। খাড়া নাক, উজ্জ্বল পরিস্কার মাজা গায়ের রঙ আর লম্বা পাতলা গড়নের কুসুমকে শেফালির বোন বলেই ভাববে না কেউ। মেয়েটা যে কোথা থেকে এতো সুন্দর হল! বছরদুয়েক আগেই মেয়েটার প্রথম সম্বন্ধ এসেছিল। ছেলে ট্যাক্সি চালায়। আয় রোজগার ভালো। বিয়েটা দিয়ে দিলে খারাপ হতো না। কিন্তু মেয়েটা তখন কেবল শাহজাদপুরের নতুন গার্মেন্টসটায় ঢুকেছে। মাসে তিন হাজার টাকা বেতন। বিয়ে হয়ে গেলে মেয়েটা জামাইর বাড়িতে উঠবে। মাসের টাকাগুলো হাতছাড়া হবে। অনেক ভেবেচিন্তে রহিমুন বিয়েটা বাতিল করে দিয়েছিল। এরপর সম্বন্ধ আরও বেশ কটি এসেছে। আর রহিমুন খুব স্বার্থপরের মতন মেয়ের বয়েস কম-এখনি বিয়ে দেবে না- এসব বলে ফেরত দিয়েছে সবাইকে। বছর ঘুরতেই কুসুমের বেতন বেড়েছে। এবছর তা প্রায় দ্বিগুণ হল বলে। একসাথে কাজে ঢুকলেও ছোটটার তেমন আয় উন্নতি নেই। রোজগার শুরু করার পর মাঝে মাঝে বড় মেয়েটার রূপ দেখে রহিমুন আঁতকে উঠেছে। সে খুব বুঝতে পারে এই মেয়েকে ঘরে বেশিদিন ধরে রাখার সাধ্য নেই তার। তখন মাস শেষে রোজগারের পাঁচ ছয় হাজার টাকা হারানোর কথা ভেবে খুব অসহায় বোধ হয় রহিমুনের। ঘরের মিনসেটার অবশ্য এতসব খেয়াল নেই। উপার্জনক্ষম সোমত্ত মেয়েটা মাঝরাতেও ঘরে ফিরল না। কোথায় তিনি এদিক ওদিক খোঁজ খবর করবেন! তা না। দাওয়ায় দাড়িয়েও রহিমুন দিব্বি ঘরের ভেতর লোকটার নাক ডাকানোর শব্দ পেল যেন। নিজের মেয়ে হলে লোকটা নিশ্চয়ই এভাবে ঘুমোতে পারত না! একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে রহিমুনের বুক চিরে।
অকস্ম্যাৎ বিজলি বাতি জ্বলে উঠলে পরে রহিমুন ঘরের ভেতর চলে আসে। বাইরে মশা আরও বেশি। পনের বাই দশ ফুটের ঘরটার একপাশে ছোট্ট একটা নিম কাঠের বাকলের চকি পাতানো। চকির উপর রহিমুন আর তার দ্বিতীয় স্বামী মহিবুরের শোবার আয়োজন। এর ঠিক নীচে বাম দিক ঘেঁষে মাদুর বিছিয়ে মহিবুরের আগের ঘরের ছেলে দুলু ঘুমিয়ে। ছেলেটার ঠিক বরাবর লম্বা করে ঘরের মাঝে আলনাটা পাতা। ঘরের আসবাব বলতে এই দুটিই। আলনার এপারে কুসুম আর শেফালি দু বোন মাথা গুঁজে থাকে। ঢাকা শহরে বিদ্যুৎ থাকলে অন্ধকার খুব কম। টিনের বেড়ার ফুটোফাটা দিয়ে কোত্থেকে যেন আলো ঢুকে পরে ঘরের ভেতর। এরকম একটা ঘরে এক ছাদের নীচে প্রায় সোমত্ত মেয়ে আর ছেলেদের নিয়ে ঘর সংসার করা খুব সহজ না। রহিমুনের বয়স হয়েছে। তবুও মাঝরাত্তিরে মাঝেশাঝে মহিবুরের পুরুষত্ব চাগিয়ে উঠে। প্রায় অন্ধকারে একটা অন্ধ সরীসৃপের মতন হিসহিস করে সে রহিমুনের প্রায় ঝুলে যাওয়া গতরের উপর উঠে আসে। তখন ঘুণে ধরা নিম কাঠের বাঁকলের প্রায় বাতিল চকিটা ক্যাচ ক্যাচ করে উঠলে রহিমুন তার মরণ কামনা করতে থাকে জিভ কামড়ে। তবে তার মরণ হয়না। পরদিন কেবল আরও ভোরে, বাড়ির আর সবার উঠবার অনেক আগেই এবং অবশ্যই কুসম শেফালি চোখ মেলবার আগে সে পাশের পাঁচ তালার গেটে হাজির হয়।
এইভাবে, এইরকম কুকুর বেড়ালের থেকে একটু ভালো জীবনযাপন করেও রহিমুনের অভাব অভিযোগ খুব ছিল না। মহিবুরের সাথে তার বিয়ে যখন হয়, লোকটা তখন একটা সরকারী অফিসে ঠিকা আর্দালির কাজে ছিল। আগের ট্রাক ড্রাইভার জামাই হঠাৎ তিনচার মাস বাড়ি না ফিরলে রহিমুনের খুব দুর্দিন যাচ্ছিল। সেসময় মহিবুর তাকে উদ্ধার করে বলা যায়। তবে অল্প কিছুদিন পরেই মহিবুরের চাকরিটা গেলে ওরা আবার বিপদে পরে। ততদিনে রহিমুন ঠিকা ঝিয়ের কাজ জোগাড় করেছিল বলে রক্ষা। এদিকে রহিমুন কাজে নেমে কিছু উপার্জন শুরু করায় মহিবর পুরো ঘরে বসে যায়। সে কোন কাজ খোঁজে না। মাঝে রহিমুন পাশের তিন তলার ফ্লাটের খালাম্মাকে ধরেছিল খুব সোয়ামীর একটা কাজের জন্য। ঐ বাসার খালুজান একটা কি কোম্পানিতে বড় অফিসার। সেই অফিসে নাইট গার্ডের পদে মহিবুরকে নেবার জন্য খবর দিলেন। কি আশ্চর্য! মহিবুর বেঁকে বসলো। তার সাফ কথা, আগে সে সরকারী অফিসে কাজ করত। একটা ‘পেরাইভেট’ কোম্পানিতে নাইট গার্ডের চাকরি নিয়ে নিজের মান সম্মান খোয়াতে সে রাজী নয় মোটেও। করলে সে কোন সরকারী অফিসেই আবার কিছু একটা করবে। এসব শুনে রহিমুনও পিছিয়ে গেছে। মেয়ে দুটো গার্মেন্টসে ঢুকলে পরে অবশ্য ওদের একটু হাত পা ছড়িয়ে শোবার অবস্থা হয়েছে। কিন্তু এই বেলা বড় মেয়েটার কিছু একটা হলে! রহিমুন কিছু ভাবতে পারে না।
কদিন আগে মেয়েটা একটা মোবাইল কিনেছে। পুরনো। তবুও কথা তো বলা যায়! এই ফোন থেকে রহিমুন নিজেও কয়দিন কথা বলেছে তার ঠিকা বাসার মালকিনদের সাথে। তার আর কথা বলার মানুষ কোথায়। মোবাইলটা কেনার পর থেকে কুসুম একটু কেমন যেন চোর চোর হয়ে গিয়েছিল। মাঝে মাঝে শোয়া থেকে উঠে বাইরে গিয়ে গুটুরগুটুর কি কথা যেন বলত কাদের সাথে। একদিন জিজ্ঞেস করাতে খুব ক্ষেপে গিয়েছিল মেয়েটা। নিজের টাকায় কথা বলে, নাকি এরকম কি সব কথা শুনিয়ে দিয়েছিল তাকে। সেই থেকে রহিমুন ওকে আর কিছু বলত না এনিয়ে। তবে তার খুব ভয় ঢুকেছিল মনে। মেয়ে কারো সাথে ফষ্টিনষ্টি করে নাতো! আজ রাতে পাশের ঘরের গফুরের ফোন থেকে অনেকবার চেষ্টা করেছে মেয়ের ফোনের নাগাল পাবার। কিন্তু কি এক মহিলা বারবার বলছিল... দুঃখিত... আর কি কি সব।
এখন, এই মাঝ রাতে সে খুব ভয়ে ভয়ে কুসুমের শোবার জায়গাটির দিকে তাকায়। ডানকাঁতে শেফালি শুয়ে আছে জড়সড় হয়ে। মেয়েটার গলার কাছে আঁচরের দাগ। আঁচড়টা তারই দেয়া, ভেবে একটু কষ্ট পেল সে। সন্ধ্যার পর বাড়ি ফিরে রহিমুন দেখল কেবল শেফালি ঘরে শুয়ে আছে। কুসুম কোথায় জানতে চাইলে চুপ করে রইল কিছুক্ষণ। দুবার জিজ্ঞেস করার পর বলল কাজ আছে বলে তাকে একা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। দুতিন ঘণ্টা পরেও যখন কুসুম বাড়ি ফিরলনা, রহিমুনের কি এক ভোঁতা রাগ হল। মেয়েটাকে কেন একা রেখে চলে এলো, এই ভেবে সে শেফালির চুলের গোছা ধরল। অনেকদিন পর বড় হয়ে যাওয়া মেয়েটাকে অনেক মেরেছে আজ। গলার উপরে শক্ত করে ধরায় ফুলে আছে জায়গাটা। একটা মশা ঘুরে ঘুরে ওখানটায় বসছে দেখে রহিমুন উবু হয়ে বসলো মেয়ের পাশে। আলতো করে কড়া পড়া হাতটা ছোঁয়াল ওখানে। মেয়েটা বুঝি জেগেই ছিল। মাকে খুব কাছে দেখে একেবারে ঘুরে মায়ের মুখোমুখি হয়ে উঠে বসলো। কিছুক্ষণ চেয়ে রইল মায়ের চোখের নীচে। তারপর হুড়মুড় করে ভেঙ্গে পরে এলিয়ে দিল নিজেকে মায়ের কোলের উপর। মা মেয়ে একসাথে কিছুক্ষণ শব্দহীন কেঁদে কেটে শান্ত হলে পরে শেফালির একবার মনে হয় সে বলেই দেবে তার জমজটি কোথায় কার সাথে কেন গিয়েছে এবং সে আর এবাড়িতে ফিরে আসবে কিনা অথবা বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও তার বেতনের কোন একটা অংশ মাকে দেবার ইচ্ছে সে পোষণ করেছে কিনা, যাতে সংসারটা টিকে থাকতে তেমন কষ্ট না হয়। তবে পরক্ষণেই সে এই নিগুর তত্ত্বটুকু ফাঁস করে দেবার প্রবৃত্তিটাকে খুব সাবধানতার সাথে দমন করে এবং এরপর দুইজন অসম বয়েসি নারী পরস্পরকে আঁকড়ে ধরে অন্য একজন আত্মজার বাড়ি ফিরবার অথবা না ফিরবার অপেক্ষা নিয়ে একদঙ্গল মশার তীব্র মিলিত সঙ্গীতকে উপেক্ষা করে নিশ্চুপ রাত পোহাবার অপেক্ষায় থাকে।
--------------
পথিক পরাণ
Pavel352 এট yahoo.com
মন্তব্য
আমাদের সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের একটি নিখুঁত ও বিশ্বাসযোগ্য চিত্র ফুটে উঠেছে গল্পটিতে। গল্পের ভাষায় রয়েছে গতিময়তা এবং সাবলীলতা। বুননে রয়েছে ভারসাম্য।
কঠিন বাস্তবতার ছবি ফুটে উঠেছে এখানে। বৈষয়িক বিষয় অনেক সময় চিরন্তন সম্পর্ককে ছাপিয়ে যায়; ''মেয়ের বিয়ের চিন্তায় মশগুল মা'র চিরচেনা দৃশ্য তাই বদলে যায় কখনো কখনো।
জীবনের অমোঘ নিয়ম ও নিয়তির কথা এখানে সার্থকতার সাথেই রূপায়িত হয়েছে।
গল্পের এজায়গুটুকুই কেবল বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি আমার কাছে। তাছাড়া যে মা কুসুমের কড়া কথা এড়িয়ে যায়, সে তার যমজ বোনকে অনেক করে মারবে বলে মনে হয় না।
এভাবেই এক অনিশ্চয়তা রেখে শেষ হয় গল্পটি, যা পাঠকের চিন্তাকে ধরে রাখা পাঠের পরও। গল্পটিতে যথেষ্ট মুনশিয়ানার ছাপ রয়েছে; লেখকের কাছ থেকে সামনে আরও ভাল গল্প পাওয়ার প্রত্যাশায় থাকলাম।
আপনার অসাধারণ বিশ্লেষণী মন্তব্যর আলো ফেলে ফেলে নিজের লেখাটা নতুন করে পরে ফেললাম। সচলে আমি খুব নবিশ আর নবীন লেখক পাঠকদের একজন। এখানে লেখার সবথেকে বড় সুবিধেটা এই যে, লেখাটির খুব সূক্ষ্ম সচেতন একটা ব্যবচ্ছেদ ঘটে যায়, আর সেই ব্যবচ্ছেদে লেখার ভুলত্রুটিগুলোকে অন্তত চিনতে পারা যায়। আমি কৃতার্থ আপনার মন্তব্য পেয়ে।।।
অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
----------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
ভাল লাগলো। চলুক।
ভালোলাগা জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
----------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ--
ভাল লাগলো।
চলুক।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
কিছু লেখা আছে যেগুলো পড়েই আজকাল বুঝতে পারি এটা তিনজনের যেকোন একজনের লেখা- পথিক পরাণ, ধূসর জলছবি অথবা মোখলেছুর রহমান সজল।
তিনজন থেকে একজনের কথাই মনে হবে কোন একদিন- এ শুভকামনা।
গল্পটা একবারই পড়লাম।
শুরুর একটা লাইনে এসে একটু আটকালো-
"মশাগুলো কি করে যে গায়ের ঠিক অনাবৃত অংশগুলোই খুঁজে পায়!"
রহিমন বিবির সমাজ ভাষা অবস্থার বর্ণনা হচ্ছে এটা চিন্তা করলে 'অনাবৃত' শব্দটা একটু 'ভারিক্কি' ঠেকল আমার কাছে- বাকিতা লেখক জানেন!!!
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
এতো সুন্দর করে বললেন! আমি অভিভূত!!
'অনাবৃত'কে অপসারনে অতিথি অচলের অধিকার অসাংবিধানিক। অগত্যা 'অনাবৃতই' অলংকার।
----------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
ভালো লেগেছে।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ভালোলাগা রেখে যাবার এবং অনুপ্রেরণা দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকুন।
খুব ভালো লাগলো।
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপস দার জন্য এক মালগাড়ী বোঝাই দিলাম। বুইজ্জা লইয়েন কইলাম।
ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ।
পাভেল, খুব ভালো লাগলো । তোমার লেখার হাত সত্যিই অসাধারণ । আমিতো তোমার লেখার ভক্ত হয়েই আছি । শুভেচ্ছা থাকলো তোমার জন্য ।
নতুন মন্তব্য করুন