লাল টিপ ছবির ব্যাপক প্রচার প্রচারনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এবং দেশীয় চলচিত্রের উন্নতি সাধনের মহান ব্রত নিয়ে বলাকা সিনেমা হলে দেখে আসলাম লাল টিপ। আধা প্যারিস আধা ঢাকা-ধামরাই এ ধারনকৃত লাল টিপ ছবি দেখে যা মনে হল তা বলার ভাষা নেই! ছবি দেখে যে টিপের কথা মনে হল সেটাই কার্টুনে আঁকাবার চেষ্টা করলাম!
তবে কিছু কথা না বললেই নয়-আমি লালটিপ দেখতে যেয়ে আশা করিনি আমি একটা রানওয়ে-জয়যাত্রা দেখব। বানিজ্যিক একটা ছবি দেখতে যাচ্ছি এই মানসিকতা নিয়েই গিয়েছিলাম। কিন্তু এতটাই খাম খেয়ালি ধরনের কিছু আশা করিনি। খুবই ক্লিশে-সাদা মাটা কাহিনী- এই সামান্য কাহিনীটাকেও পর্দায় তুলে না ধরতে পারার কোন অজুহাত হতে পারেনা। যিনি ছবি বানিয়েছেন তার নিজের ছবির প্রতি কোন মায়া দয়া আছে বলে মনে হলনা-প্যারিস ফ্রান্স ঘুরে এসেছেন-আসার আগে জোড়া তালি দিয়ে কিছু একটা দাঁড় করিয়ে আনলেন। কাহিনী-চিত্রনাট্য-সংলাপ খুবই দুর্বল ছিল। কাহিনীর ভিতরে যোগসূত্র ও খুঁজে পাইনি। কুসুম শিকদার বা ঈমনের দোষ দিতে চাইনা-আমার কাছে মনে হয়েছে তারা দুই জনেই বানিজ্যিক ছবির জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত ছিলেন কিন্তু তাদের কাছ থেকে কাজটা আদায় করে নেবার কাজটা যার ছিল তিনি ই ভন্ডুল করলেন। চিত্রগ্রাহক-নৃত্য পরিচালক দুই জনের কাজই অত্যন্ত নিম্নমানের-যিনি সম্পাদনা করেছেন তার কাজ ও বলিহারি। সব মিলিয়ে হাস্যকর এক ছবি বানাবার প্রচেষ্টা মনে হল।
আমি চিত্র পরিচালক নই-সমালোচক ও নই। আমি সাধারন দর্শক-দেশে ভালো ছবি একদিনে হবেনা বেশ-কিন্তু অন্তত প্রাথমিক ব্যাকরণ সম্মত ছবি তো আশা করতে পারি না কি? এমন হতাশাজনক ছবি চাই না।
-ইঁদুর
মন্তব্য
এরকম ট্র্যাশ ছবি ভুড়ি ভুড়ি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে বিশেষ করে লালটিপ নিয়ে বিশেষ আশা আকাঙ্ক্ষা থাকার কারণ কী?
_____________________
Give Her Freedom!
সিনেমাটা অনলাইন আছে? বিস্তারিত কিছু জানালে ভালো হতো।
ডাকঘর | ছবিঘর
গতকাল পত্রিকায় দেখলাম আমাদের অর্থমন্ত্রী সপরিবারে লাল টিপ দেখতে গিয়েছিলেন ।
সাথে ছবির নায়ক,নায়িকা এবং পরিচালক ছিলেন । খবরটা পড়ে ভাবছিলাম নাজানি অর্থমন্ত্রী ছবি দেখে কি ভেবেছেন, কিন্তু মুখ ফুটে তো আর খারাপ বলা যায়না, শুধু দাঁত বের করে হেসে গ্রুপ ছবি তুলেছেন । আপনার রিভিউ পড়ে এখন বেচারা অর্থমন্ত্রীর জন্য মায়াই হচ্ছে
আজকাল অনেকের কাণ্ডকারখানা দেখে মনে হচ্ছে দেশে ছবি নির্মান করা পান্তা ভাত হয়ে গেছে !
অর্থমন্ত্রীর বয়স এরশাদাদুর কছাকাছি হইলেও তার হার্টের অবস্থা কেমন জানি না। কুসুমের রান দেখে তিনি কি সহি সালামতে ফিরতে পারছিলেন কি না জানতে মন চায়। বাড়িতে ফেরার পর বেগম অর্থমন্ত্রী সাহেবা তাকে কেমন তুলা ধুনা করলেন সেগুলাও জানতে মঞ্চায়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
কুসুমের রান তো দেখা যায় নাই।
@ শিশিরকণা:
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
---------------------
আমার ফ্লিকার
ছবি দেখিনি, তাই সমালোচনা ঠিক বুঝলাম না
তবে হ্যাঁ, রাতুলের স্কেচটা ব্যাপক লাগল ভাই, কুসুম শিকদারের ক্যারিকেচার জম্পেশ হইসে
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
বাণিজ্যিক ফিল্ম বা, আর্ট ফিল্ম; এধরনের বিশেষায়ন কেন যেন ভাল লাগে না। মুভি ভাল হলে, মানসম্মত হলে, উন্নত গল্প থাকলে, দর্শকদের কাছে আবেদন জাগানোর ক্ষমতা থাকলে যেকোন মুভিই দর্শক জনপ্রিয়তা পায় ও বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়।
কিছুদিন আগে এক পরিচালক গতানুগতিক বাংলা সিনেমা বানানোর অজুহাত হিসেবে বললেন, তিনি গনমানুষের জন্য মুভি বানান।
আমার প্রশ্ন, আমাদের দেশের নিম্নবিত্ত বা, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের কি রুচি এতটাই খারাপ যে তারা ময়ুরীর অশ্লীল নাচন-কুদোন ছাড়া মুভি দেখে না? (!)
লাল টিপের রিভিউ পড়ে মনে হয় এটি বাংলাদেশের গতানুগতিক ধারার মুভি। এই আবর্জনাগুলো কবে যে দেশ হতে পুরোপুরি দূর হবে?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ভাল ছবি হইলে সবাই দেখে। না হইলে যার অন্য কিছু দেখার সামর্থ্য আছে সে সেইটা দেখে, যার নাই সে সেই বস্তা পচা মুনমুন ম্যুরীর পাছা দোলানি দেখে। গণ মানুষের ছবি বলে দর্শকের রুচির সাথে আর্থিক দৈন্যতাকেও অপমান করা হচ্ছে। পরিচালক বলতে চান, আমি যা গেলাব এরা তাই গিলতে বাধ্য। কাজেই কষ্ট করে ভাল সিনেমা বানানোর দরকার নাই।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এইসব দেখতে দেখতে ঘেন্না ধরে গেছে। আসলেই কি দর্শকের রুচি এতটাই খারাপ? এখানে একটা কথা শেয়ার করি, টলিউডের রদ্দি মার্কা সিনেমাও আমি দেখিনা সচরাচর। তবে সিনেমা দেখি। সিনেমার নামে ক্যামেরা দিয়ে লারেলাপ্পা খেলা, ধুর। প্রসেনজিত যখন থেকে হাল আমলে বাবা কেন চাকর বাদ দিয়ে মোটামুটি ভাবে একটা লেভেল এর কাজ করছে তখন থেকে ওর সিনেমা দেখি। ব্যাপক অর্থে দেখি বলতে ঋতুপর্ণ, গৌতম ঘোষ, অঞ্জন, অপর্ণা সেন সহ একেবারেই নতুন সৃজিত। তাছাড়া আগের বাংলা সিনেমা ( রে, সেন, ঘটক, সিংহ ) দেখেই কাটিয়ে দেই। বালছাল পাগলু-ছাগলু, পরাণ ফাইট্যা যায় নাকি বিগ্রাইয়া যায়, এগুলির সাথে বাবা কেন চাকর এর বিশেষ কোন তফাত নেই। কি যে করে, কাহিনী খুঁজে পায়না? কি কাহিনী- সাউথইণ্ডিয়ান সিনেমার অখাদ্য নকল আর ইদানিং বিদেশে শুটিং ( নাভি, পাছা দেখিয়ে হিরোয়িন এর নাচ) আর বাংলা আইটেম নাম্বার। ধুর। অখাদ্য।
ডাকঘর | ছবিঘর
ভাই, আপনার কমেন্ট এত বাজে কেন? ভদ্র ভাষার চর্চা কি খুব অন্যায়।
একমত না পুরোপুরি। বাণিজ্যলক্ষীর কাছে প্রসাদ না দিলে ভালো সিনেমার খবর সব মানুষের কাছে পৌছয় না। অতএব, বাণিজ্য প্রচার ইত্যাদি হিসেবে আগে আসে। তারপর সিনেমা।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
মুভি রিভিউ পড়ে হতাশ হলাম!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ইঁদুর, যথারীতি অসাম!
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
লাল টিপ দেখতে গিয়েছিলাম বসুন্ধ্ররায়, টিকেট ই পেলাম্না, এত চাহিদা এই পচা ছবির, মাথায় ঢুকছেনা।কার্টুনটা
জোশ হয়েছে।
রিভিউ ভাল লাগেনি
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আচ্ছা, কার্টুন রিভিউ নামে একটা জিনিস পয়দা করলে কেমন হয়? সিনেমা দেখে, গান শুনে বা বই পড়ে কার্টুনিস্ট নিজের প্রতিক্রিয়া কার্টুনে ফুটিয়ে তুলবেন।
ভোটেড
------------------------------------
সময় এসেছে চল ধরি মোরা হাল,
শক্ত কৃপাণে তুলি বরাহের ছাল।
ভাল উদ্যোগ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
লালটিপে দুনিয়া সয়লাব হয়ে গেল দেখছি, তবে কার্টুনিস্টকে চেনা চেনা ঠেকছে
হিমু ভাইয়ের আইডিয়ায় উত্তম জাঝা।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
সেদিন টিভিতে দেখান হলো, অর্থমন্ত্রী, স্ত্রী-কন্যাসহ সিনেমা দেখে বেরুচ্ছেন সাথে সিনেমার নায়ক-নায়িকা। অর্থমন্তীর পুরো পরিবারইতো সিনেমাটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। দেখতে যাব যাব করেও যাওয়া হয়নি। আপনার বর্ণন পড়ে বুঝতে পারলাম, কেন আমাদের অর্থনীতির এই হাল।
ধন্যবাদ আপনাকে, হতাশ হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য।
দলবল নিয়ে "লালটিপ" ছবিটা দেখে এলাম!!
সীমাবদ্ধতা নিয়ে তেমন কিছু লিখবো না। তবে নাচের জন্য আধুনিক ১জন কোরিওগ্রাফার নিলে ভাল হত,সেক্ষেত্রে সোহেল রহমানের জায়গায় তানজীল হলে ভাল লাগত। ১টা ছবিতে ৮-৯টা গান একটু বেশি মনে হয়েছে,মিউজিকাল ড্রামা মনে হচ্ছিল। আর এই ছবিতে পরিচালক প্যারিসের কিছু কপি পেস্ট দৃশ্য না দিলেও পারতো। এত বছরের ক্যারিয়ারে ইমনের অভিনয় আরও সাবলীল হওয়া দরকার ছিল। কুসুমের আদিখ্যেতা আর ন্যাকামী মার্কা অভিনয় ছিলনা বলে খুব ভাল লেগেছে।গল্পটা ভালই, সুন্দর আর সাধারন। ছবিটা পুরোপুরি বানিজ্যিক ছবি। কিন্তু গল্পটা আমাদের দেশের গতানুগতিক বানিজ্যিক ছবির গল্পের মত না। ছবির সবচেয়ে ভাল লেগেছে যেটা সেটা হচ্ছে কস্টিয়োম। এই প্রথম কুসুম শিকদারকে খুব ভাল লেগেছে,ওয়েস্টার্ন গেটআপে দেখতে খুব ভাল লাগছিল আর সেও খুব সাবলীল ছিল। অনেকগুলো গান থাকলেও ছবির গানগুলো বেশ ভাল হয়েছে। জেমস, কনা, পড়শী, ন্যান্সি, টিপু, রুমিদের গান ভাল লেগেছে। তিনবার অস্কার বিজয়ী সংগীত পরিচালক মরিস জার এর সংগীত পরিচালনায় যে গানটা ছিল সেটা খুব ভাল লেগেছে। শহিদুল আলম সাচ্চু, মুনিরা ইউসুফ মেমী, মিশু, সোহেল খান আর এ টি এম শামসুজ্জামানের অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছি। আর ফুয়াদের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক তো অসাধারন ছিল।
কেন ভাই? বাঙালীয়ানা পোশাকে কি খারাপ দেখতে লাগে?
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নারে ভাই। আমি এখানে বোঝাতে চেয়েছি চরিত্রের প্রয়োজনে অনেক রকম পোশাকই পড়তে হয়। কিন্তু সবাইকে তো তা আর ম্যাচ করে না। ওকে অই পরিবেশে ম্যাচ করে গেছে। এটাই বোঝাতে চাইলাম।
কতো কথা ধরে রে.........
কান্দেন কেনু ভাই?
আসেন কোলাকুলি করি।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মুভিটা কেমন তা এই রিভিউ পড়ে বুঝতে পারলাম না। আর কতগুলো মন্তব্য পড়ে বোঝা গেল আমরা অতি সহজেই স্রোতে গা ভাসিয়ে দেই। সচলায়তনের লেখকদের কাছ থেকে পাঠকের প্রত্যাশা অনেক বেশী থাকে।
জাতির বিেবকের পাঠ নিলাম বলে মাফ করবেন।
কুসুম শিকদার বেশ কুসুমগরম। তবে ফেসবুকে লালটিপের প্রোমোশনাল ছবি দেখে মনে হলো সেও আমার মতো গরুর গোস্তের ভক্ত।
নতুন মন্তব্য করুন