‘হ্যালো, জিমি ভাই লেখাগুলো মেইল করেছিলাম, পেয়েছিলেন?’
‘হ্যাঁ নিলয়, কী অবস্থা আপনার? কালকেই চাইলাম আর আজকেই পাঁচটা গল্প লিখে পাঠিয়ে দিলেন?’
‘হ্যাঁ, এই তো লেখা হয়ে গেল।’
‘এত তাড়াতাড়ি কীভাবে লেখেন আপনি বুঝি না। কারো কাছ থেকে কপি-টপি করেন নি তো?’
‘আরে না, কার লেখা থেকে কপি করব আর?’
‘আমার কিন্তু ডাউট হচ্ছে বুঝলেন, সত্যি কথা বলেন মিয়া- কেসটা কী?’
‘বলব? ইয়ে...কাউকে বলবেন না তো?’
‘না না, বলেন আপনি।’
‘আমার দাদু একটা টাইম মেশিন উদ্ভাবন করেছিলেন...ওইটা চড়ে-’
‘দূর মিয়া-!’
‘জিমি ভাই, আমার কথাটা শোনেন। টাইম মেশিনে চড়ে আমি ২০৬০ সালে গিয়েছিলাম।’
‘হেঃ হেঃ হেঃ তারপর?’
‘ওখান থেকে তিন খন্ড নিলয় রচনা সমগ্র নিয়ে এসেছি। এখন আর কোন মাথার খাটনি নেই।’
‘মানে কী? বুঝলাম না।’
‘মানে আর কী? নিজেই নিজের লেখা কপি করি। এটা কোন এঙ্গেল থেকে অন্যায় বলেন আপনি?’
ক্ষিধে পেটে নিয়ে ছেলেটা ঘুরছে। হাতে এক টুকরো কাঁচা মাংস। কয়েক কামড় খাবার চেষ্টা করেও পারেনি। কীভাবে খাবে সে জানে না। জংগলের পথে পথে ঘুরে তার খালি পা ক্ষত বিক্ষত হয়ে গেছে। এখন একটু জিরিয়ে নিলে হয়। কিন্তু কোথাও বসে পড়লে যে কোন মুহূর্তে বন্য জন্তু আক্রমণ করে বসতে পারে। দুর্বল কন্ঠে শুধু চিৎকার করা ছাড়া তার আর কোন পথ থাকবে না। সে দেখেছে আগুন দেখলে বন্য জন্তুরা ভয়ে পালিয়ে যায়। আশেপাশে কোথাও যদি একটু আগুন জ্বলত! আত্মরক্ষার তাগিদে সে হাত বাড়িয়ে একটা পাথর কুড়িয়ে নিল।
খাবারের আশায় জংগলের গভীরে পা বাড়াতেই সে দেখতে পেল গাছের ওপর দোল খাচ্ছে কিছু বুনো ফল। যাক, এবার খাবারের অভাবটা মিটবে। হাতের পাথরটা ছুড়ে ফেলে দিতেই সেটা আরেকটা পাথরের সাথে ঠোক্কর খেয়ে আগুনের ফুলকি ছিটিয়ে দূরে গিয়ে পড়ল !
কী হলো এটা? পাথরটা কুড়িয়ে নিয়ে এসে সে আবারও আঘাত করল পাথরে। এবার আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ল শুকনো পাতায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুকনো পাতায় আগুন জ্বালিয়ে ফেলতে পারল ছেলেটা। আকাশের দিকে তাকিয়ে কী এক অসীম আনন্দে ভাষাহীন কন্ঠে চিৎকার করে উঠল সে।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের নয়শ বছর পরে পৃথিবীর মানুষ আবারও আগুন আবিষ্কার করল। সভ্যতার চাকা এতদিনে আবার সচল হয়ে উঠেছে।
নিলয় নন্দী
মন্তব্য
চমৎকার।
দারুণ লেগেছে! অণু সায়েন্স ফিকশন দিয়ে আপনি বৃহদাঙ্কের ঝাঁকুনি দিয়ে যাচ্ছেন।
প্রথম পর্বের দ্বিতীয় গল্পটার মতো আরো চাই।
চেষ্টায় আছি। তবে আমার যেন মনে হয় টেক্কার তাসটা আগেই ফেলে দিয়েছি।
এর মধ্যে নতুন কিছু গল্প লিখে ফেলতে হবে।
প্রথম পর্বের দুই নম্বরটা দুর্দান্ত ছিল, এখানে জানিয়ে গেলাম।
এ দুটোও খারাপ হয়নি।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ভালো লাগলো আবারও।
তবে প্রথম পর্বের প্রথম দুটি গল্প বেশী ভালো লেগেছিল।
চলুক।
ডাকঘর | ছবিঘর
আমার যেন মনে হয় ৯০% গল্প আর ১০% ছবি মিলিয়ে পাঠকের ভাল লাগাটা তৈরি হয়েছিল (মানে, যদি ভাল লেগে থাকে আর কি)। এখন একটু ন্যাড়া ন্যাড়া মনে হচ্ছে না কি?
আপনাদের এমন উৎসাহ অব্যহত থাকলে আরো ভাল গল্প অচিরেই আসছে।
চমৎকার।
চলতে থাকুক।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
চলবে
অনেক ভালো লিখেছেন।
অভিনন্দন রইলো।
দারুণ।
আপনার কলমে জোর আছে ভাই। আমার কিন্তু দুটোই ভালো লাগছে। কিন্তু প্রথমটাতে খড়মের যেই বারিটা দিসেন, এটাতে সেটার অভাবটা বোধ করলাম।
আপনি লিখতে থাকেন, আমরা পড়তে থাকি।
শুভকামনা রইলো।
লেখায় variation আনাটা জরুরী, নয় কি?
অবশ্যই। আপনার হাতে নানা রকম মশলা আছে, বোঝাই যায়। প্রয়োগ করতে থাকুন। আমরা অপেক্ষায় রইলাম।
গতকাল বসতে পারিনি নেটে। তাই আপনার চমৎকার দুটি অণু বিজ্ঞান কল্পগল্প পড়লাম আজকে। এবং মুগ্ধ হলাম। হরি পণ্ডিতের মতো সব লেখাই হবে তা অবশ্যই হয়তো নয়, অন্যগুলোও বেশ হয়েছে; তবুও বোঝেনইতো মানুষের মন। একবার বেশি পেলে আরও বেশি চায়। লেখা চলতে থাকুক। কলম যেন না থামে কখনই। লেখায়
মনের কথাটা আপনিই বুঝলেন শুধু।
তবে কি ভালোর কোনো শেষ নেই। ধরে থাকলে যে কোনো দিনই হরি পণ্ডিতকে টপকে যেতে পারি।
আবারও
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
চমৎকার।
গল্প বলি শোনেন। টলস্টয় সাইকেল চালানো শিখেছিলেন একটি বড় হলরুমে। সাইকেল চালানোর অঢেল জায়গা। কোণে ছিল একটা বুড়ি, টলস্টয়ের মাথায় খালি ঘুরছিল বুড়ির কোণা ছাড়া সাইকেল চালাতে হবে বুড়ির কোণা ছাড়া সাইকেল চালাতে হবে। এই করতে করতে তার মাথায় খালি বুড়ি আর কোণা ঘুরছিল, আর শেষমেষ তিনি বুড়ির গায়ে সাইকেলটা তুলেই দিলেন।
আপনার হরি পন্ডিত একটি মাস্টারপিস, আমরা সকলে হাঁ করে আছি আরেকটি হরি পন্ডিতের আশায়। আপনি যেন ওইটে মাথায় রেখে গল্প লিখবেননা, আপনি সাইকেল চালিয়ে যান বুড়ির কথা বাদ দেন। লিখতে থাকুন প্রাণ খুলে আর হঠাত দেখবেন আরেকটি অসাধারন গল্প হাজির। আমাদের চাপে চাপিত হবেন না যেন, এক হরি পন্ডিত লিখার জন্যই আপনার ভবিষ্যত গল্পগুচ্ছে আমাদের অ্যাটেনশন কিনে নিয়েছেন আপনি।
..................................................................
#Banshibir.
আমি বাকরুদ্ধ !!!
সচল পাঠকদের বিনীতভাবে জানাই আর প্রশংসা করবেন না। আমি ধারণে অক্ষম।
ভাল লেগেছে এই অণু গল্পদুটোও। হাত খুলে লিখে যান। পাঠকের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী, পাঠকের চাপে চাপিত হবেন না যেন।
আপনার লেখায় বনফুল এর লেখার আমেজ পাওয়া যায়।
facebook
ভালো লাগছে ভাইডি । আপনের ভবিষ্যত উজ্জ্বল।
যাঁরা এই অল্প সময়েই আমার অণু সিরিজটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ।
ব্যক্তিগত কারণে আগামী দু-তিন সপ্তাহ নেটে সেভাবে বসা হবে না।
ফিরে আসছি। অণু-৩ এও আপনাদেরকে পাশে পেতে চাই।
বেশ লাগলো
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
(গুড়)
ইমোটিকনে মিষ্টিমুখের ব্যবস্থা নেই। তাই গুড় দিলাম।
চলনসই।
অনেকেই আগের গল্পগুলোর প্রশংসা করলেন, সিরিজে আগের পর্বগুলোর লিংক দিয়ে দিতে পারেন। এতে আমরা যারা আগের লেখাগুলি পড়িনি, তাদের লেখাগুলো খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।
আরো দুটো চলনসই
বেশ কিছুদিন সচলে আসা হয় নাই। আজকে এসে এটা পড়লাম, তারপর আগের ২ টা পড়লাম।।। ভালো লাগ্লো অনেক।। এরপরে সীট বেল্ট বাঁধলাম বাকিগুলোও পড়ার জন্য।।।জলদি ছাড়েন!
বিবর্ন সময়
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন