[img][/img]
ঠাই নাই ঠাই নাই ছোট সে তরী---
সাবধানে চলাচল করুন! সামনে হাতী চলাচলের রাস্তা!!
মোটরযান বিধিমালায় সড়কপথে চলবার সময় নানা পথ নির্দেশক চিহ্ন বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকবার তাগাদা আছে। সমতলে সড়কপথে নানান রঙয়ের বাহারি বাতির ব্যবহারে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয়। লেভেল ক্রসিংগুলোতে বড় আকারের সাইনবোর্ডে সাবধানবাণী লেখা থাকে- ‘‘সাবধান! এই লেভেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নাই!!’’। এইরকম সাবধানবাণী দর্শন ও পঠনে সদাশয় চালকগণ কুণ্ঠিত না হলেও আমরা যাত্রীসাধারণ অতিশয় বিচলিত বোধ করে থাকি। রেলগাড়িখানা লোহালক্কড়ের ঠাসবুনটে গড়া হলেও এদেশে তার চালকগণ আমাদের মতই মানুষ হয়ে থাকেন। এ মুল্লুকে আজিও রোবট চালিত বা ম্যাগনেটিক ট্রেন চালু হয় নাই। কাজেই সড়কসমূহ বিপুল বিক্রমে মাড়িয়ে অতিক্রমের কালে ট্রেনের বিকট গগনবিদারী ভেঁপু শুনে পথচলতি মানুষ আর যানবাহনের সতর্ক হবার উপায় থাকে। কিন্তু একটিবার ভাবুন, আপনার সম্মুখে একটা রাস্তা রয়েছে। তার দুধারে পাহাড়ের দুর্ভেদ্য প্রাচীর। দূরে খুব অযত্নে বেড়ে উঠা গর্জন, জারুল আর সেগুনের বিচিত্র পত্রের নানা রঙের বাহার। আরও দূরে অন্তহীন আকাশ। আপনি পাশের পাহাড়ের গায়ে ঝুলে থাকা বেত লতিকার উপর গড়িয়ে পড়া পড়ন্ত সূর্যের তির্যক আলোকচ্ছটার মাধুরী উপভোগ করতে করতে পথ চলছেন। নজরুলের কলি ভাজছেন মনে মনে- চোখে ভালো লাগে যাকে/ তাঁকে দেখব পথের বাকে-এ এ। হঠাৎ কালো পিচঢালা সড়কের থেকেও বেশি কালো কালো পাহাড়ের মতন শরীর নিয়ে পথের উপর উঠে এলো একদঙ্গল হাতী! ভাবুনতো একবার! এমনটি ঘটে যাওয়া কিন্তু খুব অস্বাভাবিক নাও হতে পারে। হাতীর দল সাধারণত চেনা নির্দিষ্ট পথে চলাচল করে। এই পথে ওরা এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ের ডেরায় যায়। পথগুলো অনেকসময় জনপদের ভেতর দিয়েও চলে যায়। বান্দরবানের রোয়াংছড়ি আর রাঙ্গামাটির রাজস্থলী উপজেলার সীমানায় গাইনডা ইউনিয়নের আশেপাশে এমন কয়েকটি পথ আছে হাতীদের। পাহাড়ের ঢাল ধরে চুইয়ে আসা ঝিরির জলের ধারার নিশানায় ওরা নেমে আসে সমতলে। তখন পথের ওপর আর আশেপাশে নিজেদের চলার চিহ্ন রেখে যায়। বন্য হাতির আক্রমণে প্রায়শই প্রাণহানি ঘটে। মাটিতে মিশে যায় বাড়ন্ত ফসল। হাতীদের চলার পথ ধরে তাই বেশকিছু সতর্কবাণী সংবলিত সাইনবোর্ড লক্ষ্য করা যায় - ‘সাবধানে চলাচল করুন! সামনে হাতী চলাচলের রাস্তা!!’
[img][/img]
বান্দরবান শহরের কিনারে শঙ্খ নদী
হিথাক তুকে মানাইছে নাই গো...
হাতীদের চলার পথের সতর্কবার্তা পড়তে পড়তে আর বেতলতার দোলানো সরু পাতার ঝিলিক দেখতে দেখতে বান্দরবান থেকে রাঙ্গামাটি যাচ্ছিলাম। কোথায় যেন পড়েছিলাম, খুব হিসেব করে পাহাড় সমুদ্র মাটি দেখতে যায় পর্যটকরা। ছন্নছাড়া লোকদের এসবের বালাই নেই। খুব হিসেব করে গুছিয়ে আমার কোথাও যাওয়া হয়ে উঠে না। প্রায়ই এমন হয় যে বেড়াতে যাবার পর আমার ইচ্ছে এবং সামর্থ্য একটা ঘূর্ণায়মান লাটিমের আদলে বিপুল বেগে ঘুরে ঘুরে বদলাতে থাকে। আমি এই বদলটাকে মেনে নিয়ে উপভোগ করবার চেষ্টাই করি নিয়ত। এবারো তার অন্যথা হল না। নীলগিরি ছুঁয়ে এসে খুব চাইছিলাম বগা লেকটা এইবারেই দেখে ফেলি। কিন্তু সেটি হয়ে উঠল না। ঠিক করলাম, কাপ্তাই লেক ধরে লংগদু যাব। লংগদু যেতে হবে রাঙ্গামাটি হয়ে। বান্দরবান থেকে রাঙ্গামাটি যাবার পথ দুটো। এক- চট্টগ্রাম হয়ে, দুই - বান্দরবান থেকে সরাসরি পাহাড়ি পথ ধরে। চট্টগ্রাম হয়ে রাঙ্গামাটির পথটি ভালো এবং তুলনামুলক নিরাপদ। তবে সময় বেশি লাগবে। অন্য পথটি সংক্ষিপ্ত, তবে পুরোটাই পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ। এই পথে গাড়িগুলো দর্শন এবং চলনে অতিশয় বিধ্বস্ত ‘মুড়ির টিন’ প্রকারের। রাঙ্গামাটির সীমানায় কাপ্তাইয়ের উপর চন্দ্রঘোনায় একটা ফেরি পারি দিতে হয়। আমার ইচ্ছে ছিল দিনে দিনে লংগদু পৌঁছে যাওয়া। একটু কষ্ট হলেও আমি দ্বিতীয় পথটি বেছে নিয়ে তাই পাহাড়ি পথ ধরলাম। মোটমাট তিন ঘণ্টার পথ। সকাল নয়টা ত্রিশে বাস ছাড়ার সময় চালক তিন ঘণ্টায়ই রাঙ্গামাটি পৌঁছে দেবার আশ্বাস দিল। গাড়ি দেখতে দুর্বল হলেও চালক দেখলাম বেশ যত্ন নিয়েই চালাল। এবং আমায় অবাক করে ঠিক বারটা ত্রিশে রাঙ্গামাটির ফিসারি ঘাটে পৌঁছে দিল।
[img][/img]
চন্দ্রঘোনা পেপার মিলের বাঁকে
পথ হারাব বলেই এবার...
ঘাটের প্রায় তিন পাশেই জলের হ্রদ। নিস্তরঙ্গ স্বচ্ছ জলে চোখ আটকে যায়। আমার কিন্তু এসব তাকিয়ে দেখার মোটেও সময় ছিল না। রিজার্ভ বাজার থেকে লংগদুর লঞ্চ ছাড়ে। দিনের শেষ লঞ্চটি বেলা একটার আশেপাশে ছেড়ে যায়। এই লঞ্চটা ধরতে হবে আমায়। কাজেই একটা স্কুটার ধরে পরিমরি ছুটলাম রিজার্ভ বাজারের দিকে। অনেকদিন আগে চাকুরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবার সময় শিখেছিলাম, রাঙ্গামাটি শহরে রিক্সা নেই। শহরে ঢুকে বুঝতে পেলাম, এতো উঁচুনিচু পথে রিক্সা চালানো সত্যিই দুস্কর। তাছাড়া শহরের এমাথা ওমাথার দূরত্বও বেশ। ভাগ্যিস স্কুটারগুলো ছিল। বাসে আমার পাশের আসনের ভদ্রলোক আমার লংগদু যাবার কথা শুনে একটা সুপরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন স্কুটার নিয়ে রিজার্ভ বাজারের একেবারে শেষ মাথায় চলে যেতে। স্কুটারওয়ালারা নইলে লঞ্চ ছাড়ার ঘাটের অনেক আগেই নামিয়ে দিতে পারে। সেক্ষেত্রে হাঁটতে হবে অনেকটা পথ। আমাকে অবশ্য হাঁটতে হলনা। সহজেই পৌঁছে গেলাম শেষ মাথায়।
বুদ্ধং শরনং গচ্ছামি...
লংগদু যাবার পথের একটাই লঞ্চ ছিল ঘাটে। লঞ্চটা অবশ্য নামেই বাহারি। ছোট্ট দোতলার উপর কাঠের বেঞ্চি সার দিয়ে পেতে রাখা। দেখতে দেখতে লঞ্চ ভরে উঠল। যাত্রীদের সিংহভাগই আদিবাসী। শহরে ওদের অনেকেই হয়ত মেলা দিন বাদে এসেছে। সবার হাতেই তাই কমবেশি এটাসেটা হাত সদাইয়ে ভরা। কয়েকজন শূন্য খাঁচা আর ঝুড়ি ধরে বসে আছে। কিছু একটা বেচতে এসেছিল হয়ত শহরে। লঞ্চ তখনো ছাড়ে নি। এর ভেতর এক হকার লেমিনেট করা কতোগুলো ছবি নিয়ে এলো বিক্রি করবে বলে। আদিবাসীরা দেখলাম প্রবল উৎসাহ আর ভক্তি নিয়ে ছবিগুলো কিনছেন। একবার দেখেই ছবির মানুষটাকে চিনে ফেললাম- ‘বনভান্তে’।
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই ধর্মগুরু ১৯২০ সালের ২০ জানুয়ারি রাঙামাটি সদর উপজেলার মগবান ইউনিয়নের মোড়ঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল রথীন্দ্র চাকমা। বাবার নাম হারুমোহন চাকমা আর মায়ের নাম বীরপুদি চাকমা। চট্টগ্রামের নন্দনকানন বৌদ্ধবিহারে ১৯৪৯ সালে রথীন্দ্র চাকমা বৌদ্ধসাধকের প্রব্রজ্যা গ্রহণ করে ‘শ্রীমৎ সাধনানন্দ ভিক্ষু’ নাম ধারণ করেন। পরে তিনি রাঙামাটির ধনপাতার গভীর বনে দীর্ঘকাল লোকোত্তর সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন। সাধনানন্দ ভিক্ষু বৌদ্ধধর্মের দর্শন ও বাণী অনর্গলভাবে স্থানীয় ভাষায় সহজে উপস্থাপন ও হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ-মোহ, হানাহানির কুফল এবং ত্যাগ, ক্ষমা ও সম্প্রীতির মহিমা প্রচারের কারণে ‘বনভান্তে’ নামে খ্যাতি লাভ করেন। বনভান্তে ১৯৭৬ সালে রাঙামাটি রাজবন বিহারে এসেছিলেন। মনে পড়ল, রাঙ্গামাটি শহরে ঢোকার মুখে উপজাতি জাদুঘরের সামনে অনেক ভিড় দেখেছিলাম। পাঁচদিন আগে তাঁর মহাপ্রয়াণ ঘটেছে। তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতেই সবদিক থেকে আদিবাসী বৌদ্ধ সকলেই আজ শহরে এসেছিল। লঞ্চে অনেকই বলাবলি করছিল তিনি নাকি নানান ধরণের আধ্যাত্মিক শক্তিসম্পন্ন ছিলেন।
আমার পথে পথে পাহাড় ছড়ানো...
এর ভেতর লঞ্চ ছেড়ে দিল। সারেঙ লঞ্চ ঘুরিয়ে কাপ্তাই হ্রদের দিকে ফেরাতে ফেরাতে দেখি একটা দেশি কোষা নৌকো তুমুল বেগে লঞ্চের দিকে আসছে। দেখতে দেখতে নৌকোটি লঞ্চের গায়ে ভিড়ে গেলো আর নৌকো থেকে একজন প্রায় বৃদ্ধা আর এক কিশোর উঠে এলো। অন্য যাত্রীরা ধরাধরি করে ওদের লঞ্চে তুলে নিল। এই লঞ্চ হারালে হয়ত আজ এদের রাঙ্গামাটিতেই থাকতে হতো! বাড়ি ফেরা হতো না। তাঁর ছেলের বউটি হয়ত তবুও দাওয়ায় বসে পথ চেয়ে থাকত চাঁদের আলো কমে না আশা পর্যন্ত। ভটভট শব্দ তুলে লঞ্চ চলতে শুরু করল। আর দৃষ্টি সীমায় এগিয়ে আসতে লাগলো দূরের, আরও সুদূরের পাহাড়গুলো, যে পাহাড়গুলো আমি কেবল স্বপ্নে দেখেছিলাম।
[img][/img]
খুঁটির ওপর একলা পানকৌড়ি
[img][/img]
কাজল নদীর বাঁকে-- একা বসে থাকি--
ক্রমশ--
পথিক পরাণ
-----------------------------
pavel352 অ্যাট yahoo.com
মন্তব্য
ভালো লাগল।
তবে ছবিগুলো এমন এলো কেন ??
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনার জন্য
ছবিগুলো কেমন এসেছে তাপস দা? বুঝতে পারছি না। আমার এখানে অবশ্য ঠিকঠাক দেখতে পাচ্ছি। কোন সমস্যা থাকলে দয়া করে জানাবেন।
অনেক ভালো থাকুন---
----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
না তেমন কিছু না তবে ছবির দুই পাশে [/img] এটা দেখাচ্ছে। ফ্লিকার থেকে ডিরেক্ট ইউআরএল'টা এনে বসিয়ে দিলেই তো হয়।
ডাকঘর | ছবিঘর
ও আচ্ছা। আমি আবার এসব বিষয়ে খুব দুব্বল। অনেক কিসুই বুঝিনা তেমন। আমিতো ছবিযুক্ত/ সম্পাদনাতে ক্লিক করে বক্সে ফ্লিকারের ইউ আর এল পেস্ট করে দিই। বক্সে না দিয়ে সরাসরি টেক্সট ফিল্ডে ইউ আর এল পেস্ট করে দিলেই কি ছবি চলে আসবে?
হ্যাঁ। তবে পোস্টের আগে একবার প্রিভিউ দেখে নিয়েন।
ডাকঘর | ছবিঘর
facebook
উরি সব্বনাশ!!!
আমাদের ইবনে বতুতা অনুদার থাম্বস আপ!! (দুঃখিত। আমি কুর্ণিশ করার ইমুটা আপনাকে দিতে পারছিনা। ইমুর মেরুদণ্ডে ব্যাথা দেখে কিছুদিন হল আমার কোন কথাতেই গা করে না)
আপনি অনেক অনেক ভালো থাকুন-- আর পায়ের তলায় শর্ষে লাগিয়ে গোটা পৃথিবী ঘুরে বেড়ান। আমাদের দেখার বাইরের পৃথিবীটাকে যেন আপনার চোখে দেখতে পাই---
-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
চমৎকার পোস্ট। পাঁচতারা।
নগণ্য হাচলের একটা অনুরোধ রাখবেন? আপনার হেডিং, মূল টেক্সট আর ছবির ক্যাপশন একই ফন্টে একই সাইজে, একটু বোল্ড টোল্ড করে দিননা হেডিং আর ক্যাপশন? পড়তে আরাম লাগে।
..................................................................
#Banshibir.
অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের পীর ভাই।
আপনার অনুরোধের অংশটুকু আসলে আমার আগেই ভাবা উচিত ছিল। অনেক ধন্যবাদ পরামর্শটুকুর জন্য। পারলে এখনি শুধরে দিতাম-- কিন্তু কি করে করব! অচলের হাত যে বাঁধা!
-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
এটা পড়া শেষ, সো গুল্লি মারেন। পরেরগুলায় মাথায় রাইখেন আর কি।
..................................................................
#Banshibir.
গুল্লি মারলাম এবং মাইরা মাথায় রাখলাম---
মাথায় গুল্লি মাইরেননা যেন
..................................................................
#Banshibir.
নাহ,তারেক অণুর জ্বালাতেই জ্বলছিলাম আবার আপনিও শুরু করলেন।
বান্দরবন আর রাঙ্গামাটি জায়গা দুটো অসাধারণ । তবে কিনা একটু রিস্কি । সাবধানে যেয়েন।
জায়গা দুটি আসলেই রিস্কি। পরের পর্বে আসছে--
অনেক ভালো থাকুন।
--------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
বাহ্!
অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
-----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
ছবিগুলো বেশ সুন্দর !
তবে ফরম্যাটিং এ আরেকটু মনোযোগি হতে হবে।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ধন্যবাদ।
আপনিই তো মাস দুই আগে ''লাল পাহাড়ের দ্যাশে যা'' বলে উস্কানি দিয়েছিলেন এক লেখায়। তাই ঘুরে এলাম---
এরপর সময় নিয়ে ফরম্যাটিং করব---
----------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
প্রথম ছবিটা চোখ জুড়ানো সুন্দর।
শুভ কামনা রইল।
একটা ছোট্ট তথ্য---ছুটির দিনগুলোতে পাহাড়ে অনেক ভিড় থাকে। হোটেলগুলো যতদুর জানি ভরে যায় একেবারে। তাই আগেভাগেই থাকার জায়গা ঠিক করে যাওয়া উত্তম।
দারুণ, কয়েকদিনের মধ্যে ইনশাআল্লাহ আমরা বন্ধুরা যাচ্ছি পার্বত্য চট্টগ্রামে। তার আগে আপনার পোস্ট দেখে তাগাদা আরো বেড়ে গেল।
ছবিতে অতিকায় নীল চোখে লাগছে। তবে ছবি গুলো বেশ ভাল লেগেছে ঐ চোখে লাগা টুকু বাদ দিলে।
কবে যাব পাহাড়ে আহারে আহারে !!!!!
আশা রাখছি- শীঘ্রই ঘুরে আসতে পারবেন।
অনেক শুভকামনা রইল।
সুন্দর
_____________________
Give Her Freedom!
চমৎকার পোস্ট।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
প্রথম ছবিটা মারাত্মক!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধুগো দা!! দাদার রেখে যাওয়া পায়ের ধুলা মাথায় আর কলমের কালি পাতায় নিলাম--------------
---------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
প্রথম ছবিটা যে কি সুন্দর! লেখায় থাম্বস আপ। কিছু মনে করবেননা, পথিক পরাণের লেখার সাথে পরিচিত বলেই বলছি, ছবিগুলোর ফরম্যাটিং এ প্রকৃতী স্বাভাবিক এর চাইতে একটু বেশি রঙ পেয়ে গেছে।
গঠনমূলক মন্তব্যর জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।
ছবিগুলো একটু বেশি রঙ পেয়েছে- বিষয়টি আরও কয়েকজন বলেছেন এবং আমি নিজেও বুঝতে পারছি। তবে আমি কিন্তু ছবিগুলো এডিট করি নাই। প্লেইন ফটোগ্রাফ আপলোড করেছি। পরের বার একটু এডিট করে দেবার চেষ্টা করব।
অনেক ভালো থাকুন।
অনেক ধন্যবাদ ইমো সম্রাট।
নতুন মন্তব্য করুন