"ভারত বন্ধ" এবং একজন সাধারণ ভারতীয়র প্রতিক্রিয়া

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৬/০৩/২০১২ - ৯:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এটা সচলে আমার প্রথম লেখা। বুকটা একটু ধুকপুক করছে। নীড়পাতায় জায়গা পাবে তো? তার ওপর একটা সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে নাড়াচাড়া। একটু চাপা টেনশন হচ্ছে। প্রথমেই একটু গৌরচন্দ্রিকা সেরে নেই। "পালকি" ব'লে একটা অনলাইন ম্যাগাজিনে মাহবুব আজাদের একটা সাক্ষাৎকারে প্রথম জানতে পারি সচলায়তনের কথা। তারপর থেকেই সচলের সঙ্গে আমার প্রেম। এবং গুগুল ক্রোমে হোমপেজীকরণ।
এবার মূল প্রসংগে আসা যাক।' ভারত বন্ধ'। সীমান্তে বি এস এফ 'হারামিপনা'র প্রতিবাদে। সচলের নীড়পাতায় বেশ ক'দিন ধরে দেখছি, বেশ রাজনৈতিক দলের মতো প্রচার। অস্বীকার করবো না, একটু ক্যামন ক্যামন লাগছে। একদিকে সচল আমার দিনযাপনের সঙ্গী, আবার এখানেই দেখি, আমার দেশের বিরুদ্ধে এক অঘোষিত ক্রুসেড(শব্দটা বোধ হয় অ্যাপ্রোপ্রিয়েট হোলো না)। মনটা খুতখুত করছে। ভীষন। একান্ত নিজেস্ব অনুভুতিটা কোথায় আর শেয়ার কোরবো বোলুন, সচল ছাড়া?
আমাদের অনেকের শেকড়টা রয়ে গেছে ওপারে। বাংলাদেশ মানেই আমাদের বুকে এক অদ্ভুত নষ্টালজিয়া। আগের প্রজন্মের কাছে চেটেপুটে খওয়া কিছু গল্প। এমনকী এতো বছর পরেও পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপনে লেখা হয়: ''পূ:ব:, ময়মনসিংহ, কায়স্থ''। আমাদের কাছে বাংলাদেশ মানে হুমায়ুন আহমেদ, ডাউনলোড করা মোশারফ করিমের নাটক, পাসপোট ভিসার ঝামেলা পেরিয়ে ওপারের কোনো আত্মীয়ের বাড়ী বেড়াতে গিয়ে পাওয়া সারাজীবণ ইনবক্সে রেখে দেবার মতো আতিথেয়তা, আরো অনেক কিছু।
বেশ ভালোই ছিলাম এসব নিয়ে। হঠাৎ মাঝখানে ঢুকে পড়লো কাঁটাতার। মনে হলো 'দুয়ারে খিল'। আমাদের এখানকার খবরের কাগজের পাঁচের পাতার নিচের দিকের "চ্যংড়াবান্ধা সীমান্তে ধৃত গরু পাচারকারী'' কিংবা ''বিএসফের গুলিতে মৃত চোরাচালানকারী'' র পেছনেও যে আরো একটা গল্প থাকতে পারে, সচল না থাকলে বোধহ্য় জানতে পারতাম না।
এই প্রতিকী বনধে কি সীমান্তের কাঁটাতারে কি ফুল ফুটবে? সঠিক যায়গায় গিয়ে পৌছাবে প্রতিবাদ?
জানি না।
দুয়ারে খিল আাঁটা থাকলেও জানালাটা বোধ হ্য় খোলা আছে। তা দিয়েই খেলুক বাতাস।

আমার নাম: দীপালোক
শহর: কোচবিহার, দেশ: ভারত


মন্তব্য

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক

ভালো লাগল। এই জিনিষগুলি এক সময় আমার কাছেও কেমন কেমন লাগতো। হয়তো ভারতীয় বলেই। এই নিয়ে আমি কোথাও হয়তো ফালতু কথাও বলে ফেলেছিলাম কোন কিছু বিচার না করেই। তবে এখন তা মনে হয়না। এর কারণও সচলায়তন।

তবে এটা কোন রাজনৈতিক প্রতিবাদ মোটেই নয়। কিছু মানুষের লড়াই, সামাজিক, সাংস্কৃতির লড়াই, বাঁচার লড়াই, একটা রাষ্ট্রের কিছু অমানুষিক কাজের কিংবা বৃহৎ অর্থে বর্বরতার বিরুদ্ধে লড়াই। লড়াই এই জন্যই - 'আমরাও মানুষ' এই কথাটি জানিয়ে দেওয়ার জন্য।

কাঁটাতার যে কই যন্ত্রণা দেয় তার কথা বলে শেষ করা যায় না, যাবেও না। সাতচল্লিশের বাটোয়ারা গোটা ভারতের ছিল না, একটা মস্ত বড় শেল বিঁধেছিল একমাত্র বাঙলা এবং বাঙালির বুকেই। সেই ক্ষত আরও পাঁচ হাজার বছরেও ভরাট হবেনা।

দীপালোক এর ছবি

ঠিকই বলেছেন। সহমত।
জানেন, আমি সীমান্ত ঘেঁষা একটা ছোট্ট শহরে থাকি। মাঝে মাঝে চলে যাই 'বরডারে'। এপার থেকে ওপার দেখি। পাহারারত জওয়ানদের সাথে গল্প গাছাও হয়। ওরাই শেষে …. কষ্ট হ্য়।

তাপস শর্মা এর ছবি

আবেগকে কিছু মানুষ লাথি মারেরে ভাই। ওরা আপনার আবেগ বুঝবে না। এই হত্যা মেনে নেওয়া যায়না।

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

চলুক

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

চলুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

একটি কথা স্পষ্ট হওয়া দরকার।

কোনো সাধারণ ভারতীয়ের সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। অনেকের সঙ্গেই অপার হৃদ্যতা রয়েছে। 'ভারত বনধ' একটি রাষ্ট্রযন্ত্র এবং তার পোষা কিছু শুওরের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ। আমরা আশাকরি শুভবোধের তাড়নায় ভারতীয়রাও আমাদের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করবেন।

ভারত একটি 'পরদেশ' ভেবে এই প্রতিবাদ নয়। এই সময়ে এটি একটি অত্যাচারী দেশ, সেই হিসেবে প্রতিবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অরফিয়াস এর ছবি

বেশ রাজনৈতিক দলের মতো প্রচার

রাজনৈতিক প্রচার আর ভারত বনধ এর প্রচার এক জিনিস নয়, এটি মানবতার সপক্ষে এবং বিএসএফ আইনবহির্ভূত হত্যাকান্ড এবং সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের চূড়ান্ত দৃষ্টান্তের বিরুদ্ধে জনগনের সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচার| এটাকে যদি রাজনৈতিক প্রচারের সাথে তুলনা করেন তাহলে উদাহরণ হিসেবে ধরুন, এইডস এর সম্পর্কে প্রচারকে কি বলবেন???

আমার দেশের বিরুদ্ধে এক অঘোষিত ক্রুসেড

দুঃখিত, এটা কোনো দেশের বিরুদ্ধে নয়, এটা একটি দেশের আধা-সামরিক সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অপ-কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে, এই দুটোর মধ্যে প্রচ্ছন্ন পার্থক্য আছে, আর অধিকাংশ ভারতীয়ই জানেনা যে, তাদের নিজেদের দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে এরই মাঝে অসংখ্য ভারতীয়ও নিহত হয়েছে সেই একই সীমান্ত এলাকায়| জানলে হয়তো এতদিনে কিছুটা হলেও টনক নড়তো, আর নিজেদের ক্ষমার অযোগ্য ভুলের বিরুদ্ধে সরব হতো|

দুয়ারে খিল আাঁটা থাকলেও জানালাটা বোধ হ্য় খোলা আছে। তা দিয়েই খেলুক বাতাস।

জানালা দিয়ে আসা বাতাসে এখন স্পষ্ট রক্ত আর লাশের গন্ধ, যদি সত্যি ফুলের সুগন্ধের বাতাস পেটে চান তাহলে আপনারাও প্রতিবাদী হন।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তাপস শর্মা এর ছবি
সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

সচলে আপনার প্রথম লিখা, সেজন্য স্বাগতম।

অস্বীকার করবো না, একটু ক্যামন ক্যামন লাগছে।
এই প্রতিকী বনধে কি সীমান্তের কাঁটাতারে কি ফুল ফুটবে? সঠিক যায়গায় গিয়ে পৌছাবে প্রতিবাদ?

কেমন কেমন লাগলেও কিছু করার নেই যে। পৃথিবীর জঘণ্যতম অপরাধীরও বিনা বিচারে খুন মেনে নেয়া যায় না। আর বিএসএফের হাতে খুন হওয়া বাংলাদেশী অবৈধ সীমান্ত পারাপারকারী তো চুনোপুটি।

বাসায় বিটিভি আসে না, স্যাটেলাইটে ভারতীয় চ্যানেল থাকা সত্বেও অনলাইনে আজ খেলা দেখেছি, কেন জানেন?
ভারতীয় পণ্য, সেবা, বিনোদনে টাকা খরচ করে বিএসএফের হাতে তো স্বদেশের মানুষ গণহত্যা করার জন্য অস্ত্র খরচ দিতে পারি না।

ভারত সীমান্তে এ পর্যন্ত কয়েক হাজার বাংলাদেশী খুন হয়েছে। এটা তো গণহত্যা; মাসাকার।

আমার কয়েকজন ভারতীয় ব্লগ বন্ধু বলেন, ব্লগে এসব লিখে লাভ কি? সরকারকে গিয়ে বলুন না।
তাদের বলি, সরকার-সমাজ তো আপনি, আমি, আমাদের নিয়েই গঠিত। আপনি, আমি, আমরা সচেতন হলেই না সমাজ-সরকার পরিবর্তন হবে।

ভারত রাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের প্রতি আমার কোন বিদ্বেষ নেই কিন্তু সীমান্তে গণহত্যার প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলনকে যারা বিন্দু পরিমাণও ভ্রু কুচকায়, দু:খিত তার সাথে এক টেবিলে বসে আমার পক্ষে চা খাওয়া সম্ভব না। ওই চাতে রক্তের নোনা স্বাদ, লাশ পঁচা গন্ধ।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

চলুক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

সাধারণ দৃষ্টিতে খারাপ লাগারই কথা। প্রতিটা মানুষের দেশ থাকবে, সেইসাথে দেশের প্রতি ভালোবাসাও। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে সেই ভালোবাসায় অন্ধ হওয়া উচিৎ নয়।

উপরন্তু আপনি দেশের সাথে দেশের একটি সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকে এক করে দেখছেন। বাংলাদেশের কেউ যদি আজ কোনো দেশের সাথে এই রকম করে তাহলে সেই দেশের পক্ষে হয়ে বাংলাদেশের সেই ব্যাক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই তীব্র প্রতিবাদ করবো।

তাপস শর্মা এর ছবি

চলুক চলুক

সংহতি।

তারেক অণু এর ছবি
প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হাততালি

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
নীল রোদ্দুর এর ছবি

সীমান্তের কাঁটাতারে ফুল ফুটবে কিনা জানিনা, অন্যায় কে অন্যায় বলতে পারা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়াই কি বড় কথা নয়? সেটা বাংলাদেশ বা ভারত যেদেশের মানুষই হোক না কেন, মানুষ হিসেবে আমার তো অন্যায়কে না বলার মত সচেতনতাটুকু থাকা উচিত।

-----------------------------------------------------------------------------
বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভালো- ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হাততালি

antu এর ছবি

আমরা বর্ডারে মারি না,আমরা মাঠে মারি হাসি

guest writer এর ছবি

আমরা কি সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির মত এক্ষেত্রেও কোন আন্তর্জাতিক ফোরামের দ্বারস্থ হতে পারি না ?

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

'ভারত বনধ' কর্মসূচি কিন্তু ভারত বিরোধিতা নয়। সীমান্তে বিএসএফ এর নির্বিচার হত্যা ও বর্বরোচিত আচরনের প্রতিবাদে একটি প্রতীকী কর্মসূচি মাত্র। বিষয়টি আমরা ভারতীয় জনগণের গোচরে আনতে চাই। সীমান্তে বিএসএফ যা করছে সেটাকে এভাবে বলা যায়, ভারীয় জনগণের ট্যাক্সের টাকায় গুলি-বন্দুক কিনে মানবতা হত্যা করছে। সচলায়তনে প্রচারিত এ বিষয়ক লেখাগুলো পড়লে একটা ধারনা পাবেন।

আপনি কনভিন্সড হলে আপনার পরিচিতজনকে সচেতন করার দায়িত্বও কিন্তু আপনার।

ধন্যবাদ, মত প্রকাশের জন্য।

পাঠক এর ছবি

ভারতের সঙ্গে আমাদের জন্মগত কোন শত্রুতা তো নেই।

সাধারন মানুষের সঙ্গেও আমাদের কোন বিরোধ নেই।
তবে কি জানেন?
যখন খেলার মাঠে, সিনেমার স্ক্রিপ্টে, প্রতিযোগীতার স্টেজে বার বার বার বার বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের পতাকাকে, বাংলাদেশের ক্রিকেটকে, বাংলাদেশের মানুষকে অপমান করা হয় তখন সত্যিই আর ভালো লাগে না।
আমরা তো ভারতকে এভাবে অপমান করি না।
আমরা দু বাহু খুলে ভারতের টিভি চ্যানেলকে, ভারতীয় পন্য আর সাহিত্যকে আপন করে নিই।।।তবে আমরা কেন পাবো না উপযুক্ত সম্মান?
বলতে পারেন?

হিমু এর ছবি

আপনার মতো লোক, যারা দু'বাহু খুলে ভারতের টিভি চ্যানেল, পণ্য আর সাহিত্যকে আপন করে নিয়েছে, সেই কাঠবলদগুলির জন্যেই আমরা সম্মান পাই না।

পাঠক এর ছবি

কাঠবলদ শব্দটি আমার জন্য নতুন।
একটু বুঝিয়ে বললে ভালো হয়।

আসলে কি জানেন? আমার পরিবার খুব ছোটবেলা থেকেই আমাকে শিখিয়েছে।।।সম্মান পেতে হলে সম্মান দিতে হয়। তাই হয়তো আমি ভারতকেও সম্মান করি। আর বোকার মতো ওদের কাছ থেকেও সম্মানটাই আশা করি।

shafi.m এর ছবি

ভাই, ভারতকে বাংলাদেশ (রাজনৈতিক) কখনও অসম্মান করেছে বলে মনে পড়ে না। আর ভারত আমাদেরকে কিভাবে ট্রিট করে যাচ্ছে তা দেখাতে নিশ্চয় সংগা সহ উদহরন দরকার নেই। তাই আসুন বোকার মতো ওদের কাছ থেকে সম্মান আশা না করে সম্মানটা আদায় করে নেই। আপনি এর পরও যদি ভারতীয় পণ্য, সেবা আপনার দু'বাহু খুলে আপন করে নিতে চান তাহলে হয়ত আমাদের সম্মান আদায় করতে একটু বেশী সময় লাগবে, কিন্তু বিশ্বাস করুন আমরা আজ হোক কাল হোক আপনাকে ছাড়াই আমরা সম্মান আদায় করে নিব।

যদি সচলে নতুন হন এবং "কি ঘটছে" সে ব্যাপারে বিহ্বল হয়ে থাকেন তবে "ভারত বনধ" লিখে গুগল করুন, কম-বেশী তথ্য পেয়ে যাবেন।

শাফি।

পাঠক এর ছবি

আমার কমেন্টটাকে মিসইন্টারপ্রেট করা হচ্ছে।
আমি আসলে কথাটা সাধারনিকরন করে বলেছিলাম। আমি নিজে পারতপক্ষে ভারত, ফাকিস্তানের পন্য জেনে ব্যাবহার করি না। আমি বলতে চেয়েছি দেশের সাধারন মানুষের কথা। যারা এখনও মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহায়তার কথা ভেবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, যারা এপার বাংলা ওপার বাংলা বলে মনে প্রশান্তি আনে। কিংবা যাদের এখনও শেকড় পড়ে আছে ওই বাংলায়।
যারা সীমান্তে ভারতের নির্মমতা দেখে ভীষণ ভেঙে পড়েন।।।।যারা ভাবতেই পারেন না যে ভারতের দাদারা আমাদের সাথে এতো খারাপ করতে পারে।
আমি ভারতের সাধারন একজন নাগরিকের পোস্টে একটা সরল কমেন্ট করেছিলাম। সত্যি ভারত সম্পর্কে আমার কোন প্রেম নেই।

সত্যপীর এর ছবি

মন্তব্য একঃ

আমরা দু বাহু খুলে ভারতের টিভি চ্যানেলকে, ভারতীয় পন্য আর সাহিত্যকে আপন করে নিই।

মন্তব্য দুইঃ

সত্যি ভারত সম্পর্কে আমার কোন প্রেম নেই।

মন্তব্য এক ≠ মন্তব্য দুই।

..................................................................
#Banshibir.

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
মন মাঝি এর ছবি

"বোকার" মত কিছু আশা করলে ওটা যে কেবল "বোকার স্বর্গে"-ই পূরণ হয় এই দুনিয়াতে না - এই শিক্ষাটা পাননি ছোটবেলায়? অন্তত স্কুলে থাকতে বাগ্‌ধারা হিসেবে পড়েননি বা ভাব-সম্প্রসারনও করেননি এই 'বোকার স্বর্গ' নিয়ে ?!!!

যাইহোক, স্কুলেও না পড়ে থাকলে এই লেখাটা পড়ে দেখেন। বাস্তব জগতে, বিশেষ করে বড় বড় অর্থকড়ি-স্বার্থ-বানিয়াবুদ্ধি-রাজনীতি- এমনকি আন্তর্দেশীয় সম্পর্ক ইত্যাদি যেখানে জড়িত, সেখানে "বোকার" মত কিছু আশা করলে বা একতরফা পিরিতি বা 'সম্মান' জারি রাখলে কি হয় দেখেন - অস্ট্রেলিয়া আর ইস্ট টিমুরের বেলায়। আর দেখেন বাংলাদেশ কিভাবে আপনার ভাষায় 'সম্মান' আর সেইসাথে তার বৈষয়িক প্রাপ্যটাও 'আদায়' করে নিয়েছে - অন্তত একটা ক্ষেত্রে। এর পরেও যদি না বুঝেন বা শিখেন, তাহলে আমার আর কিছু বলার নাই।

****************************************

হিমু এর ছবি

সম্মান দেয়া এক জিনিস, আর 'দু'বাহু খুলে সবকিছু গ্রহণ করা' ভিন্ন জিনিস। আপনি আমাকে সম্মান করলে কি লুঙ্গি তুলে ঘুরে দাঁড়াবেন? ভারতের রাজনীতিক আর আমলারা সেই ৭১ সাল থেকেই প্যানপ্যান করে আসছে, বাংলাদেশের হেভি ইন্ডাস্ট্রির কী দরকার, বাংলাদেশের বড় আর্মির কী দরকার। সেই মোঘল আমল থেকেই বাংলা একটা হিন্টারল্যাণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে উত্তর ভারতের কাছে, তাদের সেই মানসিকতা এখনও যায়নি আপনার মতো লোকজনের জন্য। যারা লুঙ্গি তুলে ঘুরে দাঁড়ায়, তাদের কেউ সম্মান করে না। বাংলাদেশে বাজার বিস্তারের জন্য ভারতকে কোনো কষ্টই করতে হয়নি, যেখানে তারা মায়ানমারের মতো একটা সেনাশাসিত দেশকে তোয়াজ করে বাবা-বাছা বলে মাথায় হাত বুলিয়ে চলে বাজার দখল আর জিওস্ট্র্যাটেজিক কারণে। কেন? কারণ আপনার মতো লোকেরা বাংলাদেশকে আত্মসম্মানের জায়গাটাই তৈরি করতে দিচ্ছেন না। প্রবাসে ভারতীয়রা এসে হিন্দি বলার চেষ্টা করে, পাকিস্তানীরা এসে উর্দু বলার চেষ্টা করে আপনাদের মতো ছ্যাঁচড়াদের জন্যই।

সম্মান পেতে চাইলে সম্মান দিতে হয় না, সম্মান পাওয়ার যোগ্য হতে হয়। বড় হন। লুঙ্গি নামান।

কাজি মামুন এর ছবি

যারা লুঙ্গি তুলে ঘুরে দাঁড়ায়, তাদের কেউ সম্মান করে না।

চলুক চলুক চলুক

বাংলাদেশের হেভি ইন্ডাস্ট্রির কী দরকার, বাংলাদেশের বড় আর্মির কী দরকার।

অথচ আজ বাংলাদেশ আজ হেভি ইন্ডাস্ট্রির (গাড়ি) দিকেও পা বাড়িয়েছে; বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্পে বিশ্বে এখন প্রথম (ইউরোজোনকে এক দেশ বিবেচনা না করে); বাংলাদেশের আর্মির বিশ্বজোড়া সুনাম জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অবদান রাখার জন্য।
কিন্তু হিমু ভাই, আমি এমন প্রচুর লোক দেখেছি, যারা ভারতের সমালোচনায় মেতে থাকে দিনভর (আধিপত্যবাদিতার কারণে); অথচ হিন্দি ছবি আর হিন্দি চ্যানেল না দেখলে পেটের ভাত হজম হয় না তাদের।

সম্মান পেতে চাইলে সম্মান দিতে হয় না, সম্মান পাওয়ার যোগ্য হতে হয়।

অসাধারণ লাগল! কথাটি থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। তবে হিমু ভাই, 'আপনাদের মতো ছ্যাঁচড়াদের' না বললে আপনার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যটি আরও সৌন্দর্যমন্ডিত হতো বলে আমার মনে হয়।

হিমু এর ছবি

বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প ঠিক হেভি ইন্ডাস্ট্রের মধ্যে পড়ে কি? এটা বহুলাংশেই শুধু সংযোজন স্তরে কাজ করে, শ্রমঘনত্ব বিবেচনা করলে হয়তো হেভি বলা যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রকৃত ভারি শিল্প, যেগুলোর সরবরাহ ক্ষেত্রও বহুলাংশে দেশজ (পাট, চিনি, কাগজ), সেগুলো আমরা এক এক করে নষ্ট করে বাজারটা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছি। পাটের ক্ষেত্রে একেবারে ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে। আরেকটা সম্ভাবনাময় সংযোজন শিল্প ছিলো গাড়ি, সেটা যাতে না দাঁড়ায় সেজন্যে দুই বড় দল পালা করে নীতিমালা তৈরি করে এটা নষ্ট করেছে। এখন নতুন করে এটাকে তেল দেয়া হচ্ছে টাটার গাড়ি সংযোজনের জন্য।

আমার বক্তব্য সৌন্দর্যমণ্ডিত হওয়াটা জরুরি না।

কাজি মামুন এর ছবি

যতদূর জানি বাংলাদেশ ২০১৫ সালে গাড়ি নির্মাণ করবে। বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হচ্ছে; সুতরাং, বাংলাদেশ শুধু আর মূল্য সংযোজনের কাজ করে না এখন। তাছাড়া, বাংলাদেশ আস্তে আস্তে লো এন্ড গার্মেন্টস থেকে হাই এন্ড গার্মেন্টসের দিকেও যাচ্ছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। বাংলাদেশের যে হেভি ইন্ড্রাস্ট্রি (হেভিয়েস্ট বা হেভিওয়েট বলা যেতে পারে হাসি ) এখন বিশ্ববাসীর নজর কাড়ছে, তা হল জাহাজ নির্মাণ শিল্প। এটা একসময় বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান শিল্প হবে। তাছাড়া, আপনি পাটের কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সোনালী আঁশ তার সোনালি অতীত ফিরে পাচ্ছে। সরকারীভাবে পাট চাষকে অনেক প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে; পাটের জিনোম রহস্য উন্মোচন অমিত সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। সবুজ শিল্পায়নের জন্য এটির কদর দিন দিন বাড়তেই থাকবে। বাংলাদেশের মাসুদ করিম এ ব্যাপারে পথিকৃৎ।
আপনাদের বক্তব্যের দিকে আমাদের মত নতুনেরা তাকিয়ে থাকে এবং শেখার ও বোঝার চেষ্টা করে।

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

চলুক

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সচলায়তনে আপনাকে স্বাগতম। আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন, আমাদের এই আন্দোলন কোন ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে নয়। সচলায়তন এবং এখানে যাঁরা লেখেন তাঁরা সময় ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এমন কি এই আন্দোলন কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নয়। 'ভারত বনধ' এর ডাক আমরা দিয়েছি খুবই সুস্পষ্ট কারণে যা আমার গত পোস্টে আপনি দেখেছেন হয়তো। এছাড়া ঐ পোস্টেই একটা আর্কাইভের লিঙ্ক সংযুক্ত করা হয়েছে। সেখানে দেখতে পাবেন আপনাদের বিএসএফ-এর বর্বরতার ঘটনাগুলো যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায় মাঝে মাঝে। আপনার কাছে আমি বিনয়ের সাথে জানতে চাই, পরিস্থিতিটা যদি ঠিক উল্টাটা হতো, অর্থাৎ আমাদের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ভারতীয়দের সাথে এমন ব্যবহার করতো, তাহলে আপনার অবস্থান কী হতো?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

অন্যায়কে 'অন্যায়' হিসেবে দেখতে শিখুন, তাহলে আর ' ‌ক্যামন ক্যামন' লাগবে না।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

চলুক
সহমত ।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

দীপালোক ভাই , আপনার কেমন কেমন লাগাটা আমি খুব ভালভাবেই বুঝতে পারছি ।
জানলে খুশি হবেন আমিও কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জের মানুষ ।

প্রথমেই বলি আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে এবং বেশিরভাগ কথার সাথেই আমি সহমত পোষন করি ।

কিন্তু একটা কথা আগে বোঝা দরকার ।
নিজের দেশকে ভালবাসতে গেলে যে তার অন্যায় কে ভালবাসতে হবে তা তো নয় ।
বি,এস,এফ এর কর্মকাণ্ডে আমার নিজের মনেই গ্লানির জন্ম দেয় ।
যখন কোথাও মানবতা ধর্ষিত হয়, তখন চুপ থাকা যায় না ।
কোন যুক্তিতেই পাশবিক বর্বরতাকে মেনে নেওয়া যায় না ।
তখন দরকার প্রতিবাদ করা ।

আর এই প্রতিবাদ শুধু বাংলাদেশের মানুষেরাই করবে কেন ?
এই প্রতিবাদ কিন্তু আমার আপনারও ।

আমার কাছে দেশ অনেক বড়। তবে তার চেয়েও বড় মানুষ এবং মানবতা ।
যদি দেশের মাথা উঁচু করতে চান তবে দেশের অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন ।
আপনার মধ্যে দিয়ে উঠে আসুক দেশের অন্য এক কণ্ঠস্বর ।

মনে রাখবেন দেশের সরকার, প্রশাসন আর বি,এস,এফ এরাই দেশ নয় ।
আপনি, আমি আমরাও দেশের অংশ ।

ক্ষমতা কম হতে পারে । তবে সে স্বল্প ক্ষমতা নিয়েই প্রতিবাদ করুন লেখায়, আড্ডায়, ফেবুতে, ব্লগে, পাড়ার ক্লাবের বক্তৃতায় ।

আশা রাখি আমি আপনাকে বোঝাতে পারলাম । ভাল থাকুন ।
আরও লিখুন ।

----------------------------------------
আর হ্যাঁ, এই সুযোগে একটু নিজের ঢোল পিটাই । মড়ু মামা অপরাধ নিয়েন না ।
একজন ভারতীয় হিসেবে আমার নিজের মনোজগতটাও পালটে গেছিল সচলায়তনে এসে, বিশেষত সেই নৃশংস ভিডিও দেখে ও তা সংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনা পড়ে । তাই আপনি হয়তো আমার এই লেখাটি -র সাথে একাত্মতা বোধ করবেন ।

কাজি মামুন এর ছবি

আর এই প্রতিবাদ শুধু বাংলাদেশের মানুষেরাই করবে কেন ?
এই প্রতিবাদ কিন্তু আমার আপনারও ।
আমার কাছে দেশ অনেক বড়। তবে তার চেয়েও বড় মানুষ এবং মানবতা ।
যদি দেশের মাথা উঁচু করতে চান তবে দেশের অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন ।
আপনার মধ্যে দিয়ে উঠে আসুক দেশের অন্য এক কণ্ঠস্বর ।

চলুক দেশ-জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্রের ঊর্ধ্বে উঠে মানবতাকে উচ্চে তুলে ধরে এমন মানুষের খুব অভাব পৃথিবীতে। বাংলা ভাষার দুই বড় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম যারা দু'দেশেরই সম্পদ তারা আমাদের পথ দেখাতে পারেন, যেহেতু তাদের সাহিত্য মানবতার জয়গানই গেয়েছেন সবচেয়ে বেশী করে। আপনার মত ভারতীয় ভাইয়েরা পাশে থাকলে নিশ্চয়ই আমরা ভারতের দাম্ভিক প্রশাসনযন্ত্রের ঘুম ভাঙ্গাতে পারব; তাদের বর্বরতা বন্ধ করতে পারব।

দময়ন্তী এর ছবি

আমার কিন্তু স্বাভাবিকই লেগেছে| 'ক্যামন ক্যামন' লাগে নি হাসি

আর হঠাৎ করেও সীমান্তে 'কাঁটাতার' ঢুকে পড়ে নি| বি এস এফ পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতেও যথেষ্ট অত্যাচার করে| মাঝেমধ্যে সেগুলো এমনকি মেইনস্ট্রীম মিডিয়াতেও এসে যায়| অল্টারনেট মিডিয়াগুলিতে চোখ রাখুন, অনেক খবর পাবেন| বি এস এফের অত্যাচার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ ওরফে 'মাসুম' বেশ অনেকদিন ধরেই হইচই করছে| আর একটা জিনিষ ভেবে দেখুন, 'চোরাচালানকারী' হোক বা 'খুনী' -- সেইটা বিচার না করে, প্রমাণ না হওয়া অবধি গুলি করে (বা অন্য কোনওভাবে) মেরে ফেলা যায় না|

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ঠিক বলেছেন দিদি ।
সম্পূর্ণ সহমত । চলুক

guest writer এর ছবি

ভাই, একটা কথা বলি,ভারতীয় হয়ে আপনারা কেন এখানে লিখতে আসেন ?

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

এই প্লাটফর্মটা কিন্তু বাংলা লেখালেখীর প্লাটফর্ম। এখন 'রবীন্দনাথ কার?' এই নিয়ে তর্ক শুরু হলে শেষ করা যাবে না, যেমনটা যাবে না আমাদের জাতীয় কবি নজরুল কার বললেও (নজরুল তাঁর পুরো সুস্থ জীবন পশ্চিমবঙ্গে কাটিয়েছেন)। এই সচলায়তনে বেশ কিছু সুলেখক রয়েছেন যারা পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছেন। এমন কি ভারত বনধ-এ বিভিন্ন তথ্য দিয়ে লেখা দেয়ারও উদাহরণ দিতে পারবো। তাই আসুন, আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালীদেরও অনুরোধ করি তারা যেন প্রতিবাদ করে। অন্যায়ের প্রতিবাদ সব সময় হওয়া উচিত; সেটা নিজের দেশের বিপক্ষে হলেও। তা না হলে মানবতা যুগে যুগে মার খাবে।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হাততালি

shafi.m এর ছবি

ভাই, একটা কথা বলি,ভারতীয় হয়ে আপনারা কেন এখানে লিখতে আসেন ?

শুনতে বাজে লাগল। অফ যা

শাফি।

সত্যপীর এর ছবি

ভারতীয় হয়ে আপনারা কেন এখানে লিখতে আসেন ?

চীনদেশের লোক হলেও এখানে লিখতে আসবে যদি বাংলা জানে। প্রশ্ন সেটা না, আসল প্রশ্ন হল, আপনি বাংলাদেশের লোক নিজের নামটাও বাংলায় টাইপ না করে লিখতে আসেন ক্যান?

..................................................................
#Banshibir.

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

চলুক

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

কেন আপনার কি তাতে আপত্তি আছে ।
থাকলে দুঃখিত ভাই ।
কিছু করার নেই ।

কারন আমি যতদূর জানি সচলায়তনের নীতিমালা অনুযায়ী ভারতীয় হয়ে এখানে লিখতে কোন বাধা নেই ।
আপনার আপত্তি থাকলে আপনি এমন একটা ব্লগ তৈরী করে সেখানে নিজের মতাদর্শ খাটান ।

সচলায়তন এবং তার সদস্যরা মূলত বাংলাদেশের হলেও তারা বাংলা ভাষা এবং মানবতার প্রতি দায়বদ্ধ ।
আজকে বি, এস, এফ এর হারামীপনা নিয়ে যেমন এখানে লেখা বেরোচ্ছে তেমন অন্যায় বি, ডি, আর করলেও সচলায়তন তার প্রতিবাদ করবে বলেই আমার বিশ্বাস ।

অন্যায় হলে তার প্রতিবাদ হওয়াই উচিত । মানবতা সর্বদাই দেশ-কাল-জাতি নিরপেক্ষ ।
একজন ভারতীয় হিসেবে সচলায়তন এবং সহ সচল দের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ কারন এখানে না এলে আমি অন্ধ দেশপ্রেমে আচ্ছন্ন থেকে মানবতাকে হেয় করতাম । কারন আমার দেশের ভাল আমি নিজের দেশে বসে সহজেই বুঝতে পারি কিন্তু খারাপটা বুঝতে অন্যের চোখ দিয়েই দেখতে হয় ।

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

প্রদীপ্তময় সাহা,
উত্তম জাঝা!

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা । আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

ভাই, একটা কথা বলি,ভারতীয় হয়ে আপনারা কেন এখানে লিখতে আসেন ?

এই কমেন্টে অফ যা অফ যা অফ যা অফ যা অফ যা

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

মানবিকতা জেগে উঠুক সব মানুষের মাঝেই।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

দীপালোক এর ছবি

সচলকে একটা স্বাধীন মত প্রকাশের প্ল্যাটফরম মনে করেই এই লেখা লিখেছি। ভুল করিনি, কি বলেন?
সত্যি কথা বলতে, সচলে আমি নতুন। ভারত বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কিংবা সারক সম্মেলনে অস্থির সীমান্ত কিংবা সুরক্ষা বাহিনীর গণহত্যা নিয়ে বোধহ্য় অতটা আলোচনা হ্য় না। হ্য়তো সেই কারণেই সচলের এই প্রতিবাদ প্রাথমিকভাবে একটু 'ক্যামন ক্যামন' লেগেছিল। এটা কিন্তু 'ভুরু কোঁচকানো' নয়। আমার বাড়ীর কেউ পাশের বাড়ীর কোনো নিরপরাধ বাচ্চার মাথা ফাটিয়ে দেয়ার পর ওখান থেকে যখন বিচার চাওয়া হয়, তখন কেমন লাগে, যখন বাচ্চাটাকেও আমি ভীষন ভালোবাসি? এটা কিন্তু আমার বাড়ীর ছেলেটিকে আড়াল করা নয়। আমি ওর উপযুক্ত শাস্তি চাই না এটাও ‌নয়। এটা বুকের ভেতর একটা চিনচিনে অনুভুতি। যেটা বোধহয় কারো সংগে শেয়ার করা যায় না।
আর একটা ব্যাপার । রাজনীতিওয়ালাদের কথা বাদ দিন,আমরা সাধারণ মানুষ কিন্তু বাংলাদেশ সম্পরকে যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।
শেষে ভালো থাকবেন লিখতে ভয় পাচ্ছি।
তবুও ভালো থাকবেন।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

চলুক

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

দীপালোক,
ভয় পাবার কিছু নেই, হাত খুলে লিখেন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আমার বাড়ীর কেউ পাশের বাড়ীর কোনো নিরপরাধ বাচ্চার মাথা ফাটিয়ে দেয়ার পর ওখান থেকে যখন বিচার চাওয়া হয়, তখন কেমন লাগে, যখন বাচ্চাটাকেও আমি ভীষন ভালোবাসি?

আপনার অনুভূতি বুঝতে পারছি। এই অনুভূতি হওয়াটা স্বাভাবিক, এর প্রকাশটাও তাই। কারণ, যতোই ''পূ:ব:, ময়মনসিংহ, কায়স্থ'' উল্লেখ করেন, সেটা কেবল উল্লেখ করার জন্যই। দিনশেষে আপনার বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহে হয় না, ভারতেরই কোচবিহার জেলায় হয়। আর বাংলাদেশের মানুষ গুলোও আপনার আপন মানুষ হয় না, যেমনটা হয়না পাশের বাড়ির ছেলেটি।

ঠিক এই কারণেই অন্যায় করার পরেও নিজের দেশের মানুষ কিংবা নিজের বাড়ির ছেলেটির ব্যাপারে 'চিনচিনে অনুভূতি' হয় আপনার বুকের ভেতর।

উপরে যেমনটা একবার বলেছি, অন্যায়কে অন্যায় হিসেবে দেখতে শিখুন। অন্যায়টা কে করেছে, সেটা না। আর পারলে ভৌগোলিক সীমারেখার বাইরে, নিজের উঠোনের পরিচয়ের বাইরে বের করে সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন। অনেককেই সাথে পাবেন, এবং আশাকরি সেইসাথে বুকের চিনচিনে অনুভূতিটাও কেটে যাবে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।