সকাল আটটার ক্লাস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৭/০৩/২০১২ - ১০:৫৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্লাসের জন্য ঘুম থেকে উঠার কথা চিন্তা করলেই মনের ভিতর একটা অনুভূতিই কাজ করে আর সেটা হল উফফফফ! কি যন্ত্রণাটাই না দিয়েছে পুরা ছাত্রজীবন জুড়ে। আর এই কষ্টটা প্রকটাকার ধারণ করে বুয়েটে আসার পরেই। প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়ার জন্য একবার করে সুইসাইড করা-এটাই হচ্ছে মূলনীতি। শুনেছি ঘুম আর মৃত্যুর মাঝে নাকি পার্থক্য অনেক কম। নিজের মৃত্যু থেকে নিজেই নিজেকে জাগিয়ে তুলে ক্লাসে যাওয়া- এতো আর যা তা ব্যাপার নয়। নাকি?

সকাল আটটায় ক্লাস। মোবাইলে ৭:৫০ থেকে প্রতি ১মিনিট অন্তর অন্তর অ্যালার্ম দেওয়া, ৮:০৫ পর্যন্ত। ঘুমিয়েই আছি। হঠাৎ করে প্রথম অ্যালার্ম বাজা শুরু হল, কোন সাড়া শব্দ নাই, এরই মধ্যে এক মিনিট পেরিয়ে গেছে।

শুরু হল দ্বিতীয় অ্যালার্ম। মোবাইলটারও কি কোন মায়া-দয়া নাই? নাহঃ এবারও কোন সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছেনা। কিন্তুক আমার চারপাশে বাকী তিনজনের উশখুশ শুরু হয়ে গেছে এতক্ষনে। আর কেনই বা হবেনা, অ্যালার্ম দেওয়া মোবাইলের সবচেয়ে কদর্য রিংটোনটা। জেগে থাকলেও এই জিনিস কেউ দুইবার শুনতে চাইবেনা।

এবার তৃতীয় অ্যালাম, ঘড়িতে তখন ৭:৫৩। পাশের খাট থেকে পাহলভী চিৎকার করে উঠল, কিং, উঠো। কিন্তু এদিকে আমার খাটে তখনও কোন সাড়া শব্দ নাই। পাহলভী কিন্তু উঠেছে অনেক আগেই, কিন্তু অ্যালার্মের শব্দ সইতে না পেরে তার এই ডাকাডাকি। কিন্তু আমি তো ঘুমন্ত এবং অ্যালার্ম বন্ধে নিরুপায়।

চতুর্থ অ্যালার্ম, ঘড়িতে ৭:৫৪। আমার খাট থেকে কর্ণ বরাবর তাকালে যে খাটটা দেখা যায় সেই খাটে রেজা ভাই থাকে, ডাকা শুরু করল আমাকে, কিং উঠো, কিং উঠো। আমি কিন্তু উঠছিই। এদিকে জুবায়ের ভাইয়ের ক্লাস ৯:০০টায়। আমার অ্যালার্মের ঠেলায় ঘুম ভেংগে যাওয়ায় এপাশ-ওপাশ করছে। কিন্তু নিতান্তই ভদ্রতাবশতঃ কিছুই বলতে পারছেনা। আমি ঘুমের মধ্যে চোখ আধবোজা অবস্থায় এইসব দৃশ্য দেখছি আর ঘুমাচ্ছি। হঠাৎ আলার্ম বাজা শুরু করল, মোবাইল হাতে নিয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে দেখি মোবাইলে বাজে ৭:৫৫। মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে, আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকী।

দেখি প্রক্সিটা ম্যানেজ করা যায় কিনা! প্রথম কল দেই বন্ডকে। ঘুমজড়ানো কন্ঠে বন্ড বলে ঘুমাচ্ছে সে, প্রক্সি দেওয়ার মত অবস্থায় নাই। সাথে এইটাও জুড়ে দেয়, পারলে আমারটাও দিস। মনে মনে গালি দিতে থাকি বন্ডকে, শালা ক্লাস না করার কি আছে, বাল? বিগাড় মনে ফোন দেই মাইটিকে। খুব ভালোভাবেই জানি ও জীবনেও ক্লাস করবেনা...তাও দিয়ে দেখি, যদি করে, তাইলে প্রক্সিটা পাবো। কিন্তু না, যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই ই হল। মাইটি ক্লাস করবেনা। মেজাজ তখন খুবই খারাপ। জানতাম ক্লাস করবে না তাও ফোন দিলাম, শুধু শুধু টাকাটা গেল। ধ্যাৎ!

রাজীব্বাই, বগা, পলাশ, ওয়াসি হেন কেউ নাই যে ফোন দিচ্ছিনা। সবারই কোন না কোন কারণ আছে প্রক্সি না দেওয়ার। একজন আবার ফোনে বলল, আমি প্রক্সি দিতে পারিনা। এটা কি ধরনের কথা যে প্রক্সি দিতে পারেনা এটা ভাবতে ভাবতেই দেখি, ঘড়িতে তখন ৭:৫৭। আমি মোটামুটি হতাশ। এরপর মনের এই হতাশার ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে ঘটনা সবসময়ই দুইটা দিকের যেকোন একটা দিকে মোড় নিয়েছে।

প্রথম মোড়ঃ হতাশা রেটিং স্কেলে ১০ এর মধ্যে ৮.৫ মাত্রার হতাশা। লেটার মার্ক হতাশার বৈশিষ্ট্যই হল এটা যাবতীয় বর্তমান ঘুমকে লেটার মার্ক পার্সেন্টেজ দিয়ে কোন একভাবে গুণ করে দেয়। কিন্তু কিভাবে গুণ করে এটা আমার এখনো জানা নাই। মাথার মধ্যে ঘুরতে থাকে, কি জানি ক্লাস আছে এখন? কত ক্রেডিট জানি? ওহঃ মনে পরসে, ৪ ক্রেডিট। তারমানেতো ৪.সামথিং টা ক্লাস এমনিই মিস দেওয়া যায়। ক্লাসও করবনা আবার একটা নাম্বারও কাটা যাবে না। সকাল ৭:৫৭ বাজে এর চেয়ে খুশীর আর কোন খবরই আমার জীবনে থাকতে পারেনা। খুশীর চোটে দেই ঘুম। আর হ্যা, সকাল ৯:০০ টার ক্লাসের জন্য ৮:৫০ থেকে প্রতি এক মিনিট অন্তর অন্তর অ্যালার্মটা আবারো ঠিক করে দেই মোবাইলটা টিপে টিপে। এই ক্লাসটা গেল গেল, নয়টার ক্লাস কোনভাবেই মিস করা যাবেনা। একদিনে দুদুটা ক্লাস মিসঃ নচেৎ নচেৎ!

দ্বিতীয় মোড়ঃ ঘড়িতে কিন্তু এখনো সেই ৭:৫৭। হতাশার মাত্রা তিন থেকে সাড়ে পাঁচ, এই সীমার মধ্যে নাচানাচি করছে। সিদ্ধান্ত এরই মধ্যে নিয়ে নিয়েছি, আজকে আমাকে যেভাবেই হোক সকাল আটটার ক্লাস করতেই হবে। আগের ২টা মতান্তরে ৩টা মিস আছে, আজকের ক্লাস করবই করব, কোন মিস নাই। কিন্তু এরই মধ্যে একটা নতুন চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরাফিরা শুরু করে। আচ্ছা, আসলে এখন কোন স্যারের ক্লাস? উনি কতক্ষন দেরী করে ক্লাসে আসেন? এইটা দেখতে হলেও তো আবার ব্যাগ থেকে খাতার পশ্চাৎদেশে সুন্দর করে লিখা রুটিন টা বের করে দেখতে হবে। খাতাটার জন্যও দুঃখ হতে থাকে, আমার হাতে পড়েছে বলে শুধু সুন্দর করে লিখা একটা ক্লাস রুটিনই তার সম্বল, ভিতরে ঝকঝকা ফিলিপ্স বাত্তি। মনকে প্রবোধ দিতে থাকি, কি আর করা বন্ধু, একটু সুখ পেতে হলে একটু কষ্ট যে করতেই হবে। নিতান্তই বাধ্য হয়ে ব্যাগখানা খুলে খাতাখানার পশ্চাৎদেশ চক্ষু সম্মুখে উন্মোচন করি। এখান থেকে স্যার অথবা ম্যাডামের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ঘটনাপ্রবাহ সবসময়ই তিনটা দিকের একটা দিকে বাঁক নিয়েছে।

প্রথম বাঁকঃ স্যারের নাম দেখেই হতাশা লেভেল ৪ থেকে সাঁই করে নেমে পুরা পয়েন্ট ফাইভ! কিছু দাঁত মনের অজান্তেই বেরিয়ে পড়ে। এই স্যার পাক্কা ৫মিনিট দেরী করে আসে। মানে ৮:০২ পর্যন্ত আরামে ঘুমানো যাবে। প্রথম কাজঃ ৮:০১ পর্যন্ত যাবতীয় অ্যালার্ম বন্ধ করা। আর এই কাজ করতে করতে এরই মধ্যে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি সেই খেয়াল কে কবেই বা রাখতে গেছে? হঠাৎ অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভাংগে। মোবাইলে দেখাচ্ছে ৮:০২। মনের মধ্যে শংকা, আজকে যদি স্যার দেরী না করে, তাহলে কি যে হবে! হাতে তিন মিনিট সময়। কাজ অবশ্য খুব বেশী একটা নাই। কোন একভাবে জিন্সটা পড়া, নিবে সময় ১ মিনিট। রাতের বেলা ব্রাশ করা দাঁতগুলোর উপরে আরেকবার মিন্টের একটু পরশ বুলিয়ে দেওয়া যেটাকে আক্ষরিক অর্থে দাতব্রাশ বলাটা কোনভাবেই আসে না, এটাতেও নিবে সময় সেই ১ মিনিট। আর রুমের গেট থেকে হলের গেট, মাঝখানে একটা অ্যাম্মো ম্যাঙ্গো মিল্ক কিনা...এটাও সেই ১মিনিটই নিবে। সব মিলিয়ে ৮:০৫, আই অ্যাম অন মাই ওয়ে। আর যেতে যে সময়টুকু লাগবে সেটাতো স্যার ক্লাসে ঢুকার পর রোল-কল করার আগ পর্যন্ত যে সময়টুকু নিবেন, সেখান থেকেই ধার করে নিব। মোবাইল একবার চেক করি, দেখি বাজে ৮:০৮। ভাইব্রেশন মোড টা অন করি, পকেটে একটা হাত যায় আর মুখ থেকে বের হয়ে আসে, স্যার, মে আই কাম ইন?

দ্বিতীয় বাঁকঃ স্যারের নাম দেখলাম কিন্তু হতাশা লেভেলের কোন পরিবর্তন নাই। খুবই দুঃখজনক, কোন ধরনের কোন ভবিষ্যৎবাণীই করা যাচ্ছে না মানুষটাকে নিয়ে। কোনদিন ২মিনিট দেরী করে ক্লাসে ঢুকেন তো কোনদিন কাঁটায় কাঁটায় আটটায়। নাহঃ আজকে আর কোন ধরনের রিস্ক নিবনা কিন্তু দোয়া করতে থাকি সব কিছু মিলিয়ে স্যার মিনিট খানেক দেরী তো করবেনই। আমাদের দেশে তো সবকিছু আবার দোয়ার উপরেই চলে! আমিও নাহয় খানিকটা গা ভাসালাম আর সবার সাথে, কি আসে যায় তাতে? তার মানে, নেট লাভঃ ১ মিনিট ঘুম। অ্যালার্মটা ঠিক করি ঠিক ৭:৫৮তে। এর পরের তিন মিনিটে অন মাই অয়ে, তার পরের তিন মিনিটে, মে আই কাম ইন, স্যার?

তৃতীয় বাঁকঃ এই বাঁক দিন শুরুর সবচেয়ে নিষ্ঠুর বাঁক। স্যারের নাম দেখেই মাথায় হাত। শিট, ‘ক’ স্যারের ক্লাস আজকে! এই স্যারতো পাঁচমিনিট আগে আসে। গেল মনে হয় আজকের ক্লাসটা। টের পাচ্ছি হতাশার লেভেল চড়চড় করে ৯ মাত্রায় উঠে গেল। কিন্তু কিছুই করার নাই, কারণ এই ক্লাসটা বাদ দিতে আমি বাধ্য...গুণিতক সূত্রানুসারে আমার ঘুম তখন আকাশচুম্বী। মনে হতে থাকে, প্রকৃতিই যখন চায় না আমি ক্লাস করি, তখন কি দরকার ক্লাস করে প্রকৃতিকে রুষ্ট করার। গেল না হয় কিছু নাম্বার কাটা, কিন্তু কার সাধ্য এমন যে প্রকৃতির বিরাগভাজন হয়। ‘ক’ স্যারের ক্লাস আজকে, ‘ক’ স্যারের ক্লাস আজকে...এইটা মুখস্ত করতে করতে আর নেক্সট ক্লাসের জন্য অ্যালার্ম দিতে দিতে ঘুমটা কখন যে এই ইহকাল থেকে পরকালে টান দেয় সেটা দেখতে যাইনি কখনই। এখন মনে হয়, চেষ্টা করে একবার দেখলেও পারতাম। এখন আর হাজার চেষ্টা করেও পারবনা।

শেষ ক্লাস শেষ হয়েছে বেশ কয়েক মাস হল, এখন শুধু থিসিস জমা দেওয়ার অপেক্ষা, আর তারপরেই আসছে অচেনা এক নতুন জীবন। প্রতিটা রাতেই নতুন করে অনুভব করি ঘুমেরও মনে হয় আবেগ-অনুভূতি আছে। সেও মনে হয় তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করতো ক্লাসের আগমুহূর্তের সেই মিনিটখানেক ঘুম। ঘড়ির কাঁটাটা সকাল সাতটা কে ছুঁয়ে আটটা কে পার করে নয়টাকে ঠেলে দশটা বাজায় গত তিন মাস ধরে প্রতিদিনই, কিন্তু ঘুম আর আসেনা। কিভাবে আসবে? সাধের বুয়েটের সকাল আটটার ক্লাসটাই যে আর নেই! আমার থেকে ক্লাসগুলোকে অনেক বেশী ভালবাসত মনে হয় আমার ঘুমটাই!

ছোটবেলায় শুনতাম ‘পুনর্জন্ম’। এটাকে বিশ্বাস করার কোন কারণ কোনদিনই খুঁজে পাইনি। কিন্তু রাতবিরেতের কোন এক কিম্ভূতকিমাকার লগ্নে ভাবতে ভালই লাগে, আরেকবার পুনর্জন্ম হলে ক্ষতি কি! আরেকবার নাহয় আমার ঘুম ঘুমাবে সকাল আটটার ক্লাসের জন্য। আমার জন্য একেবারেই না, হলই নাহয় পুনর্জন্ম আমার ঘুমের জন্য।

যাইগে, বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়তে বসি গে !
-কিংশুক


মন্তব্য

tanjil এর ছবি

কিং, বেশ ভাল হয়েছে।

কিংশুক এর ছবি

ধন্যবাদ আমিন্দা হাসি

Amit এর ছবি

আমি আবার রেগুলার লাইফ মেইনটেইন করতাম। সাতটায় ঘুম থেকে ওঠা , টয়লেট , দাঁত ব্রাশ , তারপর রেডি হয়ে আউল্লার কেন্টিনে নাস্তা করে ক্লাস করা। সিজিপিএ অবশ‌্য বি এর উপর যায় নাই মন খারাপ

কিংশুক এর ছবি

জীবনেও ৭:৫৭ এর এক মিনিট আগেও উঠতে পারিনাই।

বন্ধন চৌধুরী এর ছবি

চলুক

কিংশুক এর ছবি

ইয়ো বন্ড চলুক

sharmin bashar kheya এর ছবি

দারুন।

কিংশুক এর ছবি

চলুক

অদ্রোহ এর ছবি

সুস্বাদু লেখা। লেখালেখি জারি থাকুক চলুক

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

কিংশুক এর ছবি

আশা রাখি আমিও

মেঘা এর ছবি

ভালো লাগলো স্মৃতিচারণ। শুধু বুয়েট না সবার কলেজ ভার্সিটির ক্লাসের চিত্রটা এমনি। ক্লাস আছে সকালে মানেই মরণ ঘুম মন খারাপ

কিংশুক এর ছবি

ভূমিকম্প হচ্ছে, একটু পরে সবই স্মৃতি টাইপের ব্যাপার-স্যাপার হয়ে যেতে পারে।

অপ্সরী এর ছবি

লেখাটা বেশ ভাল হয়েছে।

কিংশুক এর ছবি

ধন্যবাদ

অতিথিঃ অতীত এর ছবি

এইদিক দিয়ে সবচেয়ে দুর্ভাগা মনে হয় রশীদ হল আর নজরুল হলের ছেলেরা। যেটা ক্যাম্পাস থেকে সবচেয়ে দূরে। তিতুমীর হলের ছেলেদের দেখে হিংসায় মাঝে মাঝে মনে হতো এরা বুঝি বাথরুমে দাঁত ব্রাশ করতে করতে রোলকলের জবাব দিতে পারবে। শুধুমাত্র পাঁচ-দশ মিনিট অতিরিক্ত ঘুমানোর জন্যে বেশ কয়েকবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম শুরুর দিকে যে হল পরিবর্তন করে তিতুমীর হলে চলে আসবো, যদিও পরে আর তা করা হয়নি।

লেখা চমৎকার। আরও লিখুন এমন প্রাণবন্ত লেখা। চলুক চলুক চলুক

অতীত

কিংশুক এর ছবি

আমিও তো রশীদ হল। হল থেকে দৌড়াতে দৌড়াতে ভার্সিটির দিকে যেতে যেতে এত মানুষের সাথে এতরকম পরিস্থিতিতে দেখা হয়, সেটাও অন্যরকম মজার অভিজ্ঞতা কিন্তুক।

কুমার এর ছবি

নজরুল হল টু ক্যাম্পাস রাস্তায় কাঁকের "ইয়ে" স্নাইপারের নির্ভুল নিশানার কারণে বিড়ম্বনার শিকার অনেককেই পাওয়া যাবে।

কিংশুক এর ছবি

এই বিড়ম্বনার স্বীকার অন্তত ক্লাসে যাওয়ার সময় হতে হয়নি, ভাগ্য ভালো ছিল মনে হয়

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

মাঝে মাঝে যখন এলার্ম ঘড়িও ঘুম ভাঙ্গাতে ব্যর্থ হয়। তখন মনে হয় যদি হেলিকপ্টার এর মত এলার্ম ঘড়ি থাকত তাইলে এটা উড়ে উড়ে এলার্ম বাজাত। আর এলার্ম বন্ধ করতে হলে এটাকে দাবড়িয়ে ধরে এলার্ম বন্ধ করা লাগত। এবার ঘুম না ভেঙে যাবে কোথায়। মজা করছি না । এরকম এলার্ম ঘড়ি কিন্তু সত্যিই আছে। সেই ঘড়ির নাম "Flying Alarm Clock"

কিংশুক এর ছবি

১৯.৯৯ ডলার জমা করাই দেখি জীবনের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াল।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

চলুক

হিল্লোল এর ছবি

আমি তিতুমির হলের, তাহলে কি আর বলার প্রয়োজন আছে আমি কয়টায় উঠতাম? চাল্লু চাল্লু চাল্লু

কিংশুক এর ছবি

গুরু গুরু

মর্ম এর ছবি

সকাল আটটার এমন প্রকাশ আগে কোথাও দেখিনি!

এ সত্য, বড় কঠিন সত্য....

ক্লাশের যন্ত্রনা পালিয়েছে, পাঁচ মিনিটের বোনাস ঘুমের মেয়াদ কমে তো নেই-ই, বেড়েছে বরং!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

কিংশুক এর ছবি

আমরাও একই পথের পথিক। সামনে আসছে‌‌‌।

প্রীনন এর ছবি

আজ বহুদিন পর সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠা হল,তাও থিসিস প্রেসেন্টেশনের লাইগা। অন্যান্য দিন তো এই সময়ে ঘুমাতে যাই।উঠেই দেখি ১১ জন ফ্রেন্ড একখানা পোস্ট শেয়ার করছে। পোস্ট পড়ে দেখি,আরে, এ যে কিংয়ের লেখা।পড়ে বেপক বিনুদিত হয়ে ,একই সাথে স্মৃতিকাতর হয়ে গেলাম প্রেসেন্টেশানে। সাবাস,কিং,চালায়ে যা। হাততালি

কিংশুক এর ছবি

চোখ টিপি চলে যাচ্ছে আরকি, পিনু চোখ টিপি

নিঃসঙ্গ পৃথিবী এর ছবি

চলুক

দীপালোক এর ছবি

আমা(দে)র মত ঘুমকাতুরেদের জন্য এক জবরদস্ত উপহার। ভীষন ভালো লাগলো।

কিংশুক এর ছবি

সম্মানিত বোধ করলাম হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কিপিটাপ শুক- রাজ চলুক চলুক

কিংশুক এর ছবি

চলুক

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি
চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি , মজা পেলাম। আমি হলে থাকতাম না তাই বাস ধরার জন্য আরো আগে উঠতে হতো। ৮ টার ক্লাসে হলের সবারই দেখতাম এমন উদভ্রান্ত অবস্থা। উশকো খুশকো চুলে ব্যাজার মুখে এ কোই এলাম ভাব নিয়ে বসে থাকতো। ১০ টায় ক্যাফেতে গিয়ে কিছু পেটে পরার পর মুখে একটু হাসি ফুটতো।

কিংশুক এর ছবি

ক্লাশ শুরু হওয়ার পর খালি হলের মধ্যে দৌড়ায় বেড়াইতাম কবে সিট পাবো এই আশায়। ভাগ্যিস তাড়াতাড়ি পেয়ে গেছি।

রাজর্ষি এর ছবি

সকাল আটটার ক্লাসে হলের ছেলেদের late দেখে স্যার বলেছিলেন distance আর time inversely proportional !

বন্ধন চৌধুরী এর ছবি

স্যার যথার্থই বলেছেন।

কিংশুক এর ছবি

কোনই সন্দেহ নাই

তৌহীদ এর ছবি

তিতুমীরে নিচ তলায় ছিলাম। বাট আই ওয়াস অলওয়েজ ''৮:১০''। হাসি

কিংশুক এর ছবি

তৌহিদ ভাই, সবই এখন ইতিহাস, আমরাও এখন ইতিহাস

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।