হিমালয় - বিরক্তিকর হলদে দেওয়াল গুলো থেকে বাঁচতে আমি বার বার পালাই যেখানে, সেই বরফ ঢাকা পাহাড়, সেই ঘন কালচে সবুজ জঙ্গলের রাস্তা আর তারা ভরা আকাশের হাতছানি। কখনো আপিসে লুকিয়ে একদিন দুদিনের ছোট ট্রিপ, কখনো ব্যাগ কাঁধে বাড়ির সবাইকে টেনশনে ফেলে লম্বা হাঁটা। এরকমই এক হাঁটার দিন এসেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যাওয়ার জায়গা ছিল অডেনস কল - গঙ্গোত্রি রেঞ্জ এবং যোগিন রেঞ্জ যেখানে মিশছে সেই জায়গাটা (৫৫০০ মিঃ)।
হিমালয় - বিরক্তিকর হলদে দেওয়াল গুলো থেকে বাঁচতে আমি বার বার পালাই যেখানে, সেই বরফ ঢাকা পাহাড়, সেই ঘন কালচে সবুজ জঙ্গলের রাস্তা আর তারা ভরা আকাশের হাতছানি। কখনো আপিসে লুকিয়ে একদিন দুদিনের ছোট ট্রিপ, কখনো ব্যাগ কাঁধে বাড়ির সবাইকে টেনশনে ফেলে লম্বা হাঁটা। এরকমই এক হাঁটার দিন এসেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যাওয়ার জায়গা ছিল অডেনস কল - গঙ্গোত্রি রেঞ্জ এবং যোগিন রেঞ্জ যেখানে মিশছে সেই জায়গাটা (৫৫০০ মিঃ)।
তো যাত্রা পথের খুব ডিটেলসে যাচ্ছি না; ঘটনা, দুর্ঘটনা মিশিয়ে সে-সব না বলাই ভালো। তাছারা আমার বন্ধুরা যে সব মিথ্যে দাবীগুলো করেছে আমার নামে, যেমন আমি নাকি মাতাল হয়ে বাস মিস করেছি বা আমি যে বোতলে পাছু ধুই ইয়ে করে, সেই বোতলেই কিশমিশ ভিজিয়ে খাই - সেগুলোকে আমি কুলোকের কুৎসা বলেই ধরে নিয়েছি। সে-সব নিয়ে আলোচনা না করাই ভালো।
আমাদের পদযাত্রা শুরু হয়েছিল গঙ্গোত্রী থেকে এবং শেষ হয় ঘুটু গ্রামে, ১৫০ কিমি র মতন দুরত্ব (সম্পুর্ন যাত্রাপথের কথা বললে অবশ্য আলাদা কথা, আপিসের পাশে ওপিয়াম বারে শুরু আর ঐ খানেই শেষ)। আপাতত তার কয়েকটা ছবি শেয়ার করছি এখানে, দময়ন্তী দি টিপস দিয়েছে যে ফটো ব্লগে লিখতে হয় না কিছু।
রুদ্রগঙ্গা বেস ক্যাম্প থেকে সামনের চিরবাসা রেঞ্জ -
রুদ্রগঙ্গা ভ্যালি -
অডেনস কল নিয়ার ক্যাম্পে যাওয়ার পথে হাল্কা বৃষ্টি, তারপরেই দুরের ভ্যালি জুড়ে ওঠে বিশাল রামধনু -
হিমাচল থেকে মেষপালক দের ক্যাম্প - এরা হিমাচল থেকে প্রায় তিন চারশ ভেড়া নিয়ে শুরু করে হাঁটা পাহাড় ধরে। সারা বছর হিমালয়ের জঙ্গলে ভেড়া চরায়, শীতের মুখে নেমে যায় হরিদ্বারে। শীত কালে কাটে হরিদ্বারে, বিক্রী হয় পশম। তারপর ফের শীতের শেষে পাহাড় ধরে ফিরতে থাকে নিজেদের রাজ্যে। শীত আসার মুখে হিমাচলে নিজেদের বাড়িতে এসে ঢোকে এরা। ফের বিশ্রাম আর পশম বিক্রী। গরম কালে আবার দু-বছরের জন্য ঘর ছারার পালা।
গঙ্গোত্রী হিমবাহের দেওয়াল, এই হলো জমে থাকা গঙ্গা নদী - এক বিশাল সভ্যতা কে লালন পালন করে চলেছে কত যুগ ধরে,
মৃত্যু উপত্যকা, পায়ের নীচে আলগা পাথর, হিমবাহ আর লুকিয়ে থাকা ক্রীভাস
বহু দুরের তুষার ঢাকা বিন্দু, ঐ খানেই অডেনস কল - গঙ্গোত্রী হিমবাহের দেওয়াল পাশেই তখনো
এই শুরু হয়েছে হাঁটা গন্তব্যের দিকে, অজস্র ক্রীভাস বাঁচিয়ে হেঁটে চলা শুধু - তার মধ্যে দুর থেকে ভেসে আসে Avalanche র আওয়াজ -
ওপরে ওঠার মাঝ রাস্তা থেকে বেস ক্যাম্পের জায়গা,
অবশেষে কলে পৌঁছান এবং সেখান থেকে তোলা দুদিকের Rabbit's Ear ,
এর পরেও বহু রাস্তা রয়ে গেছে, অনেক গ্রাম পেরিয়ে বাড়ি ফেরাও আছে। সে গল্প আলাদা।
------ বুনান
মন্তব্য
ওয়াও!!!
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
নীচে ছবি ট্যাগের নীচে সব ছবি আবার এসে গেছে। কি করে বুঝলাম না
অঙ্ক কি কঠিন !!
আসলেও চরম।
..................................................................
#Banshibir.
অসাধরন প্রতিটা জায়গা আর মুহুর্ত।
বুঝলাম.... আপ্নিও তারেক অণু ভাইয়ের মত একজন বদলুক। খেয়েদেয়ে কোন কাজ নেই আমার মত কুয়োর ব্যাঙদের মনের শান্তি নষ্ট করতে এসেছেন।
...একটা জায়গা এত সুন্দর কিভাবে হয়!!!
একবার কুয়ো থেকে বের হলেই দেখবেন আর কুয়োতে ঢোকা যায় না। হিমালয় হলো স্বর্গ, একবার ঐ টানে আটকে গেলেই ব্যাস ...
আরে গল্পগুলো লেখ| একটু একটু করে লেখ|
আরে সে কত গল্প। আমার লেডিকেনি খেতে খেতে গরুর গুঁতো খাওয়ার গপ্প থেকে শুরু করে, পাথর পরার মাঝে দৌড়ে গুহায় ঢুকে পরার গপ্প। অত লিখতে গেলে আমি গেলাম ঃ( ঃ(
সেই তার আগের বারের রুদ্রনাথ, সেটাই শেষ করা হলো না
দুর্দান্ত সব ছবি । পুরাই
পুরা ট্রেকটার বর্ণনা শুনার জন্য উন্মুখ হয়ে বসে আছি। শীঘ্রই পাবো আশা করছি।
ট্রেকের গপ্প লেখা মানে অনেক লিখতে হয় দাদা, আচ্ছা তাও চেষ্টা করে দেখি
অসাধারণ !!!!
ভাই আপনি মানুষ ভালোনা, এমন সব জায়গায় গিয়ে এমন সব অসাধারণ লোভনীয় ছবি দিয়ে মনের মধ্যে পুরনো ইচ্ছা জাগিয়ে দিচ্ছেন !!! আহা হিমালয় আর তিব্বত যাওয়ার অনেক শখ আমার
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
একটা জীবনে মনে হয় না হিমালয় ঘুরে শেষ হবে দাদা। এখনো কত জায়গা, কত পাস, কত কল, কত হিমবাসে পায়ের ছাপ পরেনি। চলে আসুন একটা ছুটি নিয়ে লম্বা। অনেক হাঁটা যাবে।
হ্যাঁ, ছুটি নিতেই হচ্ছে দেখছি, তিব্বত যেতেই হবে এরপরে।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
খুব সুন্দর!!!
ধন্যবাদ
ওরে জটিল রে। ফাকিবাজি রাইখ্যা একেবারে ডিটেইল বর্ণনা দেয়ে পোস্ট দ্যান মিয়া। আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
আপনার কথা কিন্তু ভেবে দেখছি, মানে ঐ লাখ পাঁচ
কি ছবি দিসেন এইসব! পৃথিবী এত সুন্দর কবে থেকে হলো ?
বড় সুন্দর এই পৃথিবীর লুকনো জায়গা গুলো
দুর্ধর্ষ সব ছবি
এক "তারেক অণু"র জ্বালায় বাঁচি না এখন যুক্ত হয়েছেন আরেকজন। সচল পড়াই বন্ধ করে দিতে হবে দেখছি
ঃ) ঃ) ঃ)
দুর্দান্ত
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ঃ) ধন্যবাদ দাদা
এককথায় - চমৎকার। লিখুন এর পেছনের কাহিনীগুলি পড়তে ভালো লাগবে জানি।
ডাকঘর | ছবিঘর
চেষ্টা করছি লেখার দাদা
লগিন করলেই পাসওয়ার্ড পাল্টানোর জন্য চেপে ধরবে এই ভয়ে লগিন করছিলাম না। আপনার ছবিগুলি দেখে আর থাকা গেলো না।
ফটোব্লগে পুরা শান্তি নাই। ডিটেইল বর্ণনা দিয়ে একটা লেখা দ্যান, পড়ি। হিমালয়ের ব্যাপারে প্রতিটা লেখাই আমার কাছে খুব ইন্টারেস্টিং
অলমিতি বিস্তারেণ
আচ্ছা অল্প করে করে ডিটেলস লিখবো খন
অসম্ভব ভালো লাগলো। পারলে আরও বিস্তারিত লিখেন, আরও ছবি দিয়েন।
চেষ্টা করছি লেখার, আমি সামান্য কুঁড়ে কিনা ঃ-)
চমৎকার, পরেরবার বর্ণনা আরো বেশী আশা করছি, এই বছর অল্প সম্ভাবনা আছে হিমালয়ে ফেরার, আগেই জনাইয়ে রাখব। আমি আছেন কোন শহরে?
facebook
আমি তো কোলকাতার, বছরের শেষ দিকে একটা বড় প্ল্যান আছে। চলে আসুন সোজা
দুজনেই হিমালয় যাওয়ার প্ল্যান করছেন দেখে আর চুপ থাকতে পারছিনা, আমিও যোগ দিতে চাইছি, যদি কিছু মনে না করেন তো দয়া করে আমার সাথেও যদি একটু যোগাযোগ করেন, আমি জুনের প্রথম সপ্তাহে ভারত ছাড়ছি।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনি এদিকে আসছেন কবে? জুন থেকে আগস্টের শেষ অব্দি পাহাড় যাওয়া যাবে না, মানে ট্রেকিং হবে না। ঐ সময় ভয়ানক বৃষ্টি। আমরা সেপ্টেম্বরে যখন গেছি, রাস্তা ঘাটের হাল দেখে চমকে গেছি। ধস নেমে ভয়ানক হাল।
তবে ট্রেকিং না হলেও বেড়াতে অসুবিধে নেই।
সিকিম কি অরুনাচল। রাভাংলা তে দেখা যায় চোখ ঝলসানো সবুজ। তাকিয়ে থাকা যায় না। চলে আসুন, প্ল্যান করে ফেলবোখন ঃ)
আমি এদিকে আবার যদি আসি তাহলে অক্টোবর কিংবা নভেম্বর নাগাদ আসবো, প্ল্যান করে ফেলুন, জানাবেন অবশ্যই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
নিশ্চয় নিশ্চয়, খুব ভালো সময় ওটা।
আরি ! কী সুন্দর ! কী সুন্দর !!
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ঃ) ঃ)
বুনান্দা, ছবিগুলো কি আপনার নিজের তোলা? যদি নিজের হয় তবে নিশ্চই অনলাইনের কোথাও ফ্লিকার বা ফটো.নেট বা আর কোথাও আছেন। লিঙ্কটা দেয়া যায়? অসম্ভব সুন্দর সব ছবি। সত্যিকারের যায়গাগুলো না জানি কত সুন্দর। বাংলাদেশ এতো ছোট তাই এখনো কত কত যায়গা যাওয়া হলোনা। আর এতো দেশের বাইরের। পুরো ভ্রমণ কাহিনীটা জানতে ইচ্ছে করছে। ভাল থাকবেন।
হ্যাঁ আমার তোলা। আপনি bunan . shutterfly . com গেলে পাবেন কিছু দেখতে। আমার ছবি খুব একটা গুছিয়ে রাখা হয় না। তাও আছে ওখানে কিছু । বাংলা দেশে গেলে আমি সুন্দর বন যাবো সবার আগে। শুনেছি সত্যিকারের সুন্দর বন নাকি বাংলাদেশেরটাই
বর্ণনা চাই। দময়ন্তী দি কী বলেছে ভুলে যান। আমরা তো আর উনার মত চাইলেই পাহাড়ে যেতে পারিনা।
...........................
Every Picture Tells a Story
লিখ্বো, লিখবো বর্ণনা লিখবো
নতুন মন্তব্য করুন