এ্যাকাডেমিক পাবলিশিং-৪: মৌল ১১৮ আবিষ্কারের নেপথ্যের জালিয়াতি

কুমার এর ছবি
লিখেছেন কুমার [অতিথি] (তারিখ: শনি, ৩১/০৩/২০১২ - ৯:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আগের পর্বঃ প্রথম পর্বদ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব

পর্যায় তালিকাতে একসময় অনেক ফাঁকা জায়গা ছিল। বিজ্ঞানীরা ভেবেছিলেন সময়ের সাথে সাথে এই শূন্যস্থান পূর্ণ হবে, হয়েছিলও তাই। এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত ১১৮ টি মৌলের মধ্যে ৯০ টি প্রকৃতিতে প্রাপ্ত, বাকীগুলো কৃত্রিমভাবে তৈরী। ইউরেনিয়াম (মৌল ৯২) পরবর্তী সবগুলো মৌল কৃত্রিমভাবে তৈরী। অনেকে বলছে পর্যায় তালিকার প্রথম ৯২ টি মৌল প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। কেউ বলছে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত মৌল ৯২ টিও নয় ৯০ টিও নয়, ৮৮ টি; কেউ বলছে ৮১ টি। টেকনেটিয়াম, প্রমিথিয়াম, পোলনিয়াম, ফ্র্যান্সিয়াম সহ আরও কয়েকটি মৌলের কোন স্হায়ী রূপ না থাকাতে এই বিতর্কের সূত্রপাত। প্রাকৃতিক মৌলের কোন কোনটি প্রকৃতিতে এতটাই বিরল যে বিজ্ঞানীরা বিকল্প পথ খুঁজেছেন, কৃত্রিমভাবে উদ্ভাবনের চেষ্টা করেছেন। প্রকৃতিতে বিরল টেকনেটিয়াম (মৌল ৪৩) কৃত্রিমভাবে তৈরী প্রথম মৌল, ১৯৩৭ সনে এটি গবেষণাগারে উদ্ভাবিত হয়।

কৃত্রিমভাবে মৌল কিভাবে তৈরী করা যায়? পরীক্ষামূলক কৌশল যেমন পার্টিকেল এক্সিলেটর (particle accelerator) এবং নিউক্লিয়ার রিয়াকশন ব্যবহার করে নতুন মৌল উদ্ভাবন করা হয়। সাইক্লোট্রন (Cyclotron), সিঙ্ক্রোট্রন (Synchrotron), কলাইডর (Collider), হ্যাড্রন কলাইডর (Hadron Collider) এগুলো সব পার্টিকেল এক্সিলেটর। পরমাণুকেন্দ্রে (নিউক্লিয়াস) থাকে শুধু প্রোটন। পরমাণুকেন্দ্রের প্রোটন সংখ্যাকেই বলে পারমানবিক সংখ্যা। কোন মৌলের পরমাণুকেন্দ্রে যদি কোনভাবে আরও প্রোটন সংযুক্ত করে দেয়া যায়, আরও ভারী মৌল তৈরী হয়। যত প্রোটন, তত ভারী। কৌশল অনেকটা টার্গেট প্রাকটিস বা বোমবাস্টিং খেলার মত। একটি মৌল স্থির রেখে তাঁর উপর কেন্দ্র বরাবর ভিন্ন একটি মৌলের আয়ন অসম্ভব দ্রুতগতিতে ছোড়া হয়। একটি মৌলের কেন্দ্র অপরটির কেন্দ্রের সাথে একীভূত হলেই নতুন মৌল তৈরী হয়। যদিও লাইলী-মজনুর মিলনের সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ, আবার ভালবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না (নতুন মৌল খুব ক্ষণস্হায়ী)। অতিসরলীকৃত ভাষায় কৌশল অনেকটা এরকম।

একটা উদাহরণ দেয়া যাক। লেড (বা সীসা) কে টার্গেট করে যদি ক্রিপ্টন ছোড়া হয়, নতুন মৌল ১১৮ (অস্হায়ী নামঃ আনআনঅক্টিয়াম, প্রতীকঃ Uuo) তৈরী হতে পারে। পোলিশ তাত্ত্বিক পদার্থবিদ রবার্ট স্মোলাঙ্কজুক ১৯৯৮ সনে ফিজিক্যাল রিভিউ সাময়িকীতে লেড আর ক্রিপ্টনের সংঘর্ষের মাধ্যমে মৌল ১১৮ তৈরীর গাণিতিক ধারণা দেন। আনআনঅক্টিয়াম! এইটা আবার কেমন নাম? নতুন আবিষ্কৃত প্রাণীর নাম যদি হ্যাংলাথেরিয়াম, গোমড়াথেরিয়াম, লাংড়াথেরিয়াম, বেচারাথেরিয়াম হতে পারে, মৌলের নাম আনআনঅক্টিয়াম হতে দোষ কি? রবার্ট স্মোলাঙ্কজুক ১৯৯৮ সনের শেষের দিকে ফেলো হিসাবে লরেন্স বার্কলে ল্যাবে আসেন।

লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরীতে (Lawrence Berkeley National Laboratory) ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া কতৃক পরিচালিত রাষ্ট্রীয় গবেষণাগার। লরেন্স বার্কলে ল্যাব ইতিপূর্বে এর ৮৮ ইঞ্চি সাইক্লোট্রন দিয়ে ইউরেনিয়াম পরবর্তী অনেকগুলো কৃত্তিম মৌল আবিষ্কার করে। প্রত্যেকটা আবিষ্কারের সাথে সাথে এর সুনামও যেমন বৃদ্ধি পায়, সাথে সাথে মিলে দেশী বিদেশী বোদ্ধাদের আকুন্ঠ প্রশংসা। কিন্তু নতুন শতাব্দীর দোরগোঁড়ায় এসে লরেন্স বার্কলের সাফল্য কেমন পলাশীর যুদ্ধে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার মত স্তিমিত হয়ে টিমটিম করে জ্বলতে থাকে। অনেকদিন ল্যাবের মৌল আবিষ্কারের টিম কোন উদযাপনের উছিলা পায়নি, ঐদিকে জার্মানি আগায় গেছে তরতর করে। সাইক্লোট্রনটি যেন শরৎবাবুর মহেশের মত বয়সের ভারে নুজ্জ, ক্লান্ত। ল্যাবের কর্মকর্তারাও বুঝল এই হাড় জিরজিরে সাইক্লোট্রন দিয়ে আরো ভারী মৌল আবিষ্কার সম্ভব নয়, নতুন যন্ত্রপাতি না হলে এই মুলুকে আমাগো রাজত্ব শ্যাষ। লরেন্স বার্কলে তার সাইক্লোট্রনটিকে আধুনিকীকরণের ব্যবস্হা করে ১৯৯৯ সনে। বার্কলে গ্যাস ফিল্ড সেপারেটর (Berkeley Gas Filled Separator) নামের নতুন একটা যন্ত্র বসানো হয়। উদ্দেশ্য, সাইক্লোট্রন থেকে পারমাণবিক সংঘর্ষের (নিউক্লিয়ার কোলিশন) পর ধ্বংসাবশেষ (ডেব্রী) পৃথক করে ভারী মৌল আবিষ্কারের পথ সুগম করা।

ভিক্টর নিনভ লরেন্স বার্কলে ন্যাশনাল ল্যাবরেটরীতে (Lawrence Berkeley National Laboratory) ১৯৯৬ সনে যোগ দেন। ইতপুর্বে নিনভ জার্মানির ডার্মস্টাডে অবস্থিত বিখ্যাত ভারী মৌল গবেষণা কেন্দ্রে (GSI Helmholtz Centre for Heavy Ion Research) কাজ করতেন। ডার্মস্টাডটিয়াম (মৌল ১১০), রেন্টগেনিয়াম (মৌল ১১১), কপারনিসিয়াম (মৌল ১১২) আবিষ্কারের সাথে নিনভ যুক্ত ছিলেন। নিনভকে ইউরেনিয়াম পরবর্তী তেজস্ক্রিয় মৌলের রেডিওঅ্যাক্টিভ ডিকে চেইন নিরূপণে ব্যবহৃত জটিল সফটওয়্যার পরিচালনায় একজন শীর্ষ বিশেষজ্ঞ মানা হত।

রবার্ট স্মোলাঙ্কজুকের মৌল ১১৮ তৈরীর তাত্ত্বিক প্রমানকে সামনে রেখে ভিক্টর নিনভ এবং তাঁর সাগরেদরা লরেন্স বার্কলের নতুন যন্ত্রপাতি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। গবেষণা শুরুর অল্প কিছুদিন পরে ১৯৯৯ সনের অগাস্ট মাসে নিনভ তাঁর গবেষণার সফলতা দাবী করেন। গবেষণায় প্রথমবারের মত মৌল ১১৮ এর তিন তিনটি পরমাণু পর্যবেক্ষণ করা গেছে বলে নিনভ ফিজিক্যাল রিভিউ সাময়িকীতে উল্লেখ করেন। ঐ একই সময়ে জার্মানি, ফ্রান্স, রাশিয়া, জাপান লরেন্স বার্কলের থেকে আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে মৌল ১১৮ তৈরীর চেষ্টা করছিল, কিন্তু সাফল্য তাঁদের ধরা দেয়নি। নিনভের সাফল্যের পর বিজ্ঞানীরা নিনভ বর্ণিত উপায়ে লেড আর ক্রিপ্টনের সংঘর্ষের মাধ্যমে মৌল ১১৮ তৈরীর চেষ্টা করেন। কিন্তু বিধিবাম, বিলিয়ন বিলিয়ন আয়ন ছোড়ার পরও একটি পরমাণুর দেখা মেলে না। সংগত কারনেই নিনভের সাফল্যকে সবাই বাঁকা চোখে দেখা শুরু করে। সন্দেহের মেঘ ঘনীভূত দেখে নিনভ আবার পরীক্ষা শুরু করেন, কয়েকদিনের মধ্যে আরও একটি পরমাণু পর্যবেক্ষণের খবর নিশ্চিত করেন। সবাই বলে কাহিনী কি? তোমরাই খালি পাও, আমরা কেন পাই না?

সায়েন্টিফিক কম্মুনিটির সংশয় দেখে ২০০১ সনে লরেন্স বার্কলে কমিটি গঠন করে নিনভের কেসের তদন্ত শুরু করে। প্রথমেই নিনভকে ওএসডি করা হয়। নিনভের কম্পুতে সংরক্ষিত যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত জব্দ করা হয়। সাইক্লোট্রন থেকে প্রাপ্ত জটিল তথ্য-উপাত্তকে ব্যবহারোপযোগী সরল করার দায়িত্বে ছিলেন নিনভ, কমিটির সদস্যদের মতে একমাত্র নিনভের পক্ষেই সম্ভব জাল করা। কমিটির সদস্যরা সাইক্লোট্রনের জটিল তথ্য-উপাত্তকে পুনরায় যাচাই করেন, কিন্তু কোন ক্ষেত্রেই মৌল ১১৮ এর ছিটেফোঁটা দেখতে পায় না। তদন্তে জলের মত পরিষ্কার নিনভ চারটি ক্ষেত্রেই তথ্য-উপাত্ত জাল করেছেন। অভিযোগ প্রমানিত হয়, অসদাচরণের দায়ে নিনভকে চাকরীচ্যুত করা হয় ২০০২ সনে। নিনভ যন্ত্রের সমিস্যা বলে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেন। নিনভের দাবী তিনি একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্তের শিকার, সহযোগীরা ভুল স্বীকার না করায় তিনিই আজ বলির পাঁঠা। চৌর্যবৃত্তির ঘটনা প্রকাশের পর নিনভের পূর্ব কর্মস্থল জার্মানির GSI ও রেন্টগেনিয়াম আর কপারনিসিয়ামের তথ্য-উপাত্ত পুনরায় যাচাই করে, ঐখানেও শুভঙ্করের ফাঁকি পাওয়া যায়।

এরপর নিনভের কি হল? তথ্য গোপন করে ইউনিভার্সিটি অফ প্যাসিফিকে একটা মাস্টারির পদ নিনভ পেয়েছিলেন, পরবর্তীতে চৌর্যবৃত্তির ঘটনা কর্তৃপক্ষের নজরে আসায় চাকরীটি হারান। মৌল ১১৮ এর কি হল? ২০০৬ সনে আম্রিকা-রাশিয়া যৌথ প্রযোজনার গবেষক দল আনুষ্ঠানিকভাবে মৌল ১১৮ তৈরীর ঘোষণা দেন। স্থান এবার লরেন্স বার্কলে নয়, অধিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন রাশিয়ার ডুবনায় অবস্হিত ভারী মৌল গবেষণা কেন্দ্র। লেড আর ক্রিপ্টনের মাধ্যমে নয়, ক্যালিফোর্নিয়াম আর ক্যালসিয়ামের সংঘর্ষের মাধ্যমে। স্কুলে লুৎফুজ্জামান বাবরীয় কায়দায় শিখেছিলাম, অল য়ামস আর ধাতুজ এক্সছেপ্ট হিলিয়াম। কারণ হিলিয়াম নিষ্ক্রিয় গ্যাস। আনআনঅক্টিয়াম জাতিতে নিষ্ক্রিয় গ্যাস গ্রুপের হলেও, নামকরণের হর্তাকর্তাদের নিয়ম অনুসারে নতুন আবিষ্কৃত সকল মৌলের শেষ হবে “য়াম” দিয়ে।

(চলবে)

কুমার


মন্তব্য

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ঠিকাছে! পাতলুন খোলা জারি থাকুক! হো হো হো

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কুমার এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ রতনদা।

বাউলিয়ানা এর ছবি

আপনার এই সিরিজটি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। আশা করি সামনে আরও লেখা পাব।

আপনি কোনো রেফারেন্স দেননি। ধরে নিচ্ছি ম্যাটেরিয়াল রিভিউ করে লিখছেন। চমতকার হচ্ছে সিরিজটা।

কুমার এর ছবি

বাউলিয়ানা ভাই, চেষ্টা করেছি যথাসাধ্য রিভিউ করে লেখার। আপনার চমৎকার মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা। অনেক ধন্যবাদ।

চরম উদাস এর ছবি

জটিল হো হো হো । আপনাকে হাচল করা হোক।

কুমার এর ছবি

উদাস ভাই, আপনে কইলেন হও, আর হইয়া গেলাম। আপনেরে মডু মডু লাগে।

চরম উদাস এর ছবি

আমি মডু না তবে মডুরা অনেকে আমারে সমঝে চলে, কখন কোথায় কারে বেফাঁস পচানি দিয়ে ফেলি এই ভয়ে আরকি খাইছে । নিউট্রিনো নিয়ে যেই ঘাপলাটা হলো, আইনস্টাইন এর পাতলুন ধরে টানতে গিয়ে নিজেরাই উদোম হয়ে গেল সেটা নিয়ে একটা লিখা লিখবো ভেবেছিলাম। পরে মনে হইলো এই ধরনের লেখা ঠিক আমার সাথে যায় না। পাবলিক ভাববে চরম উদাস গাঞ্জা খাইছে খাইছে । এইটা নিয়ে একটা পর্ব লিখে ফেলেন।

কুমার এর ছবি

হ নিউট্রিনো নিয়ে একটা লেখা আসতে পারে। তয় আপনি লিখলে পড়তে মেলা আরাম হবে এটা নিশ্চিত। পাবলিকে ভাবলে কার কি? উদ্ভিজ্জ প্রোটিন খাইলে দুষের কি?

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

কঠিন কঠিন বিষয়গুলি এত সুন্দর করে লেখেন !
আপনার জন্য হাততালি

কুমার এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। হাসি

সত্যপীর এর ছবি

হাত্তালি। কৈসিলামনা এই সিরিজ চললে ফট করে সচল হয়া যাবেন? দ্বিতীয় পর্বে দ্যাখেন বলসিলাম "এইরকম আর দুইটা লিখা নামান দেখবেন কি সুন্দর সচল হয়ে গেসেন।"

ঠিক আর দুইটা লিখা নামাইসেন আর সচল হইসেন কিনা?

হুঁ হুঁ বাবা, আমি ব্যাপক জ্যোতিষ।

..................................................................
#Banshibir.

কুমার এর ছবি

আপনে বিরাট জ্যোতিষ, নামডা কি খালি খালি সত্যপীর। পীরসাবরে সেলাম। হাসি

পথিক পরাণ এর ছবি

বিজ্ঞান বুঝতারিনা, তয় চৌর্যবৃত্তি বুঝতারছি-- হো হো হো

চরম উদাস ভাই কইল হও- আর হইয়া গেলেন? কেম্নে কি? মন খারাপ

হাচলত্বের অভিনন্দন।

--------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---

কুমার এর ছবি

ধন্যবাদ পথিক ভাই।

ভালো মানুষ এর ছবি

গুরু গুরু

কুমার এর ছবি

চিন্তিত

তাপস শর্মা এর ছবি

ফাটাফাটি। উত্তম জাঝা!

কুমার এর ছবি

ধন্যবাদ তাপসদা।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এক টানে সিরিজের সব লেখা পড়লাম। দারুণ লাগলো। চলুক।

কুমার এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ ইশতিয়াক ভাই। চলবে। হাসি

রানা মেহের এর ছবি

আপনার লেখা আগেও পড়েছি। মন্তব্য করা হয়নি।
অনেক ভালো সিরিজ। আপনার লেখাও সুন্দর। চলুক

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কুমার এর ছবি

ধন্যবাদ রানা মেহের।

শাব্দিক এর ছবি

জটিল!

কুমার এর ছবি

এত সোজা করে লিখলাম, তাও জটিল লাগলো শাব্দিক ভাই! চিন্তিত আপ্নারে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- পড়ার জন্য।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।