• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

স্পাইডারম্যান যখন ছাগু

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৪/২০১২ - ৩:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভূমিকা

আমি বিজ্ঞানী রণক্লান্ত, আমি সেইদিন হব শান্ত, যবে ...। নাহ, আমার শান্ত হবার কোন উপায় সত্যিকারের বিজ্ঞানীরা রাখেন নাই। তারা অক্লান্তভাবে বিজ্ঞান চর্চা করে যাচ্ছেন, আর আমার মত বিজ্ঞানের মুগ্ধ দর্শক, পাঠক, উপকারভোগীকে অশান্তিতে রেখে চলেছেন। সেই অশান্তি আমি সচলায়তনে ছড়িয়ে দিতে চাই।

সচলায়তন পড়ি অনেক দিন ধরে, কিন্তু অনেক ব্যাপারেই কম জানি আর বুঝি বলে অংশ গ্রহন করতে সংকোচ হয়। ভুলভাল কিছু বলে বসলে বিজ্ঞ সচলরা কিভাবে তুলা ধুনে দেন, তা তো রোজই দেখি। আগেকার দিনে শুনেছি দূত রাজার দরবারে ঢুকে বলত, ভয়ে বলব না নির্ভয়ে। আমারও তাই সচলায়তনের কাছে জিজ্ঞাসা, ভয়ে লিখব না নির্ভয়ে। ভয়ে ভয়ে একটি লিখা দিচ্ছি, জানি না ছাপা হবে কি না। যদি ছাপা হয়, আরও একটি লিখব। সেটি ছাপা হলে আরও একটি। সেটি ছাপা হলে ... এভাবে চালিয়েই যাব। তারপর সেইদিন হব শান্ত, যবে ...।

আসল লেখা

আমরা যারা বিজ্ঞানী, তাদের কলারের ওপর একটি করে ভূত বাস করে। যখনই একটু সুখ করতে যাই, ভূতটি তখন কলার ছেড়ে বেড়িয়ে গদাম করে এক কিল বসিয়ে দেয়। তাই আমরা সুখে থাকতে পারি না। ভূত আমাদের কিলায় বলে। নজরুল জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কিসের নেশায় করছে তারা বরন মরন যন্ত্রনাকে? উত্তর হচ্ছে, কলারের ভূত। যে বিজ্ঞানী গেঞ্জি পরে এই কলারের ভূতের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে চায়, সে বোকা।

এমনই কিছু কিলখেকো ভাইবেরাদার আমার, মাকড়সা নিয়ে খুব গবেষণা করেছেন। তবে তাদের মতলবটি খুব ভাল নয়। তারা নিরীহ গরীব মাকড়সার পকেট মেরে তার জাল লুট করতে চান।

মাকড়সা আমাদের সকলেরই মুরুব্বি। আটতিরিশ কোটি বছর ধরে তারা চালের দাম, তেলের দাম ইত্যাদি সহ্য করে পৃথিবীতে টিকে আছে। আর এই আটতিরিশ কোটি বছর ধরে তারা তাদের জাল নিয়ে জালিয়াতি করে আসছে। মাকড়সার জাল দিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলা যায় না, তবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের লোকেরা মাছ ধরে, তার এমনই আঠা। কাঁঠাল ও পিরিতি, এই দুই জনই মাকড়সার জালের কাছে পরাস্ত। বিজ্ঞানী ভাইদের কুদৃষ্টি তাই এই জালের ওপর।

কেন এই জাল নিয়ে বিজ্ঞানীদের এত জ্বালা?

মাকড়সার জাল ওজনের তুলনায় বড়ই মজবুত। ধরে টানলে সে লম্বা হয়, টান ছেড়ে দিলে আবার ফিরে আসে আগের দৈর্ঘ্যে, সহজে ছেঁড়ে না। সমান ওজনের ইস্পাতের সুতা বানিয়ে মাকড়সার জালের সুতার সাথে তুলনা করুন, ইস্পাতও কাঁঠাল ও পিরিতির মতই মাকড়সার জালের কাছে শক্তির পরীক্ষায় ফেল। এ যেন ডিপজলের সাথে ব্রুস লির তুলনা।

কিন্তু মাকড়সা এই জাল দিয়ে করে কি দেখুন। সে জাল টানিয়ে পোকা ধরে, আবার সেই পোকাকে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে ঠোঙ্গা বানিয়ে ফেলে। তারপর একটা ইনজেকশন দিয়ে সেই ঠোঙ্গার ভিতরে যা কিছু আছে, সুপ বানিয়ে ফেলে। তারপর সেই সুপ খেয়ে ঘুমাতে যায়। বিজ্ঞানের কোন কাজেই সে তার এই আশ্চর্য জাল কাজে লাগায় না। তার চিন্তা শুধু পেটটা নিয়ে।

কিন্তু বিজ্ঞানীদের মাথা ভর্তি নানা কুবুদ্ধি, আর কলারে বাস করে সেই ভূত। যে কিলায় আর কিলায়। তারা মাকড়সা নিয়ে তুমুল গবেষণা করেই যাচ্ছেন। মাকড়সার তো হরেক জাত, কার জালের কোয়ালিটি কেমন, এ নিয়ে তাদের নাওয়া খাওয়া বন্ধ।

আর মাকড়সাগুলোও কম চরিত্রহীন নয়। আটতিরিশ কোটি বছরে তারা অজাত কুজাতের সাথে পালিয়ে বিয়েশাদী করে এমন হাজারো প্রজাতিতে ভাগ হয়ে গেছে, খুবই কেলেঙ্কারী ব্যাপার, খুলে বলতে লজ্জা লাগে। একেক প্রজাতির মাকড়সা জাল দিয়ে একেক কাণ্ড করে। জাল পেতে পোকা ধরা ছাড়াও নানা কায়দা কানুন শিখে গেছে তারা। কোন মাকড়সা ফাঁস বানায়, কোন মাকড়সা ফাঁদ বানায়। নানা মজহাবে তারা বিভক্ত।

মাকড়সার যে জালটি আমরা দেখি এবং ঝাড়ু দিয়ে সাফ করি, সেটিও এক মস্ত ইমারত। আমাদের বাড়িঘরে যেমন ইঁট, কাঠ, ইস্পাত, এলুমিনিয়াম, কাচ, প্লাস্টিক, কাপড়, কাগজ ইত্যাদি অনেক ভিন্ন ভিন্ন বস্তু রয়েছে, মাকড়সার জালও তেমনি ভিন্ন ভিন্ন রেশম দিয়ে তৈরী। আমাদের বাড়ির কাঠামো যেমন তৈরী হয় কংক্রীট দিয়ে, মাকড়সার তেমন রয়েছে এক মজবুত রেশম, যাকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন মেজর। বাড়ি বানানোর সময় দেখেছেন নিশ্চয়ই, কাঠ-বাঁশ দিয়ে কত রকম কাঠামো বানায় রাজমিস্ত্রীরা? আবার কাজ শেষ হলে ওসব বাঁশ খুলে নিয়ে আবার অন্য কাজে লাগায়? মাকড়সার তেমন কিছু টেম্পোরারী রেশম আছে, যা দিয়ে সে জাল বোনার সময় খুচরা কাজ সারে। এর নাম কিন্তু ক্যাপ্টেন বা লেফটেন্যান্ট নয়, মাইনর। যে কাঠামোর সাথে মাকড়সা তার এ্সব মেজর-মাইনর সুতা আটকায়, তার জন্যে সে পিরিফর্ম নামের আরেকটা জবর আঠা রেশম ব্যবহার করে। জালের সবটুক কিন্তু পোকা ধরার কাজে ব্যবহার করা হয় না। পোকার জন্য মাকড়সার পেটে রয়েছে দুই রকমের জিলাপির প্যাচ। এর একটাকে বলে এগ্রিগেট, অন্যটাকে বলে ফ্লেজেলিফর্ম। এই দুই রেশমের পাল্লায় কোন পোকা পড়লে তার জীবন যৌবন সবই শেষ। কারণ এদের আঠায় একটিবার যদি সে আটকায়, মাকড়সা দৌড়ে এসে তাকে এসিনিফর্ম নামের একটা বাজে রেশম দিয়ে পেচিয়ে ঠোঙ্গা বানিয়ে ফেলবে। আর নিজের জন্য মাকড়সা যেসব প্যাকেট বানায়, ধরেন এক হালি ডিম পেড়ে যদি কোন মাকড়সার খায়েশ হয়, সেই ডিমের জন্য একটা ঝুড়ি বানাতে, তখন টিউবুলিফর্ম নামের আরেক ধরনের রেশম সে পেট থেকে বের করে। মাকড়সার পেট চিরলে দেখা যায়, তাতে হরেক রকমের থলি। একেক থলিতে রয়েছে একেক রকম রেশমের প্রোটিন। এগুলো তরল অবস্থায় থাকে, কিন্তু পেট থেকে বেরিয়ে বাতাস লাগলেই তারা শক্ত হয়ে যায়। মফস্বল থেকে এসে ঢাকার বাতাস গায়ে লাগার পর যেমন পেকে গিয়েছিলাম আমি।

আমার বিজ্ঞানী ভাইবেরাদাররা এত কিসিমের রেশম শনাক্ত করে এরপর মতলব এটেছে, কি করে এই রেশমকে মানুষের কাজে লাগানো যায়। বিজ্ঞানীরা বড় পাজি। তারা মোটা মোটা গাছ পিষে পাতলা পাতলা কাগজ বানায়, এখন তারা পাতলা পাতলা মাকড়সার সুতা দিয়ে মোটা মোটা কিছু বানানোর চেষ্টায় আছে। মাকড়সার রেশম দিয়ে সুতা বানিয়ে টেনে টেনে পরীক্ষা করে তারা দেখেছেন, ইস্পাত তো সেদিনের খোকা, নাইলন, কেভলার, কার্বন ফাইবার, সবই মাকড়সার রেশমের কাছে তুচ্ছ, কাঁঠাল আর পিরিতির মত। অবশ্য সব মাকড়সার রেশমই মজবুত নয়। বিজ্ঞানীরা তাই একেক জাতের মাকড়সা ধরে তার পেট থেকে টেনে টেনে রেশম বের করেন আর টেনে টেনে দেখেন, কার রেশম কত শক্ত।

আসলে হয়েছে কি, মাকড়সার রেশমের একটা গুণ হচ্ছে, এটি মানুষের শরীরের ভেতরে ঢুকালেও কোন সমস্যা হয় না। মানুষের শরীর বড় নাজুক, পান থেকে চুন খসলেই তার রোগ প্রতিরোধের ঘন্টি বেজে ওঠে। কিন্তু রেশমকে মানুষের শরীরের ভেতরের কল কব্জা ভাল চোখেই দেখে। আমাকে যেমন পাড়ার খালাম্মারা ভাল ছেলে বলেই জানতেন, হেসে হেসে কথা বলতেন, তাদের মেয়েদের সাথে আমাকে কথাবার্তা বলতে দেখলেও আপত্তি করতেন না (একটা সময় পর্যন্ত)। এই বিজ্ঞানীর দল তাই মাকড়সার রেশম দিয়ে কৃত্রিম পেশী, স্নায়ুপথ, এসব তৈরীর কুবুদ্ধি করছেন।

বিজ্ঞানীরা কৃত্রিমভাবে মাকড়সার রেশম উৎপাদন করতে গিয়ে দেখেছে, বড় কষ্ট। তারচেয়ে মাকড়সার পকেট কাটা সহজ। মাকড়সা গরীব বলে বিজ্ঞানীরা অবলীলায় তার পকেট কাটছেন। কিন্তু সে শুধু গরীবই নয়, সে ছোট। বিজ্ঞানীদের ক্ষুধা মেটানর জন্য যে পরিমান রেশম দরকার, একটা মাকড়সা কি তা মিটাতে পারবে? তার জন্য চাই হাজারে হাজারে, লাখে লাখে, কোটি কোটি মাকড়সা।

সমস্যা হচ্ছে গিয়ে, মাকড়সা তো রেশম পোকা মত সামাজিক জীব নয়। চাইলেই আজ আপনার ঘরে মাকড়সা চাষ করতে পারবেন না। বেশির ভাগ মাকড়সাই পীর বংশের ছেলে নয়তো মেয়ের জামাই। এক ঘর মে দো পীর রাখা অনেক কষ্ট। তাই বড় মাছ যেমন ছোট মাছকে খায়, বড় পীরও তেমনি ছোট পীরকে খেয়ে ফেলে। একা একা ছোট ছোট খুপরিতে রেখেও মাকড়সা চাষ করা যায় না। তাহলে উপায়?

র‍্যান্ডি লুইস নামে ইউটাহ স্টেট ইউনিভার্সিটির এক দুষ্ট বিজ্ঞানী ভাই তখন এগিয়ে এসেছেন। লোকটা বিরাট দুশ্চরিত্র। অনেক খুজে একটা পিচকি মাকড়সা এনেছে সে, যার রেশম অনেক মজবুত। তারপর সে খুজে বের করেছে একটা লক্ষী ছাগলকে। ছাগল গরুর মতই দুধ দেয়, জানেন নিশ্চয়ই। তো, সেই দুধে প্রোটিনও থাকে, জানেনই তো। লুইস এমনই লুইস, সে মাকড়সার সেই মেজর নামের মাসুদ রানা প্রোটিনটার পেছনে কোন ডিএনএ সিকোয়েন্স কাজ করে, সেটাকে খুজে বের করেছে। তারপর ছাগলের কোন ডিএনএ সিকোয়েন্স তার দুধের প্রোটিন তৈরীর কাজে আসে, সেটা খুজে বের করেছে। তারপর, খুবই শরমের কথা, মাকড়সার ডিএনএ এনে গুঁজে দিয়েছে ছাগলের ডিএনএতে। মানে, কেলেঙ্কারীর চূড়ান্ত।

ফলাফল কি হল বুঝতে পেরেছেন তো। জন্ম নিলো কিছু ছাগলছানা, যাদের শরীরের একটা অংশ, মাকড়সা। স্পাইডারম্যানের মতো, তারা হল স্পাইডারগোট। মাকড়সাগল বলতে পারেন। এই ছাগুরা বড় হবার পর তারা নিজেদের মধ্যে ভাব করল, ভালবাসা করল, তারপর মাদী ছাগলগুলো যখন দুধ দেয়া শুরু করল, সেই দুধে পাওয়া গেল মাকড়সার রেশমের প্রোটিন। ল্যাবরেটরীতে নিয়ে একটু ঘুটা দিলে সেই দুধ থেকে চর্বি আর প্রোটিন আলাদা হয়ে পড়ে। তারপর সেই প্রোটিনকে একটা কাঠি দিয়ে পেচিয়ে টান দিলেই পেয়ে যাবেন এক তোলা রেশম। যেটা মাকড়সার পকেট কেটে বের করতে গেলে বছর ঘুরে যেত, তা পাবেন আধা ঘন্টাতেই।

বিজ্ঞানের নতুন এক শাখাই খুলে বসেছে বিজ্ঞানীগুলো। সিনথেটিক বায়োলজি বা সংশ্লেষী জীববিজ্ঞান। তাই সেই দিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন হাঁসজারু আর বকচ্ছপ মিলবে আমাদের হাতের নাগালেই। মাকড়সাগল যখন এসে গেছে বাজারে।

আজ কব্জি ব্যাথা হয়ে গেল লিখতে লিখতে। সচলায়তনের মডু যদি লিখা ছাপায়, আবার আসছে সপ্তাহে আরেকটা লিখা দেব। ততদিন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন আর বেশী বেশী বিজ্ঞান খান।

========

নিক: বিজ্ঞানী রণক্লান্ত

eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%72%61%68%6d%61%6e%73%37%38%37%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%22%3e%72%61%68%6d%61%6e%73%37%38%37%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

=DX
আরে দারুণ লেখার হাত তো আপনার। চমৎকার লাগলো। এইরকম মজা করে বিজ্ঞানের লেখা লিখলে আমার মতো আজ্ঞানী লোকেরা পড়ে সব বুঝতে পায়।
নির্ভয়ে লিখতে থাকুন। কেউ কিছু বললে আমার কাছে এসে বিচার দিয়েন।

বিজ্ঞানী রণক্লান্ত এর ছবি

ধন্যবাদ! আপনিই সচলতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইবুনাল?

cresida এর ছবি

অসাধারন আপনার লেখার হাত। অসাধারন আপনার সেন্স অব হিউমর। আরো পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

ক্রেসিডা।

বিজ্ঞানী রণক্লান্ত এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই যে সেই চরম উদাসের ছবি। থুক্কু স্পাইডার ছাগু ম্যান

ছবিশত্রু: ইন্টারেন্ট :P

cresida এর ছবি

হিহিহিহি, টি-শার্টে প্রিন্ট করে ছাড়া হোক

ক্রেসিডা

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

:))


_____________________
Give Her Freedom!

বিজ্ঞানী রণক্লান্ত এর ছবি

ভাইয়া, এই ছবি দেখে যদি লোকজন সত্যই ভাবে, মাকড়সাগল দেখতে এরকম?

সত্যপীর এর ছবি

"মাকড়সাগল" =))

সামনের সাপ্তায় লিখা পড়ার লাইগা লাইনে খাড়াইলাম (পপ্পন)

..................................................................
#Banshibir.

তাসনীম এর ছবি

দারুণ লাগলো। সচলে স্বাগতম।

আমার অ্যারাকনোফোবিয়া অর্থাৎ মাকড়সাভীতি আছে। তারপরও এই মাকড়সা গবেষণা আগ্রহোদ্দীপক। এই গবেষণার ব্যবহারিক দিকগুলো আরেকটু লিখতে পারতেন।

সচল থাকুন।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

হিমু এর ছবি

চলুক!

সুমাদ্রী এর ছবি

দূর্দান্ত লিখেছেন। জটিল ব্যাপারটি পড়বার পরই মনে হয়েছে ঘটনাটা আসলেই জটিল। সে আপনার লেখার গুনেই পড়ার সময় অমনটি মনে হয়নি। লিখুন।

আনোয়ার এর ছবি

(Y) চমৎকার লিখেছেন। (গুড়)
একই ধরণের আরেকটি মজার কাজ করেছেন ক্লেমসন ইউনিভার্সিটির আলবার্ট আ্যবর্ট। উনারা E. Coli ব্যকটেরি‌য়া কে জেনেটিক মডিফিকেশন করে মাকড়ষার রেশমের প্রোটিন উৎপাদন করতে পেরেছেন । বড় সাইজের বায়োরিএক্টর ব্যবহার করে উনারা একসাথে অনেক প্রোটিন উৎপাদন করেছেন।

শিশিরকণা এর ছবি

মাকড়সা শব্দটা কানে গেলেই আমি তিন লম্ফে মাঠ, ঘাট তেপান্তর পেরিয়ে হাওয়া হয়ে যাই, কিন্তু আপনার লেখার গুণে এবার রেশমের জালে আটকে গেলাম। এরকম সুখপাঠ‌্য বিগ্গান লেখক আরও চাই।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মেঘা এর ছবি

লেখাটা পড়ে অনেকক্ষণ এই রাতে জোরে জোরে হাসলাম =)) =)) । খুব মজা পেয়েছি ভাইয়া। আমি যমের মত ভয় পাই সব পোকা মাকড়। আর মাকড়সা দেখলে অজ্ঞান হতে বাকী থাকে শুধু তাও ভালো লাগলো লেখাটা।

আগামী লেখার অপেক্ষায় (পপ্পন)

বহিরাগত এর ছবি

আমার জীবনে পড়া সবচেয়ে মজার বিগ্গানের লেখাগুলোর একটা এই লেখা।
শুভকামনা রইল।

মর্ম এর ছবি

এঁনার লেখা না পড়লে ঠকবেন কিন্তু!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

ইশতিয়াক এর ছবি

অসাধারন মজার লেখা।রেশম দিয়ে স্নায়ুপথ বানানো শুরু হলে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে সন্দেহ নাই।
আমগো দেশের মশার লগে আফ্রিকান জাগুয়ার মিশাইলে কি হইবে ভাবতেছি। :))

অমিত এর ছবি

লেখায় (Y)

এই লোক কি ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াওমিং-এর ?

জি.এম.তানিম এর ছবি

এই প্রসংগে বিবিসির একটা ডকুমেনটারি শেয়ার দিলাম।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

দারুণ লেখা। মুর্শেদ ভাইয়ের ছবিটাও সেইরম হইছে। অনেক মজাক পাইলাম।

যাযাবর এর ছবি

=)) (Y)

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আপনার বিজ্ঞানগাছের ফল খেয়ে বেদম হাসির ডায়রিয়া শুরু হয়ে গেছে, আগামী পর্বে জলদি স্যালাইন নামান।
:))

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

নিশা এর ছবি

দুরদান্ত হয়েছে লেখাটা। আমার জীবনে বিজ্ঞানের যত চমকদার লেখা পড়েছি এটা তার মধ্যে একটা।

ইঁদুর এর ছবি

দারুন মজা পেলাম পড়ে-পরের পর্বের অপেক্ষায়।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

সেরকম লেখেন আপনি। পরেরটার অপেক্ষায় থাকলাম। আমাদের ছাগুগুলার ডিএনএ দিয়ে কোন কাজ করা যায় নাকি একটু ভেবে দেখবেন নাকি?

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

থামবেন না আশা করি। লিখতে থাকুন নিয়মিত। ভালো লেগেছে............ (Y)


_____________________
Give Her Freedom!

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

ফাটাফাটি। চরম লাগল। বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে এরকম সরল লেখা পড়ার প্রত্যাশায় থাকলাম।

পথের মানুষ এর ছবি

দারুণ লাগলো লেখাটা (Y)
চালিয়ে যান

তবে কমেন্টে সেই বিখ্যাত প্রাণীটার যে চাঁদ-বদন দেখলাম, সেটা ভবিষ্যতে দুঃস্বপ্নে দেখার সম্ভাবনা আছে

সাফি এর ছবি

ওরে বিজ্ঞানী ভাই, খুবই আগ্রহের সাথে এবং আনন্দের সাথে লেখাটা পড়লাম।

আমাদের চম্পাকলী সেলের মাকড়সাগুলোকে ব্যবহার করে তাহলে কিছু দড়ি বানানো যায়না?

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

(জাঝা) আগামী সপ্তাহের ক্লাসের জন্য অপেক্ষা সেটা হাসির সাথে মিকচার হয়ে হাসিজ্ঞান হয়ে আমাদের মস্তিষ্কে ঢুকবে বলে -

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

পরে মন্তব্য করব, আগে হেসে নিই =)) =)) =))
দারুন মজার লেখা। আমার ক্ষমতা থাকলে আপনাকে বিজ্ঞান বই (যেগুলো আমি তিতা খাওয়ার মত গিলে এসেছি সেগুলো) লেখার দায়িত্ব দিতাম। এমন সুন্দর আপনার লেখার হাত ! খুব ভালো লেগেছে লেখা পড়ে। আমার ছোট বোন মাকড়সা কে বলত 'মারকসা'। আমরা সেইটা নিয়ে অনেক মজা করতাম।

আমিও পরের পর্বের জন্য লাইনে দাড়াঁইলাম (পপ্পন) নিয়ে।

তানিম এহসান এর ছবি

সময় নেই, যতটা পড়লাম দারুণ লাগলো। পরে এসে পড়ে যাব। সচলে স্বাগতম, লিখতে থাকুন :-)

স্যাম এর ছবি

চমৎকার (Y) চমৎকার

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সচলে স্বাগতম। দু'হাত খুলে লিখতে থাকুন। আর এমন ভাষায় বিজ্ঞান নিয়ে লিখলে কে পড়তে চাইবে না বলুন!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

এবিএম এর ছবি

ভালো লাগল, আরো লেখা চাই। (Y)

শাব্দিক এর ছবি

মাকড়সা ভালু পাই না :S
কিন্তু লেখা খুবই ভালু পাইসি =DX । মাকড়সা ছাড়া অন্য লেখার জন্য (পপ্পন)

নরাধম এর ছবি

=DX (Y)

দুর্দান্ত এর ছবি

অসাধারণ। 'ছাগড়সা'র গল্প মুচমুচে হয়েচে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দারুণ! (দেঁতোহাসি)
বিজ্ঞান লেখার মতো দায়িত্ব কেন যে আপনার মতো পাবলিকদের হাতে পড়ে না! (মনখারাপ)

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ইয়াসির এর ছবি

খুবই মজার লেখা হয়েছে সন্দেহ নেই। কিন্তু মজার পরিমান একটু বেশি হয়ে গেল কিনা ভাবছি। আপনি লেখা চালিয়ে যাবেন আশা রাখি =DX

ম্যাক্স ইথার  এর ছবি

অসাধারণ লেখা ! বিবিসির ডকুমেন্টারিটাও গত মাসে দেখা ! লেখাটি বেশ সুখপাঠ্য ! অসংখ ধন্যবাদ !

তুলিরেখা এর ছবি

খুব দারুণ মজারু লেখা। চালিয়ে যান।

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

পথিক পরাণ এর ছবি

সেরাম মজারু হইসে লেখাটা।

পরের পর্ব শিঘ্রি নামান---

কুমার এর ছবি

(জাঝা)
পরের পর্ব দ্রুত আসুক।

মিলু এর ছবি

সাংঘাতিক উপাদেয় একটা বিজ্ঞানভিত্তিক লেখা। অসামান্য রসবোধ আপনার! ^:)^

ধুসর জলছবি এর ছবি

:)) :)) চমৎকার লেখা । বিজ্ঞানের বইগুলো যদি এভাবে লিখত :(

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অসাধারণ লেখা...
সচলে স্বাগতম
নিয়মিত পড়তে চাই আপনার লেখা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

ভালো লাগল।

একটি পরামর্শঃ লেখার শেষে 'Adam Rutherford এর Playing God সিরিজটার অবলম্বনে লেখা' এই উক্তিটি লিখে দিলে ভাল। পাঠক সেক্ষেত্রে মূল উৎসটি থেকে ইচ্ছে করলে বিশদ জানতে পারবে। আমি ভিডিওটি এমবেডেড করে দিচ্ছি।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

চমৎকার =DX
আমি নিয়মিত পাঠক। লেখা চলুক।

এই প্রসঙ্গে শেরিল হায়াশির আসাধারণ একটি টেড টক:

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

এই মাঝ্রাত্তিরে মাকড়সা লইয়া আপ্নের লেখা পইড়া আসলেও গড়াগড়ি খাইতে আছি মনু!

বেদম হাসাইলেন!

সাম্নের সপ্তাহে না লিখলে আপনের কইলাম নিউজ হ্যাজ! :D

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তারেক অণু এর ছবি

চমৎকার , দুর্দান্ত (Y)
মাকড়সার সুতা বাহির করার মত গড়গড়িয়ে লেখতে থাকুন !

দিগন্ত এর ছবি

লেখার ধরণটা অসাধারণ হয়েছে। তবে এই ব্যাপারটা অনেক পুরোনো। বিবিসির রিপোর্টে পড়েছিলাম অনেককাল আগে, অনেক খুঁজে সেটা আবার বের করলাম

লিখতে থাকুন, আর কিছু রেফারেন্স যোগ করে দিলে আরো ভাল লাগে। তবে এই কাজটা পাঠকেরা করে দিয়েছেন এই পোস্টে।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

টোকাই এর ছবি

অসাধারণ !!!
সচল শেষে একটা বিজ্ঞানী স্পাইডারম্যানকেও ম্যানেজ করে ফেললো !!!!
চ্রম !!

দ্রোহী এর ছবি

দারুণ লেখা! এই তো চাই! বিজ্ঞান যে রসময় এইটা কেউ বুঝতেই চায় না।

হাত পা খুলে লিখতে থাকুন।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রসময়? ;)

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

Smita এর ছবি

:)

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

লেখাটা গতকাল শেয়ার দিয়েছিলাম। আজ মন্তব্য করতে এসে দেখি সবাই যা যা বলার, বলে ফেলেছেন।

নিয়মিত লিখবেন সম্ভব হলে।

মর্ম এর ছবি

সচলে স্বাগতম!

দুর্দান্ত শুরু করলেন।

আপনার দ্বিতীয় লেখার আশায় রইলাম, এরপর তৃতীয়, চতুর্থ!

শুভেচ্ছা। (Y)

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

বন্দনা এর ছবি

অসাধারন করে লিখেছেন, আমি এই ব্যাপারটা জানতামনা।

নিলয় নন্দী এর ছবি

কী চমৎকার ! =DX
পরের লেখা পড়ার অপেক্ষায় আছি।

আবুল এর ছবি

আরও লেখা চাই, আরও। =DX

আমি শিপলু এর ছবি

=DX ^:)^ । দুর্দান্ত শুরু, চমৎকার লেখা । রেলগাড়ী চলতে থাকুক।

নিঃসঙ্গ পৃথিবী এর ছবি

চরম!

nakim Ahmed এর ছবি

(গুড়)
(Y)

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।