বাংলা নববর্ষে আমরা অনেক সাজব। হলুদ বা লাল-সাদা শাড়ি পরে ঘুরব বন্ধুদের বা বন্ধুর সাথে। পান্তা দিয়ে ইলিশ মাছ ভাজা মন চাইলে খাব। ফুচকা খাব, মুরলি খাব, যা মন চায় তা খাব। চুড়ি কিনব, বাঁশি কিনব, পুতুল কিনব। চিৎকার করব, লাফালাফি করব।
ছাগুদের তাতে কি?
ফেসবুকে কিছু বন্ধু নামের কলঙ্ক আর তাদের বন্ধুদের উৎপাতে মাথাটা ভোঁ ভোঁ করছে। এদের এখন মাথাব্যাথা ইলিশ নিয়ে। ইলিশ মাছ না খেয়ে সেই টাকা যেন গরীব দুঃখীদের বিলায় দেই, সেই পরামর্শে চোখ ঝালাপালা।
একজন বলছে, একদিনের বাঙ্গালী সেজে কি লাভ, এই টাকা গরীব দুঃখী বা এতিমখানায় দিতে।
আমার একটা ছোট্ট জিজ্ঞাসা। কোরবানীর ইদের সময় এদেরকেই দেখেছি নিজেদের ইয়া বড় বড়, লাখ টাকা দামের গরুর ছবি ফেসবুকে শেয়ার দিতে। সেই গরু, গরুর হাগু, গরুর শিং আর গরুর মাংসের ছবি দেখতে দেখতে চোখ ছানাবড়া। এদের কেউ কি লাখ টাকা দিয়ে গরু না কিনে এতিমখানায় কিংবা গরীব দুঃখীদের সেই টাকা দিয়েছে? একদিনের মুসলমান সেজে কি লাভ, জিজ্ঞাসা করেছে তখন?
করেনি।
বাংলা নববর্ষে যাদের গা জ্বালা করে, তাদের বলি, আমার আব্বু, চাচা, মামারা আইয়ুবের হাত থেকে দেশটা স্বাধীন করেছেন বাংলা নববর্ষে তাদের মেয়েরা শাড়ি পরে সেজেগুজে মেলায় যাবে বলে, সেখানে ঘুরে বেড়াবে বলে, ফুচকা আর পিঠা খাবে বলে, চুড়ি আর মোম কিনবে বলে। যাদের এই ব্যাপারটা পছন্দ না, তারা যেন পাকিস্তান চলে যায়। ঐখানে গিয়ে বস্তার মধ্যে ঢুকে বসে থাকে।
---ফারিয়া
মন্তব্য
আপনার মতো কিছু মানুষের জন্যই দেশটা এখনও পুরো ছাগুতে ভরে যায়নি, এগিয়ে যান অসাম্প্রদায়িক দীপ্ত চেতনা নিয়ে সামনের দিকে, যারা পেছনের দিকে যেতে চায় তাদের জন্য কোনো সমবেদনা নেই, ভালো থাকুন|
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
facebook
এই মৌসুমে ইলিশ মাছ খেতে চাইলে আপনাকে জাটকা ইলিশ খেতে হবে। ইলিশের বংশ রক্ষার জন্য হলেও ইলিশ খাওয়ায় ছাড় দেয়া উচিত।
আমার মা ইলিশের মৌসুমে বড় ইলিশ কিনে প্রায় এক বছর ফ্রিজে রেখে দেন বইশাখে খাওয়ার জন্য।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বর্তমান সময়ের জন্য ইলিশ মাছের ব্যাপারে আমারও একই মত।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
৩০০ টাকার ইলিশ ৩০০০ টাকায় খেতে হলে বাঙ্গালী একটু ছাগু হতেই পারে। ইলিশে বাঙ্গালীয়ানা নেই, আছে হৃদয়ে।
৩০০ টাকার ইলিশ ৩০০০ টাকায় খেতে হলে বাঙ্গালী একটু ছাগু হতেই পারে। ইলিশে বাঙ্গালীয়ানা নেই, আছে হৃদয়ে।
দীপাবলি।
চলুক!
আপনার প্রশ্নটি যথার্থ হয়েছে। ঈদে অঢেল খরচ করলেও বৈশাখের খরচ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলছেন। আবার এই লোকগুলোকেই দেখবেন, গোলাম আযমের গ্রেফতারের সরাসরি বিরোধিতা না করে ঘুরিয়ে বলবে: 'আচ্ছা, এই বৃদ্ধ লোকটিকে গ্রেফতার না করলে কি হতো না? সরকারের কি আর কোন গুরুত্বপূর্ণ কাজ নেই?'' এদের কথা শুনলে মনে হয়, এক গোলাম আযমের বিচার করতে গেলে সরকারের অন্য সব কাজ বন্ধ করে রাখতে হবে বা সরকারের যেন মাত্র একটি দফতর আছে!
ভাল লেখার জন্য অভিনন্দন! নববর্ষের শুভেচ্ছা!
খুবই ব্যক্তিগত হয়ে যাবে জানি, তবু জিজ্ঞাসা- এত খরচের টাকা আপনারা কোথায় পান? ঈদ, বৈশাখ ইত্যাদির তুলনাতে যাওয়া কি খুবই যৌক্তিক? আমার কাছে প্রতিটি উৎসব/উপলক্ষ মানেই মোটা টাকার ধাক্কা।
আপনাদের প্রচার প্রচারনা দেখছি। নিজেকে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছি। বুঝতে পারি কত অসহায় আমি। টেলিভিশন চ্যানেলে উনিশ হাজার টাকায় এক হালি ইলিশ কেনার খবর। কত অসহায় আমি। প্রকৃতিপ্রেমিক ভাইয়ের পোষ্ট করা বিএসএফ এর নির্মমতার ভিডিওটি আবার দেখলাম। হাবিবুলের আর্তনাদ। আবারও বুঝতে পারি আমার অসহায়ত্ব।
আর পারছিনা ভাই। ‘‘আ....নন্দ ধারা বহিছে ভু....বনে’’- আমার গলায় আসেনা। পেটে হাগু থাকলে বিভিন্ন ডিজাইনের জিলিপি বানানো সহজ। আপনাদের সংগে গলা মিলিয়ে জিলিপি বানাতে গেলে আমাকে কোঁৎ দিতে হবে। আর তাতে নাড়িভুড়ি বেরিয়ে অক্কা পাবার সমূহ সম্ভাবনা। ভিন্ন মত প্রদান করিনি তাই ভুল বুঝবেন না দয়া করে।
খুবই ব্যক্তিগত হয়ে যাবে জানি, তবু জিজ্ঞাসা- এবারের কোরবানির গরুটা কত দামে কিনেছিলেন?
আর আপনি ধরে নিচ্ছেন কেন যে সবাইকেই জিলাপী বানাতে হবে? আপনি না পারলে হট ডগ বানান, তা না হলে লাড্ডু বানান, তাও না পারলে কিছুই বানায়েন না। কিন্তু যে বানাচ্ছে তাকে নসিহত করেন না।
আমি আমার অসহায়ত্ব তুলে ধরেছিলাম, আপনি বললেন নসিহত করছি। মনে হয় ভাল করে না পড়েই রেগে গেছেন। এটা কি আমার প্রতি সঠিক বিচার করলেন ভাই? এবার আপনার কাছ থেকে আমার একটা ছাগু, জাগু, কাগু, হাগু ইত্যাদি উপাধি জুটে যাবে। সাহস থাকলে শ্রদ্ধেয় সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও সেলিনা হোসেনকে ভিন্ন মত প্রদানের জন্য ছাগু বলুন (১২. সৌরভ কবির এর লিখা দেখুন)। পিঠের চামড়া, পুটকির বাল একটাও থাকবেনা।
আর কোরবানীর কথা বলছেন। বেসরকারী কাজ করার সুবাদে বৎসরে ১টি বোনাস পাই। সেটি আধাআধি করে দুই ঈদে খরচ করি। গত বছর দশ হাজার টাকায় শেয়ারে কুরবানি দিয়েছি। তার সংগে নববর্ষের খরচের কি সম্পর্ক বুঝলাম না। আপনার কাছ থেকে বুঝতেও চাইনা।
আমার তো ভাই সামর্থ্য (পেটে হাগুই) নাই। যেখানে জিলাপীই হয়না সেখানে হটডগ কিংবা লাড্ডু কিভাবে বানাবো?
মমত্মব্য পছন্দ না হলেই খবরদারি করবেন। এটা মুক্তচিমত্মার প্রতিফলন নয় ভাই। এটাকে মাসত্মানি বলে। এটাই যদি আপনার খায়েশ হয়ে থাকে তাহলে মমত্মব্য করার অপশনটি বন্ধ করে দিন। আপনি আপনার সুখ অসুখের গল্প লিখবেন, যার ইচ্ছে পড়বে বা পড়বেনা। এমন দেউলিয়াপনাত্ব আপনার মত প্রথিতযশা বস্নগারদের কাছ থেকে কোনভাবেই কাম্য নয়।
পহেলা বৈশাখেও বোনাস দেয়ার ব্যবস্থা করা উচিত, যেহেতু এটা একটা জাতীয় উৎসব।
ঈদের সময় যেমন আপনার পেটে শেয়ারে জিলাপি বানানোর গু থাকে, নববর্ষে হয়তো অন্যদের পেটে তেমন গু থাকে। আপনার আপত্তি কি অন্যের পেটে গু থাকায়? নাকি নববর্ষে অন্যের পেটে গু থাকায়?
আর নিজে মন্তব্যে খবরদারি করতে আসলে, পাল্টা খবরদারিতে এতো গোস্বা করেন কেন? পুটকির বালে মোমগালা মাখিয়ে আগুনের পাশে ঘোরাঘুরি করা কি বুদ্ধিমানের কাজ রে ভাইয়া?
রাগ করলাম কই ভাই। জিলাপী বানাতে না পারলে ছোটখাট কিছু বানান সেইটাই না বললাম। আপনাকে ছাগু কাগু বলার আগেই তো আপনি প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে বসে আছেন। ছাগুগিরি করলে ছাগু বলা হবে, "পিঠের চামড়া পুট্কির বাল" থাকুক না থাকুক।
দশ হাজার টাকায় কুরবানি দিয়েছেন সেটা যেমন গায়ে লাগেনি, তাহলে ইলিশ গায়ে লাগ্ছে কেন?
তবু আপনি দশ হাজার টাকা শেয়ারে কোরবানি দেন বিনা প্রশ্নে, বিনা দ্বিধায়, বিনা অসহায়ত্বে। ১৯ হাজার টাকার এক হালি ইলিশ কেনার একটা এক্সট্রিম খবরে আপনার অক্কা পাবার দশা; অথচ রোজার ঈদে লক্ষ টাকার লেহেঙ্গা বা কোরবাণী ঈদে ১০ লাখ টাকার গরু বিক্রির খবরে আপনার নাড়ি ভূড়ি কিন্তু বেরিয়ে যায় না।
গত রোযার ঈদে 'ও মন রমযানের ঐ রোযার শেষে এলো খুশীর ঈদ' গানটি গলায় এসেছিল কিনা জানতে খুব কৌতূহল হচ্ছে! তখনো কিন্তু সীমান্ত বর্বরতা বহাল ছিল!
দেখুন পহেলা বৈশাখ আমাদের নববর্ষ। আমাদের জাতীয় উৎসব। দেশের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব। এ উৎসব ভারত বা আরও দেশ করতে পারে। সেটা তাদের ব্যাপার। এটার আলোচনায় আপনি কৌশলে বিএসএফ ঢুকিয়ে দিলেন। আর বোধহয় বলতে চাইলেন, যেখানে সীমান্তে এভাবে মানুষ মরছে, সেখানে এত ঘটা করে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কেন? প্রশ্ন হচ্ছে, এই একই প্রশ্নটি আপনি দুই ঈদ পালনের সময় করেছিলেন কি? মনে করে দেখুন তো।
পহেলা বৈশাখ দেশকে, দেশের সংস্কৃতি ও দেশের মানুষকে ভালবাসতে শেখায়; দেশের মানুষের জাতীয় ঐক্যের বিকাশ ঘটায়। এই পহেলা বৈশাখের মাহাত্ম্য বুকে ধারণ করেই আমরা বিদেশী পণ্য বর্জন করে দেশী পণ্যের বিকাশ ঘটাতে পারি, পহেলা বৈশাখ থেকেই উদ্বুদ্ধ হতে পারি ভারতের বিএসএফের আধিপত্যবাদের ও সীমান্ত বর্বরতার সমুচিত জবাব দিতে।
ফকির সর্দার সাহেব নিশ্চয়ই ইন্ডিয়া থেকে আনা গরু ঠিকই শেয়ারে সোৎসাহে কোরবানি দেন। ঐ সময় ওনার বর্ডারের কথা, বিএসএফের কথা খেয়াল থাকে না।
ফকির সাহেব, একদম ব্যাক্তিগত পরামর্শ, কোতাকুতির দরকার নাই, অনিষ্ট হইতে পারে, তার থেকে বরং এক প্যাকেট জোলাপ খায়া ফেলেন, তখন দেখবেন, খালি আরাম আর আরাম !! আর দেখবেন প্রবল ধারায় গানও গাইতাছেন, "আনন্দ ধারা বহিছে ভুবনে"
আর আপনার অসহায়ত্বে কষ্ট পাইলাম, খাপ খাওয়ানোর কষ্টটাও মর্মস্পর্শী, চিন্তা নাই, নাকে-কানে সরিষার তেল লাগাইয়া, মাস্ত ঘুম দেন, দেখবেন, পহেলা বৈশাখ পার হইলেই আপনার দিল ও পেট ফুরফুরা হইয়া যাইবো।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
ঠিক ঠিক, আমার খুব ে দুঃখ হয়, যখন কিছু তরুন, শিক্ষিত ছেলে মেয়ে ঠিক এরকম ভাবে বলে, ওদেরকে কিভাবে শিখাব?!!!
গতকাল সকালে আমি আমি ATN NEWS –এ একটা প্রতিবেদন দেখছিলাম। সেখানে নববর্ষ উদযাপনে ইলিশ বিষয়টি নানা দৃষ্টিকোণ থেকে দেখাবার চেষ্টা করা হয়। দেশের বেশকিছু গুণীজন যেমন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সেলিনা হোসেন প্রমুখ একটা বিষয়ে নিশ্চিত করেন যে পহেলা বৈশাখে ইলিশ মাছ খাওয়া ও বাঙ্গালির নববর্ষ পালনের সুদীর্ঘকালের যে ঐতিহ্য এ দুটোর মাঝে কোন সম্পর্ক নেই। আমার মনে হয় যে যেভাবে বাঙ্গালিত্ব খুঁজে নিতে চায় নিক। তবে একদিনের মুসলমানদের কাছ থেকে তাদের যে আত্মজিজ্ঞাসা আর স্বহৃদয়তার প্রশ্ন আপনি তুলেছেন সেটা আপাতদৃষ্টিতে চমৎকার। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই তাদের অবস্থান প্রমানিতভাবেই নিম্নস্তরে। তাদের কাছ থেকে এখনও মহত্ত্বের আশা করা খুব যৌক্তিক বলে মনে হয়না। এর চেয়ে বরং একজন বাঙ্গালি নববর্ষের দিনে আশেপাশের সবল-দুর্বল-দুস্থ-সুস্থ সবাইকে নিয়ে দিনটি উদযাপনের কথা ভাববে সেটিই কাম্য।
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।
অবশ্যই আমরা আনন্দ করব, পান্তা ইলিশ খাব, আমরা বাঙ্গালী, হয়ত একদিনের জন্যে আরেকটু বেশি বাঙ্গালী হব। কিন্তু সাথে সাথে যদি এই সময়ে আমরা আমাদের ইলিশের অর্ধেক ভাগ রাস্তার পাশের মানুষগুলোকে দেই, মেলায় যাবার পথে চুরি মালা কেনার টাকার একটা অংশ ফুলবিক্রেতা ওই মেয়েটার ফুলের মালা কেনায় খরচ করি, তাহলে বোধহয় আমাদের নববর্ষ আরও সার্থক হবে। 'ছাগুরা লোকদেখানো একদিনের ধর্মপালন করে তাই পাল্টা যুক্তিতে আমরাও একদিনের বাঙ্গালী সাজলে ক্ষতি কী?' এই ছাগুপণা যুক্তি যেন আমাদের না দিতে হয়। আমরা নববর্ষ পালন করি সাড়ম্বরে কিন্তু এই কথাটাও ছড়িয়ে দেই, সেই আড়ম্বরের, সেই উৎসবের ছিটেফোটা হলেও যেন আমাদের পাতাকুড়োনি মেয়েটার চোখে দেখা যায়, আমাদের সীমান্তের ভাইদের যেন মৃত্যুর ভয় নিয়ে নববর্ষ পালন করতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে না পারি, অন্তত মনে ভেতর খচখচানিটা যেন সরে না যায়। আসুন আমরা নববর্ষের সাথে সাথে পালন করি ভারত বনধ। আপনাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
ছাগুদের লাত্থি দিয়ে ফেইসবুকের ফ্রেন্ডলিষ্ট থেকে বের করা উচিৎ ।
আমরা তো সারাবছরই বাঙালী। এই একদিন, আমরা আমাদের এই বাঙালীত্বকে বিশেষভাবে 'উৎযাপন' করি। সবাই সামিল হই চিরায়ত উৎসবে। এই ব্যাপারটা যারা সমাজে বিভেদ, ঘৃণা, হানাহানি, আর মৌলবাদ এর বিস্তার চায়, তারা কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারে না। ফালতু সব যুক্তি হাজির করে তাই।
ইন ফ্যাক্ট যে কোনো দিবস বা উৎসব নিয়েই 'একদিন এসব করে কী লাভ' টাইপ কথা যারা বলে তারাই বড় ধরনের বিভ্রান্তিতে আছে।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
খাঁটি কথা বলেছেন।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ছাগুপালের কর্মই ল্যাদানো, উহাদিগকে ল্যাদাতে দিন।
আমরা বরং উহাদিগকে ইগনোর করে নিজেদের ঐতিহ্যের উৎসবগুলো সাড়ম্বরেই পালন করি।
শুভ নববর্ষ।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
ফারিয়া আপনার মত আজকের দিনে আমিও প্রত্যাশা করি, জাগু মুক্ত বাংলাদেশ
ভাল লিখেছেন । একদম জাজ।।।।।।।।
#সবস্থানে নববর্ষ উদযাপনের রীতি নিয়ে নানা ধরনের লেখালেখি চলছে, প্রতিটি জিনিসেরই নেতিবাচক দিক থাকতে পারে তবে যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন তা আর ভাল লাগেনা, এবারের পহেলা বৈশাখ নিয়ে ঠিক তেমনটিই ঘটে চলেছে সবখানে। সবাই ইলিশ আর পান্তা নিয়ে বিতর্ক করে চলেছেন, আসুন সবাই মিলে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আনন্দে শামিল হই।
#ধন্যবাদ ফারিয়া আপনাকে, নববর্ষ১৪১৯ এর শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন সবসময়
আজ ফেবুতে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেটাই তুলে দিলাম--কাল রাতে নেটে বিভিন্ন জায়গায় পহেলা বৈশাখকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখে লেখা বিভিন্ন পোস্ট দেখে মন ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আজ একটু আগে বাসার সামনের রাস্তা থেকে এক চক্কর দিয়ে এসে সকল শ্রেণীর মানুষের ভিড় দেখে কিছুটা হলেও ফুরফুরে লাগছে। বুঝতে পারছি, মন বলছে এত সহজে মৌলবাদীদের আস্তানা হবে না, আমাদের দেশ। সবাইকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দ্রোহীদা, পালান, আইলো !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
পালাবো মানে? "হাইকোর্ট মাজার ভক্ত পরিষদ" এর চেয়ারম্যান আমি।
পীর জঙ্গী মাজার ভক্ত পরিষদের চেয়ারম্যান পদ খালি আছে এখনো।
আমাদের হাইকোর্ট একটা মাজার।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
"মাজার ভক্ত পরিষদ" শুনলেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের গাঞ্জাখোর বন্ধুদের কথা মনে পড়ে যায়।
তবে যাই কন "হাইকোর্ট মাজার ভক্ত পরিষদ" এর ফরমেশন কিন্তু পুরাই স্ট্র্যাটেজিক, মাঝখানে কঞ্চি, দুই ধারে তার বাঁশ
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
হাইকোর্টকে চটাবেন না, লাইনে আসুন।
প্রতিবাদী ছাত্র ও নাগরিক সমাজের প্রতিবাদে শামিল হইবার চাই, আমাকে কেনু নেই না?? কেনু, কেনু? প্রতিবাদীদের নাজুক বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাইখা যাই।
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনি কই পান এগুলা!
এই কথাগুলো বলার সময় আপনার মুখের ভাব-ভঙ্গি আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
ঝাঁঝটা ভালো লাগলো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যারের লেখা থেকে-
আমার ছেলেবেলায়, চল্লিশের দশকের শুরুতে, ইংরেজশাসিত কলকাতায় আমরা হালখাতা-অনুষ্ঠানের ব্যাপক প্রচলন দেখেছি, নৃত্যগীতবাদ্য-সহযোগে এর উদ্যাপন দেখিনি। সেটা দেখলাম ১৯৪৯-৫০ সালে, ঢাকায়। লেখক-শিল্পী মজলিসের উদ্যোগে নববর্ষ পালিত হয়েছিল মেহবুব আলী ইনস্টিটিউটে। পাকিস্তান সাহিত্য সংসদে ১৯৫২-৫৩ সালে আমরা নববর্ষ উৎসব করেছি কবিতা পড়ে। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী বিজয়ের পর এ কে ফজলুল হক নাকি সাড়ম্বরে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে আহ্বান জানিয়েছিলেন সবাইকে—ঘটনাটা আমার মনে নেই, কিন্তু কারও কারও রচনায় এমনই দেখেছি।
ততদিনে কিন্তু পাকিস্তান সরকার নববর্ষ পালনকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করে। শহীদ অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী একটি প্রবন্ধে প্রশ্ন উত্থাপন করেছিলেন যে, পারস্যে যদি ইসলামপূর্ব নওরোজ উৎসব অব্যাহতভাবে চলে আসতে পারে, তার অনুকরণে পাকিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে যদি নওরোজ উৎসব অনুষ্ঠিত হতে পারে, তাহলে আমরা কেন বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করতে পারব না—বিশেষ করে, বাংলা বর্ষ যেখানে মোগলদের প্রবর্তন বলে সর্ববাদিসম্মত? পাকিস্তানের শাসকেরা কিন্তু একে বিজাতীয় অনুষ্ঠান বলে গণ্য করতে বদ্ধপরিকর হয়েছিলেন। ফলে, শাসকদের বাধানিষেধ অগ্রাহ্য করে, বাঙালি জাতীয়তাবাদী ভাবে উদ্বুদ্ধ আমরা বাংলা নববর্ষ পালনে তৎপর হয়ে পড়লাম। এ ক্ষেত্রে ছায়ানটের ভূমিকা ছিল সর্বপ্রধান।
এই লেখা থেকেই আচ পাওয়া যায় কেন ছাগুদের পুটুতে ১লা বৈশাখ এলে আগুন লাগে। এই আগুন যে তারা পেয়েছে তাদের পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ দের কাছ থেকে!!
আলবদর সরকারের আমলে এরা বলতো, নববর্ষে গানবাজনা না করে নফল নামাজ পড়া উচিত। এখন নতুন বাহানা বের করেছে, খাওয়াদাওয়া না করে সেই টাকা গরিবদের দান করতে হবে। কয়জন ছাগু আজ গরিবদের কত টাকা দান করলো, জানতে ইচ্ছুক।
আমিও এটাই ভাবছিলাম। আপনি হয়তো কিছু নির্দিষ্ট পেইজ থেকে শেয়ার করা পোস্ট দেখেছেন। এই পেইজগুলো একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় চলে। এদের পোস্টগুলো একটু ঘাটলে বোঝা যায়। এরাই একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুল দেয়া নিয়ে ক্যাচাল করে, নববর্ষে শাড়ী পরলে তাদের সমস্যা হয় এবং হিজাব পরা কোন মেয়ের ছবি দেখলে (যেমন আরিফিন রুমীর স্ত্রী) সেই ছবিতে কয়টা লাইক জিজ্ঞেস করে। এদের পেছনে একটা ছোট লেজ আছে। তাদের নিজেদের অজান্তেই সেটা বেরিয়ে আসে তখন।
ভালো লাগলো লেখাটা।
টুইটার
যার যেমনে খুশি নববর্ষ পালন করবে। কেউ ইলিশ খেয়ে, কেউ পুঁটি খেয়ে, কেউ পিৎজা খেয়ে। কিন্তু নববর্ষ পালন না করে এতিমখানায় হাতেম তাঈগিরি দেখানোর হেদায়েৎ যারা করতে আসবে তাদের 'গোলাম আযম' বরাবর খাড়ার উপরে গদাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, নববর্ষ পালনের দরকার কি? তারে উত্তর দেয়া উচিৎ, আপনার তা জানার দরকার কী? আপনার টাকায় তো আর করতেসিনা। আপনারে দাওয়াতও দিচ্ছি না।
ফেসবুকের সাথে সচল এর কোন ঝগড়া আছে নাকি??? আমি ২টা তেই আছি।
ফেসবুকে আমার এক বন্ধু লিখেছিল "এক টোকাই বলছে, আমার কাছে তো প্রতি দিনই ১লা বৈশাখ, আমি তো প্রতিদিনই পান্তা খাই। " কথাটা আমার মনে অনেক দাগ কেটেছে। ব্যথিত করেছে। আমিও কি ছাগু??
"রাতের সব তারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে।"
ইলিশ খেয়েই যে বাঙালীত্ব জাহির করতে হবে এমন কোন কথা নেই।
বিশেষ করে সেই ইলিশ যদি পনের হাজার টাকা জোড়া হয়ে থাকে।
নব্বইয়ের আগে তো এই হুজুগ ছিল না।
বাঙালীত্ব ইলিশে নেই আছে বাঙালীর হৃদয়ে।
আমি ১লা বৈশাখের বিরোধী না। কিন্তু এটাকে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বিশেষত ঈদের সাথে তুলনা করার কোনো যুক্তি নাই। ঈদে লাখ লাখ টাকার খরচ হয় গরু ছাগল কিনতে, কিন্তু সেখানে রাস্তার ফকিরেরাও ভাগ পায়। আপনার বৈশাখের ইলিশে কে ভাগ পায় বলুন তো ??
বৈশাখের ইলিশে কয় লাখ টাকা খরচ হয়েছে আপনার? আর রাস্তার ফকিরকে কয় লাখ টাকার ভাগ দিয়েছিলেন?
৩০০ টাকার ইলিশ যদি ৩০০০ টাকা দিয়ে কিনে খেতে হয় তখন দরিদ্রদের কথা আমাদের চিন্তা করা উচিত। আর সামগ্রিকভাবে চিন্তা করলে খুব কম টাকা আমরা ইলিশের পেছনে দেই নি! ত্রিমাত্রিক কবির মন্তব্য পড়ে দেখুন।আশা করি আপনারা সেটাতে সমর্থন জানাবেন।
আমি তো ত্রিমাত্রিক কবির কমেন্টের উত্তর দেই নাই। রাস্তার ফকিরকে কয় হাজার টাকার মাংস বিলিয়েছিলেন, হিসাব করে বলেন। এক টুকরা ইলিশ কয় লাখ টাকা দিয়ে কিনে খেয়েছেন, সেইটাও একটু জানায়েন। ইলিশ ঢাকায় শেষ কবে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেইটাও একটু জানায়েন।
ঠিক আছে ধরা যাক একটা ইলিশে ১০ টুকরা। প্রতি টুকরার দাম ৩০০ টাকা (৩০০০/- কেজি)। ধরা যাক ১০ লক্ষ লোক ইলিশের একটা টুকরা খেয়েছে তাইলে মোট ৩০ কোটি টাকা। এখন এটাকে দুভাগ করে ফেলুন ১৫ কোটি টাকা গরীবদের দিয়ে দিতে পারতেন। ব্যস্ সবাই খুশি।
গরু ১০ গুন (হতে পারে আরও কিছু কম) দাম দিয়ে কখনো কিনেছি কি আমরা? আর কোরবানীর সময় গরীবদের একটা অংশ তো দেয়া হয়।
কোরবানির সময় গরু কত টাকা দিয়ে কিনেছিলেন? আর শেষ কবে গরুর গোস্তের অর্ধেক গরিবকে বিলিয়েছিলেন? অপেক্ষায় নাজির।
যতক্ষন পর্যন্ত কোরবানীর নিয়ম ঠিক আছে ততক্ষন পর্যন্ত ব্যক্তিগত আলোচনা নিষ্প্রয়োজন।
নিজের কোরবানী নিয়ে ব্যক্তিগত আলোচনা নিষ্প্রয়োজন মনে করলে, অন্যের পাতের ইলিশের দাম নিয়ে হিসাব করা বন্ধ রাখেন। আপনার বাপের পয়সায় ইলিশ খায় না লোকে। কোরবানীর সময় আপনি কত বড় হাতেম তাঈ, সেইটা বুঝতে পারছি। আর হাসায়েন না।
আসুন আমরা ব্যক্তিগত আক্রোশে না গিয়ে মানদন্ড নিয়ে আলোচনা করি। মানদন্ড ঠিক থাকলে সেইটা মানার প্রশ্ন আসে। সেটা আমি আপনি যে কেউ ভাঙ্গতে পারি, মানতে পারি। সেটা খুব বড় ব্যাপার না।
আপনার ওপর কোনো আক্রোশ তো আমার নাই। আপনি একটা হাস্যকর ডাবল স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে অন্যকে জ্ঞান দিচ্ছেন দেখে আপনাকে জিজ্ঞাসা করছি, আপনি যে খোরাকের অর্ধেক গরীবকে বিলিয়ে দেয়ার মহান ব্রতে আহ্বান জানাচ্ছেন অন্যকে, সেটা নিজে পালন করছেন তো? আবারও জিজ্ঞাসা করি, শেষ কবে কোরবানির গোস্তের অর্ধেক গরিবকে বিলিয়েছেন ভাইডি? র্যাডিসনে বুফে খেতে গিয়ে কবে প্লেটের অর্ধেক বাইরে কোনো ভিখারিকে দিয়ে এসেছেন? ঈদে চুড়িদার পায়জামা কিনে কবে একটা পায়ে কেচি দিয়ে কেটে গরিবকে পরিয়ে দিয়ে এসেছেন? মাউস কিনে কবে লেফট বাটন নিজের কাছে রেখে রাইট বাটন গরিবকে দিয়ে এসেছেন?
কষ্ট করে জানান, তারপর বাকি আলাপ হবে। কে কী খায় সেইটা নিয়ে এতো হিসাব যখন করছেন, আপনার হিসাবও আমরা জানতে চাইতে পারি। দেখি আপনি কতো বড়ো দানবীর হাজী মহসিন।
তাহলে আমার ভুল হয়েছে ক্ষমা প্রার্থনাপূর্বক বলছি:
আসুন আমরা ব্যক্তিগত 'হিসাবে' না গিয়ে মানদন্ড নিয়ে আলোচনা করি। মানদন্ড ঠিক থাকলে সেইটা মানার প্রশ্ন আসে। সেটা আমি আপনি যে কেউ ভাঙ্গতে পারি, মানতে পারি। সেটা খুব বড় ব্যাপার না।
নববর্ষে ইলিশ খাওয়ার মানদণ্ড? ঠিকাছে, আপনি একটা মানদণ্ড প্রস্তাব করুন।
মানদন্ড তো নিজের ভেতর!
আশা করি আমি আমার বক্তব্য উপস্হাপন করতে পেরেছি। ঝগড়া করার জন্য ঝগড়া করা আমার ইচ্ছা ছিল না। এরপরও আমার কোন মন্তব্য আপনার খারাপ লেগে থাকলে আমি দু:খিত।
নববর্ষ আপনার ভাল কাটুক।
ভাই, আপনার বক্তব্য খুবই অস্বচ্ছ। আপনার সাথে কেউ ঝগড়াও করছে না। শুধু বলছে, আপনি আচরি ধর্ম অন্যরে শিখাও।
মানদণ্ড জিনিসটা "নিজের ভেতরে" থাকে না। থাকলে ঐটাকে মানদণ্ড বলা হতো না। আপনি আজকে দশ ইঞ্চিকে এক ফুট ভেবে নিয়ে বসে থাকতে পারেন, দুনিয়া তো তাতে সায় দেবে না।
যদি নিজের ভেতরই মানদণ্ড রাখবেন, তাহলে অন্যের পাতের ইলিশের দাম আর সেই দামের অর্ধেক গরিবকে বিলাতে আপনি এতো ব্যস্ত কেন? আর যদি এত ব্যস্তই হবেন, বলেন না ভাইয়া, কোরবানির গরু কত দামে কিনেছিলেন, আর তার কত শতাংশ গরিবকে বিলিয়েছিলেন? ইলিশের হিসাবকিতাবে আপনি যত উৎসাহী, নিজের কোরবানির হিসাবে তত পিছপা কেন?
এক্ষেত্রে মানদন্ড = যেটা করা ঠিক ধরে নিয়েছিলাম। আর যেটা করা ঠিক সেটা তো আমাদের সাধারণ জ্ঞান থেকেই আসে তাই না?
পরের অংশের উত্তর ইতিমধ্যে আমি দিয়েছি।
আপনি যেটা ঠিক ধরে নেবেন সেইটাই সবার জন্য মানদণ্ড?
ছাগুদের প্রিয় চীরচেনা সার্কুলার রিজনিং।
হা হা হা শেষ পর্যন্ত লেঞ্জা বের হয়ে গেল। আসলেই লেঞ্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড
যদিও জীবনতরী সাহেব সার্কুলার রিজনিং ব্যবহার করেছেন, আমি কিন্তু জীবনতরী সাহেবকে ছাগু বলি নাই। আমার বিশেষণ দুটো ছিলো "সার্কুলার রিজনিং" শব্দবন্ধটিকে ঘিরে। খিয়াল কইরা প্লিজ।
এখানে সার্কুলার রিজনিং হয় নাই। খেয়াল করুন আমি বলেছি:
সবাই যা ভাল বলবে তাই মানদন্ড।
এখানে সার্কুলার রিজনিং হয় নাই। খেয়াল করুন আমি বলেছি:
সবাই যেটা ভাল বলবে সেটাই মানদন্ড।
হ। সবাই নিজের মতো পয়লা বৈশাখ পালন করতে চায়। এইবার কথা হৈল এই জায়গায় আপনি ত্যানা পেঁচাইতেছেন। এইবার কন ইজ ইট ট্রু দ্যাট, লেঞ্জা ইজ আ টাফ থিং টু হাইড?
ডাকঘর | ছবিঘর
এলা অফ যান, অন্য যায়গায় গিয়া আপনার মূল্যবান লাদি ছাড়েন।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
তার মানে কি দাড়াচ্ছে, সবাই বাংলা বর্ষবরণকে খারাপ বলছে??
চিত্রঃ আইক্কাওলা মানদণ্ড
চিত্রঃ মসৃণ মানদণ্ড
চিত্রঃ মানদণ্ড দেয়া হচ্ছে
(হয়তো মানদন্ড শব্দটা এখানে একেবারেই বেমানান, কিন্তু আমি এত ভেবে বলিনাই)
আমি তো শুধু আলোচনা করতে চেয়েছিলাম, হিমু, মুর্শেদ ভাই অন্তত যুক্তি দিয়ে আলোচনা করেছেন। শেষের দিককার গুলা যুক্তির বদলে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ! হতাশ হবার মত ব্যাপার।
@ জীবনতরী, ভাইয়া/আপু
আপনার মান এবং দন্ড = মানদন্ড হয় না, হেইডা বুঝতে এত দেরী করলে ক্যামনে হবে?
কে বলেছে এখানে মানদন্ড নিয়ে কথা বলা বেমানান? সচলায়তন কতদিন হৈছে পড়েন?
০২।
আপনি আলোচনা করতে চেয়েছেন? নাকি আলু-চনা? কে কিভাবে নববর্ষ পালন করবে, কি খাবে, কত টাকায় কি কিনবে সেই হেদায়ত আপনার থেকে নিতে হবে নাকি?
০৩।
আপনি প্রথমে বলবেন, নববর্ষে বেশী টাকা খরচ করে ইলিশ খাওয়া ছৈলত ন, এর পর বলবেন ঈদের গোস্ত মানুষকে দান করা হয় কিন্তু ইলিশ নয়। এরপর যখন আপনাকে বলা হল আপনি নিজে কি কইচ্চেন, তখন বলেন- পিলিজ ব্যাক্তিগত আলোচলা নয়, মান্দন্ডে আসুন!! -- এরপর আপনার জন্য চরম উদাসের দেওয়া বাম্বু ভিন্ন আর কিছু অবশিষ্ট নাই। আর হাসাইয়েন না। বন্ধ করেন। এই ল্যাদানি অন্যখানে ল্যাদান। এখানে এই কাসুন্দি ছৈলত ন।
ডাকঘর | ছবিঘর
পহেলা বৈশাখে কি খালি খাওয়াটাই মুখ্য ?? আর কেউ আপনারে বলে ভাগ দিবে ?? আপনি এতো বড় "হাতেম তাই" তো যাননা আপনে সবাইরে ভাগ দেন কেউ মানা করছে নাকি ?? যে যার মতো উত্সব পালন করবে আপনার কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে করবে ??
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
আপনার চেতনাকে কুর্ণিশ জানালাম।
বাঙালির আবহমান সংস্কৃতিকে যারা ধর্মের পাল্লায় মাপে তাদের আমি কতটা ঘৃনা করি নিজেই জানিনা। হিন্দু, মুসলিম... জাতপাত নিয়ে কি বৈশাখ সাজতে পারে? ঐতিহ্য এবং কৃষ্টি কি মানুষের জাত দিয়ে মাপা যায়? পয়লা বৈশাখ, ধূতি, কিশোরীর রাঙ্গা শাড়ি, নাড়ূ কি হিন্দুয়ানি? তাহলে বাঙালি কারা হবে? হ্যাঁ, টার্মটা -- 'বাঙালি'।
ডাকঘর | ছবিঘর
বাংলা নববর্ষ নিয়ে এসব ফাজলামি কথা যারা বলে ওদের নাগরিকত্ব বাদ দিয়ে দেয়া উচিৎ। রোযার ঈদে ৩০০০০ টাকায় ইন্ডিয়ান শাড়ি কিনবে, কোরবানির ঈদে ৫০০০০ টাকা দিয়ে ইন্ডিয়ান গরু কোরবানি দিবে, আর নববর্ষ আসলেই এদের মুখে কথার খই ফুটে। নবব্ষের সময় এদেশের লোকেরা অন্তত নিজেদের তৈরি করা শাড়ি, চুরি পড়ে। আর নববর্ষের সাথে ধনী গরিবের কোন ব্যপারতো নেই। যার যে জামা আছে সেটা পড়েই সবাই রাস্তায় বের হয় প্রানের টানে। গরিব্ দের মাঝে বিলাতে হলে সেটা সবসময়ই করা উচিৎ যার যার সাধ্যমত। নববর্ষ তো একদিনই হবে বছরে , একদিন সাহায্য বিলিয়ে কার কি লাভ হবে। অথচ এইসব যারা বলে তারা নিজেরা যদি ঠিকমতো যাকাত টাও দিত তাও বুঝতাম। ধর্মের কথা এদের মনে পড়ে খালি বাঙালী শব্দটা মনে পরলেই ।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
নতুন মন্তব্য করুন