বুয়েট ভালো নেই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২০/০৪/২০১২ - ৫:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বুয়েটে পড়ার স্বপ্ন টা মাথাচাড়া দিয়েছিল খুব সম্ভবত ক্লাস নাইনে থাকতে , না ইঞ্জিনিয়ার হবার বিশেষ কোন ইচ্ছা ছিল না, তবে বুয়েটিয়ান হবার ইচ্ছা ষোল আনাই ছিল তখন থেকে । কলেজ লাইফের কথা মনে আছে বুয়েট তখন আমাদের কাছে একটা স্বপ্নের জায়গা , আশেপাশে যাকেই দেখি সেই বুয়েটে ভর্তি হতে চায় । ওমা! একদিন সত্যি সত্যি এই আমি যে কিনা জীবনে পরীক্ষায় ফার্স্ট সেকেন্ড হইনি বুয়েটে চান্স পেয়ে গেলাম। দুরু দুরু বুকে প্রথম ক্লাস , দিনটা এখনো মনে আছে । বাবা-মা গর্বিত , প্রতিবেশীদের ভালবাসা আর ছোটদের শ্রদ্ধা মেশানো দৃষ্টি এখনো মনে আছে । তখন নিজের মধ্যে কিছু আকিহরে রোগ (আকিহরে = ‘আমি কি হনু রে’ কার্টেসি রাগিব ভাই) পেয়ে বসেছিল বোধ করি। বুয়েটে যখন ঢুকি জানতাম বুয়েট বাংলাদেশের আর দশটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মত নয় । প্রথম দুটি বছর গেল দুর্দান্ত , বুয়েটের সবকিছুই ভাল লাগে (একমাত্র ২ টাকা জরিমানা দিতে সোনালী ব্যাঙ্কে দৌড়ানোর বিষয়টি ছাড়া) । এরই মাঝে দেশে নির্বাচন হল সেনাশাসনের বদলে গণতান্ত্রিক সরকার আসল । তখনো বুঝিনি এর মাধ্যমে বদলে যাবে আমার ভালবাসার বুয়েটও । ততদিন পর্যন্ত বুয়েটে আমার দেখা একমাত্র সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন ছিল সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। দেখতাম মেস চার্জ বৃদ্ধি , ক্যাফেটেরিয়ার খাবার , পরীক্ষার ফি বৃদ্ধি এসব নিয়ে তারা মিছিল করত প্রায়ই । কিন্তু নতুন সরকার আসার পর নতুন নতুন কিছু মিছিল দেখতে শুরু করলাম আমরা। এসব মিছিলে কোন দাবী ছিল না, ছিল ব্যক্তিপুজা। কিছুদিন আগে যাদের কে ছাত্রদল করে বলে জানতাম তাদের মুখ ও দেখতে শুরু করলাম এসব মিছিলে এমনকি একদিন প্রাক্তন শিবির কর্মীও মিছিলে ঢুকে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে নেতা হয়ে গেল। বুয়েটের পতন মনে হয় ঐদিনই শুরু হয়েছিল । ক্যাম্পাসে তখন প্রায়ই ঘটতে শুরু করে টুকটাক মারামারি, বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় ঐসব পাতি নেতাদের কারনেই মারামারির ঘটনা ঘটলেও দায় আসে সাধারন ছাত্রদের ঘাড়ে, হল ভ্যাকেন্ট করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বুয়েট।

এরই মধ্যে বুয়েটে নিয়োগ পান একজন উপ-উপাচার্য যেই পদ বুয়েটে আগে কখনো ছিল না, আগের উপাচার্য বদলে আসেন নতুন উপাচার্য । বুয়েট ছাত্রলীগ তখন অভ্যন্তরীন কোন্দলে জর্জরিত কে কাকে ল্যাং মেরে নেতা হবে সেই দৌড়ে ব্যস্ত। ছাত্রলীগ নেতা রণক হাসানের নেতৃত্বে শুরু হয় ব্যাপক হারে চাঁদাবাজী। হলে হলে লীগের নেতাদের মধ্যে মারামারি হয়ে উঠে এক নিয়মিত ঘটনা । সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা সব কিছুর নীরব দর্শক মাত্র। চাঁদাবাজীর প্রতিবাদ করতে যেয়ে মার খান ছাত্রফ্রন্টের নেতা গৌতম কুমার দে । তখন প্রথম একটু প্রতিবাদের চেষ্টা করে সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা। কিন্তু ছাত্রলীগের গুন্ডাদের হুমকির মুখে তারা দাড়াতে ব্যর্থ , ব্লগ লেখা বা ফেসবুকে প্রতিবাদ জানানোর অপরাধে হলের রুমে রুমে গিয়ে ছাত্রদের সাবধান করে দেওয়া হয়। তখনই আমরা বুঝতে পারি এই বুয়েট আর আমাদের নেই ,এই বুয়েট এখন ছাত্রলীগের। এরপর মূলত বঙ্গবন্ধু পরিষদ তথা পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক জনাব মুনাজ আহমেদ নূর এবং উপ উপাচার্য হাবিবুর রহমান এর স্নেহ ও ভালবাসার শক্তিতে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। তবে ছাত্রদের ক্ষোভ তখন পর্যন্ত ছিল ছাত্রলীগের উপর । বুয়েট প্রশাসনের ভেতরেও যে পচন ধরতে শুরু করেছে তা তখনো আমরা বুঝতে পারিনি । প্রথম যখন কিছু কিছু কথা কানে আসে সেগুলো হেসে উড়িয়ে দিতাম। শুনতাম লীগের ছেলেপেলেদের রেজাল্ট নাকি পরীক্ষা খারাপ দিলেও অনেক ভাল হত । এসব কথা বেশিরভাগ সময়েই হেসে উড়িয়ে দিতাম । কারন বুয়েটের আর সবকিছু রসাতলে গেলেও পরীক্ষা ব্যবস্থা যে ঠিক থাকবে এই বিষয়ে একটা অন্ধ বিশ্বাস কাজ করত সবার মাঝে, তবে হ্যা একদিন সেই বিশ্বাসেও চিড় ধরে , আর এখন তো লীগ নেতা মোকাম্মেল হোসেনের রেজাল্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রমাণ ফেসবুকেই দেখা যাচ্ছে । প্রশাসনের দুর্নীতি গুলো মূলত শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের সময়েই আমরা ভাল করে জানতে পারি। তবে দুঃখজনক বিষয় ছিল এই যে শিক্ষক সমিতির আচরন ও আমাদের কাছে স্বার্থপর মনে হয়েছে সবসময়েই। হলের সাধারন ছাত্ররা যখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে শিক্ষক সমিতি কোন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেনি। এমনকি গৌতম কুমার দে কে যখন পেটানো হয় শহীদ স্মৃতি হল থেকে অনেক শিক্ষক সেটা প্রত্যক্ষও করেন , কিন্তু বিষয়টাকে রাজনৈতিক বিষয় বলে এড়িয়ে যায় শিক্ষক সমিতি । মূলত প্রশাসনের নির্লিপ্ততাকে কাজে লাগিয়ে বুয়েট থেকে ছাত্রফ্রন্ট কে এক প্রকার নিশ্চিহ্ন করে দেয় বুয়েট ছাত্রলীগ। অর্থাৎ তাদের কাজকর্মের বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়ে যাতে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে সেই ব্যবস্থাটুকু নিশ্চিত করে। আজ ভাবতে লজ্জা লাগে, বুয়েট বলেই এমনটা সম্ভব হয়েছিল, ছাত্র ছাত্রীরা বড় বেশি আত্মকেন্দ্রিক হবে হয়তো , চিন্তা করে দেখুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কি এমনটা সম্ভব হবে কোনদিন ? জীবনেও না।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে আজ বলতে পারি ছাত্র-ছাত্রীদের ঐ সময়কার নীরবতার মধ্য দিয়েই বুয়েটের কবর খোঁড়ার কাজটি শুরু হয় , এরপর বুয়েট খালি নীচে নেমেছে আর নেমেছে , এখন তো সাধারন ছাত্রদের প্রতিনিধিও ছাত্রলীগ। মাঝে কিছুটা আশার আলো হয়ে এসেছিল গত ডিসেম্বরের আন্দোলন, লীগের সন্ত্রাসীরা ০৬ ব্যাচের ছাত্র তৌসিফ আহমেদ ঈশানকে পেটানোর পর একসাথে রুখে দাঁড়ায় সবাই, কিন্তু শাস্তি প্রাপ্ত সুজিত মিঠুন এখন ঘুড়ে বেড়াচ্ছে ক্যাম্পাসে, আর আন্দোলনকারীদের রেজাল্ট আটকে আছে উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতার কারনে। কে জানে হয়তো ০৬ ব্যাচ যেন শিক্ষকদের সাথে গলা মেলাতে না পারে তার জন্য প্রশাসনের একটা চাল এটি। ভয় পাবেননা মাননীয় উপাচার্য, বুয়েটিয়ানদের এত সাহস নেই যে, লীগের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আপনাক সরানোর জন্য রাস্তায় নামবে।

আগে বুয়েটে পোস্টারিং হত ছাত্রলীগের ব্যানারে এখন ছাত্রলীগই সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানারে পোস্টারিং করে। তারা যাকে ইচ্ছা জামাত-শিবির উপাধি দেয়, যাকে ইচ্ছা রাজাকার বানায় । এক এক জন নেতার বাকীর তালিকা দেখলে চক্ষু ছানাবড়া হবে যা কারো । যাই হোক এত ফিরিস্তি দিলে লেখা আরো বড় হবে , লীগের সোনার ছেলেদের শক্তির নমুনার জন্য শেষ আরেকটি কথা বলি। শিক্ষকদের সাম্প্রতিক যে আন্দোলন চলছে এতে মোট ১৬ টি বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে , তবে আসলে ইস্যু ছিল মোট ১৭ টি, হ্যা ছাত্রলীগের চাপে তারা একটি বিষয় তালিকা থেকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন । কি ছিল সেটা ? সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের চাঁদাবাজী ।

আর লিখতে পারবোনা , বিশ্বাস করুন আপনারা - বুয়েট ভাল নেই, বুয়েটিয়ানরা ভাল নেই । কবে ভাল থাকবে সেটাও জানিনা। শুধু এইটুক বুঝি এই প্রশাসন থাকলে আগামী দুই বছরে বুয়েট আরো খারাপ হবে। শেষ কবে বুয়েটের অবস্থা নিয়ে স্বনামে কেউ ব্লগ লিখেছে মনে করতে পারেন ? বুয়েট কে বাঁচাতে একদল দেবদূতের প্রয়োজন , তাদের আশাতেই হয়তো আরো অনেকদিন বসে থাকতে হবে আমাদের।

-ছদ্মবেশী

* বুয়েট প্রশাসনের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে দেখুনঃ http://www.savebuet.com/?page_id=76


মন্তব্য

হাসান এর ছবি

নগর পুড়লে দেবালয় কি এড়ায়?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

কিছু বাস্তবতাকে স্বীকার করে তারপর আগানো ভালো।

১) চাঁদাবাজি, মাইরপিট, রাজনীতি, বাকি খাওয়া - এগুলো বুয়েটে নোতুন না।

২) বুয়েট দেবতা না, কখনো দেবতা ছিলো না।

৩) বুয়েট ভিসিদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা এই-ই প্রথম নয়।

৪) বুয়েটের মান কমা বা বাড়ার ক্ষেত্রে বুয়েটের ছাত্র রাজনীতির ভূমিকা খুবই কম। পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন, বুয়েট বন্ধ এ কাজগুলো মোটামুটিভাবে বুয়েট ছাত্র-শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই হয়। তাছাড়া প্রাইভেট ইউটিভার্সিটি আসার পরে বুয়েটের একচেটিয়া আধিপত্য শেষ হওয়া সময়ের ব্যাপার ছিলো মাত্র। 'বুয়েটের পড়াশুনার মান ভালো' বলে যে ইম্প্রেশনটা ছিলো, সেটা তৈরিতে মূলত ছাত্রদের মেধা ও পরিশ্রম, সাথে কিছু ভালো শিক্ষকের আন্তরিক প্রচেষ্টা কাজ করেছে। মুড়িমুড়কির শিক্ষানীতি আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির কারণে বুয়েট গড়ে একই মেধার ছাত্র পায় না। সাথে অনেক শিক্ষকও বুয়েট ছেড়েছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার ক্ষেত্রে আধিপত্য থাকার গর্বে বুয়েটিয়ানরা এই জিনিসটা এখন পর্যন্তও ঠিকঠাক অনুধাবন করতে পারে নাই। সাফল্য হাওয়া থেকে আসে না, সৈয়দ বংশীয় ভাব নিয়ে থাকলেও ফায়দা নাই, কাজ করতে হয়।

৫) বুয়েটের ছাত্রদেরকে রাজনীতি সচেতন হতে হবে, রাজনীতিবিমুখ নয়। এই সচেতনতা না থাকলে আজ ছাত্রলীগ, কাল ছাত্রদল, পরশু শিবির এসব ব্যানারে তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাবে। ইনফ্যাক্ট বর্তমান কেসে একদিকে ছাত্রলীগের ব্যানার, আরেকদিকে শিবিরের পরিচয় সুপ্ত রেখে করা প্রোপাগান্ডার ভেতরে সঠিক অবস্থান নিতেই অধিকাংশ বুয়েট ছাত্র ব্যর্থ হচ্ছে।

ভিসি আর ছাত্রলীগের আকাম নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলুন। শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষক সমিতি কথা বলতে পারেন। আর ইউকসু থাকলে ছাত্রপ্রতিনিধিরাও তাতে যোগ দিন। ফেসবুক, ব্লগ, ইমেইল গ্রুপে প্রোপাগান্ডার ভিড়ে সত্য খুঁজে পেতে পেতে বন্ধ বুয়েটের কয়েকহাজার শিক্ষার্থীর গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করার চেয়ে সেটাই দ্রুতগতির সমাধান।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পোস্ট দেন। জরুরি আলাপ।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চলুক

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

নিটোল এর ছবি

চলুক

_________________
[খোমাখাতা]

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

buetian এর ছবি

তলার খবর কিছু না জেনে কোন মন্তব্য করা মানে যারা সত্যি এই প্রতিষ্ঠানের ভালো করার জন্যে কিছু করতে চায়, তাদের বিভ্রান্ত করা! বুয়েটের শিক্ষকরা অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশী ক্লাশ নিয়ে থাকেন, শীতকালীন বা গ্রীষ্মকালীন ছুটির কোন অস্তিত্বও ছিল না এই প্রতিষ্ঠানে! বরাবরই ছাত্ররা পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন করে আসে, গত পরীক্ষা-র সময়ই তার নজির দেখা গেছে! আর গত সপ্তাহে চার দিন আর এই সপ্তাহে একদিন ক্লাশ না করে শিক্ষকরা খারাপ হয়ে গেল? এ কয়দিনে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকেদের সাথে কথা বলেছে শিক্ষক সমিতি-র প্রতিনিধিরা, শিক্ষামন্ত্রীকে বুঝিয়ে বলেছেন সব কিছু! এই মুহূর্তে বুয়েটকে বাঁচাতে খুব দরকার এক্স বুয়েটিয়ানদের সাপোর্ট, কেউ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেলে সমস্যা, কাউকে বিভ্রান্ত করবেন না! নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে কথা বলুন!

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

একেবারে টু দি পয়েন্ট! পোস্ট চাই।

---------------------
আমার ফ্লিকার

সাই দ এর ছবি

চলুক

শারেক শহিদ এর ছবি

বলাইদা, চমৎকার বলেছেন । বুয়েট থেকে বেরিয়ে আসার সময় এবং কিছুকাল পরে এ ব্যাপারগুলো খুব সহসাই চোখে পড়তো । আফসোস, সমস্যা সবার জানা । সমাধানের কোন চেষ্টা কোথাও নেই ।

হিমু এর ছবি

বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল আর শিক্ষক সমিতির সভার কার্যবিবরণী কি আর্কাইভ করা হয়? করা হলে সেটা কি তথ্য অধিকার আইনের আওতায় চাইলে পাওয়া যাবে?

Anonymous এর ছবি

আর্কাইভ আছে কি না জানি না, তবে এই লিংকে গেলে অনেক কিছুই পাবেন। http://www.buet.ac.bd/documents/
বিশেষভাবে এই সভার বিবরণীটা পড়ে দেখবেন।
http://www.buet.ac.bd/documents/Minutes-2-GM.pdf

চরম উদাস এর ছবি

বুয়েট এর সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী অনেক লেখা ফেসবুক, নানা ব্লগে দেখতে পাচ্ছি। সিরিয়াস সমস্যা চলছে সন্দেহ নাই। কিন্তু পুরা ঘটনা নিয়ে খুব গোছানো কোন লেখা পাচ্ছি না। কেউ একজন আরও গুছিয়ে পুরা টাইমলাইন সহ একটা লেখা দিলে ভালো হয়।

অনিন্দ্য এর ছবি

এই লেখাটি দেখতে পারেন, আমার কাছে খুব গোছানো বলেই মনে হয়েছে।

চরম উদাস এর ছবি

ধন্যবাদ। পড়ি।

কুমার এর ছবি

ধন্যবাদ অনিন্দ্য, পড়ে দেখি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

"আমাদের স্বপ্নের বুয়েট ও কয়েকটি হায়েনার দলীয়করণ" এই শিরোনাম দেখেই আর পড়তে ইচ্ছে করলো না। এই শিরোনামের পোস্টের মধ্যে নির্মোহ যুক্তি থাকলে আমি এতোদিন ব্লগিং করে কিছুই শিখি নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

sim এর ছবি

আপনি সত্যি কিছু শিখেন নি। হায়েনা দের হায়েনা বলার মত সাহস আপনার না থাকতে পারে কার নেই এইটা মনে করার কোন কারন নেই।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কি অবস্থা! মন খারাপ

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

শিক্ষক এর ছবি

চরম উদাস লিখেছেনঃ
"বুয়েট এর সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী অনেক লেখা ফেসবুক, নানা ব্লগে দেখতে পাচ্ছি। সিরিয়াস সমস্যা চলছে সন্দেহ নাই। কিন্তু পুরা ঘটনা নিয়ে খুব গোছানো কোন লেখা পাচ্ছি না। কেউ একজন আরও গুছিয়ে পুরা টাইমলাইন সহ একটা লেখা দিলে ভালো হয়।"

আশা করছি এই এলবামটি যথেষ্ঠ তথ্য দিতে সক্ষমঃ

কর্তৃপক্ষের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির প্রমাণসহ জবাব

তাছাড়া যত্ন করে ব্লগ এবং অন্যান্য মিডিয়ার আর্টিকেলগুলো পড়লে যে কেউ বুঝে যাবেন কোনটি সঠিক এবং কোনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিকৃত তথ্য।

হিমু লিখেছেনঃ

"বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল আর শিক্ষক সমিতির সভার কার্যবিবরণী কি আর্কাইভ করা হয়? করা হলে সেটা কি তথ্য অধিকার আইনের আওতায় চাইলে পাওয়া যাবে?"

আশা করি শিক্ষক সমিতির কাছে চাইলে পাওয়া যাবে, কর্তৃপক্ষের কথা বলতে পারিনে।

অছ্যুৎ বলাই কিছু বাস্তবতাকে স্বীকার করার কথা বলেছেন।

বলি, অতীতের দোহাই দিয়ে আর আমরা নীচে নামতে চাই না।

আর, "শিবিরের পরিচয় সুপ্ত রেখে করা প্রোপাগান্ডা" এ কথাটি আপনি কী উদ্দেশ্যে বলেছেন?

আর, "প্রাইভেট ইউটিভার্সিটি আসার পরে বুয়েটের একচেটিয়া আধিপত্য শেষ হওয়া সময়ের ব্যাপার ছিলো মাত্র" এ কথাটিও এত সহজে বলে ফেলা যাবেনা হয়তো।

আর, "ভিসি আর ছাত্রলীগের আকাম নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলুন। শিক্ষকদের প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষক সমিতি কথা বলতে পারেন।" এ ব্যাপারে বলতে পারি, শিক্ষক সমিতি গত দুই বছরে তিনবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করার অনুমতি চাইলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে কোন অনুমতি মেলেনি। অবশেষে গত ১৯ এপ্রিল তারিখে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে শিক্ষক সমতির কার্যনির্বাহী পরিষদ দেখা করেন এবং বিস্তারিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

আর, "সাফল্য হাওয়া থেকে আসে না, সৈয়দ বংশীয় ভাব নিয়ে থাকলেও ফায়দা নাই, কাজ করতে হয়।" আপনার এই কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত।

লেখক লেখার একস্থানে উল্লেখ করেছেন, গৌতম যখন মার খায় তখন শিক্ষকদের অনেকে প্রত্যক্ষদর্শী হয়েও কেন নিশ্চুপ ছিলেন!

একটি তথ্য দিই, এই ঘটনার পর আমি (সঙ্গত কারনেই আমি নিজের পরিচয় প্রকাশ করছিনা, অপরাধ মার্জনীয়) এবং বুয়েটের আরো কমপক্ষে ১১ জন শিক্ষক কর্তৃপক্ষের কাছে এবং বুয়েটের শিক্ষক সমাজের কাছে এই ঘটনার বিবরণসহ আলাদাভাবে লিখি। বুয়েট শিক্ষক সমিতি পরের সপ্তাহেই একটি জরুরী সাধারণ সভা করে এবং সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্তৃপক্ষের কাছে এই ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের বিচার দাবী করে। দুঃখের বিষয় যেটা, সেটা হলো, সেই তদন্তের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বরাবরের মতোই উদাসীন থেকেছে।

এমন হাজারো নোংরামি, অন্যায়, অনিয়ম আর রাজনৈতিক লীলাখেলায় আমরা বারবার কর্তৃপক্ষকে বলে এসেছি সঠিক পদক্ষেপটি নিতে। অবশেষে উপায় না দেখে আমাদের এই মুক্তির দাবী। আমরা এই ভিসি এবং প্রো-ভিসির হাত থেকে মুক্তি চাই।
আমরা আশা করি, সবাই জানুন, এবং অন্ততঃ আমাদের সমর্থনটুকু দিন।

-একজন বুয়েট শিক্ষক

চরম উদাস এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। পড়ে দেখছি।

হিমু এর ছবি

আপনার কাছে আমার জিজ্ঞাসা(যদি আপনি সত্যিই বুয়েটের শিক্ষক হয়ে থাকেন), তবে প্রসঙ্গটি ভিন্ন। বুয়েটে শিক্ষকদের একটি সমিতি অস্তিত্বশীল। কর্মচারীদেরও সংগঠন আছে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন ইউকসুর কোনো অস্তিত্ব বুয়েটে বর্তমানে নেই। একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার স্টাফ, শিক্ষক ও ছাত্র নিয়ে। কিন্তু এই তিনটি পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষটিরই কোনো সংগঠন নেই, ফলে তাদের কোনো নিয়মতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বও নেই। এই পরিস্থিতিকে আপনারা, বুয়েটের শিক্ষকরা, কি স্বাভাবিক মনে করেন?

আপনি যদি বুয়েটের শিক্ষক না হয়ে থাকেন (যে কেউ "একজন বুয়েট শিক্ষক" নিক নিয়ে মন্তব্য করতে পারে), অনুগ্রহ করে আলাপ দীর্ঘায়িত করবেন না।

ব্যংগচিত্র  এর ছবি

কিন্তু এই তিনটি পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ পক্ষটিরই কোনো সংগঠন নেই, ফলে তাদের কোনো নিয়মতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্বও নেই। এই পরিস্থিতিকে আপনারা, বুয়েটের শিক্ষকরা, কি স্বাভাবিক মনে করেন?

চলুক

তবে একটাই প্রশ্ন স্বনামে লেখার সাহসের অভাব আসলে বুয়েটের খারাপ অবস্থার প্রকাশ করে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব স্টেটমেন্ট সহ আলাদা দাবীতে লড়ার মত সত্যিই প্লাটফরমের অভাব আমি বোধ করেছি।

তবে কিছু বিষয় ০৬ এর ভাইয়াদের রেজাল্ট আটকে দিয়ে ছাত্রদের মাঝে আরো বেশি ভীতির সঞ্চার করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষকদের আন্দোলন চলাকালে বেশ অনেক বুয়েটিয়ান, বুয়েটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটা মুভমেন্ট করলেও, তখন শিক্ষক সমিতি কথা ছাড়াই পিছিয়ে আসে।
ঐ সময় তাদের দাবী ছিল--

(১) রেজিস্ট্রার , উপ-উপাচার্য এবং এ জাতীয় অন্যান্য সকল গুরুত্বপূর্ন পদে লোক নিয়োগে দলীয়করণ দূর করে স্বচ্ছতা আনয়ন করা হোক।
(২) ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে দলীয় মিছিল, পোস্টারিং, অভিনন্দন জ্ঞাপক ব্যনার ও অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকান্ড এখনো চলমান। বুয়েটের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের দাবি এই অবস্থার প্রেক্ষিতে অতি দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হোক।
(৩) ২০১০ বিশ্বকাপের সময়ে কতিপয় ছাত্র সৃষ্ট অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সাধারন ছাত্রদের যে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে এবং পরবর্তীতে অতিরিক্ত ১৫ দিন ছুটি বাড়িয়ে যে তদন্ত করা হয়েছে তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হোক এবং এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
(৪) সাম্প্রতিক সময়ের ক্যাফেটেরিয়া এবং আহসানউল্লাহ হলের ক্যান্টিনে সংঘটিত সহিংস ঘটনাটি বুয়েটের সাধারণ ছাত্রদের মাঝে যে চাঞ্চল্য ও ভীতির সৃষ্টি করেছিলো, কর্তৃপক্ষের তরফ হতে সেটি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রস্তুতকৃত তদন্ত প্রতিবেদন অনতিবিলম্বে প্রকাশ করা হোক এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
(৫) বিগত দুই বছরে আহসানউল্লাহ, তিতুমীর এবং অন্যান্য হলে ঘটিত সকল ধরনের সহিংস ঘটনার জন্যে দোষী ছাত্ররা সাধারণ শিক্ষার্থীদের চোখে চিহ্নিত হলেও কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
(৬) বুয়েটের প্রয়াত ছাত্র ফয়সাল বিন রহমান (২০০৩, পুরকৌশল) এবং খানজাহান সম্রাট (২০০৯, যন্ত্রপ্রকৌশল) এর সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর ঘটনায় বুয়েটের পক্ষ থেকে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের মৌখিক আশ্বাস দেয়া সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থাই গৃহীত হয়নি; অবিলম্বে এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
(৭) হলের ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়ায় ও তৎসংশ্লিষ্ট এলাকায় বুয়েটের কতিপয় ছাত্র কর্তৃক চাঁদাবাজী ও বিভিন্ন ধরনের বকেয়া সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হোক।
এ সকল বিষয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা সব সময় সচেতন ছিল। দুঃখজনক হলেও সত্যি, বুয়েটের সার্বিক পরিস্থিতি বর্তমানে চরম অব্যবস্থাপনায় পৌঁছেছে । এমতাবস্থায় সাধারন ছাত্রছাত্রীরা তাদের দীর্ঘদিনের দাবীগুলো নিয়ে সামনে এগিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে । তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষকরা যে সকল দাবীতে সাময়িক কর্মবিরতি গ্রহণ করেছেন, তার কিছু দাবী সাধারণ ছাত্রদের দাবীর সাথেও সংগতিপূর্ণ।
এ অবস্থায় শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে আমাদের আবেদন, তারা যেন চাকুরী সময়সীমা বৃদ্ধির দাবীর পাশাপাশি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যান্য দাবীসমূহের সাথেও একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং প্রশাসন যেন উপরিউক্ত দাবীসমূহ বাস্তবায়ন ও সমাধানে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

নিবেদক-
বুয়েট শিক্ষার্থীবৃন্দ

এবারো সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটা আলাদা এজেন্ডা নিয়ে তারা এগিয়ে আসবে এই আশা রাখি। এর সাথে আরো কিছু বিষয় যেমন- রেজাল্ট পরিবর্তন, রেজাল্ট আটকানো, ঈশান ঘটনার দোষীদের হলে প্রত্যাবর্তন।
আমি জানি এখনো অনেক বুয়েটিয়ানদের প্রাণের মাঝে এতটুকু আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। তারা এবারো আলাদা ভাবে একটা মুভমেন্টে অংশ নেবে ভাল কিছুর তাগিদে। এর সাথে একটা আলদা প্লাটফর্ম এবং ইউকসুর দাবীও উঠে আসবে।

শিক্ষক এর ছবি

ছাত্রছাত্রীদের সংগঠন থাকার প্রয়োজনীয়তা আমি অনুভব করি। এইরকম একটি বড় এবং শক্তিশালী সংগঠন নেই বলেই আজ লীগের এই গুটিকয়েক ছাত্র সাধারণ ছাত্রদের ব্যানারে ক্যাম্পাসে পোস্টারিং আর মিছিল করার সুযোগ পাচ্ছে। ছাত্ররাও কেউ সংগবদ্ধ হয়ে কিছু করার সুযোগ কম পাচ্ছে। এটা স্বাভাবিক মনে করি না।

আপনার সন্দেহের ব্যাপারে বলি, এখনও বুয়েটের শিক্ষক (অন্ততঃ চাকরী আছে এখনও)। তবে যা চলছে, কবে যে চাকরীই থাকবে না সেই আশংকাই করি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ইউকসু বন্ধের কারণ কি?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

আপনি অনুভব করেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার সহকর্মী, সিনিয়র শিক্ষকরাও কি অনুভব করেন?

আমার কেন যেন মনে হয়, ছাত্র সংগঠন নিয়ে শিক্ষক সমিতির কোনো মাথাব্যথা নাই। তারা ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারটাকে পাত্তাই দেন না। যদি দিতেন, সবার আগে এই ইস্যু নিয়েই কথা বলতেন। গাছের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালাকে আন্দোলন নাম দিয়ে গোল গোল কথা বলতে হতো না তখন।

একটু কষ্ট করে কি জানাবেন, টেস্টিঙের খ্যাপ, কনসাল্টেন্সির খ্যাপ, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার খ্যাপ, এগুলো আপনারা বন্ধ রেখেছেন কি না? নাকি শুধু বুয়েটে শিক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ করেই আন্দোলন করছেন? আপনাদের আন্দোলনের উদ্দেশ্য মহৎ, এর প্রতি শতভাগ সমর্থনও আমার রয়েছে, কিন্তু আপনারা সেই মাপের মহৎ নন দেখে ভরসা পাই না।

আরেকটু জানান, ২০০২ সালের ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষক সমিতি কয়দিনের জন্য ক্লাস বর্জন করেছিলো। নিজে না জানলে, মুরুব্বিদের জিজ্ঞাসা করে এসে জানান প্লিজ। একটু বোঝা দরকার আপনারা কোন কিসিমের বিপ্লবী। রেজিস্ট্রারের কারণে আপনাদের নিজেদের শিক্ষা ছুটি হ্যানোত্যানো সমস্যা হচ্ছে দেখে ক্লাস নেয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী গুলি খেয়ে মরার পর কী করেছেন, জানতে কৌতূহল হচ্ছে। পারলে সেই আমলের শিক্ষক সমিতির সভার কার্যবিবরণী স্ক্যান করে তুলে দিন। পড়ে দেখি।

ব্যঙ্গচিত্র   এর ছবি

গুরু গুরু

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

গুরু গুরু

---------------------
আমার ফ্লিকার

শিক্ষক এর ছবি

তারিখ টা ১৯ এপ্রিলের পরিবর্তে ১২ এপ্রিল হবে, দুঃখিত

শিক্ষক এর ছবি

তারিখ টা ১৯ এপ্রিলের পরিবর্তে ১২ এপ্রিল হবে, দুঃখিত

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বলি, অতীতের দোহাই দিয়ে আর আমরা নীচে নামতে চাই না।

এটা দোহাই দিয়ে নীচে নামা না, বাস্তবতাকে স্বীকার করা। নগরে আগুন লাগলে দেবালয়ও রক্ষা পায় না।

আর, "শিবিরের পরিচয় সুপ্ত রেখে করা প্রোপাগান্ডা" এ কথাটি আপনি কী উদ্দেশ্যে বলেছেন?

জামায়াত শিবির সবসময়ই ইস্যু ছিনতাই করে বাংলাদেশকে বাঁশ দেয়। জামায়াতের মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ গঠন, টিপাইমুখী বাঁধ, সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা প্রত্যেকটা কেসেই তারা দেশপ্রেমিকের অভিনয় করে ইস্যুটাকে শেষমেষ বাঁশ দেয়।
বুয়েটের ক্ষেত্রে একটা উদাহরণ, হেলালী স্যার কেস। তাকে হিজবুতি বলে প্রচারিত খবরের দুর্বলতাগুলো টু দ্য পয়েন্টে বলে তার উলটোটা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভবত সম্ভব; কিন্তু শিবির ও শিবিরটাইপ অ্যাকটিভিস্টদের কারণে সত্যটা সামনে আসার সুযোগ খুব কম। তাদের কাজ হলো ঝামেলা জিইয়ে রাখা, ঝামেলার সমাধান না।

হেলালী ইস্যুতে কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর পাই নি, আপনার জানা থাকলে (যাচাইযোগ্য রেফারেন্স থাকলে ভালো) বলবেন:
১) ক্লাসে হেলালী স্যারের পজিশন কত ছিলো? উনার আগের সবাইও কি বুয়েটে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন?

২) হেলালী স্যার জেলে গিয়েছিলেন কেন? একজন মুক্তিযোদ্ধা কি কারণে ৭২-৭৫ জেলে থাকতে পারেন? আবার বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরেই জেল থেকে কিভাবে ছাড়া পান?

৩) ৭৫ এ জেল থেকে বের হয়ে উনি কোথায় ছিলেন পরবর্তী ৩ বছর?

এ জাতীয় প্রশ্ন করার জন্য উনার 'যারা ইসলাম ইজ টোটালি পলিটিক্সে বিশ্বাসী না, তারা মুসলমান নয়' বলা ছেলের কাছ থেকে 'অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্করী' ট্যাগ পেতে হয়েছিলো এবং সেখানে বেশকিছু রাজনৈতিক ইসলামের ধারক-বাহক মোটামুটিভাবে 'গদাম' দিতে এগিয়ে আসছিলেন। হাসি

সুতরাং বুঝাই যায়, হেলালীর কেসকে জাস্ট একটা জিইয়ে রাখা ইস্যু করা হয়েছে, যাতে সরকার বিপাকে পড়ে। এখানে বুয়েটের কোনো স্বার্থ নাই। বরং বুয়েটকে বাঁশ দিয়ে সরকারকেও যাতে বাঁশ দেয়া যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।

আর, "প্রাইভেট ইউটিভার্সিটি আসার পরে বুয়েটের একচেটিয়া আধিপত্য শেষ হওয়া সময়ের ব্যাপার ছিলো মাত্র" এ কথাটিও এত সহজে বলে ফেলা যাবেনা হয়তো।

কার্যকারণ বিশ্লেষণ করেন, তাইলে বুঝবেন।

ক) প্রাইভেটে টাকা বেশি। বুয়েটে ভালো শিক্ষকরা কেন থাকবেন? ভালো শিক্ষক না থাকলে মান কমতেই থাকবে।

খ) একই শিক্ষক বুয়েটে চামারের মতো আচরণ করেন, আর প্রাইভেটে গেলে 'বই দাগায়া' দেন। এই ছাত্রগুলা যখন উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করে, তখন জিপিএতে মার খায়। বাইরের বিশ্বে বুয়েটের জিপিএ আর প্রাইভেট ইউনির জিপিএর দাম সমান।

গ) কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার দোষ প্লাস ছাত্রদের আন্দোলন প্লাস শিক্ষকদের উষ্কানি সবমিলিয়ে বুয়েটে সার্টিফিকেট পেতে প্রাইভেটের তুলনায় অন্তত ২ বছর সময় বেশি লাগে। যে মেধাবী ছাত্রের ৫ লাখ টাকা খরচের সামর্থ্য আছে, সে কোন দুঃখে বুয়েটে পড়তে যাবে?

ঘ) বাইরের ইউনিভার্সিটির সাথে কোয়ালিশন সম্পর্কে আমি ডিটেলস তথ্য জানি না। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে। বুয়েটে কিছু করতে গেলে বুয়েট শিক্ষকদেরকে তেলাতে হয়, তারপরেও উনারা এসব উদ্যোগ এলাও করতে গড়িমসি করেন।

শিক্ষক সমিতি গত দুই বছরে তিনবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে, মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করার অনুমতি চাইলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে কোন অনুমতি মেলেনি। অবশেষে গত ১৯ এপ্রিল তারিখে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে শিক্ষক সমতির কার্যনির্বাহী পরিষদ দেখা করেন এবং বিস্তারিত পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

কোন কোন ইস্যুতে দেখা করতে চেয়েছিলেন? দুইবছরে মাত্র ৩ বার কেন? এটা কি 'বার' এর ব্যাপার, নাকি সময়ের ব্যাপার? প্রধানমন্ত্রী/রাষ্ট্রপতির দপ্তরে আবেদন করা যে তাদের সাথে দেখা করতে হবে, কখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া যাবে? অ্যাপয়েন্টমেন্ট আজ পাওয়া যাক, এক সপ্তাহ পরে পাওয়া যাক আর ৬ মাস পরে পাওয়া যাক, সেটা পাওয়া যাবেই। বিষয়টা এরকম না? (এই সিস্টেম আমার ঠিকমতো জানা নাই।)

যাক, তাইলে সরকারের সাথে তো শেষপর্যন্ত যোগাযোগ হয়েছে। মন্ত্রী কি বলেন? শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কি এখনো বহাল আছে?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বাস্তবতা   এর ছবি

আপনি আলোচনাকে বুয়েট বনাম প্রাইভেট ভার্সিটির দিকে সরিয়ে নিচ্ছেন অকারণে. এ নিয়ে আপনার প্রশ্নগুলো আপনার অজ্ঞানতাকেই প্রকাশ করে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার জ্ঞানের ভাণ্ডার থেকে হেলালী স্যার সম্পর্কিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দান করলে বাধিত হই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

বহুতক্ষণ ধৈরা এক্টা পাহাড়ের ছবি আঁইকা, মুইছা দিলাম। জিগাইলাম, কৈঞ্চেনদেহি আমি কী আঁকছিলাম? সে কয়, কেম্নে কমু? আমি কই, আপ্নার লাইগা ক্লু : আপ্নে প্রমাণ করেন আমি পাহাড়ের ছবি আঁকি নাই। সে কয় কেম্নে করুম! আমি খ্যাক খ্যাক কইরা হাসি। এইটারে কয় 'মুছা সিন্ড্রোম'।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

বাস্তবতা   এর ছবি

আমার 'জ্ঞানের ভাণ্ডারে' মাকসুদ হেলালী সার নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্য না থাকে আপনার প্রশ্নের জবাব দিলাম না, 'Not guilty unless proven otherwise' নীতিতে বিশ্বাস করি, উনার বিরুদ্বে করা অভিযোগ এর পক্ষে কোনো প্রমান আমার চোখে আসে নাই এখনো

শিক্ষক এর ছবি

"এটা দোহাই দিয়ে নীচে নামা না, বাস্তবতাকে স্বীকার করা। নগরে আগুন লাগলে দেবালয়ও রক্ষা পায় না।"
এখন দেবালয় পুড়ছে পুড়ুক বলে আমরা বসে থাকব? বাস্তবতাকে স্বীকার করেই আমরা পরিস্থিতির উন্নতির চেষ্টা করছি।

হেলালী স্যার সম্পর্কে যা জানতে চেয়েছেন, তা আমার চেয়ে ওনার সমবয়সী কেউই ভাল বলতে পারবেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় তাঁরা নিজেরাই বারবার বলেছেন হেলালী স্যার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং স্বাধীনতা-উত্তর বছরগুলোতে বাম রাজনীতি করার কারনে হাজতবাসও করেছেন। "হেলালীর কেসকে জাস্ট একটা জিইয়ে রাখা ইস্যু করা হয়েছে, যাতে সরকার বিপাকে পড়ে। এখানে বুয়েটের কোনো স্বার্থ নাই। বরং বুয়েটকে বাঁশ দিয়ে সরকারকেও যাতে বাঁশ দেয়া যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।" এ কথাটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা দাবী করছি। একজন সম্মানিত শিক্ষক হিসেবেই তাঁর চরিত্রে এরকম কলংক লেপনের প্রতিবাদ করা হয়েছে।

আপনি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট নিয়ে যে কার্যকারণ বিশ্লেষণের কথা বলেছেন, সেটা নিয়ে আসলে এই পোস্টে কথা বলা সমীচিন মনে করছিনা। তবে,

ক) প্রাইভেটে টাকা যতই বেশী হোক বুয়েটের শিক্ষকরা কিন্তু বুয়েটেই থাকছেন।
খ) কথা সত্য, তবে অন্তর্নিহিত ব্যাপারটাও দেখা জরুরী বৈকি। আমার নিজেরি অনেক কলিগ বলেছেন, তাঁদের এপয়েন্টমেন্টের অনেক টার্মসের মধ্যে একটা মৌখিক শর্তও থাকে শিক্ষার্থীদের পাশ করিয়ে দেওয়া নিয়ে। যেহেতু আমি নিজে প্রাইভেট কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াইনা তাই আমি তর্কে আগাচ্ছিনা।
গ) কোন দুঃখে যে এখনও বুয়েটে আসছে
ঘ) "কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে" কোন অভিজ্ঞতা থেকে, বলবেন কি? আপনি গবেষণা পাবলিকেশনের কথা বলেছেন, একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন, হাই ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে বুয়েটের শিক্ষকদের, এমনকি ছাত্রদের অনেকেরও, কতগুলি পাবলিকেশন আছে!

"দুইবছরে মাত্র ৩ বার কেন?" এর কারন হচ্ছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে সাক্ষাতের আবেদনের পর যে সময়টুকু অপেক্ষা করতে হয় সেটা।

"অ্যাপয়েন্টমেন্ট আজ পাওয়া যাক, এক সপ্তাহ পরে পাওয়া যাক আর ৬ মাস পরে পাওয়া যাক, সেটা পাওয়া যাবেই। " পাওয়া যে যায় না সেটাতো পরিষ্কার করলামই।

"শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কি এখনো বহাল আছে?" হ্যাঁ আছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হেলালী স্যার সম্পর্কে যা জানতে চেয়েছেন, তা আমার চেয়ে ওনার সমবয়সী কেউই ভাল বলতে পারবেন। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় তাঁরা নিজেরাই বারবার বলেছেন হেলালী স্যার বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন এবং স্বাধীনতা-উত্তর বছরগুলোতে বাম রাজনীতি করার কারনে হাজতবাসও করেছেন।

দেখেন, এ প্রশ্নগুলোর টু-দ্য-পয়েন্ট, আই রিপিট টু-দ্য-পয়েন্ট উত্তর যোগাড় করা যায় কিনা। তাহলে অনেক প্যাচেরই সমাধান মিলবে।

"হেলালীর কেসকে জাস্ট একটা জিইয়ে রাখা ইস্যু করা হয়েছে, যাতে সরকার বিপাকে পড়ে। এখানে বুয়েটের কোনো স্বার্থ নাই। বরং বুয়েটকে বাঁশ দিয়ে সরকারকেও যাতে বাঁশ দেয়া যায়, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।" এ কথাটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা দাবী করছি। একজন সম্মানিত শিক্ষক হিসেবেই তাঁর চরিত্রে এরকম কলংক লেপনের প্রতিবাদ করা হয়েছে।

মিথ্যা দাবী করলেই তো কাজ শেষ হয়ে গেলো না। আপনি হেলালী স্যারের ইতিহাসই ঠিকমতো জানেন না, আগে দরকারী তথ্য ঠিকমতো জানুন, তারপরে তার ওপর বেইজ করে যুক্তি দিন, শুধু দাবী করলে তো সমাধান মিলবে না। আমি যেমন দর্শক হিসেবে নিশ্চিতভাবে জানি, তার ছেলে উগ্র রাজনৈতিক ইসলামের সমর্থক, যা হিজবুত তাহরীটাইপ ভাবধারার সাথে পুরোপুরি মিলে। ছেলের আদর্শ আবার তার বাবা। সুতরাং এখানে চরিত্রে কালি লেপনের চাইতে হিজবুতি কানেকশনের 'দিকে'ই তথ্য যাচ্ছে।

কালিমা লেপনের ব্যাপারে আরেকটা জিনিস খুব গুরত্বপূর্ণ। এই খবরটি একটা পত্রিকার খবর। পত্রিকায় প্রকাশিত একটা খবরের সাথে বুয়েটে ক্লাস বন্ধের কোনো সুনির্দিষ্ট কোরিলেশন আছে কি? যেমন, ভিসি-প্রোভিসি-রেজিস্ট্রাররা কি এই পত্রিকা চালান বা পত্রিকাওয়ালাদেরকে টাকা দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে প্রোরোচিত করে খবরটা ছাপিয়েছেন?

ক) প্রাইভেটে টাকা যতই বেশী হোক বুয়েটের শিক্ষকরা কিন্তু বুয়েটেই থাকছেন।

মোটেই না। বুয়েট শিক্ষকদের একটা বিরাট অংশ, যদি সবাই নাও হয়, খ্যাপ মারেন প্রাইভেটে। অর্থাৎ তারা বুয়েটে ফুলটাইপ জব করার পরেও বাইরে ক্লাস নেন। শিক্ষাদানে আইডিয়াল কেসে এক ঘন্টার লেকচারের প্রস্তুতি নিতে ৪/৫ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়। স্টেইট অফ দ্য আর্টের সাথে থাকার জন্য এই প্রস্তুতিকেও সবসময় আপডেটের ভেতরে রাখতে হয়। একজন শিক্ষকের জন্য শারীরিক ও মানসিক ফিটনেসের বিষয়টাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বাইরে সময় দিতে গেলে এর প্রত্যেকটাই কমবেশি ব্যাহত হয়। [কম বেতনের অজুহাত ছাড়া অন্য কোনো কারণ থাকলে বলবেন।]

আবার আগে বুয়েট শিক্ষক ছিলেন, এখন বুয়েট ছেড়ে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ফুলটাইম শিক্ষক। ২টা উদাহরণ দেই: ইলেকট্রিক্যালের আনিসুল হক আর রেজওয়ান খান। দুইজনই টপ ক্লাস শিক্ষক।

"শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কি এখনো বহাল আছে?" হ্যাঁ আছে।

শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ কি তাইলে বিফল? সরকারকে বিষয়টা অবহিত করার পরেও ক্লাস বর্জনের পেছনে যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে, যখন সরকার 'দেখুম না' ভাব নেয়। এখনো ক্লাস বর্জন অব্যাহত রাখার পেছনে যুক্তি কি?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

"কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে" কোন অভিজ্ঞতা থেকে, বলবেন কি? আপনি গবেষণা পাবলিকেশনের কথা বলেছেন, একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন, হাই ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে বুয়েটের শিক্ষকদের, এমনকি ছাত্রদের অনেকেরও, কতগুলি পাবলিকেশন আছে!

অভিজ্ঞতা: ১) নিজের: বুয়েটে নিজের গবেষণার কাজের ওপর একটা প্রেজেন্টেশন দিতে চেয়েছিলাম। এক স্যার আরেক স্যারকে রেফার করেন। রেফার করা স্যারকে অনেকবার ইমেইল করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায় নাই।
২) একই ঘটনা আরো কয়েকজনের ক্ষেত্রে ঘটেছে।
৩) আমার ইউনিগুলোতে অন্য ইউনির সাথে কোলাবোরেশনের কারণে শিক্ষক ও ছাত্রদেরকে ভিজিট করতে দেখেছি।

গবেষণা পবলিকেশন্সের ব্যাপারে আপনি কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য দিলে ভালো হতো। আমার জন্য গুগোল মামু আছে। কিন্তু ফিল্টার করে দরকারী তথ্য সংগ্রহ করা একটু সময়সাপেক্ষ। আপনার কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে আমারও সময় বাঁচতো। আপনিও কোনগুলোকে উদাহরণ হিসেবে নিচ্ছেন বুঝতে সুবিধা হতো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাধারণ মানুষ এর ছবি

গবেষণা এবং পাব্লিকেশন্স সংক্রান্ত আপনার মন্তব্যটা পড়ে বিস্মিত হলাম। আমি ০৬ এর এক ছেলেকে চিনি যে আন্ডারগ্র্যাড লেভেলেই ১২ টার মত পাব্লিকেশন করেছে।আমার এক বন্ধু আন্ডারগ্রেডে থাকতেই তার গবেষণাপত্র এলসভেয়ারের মত জার্নালে পাব্লিশ করতে পেরেছে। ০৫ এর আন্ডারগ্রেডে করা একটি থিসিস MIT থেকে প্রকাশিত একটি জার্নাল থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এরকম ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ আমি দিতে পারি।

হ্যা আমি আপনার সাথে আমি এই ব্যাপারে একমত সৈয়দ বাড়ির বলে ভাব ধরে বসে থাকলে চল্বে না কাজ করতে হবে। কিন্তু ভিতরের খবর না জেনেই আলগা ভাব নেওয়ার জন্য নিজের (সৈয়দ) বাড়িকে গালি গালাজ করাটা কোন কাজের কথা নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

গ) কোন দুঃখে যে এখনও বুয়েটে আসছে

এই বাক্যটা বুয়েটের অনেকেরই অ্যাটিটিউড সমস্যা নির্দেশ করে। আর্থিক সামর্থ্য থাকা অনেক মেধাবী ছেলেই বুয়েটে আসছে না - এটা ফ্যাক্ট। বাংলাদেশের মতো উচ্চ ফলনশীল জনসংখ্যার দেশে ছাত্র পেতে বুয়েটের সমস্যা হবে না; কিন্তু এরকম উন্নাসিকতা নিয়ে থাকলে গড় কোয়ালিটি কমতেই থাকবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নামুস এর ছবি

গতকাল থেকে বুয়েট সম্পর্কে দুইটা পোষ্ট সচলায়তনে এসেছে। দুইটা পোস্টেই আপনি বুয়েট সম্পর্কে একের পর এক নেগেটিভ মন্তব্য করে যাচ্ছেন। আমার ব্যাচের (২০০৪) এমন কোনও স্টুডেন্ট দেখি নাই যে বাইরে যেতে চেয়েছে অথচ যেতে পারে নি। ইইই বিভাগে আমাদের ব্যাচের ৭০% স্টুডেন্ট বাইরে চলে গেছেন। সুতরাং আপনি কিসের ভিত্তিতে বুয়েটে মেধাবী ছাত্র আসছে না বা বুয়েট প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পিছিয়ে পড়ছে সেটা বুঝতে পারলাম না। আর আমার ব্যাচের যারা বুয়েটে শিক্ষক আছেন তাদের কাছ থেকে যে ফিডব্যাক পাই তাতে বর্তমান স্টুডেন্টদের কোয়ালিটি পড়ে গেছে বা কমে গেছে এরকম কোনও কিছু মনে হয় নি।
-নামুস

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দুইটা পোস্টেই আপনি বুয়েট সম্পর্কে একের পর এক নেগেটিভ মন্তব্য করে যাচ্ছেন।

বাস্তবতা আর নেগেটিভ এক জিনিস না। পয়েন্ট বাই পয়েন্ট বলেন, কোনটা বাস্তবতা না, শুধুই নেগেটিভ। আমি শেখার জন্য কথা বলি। আমার কোন কোন পয়েন্টে ভুল আছে, আপনি টু-দ্য-পয়েন্টে বলেন, এই মন্তব্য খরচ করে বুয়েটের পাশাপাশি আমারও লাভ হবে, শিখতে পারবো।

সুতরাং আপনি কিসের ভিত্তিতে বুয়েটে মেধাবী ছাত্র আসছে না বা বুয়েট প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পিছিয়ে পড়ছে সেটা বুঝতে পারলাম না।

বুয়েটে মেধাবী ছাত্র আসছে না - এটা কোথায় বললাম? 'অনেক' মেধাবী ছেলেই সামর্থ্য থাকলে বুয়েটের চেয়ে প্রাইভেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, এটা বলেছি। এর হাতেকলমে উদাহরণ নিচে 'মানুষ' - এর মন্তব্যে দেখুন।

প্রাইভেট আসার ফলে বুয়েটকে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারটা স্বীকার করে আগাতে হবে, মনোপলি আর নাই - এই বাস্তবতাটা অনুধাবন করতে হবে, এটাই এ বিষয়ে মূলকথা। যেমন, বুয়েটের ভালো ভালো শিক্ষকরা বুয়েট ছেড়ে প্রাইভেটে গেলে বুয়েটের মান বাড়ে না, এটা একটা ঝুঁকি। এই ঝুঁকিকেও মাথায় রাখতে হবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বাস্তবতা   এর ছবি

আপনি প্রায় প্রত্যেক ক্ষেত্রেই আপনার মূল্যায়নকে তথ্য হিসেবে চালাতে চাচ্ছেন, যেমন 'মানুষ' নামের একজনের দেয়া ধারণার বিবরণকে আপনি 'প্রমান' হিসেবে উপস্থাপন করতেছেন, তথ্য দিয়ে বলুন, কতজন বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে? সেটাকে নরমালাইজ করে রেশিও টা আমাদের দেখান

অনুমানের উপর ভিত্তি করে আমাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য দিতে আসবেন না

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখনকার 'মেধাবী' স্টুডেন্টদের মধ্যে কাউকে দেখলাম পাশ করতে সময় বেশি লাগে বলে বেসরকারীতে ভর্তির ব্যাপারটা কনসিডার করছে।

এটা তো একটা 'তথ্য'। মানুষ তার দেখা মেধাবী স্টুডেন্টদের মধ্যে কাউকে কাউকে দেখছেন, এটা তথ্য, এটা ধারণার বিবরণ না।

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষায় পাশ করে ভর্তি না হওয়াদের রেশিও জাস্ট আরেকটা তথ্য হতে পারে।

একইভাবে যারা ৭ বছরে ব্যাচেলর না করতে চেয়ে ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত না গিয়েই প্রাইভেটে ভর্তি হয়, তারাও একটা তথ্যের অংশ হতে পারে। দেখা যাবে বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার আগেই অনেকের এক সেমিস্টার শেষ। তারা বুয়েটে কবে পরীক্ষা হবে, সে পর্যন্ত অপেক্ষাও করে নাই।

এটাকে নেগেটিভ মন্তব্য মনে হলে আপনি একটা পরিসংখ্যান দিয়ে দেখাতে পারেন যে, বুয়েটে চান্স পেলেই কেউ আর কোথাও যায় না। এরকমটা হলে আমি বরং খুশি হবো। প্রাইভেট ইউনি আসার আগেও বুয়েটে চান্স পেয়ে মেডিক্যাল, ঢাকা ইউনিতে যাওয়ার নজির আছে। সুতরাং এখন যদি বুয়েটই সবার হায়েস্ট প্রায়োরিটি হয়, সেটাকে বিশাল ইমপ্রুভমেন্ট বলা যাবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বাস্তবতা   এর ছবি

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুর্খ, আর ৭% মানুষ মুর্খ, দুইটাকেই আপনি তথ্য বলবেন? আপনি কোন দলে? 'মেধাবী' রা বুয়েটে ভর্তির চেষ্টাই করে নাই, এটা আমার কাছে সেই রকম লাগে, যেমন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর সবাই মেধাবী হয়ে যায়

বিগত ১০ বছরে বুয়েটের কোন ব্যাচ কে পাশ করতে ৭ বছর লেগেছে জানান, নয়তো আপনার ভুল তথ্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত

'কেউ আর কোথাও যায় না' এবং " অনেক মেধাবী ছেলেই সামর্থ্য থাকলে বুয়েটের চেয়ে প্রাইভেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, এটা বলেছি " - কেউ আর অনেক এই দুই শব্দের পার্থ্যক্য জানেন?

এবার আপনি পিছলানোর জন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারী বিশ্ববিদালয় টেনে আনছেন, কি বলতে চান নিজেই তো আসলে জানেন না

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মুর্খ, আর ৭% মানুষ মুর্খ, দুইটাকেই আপনি তথ্য বলবেন?

৭% কি 'তথ্য' না? বুয়েটের সমস্যার কারণে ৭% ছেলেকেও যদি বুয়েট ছাড়তে হয়, সেটা কি বুয়েটের জন্য লস না! বুয়েটী হিসেবে আপনার ভবিষ্যত খুব উজ্জ্বল। গুরু গুরু

আপনি কোন দলে?

আমি মনে হয় 'অতথ্য'-এর দলে। হাসি

'মেধাবী' রা বুয়েটে ভর্তির চেষ্টাই করে নাই, এটা আমার কাছে সেই রকম লাগে, যেমন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর সবাই মেধাবী হয়ে যায়

আপনার কাছে সেরকম লাগাই স্বাভাবিক। 'বুয়েট আর মেধা সিনোনিমাস। নন-বুয়েটী = নন-মেধাবী' - এইরকম মনে হওয়া পাবলিক না থাকলে এই পোস্টে আমাকে মন্তব্য দি্তে হতো না।

বিগত ১০ বছরে বুয়েটের কোন ব্যাচ কে পাশ করতে ৭ বছর লেগেছে জানান, নয়তো আপনার ভুল তথ্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত

একটা বিয়োগ অংক করেন। বুয়েট থেকে পাসের তারিখ বিয়োগ এইচএসসি পাশের বছর। আমার নিজের ক্ষেত্রেই এই বিয়োগফলটা ৭ বছর কয়েক মাস। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, বুয়েটে আমি কখনও ল্যাগ খাই নাই। বিশ্বাস না হলে বলবেন, ট্রান্সক্রিপ্ট স্ক্যান করে দেয়ার চেষ্টা করবো। প্রাইভেট ইউনি থেকে আমার ২ বছর জুনিয়ররা আমার সাথে একই সময়ে পাস করে বের হয়েছে।

'কেউ আর কোথাও যায় না' এবং " অনেক মেধাবী ছেলেই সামর্থ্য থাকলে বুয়েটের চেয়ে প্রাইভেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে, এটা বলেছি " - কেউ আর অনেক এই দুই শব্দের পার্থ্যক্য জানেন?

অনেক মেধাবী ছেলেই সামর্থ্য থাকলে সময় বাঁচাতে অন্য অপশন খুঁজবে, এটা তো আমিই বললাম। আমি এমন ছাত্রকেও চিনি (চিনি মানে ২ দিন আগেও দেখা হয়েছে) সনি হত্যার সময় বুয়েট বন্ধ থাকায় বুয়েট ছেড়ে ইয়ার লস দিয়ে আইইউটিতে গেছে। তারপরেও বুয়েটের একই ব্যাচের চেয়ে আগে পাস করে বের হয়েছে। অবশ্য আপনার কাছে এরা হয়তো তথ্য না। আমার কাছে এরাও তথ্য।

এবার আপনি পিছলানোর জন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারী বিশ্ববিদালয় টেনে আনছেন, কি বলতে চান নিজেই তো আসলে জানেন না

আমি অনেক কিছুই জানি না, তবে কি বলছি, তা জানি। এ বিষয়ে টেনশন করবেন না। আপনি অনেক মহানুভব পরোপকারী হতে পারেন; কিন্তু এক্ষেত্রে আমাকে নিয়ে টেনশন করে শক্তিক্ষয়টা সিস্টেম লস হবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বাস্তবতা   এর ছবি

আর আমি কোথায় বললাম যে ৭ % ছাত্র বুয়েটে পরে না?

আপনি সেইসব বেকুবের দলে যারা 'exception is example' নীতিতে বিশ্বাস করে

মেধাবী কথাটা কারো কপালে লেখা থাকে না, প্রমান করে আসতে হয়, যার জন্যেই ভর্তি পরীক্ষা, সেই পরীক্ষায় সম্মানজনক অবস্থান রেখেও বুয়েটে পরে নাই, এমন মানুষ আপনি সহজে দেখাতে পারবেন না, সেজন্যেই তার রেসিও জানতে চেয়েছিলাম, পারবেন না যখন তখন তালগাছ আমার বলে লাফাতে থাকুন, স্বাস্থ্য ভালো থাকবে

এক কাজ করুন, আপনার জন্মের দিন থেকে বুয়েটে পাশ করার দিন বিয়োগ দিন, তবে আরো ভালোভাবে বের করতে পারবেন কত বছর লাগলো বুয়েট থেকে পাশ করতে. ক্লাস শুরুর পর থেকে রেসাল্ট বের হতে আমাদের ৪ বছর ৯ মাস লেগেছে, এর দায় আমি বুয়েটকে নয়, নিজেদেরকেই দেই, বিগত ১০ বছরের সবগুলো ব্যাচ প্রায় এরকম সময়ই লেগেছে, ৭ বছর নয়

আপনি একবার বলেন 'অনেকে অগ্রাধিকার দেয়' আরেকবার বলেন দেখাতে যে 'কেউ আর কোথাও যায় না' - দুইটা কথার পার্থ্যক্য আপনি যখন বুঝতেই পারেন না, তবে আপনাকে নিয়ে আমার বা অন্য কারো 'টেনশনের' কিছু নেই, ফালতু কথা শুনতে শুনতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি

হিমু এর ছবি

এক্সেপশনাল এগজ্যাম্পলটা যদি আপনি নিজে হন, তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা অন্য রকম হয়ে যায়, তাই না? একটা বিশ্ববিদ্যালয় কতটা সময় নেয়, সেটা হিসাব করা হয় এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট পাবলিশ থেকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের রেজাল্ট পাবলিশ করার সময়ের পার্থক্য ধরে। বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সাথে কোঅর্ডিনেট করেই তাকে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হয়। তারা যদি সেটা ঠিকমতো করতে না পারে, সেটাও তাদের ম্যানেজমেন্টের দোষ। আমাদের সময় স্থাপত্য বিভাগ আলাদা হওয়া আর বিশ্বকাপ ফুটবলের চক্করে এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট পাবলিশ হওয়ার ষোলোমাস পর ক্লাস শুরু হয়েছিলো। ক্লাস শুরু হওয়ার পাঁচ বছর তিন মাস পর আমরা পাশ করি। আর বিগত ১০ বছরের চক্কর থেকে বেরিয়ে এসে তার আগে যারা বুয়েটে পড়ালেখা করেছেন, তাদেরকে বিবেচনায় ধরুন। তারাও আপনার মতোই বুয়েটের ছাত্র, তাদের অভিজ্ঞতাও আপনার মতোই "নিজস্ব অভিজ্ঞতা"।

আপনি যদি বিচ্ছিন্ন, ব্যতিক্রমধর্মী উদাহরণকে পাত্তা দিতে না চান, তাহলে চিন্তা করে দেখুন, এই যুক্তি তো ছাত্রলীগের পাণ্ডারাও দিতে পারবে। কারণ বুয়েটের ইতিহাসে এর আগে কখনও প্রোভিসি নিয়ে গিয়ানজাম হয়নি। তাহলে কি আপনি বলবেন, প্রোভিসি এখানে একটা বিচ্ছিন্ন উদাহরণ? এটা নিয়ে কথা বলা যাবে না?

আরো সংযত হোন। অসংযত ভাষায় আমরা সবাই কথা বলতে জানি। কিন্তু তখন সেটা আর তর্ক থাকে না, ঝগড়া হয়ে যায়। কুল ডাউন।

বাস্তবতা এর ছবি

"এক্সেপশনাল এগজ্যাম্পলটা যদি আপনি নিজে হন, তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা অন্য রকম হয়ে যায়, তাই না?" - কোথায় বললাম সেটা?

"একটা বিশ্ববিদ্যালয় কতটা সময় নেয়, সেটা হিসাব করা হয় এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট পাবলিশ থেকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্সের রেজাল্ট পাবলিশ করার সময়ের পার্থক্য ধরে।" - এই ডেফিনিশন আমি পাইনি, রেফারেন্স দিন প্লিজ

"আর বিগত ১০ বছরের চক্কর থেকে বেরিয়ে এসে তার আগে যারা বুয়েটে পড়ালেখা করেছেন, তাদেরকে বিবেচনায় ধরুন।" - অবশ্যই, ১০ বছরের তা আমি নিজে দেখেছি, সে সুত্রে বললাম, আপনারা বিগত ৫০ বছরের পরিসংখ্যান জানান, আমি জানতে চাই, কিন্তু সেটা না বলে যখন '৭ বছর' বলা হচ্ছে তখন তা কি সত্য বলে ধরে নিতে হবে?

"আপনি যদি বিচ্ছিন্ন, ব্যতিক্রমধর্মী উদাহরণকে পাত্তা দিতে না চান, তাহলে চিন্তা করে দেখুন, এই যুক্তি তো ছাত্রলীগের পাণ্ডারাও দিতে পারবে। কারণ বুয়েটের ইতিহাসে এর আগে কখনও প্রোভিসি নিয়ে গিয়ানজাম হয়নি। তাহলে কি আপনি বলবেন, প্রোভিসি এখানে একটা বিচ্ছিন্ন উদাহরণ? এটা নিয়ে কথা বলা যাবে না?" - কিন্তু বিচ্ছিন্ন উদাহরণ থেকে যদি জেনারেলায়জ করতে চায় কেউ, সেটাকে মেনে নিবেন নাকি?

একজনের মধ্যে একজন - এটা কি বিচ্ছিন্ন উদাহরণ, আপনার তুলনাটা কি ঠিক আছে?

অসংযত ভাষার ব্যাবহার আমি শুরু করি নি, তারপরেও দুঃখিত

হিমু এর ছবি

"এক্সেপশনাল এগজ্যাম্পলটা যদি আপনি নিজে হন, তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা অন্য রকম হয়ে যায়, তাই না?" - কোথায় বললাম সেটা?

আপনি বলেননি, আমিই বললাম কথাটা। অচ্ছ্যুৎ বলাই বা আমি, আমরা ঐ এক্সেপশনের মধ্যে পড়ি, কিন্তু আমাদের এগজ্যাম্পলটা ফেলনা নয়। আমরা ভুক্তভোগী। আপনি আমাদের মার্জিনালাইজ করতে চাইছেন, যেটা ঠিক নয়। আমাদের উদাহরণগুলো কার্পেটের নিচে চাপা দেয়া যাবে না।

আপনি এই ডেফিনিশন না পেলে, কোন ডেফিনিশন পেয়েছেন, সেটার রেফারেন্স দিন। কমনসেন্সের জন্য রেফারেন্স চেয়ে বসলে তো মুশকিল। মনে করুন আপনার ক্লাস শুরুর ঠিক চার বছর পর আপনি বেরিয়ে গেলেন, কিন্তু সেই ক্লাসটা শুরু হলো আপনি এইচএসসি পাশ করার তিন বছর পর। আপনি কি সেটাকে স্বাভাবিক মনে করবেন?

আমার কাছে বিগত ৫০ বছরের পরিসংখ্যান নেই। আমিও আপনার মতো করে ১০ বছরের উইন্ডো নিয়ে বলতে পারি, বুয়েট থেকে পাশ করতে ৭ বছর লাগে। জেনারালাইজেশন অর্থে নয়, নিজের অভিজ্ঞতার অ্যাসারশন অর্থে। এতে আপনার ক্ষিপ্ত হওয়ার কোনো কারণ তো নেই। বুয়েট যদি এখন কম সময় নিয়ে থাকে, খুবই ভালো। কিন্তু তাতে করে আমাদের ক্ষতিটা খাতা থেকে মুছে যায় না। সেটার দায়ও বুয়েটেরই, আমাদের নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

নাহ! আপনি এবার আসুন। আপনার প্রাপ্যটা আপনাকে সচলে দিতে পারছি না। লাইনে থাকেন, অন্য কোথাও পেয়ে যাবেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বাস্তবতা এর ছবি

আমার প্রাপ্য আমি পেয়ে যাব, আপনার ব্যস্ত না হলেও হয়ত চলবে, কিন্তু প্রিয় বুয়েটকে জড়িয়ে আপত্তিকর ও ভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে গেলে কেউ না কেউ আপনার প্রাপ্য জবাব দিয়ে যাবে, নিশ্চিত থাকুন

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখানে ব্যক্তিগতভাবে দেখতে গেলে, আমি বুয়েটের পক্ষে কথা বলছি। বুয়েটের সমস্যা আর তার সমাধানের উপায় আলোচনা করছি। আপনি সেই বরং আলোচনাকে নষ্ট করার চেষ্টা করছেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বাস্তবতা এর ছবি

আপনি যে গঠনমূলক সমালোচনা না করে বরং বুয়েটকে দোষারোপের চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সেটা মনে করি বলেই এত কথা বলতে হলো

আপনার পুরো মন্তব্য জুড়ে কোনো সমাধানের চেষ্টা কিন্তু চোখে পড়ল না, বরং বুয়েটের তুলনায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কত ভালো সেটার ব্যাখ্যা মনে হলো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার পুরো মন্তব্য জুড়ে কোনো সমাধানের চেষ্টা কিন্তু চোখে পড়ল না, বরং বুয়েটের তুলনায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কত ভালো সেটার ব্যাখ্যা মনে হলো

আপনার এই মন্তব্যে খুব মন খুলে হাসলাম। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আপনাকে ধন্যবাদ। আমি সময়ের অপচয় করি নাই। দেঁতো হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বাস্তবতা   এর ছবি

মন্তব্যের শুরুর দুইটা লাইন আসে নাই, নিচে আবার দেয়া হলো:

আপনি যে কিছুই বুঝেন নাই, সেটা এবার জনগনের কাছেও পরিস্কার হলো

৭ % কথাটা তথ্য, কারণ এটা নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে, কিন্তু আপনি খালি মুখে 'অনেক অনেক' করে চেচাচ্ছেন, সেটা তথ্য নয়, এই কথাটা আপনার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে ঢুকে নাই

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনাকে একটা অনুরোধ করি: কিছু কিছু শব্দচয়ন পুরা মন্তব্যের টোনকে বদলে দেয়। যেমন- "চেচাচ্ছেন", "ক্ষুদ্র মস্তিষ্ক" ইত্যাদি।

এর আগে লিখলেন

এক কাজ করুন, আপনার জন্মের দিন থেকে বুয়েটে পাশ করার দিন বিয়োগ দিন, তবে আরো ভালোভাবে বের করতে পারবেন কত বছর লাগলো বুয়েট থেকে পাশ করতে

- এটা কেন করতে হবে আমি বুঝতে পারলাম না। এরকম ব্যক্তিগত আক্রমনের নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে মডারেটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

বাস্তবতা এর ছবি

পিপিদা, আমার নিজের শব্দ চয়নের জন্য দুঃখিত, তবে বলাইদা যেভাবে 'চামার' ও অন্যান্য আপত্তিকর শব্দ ব্যাবহার করেছেন, তাতে সচলের মডারেশন নিয়ে আমার ধারণা আগের চাইতে লঘু হয়েছে, কোনো সন্দেহ নাই

উনার সমালোচনাগুলো ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে আসা মনে হয়েছে, গঠনমূলক নয়, তারপরেও ব্যক্তিআক্রমন হয়ে থাকলে আমি দুঃখপ্রকাশ করছি

বুয়েটের সময়কাল কেন HSC এর পর থেকে হিসেব করতে হবে সেটাকে ব্যাঙ্গ করেই আমার সেই মন্তব্য, অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে ৩ টা সেমিস্টার, আমাদের ২ টা, তাই সেমিস্টার বাউন্ডারির কারণে কিছুটা দেরী হতে পারে, এটাকে উনি বুয়েটের বিরুদ্ধে অভিযোগ আকারে তুলে ধরেছেন বলেই এই ব্যাঙ্গ করেছিলাম

হিমু এর ছবি

বছরে তিনটা টার্ম থাকলে সেটাকে ট্রাইমেস্টার বলে, তখন বারো ট্রাইমেস্টারে অনার্স কমপ্লিট হয়। ওখানে কেউ কেউ অতিরিক্ত ক্রেডিট নিয়ে দশ বা এগারো ট্রাইমেস্টারে কোর্স শেষ করে ফেলে।

দুইটা ডিগ্রির মাঝের সময়ের দায় তো বিশ্ববিদ্যালয়ই নেবে। তারা শিক্ষা বোর্ডের সাথে কোঅর্ডিনেট করে ভর্তির আয়োজন করবে, ক্যালেণ্ডার প্রণয়ন করবে, তারপর সেই ক্যালেণ্ডারকে বাস্তবায়ন করবে। সেটা তারা করতে না পারলে দায় নেবে। সমস্যা কোথায়?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বাস্তবতা,

আমাকে গালি দিলে আমার ব্যক্তিগতভাবে তেমন ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না। কিন্তু সেটা আলোচনার ধারাকে ব্যাহত করে।

চামারের মতো আচরণ করা শিক্ষককে উদাহরণসহ চামার বলেছি। একই মন্তব্যে আরো ২ জন শিক্ষককে নমস্য বলেছি।

এইচএসসির পরে বুয়েটের ক্লাস শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত যে সময় নষ্ট হয়, সেটার দায়ও বুয়েটের। এখানে ব্যাপারটা ঠিক দোষারোপের না। বিভিন্ন কারণেই এটা হতে পারে। ইনফ্যাক্ট বুয়েট অথোরিটি এটা কমাতে একসাথে ৪টার পরিবর্তে ৬ টা পর্যন্ত ব্যাচেরও ক্লাস করিয়েছে। শিক্ষকরা স্বাভাবিক দা্যিত্বের তুলনায় বেশি শ্রম দিয়েছেন।

তারপরেও ছাত্রের পার্সপেক্টিভে ভর্তি পরীক্ষার আগের সময়টা, ভর্তি হয়েও ক্লাস শুরু হওয়ার আগের সময়টাও হিসেবে আসবে। প্রাইভেটে যেখানে এইচএসসির পরপরই ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু করে দেয়া যায়, সেখানে বুয়েটে এই সময়টা প্রথমেই পিছিয়ে পড়তে হয়। ক্লাস শুরুর পরেও ৪ বছরের কোর্সে প্রায় ৫ বছর (আপনার উদাহরণেই ৪ বছর ৯ মাস) লাগে। যোগ করুন।

এই সময়ের হিসাবটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অভিজ্ঞতা কতোটা, আমার জানা নেই এবং এই আলোচনার প্রেক্ষিতে সেটা জানার দরকারও এখন পর্যন্ত হয় নাই। তবে দেশের বাইরে পড়তে যাওয়ার প্রায় প্রত্যেকেরই এ অভিজ্ঞতা আছে যে, ৩/৪ বছরের বয়সে ছোট ভারতীয় বা চাইনিজরা ক্লাসমেট। আর প্রাইভেট ইউনি থেকে পাস করা অন্তত ২ বছরের জুনিয়ররা বিদেশে এসে ক্লাসমেট।

এই ২ বছর সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যারা সেটা অনুধাবন করে, তারা বুয়েটের বিকল্প চিন্তা করবেই। এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। ক্যারিয়ার গোল, পছন্দের বিষয়, আর্থিক সামর্থ্য, সময়। সবকিছু বিবেচনা করেই তারপর বেস্ট অপশন বেছে নেয়। প্রাইভেট আসার আগে এই অপশন ছিলো না বা অনেক কম ছিলো। প্রাইভেট আসায় বুয়েট এখানে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। এই প্রতিযোগিতাটাকেও আমলে এনে বুয়েটকে কাজ করতে হবে। - এই কথা যদি বুয়েট সম্পর্কে নেগেটিভ কথা হয়, তাইলে আমি সুরুজ আলি!

আলোচনা করতে এসে, ব্যক্তিগত উপদেশ বিতরণ আমার পছন্দ না। তবে আপনি যদি মন্তব্যগুলো আরেকটু যত্নের সাথে পড়েন এবং গঠনমূলক নয়, আক্রোশ থেকে আরেকজন মন্তব্য করছে - এটা ধরে না নিয়ে কথা বলেন, তাহলে আপনারও উপকার হবে, যে বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, সেটারও উপকার হবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

sohel এর ছবি
অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

sohel ভাই, লিস্টের জন্য ধন্যবাদ। ইনাদের এই কাজের কতগুলো বুয়েটে করা? আমি তো কয়েকটা লিংকে অধিকাংশ পাবলিকেশন্সেই বিদেশী নাম কো-অথর হিসেবে দেখতেছি। কাজগুলো কি দেশের বাইরে করা, না বুয়েটে করা?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বাস্তবতা   এর ছবি

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রী দ্বারা গবেষণা কর্মের কিছু উদাহরণ দিলে ভালো হয়

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কনফারেন্স প্রসিডিংস কি আপনাদের পাবলিকেশন হিসেবে ধরে?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ধরুক, না ধরুক, ওটাও রিসার্চ ওয়ার্ক। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কনফারেন্স প্রোসিডিংসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রিসার্চ ফাণ্ডই সীমিত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অযাচিত উপদেশদানকারী এর ছবি

বলাই বলেছেন,

কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে। বুয়েটে কিছু করতে গেলে বুয়েট শিক্ষকদেরকে তেলাতে হয়, তারপরেও উনারা এসব উদ্যোগ এলাও করতে গড়িমসি করেন।

sohel, এর মানে হচ্ছে, একি মেধার একজনের পক্ষে অন্য ইউনি থেকে পাব্লিকেশন বা নলেজ এক্সচেইঞ্জ করা সহজতর। আমি নিজে বুয়েট-এর জুনিয়র-দের কাছ থেকে অনেক গবেষনা পেপার ডাওনলোড করে পাঠানোর অনুরোধ পাই, এই কাজ-টা বুয়েট বা নিদেনপক্ষে ওই জুনিয়র-দের টীচার-রা কেন করে দিচ্ছেন না?
বলাই-এর উক্তির জবাবে sohel বললেন,

এবার কিছু private uni contemporary টিচার দের কাজ দেখান।

আপনি ১৬ কোটি লোকের দেশের টপ ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনি-র টপ ডিপার্টমেন্টের বিভিন্ন ব্যাচের টপ স্টুডেন্ট (পরবর্তিতে টিচার)-দের পাব্লিকেশন লিস্ট তুলে দিয়ে private uni contemporary টিচার দের কাজ দেখতে চাইলেন এবং অনেক আত্মতুষ্টি লাভ করলেন।
এক্টা অপ্রাসংগিক এবং অনধিকার চর্চা না করে থাকতে পারলাম না। মার্জনা করবেন। আপনি যদি বুয়েট-এর শিক্ষক হয়ে থাকেন, তাহলে সেখানেই থাকুন। দয়া করে নাসা বা এই ধরনের কোন সংস্থাতে যোগ দিবেন না। তাহলে আপনার মনে হবে, মানব জাতি সঠিক সময়ের ২০০০ বছর আগে চাঁদ-এ পৌঁছে গেছে। এবং আপনি তুলনা হিসেবে মহাকাশ গবেষনায় প্রায় একি লোক সংখ্যার (contemporary) বাংলাদেশ-এর কাজ দেখতে চাইবেন।
-- অযাচিত উপদেশদানকারী

sohel এর ছবি

"ইনাদের এই কাজের কতগুলো বুয়েটে করা? আমি তো কয়েকটা লিংকে অধিকাংশ পাবলিকেশন্সেই বিদেশী নাম কো-অথর হিসেবে দেখতেছি। কাজগুলো কি দেশের বাইরে করা, না বুয়েটে করা?"

http://teacher.buet.ac.bd/msrahman/ এর link দেখুন: ২০১০ এর পর ১৩ journal এর ১০ টা বুয়েটে করা। তার আগে উনি PhD করতেন।

আবার ধরুন Anupam Das, Mohammad Mahfuzul Islam: SecuredTrust: A Dynamic Trust Computation Model for Secured Communication in Multiagent Systems. IEEE Trans. Dependable Sec. Comput. 9(2): 261-274 (2012)- এটা Security তে IEEE highest impact factor journal। রাগিব এ এরিয়াতে কাজ করে। ওর মতামত পেলে ভাল হত।

Recent PhD দের কাজে বিদেশি co-author বেশি। Seniorদের list http://www.informatik.uni-trier.de/~ley/db/indices/a-tree/r/Rahman:Md=_Saidur.html দেখুন। দেশে করা অনেক কাজ পাবেন।

"কনফারেন্স প্রসিডিংস কি আপনাদের পাবলিকেশন হিসেবে ধরে?"

অনেক কনফারেন্স অনেক journal এর চেয়ে বেশি significant: Sigcomm, infocom, mobicom, IPSN, RTSS, S&P, Sensys, Sigmod, Percom, Ubicomp, VLDB, ICDCS, ICNP, etc.

"বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কনফারেন্স প্রোসিডিংসও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রিসার্চ ফাণ্ডই সীমিত।"

বুয়েটে ৩ বছরে ১ টা কনফারেন্স registration এর fund দেয়। তাই অনেকে Ex-supervisorকে co-author রাখে।

"গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে"।-@অছ্যুৎ বলাই - আপনি কি এখানে "একি মেধার একজনের পক্ষে অন্য ইউনি থেকে পাব্লিকেশন বা নলেজ এক্সচেইঞ্জ করা সহজতর"- বোঝান? অযাচিত উপদেশদানকারী এ Interpretation কি ঠিক করলেন??

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

"গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে"।-@অছ্যুৎ বলাই - আপনি কি এখানে "একি মেধার একজনের পক্ষে অন্য ইউনি থেকে পাব্লিকেশন বা নলেজ এক্সচেইঞ্জ করা সহজতর"- বোঝান? অযাচিত উপদেশদানকারী এ Interpretation কি ঠিক করলেন??

উনি মোটামুটি সঠিকভাবে ইন্টারপ্রেট করেছেন (মেধার হিসাব বাদে)। এটা আমার অভিজ্ঞতার ওপর বেইজ করে বলা। বুয়েটের সাথে কমিউনিকেট করা কঠিন। এ সম্পর্কিত উদাহরণও দিয়েছি। (এ পোস্টে, নাকি এই রিলেটেড অন্য পোস্টে দেখতে হবে।) বুয়েটের অন্তত ২ জন শিক্ষকের সাথে কমিউনিকেশনে সমস্যা হয়েছে।

বুয়েটের ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের চিন্তাধারা ও কার্যপদ্ধতি আরেকটা উদাহরণ হতে পারে। ইন্টারনেট যে শুধু পর্ন দেখার জন্য ব্যবহৃত হয় না, বরং নলেজ এক্সচেইঞ্জের জন্য একটা বিরাট কার্যকরী মাধ্যম, এটা বুঝতে বুয়েটের অনেকদিন লেগেছে।

বুয়েটে ৩ বছরে ১ টা কনফারেন্স registration এর fund দেয়। তাই অনেকে Ex-supervisorকে co-author রাখে।

এই তথ্যটা এ বিষয়ে আমার কনসার্নকে সমর্থন করে। মানি টকস। ৩ বছরে বুয়েট যদি মাত্র ১টা কনফারেন্সের ফান্ড দেয়, তাহলে গবেষণার পাবলিকেশন্স ব্যাহত হবে। প্রাইভেটের আর্থিক সামর্থ্য আর বুয়েটের আর্থিক সামর্থ্য এক না, দুইটারই স্ট্রেংথ, উইকনেস আছে। বুয়েট ৩ বছরে ১ টার বেশি টাকা দেয় না কেন - এই অভিযোগও এখানে মূখ্য না। এখানে মূখ্য হলো ফান্ড পাওয়া যায় না (যে কারণেই হোক) এবং এটা একটা সীমাবদ্ধতা। এই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বুয়েট শিক্ষকদেরকে প্রো-অ্যাকটিভলি কাজ করতে হবে। হয়তো অনেক কাজটা করেনও। কিন্তু আমার অভিজ্ঞতায় তারা রি-অ্যাক্টও ঠিকমতো করেন নাই। এটা বুয়েটের দুর্ণাম করা না, বুয়েট ভার্সেস প্রাইভেট ইউনি বিতর্কও না, এটা বাস্তব সমস্যাকে আইডেন্টিফাই করা।

আপনি আমার মন্তব্যের ওই অংশ আরেকবার পড়ে দেখতে পারেন,

ঘ) বাইরের ইউনিভার্সিটির সাথে কোয়ালিশন সম্পর্কে আমি ডিটেলস তথ্য জানি না। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে। বুয়েটে কিছু করতে গেলে বুয়েট শিক্ষকদেরকে তেলাতে হয়, তারপরেও উনারা এসব উদ্যোগ এলাও করতে গড়িমসি করেন।

এর প্রেক্ষিতে

এবার কিছু private uni contemporary টিচার দের কাজ দেখান।

এই প্রশ্ন আসে কিনা, আবার ভেবে দেখবেন।

আপনার দেয়া তথ্যগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি এর ছবি

গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে।

এখানে আপনার "গবেষণার পাব্লিকেশন" আর "নলেজ এক্সচেইঞ্জ" এ দুটোর মাঝখানে একটা কমা(,) এসে মন্তব্যটা আমার কাছে এমন দারাল যে গবেষনা পাব্লিকেশন এবং নলেজ এক্সচেঞ্জ এ দুটি ক্ষেত্রেই বুয়েট কিছু প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পিছিয়ে ।

পাবলিকেশন এর ব্যাপারে আপনার এই মন্তব্যটা জানতে চাওয়া নয়, আপনি জেনেশুনে আপানার জ্ঞানের ভান্ডার থেকেই মন্তব্যটি করেছেন কিন্তু আপনার মন্তব্যের সাপেক্ষ প্রমান উপস্থাপন করছেননা ।

আপনার দেয়া তথ্যগুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন টা কি আপনার অভিজ্ঞতা যে ভুল, তা প্রমান করে ?

আপনি আপনার অভিজ্ঞতার তিন জন শিক্ষকের উদহারন টেনে তাদের "চামার" জ্ঞাপন করলেন। আমাদের লেভেল-৪ টার্ম -১ উঠার পর গবেষনার ব্যাপারে শিক্ষকদের সাহায্যের কোন কমতি দেখলাম না । কিছু কিছু শিক্ষক স্টুডেন্ট দের কে তার অফিশিয়াল কক্ষে নিয়ে টেবলের চার পাশে বসিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সামনে বসিয়ে রেখে রিসার্চ পেপার পড়িয়েছেন । সময়ে অসময়ে শিক্ষকদের বিরক্ত ও কম করিনি। অফটপিক কোন সমস্যা নিয়ে গেলে শিক্ষকদের চেহারায় বিরক্ত হওয়ার বিন্দুমাত্র ছাপ দেখলাম না । আমার নিজের রিসার্চ পেপারএর কন্ট্রবিউটর আমার নিজের সুপারবাইসরই নন, এমন একজন যার সাথে আমার সুসম্পর্ক তো দূরে থাক, তিনি আমার নাম পর্যন্ত জানতেন না । আমি অনাকে তেল ও দেইনি। ঠিক একি ভাবে অপর একজন শিক্ষক এর কাছে কিছু ইনফো চেয়েছিলাম, উনি আমাকে পুরো একটি বই সহ একগাদা লিঙ্ক পাঠিয়ে তার প্রত্যকটার পাশে কমেন্ট লাগিয়ে দিয়েছিলেন কোন লিঙ্ক কোন কাজের। এখন-

বুয়েটে কিছু করতে গেলে বুয়েট শিক্ষকদেরকে তেলাতে হয়, তারপরেও উনারা এসব উদ্যোগ এলাও করতে গড়িমসি করেন-

মন্তব্যটিতে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা কিছু সংখ্যক শিক্ষক থেকে অধিকাংশ তো দূরে থাক সকল শিক্ষককে একসাথে চেপে দিলেন । সেক্ষেত্রে আপনার ৩ জন শিক্ষক এর অভিজ্ঞতার বিপরীতে আমার ৪০ জন শিক্ষক এর অভিজ্ঞতার আকাশ পাতাল ব্যবধান । যদি অভিজ্ঞতাই প্রমান হয় তাহলেও এক্ষেত্রে আপনি ভুল । আর যদি তা না হয় তবে সকল শিক্ষক কে না টেনে আপনার "বুয়েটের কিছু শিক্ষক" বললে মন্তব্যটি বিভ্রান্তিমূলক হত না ।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন টা কি আপনার অভিজ্ঞতা যে ভুল, তা প্রমান করে ?

না। উনার দেয়া তথ্য (৩ বছরে ১ টা কনফারেন্সের ফান্ড) বরং আমার কনসার্নকে জাস্টিফাই করে।ধন্যবাদ দিয়েছি দরকারী তথ্যগুলো সরবরাহ করার জন্য। স্বাভাবিক ভদ্রতা।

আপনি আপনার অভিজ্ঞতার তিন জন শিক্ষকের উদহারন টেনে তাদের "চামার" জ্ঞাপন করলেন।

১ জনকে চামার বলেছি। ২ জনকে নমস্য বলেছি। ডাবলচেক করুন।

সেক্ষেত্রে আপনার ৩ জন শিক্ষক এর অভিজ্ঞতার বিপরীতে আমার ৪০ জন শিক্ষক এর অভিজ্ঞতার আকাশ পাতাল ব্যবধান ।

আপনার ৪০ জন শিক্ষকের স্পেসিফিক উদাহরণ দেন। আগাম ধন্যবাদ দিয়ে রাখলাম। শিক্ষকরা যদি তাদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করেন, তাহলে সেটা আমার কাছেও একটা ভালো সংবাদ। যেমন, কেউ যদি একটা লিস্ট দিয়ে দেখান যে বুয়েট শিক্ষকরা গবেষণার জন্য এক্সটার্নাল ফান্ড পেতে কতোটা তৎপর, তাহলে আমি খুবই খুশি হবো। অবশ্য এতে আমার 'অভিজ্ঞতা' ভুল হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। কারণ, ওটাও অভিজ্ঞতা।

আর যদি তা না হয় তবে সকল শিক্ষক কে না টেনে আপনার "বুয়েটের কিছু শিক্ষক" বললে মন্তব্যটি বিভ্রান্তিমূলক হত না ।

সকল শিক্ষককে টানা হয় নাই। যেখানে ১ জন শিক্ষককে চামার বলে অন্য ২ জনকে নমস্য বলা হচ্ছে, সেখানে সকল শিক্ষককে কোনো ক্রাইটেরিয়ায়ই 'খারাপ' বলা হচ্ছে না।

*********
আচ্ছা, বুয়েটের এই যে বছরের পর বছর সমস্যা চলছে, এর জন্য শিক্ষকদের কোন দায় আছে বলে আপনি মনে করেন? (হ্যাঁ/নাতে উত্তর দিলেও চলবে। এই পোস্টে এটা নিয়ে আলোচনার ইচ্ছা নাই। শুধু আপনার মতামতটা জানার ইচ্ছা।)

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি এর ছবি

জি হা! আমি গুনেই দেখেছি আপনি তিনজনের উদহারন দিয়েছেন - ১।,

ফাঁকি দেয়ার ক্ষেত্রে ইয়াসিন নামে এক শিক্ষক ছিলেন। সারা সেমিস্টারে কিছুই পড়ান নাই। প্রশ্নে বাঁশ দিয়া বিদেশে ভেগেছেন।

২। আপনার মি এক্স(চামার) যিনি-

স্পষ্ট বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিয়ে উলটা 'যা হইছে, তা হইছে' বলে ঝাড়ি দেন।

৩। এবং

এক স্যার আরেক স্যারকে রেফার করেন। রেফার করা স্যারকে অনেকবার ইমেইল করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায় নাই।

এখানেই শেষ নয়, আপনি যে সকল শিক্ষককে টেনেই কথা বলেছেন সেটাতো আমি quote করে দিলাম-ই, এরপরো আপনার সুবিধার্থে-

বুয়েটে কিছু করতে গেলে **বুয়েট শিক্ষকদেরকে** তেলাতে হয়, তারপরেও উনারা এসব উদ্যোগ এলাও করতে গড়িমসি করেন

স্টার মারা জায়গাটাকে কি চোখে পড়ছে ?

উনার দেয়া তথ্য (৩ বছরে ১ টা কনফারেন্সের ফান্ড) বরং আমার কনসার্নকে জাস্টিফাই করে

কোন কনসার্ন ? পেপার পাব্লিকেশনে প্রতিবোন্ধকতা আছে সেটা ? উহুম, না, আমার কাছে মনে হয়েছে আপনার

গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে।

- এই মন্তব্যটিতে দাবি করতে চাইছেন বুয়েট এর পাবলিকেশন অন্যান্য প্রকৌশল ইউনি থেকে কম । আপনার মন্তব্য টার ভিত্তি কি, তা আপনি এখনো পরিষ্কার করছেন না । প্রাইভেট ভার্সিটি তে পড়ুয়া বন্ধু আর বড় ভাইদের অভিমত থেকে তাদের গবেষণার অবস্থা সম্পর্কে যতটুকু শুনলাম তা এখানে বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু "অভিজ্ঞতা" আর মৌখিক বানিকে তোয়াক্কা না করে বেশ কয়টি বেসরকারি ইউনির ওয়েবসাইটে ঢু মারলাম, কিন্তু তাহাদের রিসার্চ ভান্ডার এ উল্লেখযোগ্য কিছু পেলাম না। হয়তোবা তারা ওয়েব এ সাইট করেনি, তাই ডিজিটাল ডকুমেন্ট ছাড়া মৌখিক তথ্য কে যুক্তি হিসেবে দার করাতে চাই না।
এখন যদি আপনি বলেন যে আপনি আসলে মন্তব্যটিতে বোঝাতে চেয়েছিলেন বুয়েটের পেপার পাব্লিকেশনে প্রতিবন্ধকতা আছে (কিন্তু বুঝাতে পারেন নি), তাই এক্ষেত্রেও, আপনি যদি বলার সময় "পেপার পাবলিকেশনের সুযোগ সুবিধা" এই কথাটা যোগ করতেন তবে বিভ্রান্তিমূলক হত না ।
আপনি ৪০ জনের যে স্পেসিফিক উদহারন চেয়েছেন সেটা লিখা অনেক সময়ের ব্যাপার। আমি আপনাকে কয়েকজনের কথা বলছি -

যে শিক্ষক এর কথা বলছিলাম, যিনি স্টুডেন্ট দের অফিসিয়াল রুমে এ নিয়ে চারপাশে বসিয়ে পড়ান তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞানের সাইদুর রহমান স্যার।

আমার এক বন্ধুর থিসিস সুপারভাইসর ছিলেন খালেদ মাহমুদ শাহরিয়ার স্যার। স্যারের রিসার্চের চাইতে প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট এ ইন্টারেস্ট বেশি, কিন্তু আমার বন্ধু স্যার কে বায়োইনফ্রমেটিক্স এ রিসার্চ করার ইচ্ছা জানালে সে রহমান স্যার কে রেফার করেন। রহমান স্যার এর আন্ডারে তখন ১২ জন স্টুডেন্ট রিসার্চ করছিল, এরপরো তিনি সাচ্ছন্দে আমার বন্ধুকে তার আন্ডারে রিসার্চ করার জন্য অ্যালাও করেন । স্যার তাকে যথেষ্ট সময়ও দেন । মজার ব্যাপার হচ্ছে, স্যার এর আন্ডারে রিসার্চ করছিলেন তাদের সিজিপি মোটামুটি ভাবে সবারি ৩,৭৫ এর উপরে আর তার সিজিপি ৩ এরো কিঞ্চিৎ নিচে হাসি । কিন্তু শাহ্রিয়ার স্যার মার্কসের ব্যাপারে কোন গরিমসি করেন নি।

সাইদুর স্যার আর এফ রহমান স্যার এর মত মাসুদ হাসান স্যার কেও সকলে সমীহ করে। স্যার এর পড়ানো অনেক গুছানো, ওয়েবসাইটে স্যার এর ক্লাস লেকচার এর রেকর্ড পর্যন্ত তুলে দেন । উপরের শিক্ষক দের সাথে মাসুদ স্যার, কায়কোবাদ স্যার এনারা প্রত্যেকেই অফটপিক কোন বিষয় নিয়ে গেলে অনেক আগ্রহের সাথে সেগুলো বুঝিয়ে দেন । স্যার কে কেঊ ইন্টিলিজেন্ট কোশ্চেন করতে পারলে সেটা তার ওয়েবসাইট এ কুয়োটিও মারেন মাঝে মাঝে হাসি

আতিফ হাসন স্যার কে আরটিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এর ব্যপারে জিজ্ঞসা করেছিলাম, তখন তিনি ইউ এস এ তে। উনিই আমাকে এর একটা বই আর দরকারি সব লিঙ্ক একসাথে মেইল করে পাঠান। রিফাত শাহ্রিয়ার স্যার এর ব্যাপারেও একি ঘটনা । মজার ব্যাপার হল, আমাদের মধ্যে কিছু বেকুপ আছে যারা গুগ্লিং না করেই স্যারদেরকে অযথা মেইল পাঠিয়ে ইনফরমেশন চায় । কিন্তু এই স্যার টার কাছে যাই চাওয়া হোক না কেন তিনি কখনি বিরক্ত হতেন না। আমাদের সেশনাল মারকিং নিয়ে একবার ঝামেলা হয়েছিল । মারকিং স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে কিনা সেটা নিয়ে রিফাত স্যার আর মন্ডল স্যার এর সাথে আমাদের একবার আধধঘন্টার মত তর্কও হয় । কিন্তু তর্কের সময় তাদের এতটুকু রাগতে দেখিনি । মন্ডল স্যার যে আন্সার টা দিয়েছিলেন তা এরকম - "দুটো গ্রুপের ওয়ার্কশীটের স্ট্যান্ডার্ড যখন একি হয় তখন আমাকে দেখেত হয় কন্টেন্ট । যার কন্টেন্ট বেশি সে পরিশ্রম ও করেছে বেশি, সেক্ষেত্রে আমি তাকে ২ মার্কস বেশিতো দিতেই পারি। তুমি নিজেই কম্পেয়ার করে দেখ ।" ডিপার্টমেন্ট সুকরন আর শিহাব স্যার এর বেলায়ও একি কথা সত্য।

যাই হোক আমি যদি আপনাকে ৪০ জনের স্পেসিফিক উদহারন দিতে যাই তবে তা সময় সাপেক্ষ । আশাকরি এতক্ষনে শিক্ষকদের সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতার ব্যাপারে আপনার ধারনা হয়ে যাওয়ার কথা ।

বুয়েটের এই যে বছরের পর বছর সমস্যা চলছে, এর জন্য শিক্ষকদের কোন দায় আছে বলে আপনি মনে করেন?

সব বিশ্ববিদ্যালয় মোটামুটি ভাবে তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে - শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রশাসন । অবশ্যই শিক্ষকদের দায় আছে ।

sohel এর ছবি

"এই প্রশ্ন আসে কিনা, আবার ভেবে দেখবেন।"

প্রশ্ন এসেছিল "আপনার গবেষণার পাব্লিকেশন আর নলেজ এক্সচেইঞ্জ এ দুটোর মাঝখানে একটা কমা(,) এসে মন্তব্যটা আমার কাছে এমন দারাল যে গবেষনা পাব্লিকেশন এবং নলেজ এক্সচেঞ্জ এ দুটি ক্ষেত্রেই বুয়েট কিছু প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পিছিয়ে ।" - এ Interpretation এর কারণে যেটা অন্যরাও করছেন (৭০)।

৭০-৭২ মন্তব্য মতে নলেজ এক্সচেইঞ্জ এর অভিজ্ঞতা একেক জনের একেক রকম। মনে হয় আগের চেয়ে এখন ভাল। জেনারেলি দেখি: শেষ ৪-৫ বছরে ভাল গবেষনা পাব্লিকেশন সিএসই তে অনেক বেশি (>৫০, মন্তব্য ৬১ দেখুন )। কারণ, Recent PhD করা টিচার রা ফিরেছেন, যদিও এসময় Admission test এ >১৮০ ছাত্ররা এসেছে । " মানি টকস" এর "সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বুয়েট শিক্ষকদেরকে প্রো-অ্যাকটিভলি কাজ" এর নমুনাও এটাকে বলা যেতে পারে। একটু Appreciate করবেন নাকি?

আর Research seminar তো বিদেশে PhD করছে এমন ছাত্ররাও প্রতি বছর করছে।সিএসই তে বিদেশে Professorদের seminar হয় বছরে ২/৩ টা।

"কেউ যদি একটা লিস্ট দিয়ে দেখান যে বুয়েট শিক্ষকরা গবেষণার জন্য এক্সটার্নাল ফান্ড পেতে কতোটা তৎপর, তাহলে আমি খুবই খুশি হবো।"

কতোটা তৎপর - এই লিস্ট পাওয়া যায় না, কারণ Unsuccessful application কই পাবেন? তবে MIT, Stanford, UCLA, Tohuku, Monash - এদের Collaboration আছে/ছিল। http://teacher.buet.ac.bd/saidurrahman/saidur%20rahman%20sir%20(jay%20jay%20din).jpg - এখানে একটা পাবেন। http://www.buet.ac.bd/ce/ এখানে দেখতে পারেন। বুয়েট Web-site এ আরো অনেক পাবেন।

অছ্যুৎ বলাই কে অতিথির করা (১) "পাবলিকেশন এর ব্যাপারে আপনার এই মন্তব্যটা জানতে চাওয়া নয়, আপনি জেনেশুনে আপানার জ্ঞানের ভান্ডার থেকেই মন্তব্যটি করেছেন কিন্তু আপনার মন্তব্যের সাপেক্ষ প্রমান উপস্থাপন করছেননা ।", (২) " দাবি করতে চাইছেন বুয়েট এর পাবলিকেশন অন্যান্য প্রকৌশল ইউনি থেকে কম । আপনার মন্তব্য টার ভিত্তি কি, তা আপনি এখনো পরিষ্কার করছেন না । প্রাইভেট ভার্সিটি তে পড়ুয়া বন্ধু আর বড় ভাইদের অভিমত থেকে তাদের গবেষণার অবস্থা সম্পর্কে যতটুকু শুনলাম তা এখানে বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু "অভিজ্ঞতা" আর মৌখিক বানিকে তোয়াক্কা না করে বেশ কয়টি বেসরকারি ইউনির ওয়েবসাইটে ঢু মারলাম, কিন্তু তাহাদের রিসার্চ ভান্ডার এ উল্লেখযোগ্য কিছু পেলাম না।"- মন্তব্য এর জবাবে উনি বা উনার নিখুত ইন্টারপ্রেটার অযাচিত উপদেশদানকারী কিছু বলছেন না। আমি একটু দেখি:

১। http://ewubd.edu/~ahaque/ahaquePublications.pdf - নমস্য আনিসুল হকের ৪১ টা journal এর ৩৬-৩৯ এর ব্যাপারে sure না। বাকিগুলা বুয়েট বা বিদেশের। ৩৯-৪১ এর A. T. M. Golam Sarwar, Md. M. Satter - এরা বুয়েট টিচার। Private university তে গি্য়ে আনিসুল হক এত নলেজ এক্সচেইঞ্জ করে কি output পেলেন?

২। নমস্য রিজওয়ান খান ( http://203.208.166.84/rezwanm/pub.html ) বুয়েট ছাড়ার পর কিছু পাই না। হয়ত Updated তথ্যগুলো সরবরাহ করার দরকারই নাই। বাহ! কি নলেজ এক্সচেইঞ্জ!

৩। আরেকজন বুয়েট ছাড়ার পর কিছু নাই: http://www.informatik.uni-trier.de/~ley/db/indices/a-tree/r/Rahman:Chowdhury_Mofizur.html

৪। ড: কায়কোবাদ ২ বছর NSU তে ছিলেন ২০০৫-৭ এর সময়। ৭/৮ টার একটাও Private university ছাত্র নিয়ে না। (http://www.informatik.uni-trier.de/~ley/db/indices/a-tree/k/Kaykobad:Mohammad.html)।

"একি মেধার একজনের পক্ষে অন্য ইউনি থেকে পাব্লিকেশন বা নলেজ এক্সচেইঞ্জ করা সহজতর"- এর নাসা specialist "অযাচিত উপদেশদানকারী" কি বলেন?
"গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে"।- A nice joke !!

অযাচিত উপদেশদানকারী এর ছবি

sohel বললেন,

অছ্যুৎ বলাই কে অতিথির করা (১) "পাবলিকেশন এর ব্যাপারে আপনার এই মন্তব্যটা জানতে চাওয়া নয়, আপনি জেনেশুনে আপানার জ্ঞানের ভান্ডার থেকেই মন্তব্যটি করেছেন কিন্তু আপনার মন্তব্যের সাপেক্ষ প্রমান উপস্থাপন করছেননা ।", (২) " দাবি করতে চাইছেন বুয়েট এর পাবলিকেশন অন্যান্য প্রকৌশল ইউনি থেকে কম । আপনার মন্তব্য টার ভিত্তি কি, তা আপনি এখনো পরিষ্কার করছেন না । প্রাইভেট ভার্সিটি তে পড়ুয়া বন্ধু আর বড় ভাইদের অভিমত থেকে তাদের গবেষণার অবস্থা সম্পর্কে যতটুকু শুনলাম তা এখানে বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু "অভিজ্ঞতা" আর মৌখিক বানিকে তোয়াক্কা না করে বেশ কয়টি বেসরকারি ইউনির ওয়েবসাইটে ঢু মারলাম, কিন্তু তাহাদের রিসার্চ ভান্ডার এ উল্লেখযোগ্য কিছু পেলাম না।"- মন্তব্য এর জবাবে উনি বা উনার নিখুত ইন্টারপ্রেটার অযাচিত উপদেশদানকারী কিছু বলছেন না।

অতিথিকে ধন্যবাদ। আমার করা অছ্যুৎ বলাই-এর বক্তব্যের ইন্টারপৃটেশন-এ ভুল হতে পারে। হলে তার জন্য আমি দুঃখিত। অতিথি অছ্যুৎ বলাই-এর উদ্দেশ্যে তার বক্তব্য যুক্তি দিয়ে পরিষ্কার করেছেন, চমতকার ভাবে নিচের অংশে,

হয়তোবা তারা ওয়েব এ সাইট করেনি, তাই ডিজিটাল ডকুমেন্ট ছাড়া মৌখিক তথ্য কে যুক্তি হিসেবে দার করাতে চাই না। এখন যদি আপনি বলেন যে আপনি আসলে মন্তব্যটিতে বোঝাতে চেয়েছিলেন বুয়েটের পেপার পাব্লিকেশনে প্রতিবন্ধকতা আছে (কিন্তু বুঝাতে পারেন নি), তাই এক্ষেত্রেও, আপনি যদি বলার সময় "পেপার পাবলিকেশনের সুযোগ সুবিধা" এই কথাটা যোগ করতেন তবে বিভ্রান্তিমূলক হত না

অতিথি নিজেও বেসরকারি ইউনির ওয়েবসাইটে ঢু মেরেছেন, এবং তাদের রিসার্চ ভান্ডার এ উল্লেখযোগ্য কিছু পান নি। খেয়াল করুন তিনি কিন্তু এখানে সেই তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন নি, যদিও তিনি অনেক বড় জবাব দিয়েছেন। অন্যদিকে আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম, টপ মেধাবী ছাত্র আর টপ মেধাবী শিক্ষক নিয়ে আরেকটা ইউনিভার্সিটি যাদের তা নেই, তাদের সাথে শেষ আউটপুট এর তুলনা করলে আরো পিছিয়ে যেতে হবে। এইজন্য অতিশায়ন উপমাসরুপ নাসা-র উদাহরণ ব্যবহার করেছি। আমি যা বোঝাতে চেয়েছি সেটা হয়ত বোঝাতে পারিনি। যে কারনে "একি মেধার একজনের পক্ষে অন্য ইউনি থেকে পাব্লিকেশন বা নলেজ এক্সচেইঞ্জ করা সহজতর।" এটা ভুল প্রমান করতে আপনি আবারো ডঃ কায়কোবাদ এবং অন্যদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির পাব্লিকেশন তথ্য প্রমান এনে হাজির করলেন। আমি যতদুর জানি, ২০০৫-০৬ -এর সময়ে সিএসই বুয়েট-এ সিনিয়র শিক্ষক সংকট ছিল। সেই অবস্থায় একটা প্রায় নতুন ইউনিভার্সিটি ডঃ কায়কোবাদ-এর মত একজন টিচার-কে হায়ার করে নিয়ে গেল। তাদের সদিচ্ছা কতখানি বুঝতে পারছেন?

আপনার জবাব থেকে বুঝতে পারলাম না, পাব্লিকেশন-এর জন্য ডঃ কায়কোবাদ-এর যে সেই মানের স্টূডেন্ট-ও লাগবে এইটা কি আপনি অস্বীকার করছেন কিনা। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, উনি যত মেধাবীই হওন না কেন, যতক্ষন পর্যন্ত পলাশীতে বুয়েট নামের কোন যায়গায় না থাকছেন ততক্ষন কোন লাভ নেই?

আপনি বললেন,

নলেজ এক্সচেইঞ্জ এর অভিজ্ঞতা একেক জনের একেক রকম। মনে হয় আগের চেয়ে এখন ভাল। জেনারেলি দেখি: শেষ ৪-৫ বছরে ভাল গবেষনা পাব্লিকেশন সিএসই তে অনেক বেশি (>৫০, মন্তব্য ৬১ দেখুন )। কারণ, Recent PhD করা টিচার রা ফিরেছেন, যদিও এসময় Admission test এ >১৮০ ছাত্ররা এসেছে।

আপনি Admission test এ ১৮০ মেধাক্রমের পরের ছাত্র নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন কেন? তুলনা করার সময় তো ঠিকি
গড়ে ১৮০*১০ এর পরের মেধার ছাত্রদের সাথে তুলনা করছেন। আবার আপনি শেষ ৪-৫ বছরে ভাল গবেষনা পাব্লিকেশন সিএসই তে অনেক বেশি (>৫০, মন্তব্য ৬১ দেখুন )-এর কারণ হিসাবে দেখাচ্ছেন, Recent PhD করা টিচার রা ফিরেছেন।

বলুন তো, প্রথম ১৮০ জন ছাত্র আর এই Recent PhD করা টিচার-দের যদি অন্য একটা ভাল সিস্টেম (ঢাকার বাইরেও কিছু ভাল সিস্টেম আছে)-এ নিয়ে যাওয়া যায় যেখানে কর্তিপক্ষের সদিচ্ছা বেশি, তাহলে রেজাল্ট কি বুয়েট-এর চেয়ে ভাল হবে না খারাপ?
এরপরে বলুন, গড়ে ১৮০*১০ এর পরের মেধার ছাত্রদের যদি একটা খারাপ সিস্টেম-এ এই Recent PhD করা টিচার-দের ক্লাস -এ দেওয়া হয়, তাহলে রেজাল্ট কি বুয়েট-এর চেয়ে ভাল হবে না খারাপ?

আমি কোন হরতাল, কর্মবিরতি বা উইকেন্ড-এ নেই, তাই জবাব দিতে দেরি হতে পারে। ধৈর্য হারাবেন না। মুল প্রসঙ্গের অনেক বাইরে সরে আসাতে বাকিদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু আমার মনে হয়, কিছু বেসিক চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন না আসলে কার্যকর সমাধান আসবে না। তাই সেটা গুরুত্তপুর্ন।

sohel এর ছবি

"আমার করা অছ্যুৎ বলাই-এর বক্তব্যের ইন্টারপৃটেশন-এ ভুল হতে পারে। হলে তার জন্য আমি দুঃখিত।"
No worries.

" খেয়াল করুন তিনি কিন্তু এখানে সেই তথ্যপ্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন নি, যদিও তিনি অনেক বড় জবাব দিয়েছেন।"

"এই মন্তব্যটিতে দাবি করতে চাইছেন বুয়েট এর পাবলিকেশন অন্যান্য প্রকৌশল ইউনি থেকে কম । আপনার মন্তব্য টার ভিত্তি কি, তা আপনি এখনো পরিষ্কার করছেন না ।"-এখানে পরোক্ষভাবে তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হয়েছে।মন্তব্য ৬৩-তে পরিষ্কার চাওয়া হয়েছে। আপনারা কিছু বলছেন না দেখে আমাকেই বলতে হল আসল ঘটনা কি।
"একি মেধার একজনের পক্ষে অন্য ইউনি থেকে পাব্লিকেশন বা নলেজ এক্সচেইঞ্জ করা সহজতর।এটা ভুল প্রমান করতে আপনি আবারো ডঃ কায়কোবাদ এবং অন্যদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির পাব্লিকেশন তথ্য প্রমান এনে হাজির করলেন।" - তো অসুবিধা কোথায়?একই মানুষ (assuming that মেধা remains unchanged ) "গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে" "বুয়েট থেকে এগিয়ে" থাকা "প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো " তে গিয়ে কি ফল পেল সেটাই দেখালাম। - এটা আপনাকে disprove করে। পারলে নিজেকে defend করুন।

"আমি যতদুর জানি, ২০০৫-০৬ -এর সময়ে সিএসই বুয়েট-এ সিনিয়র শিক্ষক সংকট ছিল। সেই অবস্থায় একটা প্রায় নতুন ইউনিভার্সিটি ডঃ কায়কোবাদ-এর মত একজন টিচার-কে হায়ার করে নিয়ে গেল। তাদের সদিচ্ছা কতখানি বুঝতে পারছেন?"
- এই মন্তব্যের লাইনগুলোতে কোনো logical consistency পাইনি। ২ টা তথ্যগত ভুল পেলাম। ১. সিএসই বুয়েট-এ সিনিয়র শিক্ষক ২০০০ এর পর মোটামুটি বেড়েছে। ২০০৫-০৬ এ আলাদা "সংকট" ছিল না। আর ডঃ কায়কোবাদ কে (আরো কয়েকজনকে)অনেক ইউনিভার্সিটি যাবার ওপেন অফার দিয়ে রেখেছিল/রাখে (reference নাই যদিও)। উনি তখন Oxford এ একটা research project যাওয়া নিয়ে ভিসির সাথে মতবিরধের কারণে এ এন এস ইউ তে চলে যান। ২. ২০০৫-০৬ এ এন এস ইউ কোনো "নতুন ইউনিভার্সিটি" ছিলো না।

"আপনি Admission test এ ১৮০ মেধাক্রমের পরের ছাত্র নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন কেন? তুলনা করার সময় তো ঠিকি
গড়ে ১৮০*১০ এর পরের মেধার ছাত্রদের সাথে তুলনা করছেন। আবার আপনি শেষ ৪-৫ বছরে ভাল গবেষনা পাব্লিকেশন সিএসই তে অনেক বেশি (>৫০, মন্তব্য ৬১ দেখুন )-এর কারণ হিসাবে দেখাচ্ছেন, Recent PhD করা টিচার রা ফিরেছেন।"

১৮০*১০ এর পরের মেধার ছাত্রদের সাথে তুলনা করে শেষ ৪-৫ বছরে ভাল গবেষনা পাব্লিকেশনএর কারণ হিসাবে Recent PhD করা টিচার রা ফিরেছেন দেখাচ্ছি না, আগের বছরের (২০০০ ব্যাচ এর আগে) সাথে তুলনা করে বলছি, যখন <=৬০ রা সিএসই বুয়েট এ আসত।

১৮০*১০ এর পরের মেধার ছাত্রদের সাথে তুলনা করার কোনো দরকার নাই যদি আপনারা মানেন "গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে" থেকেও (???) পাবলিকেশনে অনেক পিছিয়ে।

"আপনার জবাব থেকে বুঝতে পারলাম না, পাব্লিকেশন-এর জন্য ডঃ কায়কোবাদ-এর যে সেই মানের স্টূডেন্ট-ও লাগবে এইটা কি আপনি অস্বীকার করছেন কিনা। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, উনি যত মেধাবীই হওন না কেন, যতক্ষন পর্যন্ত পলাশীতে বুয়েট নামের কোন যায়গায় না থাকছেন ততক্ষন কোন লাভ নেই?"

সেই মানের স্টূডেন্ট পাওয়া সহায়ক, তবে অন্য factor ও আছে। আর বলাই তো বলেন " অনেক মেধাবী ছেলেই সামর্থ্য থাকলে বুয়েটের চেয়ে প্রাইভেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে"। প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো থেকে এসে বুয়েটে অনেকে ভাল করে, যেটা তারা "গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে" এগিয়ে থেকেও আগে করতে পারেনি। একটা উদাহরণ: রাকিব-
http://www.informatik.uni-trier.de/~ley/db/indices/a-tree/h/Haque:Md=_Rakibul.html
আরো লাগলে পরে দিব।

"বলুন তো, প্রথম ১৮০ জন ছাত্র আর এই Recent PhD করা টিচার-দের যদি অন্য একটা ভাল সিস্টেম (ঢাকার বাইরেও কিছু ভাল সিস্টেম আছে)-এ নিয়ে যাওয়া যায় যেখানে কর্তিপক্ষের সদিচ্ছা বেশি, তাহলে রেজাল্ট কি বুয়েট-এর চেয়ে ভাল হবে না খারাপ?
এরপরে বলুন, গড়ে ১৮০*১০ এর পরের মেধার ছাত্রদের যদি একটা খারাপ সিস্টেম-এ এই Recent PhD করা টিচার-দের ক্লাস -এ দেওয়া হয়, তাহলে রেজাল্ট কি বুয়েট-এর চেয়ে ভাল হবে না খারাপ?"

৩ টা factor ই রেজাল্টকে ভালো করবে। তবে নলেজ এক্সচেইঞ্জ টাইপ প্রাইভেট ইউনির ভাল সিস্টেম ( যদিও কেন ভাল উদাহরণ দিয়ে বলছেন না। আমার "আর Research seminar তো বিদেশে PhD করছে এমন ছাত্ররাও প্রতি বছর করছে।সিএসই তে বিদেশে Professorদের seminar হয় বছরে ২/৩ টা।"- এর তুলনায় কিছু বলতে পারেন)দিয়ে তেমন লাভ হয় না সেটা ডঃ কায়কোবাদ এবং অন্যদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির পাব্লিকেশন তথ্য প্রমান এনে দেখালাম আগের মন্তব্যে।

"আমি কোন হরতাল, কর্মবিরতি বা উইকেন্ড-এ নেই, তাই জবাব দিতে দেরি হতে পারে।" ভাই আমিও নেই। আমি পি এইচ ডি করছি বাইরে। নাসা তে ভুলেও যাব না, আপনি বলার পর। আর কোথায় কোথায় যাব না উপদেশ দেন। আর বস, আপনি কোথায় কাজ করেন বলেন অসুবিধা না থাকলে। ওইখানে যাবার ও সাহস নাই।

sohel এর ছবি

৭৫ এর সাথে আরেকটা জিনিস যোগ করি। Brac Univesity তে ড: মুমিত খান একটা project করেন অনেক টাকার অনেকদিন ধরে। বুয়েটের "সেই মানের স্টূডেন্ট" অনেকেই তাতে ফুল টাইম কাজ করেছে। তাতে http://www.informatik.uni-trier.de/~ley/db/indices/a-tree/k/Khan:Mumit.html-এই হল আউটপুট। বুয়েটের প্রথম ১৫ জন ছাত্র "অন্য একটা ভাল সিস্টেম (ঢাকার বাইরেও কিছু ভাল সিস্টেম আছে)-এ নিয়ে যাওয়া যায় যেখানে কর্তিপক্ষের সদিচ্ছা বেশি" এ নেয়ার পর কি পাওয়া গেল?

নামুস এর ছবি

'বাইরের ইউনিভার্সিটির সাথে কোয়ালিশন সম্পর্কে আমি ডিটেলস তথ্য জানি না। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে।'

আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমি আর কারো অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পাচ্ছি না। আমি আমার মন্তব্যে বাইরে যাওয়ার ও শিক্ষকদের ফিডব্যাক দিয়ে উদাহরণ দিয়েছে। আপনি পারলে এরকম বাস্তবসম্মত উদাহরণ দেন। না দিতে পারলে শুধু এবস্ট্রাক্ট কথা বলে লাভ নাই।

একই শিক্ষক বুয়েটে চামারের মতো আচরণ করেন, আর প্রাইভেটে গেলে 'বই দাগায়া' দেন। এই ছাত্রগুলা যখন উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করে, তখন জিপিএতে মার খায়। বাইরের বিশ্বে বুয়েটের জিপিএ আর প্রাইভেট ইউনির জিপিএর দাম সমান।

বুয়েটের ৪ বছরে আমি খুব কম শিক্ষককে ফাকি দিতে দেখেছি। আপনি 'চামারের মত আচরণ' বলতে কি বুঝালেন তা বোধগম্য নয়।' বাইরের বিশ্বে বুয়েটের জিপিএ আর প্রাইভেট ইউনির জিপিএর দাম সমান।'- এই কথা যাদের পরিচিত লোকজন বাইরে পড়তে যায় নাই তাদেরকে গিয়ে বলেন। বুয়েটের কোন স্টুডেন্টকে আমি রেজাল্টের জন্য আটকে থাকতে দেখি নাই।

কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনার দোষ প্লাস ছাত্রদের আন্দোলন প্লাস শিক্ষকদের উষ্কানি সবমিলিয়ে বুয়েটে সার্টিফিকেট পেতে প্রাইভেটের তুলনায় অন্তত ২ বছর সময় বেশি লাগে। যে মেধাবী ছাত্রের ৫ লাখ টাকা খরচের সামর্থ্য আছে, সে কোন দুঃখে বুয়েটে পড়তে যাবে?

আপনার এই মন্তব্য পড়ে মনে হল টাকা থাকলে কেউ আর বুয়েটে পরতে আসবে না। যার সার্টিফিকেট নয় শিক্ষা দরকার সে আগে বুয়েটেই পড়তে আসবে।

উপরে আপনার কোট করা মন্তব্যগুলি আমার কাছে নেগাটিভ ও বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মনে হয়েছে। বুয়েটের ছাত্র ও শিক্ষক সম্পর্কে নুন্যতম ধারণা যার আছে তার কাছ থেকে এইরকম মন্তব্য পাওয়া যাবে না।

আপানার উপরের মন্তব্যগুলির ভিত্তি কি?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমি আর কারো অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পাচ্ছি না। আমি আমার মন্তব্যে বাইরে যাওয়ার ও শিক্ষকদের ফিডব্যাক দিয়ে উদাহরণ দিয়েছে। আপনি পারলে এরকম বাস্তবসম্মত উদাহরণ দেন। না দিতে পারলে শুধু এবস্ট্রাক্ট কথা বলে লাভ নাই।

আপনার অভিজ্ঞতা 'যাওয়া' দেখা, আর আমার 'আসা' দেখা। উপরে 'শিক্ষক'-এর মন্তব্যের জবাবে কিছু উদাহরণ দিয়েছি।

বুয়েটের ৪ বছরে আমি খুব কম শিক্ষককে ফাকি দিতে দেখেছি। আপনি 'চামারের মত আচরণ' বলতে কি বুঝালেন তা বোধগম্য নয়।'

চামারের মতো আচরণ বলতে ছাত্রদের সাথে অসহযোগিতা ও ঝাড়িমূলক আচরণকে বুঝিয়েছি। উদাহরণ দেই: আমার থিসিসের গ্রেড চীটারের ভুলে এ প্লাস এর পরিবর্তে বি মাইনাস আসে। সেমিস্টার গ্রেড ৩,৯৮ এর পরিবর্তে ৩,৫ এর মতো আসে। আমার থিসিস টীচার (আমি শিক্ষক হলে উনাকে আদর্শ হিসেবে ফলো করতাম) দেশের বাইরে থাকায় যাকে (মিঃ এক্স) দায়িত্ব দিয়ে যান, তিনি এই স্পষ্ট বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিয়ে উলটা 'যা হইছে, তা হইছে' বলে ঝাড়ি দেন। অন্য এক শিক্ষকের সহযোগিতায় পরে ওটা ঠিক করা হয়। এখানে মিঃ এক্স চামারের মতো আচরণ করেছেন।

ফাঁকি দেয়ার ক্ষেত্রে ইয়াসিন নামে এক শিক্ষক ছিলেন। সারা সেমিস্টারে কিছুই পড়ান নাই। প্রশ্নে বাঁশ দিয়া বিদেশে ভেগেছেন।

' বাইরের বিশ্বে বুয়েটের জিপিএ আর প্রাইভেট ইউনির জিপিএর দাম সমান।'- এই কথা যাদের পরিচিত লোকজন বাইরে পড়তে যায় নাই তাদেরকে গিয়ে বলেন। বুয়েটের কোন স্টুডেন্টকে আমি রেজাল্টের জন্য আটকে থাকতে দেখি নাই।

বুয়েটের স্টুডেন্টও আটকে থাকে না, প্রাইভেটের স্টুডেন্টও আটকে থাকে না। একই প্রতিষ্ঠানে আবেদন করলে, ইন জেনারেল, বুয়েটের জিপিএ আর অন্য কোনো প্রাইভেট ইউনির জিপিএর গুরুত্ব সমান। অ্যাডমিশনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাও দেখে। আমি আমার প্রোগ্রামে একেবারে অখ্যাত ইউনির ৩,৬ জিপিএর স্টুডেন্টকে অ্যাডমিশন পেতে দেখেছি, যেখানে বুয়েটের ৩,৮ অ্যাডমিশন পায় নাই।

যার সার্টিফিকেট নয় শিক্ষা দরকার সে আগে বুয়েটেই পড়তে আসবে।

যদি শিক্ষার কথা ধরেন, শিক্ষা একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। শুধু চোথা সলভ করে সেমিস্টার এক্সাম দেওয়াই শিক্ষা না। উদাহরণস্বরূপ, মানুষের সাথে কমিউনিকেশনের যোগ্যতা, একটা বিষয়ের উপস্থাপনা, খেলাধুলা এগুলাও শিক্ষার অংশ। বুয়েট এসব ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় কতোটা আগানো আপনিই উদাহরণ দিতে পারেন। তবে এক দেড় যুগ আগের কথা বললে, বুয়েটে থিসিসেরও প্রেজেন্টেশন দিতে হতো না। বুয়েটে যতোগুলো ভুয়া শিক্ষক ছিলো, তাদের বেশিরভাগেরই প্রথম সমস্যা ছিলো কমিউনিকেশনে। ছাত্রদের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হবে, এটাই বুঝতো না।

আর বাস্তবতাকে হিসেব করলে, সার্টিফিকেটের দাম অনেক। সার্টিফিকেটে নাই, ভিতরে শিক্ষিত - এই জিনিস যাচাই করে দেখার সময় আধুনিক পৃথিবীর নাই। চাকুরি হোক আর উচ্চশিক্ষা হোক, সার্টিফিকেট হলো নির্বাচনের প্রথম ধাপ।

উপরে আপনার কোট করা মন্তব্যগুলি আমার কাছে নেগাটিভ ও বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মনে হয়েছে। বুয়েটের ছাত্র ও শিক্ষক সম্পর্কে নুন্যতম ধারণা যার আছে তার কাছ থেকে এইরকম মন্তব্য পাওয়া যাবে না।

আপানার উপরের মন্তব্যগুলির ভিত্তি কি?

আশাকরি আপনার তোলা প্রশ্নগুলোর ক্ষেত্রে আমার বক্তব্যের বাস্তবতা এখন আরেকটু হলেও পরিষ্কার হবে। আশাকরি আরো বুঝতে পারবেন, বুয়েটের চাত্র ও শিক্ষক সম্পর্কে আমার কিছুটা হলেও জানা আছে।

আমার বক্তব্যকে নেগেটিভ হিসেবে না নিয়ে সমস্যা নির্ধারণের প্রচেষ্টা হিসেবে নেন, আলোচ্য টপিকে তাতে ফলপ্রসূ আলোচনা করা যাবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নাহিদ এর ছবি

বাইরের বিশ্বে বুয়েটের জিপিএ আর প্রাইভেট ইউনির জিপিএর দাম সমান।'- এই কথা যাদের পরিচিত লোকজন বাইরে পড়তে যায় নাই তাদেরকে গিয়ে বলেন।

আমি পিএইচডি অধ্যয়নের জন্য আবেদন করার সময় নিচের প্রফেসর আমাকে স্পষ্ট করে বলসিলেন
http://www.hlt.utdallas.edu/~vince/
তিন দশমিক সাত পাঁচ জিপিএ থাকলে আমি বাংলাদেশ-এর যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার গ্রুপ-এ আবেদন করতে পারব নাহলে বুয়েট বলে কোন এক্সট্রা খাতির পাওয়া যাবে না। কেউ ইমেইল এড্রেস পাঠালে আমি তাকে প্রফেসর-এর ইমেইল ফরোয়ার্ড করতে পারব।
আমার নিজের ভাই-এর অফিস-এ বুয়েট-এর বাইরের একজন ২ বছরের জুনিয়র হয়েও তার টিম লীডার হয়ে গেছে চাকরিতে সিনিয়র হওয়ার কারনে। এইটার-ও প্রমান দেওয়া যাবে। হতে পারে এইগুলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আর মূল আলোচনার সাথে সম্পর্কিত-ও না।

উপরে আপনার কোট করা মন্তব্যগুলি আমার কাছে নেগাটিভ ও বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মনে হয়েছে।

কিন্ত আপনার উপরের প্রশ্নের জবাব-এ কিছু বাস্তব উদাহরণ উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করলাম।

যার সার্টিফিকেট নয় শিক্ষা দরকার সে আগে বুয়েটেই পড়তে আসবে।

এত বিষয় থাকতে ইঞ্জিনিয়ারিং এত জনপ্রিয় কেন বাংলাদেশ-এ চিন্তা করেছেন কখনও? যার শিক্ষা দরকার সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির বাজার-এর অনুপযোগী অন্য একটা বিষয় না পরে কেন বুয়েট-এর যে কোন বিষয় বেছে নেয়? একটু মাথা-টা কাজে লাগান আর মুক্তচিন্তা করে এইটার উত্তর দেন দেখি।
--নাহিদ

নামুস এর ছবি

যার শিক্ষা দরকার সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরির বাজার-এর অনুপযোগী অন্য একটা বিষয় না পরে কেন বুয়েট-এর যে কোন বিষয় বেছে নেয়?

এর মানে কি বুয়েটে শিক্ষা দেয়া হয় না? মন্তব্য করার আগে ভেবে দেখেছেন যে আপনি কি বলছেন? আপনি এবার একটু মুক্ত চিন্তা করে উত্তর দেন?
-নামুস

নাহিদ এর ছবি

আমার ব্যাচের (২০০৪) এমন কোনও স্টুডেন্ট দেখি নাই যে বাইরে যেতে চেয়েছে অথচ যেতে পারে নি। ইইই বিভাগে আমাদের ব্যাচের ৭০% স্টুডেন্ট বাইরে চলে গেছেন। সুতরাং আপনি কিসের ভিত্তিতে বুয়েটে মেধাবী ছাত্র আসছে না বা বুয়েট প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পিছিয়ে পড়ছে সেটা বুঝতে পারলাম না।

নামুস, আপনার কথা থেকে যা বুঝলাম, "বাইরে যাওয়াটাই শিক্ষাজীবন-এর চরম সার্থকতা"। বাইরে বলতে ভারত, পাকিস্তান-কেও ধরেন নাকি কে জানে?
আমেরিকাতে আমার টীচিং আসিস্টান্ট ক্লাস এর সাধারন মানের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেখেছি, আন্ডার গ্রাডুয়েট ডিগ্রির পরে হয় মাইক্রোসফট-এর মত কম্পানি-তে জয়েন করতে অথবা পিএইচডি-র জন্য টপ ৫-টা ইউনিভার্সিটি-তে আবেদন করতে। আমার ব্যাচমেট-দের মধ্যে অনেকে যেখানে আছে, আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, তাদের আরও ভাল জায়গা-তে থাকার কথা ছিল। এমনকি পাশের দেশের সাধারন ছাত্রদের-কেও দেখেছি একি মেধা নিয়ে অনেক ভাল জায়গা-তে যেতে। "চরম সার্থকতা"-টাই যদি উচুতে ঠিক করতে না পারেন, তাহলে সেখানে পৌছাবেন কিভাবে?
--নাহিদ

নামুস এর ছবি

বাইরে যাওয়ার কথাটা অচ্ছুৎ বলাইয়ের মন্তব্যের জবাবে আমি বলেছি। এখানে বাইরে যাওয়া বলতে উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণার কথা বলেছি। গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষা "শিক্ষা জীবনের চরম সার্থকতা" হিসেবেই ধরা হয়। এর চাইতে উঁচু আর কি হতে পারে? আপনি একটু বলেন দেখি আর কি করলে সেটাকে আপনার 'চরম সার্থকতা' বলে মনে হবে।
আপনি নিজে কেন দেশের বাইরে গেছেন? আমেরিকা যাওয়ার আগে কি ভারত, পাকিস্তান ট্রাই করে দেখেছিলেন?
-নামুস

Amit এর ছবি

আমার জানামতে এখনো প্রথম শ্রেনীর ছাত্র/ছাত্রীদের পছন্দ বুয়েটে। আপনি কি বুয়েট ভর্তিপরীক্ষায় অকৃতকার্যদের কেউ? পরে বাপের আলিশান টাকায় উত্তর-দক্ষিন / আসমান-জমিনের কেউ?

নাহিদ এর ছবি

বলাই বলেছিলেন,

বাংলাদেশের মতো উচ্চ ফলনশীল জনসংখ্যার দেশে ছাত্র পেতে বুয়েটের সমস্যা হবে না; কিন্তু এরকম উন্নাসিকতা নিয়ে থাকলে গড় কোয়ালিটি কমতেই থাকবে।

তার জবাব-এ Amit বললেন,

আমার জানামতে এখনো প্রথম শ্রেনীর ছাত্র/ছাত্রীদের পছন্দ বুয়েটে। আপনি কি বুয়েট ভর্তিপরীক্ষায় অকৃতকার্যদের কেউ? পরে বাপের আলিশান টাকায় উত্তর-দক্ষিন / আসমান-জমিনের কেউ?

Amit, সবগুলো কমেন্ট পরলে হয়ত বুঝতে পারবেন, বলাই তার বুয়েট অভিজ্ঞতা থেকেই কথা বলছেন। কিন্তু বলাই কিছু প্রশ্ন তোলাতেই আপনি সন্দেহ করলেন, তিনি বুয়েট-এ অকৃতকার্যদের কেউ। তাহলে কোন ছাত্র/ছাত্রী যদি বলে, তাদের প্রথম পছন্দ বুয়েট না, তাদের সম্পর্কেও কি আপনি "অকৃতকার্য" এই একি ধারনা পোষন করবেন না?
এই যুক্তিতে মেনে নিতেই হচ্ছে যে, একশত ভাগ প্রথম শ্রেনীর ছাত্র/ছাত্রীদের পছন্দ বুয়েট। আমার অবশ্য মনে হয় কেউ কোন প্রশ্ন তুল্লেই তার নিজের কোন সমস্যা আছে এটা মনে করা কেবল অসভ্য সমাজেই সম্ভব।
--নাহিদ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

নাহিদ ভাই,

আমার অবশ্য মনে হয় কেউ কোন প্রশ্ন তুল্লেই তার নিজের কোন সমস্যা আছে এটা মনে করা কেবল অসভ্য সমাজেই সম্ভব।

এই জিনিসটা অভ্যাসের অংশ। এক এক সমাজে এক এক আচার। হাসি
'এই ছেলে, তোমার স্টুডেন্ট নাম্বার কতো?' - এই প্রশ্নটার সাথে কি আপনি পরিচিত? চোখ টিপি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

সেইসাথে কোনো আইডিয়া নিয়ে কথা বলতে গেলে বা কোর্সের বাইরের জিনিস নিয়ে জানতে গেলে "সিজিপিয়ে কত?"

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এক স্যার একবার আমার সিজিপিএ শুনেই ক্ষান্ত দেন নাই। অতো অল্প সিজিপিএতে পজিশন এত উপরে থাকে কিভাবে বলে বিস্ময়ও প্রকাশ করেছিলেন। দেঁতো হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মানুষ এর ছবি

খুব বেশিদিন হয় নাই এইচএসসি পাশ করেছি,কিন্তু এখনকার 'মেধাবী' স্টুডেন্টদের মধ্যে কাউকে দেখলাম পাশ করতে সময় বেশি লাগে বলে বেসরকারীতে ভর্তির ব্যাপারটা কনসিডার করছে।

বুয়েটে পড়লে যে পার্ট মারা যায় তা প্রাইভেটে পড়লে যায় না,এইজন্য হয়ত এখনও মেধাবীদের বুয়েটে আসার প্রবণতা আছে।কিন্তু যেই অবস্থা চলছে তাতে এই সুবিধা বুয়েট বেশিদিন পাবে না।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বুয়েটে না যেয়ে অল্টারনেটিভ প্রতিষ্ঠান থেকে আগেআগে পাশ করে দুই বছর পরে তাদের বুয়েটি বন্ধুদের চাকুরীর ইন্টারভিউ নিয়েছে এমন ঘটনার কথা আমি বেশ কয়েকবার শুনেছি। বাস্তব অভিজ্ঞরা হয়তো ভালো বলতে পারবেন।

বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই।

buetian এর ছবি

এত কিছু এত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করার পরও যদি লোকে চোখে ঠুলি এঁটে থাকতে চায়, সেক্ষেত্রে বুয়েটকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা যে করে যাচ্ছেন তার শিক্ষকরা তাকে এগিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে লোকে মুখ থুবড়ে পরে দিতে দিবে! বুয়েটকে বাঁচানোর আন্দোলনে শামিল না হতে পারেন, দ্বিধাবিভক্ত করার চেষ্টা করবেন না! নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন আর যাচাই করার ক্ষমতা-কে কাজে লাগান! প্রিয় প্রতিষ্ঠানকে বাঁচানোর আন্দোলনে সাথে থাকুন!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সেক্ষেত্রে বুয়েটকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা যে করে যাচ্ছেন তার শিক্ষকরা তাকে এগিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে লোকে মুখ থুবড়ে পরে দিতে দিবে!

বুয়েট কি মুমূর্ষু অবস্থায় নাকি? সমস্যা থাকলে সমাধান আছে। মুমূর্ষু ভেবে বড়জোর কুলখানির আয়োজন করতে পারবেন, সমস্যার সমাধান হবে না। হাসি

'শেষ চেষ্টা'টা এক্সাক্টলি কি? সেটা বিফলে গেলে কি বুয়েট কি ইন্নালিল্লাহ?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

buetian এর ছবি

শেষ চেষ্টা এক্সাক্টলি কি সেটা তো আপনি চোখে দেখেও ঠুলি পরে বসে আছেন! মুমূর্ষু কি বেঁচে আছে সেটা যদি এত কিছু দেখেও না বোঝেন, মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচানোর জন্যে আত্নীয়রা অনেক কিছু করে, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েও ফিরে আসে অনেক মানুষ! তখন যদি মরে যাবে ভেবে কেউ কুলখানি-র চিন্তা করে বসে থাকে তবে তার মনোবৃত্তি কী তা নিয়ে কথা বলা বাতুলতা!

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ভাই, আমি এতোকিছু বুঝলে আপনাকে প্রশ্ন করে বিরক্ত করতাম না। বুয়েটকে বাঁচানো বলতে আসলে আপনি কি বুঝাচ্ছেন? বাঁচানো না গেলে পরিণতি কি হবে? বুয়েট শেষ?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বুয়েটিয়ান এর ছবি

অনেক গুলো কমেন্ট পড়লাম, সত্যি কথা বলতে কি বুয়েটের বর্তমান অবস্থা কি সেইটা যদি কেউ জানতে চায় তাকে কয়েকদিন বুয়েট এসে ঘুরে যাবার অনুরোধ থাকল। এত তত্ত্ব কথার তখন দরকার পরবে না। ভিসি প্রো-ভিসির কাজ কারবার আমরা ছাত্ররা সামনা সামনিই দেখতে পাচ্ছি । অনেকের হয়তো শিরোনাম পড়ে ব্লগের ভেতর কি লেখা হয়েছে সেটা পড়তে নাও ইচ্ছা করতে পারে , কিন্তু এতে করে বাস্তবতাটা মিথ্যা হয়ে যায় না। বুয়েটের অবস্থা এখন যে গত ৪ বছরের চেয়ে অনেক খারাপ এইটা হচ্ছে বাস্তবতা , এইটাকে যদি যুক্তি তর্ক দিয়ে প্রমাণ করতে বলেন আপনাকে বলব বুয়েট আসেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে ছাত্রলীগ এবং ভিসি যেই দুষ্কর্ম গুলো করে সেগুলোর লিখিত প্রমাণ থাকে না, যা যা প্রমাণ পাওয়া গেছে শিক্ষক সমিতির কল্যাণে ফেসবুক এবং ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়েছে। হিযবুত তাহরীর আর জামাত শিবির শব্দ গুলা বুয়েটে এখন এতই অপপ্রয়োগ হয়েছে যে আজকে আমি ভিসি বিরোধী একটা স্ট্যাটাস দিলে কাল জামাত শিবিরের সমর্থক হিসেবে আমার নামে পোস্টারিং হবে। বুয়েটে যে গবেষণার ভাল পরিবেশ নেই এইটাও বাস্তব সত্য, বুয়েট থেকে বছরে কয়জন পিএইচডি করে এই বিষয়েও প্রশাসন এবং শিক্ষকদের জবাবদিহি করা উচিত, কিন্তু এই মূহুর্তে এইসব আলোচনা আমার খুব হাস্যকর লাগছে। চরম উদাস দা পরস্পরবিরোধী ব্লগের কথা বলেছেন আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি পারলে কেউ বুয়েটে আসুক দেখে যাক পরস্পরবিরোধ টা কেমন , বর্তমান উপাচার্যের কার্যক্রম সমর্থন করে এরকম ছাত্র এসে খুঁজে যান । লীগ কর্মীদের বাইরে কয়জনকে পান হাতে গোনা যাবে । দূর থেকে হাতি ঘোড়া মারা অনেক সহজ, বাস্তবতা এই যে বুয়েটের পরিস্থিতি এখন খুব খারাপ, সাধারন শিক্ষার্থীরা যে প্রতিবাদ করার জায়গাটুকু পাচ্ছেনা এটা শুধুই তাদের দোষ নয় , কিন্তু এটা সত্য বুয়েট কে বাঁচাতে আমরা এখন অনেকাংশেই শিক্ষক সমিতি্র উপর নির্ভরশীল। দুঃখিত সবসময় নির্মোহ থাকা যায়না । রাজাকার প্রশ্নে যেমন আমি নির্মোহ যুক্তি দিয়ে ব্লগ জীবনেও লিখতে পারবোনা , সেটা হয়তো ইতিহাসবিদরা পারবেন , তেমনি বুয়েটের একজন বর্তমান ছাত্র- যে প্রশাসনের কাজ কারবার দেখেছে, তার পক্ষে নির্মোহ হয়ে বর্তমান প্রশাসনের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয় ।
হিমু ভাই ছাত্র সংসদের প্রসঙ্গ টি তুলে ধরেছেন । বুয়েটে কেন ছাত্রদের স্বার্থ রক্ষার সংগঠন নেই সেই প্রশ্নের উত্তর দিবে কে ? বাংলাদেশের সবগুলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ কে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে , ছাত্র সংসদ নির্বাচন সরকারি নির্দেশেই বন্ধ, এটা আদায় করতে গেলে ছাত্রদের মাঠে নেমে দাবী আদায় করতে হবে। বুয়েটে এখন ছাত্রদের সামান্য প্রতিবাদ করার সুযোগটিই নেই ছাত্র সংসদ অনেক দূরের বিষয় ,এইটা বুঝার চেষ্টা করুন প্লিজ। আমরা আগে ঐ অবস্থা টুকু ফিরে পেতে চাই, ফেসবুক একটা স্ট্যাটাস দিয়ে আমার ভয় পেতে হবে না, একটা ব্লগ আমি স্বনামে লিখতে পারব; এইটুক চাওয়া কি খুব বেশি অপরাধ?
তবে হ্যাঁ আমি এটা মনে করি বুয়েটের অনেক ছাত্রই রাজনৈতিক সমস্যার অরাজনৈতিক সমাধান চায় যেটা মোটেই যুক্তিযুক্ত নয়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

যাক, আপনার মন্তব্য থেকে বুঝা গেলো, বুয়েটের অবস্থা আসলেই ভালো না। ('ভালো না'কে ভালো না বলা নিশ্চয়ই নেগেটিভ উক্তি না।)

সাধারন শিক্ষার্থীরা যে প্রতিবাদ করার জায়গাটুকু পাচ্ছেনা এটা শুধুই তাদের দোষ নয় , কিন্তু এটা সত্য বুয়েট কে বাঁচাতে আমরা এখন অনেকাংশেই শিক্ষক সমিতি্র উপর নির্ভরশীল।

এটা বুঝলাম না। বুয়েটের ছাত্ররা ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারছে না, তাই শিক্ষক সমিতির ব্যানারে তারাও এই আন্দোলনের অংশ? ছাত্ররাও কি স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্লাস বর্জন করছে?

বাংলাদেশের সবগুলা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ কে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে , ছাত্র সংসদ নির্বাচন সরকারি নির্দেশেই বন্ধ,

জানার জন্য প্রশ্ন: এ ব্যাপারে কি সরকারের কোনো ঘোষণা আছে? কোনো পত্রিকার রেফারেন্স হলেই চলবে।

এটা আদায় করতে গেলে ছাত্রদের মাঠে নেমে দাবী আদায় করতে হবে। বুয়েটে এখন ছাত্রদের সামান্য প্রতিবাদ করার সুযোগটিই নেই ছাত্র সংসদ অনেক দূরের বিষয় ,এইটা বুঝার চেষ্টা করুন প্লিজ।

শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন পর্যন্ত এক্সট্রিম পন্থায় প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন, ছাত্ররা 'সামান্য প্রতিবাদ' করার সাহস পাচ্ছেন না - ছাত্রদের জন্য জিনিসটা খুব গৌরবের বিষয় না।

রাজাকার প্রশ্নে যেমন আমি নির্মোহ যুক্তি দিয়ে ব্লগ জীবনেও লিখতে পারবোনা , সেটা হয়তো ইতিহাসবিদরা পারবেন , তেমনি বুয়েটের একজন বর্তমান ছাত্র- যে প্রশাসনের কাজ কারবার দেখেছে, তার পক্ষে নির্মোহ হয়ে বর্তমান প্রশাসনের কার্যক্রম বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয় ।

প্রথমত, রাজাকার আর বুয়েট কর্তৃপক্ষ একই লেভেলের 'খারাপ' না। দুইটা একপাল্লায় তোলা যায় না।
দ্বিতীয়ত, রাজাকারদেরকে ধোলাই করাটা একটা যুক্তিসঙ্গত জিনিস।
তৃতীয়ত, নির্মোহ না হতে পারলেও কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে ব্লগ লেখা দোষের কিছু না; কিন্তু সেটাকে কোনো জাজমেন্টের রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে সমস্যা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বুয়েটিয়ান এর ছবি

বলাই দা সাধারন ছাত্ররা রাজনৈতিক এবং অধিকার সচেতন নয় এইটাও বাস্তবতা, যেই কয়জন ছাত্র-ছাত্রী সচেতন তারা সংখ্যায় অনেক কম। এরপর কথা হল এই সচেতনদের মধ্যে কয়জন আন্দোলন হলে মাঠে নামবে, অভিযোগ শিক্ষক সমিতি এবং প্রশাসন উভয় পক্ষের বিরুদ্ধেই একাধিক করা যায় আমি বলতে চাইছি ভিসি প্রোভিসি ইস্যুতে শিক্ষক সমিতির স্ট্যান্ড ঠিক আছে আবার একই সাথে কাল বা পরশুই প্রধানমন্ত্রীর একটা ফোনকলে তারা আন্দোলন বন্ধ করবেনা এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবেনা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ছাত্ররাই কিন্তু তাদের বেশিরভাগেরই এটা নিয়েও তেমন কোন মাথাব্যাথা নেই, ভাবখানা এমন একটা কিছু হলেই হল। ছাত্রদের এই লজ্জাজনক অবস্থা অবশ্যই কাম্য নয় কিন্তু তাদের এমন মানসিকতা তৈরির পেছনে কে বেশি দায়ী আমাদের সমাজ, তাদের অভিবাবক নাকি শিক্ষাব্যবস্থা ? আর আমার প্রশ্ন যে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য তাদেরকে পথ দেখাবে কারা ? আপনার মতো সাবেকরা যদি তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে কিছু হলেও হতে পারে আবার নাও পারে।

ছাত্ররা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এই আন্দোলনের অংশ নয় কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে, এবং আমি এবং আমার বন্ধু মহলের সবাই আশা করি শিক্ষক সমিতির আন্দোলন থেকে যেন ভাল কিছু আসে।

আর ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সরকারি সিদ্ধান্তের রেফারেন্স আমি দিতে পারবো না দুঃখিত। আমি বিশ্বাস করি (এবং আমি মনে করি অনেকেই করবেন) সরকারের ইচ্ছা ছাড়া কোথাওই এই নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। আর ইউকসু আদায় করতে গেলেও সেই ছাত্রদের মুভমেন্ট করেই তা আদায় করতে হবে , যেইখানে বুয়েটের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করবার পক্ষপাতি (এইটাও একটা ভয়ঙ্কর বিষয় ,দেশের অনেক মেধাবীরাই ছাত্র রাজনীতি চায় না ) সেইখানে ইউকসু নিয়ে মুভমেন্ট কতটা সফল হবে আমি সন্দিহান ।

যাই হোক আমি অভিজ্ঞতা ও বয়স দুটাতেই আপনার চেয়ে ছোট , বর্তমান পরিস্থিতিটা আপনাদের বুঝাতে চেষ্টা করলাম মাত্র । এখন আমি অবশ্যই প্রতিবাদ করতে চাই বর্তমান অবস্থার, ; কিন্তু আমি পথে নামলে পাশে ১০ জনও পাচ্ছি না, ছাত্র ছাত্রীরা ফেসবুকে ব্লগে প্রশাসনকে গালি দিয়ে ধুয়ে দিচ্ছে অথচ মাঠে নামতে গেলে লীগের ভয়ে নামছেনা । এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের উপায় কি ? এই বছরের ৪ মাস শেষ অথচ বুয়েটে এখন পর্যন্ত একটা ক্লাশ ও হয়নি এইটা কি মানা যায়

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বুয়েটিয়ান ভাই, আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আমিও বুয়েটের পোলাপানের এই রাজনীতি ও অধিকার সচেতনতার কথা বলছি। ছাত্রদের এই মানসিকতার জন্য দায়ী অনেকগুলো ফ্যাক্টর। বিস্তারিততে না যাই, কিছু ক্যান্ডিডেট তো আপনার মন্তব্যেই এসেছে। এই অসচেতনতার জন্য যে সমস্যার সহজ সমাধান সম্ভব, সেটায় না গিয়ে ফেসবুকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে মারে!

লীগের ভয়ের ব্যাপারটা সত্য হতে পারে। সাথে সমস্যা জিইয়ে রেখে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর বিষয়টাও বাস্তবসম্মত মনে হয়। ফেসবুকে যারা বক্তব্য দিচ্ছে, অধিকাংশই নিজের নামেই দিচ্ছে। লীগ যদি পিটাইতে চায়, তারা জানে কাকে পিটাতে হবে। চাইলে বুয়েটের শিক্ষকদেরকে পিটানোও অসম্ভব না। এখানে সবচেয়ে খারাপ বিষয় হলো, সমস্যার সমাধানের দিকে না গিয়ে সমস্যা বাড়ানোর মতো পাবলিকও অনেক সক্রিয়।

স্টুডেন্টরা স্পষ্টতই রাজনীতি ও অধিকার অসচেতন। শিক্ষকরা কি সচেতন? তারা সচেতন হলে ছাত্রদেরকে সচেতন করার একটা পদক্ষেপ হয়তো নিতো। ইউকসু নিয়ে শিক্ষকদেরও কিছু মাথাব্যথা থাকতো। আর শিক্ষকরাও যদি রাজনীতি ও অধিকার সচেতন না হয়, তাহলে এই আন্দোলন থেকে 'ভালো' কিছু আসা কঠিন হবে। হয়তো ভিসি অপসারিত হবে, নোতুন ভিসি আসবে। কিন্তু বিভিন্ন উছিলায় ছাত্রদের বাঁশ খাওয়া অব্যাহত থাকবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

বুয়েটিয়ান এর ছবি

ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে মারলেই প্রধানমন্ত্রী সত্যি সত্যি মরে যাবেননা। অথচ এই কাহিনী নিয়ে এন এস আই ঘুরছে বুয়েটে ।ফেসবুকে সত্যি কথা বলে কত ছাত্রকে যে প্রতিনিয়ত লীগের হুমকি খেতে হচ্ছে তার কোন হিসেব নেই, এর প্রতিকারই বা কে দিবে ? বুয়েটে ছাত্রলীগের পোস্টারিং দেখলে মনে হয় শিক্ষক সমিতি হচ্ছে জামাত শিবির আর হিযবুত তাহরীরের অঙ্গ সংগঠন , পেপার কাটিং গুলো নাকি প্রো-ভিসির রুম থেকেই প্রিন্ট হয় তারপর প্রতিদিন বিলি করা হয় ক্যাফেটেরিয়া সহ সব জায়গায়। বুয়েটের বর্তমান অবস্থার উত্তরনের শর্টকাট ফর্মুলা তো নেইই , কিন্তু আমি মনে করি প্রথম কাজ হচ্ছে ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় রাজনৈতিক চেতনাহীন এবং লুটপাটের ধান্দায় থাকা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মাথা তুলে দাঁড়ানো, কিন্তু সমস্যা হল সেই কাজটা যখন আমি করতে যাচ্ছি একে তো তারা এসে আমার হাত পা ভেঙ্গে দিয়ে যাচ্ছে আরেকদিকে প্রশাসন এসে আমার পুটু মেরে দিয়ে যাচ্ছে । অন্যদিকে বুয়েটে যেই ছেলেটা আসছে তাদের বেশিরভাগেরই হয়তো বাসায় বাপ মা বলে দিয়েছে রাজনীতি থেকে ১০০ হাত দূরে থাকবা (এইটা বর্তমানে সব অভিভাবকের কমন ডায়ালগে পরিণত হচ্ছে ) , এরপরও কয়েকজন সাহস করে এগিয়ে এসে যখন দেখছে এই হাল তখন তারা কি ভাবছে? ভাবছে ছিড়লাম না আর ** , নিজেকে নিয়েই থাকি , পাশ করে একটা চাকরী বা বিদেশ । কে যাবে নিজের ঘাড়ে ঝামেলা নিতে ঐরকম একজন দুইজন পাবেন কিন্তু একশ দুইশ পাওয়া এখন অসম্ভব। এই যখন অবস্থা কেউ যদি রাজনৈতিক চেতনা বিকাশের কাজও করতে চায় তার জন্য অন্তত এমন একটা প্রশাসন যারা অন্তত ভিক্ষা চাইতে গেলে কুত্তা নিয়ে তাড়া করবে না। বুয়েটের সর্বোচ্চ পদে যদি একেবারেই অন্ধ কেউ বসে তখন সেইটা মেনে নেওয়াটা আসেনা । ভিসি স্যার নিজেকে আমাদের অভিভাবক দাবী করেন কিন্তু উনার আচরনে সেইটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন বারবার। অন্যদিকে প্রো-ভিসির সাথে নিজেদের অতি সু-সম্পর্কের কথা লীগের ছেলেরাই বলে কয়ে বেরায় এই অবস্থায় শিক্ষক সমিতির কোন আন্দোলনে যদি ছাত্ররা সামান্যতম লাভবানও হয় , তাদের বক্তব্য রাখার জন্য যদি সামান্যতম সুযোগ ও জায়গাটাও তারা পায় সেইটাকে পুরোপুরি স্বার্থপর ভাবে ছাত্রদের কাজে লাগানো উচিত বলে আমি মনে করি । আর এখন যদি এই অবস্থা থেকে যায় এরপরের জমানায় নিশ্চিত ভাবে শিবিরের উত্থান দেখতে হবে বুয়েটে ।

আর রাজনৈতিক অসচেতনতার কথা বলব শুধু শিক্ষক ছাত্র কেন এইটা আমাদের পুরো সমাজেই আছে , আমার মনে আছে আমার অ্যাডভাইসর স্যার বুয়েটের প্রথমদিনই আমাকে বলে দিয়েছিলেন ভুলেও যেন রাজনীতির মধ্যে না যাই।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

খাওয়া পার্টি সবদলেই আছে, সবসময়ই ছিলো। পার্থক্য হলো, শিবির-দল লুকায়ে খাওয়ার চেষ্টা করে, আর লীগ ফেলায়া-ছড়ায়া খায়। যা খায়, তার চেয়ে হম্বিতম্বি বেশি করে। এখন লীগ ক্ষমতায়, ছাত্রলীগের হাউকাউ বেশি চোখে পড়বে, এটা স্বাভাবিক। আবার বৃহত্তর জামায়াত ক্ষমতায় এলে শিবির-দল সনিদের হত্যা করে পার পেয়ে যাবে। এই বৃহত্তর কনটেক্সট চিন্তা করা উচিত। শুধু ছাত্রলীগকে ধোলাই দিলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে না। ছাত্রলীগ যদি কোনো কামের জিনিস হতো, তাইলে বুয়েটে শিবিরের অস্তিত্ব থাকতো না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত এটাকে কন্ট্রোলে রাখা, যাতে সাধারণ ছাত্রছাত্রীকে হেনস্তা না হতে হয়। প্রশাসন সেটা করতে ব্যর্থ হলে ছাত্রদেরকেই, যতো ঝামেলাই মনে হোক, সেটাকে প্রতিরোধ করতে হবে। বুয়েটে যারা রাজনীতি করে, আমার অভিজ্ঞতামতে, সেন্টারে তাদের তেমন দাম নাই। ছাত্রলীগের ক্ষেত্রে অবস্থা আরো করুণ।

শিক্ষক সমিতির পূর্ব ও বর্তমান আচরণ মাথায় রেখে বলা যায়, ছাত্রদের স্বার্থ এই আন্দোলনে তাদের কাছে তেমন কোনো ফ্যাক্টর না। যে ছাত্ররা নিজেদের অধিকার নিয়েই সচেতন না, তাদেরকে মুখে তুলে খাওয়ানোর মতো নির্বোধ শিক্ষক সমিতি না, সেটা আশা করাও ঠিক না।

ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য কাউকে হেনস্তা করা উচিত না। একই সাথে প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করার স্ট্যাটাসও সুস্থতার পরিচায়ক না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ব্যঙ্গচিত্র   এর ছবি

বলাই দা, যারা যে আমলের অন্যায় দেখেছে তারা তো সেটাকেই হাইলাইট করবে তাই না?? খারাপ কে অন্য একটা খারাপের সাথে তুলনা করে সেটাকে হালকা করাটা টা কি ঠিক দাদা? এই লীগ যখন বুয়েটে শিবিরের রুম পুড়াল তখন মনে মনে ঠিকই বাহবা দিয়েছি।

প্রশাসন কতটা নির্লজ্জ চিন্তা করুন। লীগের লিফলেট প্রো-ভিসির রুম থেকে স্প্যালাই হতে আমি সচক্ষে দেখেছি। যাতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিশ্চুপ থাকেন সে জন্য ২০ জনের রেজাল্ট নিয়ে প্রহসনের একটা চিত্র সামনে তুলে ধরল। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই সকল বিষয় নিয়ে আলাদা দাবীর প্রতি সমর্থন করে। কিন্তু তারা "বসে বসে ফল পাবার আশাবাদী"। তারা প্রশাসনের কার্যকলাপে বিতশ্রদ্ধ হচ্ছে দেখেই শিক্ষক সমিতির আন্দোলনে মৌন সমর্থন দিচ্ছে। এটা তাদের একদিক দিয়ে অপারগতা আবার সাথে সাথে তাদের ক্ষোভ প্রকাশকেও ধরতে পারেন।

হিমু এর ছবি

বুয়েট শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের বিরোধিতা তো করছি না। শুধু জানতে চাই ২০০২ সালে সন্ত্রাসী মুকির গুলিতে সনি মারা যাওয়ার পর শিক্ষক সমিতি কী করেছিলেন।

পরিবেশবাদী ঈগল  এর ছবি

শিক্ষক সমিতির লোকজন তখন কি করেছিল জানি না, তবে এখন বিচ্ছিন্ন ২ একটা কথা বলি ম্যাঁও

আগেই বলি, বুয়েট এর এখন যে অবস্থা, সেটাকে সমর্থন করি না, পলিটিকাল পা চাটা ভিসি বা ছাত্রদের দুরবস্থা কোনটাকেই মানতে পারি না, শিক্ষক সমিতি যদি পজিটিভ কিছু করতে পারে ভাল, সেদিকেও যাচ্ছি না, একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই কাফি।

১) বুয়েটের বহু শিক্ষকের সাথেই দেখা সাক্ষাত করতে হয়, চাকরির কারনে, আবার বুয়েট এর স্টুডেন্ট বলে নিজেকে পরিচয় দেই না, তবে যেহেতু সপ্তাহে ২ দিন একটা ঠেলা মারার জন্য মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে আছি , সেটাও ধরলাম। মুলত চাকরির কারনে ,আমার ফিল্ডে যেসব প্রজেক্ট ( বিদেশি দাতাদের অথবা সরকারি) আছে সবগুলাতেই কম বেশি বুয়েটে আমার সাবজেক্টের কয়েকজন শিক্ষক এক নামে চেনা। ( উপদেশনামা বিতরনে !!)
তা, এই আন্দোলন বা যেটাই এখন শিক্ষক সমিতি করছে, তার কারনে তাদের কোন কনসাল্টেন্সির কাজ বন্ধ হয়েছে বলে আমার জানা নেই। গত সপ্তাহেও ৩ বার ৩টা মিটিং / ওয়ার্কশপ এ দেখলাম, সবাই যথাসময়ে হাজির, এমনকি কয়েকটা টেস্ট বুয়েটের ল্যাব এই করা, আন্দোলোন এর মধ্যে ক্লাশ নেয়া বন্ধ, ০৬ এর পুলাপানের হাবিজাবি কাগজ ক্লিয়ারেন্স এ সাইন বন্ধ, তবে কোন কনসাল্টেন্সি বন্ধ হয় নাই, এমনকি বুয়েটের রিসোর্স ব্যাবহার করেও যেসব কাজ করার কথা সেগুলা চলছে।

অতিথি এর ছবি

একটা রিকোমেন্ডেশন লেটার চাইতে গেলেই বুয়েটের শিক্ষকরা কত মহান তা বুঝা যায়!

বুয়েটিয়ান এর ছবি

অনেক ক্ষেত্রেই আলোচনা চলে যাচ্ছে বুয়েট শিক্ষকরা কেমন তারা কতটা খারাপ বা ভাল অথবা অতীতে কি ভুল করেছে এবং এখন কি ভুল করছেন সেই দিকে, একজন ছাত্র হিসেবে আলোচনাতে বর্তমান সমস্যা ও এর সমাধানের দিকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি, এর সাথে প্রাসঙ্গিক ভাবে যদি শিক্ষক সমিতির ভুল ত্রুটি উঠে আসে সমস্যা নেই কিন্তু অনেক মন্তব্যেই আলোচনার মূল বিষয়টা এই লেখার চেয়ে শিক্ষক সমিতির চরিত্র বিশ্লেষনের দিকেই বেশি চলে গেছে

আর বুয়েট নিয়ে একটা ভাল রিপোর্ট এর লিঙ্ক যারা পড়েননি তাদের জন্য দিয়ে দিচ্ছি এখানে

হিমু এর ছবি

শিক্ষক সমিতির চরিত্র বিশ্লেষণ করলে সমস্যা কোথায়?

ব্যঙ্গচিত্র   এর ছবি

কোন সমস্যা নেই হিমু ভাই। এইটার প্রয়োজনীয়তাও আছে মনে করি। কিন্তু একটা বিষয় এটা কখন উঠে আসছে সেটাই সমস্যা??

হিমু এর ছবি

আমি খুব সরল একটা প্রশ্ন করেছি। ২০০২ সালের ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সন্ত্রাসী মোকাম্মেল হায়াত খান মুকির গুলিতে সাবেকুন নাহার সনি নিহত হওয়ার পর শিক্ষক সমিতি কী করেছিলো? কয়দিন ক্লাস বিরতি দিয়েছিলো? প্রশাসনের কাছে কয় দফা দাবি নিয়ে গিয়েছিলো?

এই প্রশ্ন করার পর দেখছি অনেকেই খুব গোস্বা হচ্ছেন। এই একটা মাত্র সরল প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে শিক্ষক সমিতির এতো বিপ্লবী ভাব নেয়া মানায় না তো।

আরেকটা সরল প্রশ্ন করি। মাননীয় শিক্ষকবৃন্দ বুয়েটে ভিসি-প্রোভিসির নির্লজ্জ দলীয় লেজুড়বৃত্তির প্রতিবাদে কয়দিন কনসালট্যান্সি আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের খ্যাপ স্থগিত রেখেছেন?

এই দুইটা সরল প্রশ্নের উত্তর চাওয়া কি বেশি বেশি হয়ে যায়?

অমানুষ এর ছবি

আমার জানামতে জবাব হলো - একদিন ও নয়, কিছু ক্ষেত্রে, যেখানে কাজের জন্য প্রশাসনের সহায়তা লাগে সেগুলো বন্ধ আছে, যেমন প্রকিউরমেন্ট

এবার হিমু ভাইকে জিজ্ঞেস করছি - শিক্ষকদের বর্তমান আন্দোলন প্রশাসনে দলীয়করণ ও যেসব অনুচিত, নিয়মনীতি বিরুদ্ধ কাজ হচ্ছে সেগুলোর প্রতিকার চেয়ে, ক্লাস বর্জন করা হয়েছে প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টির উপায় হিসেবে- সেক্ষেত্রে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করলে তা উক্ত আন্দোলনে কিভাবে ভুমিকা পালন করবে - সে বিষয়ে আপনার মতামত কি?

হিমু এর ছবি

বুয়েটের ক্লাস বর্জন করে প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয় কীভাবে? এখানে একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজমান, এবং সেটার প্রতিকার না হলে এই পরিস্থিতি চলমান থাকবে, সেটা জানিয়ে, তাই না? এই মেসেজটা তো সর্বত্র যাওয়া উচিত। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ও তো শিক্ষা মন্ত্রকের অধীনে। অচলাবস্থার শিকার একা বুয়েট হবে কেন?

বুয়েটের শিক্ষকরা নিজেদের ক্যারিয়ারের সাথে বিনা কম্প্রোমাইজে কয়েক হাজার ছাত্রের সময় যদি নষ্ট করতে পারেন, তাহলে তাদের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এরচেয়ে গুরুতর ঘটনা ঘটার পরও তারা নির্বিকারচিত্তে ক্লাস নিয়ে গেছেন, সে কারণে জানতে চাই, তখন তারা কী করেছিলেন। তখন যদি ক্লাস বর্জন না করে থাকেন, এখনও যদি তারা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করে না থাকেন, তাহলে আমার মনে হয়, বুয়েটেও তারা ক্লাস বর্জন না করেই প্রতিবাদের রাস্তা খুঁজে বের করতে পারবেন। আর যদি ক্লাস বর্জন করেই প্রতিবাদ হয়, তাহলে সেই প্রতিবাদের আগুন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যাওয়া উচিত, যাতে কেবল বুয়েটের ছাত্ররাই ভুক্তভোগী না হয়।

কল্যাণ এর ছবি

চলুক

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনি তো আসল জায়গায় হাত দিয়েছেন। তবে এই চরিত্র প্রায় সর্বত্র দৃশ্যমান। এর পরিবর্তন দরকার। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে নীতিহীনতাই নীতি হয়ে দাঁড়াবে এবং এক সময় সবই সয়ে যাবে।

বুয়েটের ঘটনাক্রম ফলো করিনি, তবে ধারণা করছি পুঞ্জীভূত সমস্যা/ক্ষোভের ফল আজকের এই আন্দোলন। এটাকে রেজিস্ট্রার হটানোর আন্দোলন বললে হয়তো হালকা হয়ে যাবে। আমি আগেও মন্তব্যে বলেছি আবারো বলছি-- শুধু রেজিস্ট্রার-সম্পর্কিত আন্দোলন হলে পাবলিকের চোখে এটা স্বার্থপরতা হিসেবে দেখা দেবে।

অমানুষ এর ছবি

শিক্ষা মন্ত্রকের সাথে তো এখনো বিরোধ শুরু হয় নাই, হলে না হয় আপনার সাজেসন ভেবে দেখা যাবে

হিমু এর ছবি

শিক্ষা মন্ত্রকের সাথেই তো "বিরোধ"। কারণ শিক্ষা মন্ত্রকের সুপারিশ যাবে চ্যান্সেলরের কাছে, যিনি ভিসি-প্রোভিসি-রেজিস্ট্রার প্রভৃতি পদে আসীন ব্যক্তিকে সরানোর ক্ষমতা রাখেন।

বুয়েটের শিক্ষকরা বুয়েটে ক্লাস বন্ধ রাখতে পারছেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন ক্লাস নেবেন? বুয়েট বন্ধ হলে শিক্ষকদের কিছু যায় আসে না, নিয়মিত বেতনভাতা পাবেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আর কনসালট্যান্সির খ্যাপ মারতে পারবেন রিল্যাক্স করে। যদি আন্দোলনই করতে হয়, সেটাকে tout azimut করা হোক, পূর্ণ সমর্থন জানাই।

ব্যঙ্গচিত্র   এর ছবি

চলুক

ব্যঙ্গচিত্র   এর ছবি

আরেকটা সরল প্রশ্ন করি। মাননীয় শিক্ষকবৃন্দ বুয়েটে ভিসি-প্রোভিসির নির্লজ্জ দলীয় লেজুড়বৃত্তির প্রতিবাদে কয়দিন কনসালট্যান্সি আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের খ্যাপ স্থগিত রেখেছেন?[

চলুক

২০০২ সালের ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সন্ত্রাসী মোকাম্মেল হায়াত খান মুকির গুলিতে সাবেকুন নাহার সনি নিহত হওয়ার পর শিক্ষক সমিতি কী করেছিলো? কয়দিন ক্লাস বিরতি দিয়েছিলো? প্রশাসনের কাছে কয় দফা দাবি নিয়ে গিয়েছিলো?

কোন ধারণায় নেই, জন্মাই নাই তখনো।

এই দুইটা সরল প্রশ্নের উত্তর চাওয়া কি বেশি বেশি হয়ে যায়?

অব্যশই না। আমি এই প্রশ্ন করাতে বেশি চাওয়ার কথা বোঝাত চাই নি।

প্রাক্তন  এর ছবি

ছাত্ররা যে দাবী তুলছে তার সাথে একমত। বুয়েটে এই ধরনের অবস্থা যতই বাস্তবতা হোক মানা কষ্ট। তবে এই আন্দোলনে ছাত্ররা শিক্ষকদের দ্বারা used হচ্ছে নাকি তা ভাবা দরকার। শিক্ষকরা(দুই একজন ছাড়া) কখনই ছাত্রদের পক্ষে আছে তা দেখি নাই, দাবী যতই যৌক্তিক হোক। এই আন্দোলনের এক শিক্ষক নিয়ে আমি বলতে পারবো। নাম শাকিল আক্তার।
নিজের ডিপার্টমেন্ট-এ যে প্রজেক্ট চালায় তাতেই উনি employee দের সাথে স্বচ্ছ না। নিজের ইচ্ছামত কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এক employee কে ছাটাই করেছি। প্রজেক্টের টাকায় কম্পিউটার কেনার কথা থাকলেও, এই নিয়ে বাজেট নিলেও, কিছু কম্পিউটার কিনেন আর বাকী গুলা ডিপার্টমেন্ট এর ল্যাব থেকে ম্যানেজ করেন। নিয়োগ এর সময় সবাই কে এক কথা, মেয়েদের নেয়া যাবে না। আবার না নেয়ার কারণটা মেয়েদের কল দিয়ে বলেন ,”আমি যেখানে সেখানে টয়লেট করতে পারবো, তুমি পারবা না।” প্রজেক্টে ডাটা এন্ট্রি কাজের জন্যে বিশাল বাজেট ছিল, কিন্তু এইসব কাজ যাদের করার কথা না তাদের বিনা পারিশ্রমিকে করিয়ে নেন।
উনার কারণে ডিপার্টমেন্ট এর কেউ মাস্টার্স করতে পারে না। ছেড়ে দেয়। পুরা একনায়ক। সারা টার্ম জুড়ে পড়ার পর পরীক্ষার হলে ১০ মিনিট পরে ঢুকার কারণে আর পরীক্ষা দিতে দেয় না।
উনার নিজের একটা উক্তি এমন। “আমার হাতে ক্ষমতা থাকলে সব হল বন্ধ করে দিতাম ।“ হলে থাকার কারনে ছাত্ররা মানুষ হচ্ছে না।
উনার নামে ডিপার্টমেন্টের ২ টা ব্যাচ হেড এর কাছে কমপ্লেইন করছে। চিন্তা করে কেমন মহান স্যার। তারমধ্যে কমপ্লেইন করা একটা ব্যার থেকে টিচার নেয়া হয় নাই। সাধারণত ব্যাচ থেকে ২ টা টিচার হয়। মাঝে মধ্যে আরো বেশি। ঐ নির্দিষ্ট ব্যাচ থেকে যখন টিচার নেয়ার সুজোগ আবার আসছিল তখন আবারো এর আগের বা পরের ব্যাচ থেকে নেয়া হয়েছিল।
এই স্যার জখন বুয়েট বাচাতে এগিয়ে আসে তবে সন্দেহ জাগে। ছাত্রদের বলছি, বুয়েট বাচাতে হলে তোমাদের নিজের একান্ত আন্দোলন লাগবে। প্লিজ শিক্ষকদে দ্বারা used হয়ো না। তাহলে ৩ বলর পর নতু ছারদের আবার অন্য শিক্ষকদের নেত্রিতে আন্দোলনে নামতে হবে।

সাবওয়ে এর ছবি

হিমু ভাই, ২০০২ সালের শিক্ষক সমিতি এবং ২০১২ সালের শিক্ষক সমিতি এক বিষয় না.....আপনি স্ট্যাটিক যুক্তি, উদাহরণ চাচ্ছেন....কিন্তু অবস্থার উন্নয়নে অতীতমুখী স্ট্যাটিক মুডে না থেকে ডায়নামিক হওয়াটাই গুরুত্বপূর্ণ নয় কি?.....এখন একটা গ্রুপ যদি ৪০% ভাল কাজ করতে চায় তাহলে আমরা কখনই প্রশ্ন করতে পারবনা যে, আপনারা ১০০% ভাল কেন করতে চান না অথবা ১০ বছর আগে তো আপনারা কোনো XX ই ছিড়েন নাই?....৪০% ভাল আগে হতে দেই, এরপর যদি আরো ভাল করা যায়, সেটা বোনাস
বলাই দা, বুয়েট-প্রাইভেট বিতর্ক এই পোস্টে শুরু করার প্রয়োজন ছিল না....আমার ৪ বছর ৯ মাসের বুয়েট লাইফে আমি দেখেছি, ছাত্রদের উদাসীনতা এবং আরামে-আয়েশে রিলাক্স মুডে থেকে পাশ করা-এই ভাবনা থেকেই শিক্ষাজীবন দীর্ঘায়িত হচ্ছে (পরীক্ষার প্রস্তুতিকালীন ছুটি বাড়িয়ে নিয়ে ছাত্ররা ব্লগ লেখা, বান্দরবন-সেন্ট মার্টিন-সুন্দরবন-রাঙামাটি-সিলেট-বিরিশিরি, ক্ষেত্রবিশেষে ভারত-নেপাল-ভূটান ভ্রমন করে, পরীক্ষা পেছানো নিশ্চিত হবার পর ডাউনলোড করে রাখা মুভি হালাল করতে নেমে যায়)....অধিকাংশ ছাত্র এই ধারনাটা মনে পোষন করে, পাশ করার পরেই বিদেশ (আপনারাও বিদেশে গেছেন, সবাই একই পথের অনুসারী), শুধু বুয়েট না, আইইউটি, ঢাবির গবেষণাভিত্তিক বিজ্ঞান এবং ফলিত বিজ্ঞান এর ছাত্র সবাই একই ধারণা রাখে....আইইউটি সরকারী প্রতিষ্ঠান না, তাই এটা বাদ দিয়ে অন্য সবাই মনে করে দেশে যদ্দিন আছি আরামে-আয়েশে থাকি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দোষ নাই তেমন
আর বুয়েট শিক্ষকদের ছাত্রদের বাঁশ দেয়ার প্রবণতা প্রবল----২০০৬ তে বিশ্বকাপ উপলক্ষে মারামারির প্রতিশোধ নিতে ০৬ ব্যাচের ক্লাস শুরু হতে ৬/৭ মাস দেরী করা হয়েছে, শুনেছিলাম শুরুতেই ০৬ কে বাঁশ দেয়ার কারন, তারা যাতে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন করতে গেলে একবার ভাবে, আমরা অলরেডি ৬ মাস পেছনে-অদ্ভুত ব্যাপার

হিমু এর ছবি

অতীতকে খুব অপছন্দ করেন দেখছি হাসি । আপনি ভবিষ্যৎমুখী হয়ে যা করতে চান করেন গিয়ে, কেউ আটকাচ্ছে না। ২০০২ সালের শিক্ষক সমিতির সাথে ২০১২ সালের শিক্ষক সমিতির ৫টা পার্থক্য বলে যান।

সাবওয়ে এর ছবি

১. অতীতে আপনারা ক্যাম্পাসে ছিলেন (আপনাদের সময়ের অন্যায়গুলোর দায়ভার আপনার বা আপনার বন্ধুদের উপরও বর্তায়--তখন আপনার কর্মকান্ড ব্লগে থাকার সুযোগ ছিলনা, ফিল্ডে কতদিন ছিলেন অন্যদের সাথে সে প্রশ্ন করবনা), আমি আড়াই বছর আগ পর্যন্ত ছিলাম (আমার সময়ে সংঘটিত অন্যায়ের দায়ভার আমার এবং আমাদের বন্ধুদের); আপনাদের বা আমাদের সময়ে যে ভুল ছাত্র-শিক্ষকরা করেছে সেটার দায় আগামী প্রজন্ম কেন নিবে? আপনি সবকিছুতে স্পেসিফিক উত্তর চান, আমার উত্তরও স্পেসিফিক ভাইয়া.....সভাপতি থেকে কার্যকরী সদস্য সব পদেই নতুন মুখ আছে (এটাও তো একরকম পার্থক্য)
২. শিক্ষক সমিতি যেটা শুরু করেছে সেটা ঠিক আছে, পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে, কিন্তু এছাড়া আর উপায়ও নাই, আপনার যদি এর চেয়ে সুস্থ কোন উপায় জানা থাকে একজন এলামনাই হিসেবে আপনিও শেয়ার করতে পারেন, সহস্র ছাত্রের উপকার হত তাহলে

হিমু এর ছবি

শিক্ষক সমিতি একটা আলাদা এনটিটি। এতে মুখ পাল্টালেই দায় পাল্টায় না।

শিক্ষক সমিতি যেটা শুরু করেছে, সেটা ঠিক থাকলে, ২০০২ সালের ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ছাত্রী নিহত হওয়ার পর নিজেদের ভূমিকা সম্পর্কে তারা একটা এক্সপ্ল্যানেটরি নোট কি দিতে পারেন? যদি মুখ পাল্টে গিয়ে থাকে, নতুন মুখের মালিকেরা ঐ সময় শিক্ষক সমিতির ভূমিকাকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন, জানতে কৌতূহল হচ্ছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

বুয়েট-প্রাইভেট বিতর্ক এই পোস্টে শুরু করার প্রয়োজন ছিল না.

বুয়েট-প্রাইভেট বিতর্ক এই পোস্টে আমি শুরু করি নাই। প্রাইভেটের কারণে বুয়েটের ধরে নেয়া মনোপলি যে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হচ্ছে, এটা বুঝাতে চেয়েছি। এখন কেউ এসে আলোচনা নষ্ট করতে চাইলে আমার কথাকে 'বুয়েট-প্রাইভেট বিতর্ক' ট্যাগ দিতে পারে। তবে অনেকেই আমার কথা বুঝেছে, আমার সময়টা একেবারে বিফলে যায় নাই।

আমার ৪ বছর ৯ মাসের বুয়েট লাইফে আমি দেখেছি, ছাত্রদের উদাসীনতা এবং আরামে-আয়েশে রিলাক্স মুডে থেকে পাশ করা-এই ভাবনা থেকেই শিক্ষাজীবন দীর্ঘায়িত হচ্ছে (পরীক্ষার প্রস্তুতিকালীন ছুটি বাড়িয়ে নিয়ে ছাত্ররা ব্লগ লেখা, বান্দরবন-সেন্ট মার্টিন-সুন্দরবন-রাঙামাটি-সিলেট-বিরিশিরি, ক্ষেত্রবিশেষে ভারত-নেপাল-ভূটান ভ্রমন করে, পরীক্ষা পেছানো নিশ্চিত হবার পর ডাউনলোড করে রাখা মুভি হালাল করতে নেমে যায়).

ছাত্রদের এই মানসিকতা তৈরি হয় কিভাবে? বুয়েটে ইন জেনারেল পড়াশোনায় আগ্রহী পোলাপানই ভর্তি হয়। তাদের সেই আগ্রহটা নষ্ট করে কে? নিজেকে দিয়ে বিচার করি। আমি যদি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে থাকি আর আমার যদি ইচ্ছা থাকে ছাত্রদেরকে পরীক্ষা পেছাতে বাধ্য করবো, তাহলে খুব সহজেই আমি কাজটা করতে পারবো। তেমন কিছুই না, শুধু সেমিস্টারের প্ল্যানটা একটু চিন্তা করে করতে হবে। যেমন, সেমিস্টার শুরুর আগে ২ মাসের একটা ছুটি দিয়ে দেবো। আর পিএল ফেলবো ঈদের ছুটির পরের ২ সপ্তাহ। ছাত্রের বাপেরও সাধ্য নাই যথাসময়ে পরীক্ষা দেয়। হাসি

বুয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আমার চেয়ে অনেক স্মার্ট।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাবওয়ে এর ছবি

প্রশাসনিক ব্যাপারে অতীতে ফিরে তাকানো নীতিতে ব্যক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাসী না....আমার সময়ে একবার মেজর পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন হয়েছে এবং সেটা ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে; বাংলাদেশে যদি আপনি বাইরের দেশের মত একদম চূড়ান্ত একাডেমিক ক্যালেন্ডার দিতে পারতেন সুবিধে হত, কিন্তু আমাদের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ধর্মীয় উন্মাদনা সেটা হতে দিবেনা, কোনো ক্রমেই দিবেনা (৫/৬ টা ধর্মের নানাবিধ আচার-অনুষ্ঠানের জন্য বছরে কমে সে কম দুই মাস ছুটি থাকে, এটাকে সামাল কিভাবে দিবেন----তারপর হরতাল, দুর্যোগ তো আছেই)----পুরো সিস্টেমটা এখানে একটা শেকলে বাঁধা, সহজেই সেটা ছাড়াতে পারবেননা, সময় নিয়ে এক এক করে বদলাতে হবে....আর আমি বা আপনি বা আমরা দেশের বাইরে থেকে বুলি কপচালেই সিস্টেম বদলাবে না, সেটার জন্য ফিল্ডে নামতে হবে, ভাল কিছু পেতে হলে একটা প্রজন্মকে বিসর্জনের খাতা খুলতেই হবে (এবং সেটাই আমরা করতে ভয় পাই)

হিমু এর ছবি

বিপ্লবী এসে বলছে, "কিসুতেই কিসু হবে না"।

সাবওয়ে এর ছবি

আপনি সিস্টেমের ভুল ধরে বদলানোর পরামর্শ সমেত ব্লগিং করেন; আবার কেউ বদলানোর জন্য একটিভিটি শুরু করলে বলেন, তাদের পূর্বসূরীরা কি করছে? এটা স্ববিরোধিতা

হিমু এর ছবি

না তো। আমি তো একবারও বলছি না, আমাদের মাননীয় শিক্ষকদের "আন্দোলন" থামিয়ে দেয়া উচিত। আমি শুধু জানতে চাইছি, বর্তমান পরিস্থিতির চেয়েও বহুগুণে গুরুতর একটি পরিস্থিতিতে তারা কী করেছিলেন। এই প্রশ্নটা করলে কি তাদের আন্দোলন ব্যাহত হয়?

আর সিস্টেমের তো তিনটা অংশ। বুয়েটের প্রশাসন, বুয়েটের শিক্ষক, বুয়েটের ছাত্র। বুয়েটের ছাত্র এই তিন অংশের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্ববাহী। আপনি কি একটু কষ্ট করে জানাবেন, বুয়েটের ছাত্রদের কোনো নিয়মতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব আছে কি না। না থাকলে সেটার জন্যে তাদের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ আছে কি না। ফেসবুকে বা ব্লগে অ্যালামনাইরা তো কত কিছুই লেখে। বর্তমান ছাত্রদের সমস্যার কথা তুলে ধরার জন্য কোনো প্ল্যাটফর্মই তো তাদের নেই। এমনকি এরকম একটা প্ল্যাটফর্মের উপস্থিতির তাগিদও তারা বোধ করে না। একে কি সিস্টেম বদলানোর অ্যাকটিভিটি বলা যায়?

শিক্ষক সমিতি সিস্টেম বদলানোর অ্যাকটিভিটি করছেন, ভালো কথা। তারা তিনটি কাজ করেন। বুয়েটে শিক্ষাদান ও গবেষণা, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান, পরামর্শকের কাজ। প্রথমটি তারা বন্ধ রেখেছেন, ভিসি-প্রোভিসির নির্লজ্জ দলীয় ল্যাংবোটবৃত্তির প্রতিবাদে। বাকি দুটি কিন্তু চালিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ, বুয়েটের বাইরের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের দায়িত্ব তারা পালন করে যাচ্ছেন। এ কেমন আন্দোলন? তারা যদি আন্দোলনই করবেন, সবকিছুই বন্ধ করে রাখুন, চারদিকে চাপ তৈরি করুন। তারা সেটা করছেন না। আমার মনে হয়, সেটা করা উচিত।

বুয়েটের সিস্টেম পাল্টাতে চাইলে ছাত্র আর শিক্ষকদের কমফোর্ট জোনের বাইরে এসে কাজ করতে হবে। ছাত্রেরা বুয়েটে বানের পানিতে ভেসে আসেনি, তাদের নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরার অধিকার আছে, এবং সেটা তাদের নিজেদেরই সুরক্ষিত করতে হবে। তাদের প্রত্যক্ষ প্রতিনিধিত্বমূলক অংশগ্রহণ ছাড়া সিস্টেম অন্য লোকে এসে পাল্টে দিয়ে যাবে, এটা কি সম্ভব?

অ্যাড হক সমাধান মূল সমস্যাটাকে কিছুদিনের জন্য কার্পেটের নিচে চাপা দেয় মাত্র। বুয়েটের ছাত্র ও অ্যালামনাই সবাই এই অ্যাড হক সমাধানটিকে গ্লোরিফাই করছেন, কারণ এটা তাদের চরিত্রের সাথে যায়। আমরা সবাই কম বেশি আরাম চাই, চাই আমাদের খাটনির কাজ অন্য লোকে করে দিক, অন্য লোক আমার দাবিতে পথে নেমে মার খাক, আমি দিন শেষে ফলটা ভোগ করি। গো অন, কেউ আপনাকে বাধা দিচ্ছে না।

সাবওয়ে এর ছবি

১. ছাত্রদের অভাব-অভিযোগ বিষয়ক ইস্যুতে ছাত্ররা আন্দোলন করবে এবং প্রশাসনিক ইস্যুতে শিক্ষকরা-এটাই স্বাভাবিক; গত জানুয়ারিতে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া অন্তত ২০ জনের ফলাফল আটকে রাখা হয়েছে (এরকম আগে হয়েছে কিনা জানা নাই); বুয়েটে ছাত্রফ্রন্ট কর্মী এবং সমর্থক সবসময়ে বেশি থাকে, এটাই দেখে এসেছি...তারা সবসময় ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি আদায়ে সচেষ্ট থাকত, ছাত্রলীগের মার খেতে খেতে ছাত্রফ্রন্ট বুয়েট থেকে গত এক বছরে বিলুপ্তপ্রায়; ভিসি-প্রোভিসি এগুলো কমবেশি রাজনৈতিক পোস্ট, সরকার সেটা দেখেশুনেই নিয়োগ দেয়...কিন্তু বর্তমানের ভিসি-প্রোভিসি রাজনৈতিক নোংরামি এমন ভাবে করেছে যার জন্যই এই আন্দোলন....আরেকটা ব্যাপার হলো, ছাত্রলীগ পিটিয়ে পিটিয়ে ছাত্রফ্রন্ট বিলুপ্ত করেছে, কিন্তু ছাত্রশিবির ঠেন্গানোতে তাদের আগ্রহ তেমন একটা নাই (ছাত্রফ্রন্ট সরাঅস্রী ছাত্রলীগের অন্যায়ের বিরোধিতা করেছে, এই কনফ্লিক্ট থেকেই একশন)....পুরো প্রতিষ্ঠানটিকে রাজনৈতিক মোড়কে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে, আপাতত সেটার বিরদ্ধে প্রতিবাদ জরুরি (১০ টা সমস্যার সমাধানে একবারে হাত না দিয়ে একটা, দুটো করে সমাধান করাও কম কথা না).....দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কোনো কাঠামোতে সহস্র সমস্যার মধ্য ২/৪ টা সমাধান করতে পরও সাফল্য বটে, কমসে কম এরপরে প্রতিবাদ করার আগ্রহটা বজায় থাকবে
২. ছাত্র সংসদের নির্বাচন সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটির অলিখিত নির্দেশে বন্ধ এবং সেটা সকল বিশ্ববিদ্যালয়েই; ছাত্রদের অভাব-অভিযোগ আন্দোলনগুলো বুয়েটে ছাত্রফ্রন্টকেই সমন্বয় করতে দেখে এসেছি, ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি এবং আরো অনেক অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যেয়ে ছাত্রফ্রন্ট এখন বিপন্ন
৩. নিয়মের বাইরে নিয়োগ এবং পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে কারিগরী-একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু আর কি হতে হতে পারে?-সেটা আমার বোধগম্য নয়; প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পরই অন্য বিষয়গুলো আসবে

হিমু এর ছবি

ছাত্রদের অভাব-অভিযোগ বিষয়ক ইস্যুতে ছাত্ররা আন্দোলন করবে এবং প্রশাসনিক ইস্যুতে শিক্ষকরা-এটাই স্বাভাবিক

এটা স্বাভাবিক না, অস্বাভাবিক। বুয়েটের প্রশাসনের ভালোমন্দ আচরণ তো সরাসরি ছাত্রদের ওপর প্রভাব ফেলে, প্রশাসনিক ইস্যুতে সেটা একা শিক্ষকরা দেখবেন কেন? আপনি নিজের উদাহরণটিই দেখুন। আপনার মধ্যে এই চিন্তাটাই নেই যে বুয়েটের প্রশাসন নিয়ে ছাত্র হিসেবে আপনার বলার বা করার কিছু আছে। আপনি মনে করেন এটা শিক্ষকদের ডার্টি লিনেন, তারা এটা ধোয়ামোছা করবে। আপনার তো বুয়েটের প্রতি ঔনারশিপই গ্রো করেনি। আপনি যে আন্দোলন করবেন না, বরং আরেকজনকে ঠেলবেন, এবং সেই আরেকজন প্রশ্নের মুখে পড়লে প্রশ্নকারীকে তর্জনী উঁচিয়ে দুইটা কড়া কথা শোনাতে আসবেন, সেটা আমি বুঝতে পারলাম।

আন্দোলন করার কারণে ছাত্রের ফলাফল আটকে রাখার ঘটনায় কি ছাত্ররা সমন্বিত কোনো প্রতিবাদ করেছে? করেনি। তারা শিক্ষক সমিতির পলোর নিচে মুরগি হয়ে ঢুকে বসে আছে, স্যারেরা সমাধান ছিনিয়ে এনে দেবেন এই আশায়। স্যারেরা যদি সব সমাধান করে দিতেন, বুয়েটে তো সমস্যাই থাকতো না।

বুয়েটের তিন হাজার ছাত্র, কয়টা ছাত্রলীগ করে? আপনি খুব তো ফিল্ডে নামার কথা শোনালেন আমাকে, একটু কষ্ট করে বুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের গিয়ে বলেন না ভাই। ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ নেমে ধাওয়া দিলে যে এইসব বাপের গোয়া দিয়া বাইর হওয়া ক্যাডারের দল দৌড়ায় কূল পায় না, সেটা তো কয়েক মাস আগেই দেখা গেলো।

সাবওয়ে এর ছবি

১. ০৬ ব্যাচের ছেলেদের ফলাফল আটকে দেয়া হয়েছে কারন তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল (কারন, তাদের ব্যাচের ছাত্রই মার খেয়েছিল); হতাশার ব্যাপার, শিক্ষক আন্দোলনের ইস্যু এটা না, যদিও এই ব্যাপারে শিক্ষকদের অনেক কিছু করার ছিল; ভাইয়া আমরা অনলাইনে যতই অধিকার জন্মাই কোন কিছুর উপর, ফিল্ডে ইমপ্লেমেন্ট করতে না পারলে লাভ নাই; শিক্ষক সমিতি নিজেদের কিছু ইস্যু, প্রাতিষ্ঠানিক কিছু ইস্যুতে আন্দোলন করছে....এতে যদি বিন্দুমাত্র আউটপুটও আসে, লুফে নেয়া উচিত; শুধু ১০০ বা ০ প্রত্যাশী না হয়ে ১০/২০/৩০ আশা করাও মন্দ না
২. যে কথা বলছিলাম ফলাফল আটকে থাকা নিয়ে ০৬ ব্যাচের ছেলেরা (যারা রেজাল্ট পেয়ে গেছে) ভিসির সাথে কয়েক দফা বৈঠক করেছে, ভিসি সব বৈঠকেই তদন্ত কমিটির মুলা ঝুলিয়ে রেখেছেন (সবার বাপ-মা ই কম বেশি কসম কাটিয়ে রেখেছেন আন্দোলন বা রাজনীতিতে না জড়ানোর জন্য.....যারা আন্দোলন করেছে সক্রিয়ভাবে তারা হয় ছাত্রলীগের মার খেয়ছে অথবা অথরিটির তিরস্কার, ফলাফল আটকে থাকা....বাপ-মার কথার বাইরে এসে বারবার আন্দোলন করে নিজের কেরিয়ার কে নষ্ট করতে চাইবে...আবারও বলছি নিজের কেরিয়ার কে নষ্ট করতে চাইবে জেনে-শোনে)
৩. আমরা যারা দেশের বাইরে তারা নিজেকে সেইফ রেখেই বাণী ঝাড়তেছি..যাদের ফলাফল আটকে আছে তাদের অবস্থা, তাদের পরিবারের অবস্থা এবং তাদের বন্ধুদের প্রয়াস কিছু নিয়েই আমাদের মাথাব্যথা নাই....আমরা বীরপুরুষ চাই, কিন্তু বীরের মর্যাদা দেয়া, বীরের পরিবারকে নিরাপদ রাখতে একটুও কাজে-কামে নাই

হিমু এর ছবি

১. শিক্ষকরা ছাত্র মরে গেলেও ভ্রুক্ষেপ করে না, আর এইটা তো রেজাল্ট আটকানো। শিক্ষক সমিতির আউটপুট কোত্থেকে আসবে যদি এজেন্ডাতে এই ২০ জনের ব্যাপারটাই না থাকে? এই বিশ জনের সাথে যারা ছিলো, তারা কি কিছু করছে? কোথাও বিবৃতি দিচ্ছে? কোথাও গিয়ে দাঁড়াচ্ছে বন্ধুদের জন্যে? এই ভুক্তভোগী বিশজন কি আইনী কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে?

২. ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব থাকলে এইরকম তুঘলকি কারবার চালানো এত সহজ হতো না। এটা ছাত্ররা যতদিন না বুঝবে, ততদিন রনক হাসানদের চটকানা থেকে নিষ্কৃতি মিলবে না।

৩. যাদের রেজাল্ট আটকে আছে, তাদের সমাধানের এজেন্ডা তো শিক্ষক সমিতির নাই! তাদের নিয়ে কে চিন্তা করছে? কেউ না। আপনি শিক্ষক সমিতির আংশিক আন্দোলনে (ওনারাও নিজেদের আখের গুছিয়েই যা করার করেন, আমাদের মতোই, সো নো ওয়ান ইজ এনি হোলিয়ার) এই এজেন্ডা পুশ করতে পারবেন?

আমার আশঙ্কা, পারবেন না।

একটা নিরীহ মেয়ে নিজের ক্যাম্পাসে আচমকা গুলি খেয়ে মরে গেছে, বুয়েটের কোনো স্যার কিচ্ছু বলেন নাই, ক্লাস বর্জন তো দূরের কথা। ছাত্ররা প্রতিবাদ করার পর তাদের অনশনমঞ্চে যাওয়ার কারণে এক শিক্ষককে বুয়েট খেদিয়েই দিলো। আর সেই বুয়েট শিক্ষকরা ছাত্রদের জন্য আন্দোলন করবেন?

ঐ কুড়ি জন ছাত্রের ইস্যুটা ওনাদের দাবিনামায় ইনকরপোরেট করতে বলুন না। দেখি ওনারা কেমন বিপ্লবী।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

চলুক চলুক

যথার্থ বলেছেন।

sohel এর ছবি

"আমি তো একবারও বলছি না, আমাদের মাননীয় শিক্ষকদের "আন্দোলন" থামিয়ে দেয়া উচিত। আমি শুধু জানতে চাইছি, বর্তমান পরিস্থিতির চেয়েও বহুগুণে গুরুতর একটি পরিস্থিতিতে তারা কী করেছিলেন। এই প্রশ্নটা করলে কি তাদের আন্দোলন ব্যাহত হয়?"

আসিফ নজরুলও রাজাকারের বিচার চান। সাথে শুধু জানতে চান আরো কিছু গুরুতর প্রশ্নের উত্তর। কেন ২০০৯ এর আইনে ১৯৭১ এর বিচার….? এই ত্যানা প্যাচানির প্রতিবাদ আপনি দারুনভাবে করেন। এখানে করা আপনার প্রশ্নগুলো কি একিরকম মনে হতে পারে না? এগুলো আলাদা জায়গায় করলে ভালো হয় না?

"বুয়েটের ছাত্রদের কোনো নিয়মতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব" তো সনি মারা যাবার সময় ছিল। তারা তখন কি করেছে?

হিমু এর ছবি

শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় খুবই গোস্বা করেছেন দেখি। লজ্জা লাগে? নাকি জবাব নাই?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

পুরো সিস্টেমটা এখানে একটা শেকলে বাঁধা, সহজেই সেটা ছাড়াতে পারবেননা, সময় নিয়ে এক এক করে বদলাতে হবে..

বুয়েটের ক্ষেত্রে শেকলটা অতো শক্ত না। সঠিকভাবে প্ল্যান করা গেলে উৎসব বা বিশ্বকাপের ছুটি সেমিস্টার ব্রেকের মধ্যে ফেলা যায়। আর বিশ্বকাপের ঝামেলা অতো ফ্রিকোয়েন্ট না, ক্রিকেট-ফুটবল দুইটাই ধরলে ২ বছরে ১ বার, অর্থাৎ ৪ সেমিস্টারে বড়জোর ১ বার এই ঝামেলা পোহাতে হবে। বিশ্বকাপের সময় ক্লাস করতে ছাত্রদের সমস্যা নাই; কিন্তু ওই সময়ে পরীক্ষা দেওয়া সমস্যা। পিএল-পরীক্ষা কেন হিসেব করে বিশ্বকাপের সময়েই ফেলতে হবে?

পরীক্ষার বিকন্দ্রীকরণও আরেকটা কাজের জিনিস। বাইরের দেশে পরীক্ষার দায়ভার কোর্স টীচারের ওপর। তারা তাদের ও ছাত্রদের সুবিধামতো পরীক্ষাটা নিয়ে নেন। বুয়েটের মতো একইসাথে যুদ্ধে চলার মতো সব ব্যাচ একই সময়ে পরীক্ষা নেয় না। বুয়েটে এটা করা কি অসম্ভব?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

বুয়েট বন্ধ থাকাকালীন সময়ে শিক্ষকদের কনসালট্যান্সি আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদানের সুযোগ রহিত করা হলেই ঝামেলা কমে যাবে বলে মনে করি।

sohel এর ছবি

" বিশ্বকাপের সময় ক্লাস করতে ছাত্রদের সমস্যা নাই; কিন্তু ওই সময়ে পরীক্ষা দেওয়া সমস্যা।"

সনি মারা যাবার দিন বিশ্বকাপের সময় ক্লাস না করার দাবিতেই ক্লাস করে নি ছাত্ররা।

"সঠিকভাবে প্ল্যান করা গেলে উৎসব বা বিশ্বকাপের ছুটি সেমিস্টার ব্রেকের মধ্যে ফেলা যায়।"

কয়দিন পর ইউরো এর ছুটি ফেলা লাগবে না? একটা university চলবে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে? ভাল বললেন।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

একটা university চলবে বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে? ভাল বললেন।

এটাই বুয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অ্যাটিটিউড সমস্যা। বিশ্বকাপের কারণে যেখানে পরীক্ষা পেছাচ্ছে, সেখানে কারণটাকে আমলে আনতেই হবে, ইউনিভার্সিটিকেও অবশ্যই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে চলতে হবে। সেটাকে কোনো অজুহাতে উড়িয়ে দিয়ে তো সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

কয়দিন পর ইউরো এর ছুটি ফেলা লাগবে না?

ইউরোর অজুহাতেও কি বুয়েট বন্ধ হয়েছে নাকি? এটা কবেকার ঘটনা?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

sohel এর ছবি

হয়নি, একবার entertain করলে এভাবেই বাড়বে। অন্য university তে যেমন political টিচার ও নানা অনিয়ম বেড়েছে।

" বিশ্বকাপের সময় ক্লাস করতে ছাত্রদের সমস্যা নাই; কিন্তু ওই সময়ে পরীক্ষা দেওয়া সমস্যা।"

সনি মারা যাবার দিন বিশ্বকাপের সময় ক্লাস না করার দাবিতেই ক্লাস করে নি ছাত্ররা।-কিছু বললেন না?
"বুয়েটের ছাত্রদের কোনো নিয়মতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব" তো সনি মারা যাবার সময় ছিল। তারা তখন কি করেছে? - কিছু বলুন।

হিমু এর ছবি

আপনি শিক্ষক সমিতি কী করেছিলো, সেটা বলেন না কেন? ইউকসুর উন্মাদ ভিপি লায়নকে পাশ কাটিয়ে জিএস হাসিব তখন সরাসরি মুকির পক্ষ নিয়েছিলো। ইউকসু ছাত্রদের রিপ্রেজেন্ট করতে পারেনি, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি আন্দোলন শুরু করে তাই। আপনি একটু বলেন না, এই নজিরবিহীন হত্যকাণ্ড নিয়ে শিক্ষক সমিতি কয়টা সভায় কী বিবৃতি দিয়েছিলেন? কয়দিনের ক্লাস বর্জন করেছিলেন?

বলতে লজ্জা লাগে?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হয়নি, একবার entertain করলে এভাবেই বাড়বে।

এই ছোট্ট বাক্যটির মধ্যেই বুয়েটের এরকম পরীক্ষা পেছানো আর বন্ধ হওয়া সংস্কৃতির মূল কারণ পাওয়া যেতে পারে।

এখানে বুয়েট অ্যাডমিনের চিন্তাধারা হলো, ছাত্রদের ওপর তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া, ছাত্ররা কি চায়, সেটা কোনো ব্যাপার না। তারা মনে করে, ছাত্রদের চাওয়া পূরণ করা অর্থ তাদেরকে এন্টারটেইন করা, যেটা করলে আবার সমস্যার পরে সমস্যা বাড়বে!

কিন্তু বাস্তবে হচ্ছে কি? বুয়েট অ্যাডমিনের এই নীতির কারণে কি বুয়েট বন্ধ হওয়া রহিত হচ্ছে? না। বুয়েট পণ্ডিত মশাইয়ের পাঠশালা না। এখানে ছাত্রদেরকে জোর করে চাপের মধ্যে রেখে কোনো ফায়দা নাই। এমন না যে, বুয়েটে সব বেয়াড়া স্কুল পালানো পোলাপান। বুয়েটে ইন জেনারেল পড়াশোনায় আগ্রহী ছেলেপেলেই ভর্তি হয়। তারাই যদি পরীক্ষার ভয়ে আন্দোলনে নামে, তাইলে বুয়েট অ্যাডমিনের কর্মদক্ষতার জন্য সেটা ভালো উদাহরণ হয় না। অ্যাডমিনের এই চাপিয়ে দেয়া নীতিতে সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, সমাধান না হওয়ার পরেও তারা সেই নীতিই আঁকড়ে ধরে বসে থাকবেন, যত দোষ গিয়ে পড়বে ছাত্রদের ওপর!

বুয়েট একটা সিস্টেম, সেই সিস্টেমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ছাত্র। কারণ, ছাত্রদের শিক্ষালাভই বুয়েটের প্রধান উদ্দেশ্য। সুতরাং বুয়েট ঠিকভাবে চলতে হলে, ছাত্ররা কি চায়, সে অনুযায়ীই বুয়েট অ্যাডমিনের কর্মপন্থাকে অভিযোজিত করতে হবে। বুয়েট অ্যাডমিনের নীতি ছাত্রবান্ধব না হলে সেই নীতি মার খাবেই। এক্ষেত্রে সেটাই হচ্ছে।

বুয়েটে সেমিস্টারের প্রথম দিকে পড়ার চাপ কম থাকে। শেষের দিকে সেশনাল কুইজ-টুইজের কারণে চাপ বেশি থাকে। এরপর পিএল-এ সর্বোচ্চ মনোযোগের দরকার হয়। ছাত্ররা যেহেতু বিশ্বকাপ দেখবেই, এবং বিশ্বকাপের স্কেজিউল 'ওঠ ছুড়ি তোর বিয়ে' বলে হঠাৎ করে এসে হাজির হয় না, সেহেতু অ্যাডমিনের সদিচ্ছা থাকলে সেমিস্টারের প্ল্যান এমনভাবে করা যায়, যাতে বিশ্বকাপটা সেমিস্টার ব্রেক বা সেমিস্টারের শুরুর দিকে পড়ে। খুবই সহজ সমাধান।

একইসাথে পরীক্ষা বিকেন্দ্রীকরণজাতীয় আরো কিছু উদ্যোগ নিলে বুয়েট বন্ধের হার কমানো সম্ভব।

এ ব্যাপারে সবসময়ই ছাত্রদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চলে। ব্যাপারটা দোষ চাপানোর নয়। কে দোষী, তার চেয়ে বড়ো ব্যাপার হলো বছরের পর বছর ধরে চলে আসা এই সমস্যার সমাধান করার দায়িত্ব বুয়েট অ্যাডমিনের। যে কোনো কারণেই হোক, তারা সেটা করতে না পারলে 'ছাল নাই কুত্তার বাঘা নাম' কেস হয়ে যায়।

বুয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন যদি ছাত্রবান্ধব হতেন, তাহলে একটা সমস্যা বছরের পর বছর এভাবে চলতে পারতো না। ইদানিং আবার দেখা যাচ্ছে, ছাত্রদের তরফ থেকে বিশ্বকাপ, ঈদের ছুটির সাথে শিক্ষকরাও বুয়েট বন্ধের সুযোগ হাতছাড়া করছেন না। আগের ভিসি কতো সুন্দর ছিলো, বুয়েটে নাইট শিফট প্রাইভেট ইউনি প্রোমোট করতে যাচ্ছিলো, আর এই ভিসি একটা খাচ্চোর, আওয়ামী লীগের হায়েনা, অ্যারে মানি না! দাও বুয়েট বন্ধ করে! মন্ত্রীর সাথে কথা হইছে, মন্ত্রী জিনিসটা দেখবে। আলোচনা চলছে; কিন্তু বুয়েট চালানো যাবে না।

প্রাইভেটে খ্যাপ চলবে, কনসালটেন্সি চলবে, ফ্যান্টাসি কিংডম চলবে, চাইনিজ রেস্টুরেন্ট চলবে, শুধু চলবে না বুয়েটে ক্লাস। যদিও এক্ষেত্রে টার্গেট ভিসি; কিন্তু ছাত্রদের ক্লাস নেওয়া যাবে না মোটেই। তারা যদি আবার এন্টারটেইন পেয়ে মাথায় উঠে যায়!

অন্য university তে যেমন political টিচার ও নানা অনিয়ম বেড়েছে।

শিক্ষক নিয়োগ শিক্ষকতার যোগ্যতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। বুয়েট ইন জেনারেল শুধু সিজিপিএ দেখে। এর কারণে ছাত্রদের সাথে ঠিকমতো কমিউনিকেট করতে না পারা অনেকেও শিক্ষক হয়। (আপনার যদি মনে হয়, এরকম কোনো অযোগ্য শিক্ষক বুয়েটে নাই, তাহলে বলবেন, সুনির্দিষ্ট উদাহরণ দিবো।) এর বাইরে, আরো কিছু টেকনিক্যাল আকামও হয়। কিছু উদাহরণ পাবেন এই পোস্টের মন্তব্যে। (বিশ্বকাপের প্ল্যানিংয়ের ক্ষেত্রে ছাত্রদের ফিডব্যাক নিয়ে কাজ করার সাথে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের সম্ভাবনার তেমন কার্যকারণ সম্পর্ক দেখলাম না বলে এটা আলাদা প্যারায় সংক্ষেপে বললাম।)

সনি মারা যাবার দিন বিশ্বকাপের সময় ক্লাস না করার দাবিতেই ক্লাস করে নি ছাত্ররা।-কিছু বললেন না?

এটা বলি নাই। প্রথমত কনটেক্সট ক্লিয়ার না। সে সময় যদি সেমিস্টারের শেষ ২ সপ্তাহ হয়, স্বভাবতই ছাত্ররা অতিরিক্ত চাপের ভেতরে ছিলো। ক্লাস করা মানে শুধু ক্লাসে যাওয়া-আসা না। ক্লাসটেস্ট, কুইজের প্রস্তুতিও নেয়া। দ্বিতীয়ত, ছাত্রদের দোষ থাকলেই অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েট বন্ধ করার অধিকার বুয়েট অ্যাডমিন পান না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

হিমু এর ছবি

বুয়েটের ছেলেমেয়েরা দেশের বাইরে গিয়ে একটা টুঁ শব্দ না করে বিনা পিএলে ঠিকই পরীক্ষা দেয়। কেন? কারণ বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রাম তাকে কোনো সুযোগ দেয় না পিএলের আবদার ধরার। বুয়েট যতই হম্বিতম্বি করুক, পরীক্ষা পেছানোর নানা সুযোগ দিয়ে রাখে। সেই ফাঁদে ছাত্ররা সোৎসাহে পা দেয়, এবং কর্তৃপক্ষ ভাব করে দোষটা ছাত্রদের।

সোহেল সাহেবের এন্টারটেইন শব্দটার ব্যবহার দেখে বুঝলাম, তিনি হাড়েমজ্জায় একজন বিপ্লবী ও প্রশাসক। আমাদের একটা কোর্স নিতেন আমাদের ফ্যাকাল্টির ডিন মহোদয়, তিনি সকাল দশটা থেকে এগারোটার ক্লাস বিকেল তিনটায় নেয়ার অভিপ্রায় প্রকাশ করলেন প্রথম দিন এসেই। আমাদের সেদিন এগারোটার পর আর কোনো ক্লাস ছিলো না। স্যার বেশ গর্বভরেই জানালেন, তিনি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যাবেন ঐ সময়ে। আর কেউ কিছু বলছে না দেখে আমিই উঠে বিনীতভাবে জানালাম, আমাদের তাহলে দশটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বসে থাকতে হবে। স্যার মিষ্টি হেসে বললেন, তোমরা ইয়াংম্যান, একটু কষ্ট করো বুড়া মানুষটার জন্য। স্যার কিন্তু সেই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়াংম্যানদের কষ্ট করাননি, তাদের ঠিক সময়ে ক্লাস নিয়েছেন। আমরা দশটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বসে থেকেছি ক্যাম্পাসে। আমার রেজাল্ট তেমন সুবিধার না, কিন্তু ঐ কোর্সে ভালো পরীক্ষা দিয়েও বি পেয়েছিলাম। জানি না আমারই দুর্বলতা, নাকি অ্যাক্ট অব গড।

এই যে ছোটো ছোটো অনিয়ম, এইগুলি এন্টারটেইনড হয়ে আসছে। ছাত্রদের গ্রেডের টিকি স্যারদের হাতে বাঁধা। কিছু বলতে গেলে সিজিপিয়ে ধ্বসে যাবে। আবার এই স্যারেরাই অনিয়ম এন্টারটেইন করার বিরুদ্ধে ভীষণ সচেতন। হাসি পায় এইসব শুনে আর দেখে।

সোহেল সাহেব কি বুয়েটের শিক্ষক? অন্য কোনো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্যাপ মারেন? কনসালট্যান্সি করেন? ঐগুলি কি বুয়েটে ক্লাস বয়কট করে পাওয়া সময়ে চালিয়ে যাচ্ছেন?

sohel এর ছবি

আমি ছুটিতে বাইরে পিএইচডি করছি। এবার কিছু বিষয়:

১ বুয়েটে strike-এর সময়ে শিক্ষকদের কনসালট্যান্সি আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান করা উচিত না।- একমত।

২ সনি মারা যাবার সময় " ইউকসু ছাত্রদের রিপ্রেজেন্ট করতে পারেনি, সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি আন্দোলন শুরু করে তাই।"-তাহলে এখনও কি তাই হত না? "ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব থাকলে এইরকম তুঘলকি কারবার চালানো এত সহজ হতো না।" - এটা তাই মানতে পারছি না। তবু ইউকসু থাকা উচিত। সেটা টিচারদের না, ভিসি-র উপর-ই বেশি নির্ভর করে।

৩ সনি মারা যাবার সময় টিচারদের ভূমিকা: তখন আমি ছাত্র, আমারও প্রশ্ন ছিল এটা নিয়ে। রিজওয়ান ‌স্যার বা মহমদ আলি স্যার কি বলেন জানতে পারলে ভাল হত। কেউ কি জানাতে পারেন? এখানে আমার মত representative না। শিক্ষক সমিতি দু:খপ্রকাশ করে।কোনো document এখন আমার কাছে নাই। তবে ছাত্ররা যত খোলাখুলিভাবে anti-establishment আন্দোলনে যেতে পারে, সেটা establishment এর কাছাকাছি থাকা একটা সমিতি, যেখানে মত নির্বিশেষে প্রায় সকল শিক্ষকের একমত হতে হবে, সেটা সহজ নয়। ইউকসু তে মুমু আপা, পপি আপারা থাকলেও তারা একি কারণে কিছু করতে পারেনি।

৪ পরীক্ষা পেছানোর বিষয়ে নানা মত আছে। আলাদা আলোচনা কখনো করা যেতে পারে। কোনো সরল prescription দিয়ে বোধহয় হবে না। "বুয়েটের ছেলেমেয়েরা দেশের বাইরে গিয়ে একটা টুঁ শব্দ না করে বিনা পিএলে ঠিকই পরীক্ষা দেয়। কেন? কারণ বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোগ্রাম তাকে কোনো সুযোগ দেয় না পিএলের আবদার ধরার। বুয়েট যতই হম্বিতম্বি করুক, পরীক্ষা পেছানোর নানা সুযোগ দিয়ে রাখে।" - ২০০৭-৯ মইন-ফকরু শাসনামলে পরীক্ষা পেছায়নি -কেন? আবার army শাসনের জন্য আমার গোপন অভিলাষ বলেন না।

৫ আপনাদের কাছে এত prescription, দেশে একটা public uni তে কিছুদিন কাজ করে দেখান। আমরা অনেক কিছু‌ প্র‌্যাকটিকালি শিখতে পারব। আসলে এভাবে personally বলতে চাই না। সচলে যে প্র‌্যাকটিস, বাইরের কেউ মতের বিরধিতা করলে personally এট্যাক করা ( যেমন জবাব ১১৫, "সোহেল সাহেব কি বুয়েটের শিক্ষক? অন্য কোনো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্যাপ মারেন? কনসালট্যান্সি করেন?"), সেটার সাথে অছ্যুৎ বলাই এর চামার টিচারদের 'এই ছেলে, তোমার স্টুডেন্ট নাম্বার কতো?' - এই প্রশ্নটার/মনোভাবের মিল পান কি?

৬ শিক্ষকদের একটা unethical practice প্র‌্তিরোধে আপনাদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ করি এখানে বুয়েটের অনেকে আছেন বলে। অনেকে ৪ বছর ছুটি নিয়ে অনেক সময় ফিরবে না জেনেও সেটাকে ৬ বছর করে মানবিক কারণ যেমন বউ pregnant এসব বলে, তারপর আসে না। চাকরি শুরু করে এর মধ্যে।এতে টিচারদের workload এর উপর চাপ পড়ে আর পড়ানর ক্ষতি হয়। যারা এরকম করেছে তাদের একটা তালিকা করা যায়। পরে অন্যরা এটা দেখে discouraged হতে পারে। সচল জাহিদ এটা শুরু করতে পারেন, University of Alberta তে কয়েকজন এটা করেছে recently। শুরু হলে আমিও কিছু যোগ করব।

হিমু এর ছবি

৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র গুলিতে নিহত হওয়ার মতো ঘটনায় অ্যান্টি এসটাবলিশমেন্ট অবস্থানে যাওয়া সহজ নয়, কিন্তু চাকরির বয়সসীমা ৬৫ করার জন্যে অ্যান্টি এসটাবলিশমেন্ট অবস্থানে যেতে কোনো সমস্যাই হয় না শিক্ষক সমিতির। আপনার জোকটা ভালো লেগেছে। হাসলাম।

৪. হাঁটুসরকারের আমলে পরীক্ষা পেছায়নি হয়তো হয়রানির ভয়ে। কর্তৃপক্ষকে তো কারো কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। তারা যখন দেখেছে, তাদের-মতোই-জবাবদিহির-ঊর্ধ্বে একটা মস্তান শক্তি চাইলেই তাদের ডেকে নিয়ে হম্বিতম্বি করে একাকার করে ফেলতে পারে, তারা সিরাতুল মুস্তাকিমে চলেছে। উল্লেখ্য, ২০০৭-০৯ এ বিশ্বকাপ ফুটবলও ছিলো না। থাকলে একটা ইন্টারেস্টিং সিনারিও দেখা যেতো।

৫. সমস্যার সমাধানে ভুক্তভোগীকে যতো আগ্রহী দেখা যায়, সমস্যার বেনিফিশিয়ারিকে তেমন আগ্রহী দেখা যায় না। এ কারণেই হয়তো ভুক্তভোগীরা অনেক কিছু প্রেসক্রাইব করার চেষ্টা করে। পাবলিক ইউনির শিক্ষক হিসেবে সেই প্রেসক্রিপশনগুলি আমলে নিয়ে দেখতে পারেন। অথবা বেনিফিশিয়ারিদের ব্যান্ডওয়াগনে যোগ দিতে পারেন, আপনার ইচ্ছা। তবে আপনার টোন শুনে বুঝলাম, আপনি শুধু কাগুজে ডিগ্রি নিয়েই ফিরবেন, বিদেশে যে কর্মসংস্কৃতির মাঝে আপনি এতগুলো বছর কাটাবেন, সেটাকে বিমানে চড়ার আগে পাপোষে পা মোছার মতো করে বিদেশেই মুছে রেখে যাবেন। প্রেসক্রিপশন ভালো কি মন্দ সেটা নিয়ে কথা না বলে প্রেসক্রিপশন দেওয়াকে বিদ্রুপ করা সহজ কাজ। বুয়েট ভর্তি বিদেশ থেকে পিএইচডি করা শিক্ষক, কিন্তু বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসংস্কৃতির লেশমাত্র সেখানে নাই। কিছু পরিবর্তনের কথা বললে প্রেসক্রিপশন দিছস তুই ইমপ্লিমেন্টও করবি তুই বলে হাসাহাসি করেই খাল্লাস।

পারসোনাল অ্যাটাক করা সচলের প্র্যাকটিস না। আপনাকে প্রশ্ন করলে আপনি পিছলে গিয়ে ইউকসু কী করেছিলো সেই ফিরিস্তি চাইছিলেন দেখে বাধ্য হয়ে জিজ্ঞাসা করতে হলো, আপনিও কি একই রসুনের কোয়া কি না। আপনার কাছ থেকে উত্তরটা এলে অতদূর যেতে হতো না। আপনিও কিন্তু পারসোনাল "অ্যাটাকের" মুখে পড়েই প্রশ্নের উত্তর দিলেন। না হলে এড়িয়ে গিয়ে অন্যান্য ত্যানা প্যাঁচাতেন।

৬. আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। ধন্যবাদ।

sohel এর ছবি

আপনার মন্তব্যের আগেই একটা supplementary মন্তব্য করেছি। এখনো আসেনি। "তবে আপনার টোন শুনে বুঝলাম, আপনি শুধু কাগুজে ডিগ্রি নিয়েই ফিরবেন, বিদেশে যে কর্মসংস্কৃতির মাঝে আপনি এতগুলো বছর কাটাবেন, সেটাকে বিমানে চড়ার আগে পাপোষে পা মোছার মতো করে বিদেশেই মুছে রেখে যাবেন।" - এগুলো বাদ দিয়ে কি আলোচনা করা যায় না?
"৬. আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি" - আপনারা proactive না হলে অপেক্ষা সফল হবে না।

৭৩ মন্তব্য টা বেশ খেটে করেছিলাম। আপনার আর অছ্যুৎ বলাই এর মন্তব্য আশা করছি।
এখানে হয়ত আর নতুন বলার কিছু থাকবেনা। No personal offence, please. পরে কোথাও দেখা হবে হয়ত। margarita খেতে খেতে আপনার গান শুনব। EEE-day তে দলছুট এর গান আপনার গলায় ভাল লেগেছিলো। মনে হয় ২০০৩ তে।

হিমু এর ছবি

আপনার ইচ্ছা। এই মন্তব্য করার আগে একবার আসিফ নজরুল বলে গালি দিয়েছেন। কীভাবে আলোচনা করতে চান, সেটা আপনিই ঠিক করে নিয়েছেন। আর আমার ধারণাটা ভুল হলে আমিই খুশি হবো। তারপরও আপনি মনক্ষুণ্ণ হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইছি।

কোনো ইইই-ডেতে কখনও দলছুটের কোনো গান করিনি। ঐটা অন্য কেউ ছিলো।

sohel এর ছবি

একটা কারেকশন: উপরের ৫ এ, " সচলে যে প্র‌্যাকটিস" তা আসলে "সচলে একটা দল এর প্র‌্যাকটিস" হবে। অনিকেত একটা লেখায় এর সমালোচনা করেছিলেন, ইশতিয়াক তা সমর্থন করেছিলেন। আমরা যারা বাইরে থেকে মতামত দিতে চাই, আরেকটু ভাল রিঅ্যাকশন আশা করতে পারি, তাই না?
৩ এ একটু যোগ করি: ওই সময় আন্দোলনে নিজ class এর পক্ষে সমর্থন জানানো আহসান (ই ই ই), অনিন্দ্য (সি এস ই), গান গেয়ে সমর্থন করা দীপন (আরকি) পরে শিক্ষক হয়। কিন্তু পরের কোনো ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষক সমিতির পক্ষে ওদের ভূমিকা লক্ষনীয় নয়। শিক্ষক সমিতির কাজ বা ন্যাচার এরকম না।
"আবার এই স্যারেরাই অনিয়ম এন্টারটেইন করার বিরুদ্ধে ভীষণ সচেতন। হাসি পায় এইসব শুনে আর দেখে।" এরকম উদাহরণ আছে, আবার ৭২ মন্তব্যের মতও আছে। এই personal ঘটনাগুলো এনে বর্তমান আন্দোলনকে সমালোচনা করার আসিফ নজরুলীয় প্র‌্যয়াস বাদ দেয়ার অনুরোধ করি।

হিমু এর ছবি

আসিফ নজরুল ডেকে গালি দিবেন, আবার ভালো রিয়্যাকশনও আশা করবেন? এই নিয়ে দুইবার আসিফ নজরুল বলে গালি দিলেন। আবার যদি দেন, আপনাকে খুব আনসিভিলাইজড ওয়েতে একটা জবাব দেবো। বল আপনার কোর্টে দিলাম।

সচলে আপনার মতো লোকজন এসে মাঝেমধ‌্যেই বিনা প্রতিরোধে টিপ্পনী কাটতে চায়। তাদের প্রত্যাশা থাকে, তারা খুব বকাঝকা দিয়ে অক্ষত পাছা নিয়ে কেটে পড়বে। উল্টা চিবি দিলে কানতে থাকে, আমারে মারছে বলে কমপ্লেইন করে। এই উইম্পি স্বভাব যাদের আছে, তাদের জন্য অনিকেতের সেই মতলববাজিতে ভরপুর বালছাল পোস্টটা আবার সাজেস্ট করি, আপনারা পড়ে দেখুন কিছু শিখতে পারেন কিনা।

বর্তমান আন্দোলনকে একটা বিচ্ছিন্ন নূরের তৈরি ফেরেস্তাদের আন্দোলন হিসেবে দেখার প্রয়াসকে কি বাদ দিতে পারবেন? যদি মনে করেন ২০০২ সালের ৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহত হওয়ার পর শিক্ষক সমিতির লজ্জাস্কর নীরবতা নিয়ে কথা বললে এই আন্দোলন মাটিতে পড়ে ভেঙে খানখান হয়ে যাবে, তাহলে কি শিক্ষক সমিতির উচিত না, ঐ ভূমিকার পুনর্মূল্যায়ন করা?

sohel এর ছবি

ঠিক আছে, আসিফ নজরুল বিষয় withdraw ও দু:খপ্রকাশ করছি। আসলে আপনাদের লজিকগুলোর আরেকটা দিক দেখাতে চাইছিলাম। আপনি আসিফ নজরুল বিষয়ে এতটা sensitive বুঝতে পারিনি। তবে বুঝা উচিত ছিল।
"এরপরও এই মুহুর্তে আন্দোলন করাটা প্রয়োজনীয়; তা নাহলে দলীয় লেজুরভিত্তির প্রভাব ভালোভাবেই পড়বে"-এটাই বলতে চাই।
আবার বলি No personal offence, please.
গানটা মনে হয় "আমার সারা দেহ খেওগো মাটি", দলছুটের না।
"৬. আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি" - আপনারা proactive না হলে অপেক্ষা সফল হবে না।- আবার মনে করিয়ে দেই।

হিমু এর ছবি

আন্দোলনকে তো একবারও অপ্রয়োজনীয় বলিনি। আপনি যদি ধরে নেন, আমি আন্দোলন পণ্ড করার জন্য তর্ক করছি আমার সাথে, তাহলে ভুল করবেন।

আপনি যেটাকে আন্দোলন বলছেন, আমি সেটাকে মন খুলে আন্দোলন বলতে পারছি না, কারণ আন্দোলন শুরু হয় কমফোর্ট জোনের বাইরে গিয়ে। আমাদের শিক্ষক সমিতির মাননীয় সদস্যরা সেই কমফোর্ট জোনের বাইরে যাননি। তারা বুয়েটে ক্লাস নিচ্ছেন না, অন্যত্র নিজেদের কমিটমেন্ট নিষ্ঠার সাথে বজায় রাখছেন। আন্দোলনের স্বার্থেই তাঁদের উচিত সে পথ থেকে সরে আসা, বুয়েটক্লাস-প্রাইভেটইউনিরক্লাস-কনসালট্যান্সি সবকিছুতে স্ট্রাইক ঘোষণা করা। আপনিও আমার সাথে এ ব্যাপারে সহমত। উই আর অন দ্য সেইম পেইজ, তাহলে সমস্যা কোথায়?

আর এই আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ নেই কেন? ছাত্রলীগের পিটুনির ভয়ে। তারা কেন প্রতিরোধ করতে পারে না? কারণ তারা দেখেছে প্রতিরোধ করতে গেলে প্রশাসন এসে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দেখিয়ে বাঁশ দেয়। তার বিরুদ্ধে কি শিক্ষক সমিতি কিছু বলেন? আপনি ওপরে দেয়া লিঙ্ক থেকে দেখুন, কুড়িজন ছাত্রের ফল আটকে থাকার ব্যাপারে শিক্ষক সমিতির কোনো বক্তব্য নেই। তাদের কাছে ছাত্রদের সমস্যা মানে ছাত্রদের সমস্যা। আমি এ কারণেই সনির হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে বলছি, ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে ছাত্ররা নিজেরাও কোনো কণ্ঠস্বর তৈরি করতে এখানে ব্যর্থ, একই সাথে তাদের নিয়ে শিক্ষক সমিতির এই সীমাহীন অ্যাপ্যাথি একটা সুস্থ পরিবেশে থাকতে পারে না। তারা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় নিশ্চুপ, ছাত্রদের হয়রানির ঘটনায় নিশ্চুপ, অথচ আপনি একজন শিক্ষক হয়ে সেই ছাত্রদের বলছেন, এই আন্দোলন জরুরি এবং ছাত্রদের সমর্থন দরকার। যাদের সমর্থন চান, তাদের সমস্যাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে শিখুন। বুয়েটের শিক্ষকরা তাদের দাবিদাওয়ার মধ্যে বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশ ছাড়া নিয়োগের তীব্র প্রতিবাদ জানাতে পারেন, পারেন না শুধু একজন ছাত্রী মারা গেলে একটা প্রতিক্রিয়া দিতে, কুড়িজন ছাত্রের ফল আটকে গেলে সেটা নিয়ে কিছু বলতে। কারণ বেলা শেষে বুয়েটের প্রশাসন তৈরি হয় ঐ শিক্ষকদের নিয়েই। যে যায় লঙ্কায়, সে-ই হয় রাবণ।

বুয়েটের ফাঁকিবাজ প্রবাসী শিক্ষকদের কীর্তিকলাপ নিয়ে আমার প্রোঅ্যাক্টিভ হওয়ার সুযোগ ক্ষীণ, কারণ আমি সেরকম কোনো ফাঁকিবাজকে চিনি না। যাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে তারা লিখলে ভালো হয়। তবে অবশ্যই সাবস্ট্যানশিয়েট করে লেখা উচিত।

অযাচিত উপদেশদানকারী এর ছবি

চলুক

sohel এর ছবি

এবার আপনি নিজের standard এ ভাল মন্তব্য করলেন। এতক্ষণ মনে হয়েছে টিচারদের উপর আগের রাগ, ফ্যাকাল্টির ডিন মহোদয় (খুব রেয়ার না এটা বুয়েটে?)- এগুলো থেকে বেরোতে পারছেন না। আশা করি, আপনাদের এসব মতামত টিচারদের কাছে যাবে, সমিতি ছাত্রদের বিষয়গুলোতে আরো সচেতন হবে। দেশে টিচারদের লিমিটেশনগুলো বোঝা আর ‌achievement appreciate করা উচিত। প্রশাসনের অনিয়ম নিয়েও কথা বলুন।

"আর এই আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ নেই কেন? ছাত্রলীগের পিটুনির ভয়ে। তারা কেন প্রতিরোধ করতে পারে না?"

সনি মারা যাবার পর শরিফ, সায়হাম, নেছার court stay order against BUET expulsion নিয়ে এল কিভাবে? অনেক ছাত্র সাক্ষী দিতে যায়নি ভয়ে। সরকার protection দেয় না। এই জিনিসটা থাকছেই।

"বুয়েটের ফাঁকিবাজ প্রবাসী শিক্ষকদের কীর্তিকলাপ নিয়ে আমার প্রোঅ্যাক্টিভ হওয়ার সুযোগ ক্ষীণ"

ফাঁকিবাজ নিয়ে কিছু বলছি না। unethical practice নিয়ে বলছি। ৯৪-৯৭ ব্যাচের অনেকেই এগুলো করছে/করেছে। আপনার, সচল জাহিদ এর কাছাকাছি ব্যাচ। সচল থেকে নোটিস দিয়ে নাম collect করে ভেরিফাই করে প্রকাশ করতে পারেন। এরা বুয়েটের অনেক post আটকে রাখে, ভাল জুনিয়র রা জয়েন করতে পারে না, আর এরা বিদেশে বসে বড় বড় কথা বলে।"দেশে RAB আর crossfire ছাড়া সব খারাপ" টাইপ।

হিমু এর ছবি

বুয়েটের শিক্ষকদের ওপর অ্যাকাডেমিক কারণে আমার কোনো রাগ-অসূয়া নেই। যে ডিন মহোদয়ের কথা বললাম, তিনি আমাকে বেশ স্নেহই করতেন বলা যায়। কিন্তু অনিয়ম অনিয়মই। সেগুলোর কথা বললে "পুরোনো রাগ থেকে বলা" হিসেবে ইন্টারপ্রেট করলে মুশকিল।

একজন ছাত্রী নিহত হওয়ার পর শিক্ষক সমিতি ঠিক কী ধরনের লিমিটেশনের মুখোমুখি হয়ে কোনো ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকলেন, সেটা তাদেরও খুলে বলা উচিত। কারণ ঐ লিমিটেশন দূর করা শিক্ষক, ছাত্র, অভিভাবক সবার কর্তব্য। আপনি কোনো ক্লু দিতে পারেন? আর বুয়েটের শিক্ষকদের অ্যাচিভমেন্ট বেশ অ্যাপ্রিশিয়েটেড। অ্যাপ্রিসিয়েশনের ঘাটতির কারণে তাদের কোনো সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে শুনিনি।

আপনি একটা পোস্ট দিতে পারেন এই পোস্ট আটকে রেখে বিদেশে বসে থাকা নিয়ে। সেই পোস্টে আপনি তথ্য চাইতে পারেন সকল অ্যালামনাইয়ের কাছ থেকে। পোস্টটার লিঙ্ক মডারেটররা প্রথম পাতায় রেখে দিতে পারেন। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, সচলায়তনের সব কাজই বহুর অংশগ্রহণে হয়। ফাঁকিবাজদের নাম সংগ্রহ আর যাচাইয়ের কাজটাও অনেকের অংশগ্রহণেই হতে হবে, একজন দুইজন করতে গেলে চাপ পড়ে যাবে।

sohel এর ছবি

" সেগুলোর কথা বললে "পুরোনো রাগ থেকে বলা" হিসেবে ইন্টারপ্রেট করলে মুশকিল।"- আসলে দেখেন অনেক গুরুতর বিষয় নিয়ে আলোচনা চলার সময় অনেকে পারসনাল উদাহরণ দেন এই পোস্টে। তার চেয়ে জেনারেলি কিছু বলাটা ভাল নয়?

লিমিটেশন বলতে অন্যান্য যেমন research fund বুঝিয়েছি। ৭৩,৭৫ এ ওই বিষয়ে কথা বলি তো। অ্যাপ্রিসিয়েশন তো এনকারেজ করে, তাই না? সেটাও তো দরকার।

"সেই পোস্টে আপনি তথ্য চাইতে পারেন সকল অ্যালামনাইয়ের কাছ থেকে।"-সবাই চেনে এরকম কেউ পোস্ট দিলে ভাল হয়। দেখি জাহিদ কি বলেন। তবে ফাঁকিবাজি না, unethical practice ছুটি নিয়ে। অনেক বড় ব্যাপার।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

খুব সংক্ষেপে আরেকবার একটু বোঝাবেন unethical practiceটা কীরকম? (বলে নিচ্ছি, ব্যাপারটা নিয়ে আমার জানাশোনাও কম।) ধরুন কেউ চার বছরের ছুটি ছয় বছর করলো যে কারণ দেখিয়ে, সেটা অমিথ্যা। সেই অমিথ্যা কারণ দর্শানোকে কি unethical practice বলছেন? নাকি এরপরেও যখন ছয়বছর শেষে ফিরে এলো না, সেটাকে unethical practice বলছেন?

এখন কেউ যদি ফিরে আসার নিয়তেই এক্সটেন্ড করে ছুটি, কিন্তু অনিবার্য কারণবশত ছয়বছর শেষে ফিরে আসতে না পারে, তাকে কি আপনি আইন-কানুন-নিয়ম এইসব কোনো উপায়তেই রংডুয়ার সাব্যস্ত করতে পারবেন? নাকি বৈধভাবেই এমনটা করার সুযোগ রাখা আছে? তেমনটা করার বৈধ সুযোগ যদি থাকে, সেক্ষেত্রে সেটাকে unethical practice বলবেন কীসের ভিত্তিতে? যারা বদনিয়তে ছুটি বাড়িয়েছে, তাদের থেকেও এদেরকে তফাৎ করবেন কী উপায়ে? একমাত্র উপায় কি এটা যে পাশ করে চাকরি শুরু করে দিয়েছে কিন্তু বুয়েটে জানায় নি কিংবা চাকরি ছেড়ে দেয় নি এখনো? এই বিষয়গুলো পরিষ্কার হলে ভালো হতো।

(আপনার অনেকগুলো মন্তব্যের ধার আপনার কাছ থেকে পোস্টও দাবি করে। হাসি )

sohel এর ছবি

অমিথ্যা কারণ ধরেই ছুটি দেয়। অনেক সময় মানবিক বিবেচনা থেকে। অনিবার্য কারণবশত ফিরে আসতে না পারলে সেটা সাথে সাথে জানালেই হয়। আর দেশে ফেরার decision নেয়ার জন্য চার বছর কেই এনাফ ধরতে হবে। unethical practice হল, মিথ্যা কারণ দেখান, তারপর বুয়েটের চিঠির উততর দেন না অনেকদিন। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী বুয়েট ২/৩ বার চিঠি দেয়, এরা হাসে, বলে "বুয়েটের কি আর কাজ নাই, এত চিঠি কেন "। December এ চাকরীর ছুটিতে দেশে গিয়ে রিজাইন করে পি এফ এর টাকাটা নিয়ে আসে, আর বলে দেশে সব চোর, ট্যাকস দেয় না, কি যে হবে ....." আগে একটু গোপন হত, এখন ওপেনলি শুরু হইসে। আপনি কোন ইউনি তে বলেন, এমন কেউ আছে কিনা দেখি।

"আপনার অনেকগুলো মন্তব্যের ধার আপনার কাছ থেকে পোস্টও দাবি করে।" - ধন্যবাদ। অলস মানুষ। জীবনে মন্তব্য করলাম এই পোস্টে প্রথম। পোস্ট কখনও হবে মনে হয় না।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

(কিছু সংখ্যক) বুয়েট শিক্ষকের এই চোরামির বিরুদ্ধে বুয়েট শিক্ষক সমিতির কি কিছু করার নজির আছে?

চাকুরিতে কে ফাঁকি দিচ্ছে, শিক্ষকদের কে বিদেশে গিয়ে দুই নাম্বারি করে বেতন নিচ্ছে, এসব প্রশাসনিক জিনিস ছাত্রদের পক্ষে জানা খুব কঠিন। আর বিষয়টা ছাত্রদের এক্তিয়ারের মধ্যেও তেমন একটা পড়ে না।

বিষয়টা ঠিক আনএথিক্যাল প্র্যাকটিসও না। এটা আইনেই থাকা উচিত। এ বিষয়ে আইনটা ঠিক কি? ধরেন কেউ বিদেশে যাওয়ার সময় কনভিন্সড থাকলো যে ফিরে আসবে; কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার ফিরে আসা হলো না। এক্ষেত্রে তাকে কি বেতন-ভাতা ফেরত দিতে হয়? তার চাকুরির অভিজ্ঞতা হিসেবে কি ওই অন-লিভ এমপ্লোয়মেন্ট কাউন্ট করা হয়?

বাস্তবতা ধরলে বিষয়টার নিষ্পত্তি আইনের মাধ্যমে হওয়া উচিত। এথিকস মোটামুটি বায়বীয় বিষয়। এথিকসের কোনো স্ট্যান্ডার্ড নাই, জবাবদিহিতা নাই। এক্ষেত্রে বিষয়টা জবাবদিহিতার।

**********
জানার ইচ্ছা থেকে আরো কয়েকটা প্রশ্ন:
১) বুয়েটে এক ঘন্টার ক্লাস নেয়ার জন্য আপনারা কতোটা প্রস্তুতিমূলক সময় পান?

২) বুয়েটের সিলেবাস আপডেটের ব্যাপার কোর্সটীচার কি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে?

৩) প্রাইভেটে খ্যাপ বা বাইরে কনসাল্টেন্সি এগুলোর জন্য কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়? এ ব্যাপারে কি কোনো বিধিনিষেধ আছে? যেমন, সপ্তাহে ৫ ঘন্টার বেশি প্রাইভেটে সময় দেয়া যাবে না জাতীয় কোনো নিয়ম?

৪) একজন বুয়েট শিক্ষককে সপ্তাহে মোটামুটিভাবে কতঘন্টা ক্লাস (সেশনালসহ) নিতে হয়?

আপনার সময়-সুযোগমতো উত্তর দিয়েন। পোস্টের শেষে নোতুন করে মন্তব্য দিতে পারেন। মন্তব্যের এই থ্রেড ইতিমধ্যেই রবিউল চিপা হয়ে গেছে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

নীচে দেখুন।

হিমু এর ছবি

রিসার্চ ফাণ্ডের সাথে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষক সমিতির প্রতিক্রিয়া জানানোর বা অবস্থান নেয়ার কী সম্পর্ক?

বুয়েটিয়ান এর ছবি

হিমু ভাই ছাত্রদের ভীরুতার বিষয়টা কিন্তু এখন একবারে স্কুলে পর্যায়ে তাদের পরিবার থেকেই তাদের মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতিবিমুখতা এবং অন্যের বিপদে বা সমাজের সমস্যায় নির্লিপ্ত থাকাটা এখন এত বাজে মাত্রায় পৌছেছে যে একসময় মানবিকতা পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পরতে বাধ্য । আর দেশের ভাগ্যে নিশ্চিত ভাবে রয়েছে একঝাক মেধাহীন রাজনৈতিক নেতৃত্ব, ছাত্র রাজনীতির কথা শুনলে অনেকে থু থু ছেটায়, এসব থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য কি একটা সামাজিক আন্দোলন দরকার না ?

হিমু এর ছবি

সামাজিক আন্দোলন হয় যখন সব মানুষ বুঝতে পারে, দে ক্যান্ট উইন আলোন। যখন কিছু মানুষ বা বেশির ভাগ মানুষ একা একা জিতে যাওয়ার পথ বের করে ফেলে, তখন আর সামাজিক আন্দোলন হয় না। বুয়েটে প্রথম সারির ছেলেমেয়েরা এসে ভর্তি হয়, কিন্তু তাদের একটা বড় অংশ এই একা একা জিতে যাওয়ার পথটা চিনে যায় হয়তো। শিক্ষা নাকি মানুষকে একটা আয়নার সামনে মুখোমুখি করায়, সত্যাসত্য জানি না।

সাবওয়ে এর ছবি

বর্তমান আন্দোলনে জামাত-হিজবুত বা ধর্মানুরাগী যাই বলুন কিছু শিক্ষকের অতিআগ্রহ লক্ষনীয়, কিন্তু এটাও ভুলে গেলে চলবেনা নেতৃত্বে থাকা অধিকাংশ শিক্ষককে আম্লিগ, বিম্পি বা বাম ঘরানার বলেই সবাই চিনে এবং ধর্ম-মত নির্বিশেষে প্রায় সকল শিক্ষক (অল্প কয়েকজন বাদে) এই আন্দোলনে সমর্থন যুগিয়েছেন; হতে পারে আন্দোলনটা অনেকাংশেই শিক্ষকদের ইগো প্রবলেমের কারনে এরপরও এই মুহুর্তে আন্দোলন করাটা প্রয়োজনীয়; তা নাহলে দলীয় লেজুরভিত্তির প্রভাব ভালোভাবেই পড়বে

Aman Islam এর ছবি

অচ্ছুত বালাই দাদা আপনার সকল মন্তব্যে একটা জিনিস স্পষ্ট আর সেটা হলো আপনার বুয়েট বিদ্বেষ . নাহলে আমি জানতাম না কোনো সচেতন মানুষ এ বাংলায় আছে যে নাকি দাবি করে private uni তে বুয়েট এর চেয়ে বেশি research হয়! private uni হেন তেন..ভাই আপনি কোন ইউনির আমি জানিনা বাট নিজের ক্ষোভ এইভাবে প্রকাশের মানে নাই...আপনার সব কমেন্ট এ বুয়েট এর প্রতি এক ধরনের জ্বালা প্রকাশ পায়. এটা ভালো,এটাই আসলে তুলে ধরতে যথেষ্ট যে বুয়েট really matters হাসি নাইলে কি আর আপনি মুখে এত্ত ফেনা তুলতেন? আর আপনার ভাব দেখলে মনে হয় আপনি বুয়েট এর নারিনক্ষত্র সব জানেন,আপনি তো ভাই বুয়েটিয়ান না,এইভাবে স্বপ্নে প্রাপ্ত জিনিসগুলা যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন একটু অতিরিক্ত না???আপনি একটা কাজ করেন কোন কোন জায়গায় বুয়েট private uni-র কাছে ধরা খাইচে সেগুলার একটা বিশ্বাসযোগ্য লিস্ট বানান,কাজে দিবে,তাইলে আপনার এই তথ্য গুলার বাস্তবতা বুঝতে পারব....ভায়া এই ইউনি গুলার ছেলেমেয়েরা টার্ম এর ইলেক্ট্রিকাল আর programming contest আর software project ব্যাপক টাকা দিয়া বুয়েট এ আইসা পোলাপান এর কাছ থাকা কিইনা নেয়,জানেন সেটা?আমি আমার ২-২ তে আইউব-র 3rd year এর এক ভাই কে c++ শেখায়চি,আমার ফ্রেন্ড ওই সময় aust এর programming contest coach ছিল ,বুয়েট তো ওই ইউনিগুলা আসা মাত্র শেষ হইয়া গেসে তাই না ভাই?তাও তো বুয়েট এর ওই পোলাপান গুলার কাছে গিয়া কিছু শিখতে হই নাই আল্লার রহমতে... ভাই মুখে অনেক কথা বলা যায় বাট রিয়েলিটি কিন্তু ভিন্ন কথা বলতেছে ,তাই না? আপনারে একটা কাজ দেই,বাংলাদেশ এর সব private uni-র researcher দের একটা লিস্ট বানান,তাদের কি কি কৃতিত্ব দিয়া বুয়েট কে শেষ কইরা দিচে লিস্ট বানান,আমাদের মুখ তাইলে এমনেই বন্ধ হে যাবে কি বলেন? ভালো থাকবেন হাসি

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অচ্ছুত বালাই দাদা আপনার সকল মন্তব্যে একটা জিনিস স্পষ্ট আর সেটা হলো আপনার বুয়েট বিদ্বেষ . নাহলে আমি জানতাম না কোনো সচেতন মানুষ এ বাংলায় আছে যে নাকি দাবি করে private uni তে বুয়েট এর চেয়ে বেশি research হয়! private uni হেন তেন..ভাই আপনি কোন ইউনির আমি জানিনা বাট নিজের ক্ষোভ এইভাবে প্রকাশের মানে নাই...আপনার সব কমেন্ট এ বুয়েট এর প্রতি এক ধরনের জ্বালা প্রকাশ পায়. এটা ভালো,এটাই আসলে তুলে ধরতে যথেষ্ট যে বুয়েট really matters হাসি নাইলে কি আর আপনি মুখে এত্ত ফেনা তুলতেন? আর আপনার ভাব দেখলে মনে হয় আপনি বুয়েট এর নারিনক্ষত্র সব জানেন,আপনি তো ভাই বুয়েটিয়ান না,এইভাবে স্বপ্নে প্রাপ্ত জিনিসগুলা যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন একটু অতিরিক্ত না???আপনি একটা কাজ করেন কোন কোন জায়গায় বুয়েট private uni-র কাছে ধরা খাইচে সেগুলার একটা বিশ্বাসযোগ্য লিস্ট বানান

লিস্ট তো আমার বানানোর কথা না। আমার মন্তব্যের শুরুতেই ছিলো, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আমি জানি না। আমার অভিজ্ঞতায় যেটুকু দেখেছি, সেটার ওপর বেইজ করে বলা। আবার পড়ুন:

বাইরের ইউনিভার্সিটির সাথে কোয়ালিশন সম্পর্কে আমি ডিটেলস তথ্য জানি না। কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে। বুয়েটে কিছু করতে গেলে বুয়েট শিক্ষকদেরকে তেলাতে হয়, তারপরেও উনারা এসব উদ্যোগ এলাও করতে গড়িমসি করেন।

পড়ে আপনি লিস্ট দেন, বাইরের সাথে কোয়ালিশন করে বুয়েট শিক্ষকরা কিভাবে গবেষণার ফান্ড, রিসার্চ প্রোজেক্ট এগুলা ম্যানেজ করছে। উপরে সোহেল পাবলিকেশন্সের কয়েকটা লিংক দিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানলাম বুয়েট ৩ বছরে মাত্র ১টা পাবলিকেশনের জন্য ফান্ড দেয়। এমতাবস্থায় গবেষণার কাজ অব্যাহত রাখতে বাইরে থেকে ফান্ড জোগাড় করা জরুরি। আপনিও বুয়েট শিক্ষকদের ফান্ড জোগাড়ের উদাহরণ হিসেবে কিছু রিসার্চ প্রোজেক্টের লিস্ট দেন, আপনাকেও ধন্যবাদ দেয়া হবে।

ভায়া এই ইউনি গুলার ছেলেমেয়েরা টার্ম এর ইলেক্ট্রিকাল আর programming contest আর software project ব্যাপক টাকা দিয়া বুয়েট এ আইসা পোলাপান এর কাছ থাকা কিইনা নেয়,জানেন সেটা?আমি আমার ২-২ তে আইউব-র 3rd year এর এক ভাই কে c++ শেখায়চি,আমার ফ্রেন্ড ওই সময় aust এর programming contest coach ছিল

শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে টাকার গুরুত্ব বুঝতে এটা একটা চমৎকার উদাহরণ। তার টাকা আছে, তাই সে একটা স্কিল অনেকটা সহজে অর্জন করতে পারছে। আপনি একজনকে সি প্লাস প্লাস শিখায়া গর্ববোধ করতেছেন, করতেই পারেন; কিন্তু সেই একজন আপনার মতো আরো অনেকের কাছ থিকা শিক্ষা কিনে তার স্কিলের ভান্ডারে যা যোগ করতেছে, তা আপনার মতো অনেক ইনডিভিজুয়ালের চেয়ে বেশিও হয়ে যেতে পারে। আমার কাছে এই মুহূর্তে প্রাইভেট থেকে পাস করা একটা স্টুডেন্টের সিভি আছে। পাস করার ৩ বছরের মধ্যে তার স্কিল লিস্টে এই জিনিসগুলা ছিলো: Netbeans IDE, MS Visual Studio IDE, MS Office Suite, Java, J2ME, C#, C++, C, SQL, .NET Framework, Assembly Language, Shell Programming, Oracle, MySQL, SQL Server, GSM system, HTML/XHTML, MATLAB, Redhat Linux 5, Fedora Core 7 Windows Vista/XP
DOS, Certifications: CISCO certified Network Associate (CCNA) CISCO ID –CSCO11494354।

আচ্ছা, ধরলাম আমি বুয়েটিয়ান না হওয়ায় বুয়েটের প্রতি বিদ্বেষ থেকে এইসব মন্তব্য করে টাইম পাস করতেছি। কিন্তু আপনারা দেশের মাখন, আপনাদের সিভি আরো সমৃদ্ধ, বুয়েটে যে কোনো ধরনের ঝামেলার কথা মানেই বুয়েটের প্রতি অপবাদ দেয়া, তাইলে বলেন, বুয়েট নিয়া এসব পোস্ট দিতে হয় কেন? বুয়েটে এই যে কয়দিন পরপর এক একটা উছিলায় ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয়, এটা কিভাবে এড়ানো যায়? নাকি ক্লাস বন্ধ কোনো ব্যাপার না। বুয়েটের খরগোশেরা যেহেতু প্রাইভেটের কচ্ছপদের চেয়ে বছরে ৬ মাস ক্লাস না করেও এগিয়ে থাকবে, সেহেতু এটা কোনো সমস্যাই না! বুয়েটিয়ান হিসেবে এ বিষয়ে আপনার মতামত দিয়েন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

Amit এর ছবি

সিভিতে অনেক বায়বীয় জিনিস থাকে। আপনি কি ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন?

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ছেলেটা খুবই কোয়ালিফায়েড। প্রত্যেকটা জিনিস ধরে ধরে পরীক্ষা নেই নাই। আমি নিজেও ওই লিস্টের সবগুলো জিনিস পারি না। তার ইন্টারভিউয়ের জন্য যেটুকু দরকার, সেটুকু সে খুব ভালোভাবেই ডেমোনস্ট্রেট করেছিলো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

sohel এর ছবি

এখানে ডেভেলপার হিসেবে বুয়েট ও প্রাইভেটে ইউনির তুলনামূলক আলোচনা দেখছি। সাফি ভালো বলতে পারত। আমার সরাসরি অভিজ্ঞতা কম, তবু কিছু বলতে চাই জেনারেলি, ১/২ টা উদাহরণ দিয়ে না। আমার ধারণা যেকোনো software farm এ গেলেই ২/৩/৪ জন ভাল ডেভেলপার পাওয়া যাবে। অনেকেই শুরুতে না হলেও কাজ করতে করতে ভাল করে। এটা অনেকটা লেগে থাকারও ব্যাপার। কিন্তু একটা প্রাইভেটে ইউনির যেকোনো ব্যাচ থেকে ৫ টা ভাল (শুরু হিসেবেই) ডেভেলপার পাওয়া মনে হয় যাবে না। অন্যদিকে ০৫ ব্যাচ থেকেও prime bank ও Samsung ৩০ জন করে বাছাই করেছিল। তবে আমার নিজের মত হল গবেষণায় যে মানে আমরা গেছি (জবাব ৭০-৭৫), ডেভেলপার হিসেবে সাধারণভাবে ততটা ভাল করিনি। আরেকটা একটেল এস এম এস এর মানের কিছু হ্য়ত আমরা বানাতে পারিনি। এর দায় কিছুটা আমাদের টিচারদের। Recent PhD রা গবেষণাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, অন্যদিকটা থেকে গেছে অবহেলিত। তবে এখন সচেতনতা এসেছে। দেশে একটা project contest কালচার শুরু হয়েছে, বিভাগে একটা ios, android development lab শুরু করছি - এগুলো ভাল কিছু আনবে বলা যায়। শাহজালাল, ঢাকা, খুলনা, কুয়েট, চুয়েট বেশ ভাল করছে। সরাসরি অভিজ্ঞতা যাদের, কিছু বলতে পারেন। গবেষণায় আমাদের গত ৪/৫ বছরের কাজ খুবই ভাল, ঢাকাও ভাল করতে শুরু করেছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখানে ডেভেলপার হিসেবে বুয়েট ও প্রাইভেটে ইউনির তুলনামূলক আলোচনা দেখছি।

না, সেটা চলছে না। টাকার সাথে জ্ঞানার্জনের সম্পর্কের উদাহরণ ওটা। "আমরাই বেস্ট, আর সব ভুদাই" বুয়েট ছাত্ররা যাতে এই মিথ্যা আত্মতৃপ্তিতে ভুগে কল্পনার জগতে বাস না করে, সেজন্য কিছুটা সচেতনতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সালমিন এর ছবি

আমার কাছে এই মুহূর্তে প্রাইভেট থেকে পাস করা একটা স্টুডেন্টের সিভি আছে। পাস করার ৩ বছরের মধ্যে তার স্কিল লিস্টে এই জিনিসগুলা ছিলো: Netbeans IDE, MS Visual Studio IDE, MS Office Suite, Java, J2ME, C#, C++, C, SQL, .NET Framework, Assembly Language, Shell Programming, Oracle, MySQL, SQL Server, GSM system, HTML/XHTML, MATLAB, Redhat Linux 5, Fedora Core 7 Windows Vista/XP
DOS, Certifications: CISCO certified Network Associate (CCNA) CISCO ID –CSCO11494354।

এই ছাত্র কি কম্পিউটার প্রকৌশল এর? যদি অন্য বিভাগের হয় তাহলে তার স্কিললিস্ট বেশ ভালো। আর কম্পিউটার বিভাগের হলে স্কিল 'এভারেজ' লেভেল এর, ঠিক 'মুগ্ধ' হওয়ার মত নয়। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের মধ্যেই এর চেয়ে ভালো সিভি পাবেন হাসি তবে বুয়েটে কম্পিউটার বিভাগের শিক্ষার্থীরা 'টাকা' না দিয়েও খারাপ শিখে না। উপরের স্কিলসেট নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা একটু বলিঃ

C++, C : ১-১, ১-২ তে শিখেছি
Netbeans IDE, Java: ১-২
Assembly Language: ২-২
SQL, Oracle, MySQL, SQL Server: ৩-১ (ডাটাবেজ ল্যাব এবং প্রজেক্ট)
C#, .NET Framework : ৪-১ (SAD প্রজেক্ট)
HTML/XHTML: বেসিক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ল্যাঙ্গুয়েজ। অনেকে JavaScript, CSS ও ব্যাবহার করেছে।
MATLAB: ৩-২ (প্যাটার্ন রিকগনিশন কোর্স)
Shell Programming: ৩-২ (অপারেটিং সিস্টেম কোর্স)
J2ME: নিজের ইচ্ছায় শিখেছিলাম। অনেকে ৪-১ এ ইন্টারফেসিং প্রজেক্টে ব্যবহার করেছে। এখনকার জন্য বেশ পুরোনো টেকনোলজি। এখনকার ছেলেমেয়েদের নতুন Mobile OS নিয়ে কাজ করতে দেখছি।
CISCO certified Network Associate (CCNA) CISCO ID –CSCO11494354: আমার ছিলো না, তবে কিছু সহপাঠী কে ৪-১, ৪-২ তে এই সার্টিফিকেট নিতে দেখেছি।
MS Visual Studio IDE, MS Office Suite: সিএসই র ছাত্রদের সাধারণত লিখতে দেখিনা।

এর বাইরেও সিভি তে লেখার মত বেশ কিছু জিনিস ছিলো। বন্ধুদের মধ্যে যারা সফটওয়ার কোম্পানিতে চাকরি করছে তাদের কে J2EE, Python, AJAX, Ruby on Rails ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতে দেখেছি।

যাই হোক,

আমরাই বেস্ট, আর সব ভুদাই

এই ধরণের কিছু বলার ইচ্ছা বা চেষ্টা করি না। কম্পিউটার বিজ্ঞানের মৌলিক বিষয়গুলি শিক্ষা দেওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। এর বাইরে নিজের ইচ্ছা আর আগ্রহ অনুযায়ী যে কেউই প্রোগ্রামিং স্কিলসেট ডেভেলপ করতে পারে। দেশে বিভিন্ন সফটওয়ার কোম্পানিতে প্রাইভেটের ছেলেমেয়েরা চাকরি করছে এবং নিজের যোগ্যতা দিয়েই টিকে আছে।
আমার জানামতে, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলা কিছু দিকে বুয়েটের চেয়ে এগিয়ে আছে
১। ইন্ডাস্ট্রির সাথে সম্পর্ক
২। বিভিন্ন সফটওয়ার প্রতিযোগিতায় প্রাইভেটগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অনেক সহায়তা করা হয়। মাইক্রোসফট আয়োজিত 'imagine cup' এ AIUB পরপর দুই বছর 'popularity choice award' পেয়েছে। মাইক্রোসফটের সাথে AIUB র সম্পর্ক বেশ পুরোনো, অথচ শুনেছি বুয়েটে মাইক্রোসফট ক্যাম্পিং করার অনুমতি পায়নি।

পিএইচডি করা শিক্ষকরা এখন বুয়েটে ফিরছেন, গবেষণা, ফান্ড জোগাড় এগুলো নিয়ে কাজ করছেন। আশা করি উনাদের হাত ধরেই বুয়েট তার সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠবে। সাথে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিগুলোর আরও মানোন্নয়ন হবে।

সাই দ এর ছবি

@Aman Islam:

অচ্ছুত বালাই

না

অছ্যুৎ বলাই

ভাই আপনি কোন ইউনির আমি জানিনা

না জেনে কথা বলা কি ঠিক??

আপনি তো ভাই বুয়েটিয়ান না

কি করে বুঝলেন???

আপনি কি আসলেই অছ্যুৎ বলাই-এর সব কমেন্টগুলি পড়েছেন।
সমালোচনা গ্রহণ করতে শিখুন।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

@sohel

আর দেশে ফেরার decision নেয়ার জন্য চার বছর কেই এনাফ ধরতে হবে।

এটার ধরার এখতিয়ার কার? এমন কিছু যদি নিয়ম করে বলা না থাকে, আপনি আমি তো ইচ্ছামত বলতে পারি না।

unethical practiceকে ডিফাইন করে ভালো করেছেন। কিন্তু কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে এখানে।

মিথ্যা কারণ দেখান

এটা প্রমাণ করতে হবে

তারপর বুয়েটের চিঠির উততর দেন না অনেকদিন।

এটাও প্রমাণ করতে হবে। শুধু তাই নয়, বিয়োন্ড রিজনেবল ডাউট উত্তর দেয়ার সকল সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দেয় নি, সেটাও প্রমাণ করতে হবে।

এর আগে আপনি যদি মানুষজনের নাম প্রকাশ শুরু করেন, ব্যাপারটা উইচহান্ট হয়ে যাবে। উপরে অছ্যুৎ বলাই যেমনটা বলেছেন, ব্যাপারটা আইনিভাবেই হতে হবে। আপনার আমার কাছে 'অনৈতিক' লাগলেই নাম তুলে দিলে তো চলবে না। এভাবে আপনার নামও কেউ চাইলে তুলে দিবে। আপনি হয়তো অন্যথা প্রমাণ করতে পারবেন, কিন্তু ততক্ষণে অনেক কিছু বরবাদ হয়ে যেতে পারে। আমি জাহিদ ভাইয়ের স্কুলেই। আপনাকে অনুরোধ, আপনার অভিযুক্তদের নাম ছাপানোর সাথে নৈর্ব্যক্তিকভাবে যাচাইযোগ্য ও পুনরুৎপাদনযোগ্য তথ্যপ্রমাণও প্রদান করুন এবং সাথে দাপ্তরিকভাবে অভিযোগ পেশ করুন। সেটা করতে অপারগ হলে আপনার নিজের পরিচয়, বৃত্তান্তও ছাপান, যাতে তথ্যে গলতি থাকলে মিথ্যা ও ত্রুটিপূর্ণ তথ্য ছড়িয়ে অন্যের মানহানির অভিযোগে আপনাকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়। তাছাড়া আইনিভাবে মোটেও গলদ নয়, এমন কারও ব্যাপারেও অনর্থক বাতচিৎ করার মানে নেই। এগুলো মানা না গেলে এ ধরনের নাম তুলে দেয়ার চর্চাকে নিরুৎসাহিত করছি, লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকবে এতে। আশা করি মানবেন।

sohel এর ছবি

"আপনি যদি মানুষজনের নাম প্রকাশ শুরু করেন, ব্যাপারটা উইচহান্ট হয়ে যাবে"- এমনটা করার কথা তো বলিনি। "সচল থেকে নোটিস দিয়ে নাম collect করে ভেরিফাই করে প্রকাশ করতে পারেন।" ( মন্তব্য ১৫০) - বলেছি। ভেরিফাই এর আগে প্রকাশ না। "নৈর্ব্যক্তিকভাবে যাচাইযোগ্য ও পুনরুৎপাদনযোগ্য তথ্যপ্রমাণও প্রদান করুন এবং সাথে দাপ্তরিকভাবে অভিযোগ পেশ" বা " বিয়োন্ড রিজনেবল ডাউট উত্তর দেয়ার সকল সুযোগ থাকা সত্ত্বেও দেয় নি, সেটাও প্রমাণ "- এটা করাটা সহজ নয়। কোনো অভিযোগের জন্যই নয়। দুদক-ই পারে না। "লাভের চেয়ে ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকবে এতে।" - এটা হতে পারে। সেজন্যই জাহিদ সহ আপনাদের blog-অভিজ্ঞদের মত চাওয়া। এরকম আশঙ্কা অনেকেই মনে করলে বাদ দেয়াটাই ভাল।
তবে "আইনিভাবে মোটেও গলদ নয়" আর আনএথিকাল আলাদা জিনিস। আশা করি আপনারা বোঝেন। এখানে, হেডকে মিথ্যা কারণ দেখানো, চিঠির জবাব না দেয়া এসব। একজন বুয়েট শিক্ষকের কাছ থেকে উচু এথিকাল মান আশা করি, তাই এটা করার কথে বলছিলাম। আশা করি বুয়েটেই একদিন এটা করা হবে।

আপনার ইউনি তে সিভিল-৯৫ আর wre-৯৪ এর ২ জনের কথা শুনেছি। আপনার কি মত? এটুকু প্রকাশ করাকে উইচহান্ট বলবেন না আশা করি। এখানে এর আগে একজন ডিন, ২ জন টিচার এর নাম বলে কোনো প্রমাণ ছাড়া আরও গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে।

@অছ্যুৎ বলাই:

"এসব প্রশাসনিক জিনিস ছাত্রদের পক্ষে জানা খুব কঠিন। আর বিষয়টা ছাত্রদের এক্তিয়ারের মধ্যেও তেমন একটা পড়ে না।" -
ছাত্রদের কিছু করার কথা বলছি না। জাহিদের মত যাদের কাছ থেকে জানার সুযোগ আছে, তাদের কথা বলছি। একি ইউনি তে পিএইচডি করে অনেকেই এগুলো জানে। এটা অনেকটা অনলাইন সামাজিক প্রতিরোধ হতে পারে।

"বাস্তবতা ধরলে বিষয়টার নিষ্পত্তি আইনের মাধ্যমে হওয়া উচিত। এথিকস মোটামুটি বায়বীয় বিষয়। এথিকসের কোনো স্ট্যান্ডার্ড নাই, জবাবদিহিতা নাই।" - আইন তো আদালতের বিষয়। blog এথিকস নিয়ে কথা বলবে, এটা আমার ধারণা।

অন্য বিষয়গুলো নিয়ে পরে বলব। এর মাঝে ৭৩, ৭৫ এর বিষয়ে আপনার মত চাইছিলাম।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আপনার ইউনি তে সিভিল-৯৫ আর wre-৯৪ এর ২ জনের কথা শুনেছি। আপনার কি মত?

আমি দু’জনকে জানি যারা মাস কয়েক আগে বুয়েটে ফিরে গেছেন। আরেকজনকে জানি মাস কয়েকের মধ্যে যাবেন। আমার কেনো জানি মনে হয় আপনি ভুল করে তাঁদের কথাই বলছেন। তাছাড়া প্রমাণ পেশ করলেন না, নিজের পরিচয়ও দিলেন না কিছু না, এই যে বলে বসলেন, এতে লাভ কী হলো বলবেন? ভুল বোঝাবুঝির আশঙ্কাটা বরং বাড়লো না? এ ধরনের দায়িত্বশীলতা খর্বিত কাজ করলে আপনার উদ্যোগ ও উদ্দেশ্য দুই-ই কিন্তু প্রশ্নাসীন হয়।

যা হোক। আপনার আনইথিকাল প্র্যাকটিসের কনসার্নটা আমি বুঝি। অনেকের প্ল্যান বি ম্যানিয়া দেখলে অবাক লাগে। দেশের ক্রিমরা এরকম করলে অন্যরা কী করবে? কিন্তু যখন তালিকা করবেন, তখন খুব দায়িত্বের সাথে করতে হবে, নাহলে আমাদের তরফ থেকে অন্যায় ঘটানো ও ঘটার সুযোগ তৈরি হয়ে যাবে। এর জন্যেই প্রমাণের এমন মানদণ্ডের কথা বলেছি। আদালতও হয়তো সেটা রক্ষা করতে পারে না। কিন্তু চেষ্টাটা সেটাই থাকে। আমি এই উদ্যোগ নেয়ার পক্ষপাতীই না। আইনি গলদমুক্ত আনইথিক্যাল প্র্যাকটিসের তালিকা করারও পক্ষপাতী না। এ নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু তালিকা করতে হলে সেইরকম প্রমাণকেই লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের কথা জোরের সাথে বলবো।

sohel এর ছবি

ঠিক আছে, যদি সবাই ভাল মনে করে, উদ্যোগ বাদ দেয়া যেতে পারে। al least একজনের ব্যাপারে ভুল করছি না। আপনি আরেকটু খোজ নিতে পারেন।

sohel এর ছবি

@অছ্যুৎ বলাই:
১) বুয়েটে এক ঘন্টার ক্লাস নেয়ার জন্য আপনারা কতোটা প্রস্তুতিমূলক সময় পান?

বিষয়ভেদে, টিচারভেদে, এমনলি টপিকভেদে এটা একেকরকম। একি বিষয় বারবার নিলে (যেটা খুব কমন) কম হতে পারে। ১-৩ ঘন্টা রাফলি ধরতে পারেন। ল্যাব কোনোটাতে ৫ ঘন্টা লাগতে পারে, যেমন graphics, আবার hardware ল্যাবএ কম হয়।

২) বুয়েটের সিলেবাস আপডেটের ব্যাপার কোর্সটীচার কি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে?

সিলেবাস তো অত ফলো করতেই হবে এমন তো না। সিলেবাস আপডেট একটা কমিটির মাধ্যমে হয় যেটাতে রিলেটেড টিচাররা থাকেন।

৩) প্রাইভেটে খ্যাপ বা বাইরে কনসাল্টেন্সি এগুলোর জন্য কার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়? এ ব্যাপারে কি কোনো বিধিনিষেধ আছে? যেমন, সপ্তাহে ৫ ঘন্টার বেশি প্রাইভেটে সময় দেয়া যাবে না জাতীয় কোনো নিয়ম?

অনুমতি ভিসি। প্রাইভেটে সময় সপ্তাহে ৬ ঘন্টা, ইউজিসির নিয়ম। কনসাল্টেন্সি তো সাধারণত বিভাগের মাধ্যমেই হয়। কিছু আছে tender evaluation টাইপ। বেশি টাইম লাগে না। ভাল কাজে, যেমন হিমু যে জাহাজ পরিচালনায় আইটি ব্যবহার এর কথা বলছিল, বা software project গুলতে বেশি লাগে।

৪) একজন বুয়েট শিক্ষককে সপ্তাহে মোটামুটিভাবে কতঘন্টা ক্লাস (সেশনালসহ) নিতে হয়?

১৫-২৪ ঘন্টা। সিলেটে এটা নাকি ৩৪ ঘন্টা হতে পারে। আবার ঢাকা ইউনির অনেক বিভাগে (যেমন journalism) ২/৩ ঘন্টা বলে শুনেছি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। এই তথ্যগুলো থেকে বুয়েট শিক্ষকদের ব্যস্ততা বুঝতে সুবিধা হবে।

কনসালটেন্সি আর গবেষণার হিসাব বাদ দিলেও যদি একজন শিক্ষক বুয়েটে ২০ ঘন্টা, প্রাইভেট ৬ ঘন্টা ক্লাস নেন এবং প্রতি ঘন্টার প্রস্তুতি নিতে ২ ঘন্টা করে সময় ব্যয় হয়, তাহলে একজন শিক্ষকের সাপ্তাহিক লোড ৭৮ ঘন্টা, অর্থাৎ প্রতিদিন সাড়ে ১৫ ঘন্টারও বেশি। একজন স্বাভাবিক মানুষের পক্ষে কি এই শ্রমটা দেয়া সম্ভব?

আমার কাছে এটা অসম্ভব মনে হয়। সুতরাং এই পরিমাণ লোড ম্যানেজ করতে গেলে কোয়ালিটিতে ঘাটতি পড়বে, কোথাও না কোথাও ছাত্ররা তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হবে।

আমার কাছে বুয়েট বন্ধের কারণ হিসেবে শিক্ষকদের এই অতিরিক্ত লোডকেও একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বলে মনে হয়। বুয়েট বন্ধ থাকলে তারাও কিছুটা বিশ্রাম পান। শিক্ষকরা সুস্থ থাকলে প্ল্যানিংটাও আরেকটু ভালো হতো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

sohel এর ছবি

আমার মনে হ্য় হিসেবটা অন্যরকম। পিএইচডি করার পর যদি ধরি, ক্লাস লোড হয় ১৫ ঘন্টা আর এম এস/পি এইচ ডি সুপারভিশন (>= ১৮ নতুন টিচারদের যাদের থিওরি থাকেনা। >=২১ রেয়ার কেস, যেটা কম সময়ের জন্য হতে পারে)। তাহলে মোট লোড ৩(থিওরি ) + ৬(প্রস্তুতি) + ৬ (ল্যাব)+ ৪(প্রস্তুতি)+ ৬ (undergrad supervision) = ২৫+ ৩(প্রাইভেট )+ ৩(প্রস্তুতি)+ (০-১০) ( এম এস/পি এইচ ডি সুপারভিশন/নিজের গবেষণা)= (৩১-৪১); প্রাইভেটে গড় ক্লাস নেয়ার হার এরকম হবে, কারণ অনেক বিভাগ (মনে হয় ২/৩ টি বাদে সবই)প্রাইভেটে নাই, আর সেখানে প্রস্তুতি কম লাগে; এম এস/পি এইচ ডি সুপারভিশন/নিজের গবেষণা প্রমশনের সাথে রিলেটেড, কোনো আবশ্যক লোড না।কনসালটেন্সি যারা বেশি করেন, প্রাইভেটে যান কম।অ্যাডমিন লোড আছে ২/৩ ঘন্টা (হলের কাজ জীবনে একবার করাই আবশ্যক) গবেষণা যারা আরো বেশি করেন, তারা সেটা এত ভালবাসেন, যে সেটা তাদের নেশা, লোড নয়(আমরা বলতাম নেশা যখন, হারাম!)।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তাহলে মোট লোড ৩(থিওরি ) + ৬(প্রস্তুতি) + ৬ (ল্যাব)+ ৪(প্রস্তুতি)+ ৬ (undergrad supervision) = ২৫+ ৩(প্রাইভেট )+ ৩(প্রস্তুতি)+ (০-১০)

এই নোতুন হিসাবে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়লাম। কারণ,

১) এতে বুয়েটে ক্লাস নিতে হচ্ছে মাত্র ৯ ঘন্টা: ৩ ঘন্টা থিওরি, ৬ ঘন্টা সেশনাল।

২) ৬ ঘন্টার সেশনালের প্রস্তুতি নিতে মাত্র ৪ ঘন্টা ব্যয়! একটা সেশনাল নিজে পরীক্ষা করে দেখে বিবরণ তৈরি করতেই ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগে।

দুইটাই আমার কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হচ্ছে। আপনার আগের মন্তব্যে দেয়া তথ্য থেকে এগুলো অনেক দূরে সরে যাচ্ছে। আপনি পুরোটা আরেকবার একটু যাচাই করে দেখুন।

প্রাইভেটের টাইম লোডের সাথে একটা জিনিস আগে ইচ্ছে করেই যোগ করি নাই: যাতায়াতের সময়। একবার যেতে আসতে মোট ২ ঘন্টার মতো সময় ব্যয় হওয়ার কথা। লোড যদি ৩ ঘন্টাও হয়, সেটা একসাথে পরপর ৩ ঘন্টা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সুতরাং একবার গিয়ে-এসেই কাজ হবে না।

গবেষণা যারা আরো বেশি করেন, তারা সেটা এত ভালবাসেন, যে সেটা তাদের নেশা, লোড নয়

নেশা হোক আর পেশা হোক, শরীরের ওপর দিয়ে ধকল যাবেই। কাজটা আনন্দের হলে মানসিকভাবে হয়তো বিরক্তি কম লাগবে; কিন্তু না ঘুমানো শরীর স্পিকস ফর ইটসেল্ফ।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

sohel এর ছবি

"১) এতে বুয়েটে ক্লাস নিতে হচ্ছে মাত্র ৯ ঘন্টা: ৩ ঘন্টা থিওরি, ৬ ঘন্টা সেশনাল।"
undergrad supervision এর ৬ ঘন্টা অফিসিয়ালি লোড হিসেবে ধরা হয়। ক্লাস সময়ও রুটিনে ঠিক থাকে।

"৬ ঘন্টার সেশনালের প্রস্তুতি নিতে মাত্র ৪ ঘন্টা ব্যয়! একটা সেশনাল নিজে পরীক্ষা করে দেখে বিবরণ তৈরি করতেই ৪/৫ ঘন্টা সময় লাগে।"-এটা একটা গড় হিসাব সিএসইর জন্য, যাদের প্রতি বছর নতুন assignment দেয়া হয় আমার জানামতে সবচেয়ে বেশি।। software sessional এ ৩ জন টিচার থাকে। একেক দিন একেকজন assignment ডিজাইন করেন। সেদিন অন্যদের কাজ শুধু ক্লাস চলাকালীন assignment দেখা। আবার কিছু sessional এ (যেমন software dev, SAD, DSD, interfacing)একাধিক term project হয় পুরো সময় ধরে। সেগুলোতে টিচারদের কাজ মূলত কাজ আগায় কিনা দেখা, দলের সবাই কাজ করছে কিনা দেখা, ভাইভা নেয়া, presentation শুনে মন্তব্য করা। এখানে প্রস্তুতির সময় খুব কম লাগে। hardware ল্যাবএ কম সময় লাগে আগেও বলেছি, বিশেষ করে ২য় বার নেয়া হলে। ওখানে বেশিরভাগ assignment ডিজাইন করাই থাকে কয়েকবছরের জন্য।

বুয়েটের blue book অনুযায়ী একটা হিসেব একবার আমাদের বিভাগে হয়েছিলো, যাতে ক্লাস ও প্রস্তুতি মিলিয়ে অ্যাকাডেমিক লোড ২৮ ঘন্টার মত ধরা হয়(এখন reference নাই হাতের কাছে)।

"প্রাইভেটের টাইম লোডের সাথে একটা জিনিস আগে ইচ্ছে করেই যোগ করি নাই: যাতায়াতের সময়। একবার যেতে আসতে মোট ২ ঘন্টার মতো সময় ব্যয় হওয়ার কথা। লোড যদি ৩ ঘন্টাও হয়, সেটা একসাথে পরপর ৩ ঘন্টা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। সুতরাং একবার গিয়ে-এসেই কাজ হবে না।"

১/২ দিন যেতে হয়। ১ দিন, যদি এম এস ক্লাস হয়। ২-৪ ঘন্টা ধরতে পারেন।

তাহলে মোট হয় ৩৩-৪৫ ঘন্টা, গড়ে ৩৯।

আরেকটা বিষয় হল যদি রেগুলার ক্লাস চলে, তাহলেও বছরে ৪-৫ মাস ক্লাস হয় না।

সিসিফাসকে ধন্যবাদ। সময় নিয়ে পরে কথা বলব।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আরো কিছু তথ্য যোগ হলো। ধন্যবাদ। আমি অবশ্য এখনো পুরো হিসাব মিলাতে পারছি না।

কিছু জিনিস বুঝলাম (ধারণা করছি বুঝেছি হাসি )। যেমন, থিওরি ও সেশনাল মিলিয়ে ক্লাসটাইম ৯ ঘন্টা। প্রথমে ১৫ থেকে ২৪ ঘন্টা বলায় আমার মনে হয়েছিলো বুয়েট শিক্ষকরা কত পরিশ্রম করে এতো ঘন্টা ক্লাস ম্যানেজ করেন। আসলে জিনিসটা তা না। তবে ৯ ঘন্টা অধিক যুক্তিসঙ্গত। আমি একটা ইউনিতে কাজ করার সময় যতদূর মনে পড়ে ১৮-২০ ঘন্টা ক্লাস প্লাস ল্যাব নিতে হতো। সে তুলনায় বুয়েটের জব অনেক রিল্যাক্সিং ও সেন্স মেকিং।

আন্ডারগ্রাড সুপারভিশনের কাজটার জন্যও প্রস্তুতির সময় দরকার। থিসিস টপিক বের করা, সে বিষয়ে নিজে পড়াশুনা করা, ছাত্রদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেওয়া ও দেওয়া।

সেশনালের লোডের ব্যাপারটা বুঝি নাই। ৩ জন টীচার মিলে ৬ ঘন্টা, নাকি প্রত্যেকের ৬ ঘন্টা, নাকি ৩ জনই একসাথে ক্লাসে যান?

আরেকটা বিষয় হল যদি রেগুলার ক্লাস চলে, তাহলেও বছরে ৪-৫ মাস ক্লাস হয় না।

অর্থাৎ সেমিস্টার ব্রেক প্রায় ২ থেকে আড়াই মাস! এই ব্রেকটা কি প্রাইভেটের সাথে সিনক্রোনাইজ করে ফেলা হয়, নাকি বুয়েটে যখন ক্লাস চলে, তখনও প্রাইভেটে ফুল ডিউটি থাকে?

******************
বুয়েটের প্রস্তুতি আর ক্লাস নেয়া মিলিয়ে লোড যদি ২৮ ঘন্টা হয়, সেটা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। এরপরেও 'চিন্তা' করার মতো সময় অবশিষ্ট থাকে।

কিন্তু ঔরস্ট কেস সিনারিওতে এর সাথে কেউ প্রাইভেটে ৬ ঘন্টা ক্লাস নিলে বাড়তি লোড যোগ হয় ৬ গুণ ৩ যোগ ৪ মোট ২২ ঘন্টা, যা বুয়েটের লোডের প্রায় ৮০ শতাংশ। এটা যুক্তিসঙ্গত না। মূল জবের ৮০% একটা সাইড জব করতে গেলে প্রায়োরিটি বেসিসে মূলজবের দায়িত্বে অবহেলা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।

তবে প্রায়োরিটির বিষয়টা সময়ের চেয়েও আয়ের ওপর বেশি নির্ভরশীল। একজন প্রফেসর প্রাইভেটে সপ্তাহে ৬ ঘন্টা ক্লাস নিলে যেটা আয় করবেন, তা তার বুয়েটের বেতনের তুলনায় কেমন? একটা মোটামুটি নাম্বার বললেই চলবে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

sohel এর ছবি

"থিওরি ও সেশনাল মিলিয়ে ক্লাসটাইম ৯ ঘন্টা"। undergrad supervision কে ধরতে চান না কেন? আর আমি বলছিলাম সিএসইর কথা, যেখানে জুনিয়র টিচার বেশি আর সেশনাল লোড অনেকটা তারাই নেন।অন্য বিভাগে থিওরি ও সেশনাল মিলিয়ে ক্লাসটাইম ই বেশি হতে পারে।

"এই ব্রেকটা কি প্রাইভেটের সাথে সিনক্রোনাইজ করে ফেলা হয়, নাকি বুয়েটে যখন ক্লাস চলে, তখনও প্রাইভেটে ফুল ডিউটি থাকে?" প্রথমত কিছু জুনিয়র টিচার ছারা প্রাইভেটে খুব বেশি ক্লাস অনেকে নেন বলে মনে হয় না। মনে রাখতে হবে, অনেক বিভাগই প্রাইভেটে নাই। তাই "প্রাইভেটের সাথে সিনক্রোনাইজ করে ফেলা" বিষয়টা অমূলক। আর যারা ক্লাস নেন, একেক জন একেক জায়গায়, আর সেগুলো একি সময়ে শুরু-শেষ হয় না। তাই চাইলেও এটা পারা যাবে না।

"একজন প্রফেসর প্রাইভেটে সপ্তাহে ৬ ঘন্টা ক্লাস নিলে যেটা আয় করবেন, তা তার বুয়েটের বেতনের তুলনায় কেমন? একটা মোটামুটি নাম্বার বললেই চলবে।"

আমি যখন দেশে ছিলাম, সে হিসেবে ২.৫-৩ লাখ বছরে। আর বেতন বোধ হয় এখন ৫-৬ লাখ বছরে বুয়েটের বাসায় থাকলে। তবে প্রাইভেটে এত ক্লাস খুব বেশি টিচার নেন না।

(সিসিফাস) এর ছবি

@জনাব Shohel

১। http://ewubd.edu/~ahaque/ahaquePublications.pdf - নমস্য আনিসুল হকের ৪১ টা journal এর ৩৬-৩৯ এর ব্যাপারে sure না। বাকিগুলা বুয়েট বা বিদেশের। ৩৯-৪১ এর A. T. M. Golam Sarwar, Md. M. Satter - এরা বুয়েট টিচার। Private university তে গি্য়ে আনিসুল হক এত নলেজ এক্সচেইঞ্জ করে কি output পেলেন?

আনিসুল হক স্যারের ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করবার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইস্ট-ওয়েস্ট উপকৃত এবং তার আগমনের কারণে ইস্টওয়েস্টের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টিতে রিসার্সের আগ্রহ তৈরী হবে এবং কিছুটা চাপ আসছে/আসবে অন্যান্যদের উপর, এমন মন্তব্য শুনেছিলাম পরিচিত এক ইস্টওয়েস্টের প্রফেসরের কাছ থেকেই। যাহোক, ইস্ট-ওয়েস্ট ভার্সিটিতে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির পাবলিকেশান নিয়ে এই লিঙ্কেও চোখ বোলাতে পারেন। আপাতত ২০১১-১২ পর্যন্তই দেখতে বলছি।

লিঙ্ক

একজন আনিসুল হক স্যারের অভিজ্ঞতা থেকে ইস্ট-ওয়েস্ট এগিয়ে আসছে, অনুপ্রাণীত হচ্ছে। আমার মতে এগুলোকে অবশ্যই নলেজ ট্রান্সফার বলা যায়।

২। নমস্য রিজওয়ান খান ( http://203.208.166.84/rezwanm/pub.html ) বুয়েট ছাড়ার পর কিছু পাই না। হয়ত Updated তথ্যগুলো সরবরাহ করার দরকারই নাই। বাহ! কি নলেজ এক্সচেইঞ্জ!

বছর দুয়েক আগে স্যারের সাথে দেখা— ভার্সিটির গবেষণা এবং বর্তমান পরিস্থিতিতে নিয়ে কিছু আলোচনা শুনলাম স্যারের মুখেই। স্যার আশাবাদী, কারণ তারা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন। ভালো ফ্যাকাল্টি পাচ্ছেন, ছাত্রের মানও ক্রমেই ভালো হচ্ছে এবং সেই সাথে, ল্যাবও তৈরী করছেন তারা। এখন ভর্তি পরীক্ষা নিয়েই ভর্তি করেন এবং অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট যোগ্যতার ভিত্তিতে। বুয়েটের স্বনামধন্য একজন শিক্ষক রেজোয়ান খান স্যার যদি তাঁর প্রজ্ঞা ও জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অন্য একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা গ্রহণযোগ্য মানে পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেন ধীরে ধীরে, সেটা কে কি নলেজ ট্রান্সফারের আওতাভুক্ত বলা হবেনা? যাহোক, আপাতত গবেষণার ভাষাতেই রেজোয়ান স্যারের নলেজ ট্র্যান্সফারের কিছু কথা বলা যাক।

এ সংক্রান্ত তথ্যটুকু নিতে রেজোয়ান স্যারের ছেলেকে ফোন দিলাম— জিজ্ঞেস করলাম স্যার বর্তমানে গবেষণা চালু রেখেছেন কি না? এবং চালু রাখলেও, কাদের সাথে গবেষণা করেন এবং কোন বিষয়ের উপর করেন, পাবলিকেশান কি। স্যারের ছেলের মুখে যা শুনলাম আপাতত সেটাকেই আমি সত্য বলতে ইচ্ছুক এবং সংক্ষেপে নীচে বলছি তুলে ধরছি।

স্যার ইউনাইটেড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকান্ডের পরও এখনও গবেষণা করে যাচ্ছেন(স্যারের গবেষণার আগ্রহের প্রমাণ পেয়েছিলাম স্যারের সাথে দেখা হবার সময়ই, তখন তিনি সোলার সেল সংক্রান্ত কিছু বিষয়াদী নিয়ে কথাবার্তা বলছিলেন। তবে আমি সোলার-সেলের ব্যাপারে নিতান্তই অজ্ঞ বিধায় স্যারের কথা ও চিন্তাগুলো মনে রাখতে পারি নাই)। স্যারের গবেষণার সহকর্মীরা হলেন—

১। ভার্সিটিতে নতুন নিযুক্ত লেকচারারগণ।
২। ভার্সিটির নিজস্ব ছাত্ররা (তবে কম)।
৩। মাঝে মাঝে বুয়েটের ছাত্ররাও স্যারের কাছে যান।

পাবলিকেশানঃ

কনফারেন্স পাবলিকেশান করেন গবেষণালব্ধ ফল থেকে। (রিসার্স ও পাবলিকেশান সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত তথ্য স্যারের ছেলের কাছ থেকে পাবার আশা রাখছি)

হ্যাঁ, অনেক কিছুই আপডেট থাকেনা বাংলাদেশের শিক্ষকদের ওয়েবসাইটে। এটাতো বুয়েটের অনেক শিক্ষকের ক্ষেত্রেও খাঁটে! তাই বলে “হয়ত Updated তথ্যগুলো সরবরাহ করার দরকারই নাই” এমন মন্তব্য অনভিপ্রেত। বললে অত্যুক্তি হবে না যে আপনার মন্তব্যে কিছুটা তাচ্ছিল্যের গন্ধ পেলাম!

৩। [b]আরেকজন বুয়েট ছাড়ার পর কিছু নাই: http://www.informatik.uni-trier.de/~ley/db/indices/a-tree/r/Rahman:Chowdhury_Mofizur.html
[/b]
- উনার ব্যাপারে আমার তেমন জানাশোনা নাই। তবে আপনার "আরেকজন" শব্দের ব্যাবহারের পরিবর্তে প্রফেসরের নামটি দিলে বেশী ভালো হতো বলে মনে করছি।

৪। ড: কায়কোবাদ ২ বছর NSU তে ছিলেন ২০০৫-৭ এর সময়। ৭/৮ টার একটাও Private university ছাত্র নিয়ে না। (http://www.informatik.uni-trier.de/~ley/db/indices/a-tree/k/Kaykobad:Mohammad.html)।

কায়কোবাদ স্যার দু-বছর শুধু BUET এর ছাত্রদের নিয়েই নর্থ সাউথ ইউনিভার্টিতে ছিলেন এমন তথ্যকে জোরালো ভাবে খন্ডানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ আমি নর্থ সাউথের ছাত্রও নই, আবার কায়কোবাদ স্যারের জীবন কাহিনীর লেখকও নই। তবে ইন্টারনেট ঘেটে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির একজন পি,এইচ,ডি ছাত্র জনাব জাহিদের ওয়েব সাইটের সন্ধান পেলাম- লিঙ্ক এখানে।

ওয়েব সাইটে জনাব জাহিদ তার আন্ডারগ্র্যাডের প্রজেক্টের ক্ষেত্রে লিখেছেন—

 Faculty Advisor: Dr. Khaled Mahmud, Co-Advisor: Dr. Md. Kaykobad, Co-Advisor: Mr. Munirul Islam

সেপ্টেম্বার ২০০৬ সালে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে জাহিদ প্রথমে কানাডার Simon Fraser University থেকে মাস্টার্স করেন এবং পরবর্তীতে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পি,এইচ,ডি প্রোগ্রামে যোগ দেন। অন্তত, এতটুকু আমার মনে হচ্ছে যে এখানে কায়কোবাদ স্যার কিছুটা হলেও জনাব জাহিদের কাছে “নলেজ ট্রান্সফার” করতে পেরেছিলেন, হয়তো দিয়েছিলেন নামী-দামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবার জন্য প্রয়োজনীয় সাহস এবং সুন্দর পরিকল্পনা। আমি নিশ্চিত নর্থ-সাউথের ২ বছরের জীবনে এরকম "আরও কিছু জাহিদকে" কায়কোবাদ স্যার তার অভিজ্ঞতা থেকে কিছুটা হলেও শেয়ার করতে পেরেছিলেন।

পাশাপাশি, এসিএম প্রোগ্রামিং কম্পিটিশান ২০০৭ যা ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়েছিল তার ফলাফল খুঁজে পেলাম— লিঙ্ক এখানে।

১। বুয়েট ২। চীনের ফুদান ৩। ইস্ট-ওয়েস্ট ৪। নর্থ সাউথ ৫। ঢাঃবিঃ ৬। বুয়েট ৭।বুয়েট ৮। চুয়েট ৯। বুয়েট ১০। ঢাঃবিঃ

আশাকরি, এখানে তথ্যগত কোন ভুল নেই। যেহেতু কায়কোবাদ স্যার অতীতে বিশাল অবদান রেখেছেন এই প্রতিযোগীতায় বুয়েটের ভালো করবার পেছনে, তাই অন্তত এটা ধারণা করা বড় ভুল হবেনা যে নর্থ-সাউথ থাকা কালীন সময়ে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতা সংক্রান্ত বিষয়াদিতে কিছুটা “নলেজ-ট্রান্সফার” স্যার করতে পেরেছিলেন (যদিও নর্থ সাউথের টিমের কোচ হিসেবে স্যারের নাম দেখলাম না) ছাত্রদের মাঝে। উল্ল্যেখ্য যে, বুয়েট-ঢাঃবিঃ এর অনেক নামী-দামী টিমকেও পেছনে ফেলে সেই প্রতিযোগীতায় নর্থ-সাউথ এগিয়ে গিয়েছিল। আর হ্যাঁ, বুয়েটের অনেক টিমকে পেছনে ফেলেই টপ-১০ এর মাঝে কিন্তু আরেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইস্ট-ওয়েস্টও আছে। সেক্ষেত্রে এটাও বলা যায় যে— ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রদের প্রত্যেকে পরবর্তীতে তাদের মেধাকে কতটুকু ব্যাবহার করছে সেটাই বেশী গুরুত্বপূর্ণ!

কায়কোবাদ স্যারের সামান্য নলেজ ট্রান্সফারের ছোয়া নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ধরে রাখতে সক্ষম হন ২০০৯ এ এসেও— লিঙ্ক

হ্যাঁ, বুয়েটে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে কিছু শিক্ষকদের নেতৃত্বে আসলেই ভালো কিছু কাজ হচ্ছে, এটা আমার অজানা নয়। যেমন-- সাইদুর রহমান স্যার, মোস্তফা আকবর স্যার। তবে পুরো বুয়েটের অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের ব্যাপারে আমি আমি নিশ্চিত নই। আর, আপনার পুরো মন্তব্যে কিছুটা তাচ্ছিল্যের ছায়া দেখতে পেলাম (আমার মূল্যায়ন সেরকমই)— শুধুমাত্র বুয়েট থেকে বের হয়ে প্রাইভেট ভার্সিটির শিক্ষক হবার কারণেই হয়তো একদা বুয়েটের অত্যান্ত বিখ্যাত কিছু টিচারদের নলেজ এক্সেইঞ্জ আপনার চোখে পড়ছেনা বা “হয়ত Updated তথ্যগুলো সরবরাহ করার দরকারই নাই। বাহ! কি নলেজ এক্সচেইঞ্জ!” এবং “আরেকজন” টাইপ কথা ব্যাবহার করতে প্ররোচিত করেছে। একটা কথা আবারো পরিষ্কার করা দরকার-- নলেজ এক্সেইঞ্জ বলতে আমি শুধু পাবলিকেশান করাকে বুঝিনা।

পুনশ্চঃ ICCIT তে প্রচুর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গবেষণা পেপার দেখেছি। আমার তো মনে হয় ধীরে ধীরে ওরাও এগিয়ে আসছে। আর আমাদের গণ-A,A+ এর যুগে স্বাভাবিক ভাবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ও কিছু ভালো ছাত্র পাচ্ছে শুধুমাত্র সিস্টেমের কারণেও। এই ধারাবাহিকতাতেই বুয়েটের ছাত্ররা প্রতিদ্বন্দীতার সম্মুখীন হচ্ছেন অন্যান্য বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কাছ থেকে--- লোকাল জব মার্কেটে আমার অভিজ্ঞতা অন্তত সেরকমই বলে।

(সিসিফাস) এর ছবি

* জনাব Sohel

টাইপোর জন্য স্যরি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

সিসিফাস, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অনেকগুলো টু-দ্য-পয়েন্ট তথ্য জানা গেলো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাফি এর ছবি

সিসিফাস,
সোহেল এর মন্তব্যটা এসেছে অচ্ছুৎ বলাইয়ের মন্তব্যের প্রতু্যত্তরে। অচ্ছুৎ বলাইয়ের সেই মন্তব্যে কী ছিল দেখি আগে -

কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে।

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ধীরে ধীরে এগিয়ে আসবে এইটাই স্বাভাবিক এবং কাম্য। বুয়েটের কে কোন বিষয়ে অধ্যয়ন করবে, তা সাধারনত নির্ভর করে প্রথমে অবশ্যই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলের উপরে আর তারপরে "ট্রেন্ড" এর উপরে। যার ফলে দেখা যায় যে ছেলেটার ছোটকাল থেকেই হয়ত অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ আগ্রহ সে মেকানিক্যালে না পড়ে, ভর্তি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার পরে পরিবারের চাপে কম্পিউটার বা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়তে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে একটা সময় পরে সে পড়ালেখার আগ্রহই হারিয়ে ফেলে। ব্যতিক্রম আছে তবে খুব কম। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মডেলটা সেক্ষেত্রে অনেক ফ্লেক্সিবল। উদাহরন হিসেবে বলি, ওমর আল জাবির এর কথা। বুয়েটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ এক বছর পড়ার পরে সে এআইউবি তে চলে যায়। সেখানে কম্পিউটার সাইন্সে পাশ করে। বাংলাদেশের কম্পিউটার প্রফেশনে যুক্তরা তাকে চেনেনা এমন আপাতত নেই। কিন্তু এর পেছনে এআইউবির ভূমিকার চেয়ে তার ব্যক্তিগত আগ্রহ কাজ করেছে অনেক বেশী। এরকমই আরেকটা ছেলের যার হয়ত এআইউবি তে যাওয়ার সামর্থ নেই, সে কিন্তু ৫ বছরে কোন মতে টেনেটুনে সিভিল থেকে পাশ করে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা জীবন যাপন করছে।

অফটপিক - আপনি আমার ব্লগের সিসিফাস হলে, আপনার কিছু লেখা পড়েছি এবং ভাল লেগেছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার মন্তব্যের খন্ডিত অংশ, যা আমার বক্তব্যের রেপ্রেজেন্টিটিভ না, তা কোট হলো কেন বুঝতে পারলাম না। তার মধ্যে আবার যে অংশ বোল্ড করে হাইলাইট করেছেন, তা আরো মিসলিডিং। আপনারও কি ধারণা, আমি বুয়েট ভালো, না প্রাইভেট ভালো সেই তুলনার জন্য ওই মন্তব্য দিয়েছি?

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাফি এর ছবি

আপনি বুয়েট ভাল না প্রাইভেট ভাল সেই তুলনার জন্য মন্তব্য দেননি বরং আপনার অভিজ্ঞতালব্ধ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আমি সেটাই কোট করেছি। এখানে এই অংশ হুবুহু আপনার বক্তব্য থেকে কোট করা, সেটা দিয়ে কাকে কিভাবে মিসলিড করলাম তা বোধগম্য হলোনা।

আপনার অভিজ্ঞতার বিপরীতে সোহেল বুয়েটের কিছু পাবলিকেশনের লিস্ট দিয়েছেন। সোহেলের জন্য সিসিফাস প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষনার দুই একটা উদাহরন দিয়েছেন এবং রিমার্ক করেছেন - "আমার তো মনে হয় ধীরে ধীরে ওরাও এগিয়ে আসছে।" সিসিফাসের অনুধাবনের সাথে আমিও একমত যে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এগিয়ে আসছে, কিন্তু এগিয়ে গেছে আপনার এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত নই।

sohel এর ছবি

@অছ্যুৎ বলাই, মন্তব্য ৫৫-৭৮, ১৬২-১৬৮ এ ৫/৬ জন "কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে।"- আপনার এই মন্তব্য, বিশেষত বোল্ড করে হাইলাইট করা জায়গাটা নিয়ে আলোচনা করেছে। আপনি এখন "যা আমার বক্তব্যের রেপ্রেজেন্টিটিভ না", "তা আরো মিসলিডিং" এসব কেন বলছন?

গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ -এর tangible end product হল নিজেদের পাবলিকেশন। সেখানে আপনি কোনো উদাহরণ-ই দেন নি। সিসিফাসের এ বিষয়ে মন্তব্য নিয়ে কিছু আলোচনা করব, একটু সময় নিয়ে।

আমি বলার আগে সাফি বলে ফেলল, "আমার তো মনে হয় ধীরে ধীরে ওরাও এগিয়ে আসছে।"- সিসিফাসের এই কথার সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। "... অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে।" আর "ওরাও এগিয়ে আসছে।"- এই দুইয়ের ব্যবধান কতটুকু?

সাফিকে ধন‌্যবাদ খুব টু-দ্য-পয়েন্ট মন্তব্যের জন্য।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এখানে এই অংশ হুবুহু আপনার বক্তব্য থেকে কোট করা, সেটা দিয়ে কাকে কিভাবে মিসলিড করলাম তা বোধগম্য হলোনা।

এর আগের বাক্য কোট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে, যেটা বক্তব্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। হাইলাইট করা অংশের সিদ্ধান্তের বেসিস 'আমার অভিজ্ঞতা', এটাকে ধ্রুবসত্য বলে দাবি করি নাই। কারণ, ডিটেলস তথ্য আমার জানা নাই শুরুতেই বলেছি। এজন্যই প্রাইভেট ভার্সেস পাবলিক খুঁজে খুঁজে লিস্ট করতে যাই নাই। এজন্যই আরো কিছু বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনায় যাই নাই। যেমন, সোহেল যে লিস্ট দিয়েছেন, সেটা ইন জেনারেল বুয়েটকে রেপ্রেজেন্ট করে কিনা, এটাও দেখার বিষয়। সোহেল নিজ উদ্যোগে ফান্ডিং এর ব্যবস্থা করেছেন, যা প্রশংসার; অন্য শিক্ষকরাও সেটা করেন কিনা, এই সিনারিওতে সেটাও ভালোভাবে আসা দরকার। পাবলিকেশনের মান কেমন, এটাও হিসেবে আসতে হবে। এক্সটার্নাল ফান্ডিং এ গবেষণার অর্থের পরিমাণ, গবেষণার মান, কোলাবোরেশন - এ বিষয়গুলাও আসবে। এরকম অনেকগুলো ফ্যাক্টর যোগ করার পরেই কে কার চেয়ে এগিয়ে সেই রায় দেয়া যাবে। ৩/৪ জন শিক্ষকের সিভি দেখেই বুয়েট ভার্সেস প্রাইভেট গবেষণায় কে এগিয়ে এই রায় দেয়া যায় না। কেউ যদি এরকম তথ্যসমৃদ্ধ গবেষনা করে পোস্ট দেন, সেটা বিরাট একটা কাজ হবে।* কিন্তু আমার কনসার্নের সাথে এই বিশাল প্রোসেসটা খুব দরকারী না।

কারণ,

সিসিফাসের অনুধাবনের সাথে আমিও একমত যে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এগিয়ে আসছে

এটা সত্য হলেই আমার কনসার্নের জন্য এনাফ। কারণ, এতেই প্রমাণিত হয় যে, বুয়েট ছাড়া আর সব ভুদাই অনেকের এই অ্যাটিটিউড সমস্যার। এখানে যে একটা ভ্যালিড প্রতিযোগিতা আছে, বুয়েটের মনোপলি নাই - এটা বুঝতে পারলেই হলো। বুয়েটের স্বার্থেই প্রতিযোগিতার বিষয়টি আমলে নিয়ে ইমপ্রুভমেন্ট চালু রাখা দরকার। বর্তমান ইস্যুতে কিছুদিন পরপর শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন কোনোভাবেই সেই ইমপ্রুভমেন্টের পক্ষে যাচ্ছে না।

*[যদিও বয়স এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক বছরের প্রাইভেট বা সদ্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়া অন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো এখনই এগিয়ে থাকার আসা করা যায় না।]

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সাফি এর ছবি

আগের যে বক্তব্য বাদ দেওয়া হয়েছে তাতে বলেছেন -

"বাইরের ইউনিভার্সিটির সাথে কোয়ালিশন সম্পর্কে আমি ডিটেলস তথ্য জানি না"

এই কারণে সোহেল বা সিসিফাসের আলোচনায় এই পয়েন্ট উঠেনি, যেইটা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা আছে (পাবলিকেশন) তারা সেইটারই উদাহরন দিয়েছে। এই কারণেই কোট করতে যেয়ে আমি এই লাইন বাদ দিয়েছি। কারণ এইটা নিয়ে আলোচনা হয়নাই। আপনি যে অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন ধ্রুব সত্য বলেন নাই সেটাও আমার মন্তব্যে বলা আছে। তাহলে কিভাবে মিসলিড করলাম খন্ডিত বক্তব্য দিয়ে এই উত্তর আপনার উপরের মন্তব্যে পেলাম না এখনও। আশা করি যুক্তি দিয়ে পরিষ্কার করবেন।

বুয়েট ছাড়া আর সব ভুদাই এই অ্যাটিচিউড সমস্যার তো বটেই - এইটা শুধু বুয়েট না সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। "আম্নে আমাত্তে বেশী বুজেন" মানুষের ক্ষেত্রেও।

কী কী অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলোকে বুয়েট থেকে এগিয়ে রাখলেন সেই সম্পর্কে জানতে আগ্রহ বোধ করছি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই কারণে সোহেল বা সিসিফাসের আলোচনায় এই পয়েন্ট উঠেনি, যেইটা নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা আছে (পাবলিকেশন) তারা সেইটারই উদাহরন দিয়েছে।

এইটা আরেকটা লস্ট ইন ট্রান্সলেশন কেস। আমার অভিজ্ঞতার উদাহরণগুলো (মন্তব্য ৩৯) দেখলেই বুঝা যাবে, সেগুলো মূলত কোয়ালিশন রিলেটেড, পাবলিকেশন রিলেটেড না। কোয়ালিশন, পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেঞ্জ আর এই জাতীয় টাকা পয়সা প্লাস রিসার্চের বিষয় এক প্যাকেজ হিসেবে দেখেন, তাইলে আলাদা আলাদা বাক্য আর শব্দগুচ্ছের ইন্টারপ্রেটেশন আলাদা আলাদা হবে না।

কী কী অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলোকে বুয়েট থেকে এগিয়ে রাখলেন সেই সম্পর্কে জানতে আগ্রহ বোধ করছি।

এটা ৩৯ নম্বর মন্তব্যে একবার বলেছি, দেখেন।

অভিজ্ঞতা: ১) নিজের: বুয়েটে নিজের গবেষণার কাজের ওপর একটা প্রেজেন্টেশন দিতে চেয়েছিলাম। এক স্যার আরেক স্যারকে রেফার করেন। রেফার করা স্যারকে অনেকবার ইমেইল করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায় নাই।
২) একই ঘটনা আরো কয়েকজনের ক্ষেত্রে ঘটেছে।
৩) আমার ইউনিগুলোতে অন্য ইউনির সাথে কোলাবোরেশনের কারণে শিক্ষক ও ছাত্রদেরকে ভিজিট করতে দেখেছি।

বুয়েট ছাড়া আর সব ভুদাই এই অ্যাটিচিউড সমস্যার তো বটেই - এইটা শুধু বুয়েট না সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

এইটা বুঝলে আর কনফ্লিক্টের কিছু আছে বলে মনে হয় না।

অনেকেই এতগুলা মন্তব্যের মধ্যে আমি ক্লারিফাই করার পরেও এই একটা শব্দগুচ্ছের ভুল ইন্টারপ্রেটেশন নিয়ে গুতোগুতি দেখে মনে হচ্ছে বুয়েট নিয়ে অ্যাটিটিউড সমস্যাটা অনেক বুয়েটিয়ানের আছেই। উপরে দেখেন, আমি বুয়েটিয়ান না বলেই বুয়েটের দুর্নাম করতে এসব লিখছি, এই অভিযোগও আছে। বুয়েট অনেকের কাছেই ধোয়া তুলসী পাতার মতো বিশুদ্ধ জিনিস! তার সমস্যা আছে বা থাকতে পারে বললেই ব্ল্যাসফেমীর পাপ হয়। তবে তাতে বাস্তবতা পালটায় না। রাজনৈতিক খুনোখুনি ছাড়াও শখ করে বুয়েট বন্ধ খুব সম্মানের বিষয় না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

sohel এর ছবি

" সোহেল নিজ উদ্যোগে ফান্ডিং এর ব্যবস্থা করেছেন, যা প্রশংসার; অন্য শিক্ষকরাও সেটা করেন কিনা, এই সিনারিওতে সেটাও ভালোভাবে আসা দরকার।" -
আমিতো আমার কিছু করার কথা তো বলিনি।
"কেউ যদি একটা লিস্ট দিয়ে দেখান যে বুয়েট শিক্ষকরা গবেষণার জন্য এক্সটার্নাল ফান্ড পেতে কতোটা তৎপর, তাহলে আমি খুবই খুশি হবো।" - এর জবাবে বললাম:
"... MIT, Stanford, UCLA, Tohuku, Monash - এদের Collaboration আছে/ছিল। http://teacher.buet.ac.bd/saidurrahman/saidur%20rahman%20sir%20(jay%20jay%20din).jpg - এখানে একটা পাবেন। http://www.buet.ac.bd/ce/ এখানে দেখতে পারেন। বুয়েট Web-site এ আরো অনেক পাবেন।"

"সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বুয়েট শিক্ষকদেরকে প্রো-অ্যাকটিভলি কাজ" এর নমুনা হিসেবে গত ৪-৫ বছরে অনেক ভাল পাবলিকেশনের কথা বলেছি। এটা সবাই করেন।

"৩/৪ জন শিক্ষকের সিভি দেখেই বুয়েট ভার্সেস প্রাইভেট গবেষণায় কে এগিয়ে এই রায় দেয়া যায় না।" - পুরো পেইজে ৭/৮ জনের কথা এসেছে। ছোটো পরিসরে এটাই অনেক মনে হয়।

"পাবলিকেশনের মান কেমন, এটাও হিসেবে আসতে হবে।" - খুবই দরকারি কথা। সিসিফাসের " ICCIT তে প্রচুর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গবেষণা পেপার দেখেছি।"-এটা দেখে ভাবছিলাম কেউ এমন কিছু বলবেন কিনা।
আপনি চাইলে ডিটেইল আলোচনা শুরু করা যায়। আমি আপাতত থিওরেটিকাল সি এস (সি এস-এর একটি অভিজাত এলাকা, অনেকটা সাহিত্যে কবিতার মত!) এ বুয়েটের ভাল পাবলিকাশন গুলার, যেগুলা বুয়েটেই করা, একটা তালিকা দেই। আপনারা অনেকেই আছেন, যারা গবেষণায় জড়িত, অন্যমত থাকলে বলতে পারেন:
Journal:

Computational Geometry: Theory and Applications
Journal of Graph Algorithms and Applications
Computational Geometry
International Journal of Computer Mathematics
Journal of Computational Biology
International Journal of Unconventional Computing
International Journal of Computational Geometry and Applications
Natural Computing
Graphs and Combinatorics
Mathematics in Computer Science
Journal of Discrete Algorithms
Information Processing Letters
Discrete Mathematics, Algorithms and Applications (DMAA)
INFOCOMP Journal of Computer Science
Int. Journ. of Unconventional Computing
Journal of Computational Biology
Journal of Supercomputing

Conferences

COCOON
Canadian Conference on Computational Geometry (CCCG)
Computing and Combinatorics, International Conference (COCOON)
Graph Drawing - 18th International Symposium (GD)
Japan Conference on Computational Geometry and Graphs (JCCGG)

(সিসিফাস) এর ছবি

মন্তব্যের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ধরলেও জনাব সোহেলের মন্তব্যে উল্ল্যেখিত ৪ পয়েন্টের ক্ষেত্রে অর্থের কোন তারতম্য ঘটেনা। তাছাড়া একটি অসম্পূর্ণ তথ্য ব্যাবহার করা হচ্ছিল পূর্বের মন্তব্যে--

রিজওয়ান (জনাব সোহেলের বানানটাই অনুসরণ করলাম) খান স্যারের বর্তমান গবেষণা ও পাবলিকেশান জানতে বুয়েটের ওয়েবসাইটের রেফারেন্স যৌক্তিক হয় কিভাবে! যে আই,পি ( http://203.208.166.84/rezwanm/pub.html) উল্ল্যেখ আছে রিজওয়ান খান স্যারের লিঙ্কে তা বুয়েটের ওয়েবপোর্টালকে নির্দেশ করে, এবং সেখানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজওয়ান খান স্যার তার পাবলিকেশান লিস্ট আপডেট করবেননা এটাই সম্ভবত স্বাভাবিক।

আমি শুধু দেখিয়েছি যে কায়কোবাদ স্যার, আনিসুল হক স্যার বা রিজওয়ান খান স্যাররা বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে স্বার্থকতার সাথে তাদের নলেজ এক্সেইঞ্জ করতে পেরেছেন। যে তাচ্ছিল্যটুকু দেখানো হচ্ছে (আমি সেভাবেই মূল্যায়ন করছি) তথ্য-প্রমাণ সহকারে তার বিপরীতে কিছু তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরার তাগিদ থেকেই আগের মন্তব্যটি করেছিলাম।

আপনি আপনার এক পরিচিত ছাত্রের উদাহরণ টানলেন, সুন্দর উদাহরণ। ব্যাপারটাকে এভাবে দেখা যাক-- আপনার আলোচ্য ছাত্র যিনি বুয়েটের সিভিলে ছিলেন, তিনি মনে করেছিলেন যে বুয়েট ছেড়ে এই,আই,ইউ,বি-এর কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হলে তিনি তার স্বপ্ন ও সামর্থ্যকে যথাযথভাবে সমন্বয় করতে পারবেন কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা (শিক্ষক কোয়ালিটি, পড়াশুনার পরিবেশ ও অন্যান্য কিছুর বিবেচনায়) ব্যাতিরেকেই। আলোচ্য জনাব জাবির এতটুকু আস্থা রেখেছিলেন যে বাংলাদেশের প্রকৌশল শিক্ষার সেরা স্থানটির সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এই,আই,ইউ,বিতে গেলে তিনি একাডেমিক্যালী একটি সহায়ক পরিবেশই পাবেন যা কোন মতেই তার ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্থ করবেনা। এই যে আস্থাটুকু তৈরী করা, এখানেই এই,আই,ইউ,বির সাফল্য।

এখানেই বুয়েটের সিদ্দিক হোসেন স্যার বা অন্যান্য যারা এ,আই,ইউ,বি-এর সাথে এখন জড়িত আছেন বা অতীতে ছিলেন, তাদের নলেজ এক্সেইঞ্জ ক্যাপাবিলিটির সুস্পষ্ট প্রমাণ বহন করে।

এরকমই আরেকটা ছেলের যার হয়ত এআইউবি তে যাওয়ার সামর্থ নেই, সে কিন্তু ৫ বছরে কোন মতে টেনেটুনে সিভিল থেকে পাশ করে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা জীবন যাপন করছে।

সুন্দর অবজার্ভেশান। আমার একাধিক পরিচিত ছাত্র আছেন যারা সিভিল থেকে পাশ করে আই,বি,এ থেকে এম,বি,এ করে এখন ব্যাঙ্ক বা বিভিন্ন নন-টেকনিক্যাল চাকরীতে নিযুক্ত আছেন। এক্ষেত্রে আমার মনে হয় “ডুয়েল মেজরের” কথা বিবেচনায় রাখা যেতে পারে, যেমনটা করা হচ্ছে প্রফেসর জাফর ইকবাল স্যারের নেতৃত্বে সাস্ট-এ। আপনাদের ফোরামে এসব ইস্যুতে আলোচনা চালানোর চেষ্টা করে দেখতে পারেন, আমার মনে হয় “ডুয়েল মেজরের” মতন কিছু একটা করা গেলে অনেক ছাত্রই তাদের স্বপ্ন ও প্রাতিষ্ঠানিক অর্জনের ব্যাবধান কমাতে সক্ষম হবে এবং একই সাথে পরিবারেরও মন রক্ষা করতে পারবেন।

এছাড়া, নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করা মন্তব্য ব্লগার অচ্ছ্যুত বলাই যথেষ্ঠ যৌক্তিক ভাবেই ডিফেন্ড করছেন, এখানে আমার কিছু বলবার নেই।

অঃটঃ
হ্যাঁ, আপনার ধারণা সঠিক, আমি আমারব্লগের (সিসিফাস)। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

(সিসিফাস) এর ছবি

কারেকশানঃ

"ডুয়েল মেজর" নয়, "সেকেন্ড মেজর" হবে কথাটি।

sohel এর ছবি

"যে তাচ্ছিল্যটুকু দেখানো হচ্ছে" - কোনো তাচ্ছিল্য দেখানো এখানে অভিপ্রেত নয়, "বুয়েটে কিছু করতে গেলে বুয়েট শিক্ষকদেরকে তেলাতে হয়" ধরণের মন্তব্যে বিপরীতে ভাষা ব্যবহার নেতিবাচক হতে পারে, সেই নেতিবাচকতা মন্তব্যের প্রতি, আলোচনায় আসা কারো প্রতি নয়। উনারা খ্যাতিমান আর আলোচনায় রিলেটেড, আর তাই আলোচনায় এসেছেন, উনাদের ছোটো করার কোন অভিলাষ বা যোগ্যতা আমার নাই।

বুয়েট টিচার শাকিল আখতার এর নামে কোনো প্রমাণ না দিয়ে যে মন্তব্য করা হয়েছে, সেটা আপনার কি মনে হয়?

"রিজওয়ান (জনাব সোহেলের বানানটাই অনুসরণ করলাম) খান স্যারের বর্তমান গবেষণা ও পাবলিকেশান জানতে বুয়েটের ওয়েবসাইটের রেফারেন্স যৌক্তিক হয় কিভাবে! যে আই,পি ( http://203.208.166.84/rezwanm/pub.html) উল্ল্যেখ আছে রিজওয়ান খান স্যারের লিঙ্কে তা বুয়েটের ওয়েবপোর্টালকে নির্দেশ করে, এবং সেখানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজওয়ান খান স্যার তার পাবলিকেশান লিস্ট আপডেট করবেননা এটাই সম্ভবত স্বাভাবিক।" - জেনারেলি খুজে আর কিছু তো পেলাম না। আপনিও পেলেন না। তাই এই লিস্ট কেই রেফার করা।

(সিসিফাস) এর ছবি

জেনারেলি খুজে আর কিছু তো পেলাম না। আপনিও পেলেন না। তাই এই লিস্ট কেই রেফার করা।

পাবলিকেশানের তালিকা খুঁজে পেতে আপনি অন্ধকারে হাতড়াচ্ছেন এবং আপনি হাতড়াচ্ছেন দেখে যে অন্যরাও হাতড়াচ্ছে এমনটা মনে করে নিচ্ছেন। আপনি খোঁজ না পেলে জগতের অন্য কেউ খুঁজে বের করতে পারবেনা-- এমন আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্লগিং করতে আসলে ব্যাপারটা কেমন হয়! নীচের থ্রেডে মন্তব্য শেষ করেছি আগের মন্তব্যে দিয়ে। সময় স্বল্পতার কারণে এই থ্রেডও এই মন্তব্য দিয়েই শেষ করছি।

১। রিজওয়ান স্যার তাঁর নতুন কোন কাজই আর অনলাইনে আপডেট করেন নাই বিগত বছরগুলোতে, এটা স্যারের ছেলের ভাষ্য। ভিসির চাকরীর পাশাপাশি এখনও তিনি রিসার্স করে চলেছেন- এটা সত্য বলেই মেনে নিন। রিজওয়ান স্যারের আরেকটু বিস্তারিত (অথচ আপডেটেড নয়) প্রোফাইল দেখুন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ভার্সিটির নিজস্ব ওয়েব পোর্টালে। এখানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ২০০৬-২০০৭ পর্যন্ত সমাপ্ত কিছু প্রজেক্টের নামও পাবেন।

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েরও নিজস্ব ওয়েব সাইট থাকে, গুগুলে ঘোরাঘুরি করলে সেগুলোর সন্ধান পাওয়া যায়! ইস্ট-ওয়েস্ট ভার্সিটির পাবলিকেশানের লিঙ্কও পাওয়া যায়, আপনাকে আগেই দেখিয়েছি।

যাহোক, রিজওয়ান স্যারের ঐ লিঙ্কে গেলে পেজ-এর বাম দিকের "পাবলিকেশান, কনফারেন্স, প্রজেক্ট" এরকম আরও কিছু লিঙ্ক দেখতে পাবেন।

নীচের লিঙ্কগুলোতে গিয়ে প্রফেসরদের সম্মন্ধে তথ্য জানতে একই ভাবে খুঁজে দেখেন, গবেষণা সংক্রান্ত অনেক তথ্যই সেখানে দেওয়া আছে।

২। চৌধুরী মফিজুর রহমান স্যারের প্রোফাইলও একই ভাবে দেখে নিন। আশাকরি এখানে অনেক আপডেটেড তথ্য পাবেন।

৩।

৩। অন্যান্য শিক্ষকের প্রোফাইলও দেখে নিন। প্রচুর আপডেটেড তথ্য পাবেন।

sohel এর ছবি

"আপনি খোঁজ না পেলে জগতের অন্য কেউ খুঁজে বের করতে পারবেনা" - আপনিও কোনো লিঙ্ক দেননি বলেই আপনিও পেলেন না বলা। আপনার attitude এখন attacking হয়ে এসেছে। ফলে আমাকেও এখন কঠোর হতে হবে। "নলেজ এক্সচেইঞ্জ" এর ফল হিসেবে পাবলিকেশনের কথা বলা, আর অন্য ইউনিতে গিয়ে “নলেজ ট্রান্সফার” এর ‌ব্যবধান বুঝে ব্লগিং করতে আসুন। সাফির মন্তব্য "সিসিফাস, সোহেল এর মন্তব্যটা এসেছে অচ্ছুৎ বলাইয়ের মন্তব্যের প্রতু্যত্তরে।"-আবার দেখুন। আর আপনার "আমার তো মনে হয় ধীরে ধীরে ওরাও এগিয়ে আসছে।"-এই কথার সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই, এটাও আগেই বলা মন্তব্য ১৯৬ এ। ৩ টা পয়েন্টের ‌আমার মতামতের সামারি দেয়া আছে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত দিন।বাকি ছিল "তাচ্ছিল্য" বিষয়টা, মন্তব্য ১৯৪-এ সেটা নিয়ে আমার ব্যাখ্যা দিয়েছি।

আরেকটা কথা, "রেজোয়ান স্যারের ছেলেকে ফোন দিয়ে একটু জানাবেন উনাদের greater family-র কয়জন বুয়েটে পড়ছে "-এটা জানতে চাওয়ার আরো একটা কারণ আমার জানামতে উনাদের পরিবারে ১০-১৫ জন বুয়েটে পড়েছেন, ৪/৫ জন টিচার ছিলেন/আছেন। প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলোর ব‌্যপারে উনাদের এখনকার মনোভাব রিলেটেড মনে হয়।

sohel এর ছবি

আপনি ৪০, ৫৫-৭৮ এ আমাদের আলোচনার কারণটি বোধহয় খেয়াল করেন নি।
অছ্যুৎ বলাইয়ের মন্তব্য:
১ " কিন্তু অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত ধারণায় বলা যায়, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে। বুয়েটে কিছু করতে গেলে বুয়েট শিক্ষকদেরকে তেলাতে হয়, তারপরেও উনারা এসব উদ্যোগ এলাও করতে গড়িমসি করেন।"

২ " অনেক মেধাবী ছেলেই সামর্থ্য থাকলে বুয়েটের চেয়ে প্রাইভেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে"।

অযাচিত উপদেশদানকারীর:

"একি মেধার একজনের পক্ষে অন্য ইউনি থেকে পাব্লিকেশন বা নলেজ এক্সচেইঞ্জ করা সহজতর।"

এগুলোর জবাবে আলোচনা হয়। আপনার "আমার তো মনে হয় ধীরে ধীরে ওরাও এগিয়ে আসছে।"-এই কথার সাথে আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি উদাহরণ দিয়ে দেখাতে চেয়েছি:

১ "গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো বুয়েট থেকে এগিয়ে" থাকলেও (আছে কিনা তার কোন প্রমাণ নেই) পাবলিকেশনে অনেক পিছিয়ে। এখানে আমার মত হল, গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ -এর tangible end product হল নিজেদের পাবলিকেশন। আপনি বলছেন, "একটা কথা আবারো পরিষ্কার করা দরকার-- নলেজ এক্সেইঞ্জ বলতে আমি শুধু পাবলিকেশান করাকে বুঝিনা।" আমরা দেখতে বা তুলনা করতে পারি, নলেজ এক্সেইঞ্জ-এর এমন আর কি কি নমুনা বুঝেন? সেখানেও যদি "ধীরে ধীরে ওরাও এগিয়ে আসছে" হয়, তাহলে কোন বিরোধ নাই। এসিএম এর কথাতেও একই ব্যাপার। শুধু একটা তথ্য দেই। world final এ বুয়েট ১৫ বার যেয়ে ১০ বার rank পায়। ঢাকা পায় ১ বার। আর কেউ একবারও পায় নি। মনে হয় বাকি সবাই মিলে বুয়েটের সমান হতে অনেক বছর লাগবে।

২ একই মানুষ (assuming that মেধা remains unchanged ) "গবেষণার পাবলিকেশন, নলেজ এক্সচেইঞ্জ ইত্যাদি ক্ষেত্রে" "বুয়েট থেকে এগিয়ে" থাকা (??) "প্রাইভেট ইউনি বা অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিগুলো " তে গিয়ে better কিছু পাননি, সেটাও দেখিয়েছি।

৩ " মানি টকস" এর "সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বুয়েট শিক্ষকদেরকে প্রো-অ্যাকটিভলি কাজ" করার কিছু উদাহরণ দিয়েছি।

"কায়কোবাদ স্যারের জীবন কাহিনীর লেখকও নই"- জীবন কাহিনীর লেখক ছেলেকে ফোন দেন। আপনি কখনও হলে ভাল করবেন মনে হয়। আমি যা তথ্য দিয়েছি সব পাবলিক ডোমেনে পাওয়া। " আমি যতদুর জানি, ২০০৫-০৬ -এর সময়ে সিএসই বুয়েট-এ সিনিয়র শিক্ষক সংকট ছিল। সেই অবস্থায় একটা প্রায় নতুন ইউনিভার্সিটি ডঃ কায়কোবাদ-এর মত একজন টিচার-কে হায়ার করে নিয়ে গেল।"-এখানে যতদুর জানার ভুলটা ধরানোর জন্য নিজের জানা তথ্য দেই।

রেজোয়ান স্যারের ছেলেকে ফোন দিয়ে একটু জানাবেন উনাদের greater family-র কয়জন বুয়েটে পড়ছে আর কয়জন "সামর্থ্য থাকলে বুয়েটের চেয়ে প্রাইভেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে"? উনাদের সামর্থ্য আছে।

আবার পরে কথা হবে। এখন সময় একটু কম।

sohel এর ছবি

greater family-র কয়জন বুয়েটে পড়ছে না, পড়েছে হবে

(সিসিফাস) এর ছবি

"কায়কোবাদ স্যারের জীবন কাহিনীর লেখকও নই"- জীবন কাহিনীর লেখক ছেলেকে ফোন দেন। আপনি কখনও হলে ভাল করবেন মনে হয়।

রেজোয়ান স্যারের ছেলেকে ফোন দিয়ে একটু জানাবেন উনাদের greater family-র কয়জন বুয়েটে পড়ছে আর কয়জন "সামর্থ্য থাকলে বুয়েটের চেয়ে প্রাইভেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে"?

আপাতত, আর মন্তব্য করবার প্রয়োজন দেখছিনা। সময়ের অপচয়। ধন্যবাদ।

sohel এর ছবি

বাহ, "কায়কোবাদ স্যারের জীবন কাহিনীর লেখকও নই" বলে টিজ করবেন, আর জবাব দিলে অভিমানে চলে যাবেন, কি আর করা। পরের মন্তব্যে "সামর্থ্য থাকলে বুয়েটের চেয়ে প্রাইভেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে" - এখানে আগে আলোচিত অছ্যুৎ বলাইয়ের মন্তব্যকে যাচাই করার কথা বলছি, আপনার আহত হবার কিছু দেখলাম না।

জামাল উদ্দিন এর ছবি

উপরে বেশকিছু যাযগায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ নিয়ে বেশ কথা বলা হয়েছে - তাই রেকর্ডের জন্য খবরটা পোষ্টে রাখা উচিত বলে মনে হল ।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একি হাল! http://bit.ly/KBETJZ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।