বুয়েট’০৬ ব্যাচের ছাত্রদের রেজাল্ট স্থগিত সংক্রান্ত একটি চিঠি পাওয়া গেছে। চিঠির তারিখ ৪/৪/২০১২ আর ঘটনা ঘটেছিল ৩১/১২/২০১১ তারিখে । এই চিঠিতে তদন্ত কাজ সুবিধার জন্য কিছু ছাত্রের নাম,ছবি , ঠিকানা , ফোন নম্বর সরবারহ করার জন্য উপাচার্যের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঘটনার চার মাস পর তদন্তের জন্য ছাত্রদেরকে ডাকা আসলেই কি বিস্ময়কর নয় ? দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে স্পষ্টতই ঐ সময় উপাচার্য মহোদয়ের অবস্থান কিছুটা হলেও সাধারন ছাত্রদের বিরুদ্ধে ছিল, তা নাহলে এই ধরনের তদন্ত কমিটি গঠনেরই প্রয়োজন পরত না । আরো লক্ষ্যনীয় যে এইসব ছাত্রদের পরিচয়, ঠিকানা বা ফোন নম্বর জানবার দরকার হলে চিঠিটি ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরে পাঠানোর কথা অথচ তদন্ত কমিটি প্রধান চিঠিটি উপাচার্য বরাবর পাঠিয়েছেন । এই চিঠিটি এমন এক সময়ে প্রেরণ করা হয় যখন ০৬ ব্যাচের পরীক্ষাও শেষ। সাধারন তদন্তের স্বার্থে যে নামগুলো উল্লেখ করা হয়েছিল, সেই তথ্যের অপব্যবহার হয়েছে এইভাবে।চিঠিতে ১২ জনের নাম আছে এবং বেশিরভাগই ডাক নাম ।এই চিঠি থেকে এটাও স্পষ্ট হয়ে যায় কার নির্দেশে এদের ফলাফল আটকানো হয়েছে । চিঠিতে এদের ফলাফল আটকানোর কোন নির্দেশনা/সুপারিশ না থাকলেও উপাচার্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এদের ফলাফল স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মজার বিষয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক দপ্তর থেকে আলাদা চিঠি না যেয়ে এই চিঠিতেই পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে ফলাফল স্থগিতের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরুর ঠিক আগে আগেই কেন এই পদক্ষেপটি নেয়া হল? এই প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক যে - শিক্ষকদের আন্দোলন বিষয়ে ছাত্রদেরকে চুপ করিয়ে রাখার জন্যেই কি প্রশাসন এই পদক্ষেপ টি নিয়েছে ?
মন্তব্য
নাম ব্যবহারে কোনো সমস্যা থাকলে একটা নির্দিষ্ট নিক বেছে নিয়ে পোস্ট/মন্তব্য দিন।
এই প্রোভিসি পদটা কবে তৈরি করা হয়েছে? প্রোভিসির কাজ কী?
হিমু ভাই, এর আগে আমরা যখন কিছু দাবীনামা নিয়ে গেছিলাম,(আগের পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম) তখন ভিসি স্যার আমাদের সম্মুখেই বলেছিলেন ইহা একটি রাজনৈতিক পোস্ট এবং এটার নিয়োগ ও রাজনৈতিক।
মানে এই ভিসির আমলেই এই পদ তৈরি হয়েছে, তাই তো?
শিক্ষক সমিতি তখন আপত্তি তোলেননি?
নাহ, আগের আমলে। শিক্ষক সমিতির গায়ে আচর না লাগা পর্যন্ত তুলে নি। তবে একজন বুয়েট শিক্ষক এর নির্লজ্জতার চরম উপমা এই প্রো-বিচি এটা বলা যায়।
সকল শিক্ষকের স্বাক্ষরসম্বলিত একটা চিঠিও পাঠানো হয় তখন চ্যান্সেলর এর কাছে, এই পদের নিয়োগ বন্ধ করার জন্যে! কোন কিছুতেই আটকানো যায় নি এই নিয়োগ!
আমার কথার অর্থ ছিল স্বাক্ষরসম্বলিত একটা চিঠিই তখন তাদের আন্দোলনের ভাষা ছিল, এর চেয়ে বেশি কিছু তখন আশা করা যেত না??
প্রো-বিচি পদটার যে হারে অপব্যবহার হচ্ছে এই আমলে এবং তিনি যা উপমা রেখে যাচ্ছেন। পরবর্তী আমলে এই পদ কে ব্যবহার এবং এসব উপমাকে আদর্শ ধরে, এই পদ অব্যাহত থাকলে বুয়েট পুরাই খাপ্পার হইয়্যা যাইব এটা বলা যায়
ব্যঙ্গচিত্র ভাই, প্রোভিসি পদটা তৈরির সময় শিক্ষক সমিতি আপত্তি তোলেননি, এটা ঠিক না। আমি খুব স্পষ্টই জানি, প্রোভিসি পদটা তৈরির সময় শিক্ষক সমিতি এর প্রতিবাদ করেন। এবং ঐ সময়ে কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রোভিসি পদ তৈরির কারণ জানতে চেয়ে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন শিক্ষক সমিতি। চিঠিটি আমি নিজ চোখে দেখেছি। এরপর চিঠির প্রতিক্রিয়া সরাসরি আমার জানা নাই ।
বুয়েট শিক্ষক সমিতির একটা ওয়েবসাইট থাকা দরকার। সেখানে সভার কার্যবিবরণী আর আনুষ্ঠানিক ডকুমেন্টেশন থাকতে পারে। তাহলে শিক্ষক সমিতির অবস্থান অনেক স্পষ্ট হবে।
আসলেই। আগের অনেক ইস্যুতেই তাদের অবস্থান যদি থেকে থাকে সেগুলোর ডকুমেন্ট প্রকাশ করে তাদের অবস্থান তারা পরিষ্কার করুন। আমার স্বচক্ষে দেখা ঘটনাগুলোকেই আমি উল্লেখ করতে পারি। আগের অনেক অবস্থান বলতে বলা যেতে পারে-
-গৌতম কুমার দের আঘাতের কাহিনী।
-ঈশান কে আঘাতের কাহিনী।
-বিশ্বকাপের মারামারিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে তাদের অবস্থান।
-তাদের দাবীনামার ১৭ নং পয়েন্ট ফিরিয়ে আনা।
আরেকটি বিষয় এই সকল ০৬ এর ছাত্রদের রেজাল্ট আটকিয়ে প্রশাসনের নগ্নতা নিয়ে তারা চুপিসারে কথা না বলে সরাসরি একটা স্টেটমেন্ট দিক।
তবে এই ভুক্তভোগী ছাত্রদের অবস্থাটা একটু ভেবে দেখা দরকার। ফেসবুকে একটা নোট দেখেছিলাম। এইটা পড়ে দেখলে এদের বিষয়টা আরো স্পষ্ট হবে । এরা আসলে বুয়েটের বর্তমান অচলাবস্থার ভুক্তভোগী। এদের অবস্থান, শিক্ষক সমিতির ভূমিকা দ্বারা জাস্টিফাইড হবার কোন মানে নাই।
[url=বুয়েট '০৬ ব্যাচের কিছু ছাত্রের ফলাফল স্থগিত করার প্রসঙ্গে আমাদের বক্তব্য]https://www.facebook.com/notes/palash-kundu/%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87%E0%A6%9F-%E0%A7%A6%E0%A7%AC-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AB%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A6%B2-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF/10150751094709938[/url]
সূত্র
ওখানে কিছু ছাগমন্তব্য পড়লে বুঝবেন, এই ইস্যুতে শিবিরইত্যাদি কতোটা তৎপর। মন্ত্রীর সাথে আলোচনার পরে মন্ত্রী এই কথা বলার পরেও ক্লাসবর্জন অব্যাহত রাখা সমস্যার সমাধানে শিক্ষক সমিতির অনীহা প্রকাশ করে।
তবে মূল দোষ অবশ্যই সরকারের। যুদ্ধাপরাধীর বিচার ঝুলায়া রাখায় সবফ্রন্টেই এখন এন্টি-৭১ গ্রুপগুলো আক্রমণ করবে। যৌক্তিক-অযৌক্তিক ব্যাপার না, ইস্যু পেলেই হলো।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ওটা ঝুলায়ে না রাখলে পরবর্তীতে তারা আসতে পারবে বলে মনে করে না হয়তো।
বলাইদা। আপনিও তো দেখি পিয়াল ভাই এর মত ঘুরে ফিরে সেই একই স্টেপ এ গিয়ে ঠেকেন। এই ০৬ এর যাদের নাম আছে এদের একজনের ও ঐ রকম ব্যাকগ্রাউন্ড নাই। তাহলে ওদের আটকানো কেন??
আর মুজিব, জয়নুল সহ এরা সবাই ক্ষমতালোভী, এই সরকারের মদদপুষ্ট। এবং এদের উদ্দেশ্য এর পিছনে ক্ষমতার ভাগ থাকতে পারে এটা স্বাভাবিক।
এই মুহুর্তকে কাজে লাগাতে কিছু শিবির বা তাহরীর ব্যক্তি হয়ত উঠে পড়ে লেগেছে এটা ঠিক। কিন্তু আপনাদের বক্তব্য অনেকটা এপর্যায়ে গিয়ে ঠেকছে, যারা কোন কথা বলছে এ বিষোয়ে তারা সবাই শিবির-ছাগু। একটা সমালোচনামূলক পোস্ট দিলেই(কিছু কিছু পাব্লিক সত্যিই দায়ী তাদের বাদ) যেভাবে এখন শিবির-তাহরীর ট্যাগ দেওয়া হচ্ছে সেটা সচলের মত প্ল্যাটফর্মে আশা করি না।
ভুল কিছু বুঝে থাকলে শুধরে দেবেন। আমার কাছে যা মনে হল তাই বললাম।
আমি কিন্তু ওখানে সবমন্তব্যকেই ছাগমন্তব্য বুঝাই নাই। উদাহরণ দেই:
১)
এটা ঠিকমতো চিন্তাভাবনা না করে করা ঝড়ো মন্তব্য।
২)
এটা সমস্যার আসলেই সমাধান চায়, এরকম কারো সুবিবেচনাপ্রসূত মন্তব্য।
৩)
এটা ছাগমন্তব্য। বিস্তারিত ব্যাখ্যার দরকার থাকলে বলবেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বুয়েটে ভর্তি যে ছাগু আছে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নাই, এবং এই ছাগুপনা উত্তরোতর বৃদ্ধির জন্য বর্তমান সরকার এবং ছাত্রলীগের আচরন সবচেয়ে বেশি দায়ী। সত্যি বলতে কি ৪০ বছর আগের মুক্তিযুদ্ধ বেঁচে খুব বেশিদিন খাওয়া যায় না। এখন যে হারে জামাত শিবির গণ ট্যাগিং করা হচ্ছে তাতে আসল জামাত শিবিরদেরই সবচেয়ে সুবিধা হয়েছে। আমি বুয়েটের সত্যি অবস্থা তুলে ধরলে যদি ছাগু গোষ্ঠী এর সুবিধা নেয় তবুও বর্তমানে আমি নিরুপায় কারন এইটুক বুঝছি বর্তমান অবস্থা ঠিক না হলে পরবর্তীতে বুয়েটে শিবির এর উত্থান অনিবার্য আর সেইটা হইলে মুক্তচিন্তার মানুষগুলোই আবারো নাজেহাল হবে, লীগের গুণ্ডারা ঠিকই আরামে থাকবে। এই প্রশাসন নির্লজ্জতার যে নতুন নতুন মাত্র যোগ করছে তার থেকে শিবির এবং ছাত্রদল খুব ভালই শিক্ষা নিবে।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কিভাবে নষ্ট হচ্ছে সেই বিষয়ে বিস্তর গবেষণা চালাতে থাকলেও এই বিষয়ে কিন্তু প্রশাসন সরকার বা লীগের এমনকি অনেক সাবেক বুয়েটিয়ানেরও মাথা ব্যাথা নেই ।
বুয়েটের সত্যিকার অবস্থা তুলে ধরার নামে শিবিরের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলন করলে সমস্যা। বেসিক সচেতনতার ব্যাপার এইটা। ছাত্রলীগ বাইঞ্চোদ হলে সেই অজুহাতে শিবিরকে সুবিধা করে দেয়া যায় না।
আর ট্যাগিংয়ের ক্রিস্টোফার কলম্বাস হলো শিবিরকর্মীরা। ব্লগের অভিজ্ঞতায় জানি, ছাগুরা ট্যাগও করে বেশি আবার তাগোরে ট্যাগ করা হইছে বইলা কান্নাকাটিও করে বেশি। কেউ আপনার কাছে 'জামাত শিবির গণট্যাগিং' এর উল্লেখ করলে সুনির্দিষ্ট উদাহরণ চাইবেন, কোনটা জেনুইন ছাগু আর কোনটা হুদা ট্যাগিং এইটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
হুমমম। বোঝার চেষ্টা করলাম। আমি কি বুঝলাম আর আপনি কি বুঝালেন তার মিল থাকলে ভাল, না থাকলেও ভাল।
বলাই দা, আমরা কি করতে পারি এটা বলেন??
একটা প্ল্যাটফর্মের কথা আমি খুব ভাল মতই অনুভব করি। কিন্তু সবাই খুঁজে রাজনীতি মুক্ততা এবং বেশির ভাগের রয়েছে নির্লিপ্ততা। আমি ভীতু মানুষ। তবুও চেষ্টা করেছি(বিশ্বাস করেন)। আমার বন্ধুরা শীকলাবদ্ধ পোস্টে উল্লিখিত কারণে। একটা কিছু বললেও (কারো পক্ষপাতি করে না) ঢেকে নিয়ে হেনস্থা হচ্ছে। আমি আমার বুয়েট জীবনে যে কয়জন শিক্ষককে শ্রদ্ধা করেছি তারা সবাই একপক্ষে আর যাদের দেখতে পারি নাই তারা এখন এক পক্ষে, তার সাথে যুক্ত হয়েছে ছাত্রলীগ নামধারী কুলাঙ্গাররা। এমতাবস্থায় মন না চাইলেও শিক্ষক সমিতির পক্ষে কিছু হউক এটা চাই। আবার থিতু মেরে বসে থাকার মত মন- মানসিকতার নেই। আপনি, হিমু দা সবাই এক্স বুয়েটিয়ান। আপনাদের কাছ থেকে ভাল মতামতের অপেক্ষায়।
জেনুইন সাধারণ ছাত্ররা সরকারের সাথে যোগাযোগ করেন। তবে দয়া করে শিবির সাথে নিয়েন না। এরা আন্দোলনের পাইন মেরে দিবে। সমস্যার সমাধান হবে না।
তাছাড়া শিক্ষক সমিতির সমস্যা আর ছাত্রদের সমস্যা ভিন্ন। ক্লাস চান, ইউকসু চান, ভালো পরিবেশ চান, সেশনজটমুক্ত বুয়েট চান। নিজে খুঁজে নাওজাতীয় লিংক ধরিয়ে না দিয়ে বক্তব্য টু-দ্য-পয়েন্ট করে ভিসির সাথে কথা বলেন, তিনি ক্যাচাল করলে চ্যান্সেলরের সাথে আলোচনায় বসেন। শিক্ষক সমিতি আর ভিসির প্রশাসনিক ক্ষমতা দখলের মারপ্যাচের মধ্যে ছাত্ররা পড়ে গেলে আলটিমেটলি কোনো লাভ নাই। ছাত্রদের স্বার্থে ফোকাস করেন। হাজার খানেক বুয়েট ছাত্রও যদি এইকাজে যোগ দেয়, বুয়েটের এই সমস্যার সমাধান হতে তেমন সময় লাগার কথা না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
এটা কোথায় কে কাকে হিজবুত তাহরির ট্যাগ দিচ্ছে, আমি ডিটেলস জানি না। কাদেরকে আটকিয়েছে, তাদের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়েও ভেবে দেখি নাই। এক্ষেত্রে আপনি কোন সমালোচনামূলক পোস্টের কথা বলছেন, আমি তাও বুঝতে পারি নাই।
তবে হেলালী স্যার কেসে, আমি নিশ্চিত উনার ছেলে - খুব সফট করে বললেও - উগ্র রাজনৈতিক ইসলামের সমর্থক, যেটা হিজবুত, আল-বাইয়্যিন্যাতটাইপদের সাথে পুরোপুরি মিলে। অন্য একটা পোস্টের ২৬ নম্বর মন্তব্যে কারণটা বলেছি।
আন্দোলন, ভাঙচুর, ফেসবুকিং ইত্যাদির কারণে কোনো ছাত্রের রেজাল্ট আটকে দেয়ার নীতি থাকা উচিত না। এসব বিষয় সম্ভবত আদালতের বিষয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিন ঠিক রাখাসম্পর্কিত বিষয়। রেজাল্ট স্থগিত রাখতে পারে, যখন সেই রেজাল্ট অর্জনে দুই নাম্বারি করে। যেমন, নকল করা, কোনো শিক্ষককে ম্যানেজ করে খারাপ পরীক্ষা দিয়েও ভালো গ্রেড পাওয়া - ইত্যাদি কেলেংকারী ধরা পড়লে রেজাল্টের ওপর হামলা করতে পারে। একইভাবে, কোনো শিক্ষকের সামনে কোনো ছাত্র গালি দিলে সেই ছাত্রকে পরীক্ষার রেজাল্টে বাঁশ দেয়াটাও অসমর্থনযোগ্য।
(অমি পিয়াল অনেক অভিজ্ঞ ব্লগার। উনি ছাগু চিনেন। অনেকের চেয়ে দ্রুতই চিনেন। উনার ভুল হতে পারে, উনি নবী-রসূল না। তবে ছাগু আইডেন্টিফিকেশনে উনি একজন এক্সপার্ট। উনার কোথাও ভুল হয়েছে, সেটা নিশ্চিত হলে বুঝায়া বলবেন। উনি ভুল স্বীকার করবেন। যদি না করেন, আমাকে লিংক দিয়েন। কেস ঠিক থাকলে ভুল স্বীকার না করে উপায় নাই। )
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
আমি হেলালী স্যারের ছেলেকে এবং হেলালী স্পাযারকে পার্সোনালি চিনি না। তবে আমার ব্যাচমেট রা এই ট্যাগ মানতে নারাজ।
ভাঙচুর ওখানে হয় নাই।
ঐদিন উনার সাথে যারা তর্কে গেছিলেন তাদের আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি এবং এদের কয়েকজনকে তিনি সরাসরি ছাগু উপাধি দিয়েছিলেন। এবং বিষয় টা অনেকটা না বুঝেই সেটাই খারাপ লেগেছিল। তাছাড়া পিয়াল ভাই অব্যশই অভিজ্ঞ ব্লগার এবং উনার কর্মকান্ড শ্রদ্ধার মত কিন্তু তার ল্যাংগুয়েজ এপ্রোচ আমার ব্যক্তিগতভাবে ভাল লাগে না।
তাদেরকে আমার মন্তব্যটা দেখাতে পারেন। ইসলাম ইজ টোটালি পলিটিক্স আর যারা এটা জানে না, বা মানে না, তারা মুসলিমই নয় এই জীবনদর্শনের কাউকে উগ্র রাজনৈতিক ইসলামের সমর্থক বলে যাদের মনে না হয়, তারাও নিশ্চিতভাবেই ছাগু। এখানে সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই।
ওই মন্তব্য পড়ে হেলালী স্যারের ছেলে সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কি?
(ইনফ্যাক্ট ওই মন্তব্যে একটা বিরাট সংখ্যক ফেসবুকার লাইক দিয়েছে। এই আন্দোলনে এই গ্রুপটাকেই আমি 'শিবিরইত্যাদি' কতোটা তৎপর হিসেবে বলেছি।)
(অমি পিয়ালের ল্যাঙ্গুয়েজ আর অ্যাপ্রোচ আপনার পছন্দ না হলে কোনো সমস্যা নেই। উনার কাজ যদি শ্রদ্ধার মতো হয়, তাহলেই উনার জন্য সম্ভবত এনাফ। এখানে কাজটা আসল। আপনি ভিন্ন অ্যাপ্রোচে মহৎ কাজ করুন, সে অ্যাপ্রোচ পছন্দ না হলেও আপনাকে প্রশংসা করবো।
উনি মুখ চিনেন না, কথা দিয়ে বিচার করেন। ছাগুর মতো কথা বললে ছাগু ডাকবেন, আশ্চর্যের কিছু নাই। কথাটা ছাগুর মতো নাহলে প্রতিবাদ করুন, তাকে বুঝায়া বলুন। না বুঝতে চাইলে ইগনোর করুন।)
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা, আমি ব্যক্তিগতভাবে অবিশ্বাসীদের দলেই পড়ি । তবে এটুকু বুঝি।
সে ধর্মগোড়া এটা স্পষ্ট। তার বক্তব্য এর ধরণ আমার পছন্দ হয় নাই।
পিয়াল ভাই প্রসঙ্গে উনার কাজকে আমি শ্রদ্ধা করি এটা বলেছি।
তাকে আমি পার্সোনাল মেসেজ দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু যখন দেখলাম উনি বুয়েট ঐ সকল কুলাঙ্গার দ্বারা পরিচালিত এক পেজ এ লাইক মেরে বসে আছেন, তখন আর ইচ্ছে হয় নি।
উহু! এটা ধর্মগোঁড়ার ব্যাপার না। যার যার ধর্ম, সে সে পালন করুক, গোঁড়া-আগা-মাথা যেভাবে ইচ্ছা পালন করুক, আরেকজনের বাপের কিছু না। কিন্তু এটাকে রাজনৈতিকভাবে অন্যের ওপর 'চাপিয়ে দেওয়া' সাথে 'এটা যারা মানে না বা জানে না, তারা মুসলমানই নয়', এই বক্তব্য এক জিনিস না। একই কাজ হিজবুত তাহরি, আল-বাইয়্যিন্যাতরা করে।
এখানে বক্তব্যের ধরন পছন্দ-অপছন্দ কোনো বিষয় না। এখানে অন্যের ওপর বক্তব্যকে জোর করে চাপিয়ে পুরা ধর্মচ্যুত আখ্যা দেয়া হচ্ছে। এসব আখ্যার ওপর বেইজ করেই বলাকার ঠ্যাং রশি বেধে টেনে ভাঙা হয়, ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা ফুটানো হয়, ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করা হয়, ৪ লাখ বাঙালি মেয়েকে রেইপ করে সাচ্চা মুসলিম বানানোর প্রোজেক্ট নেয়া হয়। এটাকে জাস্ট এনাদার পছন্দ-অপছন্দের বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে রাখা কোনো সচেতন মানুষের পক্ষে সম্ভব না।
এত অল্পে যদি একটা মেসেজ দেয়া থেকে বিরত হোন, তাইলে মানুষকে জানবেন কিভাবে?
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাই দা আমি উপরে একটা কমেন্ট করেছিলাম। ঐটার উত্তর পাই নি।
বলাই দা আমি এখানে হেলালী স্যার এর ছেলের বক্তব্য এর ডিফেন্ড করব না। এটার প্রয়োজন দেখি না। কারণ আমি তার ইস্যুতে কথা বলতে আসি নি। আমি তাকে চিনিও না এবং তার এজেন্ডা হয়ে আসি নি। এমনকি ঐখানে আমি কোন কমেন্ট ও করি নাই।
এটা আমিও মেনে নিতে পারি নাই।
আমি পিয়াল ভাইকে সার্বিক বিষয়টা বোঝাতে একটা মেসেজ লিখেও আটকে গেছি। এখানে আমার দ্বিধার কারণ টা হল তার পক্ষে সেখানে কথা বলছিল, বুয়েট ছাত্রলীগের জি।এস। আর আমি অলরেডি প্যারার মধ্যে আছি তাদের দ্বারা। বিশ্বাস করুন আমি শেষ মূহুর্তে গিয়ে আটকে গেছি। এটা আমার ভীরুতার পরিচায়ক হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।
পিয়াল ভাই কাদেরকে অন্যায়ভাবে ছাগু বলেছে, সেই আলোচনার লিংক আর যাদেরকে বলা হয়েছে, তাদের লিংক দেন। একটু ক্রসচেক করে দেখি।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বানান ভুলভালের কারণে দুঃখিত।
নতুন মন্তব্য করুন