বুয়েটে পড়ি। আমাদের ডিজিটাল মুখপাত্র পলাশীর আলুর সুবাদে ছাত্রলীগকে আমরা মামাবাহিনী হিসেবে চিনি। হলে থাকার কারণে মামাবাহিনীর দু-একজন মামার সাথে আমার অল্পস্বল্প খাতির আছে। তাদের সাথে পথে-ঘাটে-মাঠে মাঝে-সাজে দেখা হলে কুশল বিনিময় হয়।
আজকাল নেটের কল্যাণে যেমন মূর্খরা জ্ঞানী হিয়ে গিয়েছে, ফেসবুকের কল্যাণে পোলাপান হয়ে গিয়েছে ভার্চুয়াল বীর। তা আমিও ফেসবুকে মামাবাহিনী নিয়ে আমি একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেটাতে তাদেরকে মামা বলা ছাড়া অবশ্য আর কিছুই ছিল না। সেটা দেখে আমার পরিচিত এক মামা( যাকে আমি অত্যন্ত পছন্দ করি ) আমাকে ডেকে চার্জ করলেন কেন আমি এই স্ট্যাটাস দিলাম। “আমার পশ্চাদ্দেশে কোন মামা এসে কি লাথি মারছে” যে আমি এমন স্ট্যাটাস দিব। এরকম আরও কিছু কথাবার্তা বলে তিনি বললেন যে এটা তিনি দেখেছেন ভাল কথা আরও বড় কোন মামা দেখার আগে আমি যাতে ব্যবস্থা নেই।
পরে ওনার সাথে আরও কিছুক্ষণ আলাপ করে আসলাম বুয়েটের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে। উনি ভিসি-প্রোভিসির আর মামাবাহিনীর পক্ষে আর শিক্ষক সমিতির বিপক্ষে একটার পর একটা যুক্তি আমাকে দিতে লাগলেন। এই ভিসি আগের ভিসির চেয়ে ভাল, বুয়েটের পরীক্ষা পিছানো বন্ধ করতে ভিসির ভূমিকা ইত্যাদি নিয়ে। আমি সিনিয়র ভাই হিসেবে ওনার সাথে তর্ক করতে চাই নি। আর উনি যেভাবে তথ্য-উপাত্ত সহ কথা বলছিলেন ওগুলো যাচাই করে তর্ক করার ক্ষমতাও আমার ছিল না।
আমি ভিসি-প্রভিসি রেজিস্ট্রার ডেপুটি রেজিস্ট্রার কার হবার কথা বা কার হবার কথা না এগুলো প্যাঁচ-ঘোচ বুঝি না।তবে এইটা স্পষ্ট বুঝি যে আমাদের এখনকার ভিসি পুরাপুরি পলিটিকাল লোক এবং তিনি পলিটিকালি বুয়েট ছাত্রলীগকে প্রচুর হেল্প করছেন। আমাদের এই ভিসির আমলেই লাস্ট টার্মের পরীক্ষা পিছানো হয়েছে ছয়বার। আর এর আগে জানুয়ারি মাসে ঈশান ভাইকে মারার প্রতিবাদে আমরা যখন আন্দোলন করছিলাম, তখন যারা মেরেছিল তাদের রক্ষা করার তিনি যথেষ্ট চেষ্টা করেছিলেন। আন্দোলনের করণে যারা বহিষ্কৃত হয়েছিল, তারা আবার ফিরে এসে পরীক্ষা দিল, তাদের রেজাল্ট বের হল, তারা হলে নিজের রুমে উঠে গেল আর আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের রেজাল্ট এখন আটকা পড়ে গেল।
পরে আরেক মামার সাথে আলোচনা করার সময় উনি জোর গলায় দাবী করলেন বুয়েটে ছাত্রদের কোন আন্দোলন মামাবাহিনী ছাড়া হয়নি, জানুয়ারি মাসের আন্দোলনটাও তার ব্যতিক্রম নয়, ওই আন্দোলনে মামারা না থাকলে বলে আন্দোলন সফলই হত না। আমি প্রশ্ন রাখলাম তাহলে কোন মামার রেজাল্ট আটকানো হল না কেন। এই মামা একটু প্রগতিশীল টাইপের। ব্লগ লেখালিখি করেন। উনি ভিসি কে নিয়ে লাফালাফি করা শুরু করলে বললাম যে ওনারা তো ভিসির পক্ষে হলের রুমে রুমে ফ্রি ক্যাম্পেইন করে যাচ্ছেন( স্যারদের স্ট্রাইক আরও কিছুদিন চললে ওনাদের দেয়া লিফলেটের ওজন শিওর কেজি পার হবে), ব্লগে আপনাদের পক্ষ থেকে কোন লেখা আসে না কেন। মামা কথা ঘুরানোতে ওস্তাদ। উনি আমার কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে দ্রুত কথা ঘুরিয়ে অন্যদিকে নিয়ে গেলেন।
ভিসি অনিয়ম করে যাচ্ছেন। মামারা সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ব্যানারে ওনার পক্ষে কথা বলে যাচ্ছেন। স্যাররা আমাদের ক্লাস নিবেন না। ওনারা বাইরে থেকে ঠিকই টাকা ইনকাম করে যাচ্ছেন। মাঝখান থেকে ধরা খাচ্ছি আমরা। হলের খাবার খেয়ে ফেসবুকে-ব্লগে হাতি ঘোড়া মারছি।
মামাবাড়ি বুয়েট থেকে,
ধীবর।
মন্তব্য
হু বুঝলাম।এবার কাহিনি শোনেন
১ মামাবাহিনির কারো রেসাল্ট আটকায়নি কে বলল আপনাকে? তদন্তের খাতিরে এক মামারো রেসাল্ট আটকানো হইসে খোজ নিয়ে দেখেন।
২ আন্দোলন কারীদের রেসাল্ট আটকাইসে।আহারে,কি অবিচার!! আপনি বুয়েট এর 'সাধারণ' নামধারী গর্ধব বুঝা যাচ্ছে। খালি ফেসবুক এ মাইয়ার লাইক পাওয়ার আশায় জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দেন আর রুম এ বইসা বইসা ব্লগ এ ঝর তোলেন।অই আন্দোলন কারীরা তো ধোয়া তুলসীপাতা। আসল কাহিনি কোনদিন খোঁজ নিয়া দেখসেন? অইসময় অইসব তথাকথিত সাধারণ ছাত্র নামধারী ইফতি,জিয়া,কিংসুক,মিথুন এরা আসলে ছাত্রদল এর শিবিরের দালাল কিনা রুম থেইকা বাইর হইয়া খোঁজ নিয়া দেখার প্রয়োজনবোধ করসেন কোনদিন?? হুদাই যে ০৯ ব্যাচ এর দিপ আর জয় রে পিডাইল,রুম ভাংচুর করল সেই খবর রাখসেন মিয়া?
৩ হ মামাবাহিনি তো খারাপ। এইজন্যই তো বর্ধিত ফী প্রত্যাহার এর আন্দোলনের সময়,পরিক্ষা পেছানোর সময় , ছাত্রদের যে কোন দাবী আদায়ের সময় রুম এ বইয়া হিন্দি মুভি দেহেন, পোকার খেলেন ,ঘুমান আর মামাগুলারে পাইলে কন যে কিছু একটা করেন। হলপ কইরা কইতারুম এই সংকতকালীন মুহুরতে এই ব্লগ এ ঝড় তলা আর মামাবাহিনির গুস্তিউদ্ধার আর কিছু করেননাই। শিক্ষক সমিতির ১৭ টা দাবী আর তার বিপরিতে প্রশাসনের জবাব এর কাগজগুলা কি পইরা দেখসেন? অবশ্যই না। ব্লগ আর ফেবু ছেড়ে রুম থেকে বের হয়ে কখনো আসল ঘটনা বোঝার টেরাই করসেন? খালি হুজুগ আর হুজুগ
ভাগিনা সাহেব,
মোকাম্মেল সাহেবের রেজাল্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে আপনার সুচিন্তিত মতামত পেলে ভাল লাগত ।
এছাড়া হলের ফ্রিজ বেচে দেওয়ার ঘটনাটির উপর যদি একটু আলোকপাত করেন।
গৌতম দা কে পেটানোর বিষয়েও আপনার সুচিন্তিত মতামত পেলে ভাল লাগত।
ক্যাফেটেরিয়ায় বাকি খাওয়ার পেছনে আপনার সুচিন্তিত মতামত পেলে ভাল লাগত ।
প্রো-ভিসির রুমে ঢুকেছিল লীগ সভাপতি মিশু বিশ্বাস তার রেজাল্ট কেন স্থগিত করা হল না জানলে ভাল লাগত ।
শাস্তি প্রাপ্ত সুজিত মিঠুন কাদের আশ্রয়ে এখন ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায় সেটা জানতে পারলে আরো বেশি ভাল লাগত ।
লীগ যদি এত মহৎ হয় তাহলে এখন তারা কেন সাধারন ছাত্র ছাত্রী ব্যানারে ক্যাম্পাসে পোস্টারিং করছে তাও জানতে পারলে ভাল লাগত। আমরা সাধারন ছাত্র ছাত্রীরা তো দুর্বল অক্ষম আবাল হুজুগে এরপরও কেন আমাদের নাম নিয়ে পোস্টারিং করা লাগল তাদের?
মামা এসে গেছে দেখি। বুখে আসেন মামা।
এজন্যই আমি মামাদের এতটা ভাল পাই।
এ সকল হিযবুত তাহরীরদের বিরুদ্ধে পোস্টারিং চাই মামা।
ভাগিনাসাহেব, আপনাকে মামাবাহিনীর প্রথম সারির কোন মামা বলে মনে হচ্ছে।
১। সেই দূর্ভাগ্যবান মামার নাম পরিচয় বিশদভাবে জানালে অত্যন্ত সুখী বোধ করতাম।
২। সেই আন্দোলন আপনার বলা চারজনই শুধু করে নাই। বুয়েটের তিন হাজার ছাত্র- ছাত্রী স্বেচ্ছায় এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। আপনি কি বলতে চান, বুয়েট কোন মাদ্রাসা যে তিন ছাত্র-ছাত্রীই শিবিরের ছিল।
আর “মাইয়া”র লাইক পাওয়ার জন্য জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস আমি দিতেই পারি। দেশ স্বাধীন। দেশে বাক-স্বাধীনতা আছে। মামাবাহিনীর কোন অধীকার নাই আমার বাক-স্বাধীনতা খর্ব করার। আমাকে ডেকে নিয়ে থ্রেট দেয়ার মানে কি?
৩। আপনি ভাগিনাসাহেব স্বীকারই করে নিলেন, বুয়েটে পরীক্ষা পিছানো মামাবাহিনীর কাজ। আর কি বলব আপনাকে?
আর আপনার সুবিধার্থে বলি, লাস্ট কবে হিন্দি মুভি দেখেছিলাম ভুলে গিয়েছি। মামাবাহিনী রুমে রুমে যে লিফলেট দিয়ে গিয়েছে, ওগুলো পড়ে টড়ে সুন্দর করে রেখে দিয়েছি। বেচে কটকটি খাব। ওগুলোতে শুধু বলা, আগেও এরকম হয়েছে তাই এখনো এরকমই হবে। কেন, সবকিছু নতুন করে শুরু করা যায় না?
ভাগিনা সালাম,
পরসমাচার এই যে বুয়েটের কৃ্তিত্বপূর্ণ কর্মকান্ডে আপনাদের সপ্রতিভ অংশগ্রহন অসাধারন ছাত্র সমাজকে বরাবর ঈর্ষান্বিত করিয়াছে! কোন সন্দেহের অবকাশ না রেখেই তাই বলা যায় এই পোস্টটি নেহায়েতই আপনাদের হেয় প্রতিপন্ন করিবার নিমিত্তে রচনা! রচয়িতার প্রতি রইল তীব্র কটাক্ষ! রচয়িতা এতই অকালকুষ্মান্ড যে তিনি বুয়েটের উপর আগত আশীর্বাদকে চিহ্নিত না করিতে পারিয়া প্রলাপ বকিতেছেন! এই তীব্র দাবদাহে হইতেই পারে আপনার স্নায়ুর উপর প্রভাব(রচয়িতা), তাই বলিয়া আপনি জলজ্যান্ত হিঁদুকে হিজবুত তাহরীরের গোত্রভুক্তকারী মহামানবদের এইভাবে কলংকিত করিবেন?? মিথুন রাহার সম্পুর্ণ নাম থাক্তেই পারে অজ্ঞাত (এইভাবেই তো তাদেরকে চিহ্নিত করা হইয়াছিল, তাই নয় কি?)! তাই বলে তিনি কেন হিজবুত তাহরীর হবেন না, এইটা আপনি ব্যাখা দিতে পারবেন রচয়িতা??
থুক্কু শিবির!
ক্ষমা প্রার্থণা
বুয়েটইয়ান ভাই এর জবাবে--
মোকামস এর ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারবেন যদি প্রশাসনের দেওয়া দেওয়া ব্যাখ্যার ৭ নম্বর পয়েন্ট টা পরে থাকেন। আর মোকামস তো আর একা মামাবাহিনি না।সে যদি ব্যাক্তিগতভাবে কারচুপি করে থাকে তাহলে শুধু তার জন্য পুরো বুয়েট ছাত্রলীগ কে দোষারোপ করা হবে কেন?? একজন র্যাব সদস্য যদি আজকে ছিনতাই এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে কি পুরো র্যাব বাহিনী ছিনতাইকারী??
গৌতম দার ঘটনা বুয়েট ছাত্রলীগ এর বিগত কমিটির কিছু উস্রিংখল ছাত্রদের ঘটানো। তাদের নামে থানায় মামলা হয়েছে এবং কয়েকজন কে হল থেকে সাসপেন্ড করা হইসে। মামলাটি নিয়মিত court এ উঠে।
ক্যাফেটেরিয়ায় বাকি যে কেউ খেতে পারে। বিশ্বাস না হয় আপনি কাল ক্যাফেটেরিয়ায় গিয়ে বাকি খেয়ে আসুন। কেউ মানা করবে না বা বাধা দিবে না। এটা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।
আচ্ছা আপনি তো দেখি কিছুই জানেন না। যাদের রেসাল্ট আটকানো হইসে কেন আটকানো হইসে কিছু জানেন? ০৬ এর অই ঘটনার সময় একটা তদন্ত কমিটি করা হইসিল যার তদন্ত এখনও শেষ হয় নাই। এটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আইন মোতাবেক স্থগিত রাখা হইসে।
শাস্তি প্রাপ্ত সুজিত মিঠুন ক্যাম্পাস এ ঘুরুক আর আমাজন জঙ্গলে ঘুরুক তাতে কার কি? বিশ্ববিদ্যালয় এর যে আইন এর ধারায় তাদের বহিষ্কার করা হইসে সেটাতে তাদের সর্বপ্রকার Academic কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার ব্যাবস্থা। সেটাতে কথাও বলা নাই তারা হল এ বা ক্যাম্পাস এ আসতে পারবে না।
বুয়েট ছাত্রলিগ মহৎ হোক বা চামার হোক,অন্তত রুম এ বসে বসে সত্য মিথ্যা না যাচাই করে হুজুগে পড়ে ফেসবুক বা ব্লগ কাঁপিয়ে দুনিয়া তথা বুয়েট ছাত্রদের উদ্ধারের মহৎ চেষ্টায় ব্যাস্ত না। তারা ২ টা মানব বন্ধন করেছে, কার ব্যানার এ সেটা পরে,কিন্তু কিসের দাবীতে? ক্লাস শুরুর দাবীতে ই ত? কই সাধারণ যারা ছাত্রলীগের গুস্তিউদ্ধারে ব্যাস্ত তারা এই দুই সপ্তাহে কি করেছে ক্লাস শুরু করার জন্য?
মনে রাখবেন আগে সবাই ছাত্র, তারপর ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, ছাত্রফ্রন্ত এসব। এরাও বাকি সবার মতই দেশের সবচেয়ে কঠিন ভর্তি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই এখানে এসেছে। নেত্তৃতের চর্চার জন্যই এরা ছাত্র সংগঠন করে।দেশের ভবিষ্যৎ মেধাবী দের ই দেখা উছিত,দেখে না জন্যই আজ অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে দেশ।
হ। সবার এজন্য বেশী বেশী করে ছাত্রলীগ করতে হবে। তাইলে উট না, অদ্ভুত বলদের পিঠে চইড়া দেশ উন্নতির শিখরে পৌছায়ে যাইব।
চরম উদাস,
নেতৃত্ব বানান করতে পারে না ঠিকমতো, আসছে কথা বলতে।
ভাগিনা সাহেব,
সমস্যা হইলো পুরা ছাত্রলীগের ৯৯% গুন্ডা এবং চাঁদাবাজ , সামনা সামনা সামনি যুক্তি তর্ক করা যায় এরকম একজনকেও আমি বর্তমান বুয়েট ছাত্রলীগে পাই নি। এদের কৃতকর্মের তালিকা বানাতে গেলে মহাভারত রচনা করতে হবে।
নেতৃত্বের চর্চা করতে যেয়ে তারা করছে লেজুড়বৃত্তি আর সন্ত্রাসচর্চা । আদর্শের সামান্যতম ছিঁটেফোটাও নেই আপনাদের মাঝে তাহলে পরশু যে শিবির করত , ছাত্রদল করত তাদেরকে আপনাদের দলে জায়গা দিতেন না।
ভেবে দেখেছেন কেন ছাত্রদের মাঠে না নেমে ব্লগে ফেসবুকে কথা বলতে হচ্ছে? কারন আপনারা বুয়েট টাকে নিজেদের মাতুতালয় বানিয়ে ফেলেছেন যেখানে আর কারো মুখ খোলবার অধিকার নেই বলে আপনারা মনে করেন।
এই তথ্য আপনাকে কে দিল?আন্দাজে একটা তথ্য দিয়ে দিলেন?বাকী ১% কই গেল?
উহার উত্তর কিন্তু এসেছিল ভাগিনা। মোকাম আপনাদের কমিটির মেম্বার না? তার দোষ তাহলে মামা বাহিনীর না? তাহলে তার এই অপকর্ম, ক্যাম্পাসে নারী সংক্রান্ত অপকর্ম এগুলোর পিছনে তার ক্ষমতার অপব্যবহার দায়ী না?? আপনারা তার এই অপকর্মের প্রতিবাদ কোথাও করেছিলেন?? এটা কি আপনাদের দায়িত্ব না, যে আপনার কমিটির একজন আপনাদের নাম ভাঙ্গিয়ে খাচ্ছে তার আসল রূপ তুলে ধরা?? কিছু করেছিলেন কি এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে??
ভূগোল পাঠ পড়ান আমাদের?? সেই খানে কয়জন ছিল? আর কয় জনের শাস্তি হয়? মাসুম হলে থাকে না? পলাশ ভাই পদ পাই নি নতুন কমিটিতে? কাদের ছায়ায় অবস্থান করে এরা? আমাদের অন্ধ ভাবেন?
অবিরাম ভাবে বাকি খাবার মত মানসিকতা কয়জন রাখে? বাকি পরিশোধ না করেও অবিরাম ভাবে বাকি চালিয়ে যায় কিভাবে কিছু মানুষ? আপনাদের শীর্ষ ব্যক্তির ইন্ধন ছাড়া, এগুলো চলতে থাকে এবং তারা এই সাহস পাই এটা অস্বীকার করুন? নজরুলের ক্যান্টিন এর কাহিনী অস্বীকার করেন আপনারা?
এই বিষয়টা দেখেছেন?
আপনি বলুন তো ঐ আন্দোলনে কতজন শিক্ষার্থী ছিল? হলফ করে বলুন তো জিয়া, মিথুন, কিংশুক, ইফতি শিবির করে? এদের এখন হল ত্যাগ, চাকরি খোজার সময়, এই সময় তাদের আটকানো অমানবিক কিনা বলুন তো? এতদিন প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ঠিক এই সময় নেওয়াটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না এটা অস্বীকার করুন তো?
এই বিষয়ে তদন্ত কমিটির অন্য মেম্বাররা এবং সব শিক্ষকরা বলেছিল, সাধারণ ছাত্রদের হ্যারাস করা হবে না। এটা সেই সময় উত্থাপন করেছিল, সেটা প্রশাসন মেনেও নেই। তদন্ত কমিটির অন্য মেম্বাররা স্বীকার করেছেন তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন ই না। এসব আপনি ভাল মতই জানেন।
সবার বিদ্রুপাত্মক দৃষ্টি এড়িয়ে তারা কার ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে ফেরার মত সাহস পাই? তাদের কে আপনাদের এক পক্ষ আপন করে নেই নি?
সেভ বুয়েট ক্যাম্পেইন কে চালাই? সাধারণ শিক্ষার্থী পরিচয় দিয়ে পোস্টারিং কে বা কারা করে? ছাত্রলীগ বানান ঠিক করে লিখুন। এই সংগঠের ঐতিহ্য আর ধূলোয় মিশিয়েন না।
৫০ জন নিয়ে মানববন্ধন করে বুয়েট উদ্ধার করে ফেলেছেন? ছাত্রদের জোর করে ধরে নিয়ে আসেন নি? কতজন ছাত্র-ছাত্রীর সম্মতি ছিল মানব বন্ধনে? আমরা তো বুয়েটের অন্য ইস্যুতেও মানব-বন্ধন দেখেছি, সেখানের উপস্থিতি কেমন হয় তা কি আমরা জানি না? কারা মানব বন্ধনে ছিল তা সবাই জানে। ক্লাস শুরুর উদ্দেশ্য নিয়ে মানব বন্ধন করলে বাহবা পেতেন, প্রশাসনের চামচামি না করে। সবাই জানে আপনাদের উদ্দেশ্য কি ছিল। অযথা এসব বলে লাভ নেই।
আপনারা ছাত্র পরিচয় দেওয়ার মত অবস্থান নিজদের কর্মকাণ্ড দ্বারাই হারাচ্ছেন। সংগঠনের মাঝে নৈতিকতা চর্চার ব্যবস্থা করুন দোহাই লাগে। এটা করলে মিথুন, সুজিত, দ্বীপ, লিমন পয়দা হবে না। আপনাদের এতটা অধঃপতন কি করে হয় সেটাই ভেবে পাই না।
ছাত্র সংগঠনের আদর্শ নিয়ে আপনারা কয়জন এখানে যুক্ত হন, তা সবার ভাল মত জানা আছে। ক্ষমতার বদলে যাদের আদর্শ বদলায় তাদের দ্বারাই আপনারা পূর্ণ। এতই সংগঠন সংগঠন করছেন, এসব সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে কখনো সোচ্চার হতে দেখি নি তো আপনাদের। কলেজ জীবনে শিবির করা অনেক মানুষ আপনাদের হর্তাকর্তা। তাদের মুখোশ উন্মোচন করুন। আপনাদের সংগঠনের কেউ কি আমাদের জাতির পিতার জীবনী পড়েছেন? অথচ তার আদর্শ আদর্শ বলেন এবং তার আদর্শের অবমাননা করেন। আপনাদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কলুষিত করার জন্য। ইউকসুর জন্য আন্দোলন করুন। নেতৃত্ব চর্চার এই ধাপ কবে থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। এ সম্পর্কে কিছু করেছেন বলেতো মনে হয় না।
এর দায় অস্বীকার করেন?
"আচ্ছা আপনি তো দেখি কিছুই জানেন না। যাদের রেসাল্ট আটকানো হইসে কেন আটকানো হইসে কিছু জানেন? ০৬ এর অই ঘটনার সময় একটা তদন্ত কমিটি করা হইসিল যার তদন্ত এখনও শেষ হয় নাই। এটা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আইন মোতাবেক স্থগিত রাখা হইসে।"
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন আইনে আছে মামা/ভাগিনা?
BNP আমলে ছাত্রদল আর AL আমলে ছাত্রলীগ এর চরিত্রে তো কোনো পার্থক্য নাই। মামু সবজায়গায় মামদোবাজি কইরা বেড়াও আর চাও তোমাদের নেতাগিরি দেইখা আমরা বগল বাজাই? ভালাই দিন পরছে।
বুয়েটের নিয়ে এইসব ব্লগে তেনাপ্যাঁচানি আর ভাল লাগে না। যেখানকার ঝামেলা সেখানেই রাখুন না। সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই যেখানে অরাজকতা চলছে, বুয়েট কিভাবে তার বাহিরে থাকবে? প্রতিদিন এই বুয়েট নিয়ে ব্লগে এত কথার মানে কি? দেশে কি এই একটাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
@Dohar ...আপনি লিখুন না অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোকে নিয়ে। যেখানে অন্যায় হচ্ছে, আপনি তার উপর লিখুন। আপনার তেনা প্যাচানি আমরা সবাই পড়ি। আপনাকে কে মানা করছে? অন্য কেও BUET নিয়ে লিখলে আপনার এত লাগলো কেন সেটা ধরতে পারলাম না।
বুয়েট নিয়ে লেখা গুলো পড়েন কেন !!!
@ভাগিনা
আপনার উদ্ভট যুক্তিগুলো ঠিক মহান ভিসির- "ভিসির পছন্দের লোকজনদের দিয়েই তো প্রশাসন চালাবো " এই মহান উক্তির মতো শোনাচ্ছে .
১। রেসাল্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাত নাম্বার পয়েন্ট যে দেখাচ্ছেন তাতেই তো ধরা খেয়ে গেলেন। ভিসি বলছেন ওটা নাকি কমিটির ভুল। দরখাস্তটা অ্যাডাভাইজার,বিভাগীয় প্রধান সবাইকে ডিঙিয়ে সরাসরি ভিসির কাছে যাওয়াটাও কি শুধুই একটা ভুল ? সেটা আবার ভিসির অনুমোদন করে দেওয়াটাও কি শুধুই একটা ভুল? বলে রাখা ভালো, দরখাস্ত গিয়েছিলো দুইটা- আরেকটা ০৬ এর আরেক ছাত্রীর, অসুস্থতার কারণে যিনি কোর্স উইথড্র করতে চেয়েছিলেন। উনারটা অনুমোদন হলোনা, মামারটা সরাসরি ভিসি থেকে রেজিস্ট্রার পর্যন্ত চলে গেলো কারো চোখে পড়া ছাড়াই। হতেই পারে, দুইটা দরখাস্ত একসাথে থাকলে ভুল তো মামারটার সাথেই হবে, তাইনা ?
২। গৌতমদার ঘটনার দায়িত্ব শুধুই আপনাদের কিছু উশৃঙ্খল কিছু ছাত্রের ঘাড়ে দিয়ে দিচ্ছেন- হাসি এসে গেলো। মার খাওয়ার কারণটা পুরোপুরি স্পষ্ট- ছাত্রফ্রন্টের লোক গৌতম, মামাদের জন্য বেজায় অস্বস্তিকর হয়ে গেছিলেন বলেই তো বেচারার হাড় গুড়ো করে দেয়া হলো। উশৃঙ্খলদের গাঁজার পয়সায় তো মনে হয়না গৌতম ভাগ বসিয়েছিলো। আচ্ছা এটা তো কতিপয় উশৃঙ্খলদের কাজ, যার দায় মামারা নেবে না- তাহলে ওই ঘটনার পর কেন মামার পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে গৌতমের বিরুদ্ধে পোস্টারিং করলো? গৌতমকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী বলে ঢাক পেটালো? আরেকটা কথা বলেন, মহান সুরঞ্জিত এইযে কিছুদিন আগে টাকা মেরে ধরা খেয়ে গেলেন, এটা তো কোনভাবেই আওয়ামী লীগের দায় হতেই পারেনা। অবশ্যই উনি "উশৃঙ্খল"। তাইনা?
৩। ক্যাফেটেরিয়ায় ১০/২০/১০০ টাকা বাকি খাওয়াটা গুনাহ, কিন্তু মামারা যদি হাজারখানেক টাকা বাকি খেতে চান সেইটা না খেতে দেওয়াটা গুনাহ। আরো বড় গুনাহ যদি উনারা চাঁদা চাইলে সেটা দেওয়ার মত সামর্থ্য না থাকে।
৪। সেটাই সেটাই- ০৬ এর ওই ঘটনার কমিটি তো রিপোর্ট জমা দেয়নি এখনো- জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়েছে শুধু- কমিটির প্রধান নিজে বলেছেন ২০জনের গ্রেডশিট কিভাবে আটকে গেলো তার কোন ধারণা নাই। তদন্ত কমিটিই রেসাল্ট আটকাতে বলে নাই তো গায়ে পড়ে "আইন মোতাবেক" উনাদের এই সাহায্য করতে গেলো কে?
সমস্যাটা হচ্ছে, গ্রেডশিট আটকেছে ডিসিপ্লিনারি কমিটি- যেটার হেড মহান ভিসি নিজেই। কেউ চাক বা না চাক, আইন মোতাবেক তিনি সেটা করতেই পারেন। ২০ জনের ডাকনামের (আসল নাম না, স্টুডেন্ট নাম্বার না- কোন তথ্য না) একটা লিস্টি তিনি এক্সাম কম্পট্রোলারকে দিতেই পারেন, তাই না?
৪। সুজিত মিঠুনের বহিস্কারাদেশটা সম্ভবত পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ছিলো- শুধু একাডেমিক কার্যক্রম থেকে না। তাছাড়াও, যে ছাত্রের একাডেমিক কার্যক্রমই নাই, সে হলে এসে ঘুরোঘুরি করে কোন অধিকারে? হলে থাকে কোন অধিকারে? যদিও এটা হতেই পারে- সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, যে কেউ যখন তখন ঢুকতেই পারে- সন্ত্রাসী হোক আর দরবেশ হোক।
মামারা মহান- যুগে যুগে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলনে তারাই বুয়েট জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মামারা মহান-ক্লাস শুরু দাবীতে দুই দুইটা মানব বন্ধন করে ফেলেছেন। মুক্তিযোদ্ধা, বামপন্থী হিলালি স্যারকে হিজবুত তাহরীর আখ্যা দিয়ে পোস্টারিং করেছেন। একটা দুইটা স্যারের মানসম্মান গেলে কিছু হয়না, ক্লাস শুরুটাই এখন আসল কথা।
নেতৃত্ব প্র্যাকটিস করতে গিয়ে একটা দুইটা ঈশানের হাত ভাংতেই পারে-খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।
বুয়েট এর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আসলে সবাই শঙ্কিত । দেশের সবচেয়ে মেধাবীরা শিক্ষাজীবনের প্রায় প্রতিটি ধাপে মেধার স্বাক্ষর রেখে বুয়েটে আসে। কিন্তু এখানেও যখন দুর্নীতি,অপরাজনীতি,জঙ্গিবাদ,দলীয়করণ এসবের প্রশ্ন ওঠে; তখন হতাশার রেখা আর বৃত্তের পরিসীমার ভেতরে থাকে না । আবার ভিসি – শিক্ষক সমিতি যখন নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ছাত্রছাত্রীদের কে জিম্মি করেন… ! তখন আর কিছু বলার থাকে না । শুধু একটা শঙ্কাই ভেতর থেকে আসে “এবার কি বুয়েটও ......!!!!!! ”
ও ভাগিনা কই গেলা। আসো না একটু ল্যাদাই। তোমার এক মামা এতবছর তিতুমীরে কি করে একটু কইয়া যাও।
জিয়া শিবিরের দালাল?
ওরে, আমারে কেউ ধর। হাসতে হাসতে চেয়ার ওল্টায়ে পড়ে গ্লাম তো
নতুন মন্তব্য করুন