টানা তিনদিন ল্যাবরেটরি ছেড়ে বের হননি ড. জামিল। অণুবিক্ষণ যন্ত্রের অভিনেত্র টিউবে চোখ লাগিয়ে পড়ে আছেন। অতিথি, সাংবাদিক কারো প্রবেশের অনুমতি নেই তাঁর দেড়শ বছরের পুরোনো বাড়িতে। নাসার বিজ্ঞানীদেরও প্রবেশ নিশেধ। বেয়ারা জগমোহন পর্যন্ত ঢুকতে সাহস পাচ্ছে না ল্যাবে। এমনকী প্রিয় কুকুর ভীমকেও শিকলবন্দী করতে বাধ্য হয়েছে জগমোহন। ল্যাবরেটরীরতে টিনে জমানো শুকনো খাবার আর পানি খেয়েই তিনটে দিন পার করেছন জামিল।
অণুবিক্ষণের স্লাইডে কিউপিডের মাটি। তিনদিন শত চেষ্টা করেও স্কিড নামের এক ধরনের ভাইরাস ছাড়া অন্যকোনো অণুজীবের সন্ধান মেলেনি। মাথা খারাপ হয়ে যাবার জোগাড় ড. জামিলের।
সম্প্রতি দশকোটি আলোকবর্ষ দূরে কিউপিড নামের এক গ্রাহের সন্ধান পেয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। গ্রহটা TSl-101 নামের এক নক্ষত্রের কক্ষপথে ঘুরছে। কিউপিডের সন্ধান পাঠিয়েছে ভয়েজার-II। ভয়েজারের তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয়েছেন কিউপিডের পরিবেশ পৃথিবীর জুরাসিক যুগের মতো। কিন্তু ভয়েজারের এইটুকু তথ্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি নাসার কর্তারা। আরো তথ্য চান। কিন্তু নাসার বর্তমান প্রযুক্তি তা জানাতে অক্ষম। তাই বলে হাল ছেড়ে বসে থাকলে তো চলবে না। শরণাপন্ন হয়েছিলেন ড. জামিলের। জামিলের মহাকাশযান পঙ্খিরাজ-১৯৭১ ক্ষুদ্রাকায়। কিন্তু প্রযুক্তিগত মানে ভয়েজার-ফিনিক্সের চেয়ে এক হাজার বছর এগিয়ে। পঙ্খিরাজ-১৯৭১-এর লেজার টিউব, পাথভিউয়ার, রেডিও ডিটেক্টর অত্যন্ত শক্তিশালী। তবে তার সবচেয়ে বড় ক্ষমতা মহাশূন্যের ওয়ার্মহোল খুঁজে বের করা। প্রয়োজনে ছোটখাটো ওয়ার্মহোল তৈরির ব্যবস্থাও আছে তাতে। তাই নাসার কর্তব্যক্তিরা অনেক আশা নিয়ে জামিলের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। জামিলও তাদের নিরাশ করেননি। জৈব রোবট বিদ্যপতিকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন কিউপিড অভিযানে। পৃথিবীর সময়ে তিনবছর সাইত্রিশ ঘন্টা উনপঞ্চাশ মিনিট তেরো সেকেন্ডে পৌঁছে গিয়েছিলেন কিউপডে। পঙ্খিরাজ-১৯৭১-এর তীব্র গতি আর সৌভাগ্যক্রমে পেয়ে যাওয়া ওয়ার্মহোলের বদৌলতে জামিলের সময় লেগেছিল মাত্র একান্নদিন সাতাশ ঘন্টা।
কিউপিডে ল্যান্ড করেই নাসার বিজ্ঞানীদের অনুমানের সত্যতা পেলেন ড. জামিল মৃদু শীতের আমেজ। পৃথিবীর জুরাসিক যুগের মতোই পরিবেশে সেখানে। অতএব মহাকাশ যান থেকে না নেমে যতদূর সম্ভব গ্রহটাকে পর্যবেক্ষণ করবেন। বলা যায় না টিরানোসরাসের মতো ভয়ঙ্কর ডাইনোসোর যদি থাকে। রোবোটিক চাকায় ভর করে কিউপিডের মাটিতে গড়িয়ে চলল পঙ্খিরাজ-১৯৭১।
ঘন্টা-মিনিট করে কয়েকদিন পেরিয়ে গেল। কিন্তু টিরানোসরাস দূরে থাক একটা টিকটিকির দেখাও পেলেন না। নবম দিনে স্পেসশিপকে একটা জলাশয়ের ধারে ভেড়ানোর নির্দেশ দিলেন জামিল। জলাশয়ের পানি পরীক্ষা করে দেখতে চান কোন ধরনের প্রাণী এতে তৃষ্ণা মেটায়।
হঠাৎ থ্রিডি স্পিকার থেকে বিদ্যপতির কণ্ঠ ভেসে এলো, 'স্যার, হাতি!’
মনিটরে চোখ রাখলেন জামিল। ভেসে উঠল জুরাসিক যুগের আসল পরিবেশ। রাজকীয় ভঙ্গিতে হেলেদুলে আসছে একদল রোমশ হাতি। সাইজে পৃথিবীর হাতির তুলনায় পাঁচগুণ একেকটা।
'ম্যামথ!' উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন জামিল। 'বিদ্যাপতি? সাবধান থেকো। আক্রমণ করলেই গেছি একেবারে।'
'ওকে স্যার!'
ম্যামথগুলো আক্রমণ করেনি। নিরীহ ভঙ্গিতে পানি খেয়ে চলে গেছে। হাতি সাধারণত দলবেঁধে চলে। কিউপিডের ম্যামথরাও তাই। সংখ্যায় কত জামিল গেণার চেষ্টা করেও পারলেন না। হাঁকালেন বিদ্যাপতিকে, দলে কয়টা ম্যামথ আছে জানাতে পারবে?'
'মূল প্রফেসরকে কমান্ড করছি স্যার?' জবাব দিল বিদ্যাপতি। মনিটরে তাকিয়ে ছানাবড়া হয়ে গেল জামিলের চোখ। ১৫৩৭ টা ম্যামথ আছে দলে!
'বিদ্যাপতি!' আবারও হাঁকালেন জামিল। 'এবার ডাইনোসারদের জন্য প্রস্তুত হও। ওরা কিন্তু ম্যামথদের মতো ভদ্রলোক নয়।'
'ওকে স্যার!'
তারপর একে একে শুধু ম্যামথের পালের দেখাই পেলেন। জুরাজকি যুগের অন্য কোনো প্রাণীর টিকির সন্ধানও মিলল না। বিদ্যাপতিকে সাথে নিয়ে স্পেনশিপ থেকে নেমে এলেন জামিল। চারিদিকে সবুজ গাছপালা আর মামথের পাল। পাখি কিংবা ছোট ছোট পোকা মাকড়ও নেই।
'বিদ্যাপতি! চলো, কিউপিডের বিপরীত দিকটা দেখে আসি। সে অঞ্চলে নিশ্চয়ই এখন গ্রীস্মকাল।'
আধঘন্টার মধ্যে পঙ্খিরাজ-১৯৭১ ল্যান্ড করলো কিউপিডের উল্টোপিঠে। এ পাশটার চেহারা একেবারেই অন্যরকম। চারদিকে মৃত ম্যামথের স্তূপ। তবে যথারীতি অন্য প্রাণী অনুপস্থিত। তাজ্জব হয়ে গেলেন ড. জামিল। ম্যামথগুলো মরল কীভাবে? নিশ্চয়ই ভয়ঙ্কর কোনো ভাইরাসের সংক্রমণ!
কিন্তু অন্য প্রাণী যদি নাই থাকে তাহলে এই লাখ লাখ ম্যামথের মড়াগুলো সৎকার করে কারা? শুধুই কি ব্যাকটেরিয়া? কিন্তু এভাবে তো পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হয় না। স্পেপশিপ ছেড়ে আরকবার নিচে নামার সিদ্ধান্ত নিলেন জামিল। বিদ্যাপতি শুনে আঁৎকে উঠল। 'স্যার ভুলে যাচ্ছেন ঘাতক এক ভাইরাস রয়েছে নিচে।'
'ভয় নেই বিদ্যাপতি। প্রোটেকশন পোশাক পরে নামব। আশা করি কিছু হবে না।'
কিন্তু নেমেও লাভ হলো না। শুধুমাত্র স্কিড নামের ঘাতক ভাইরাস ছাড়া অন্যকোনো অণুজীবের সন্ধান মিলল না। এমনকি ম্যামথের মৃতদেহগুলো পচাতে পারে এমন ব্যাটকেরিয়ারও অস্তিত্ব নেই কিউপেডের বায়ুমণ্ডল ও কিংবা মাটিতে।
'তাহলে ম্যামথের লাখ লাখ শবদেহ যায় কোথায়?' আপন মনে বিড়বিড় করতে লাগলেন।
সারাদিন ধরে চেষ্টা করেও সমানে পৌঁছাতে পারলেন না। এক সময় TSl-101 নক্ষত্র মুখ লুকালো দিগন্তে। সন্ধ্যা নেমে এলো। আঁধার আচ্ছন্ন করে ফেলল কিউপিডকে। চিন্তক্লিষ্ট জামিল বিদ্যাপতিকে নিয়ে ফিরে এলেন স্পেসশিপে। রাতের খাবার খেয়ে আবারো মস্তিষ্কের খেলায় মেতে উঠলেন। কখন যে ঘুমের কাছে হার মেনে ঢলে পড়েছেন বলতে পারবে না।
সকালে ঘুম থেকে উঠে আগে চোখ বুলালেন মনিটরে । ভয়ানক এক দৃশ্য দেখে থ মেরে গেলেন জামিল। লাখ লাখ ম্যামথের মৃতদেহ এক রাতেই সাবাড় করে ফেলেছে কোনো রাক্ষুসে প্রাণীর দল। TSl-101-এর আলোয় ঝিকমিক করছে ম্যাথথের কঙ্কালগুলো।
'বিদ্যাপতি!’ কন্ট্রোলরুমের উদ্দেম্যে হাঁক ছাড়লেন জামিল। ‘চলো আবার নামতে হবে।’
'স্যার বিপদ হতে পারে। না নামাই ভালো।'
'তুমি কি রাতে কিছু দেখেছিলে?'
'না, স্যার ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।'
'ভয় নেই বিদ্যপতি। ম্যামথের দেহগুলো যারাই সাবাড় করুক। তারা মনে হয় দিনে বেরোতে সাহস করবে না।'
ধীরপায়ে নামে এলেন ড. জামিল। সাথে বিদ্যাপতি। হাড়গুলো নেড়েচেড়ে পরীক্ষা করলেন। একটুকরো মাংসও লেগে নেই তাতে। বিরাট কোনো মাংসাসী জীবের পক্ষে হাড়ের গা থেকে মাংস এতো মসৃণভাবে মাংস ছাড়িয়ে নেয়া সম্ভব নয়। নিশ্চয় রাক্ষুসে প্রাণীগুলো ক্ষুধা মেটানোর পর কোনো ক্ষুদ্র প্রাণীর দল এসে বাকি কাজটুকু সেরেছে। কিছু কিছু হাড় সুক্ষ্মভাবে কুরে খাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
'বিদ্যাপতি আজ রাতও আমাদের এখানে কাটাতে। বিরল একটা দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত হব নইলে।'
দিনের বেলা লম্বা একটা ঘুম দিয়ে নিলেন জামিল ও বিদ্যাপতি। গোধুলী নামার সাথে সাথে শুরু হল তাদের অপেক্ষার প্রহর। আমাদের চাঁদের মতো কোনো উপগ্রহ নেই কিউপিডের। তাই জোসনা এসে অন্ধকার তাড়াবে সে সম্ভবনাও নেই। সার্চ লাইট জ্বেলে রাক্ষুসে প্রাণীগুলোকে ভয় পাইয়ে দিতে চান না জামিল। তাই ইনফ্রারেড ক্যামেরা চালিয়ে দিয়ে কঙ্কালগুলোর ওপর নজর রাখছেন। মধ্যরাত পেরিয়ে গেলে এলো ওরা।
'স্যার। এগুলো আবার কী?' বিদ্যাপতির প্রশ্ন।
'এদের অপেক্ষাই তো করছি আমরা।'
'এদের!' বড্ড অবাক হয়েছে নির্লিপ্ত স্বভাবের বিদ্যাপতিও। ‘এরা তো সামান্য পিপঁড়ে স্যার!'
'সবুর করো বিদ্যাপতি, এদের বিশাল সংখ্যা পুষিয়ে দেবে আকারের ঘাটতিকে।'
সত্যিই তাই। কয়েক মিনিটের মধ্যে পিঁপড়ের মিছিলে ছেয়ে গেলো গোটা এলাকা। কোটি কোটি। ভুল। বিলিয়ন বিলিয়ন কালো কালো পিঁপড়ের আড়ালে ঢাকা পড়ল লাখ লাখ ম্যামথের কঙ্কাল।
'একটা পিঁপড়ে ধরতে পারলে ভালো হতো।' আপন মনেই বিড়বিড় করলেন জামিল।
'ধরব স্যার।' মাইক্রোফোনের কল্যাণে জামিলের বিড়বিড়ানিও গেছে বিদ্যাপতির।
'খবরদার!' এ বোকামী করো না। মহূর্তের মধ্যেই ওরা আমাদের ছিঁড়ে-কুটে অণু-পরমাণু বানিয়ে ফেলবে। বরং আলো জ্বেলে দেখো কী প্রতিক্রিয়া হয়?'
সার্চ লাইট জ্বেলে দিল বিদ্যাপতি। মুহূর্তেই উধাও হয়ে গেল কালো পিঁপড়ের পাহাড়। ম্যামথের কঙ্কালগুলো বেরিয়ে এলো সেই পাহাড়ের আড়াল থেকে। কিন্তু অক্ষত নেই একটাও।
অবশেষে ল্যবরেটরি থেকে বের হয়েছেন ড. জামিল। সোনার গাঁ হোটেলের বলরুমে বসেছে পৃথিবীর বিখ্যাত সব বৈজ্ঞানিক আর নামকরা সব নিউজ এজেন্সির সাংবাদিকদের মিলন মেলা। যেন বড় এক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন। জামিল তাঁর কিউপিড অভিযানের অভিজ্ঞতা সবিস্তারে জানালেন। এখন বিউপিড ব্যালান্সের পালা। সেটাও তিনি জানালেন। বৈজ্ঞানিকরা বুঝালেও সাংবাদিকরা বুঝলেন না স্পষ্ট করে। বিবিসির এক সাংবাদিক বললেন, 'একটু খোলসা করে বলুন, স্যার। আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয়েছে।'
জামিল মুচকি হেসে কিউপিড-ব্যালান্স রহস্যের ঝাঁপি খুলতে লাগলেন। ‘আমরা প্রথমে যে স্থানে ল্যান্ড করি ওখানে শুধু ম্যামথ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী নেই। আর ওই অঞ্চলে তখন শীতকাল। রোমশ ম্যামথগুলো নিশ্চয় শীতে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। আবার উল্টোদিকে গেলাম। সেখানে গ্রীষ্ম কেবল শুরু হয়েছে। লাখ লাখ ম্যামথ পরে পড়ে রয়েছে সেখানে। বুঝলাম গ্রীষ্মকালে স্কিড ভাইরাসের সংক্রামণে উজাড় হয়ে যায় ম্যামথের পাল। সব যে উজাড় হয় তা নয়। বিরাট একটা অংশ গ্রীস্মের শুরুতেই পাড়ি দেয় শীত প্রধান অঞ্চলে। কিন্তু কিউপিডে ম্যামথের সংখ্যা এতো বেশি সবগুলো একসাথে পালাতে অনেক সময় লেগে যায়। যেগুলো পেছনে পড়ে যায় সেগুলো পালানোর আগেই স্কিড ভাইরাসের শিকার হয়।
ম্যামথের মৃতদেহগুলো পচানোর জন্য কার্য্যকরী কোনো ব্যাকটেরিয়া নেই কিউপিডের মাটিতে। কিন্তু ওগুলোকে সাবাড় করার জন্য আছে বিলিওন বিলিয়ন কালো পিঁপড়ের পাল। মুহূর্তেই এরা টুকরো টুকরো করে ম্যামথের মৃতদেহগুলো বয়ে নিয়ে যায় নিজেদের গর্তে। এমনকী হাড় গোড়ও। এই পিঁপড়েরা শীত-আলোও কোনোটাই সহ্য করতে পারে না। অন্যকোনো প্রাণী যখন নেই তাই এদের চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদের খাদ্য যোগান দেয় স্কিড ভাইরাস। ম্যামথদের সক্রমিত করে। আবার ম্যামথের মৃতদেহে ঘাপটি মেরে থাকা ভাইরাসগুলো ঢুকে পড়ে পিঁপড়েগুলোর দেহে। তবে ম্যামথকে যত সহজে মারতে পারে পিঁপড়েদের ততো সহজে পারে না। দু তিন সপ্তাহ লেগে যায়। এই দু’তিন সপ্তাহের মধ্যে পিঁপড়ে ডিম পেড়ে বাঁচ্চা ফোটানোর উপযোগী হয়ে যায়। ডিম ফোটার আগেই বয়স্ক পিঁপড়েগুলো স্কিডের সংক্রমণেউজাড় হয়ে যায়।
পিঁপড়ের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যায় স্কিড ভাইরাসের আয়ুষ্কাল। তারাও ম্যামথ আর পিঁপড়ের দেহে পরবর্তী প্রজন্মের বীজ রেখে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পরবর্তীতে ম্যামথের মৃতদেহের ভেতরে লুকিয়ে থাকা স্কিড ভাইরাসের বীজ খাদ্যের সাথে চলে যায় পিঁপড়ের দেহে। সেখানেই তাদের প্রসেসিং প্রসেসিং হয়। পিঁপড়ের মলের সাথে বেরিয়ে মিশে যায় মাটিতে। শুরু হয় স্কিড বীজের দ্বিতীয় হয় প্রসেসিং। এই প্রসেসিং শেষ হতে হতে আবার গ্রীষ্ম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ম্যামথরা। ফিরে আসে শীতল এলাকায়। তারপর সেখানে গ্রীষ্ম আসা পর্যন্ত জমিয়ে ম্যামথের মৃতদেহগুলোকে খেয়ে জীবন ধারণ করে নতুন প্রজন্মের পিঁপড়েরা। আবার এলাকায় গ্রীষ্ম এলে স্কিড ভাইরাস আক্রমণ করে ম্যামথদের। পিঁপড়েগুলো তখন তাদের পরবর্তী বংশধরদের জন্য জমা করতে শুরু করে ম্যামথের মৃত দেহ।
প্রকৃতির এই চমৎকারÑ সিস্টেম শীত-গ্রীষ্মের ধারাবাহিকতাÑ কিউপিডের সব অঞ্চলের ভারসাম্য রক্ষা করে। ও হ্যাঁ, একটা কথা বলা হয়নি। ভেঙে না বললেও বুঝবেন, কিউপিডের গাছপালার জন্য কার্বন ডাই অক্সাইডের অভাব হয় না। এতো এতো ম্যামথ আর বিপুল সংখ্যার পিঁপড়ে তার যোগান দেয়। কিন্তু এখানেও অসামঞ্জস্য থেকে যাচ্ছে না? যেহেতু পচানো মতো কোনো ব্যাকটেরিয়া নেই । মৃত গাছপালা গুলোর কী হয়? ছোট ছোট গাছপালা খেয়ে সাবাড় করে ফেরে কিউপিডের কোটি কোটি ম্যামথগুলো। এদের চোখ ফাঁকি দিয়ে যেগুলো বেড়ে ওঠে তাদের শেষ পরিণতি দাবানলে ভস্মিভূত হওয়া।
..............
আব্দুল গাফফার রনি
E-mail:
eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%69%63%68%61%6d%6f%74%69%37%31%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%22%3e%69%63%68%61%6d%6f%74%69%37%31%40%67%6d%61%69%6c%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))
মন্তব্য
সায়েন্সে অনেক বেশি গরমিল চোখে পড়ল! ফিকশনের আইডিয়াটাও মেনে নিতে পারলাম না। কিন্তু লিখতে থাকুন। লিখতে লিখতেই লেখিয়ে। সচলে স্বাগতম।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
সায়েন্সটাই ঠিকমত বুঝে উঠিনি। এখানে ফিকশ্ন বলতে যা বুঝিয়েছি হয়তো সেটা আমার উদ্ভত কল্পনা।
আগেরটার মত হয়নি
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
ব্যাপারটা আমি বুঝেছি। মগজের ভাড়ার খালি হয়ে যাচ্ছে, পড়াশোনার জন্য সময়ের বাজেটটা বাড়াতে হবে।
গল্পের শুরু শেষ, ক্লাইম্যাক্স বুঝলাম না। মনে হলো খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লেখা খাপছাড়া স্বপ্ন।
এইটাকে ঠিক সাই ফাই এর মর্যাদা দেওয়া কিনা জানিনা। তবে আপনার লেখা বেশ ঝরঝরে। যত্ন নিয়ে লিখলে অনেক সুন্দর লেখা বের হবে আপনার কলম থেকে। চালিয়ে যান।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ধন্যবাদ। আমার জীবনটাই খপছাড়া, চিন্তা-চেতনা যে অগোছালো ব্যাপারটা আমিও মাঝে মঝে অনুধাবন করি।
সাইফাই গল্প আমার বেশ লাগে,সচলে আর ও ফিকশন আসুক আপনার হাত ধরে।
ধন্যবাদ! তবে ত্রুটি-বিচূতির কথাও যদি দু-একটা বলতেন, উপকৃত হতাম।
শেষটায় কেমন যেন লাগল।=/
আসলে ড. জমিলই যত নষ্টের মূল। তার দুর্বোধ্য ডায়েরি আমার মাথা আউলা ঝউলা করে ছেড়েছে।
রনি, আরো ভাবনা চিন্তার প্রয়োজন আছে কিন্তু !
প্রফেসর শংকুকে আদর্শ হিসেবে ধরে নিয়ে সায়েন্স ফিকশন লিখলে বিপদের সম্ভাবনা চরম পর্যায়ে।
সত্যজিৎ জীবিত থাকতেই এমন কথা উঠেছিল যে এগুলো ঠিক সায়েন্স ফিকশন নয়- সায়েন্স ফ্যান্টাসী হতে পারে।
আরো স্টাডি করুন। অন্যান্য লেখকদের লেখা পড়ুন।
এটা ব্যক্তিগত পরিচয়সূত্রে দানকৃত পরামর্শ।
ভবিষ্যতে কাজে লাগবে।
নিলয়দা, আপনার প্রায় ৯৫% মন্তব্য গ্রহণ করে দাখেছি ফল ইতিবাচক। এক্ষেত্রে কাজীদার সাথে আপনার মিল অসাধারণ! আমার সৌভাগ্য আপনাদের সানিধ্য পেয়ছি।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
ভয় নেই, মহাকাল আপনাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে
মরা পিঁপড়েগুলির কী হালত হয়? স্তুপ হয়ে যাওয়ার কথা যদি না ওদের বাচ্চা কাচ্চারা ওদের খেয়ে ফেলে। আর মাঝে মাঝেই বাক্যগুলো কেমন খাপছাড়া হয়ে গেছে। যেমন -
এরকম আরো কিছু।
লিখতে থাকুন। আর আমাদের মতো যারা অতিথি তাঁদের যেহেতু সম্পাদনার সুযোগ নেই কাজেই পোস্ট দেয়ার আগে প্রিভিউতে গিয়ে একটু ভাল ভাবে পড়ে নিলে অনেক ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
মরা পিঁপড়েগুলির কী হালত হয়? স্তুপ হয়ে যাওয়ার কথা যদি না ওদের বাচ্চা কাচ্চারা ওদের খেয়ে ফেলে। আর মাঝে মাঝেই বাক্যগুলো কেমন খাপছাড়া হয়ে গেছে। যেমন -
এরকম আরো কিছু।
লিখতে থাকুন। আর আমাদের মতো যারা অতিথি তাঁদের যেহেতু সম্পাদনার সুযোগ নেই কাজেই পোস্ট দেয়ার আগে প্রিভিউতে গিয়ে একটু ভাল ভাবে পড়ে নিলে অনেক ঝামেলা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
ঠিক-ই ধরেছেন, স্তূপ হয়ে যায়। তারপর দাবানলে ছাই হয়ে যাই সেই স্তূপ। তবে ভয় নেই মানুষ যখন একবার জেতে পেরেছ ভবিষ্যতে স্কিড ভাইরাসের প্রতিষধক নিয়ে অখানে কলনি গড়লে কিউপি-ব্যালান্স সত্যিকার ব্যালান্সে পৌঁছুবে।
আসলে এখানে হবে এরকমঃ 'সেখানেই তাদের প্রথম প্রসেসিং হয়। --------- শুরু হয় স্কিড বীজের দ্বিতীয় হয় প্রসেসিং। এই প্রসেসিং শেষ হতে হতে আবার গ্রীষ্ম এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ম্যামথরা। ফিরে আসে শীতল এলাকায়। তারপর সেখানে গ্রীষ্ম আসা পর্যন্ত জমিয়ে রাখা ম্যামথের দেহকণাগুলোকে খেয়ে জীবন ধারণ করে নতুন প্রজন্মের পিঁপড়েরা।'
সমালচকরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভাল...
তবে আরও ভাল হতে পারতো, লিখতে থাকুন
পারত
বিজ্ঞান যাচিয়ে না দেখে, নিছক ফিকশন হিসেবে পড়লাম। ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ
নতুন মন্তব্য করুন