১.
আমার কোন গল্প ছিল না।
গল্প হবার জন্য উঠোন লাগে, তিরতির করে চলা রূপেশ্বরী নদী লাগে, খুব ভোরেতে শিউলি ফুলের গন্ধ লাগে। আর লাগে শীতলাপূজায় হরেন চাটুজ্জ্যের বাড়িতে স্নিগ্ধাদির বানানো আতপ চালের পিঠা।
আমার কোন গল্প ছিল না। আমার ছেলেবেলা সাক্ষী হয়ে আছে শুধু বড় হুজুরের আলিফ জাল দাল নুন লাম মিমের, আমার ছোট্ট পিঠ সাক্ষী হয়ে আছে শুধু হুজুরের হাতে হুশ হুশ করে বাতাসে শব্দ তোলা চিকন কঞ্চি বেতের।
মার খেতে খেতে এমন অবস্থা হয়েছিল, একসময় আমার আর কোন ব্যথা বেদনার বোধ রইল না। বরফের মত ঠান্ডা চোখে আমি শুধু বাঁশের কঞ্চির উঠানামা দেখে যেতাম। মারতে মারতে হুজুরের কঞ্চির আগাটা ছড়ে একেবারে ফালাফালা হয়ে গেছিল। শূন্য হাওয়ায় সেই বেত ঘুরাবার সময় কেমন ঘোরলাগা একটা শব্দ তুলতো। হুশ হুশ হুউউশ। ঠিক স্নিগ্ধাদির দেয়া বাঁশিটার মত।
চরকের মেলা থেকে দুটাকার বাঁশি কিনে দিয়েছিল স্নিগ্ধাদি। বলেছিল, তুই বড় হলে আমাকে এই বাঁশিটা বাজিয়ে শোনাবি বুড়ো?
স্নিগ্ধাদি, তুমি জানো না, সেই দিন থেকে আমার ভেতরের প্রতিটা বিন্দু প্রতিটা মুহূর্তে শুধু বড় হতে চাইতো। বড়, আরো বড়, আরো।
ঘুমদুপুরে সবাই যখন ঘুমিয়ে যেত, বাঁশি হাতে আমি চলে যেতাম মেহগনি গাছের বনে। অত্তটুকুন ফুসফুসে যত বাতাস ভরে, সবটুকু ঢেলে সুর তুলতাম। শব্দ হতো- হুশ হুশ হুউউশ।
নির্ঘুম দুপুরের ওই হুশ হুশ বাঁশি আমাকে এক লহমায় বড় করে দিত। খুব করে বড় হতে চাইতাম আমি। করিম ভাইয়ের মত বড়। আবদুল্লাহ ভাইয়ের মত বড়। হুজুরের মত বড়? উহু, অতো ধেড়েমুড়ে বড় না।
সুবেহ সাদিকে হুজুরের হুশ হুশ বেতের শব্দ আমাকে শুধুই স্নিগ্ধাদির বাঁশির কথা মনে করিয়ে দিত। আমি খালি কঞ্চির উঠানামা দেখে যেতাম। আমার চোখে নামতো দুপুরের ঘোর।
জুম্মাবারের দিন বাবাকে ডেকে বড় হুজুর বললেন, আপনার পোলার লেখাপোড়ায় মন নাই। সে ইবলিশ হইবে। ইবলিশের মতন চোখ করিয়া তাকায়।
ভুল বলেছিলেন হুজুর। আমি ইবলিশ ছিলাম না। আমসিপারা বুঝতাম না আমি, কিন্তু হিন্দু বুঝতাম। সগন শেখের ব্যাটা জামাল-কামালের সাথে মিলে বদমায়েশ লাল পিঁপড়াগুলাকে হাতের সবটুকু জোর এক করে পিষে পিষে মারতাম। সওয়াব কামাতাম। অনেক সওয়াব জমা হয়ে গেছিল আমার। আমি ইবলিশ ছিলাম না।
সুবলকে আমি জন্মের হিংসা করতাম। ও দেখতে ভালো ছিল না, মার্বেল খেলায় হাতের টিপ ছিল না, জানতো না কেমন করে মুখে হাত দিয়ে শব্দ করলে লক্ষ্মীপেঁচা বেরিয়ে আসে। তবু ওকে হিংসা করতাম আমি। এক বিকেলে বড়ো অভিমান নিয়ে স্নিগ্ধাদিকে জিজ্ঞেস করেছিলাম,- বড় হলে তুমি ওই সুবলকে বিয়ে করবে, তাই না?
আমার ডান কানটা শক্ত করে মলে দিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়েছিল স্নিগ্ধাদি। শোন বুড়ার কথা! ঐটুকুন পিচ্চিকে বিয়ে করবো আমি? হাসির দমক থামতেই চাইতো না ওর।
আমি হাসতাম না। পাথরের মত মুখ করে তাকিয়ে থাকতাম। আমসিপারা না পারলে কি হবে, আমি সব বুঝতাম। হিন্দু বুঝতাম। বিয়ে-বিয়ে বুঝতাম।
২.
এক জৈষ্ঠ্যের দুপুরে নসিমকাকুর বাগানে পড়ে থাকা একটা এত্তো বড় ডাসা আম কুড়িয়ে হরেন চাটুজ্জ্যের বাড়ি গিয়ে বললাম – স্নিগ্ধাদি, তোমার জন্য।
- কেমনে পেলি রে?
- গাছে উঠে পেড়েছি।
-কাছে আয়।
আমি এগুলাম, দু পা।
ধাই করে দুহাতে আমার গাল ধরে ধ্যাবড়া করে একটা চুমো বসিয়ে দিল স্নিগ্ধাদি, কপালের ঠিক মধ্যিখানে। জন্মের মত পৃথিবীটা উলটপালট হয়ে গেল আমার।
সেইদিন বাড়ি ফিরলাম না আমি। সারাদিন পথে পথে ঘুরলাম। জৈষ্ঠ্যের দারুণ রোদ্রে কপাল বেয়ে স্নিগ্ধাদির ভেজা চুমো ঘাম হয়ে এসে লাগছিল আমার ঠোঁটে। আমার সারাটা কপাল ভিজে থিকথিক করছিল ঘামেতে। চুমোতে। আমি ঘাম মুছলাম না। কী যে অদ্ভুত মিষ্টি একটা গন্ধ সেই ঘামে!
সেদিন ছিল জৈষ্ঠ্যের দিন! সেদিন ছিল জৈষ্ঠ্যের দিন!
৩.
তখন আমি ছোট ছিলাম। সব বুঝতাম। রাজনীতি বুঝতাম। সাদ্দাম হোসেন বুঝতাম। জুম্মার দিনে মুসল্লিরা স্লোগান দিত- নারায়ে তাকবির। রক্ত গরম হয়ে যেত শুনলে। আমি নারায়ে তাকবির বুঝতাম।
--------------------
প্রিয় পাঠক, এখন আমি আপনাদের একটা ধাক্কা দিব। সেইটা হইলো- গল্প শেষ।
আপনারা যদি হৈ হৈ করে উঠেন, মিয়া ফাইজলামি নাকি, আমার কিছুই করার নেই। দ্য স্টোরি ইজ ওভার। কারণ এরপর আর কিছুই ঘটেনি। হরেন চাটুজ্জ্যে হাতজোড় করে বাবার কাছে এসে বলেনি, -‘ভগবানের দিব্যি লাগে হুজুর, একটু সময় দ্যান। কাল পেত্যুষেই আমরা ভিটেমাটি ছাড়ি চলে যাবানে’। শান দেয়া রামদা হাতে সগন শেখ কুত্তার মতন খেঁকিয়ে উঠেনি, ‘মালুর পো! অক্ষন জান লয়া লৌড়া, অক্ষন। শ্যালার ভগবান’। স্নিগ্ধাদির কথা জিজ্ঞেস করতে গেলে মা আমার মুখে আঁচল চেপে ধরে বলেনি, -‘এই চুপ চুপ’।
--------------------
আমরা এখন অনেক বড় হয়ে গেছি। আমি বড় হয়ে গেছি, সগন শেখের ব্যাটা জামাল-কামাল বড় হয়ে গেছে। মাদ্রাসার বড় হুজুর অবশ্য বড় হবার টাইম পায়নি, মরে ভূত হয়ে গেছে আগেই।
মানুষ একবার বড় হয়ে যেতে পারলেই, ব্যস, আর কিচ্ছু বুঝে না। লাল পিঁপড়া বুঝে না। সাদ্দাম হোসেন বুঝে না।
যেমন আমি বুঝিনা, কেন জৈষ্ঠ্য এলেই আজও আমার কপাল বেয়ে ঘামের মিষ্টি গন্ধ নামে!
---------------------------------
সাত্যকি
joy.soumitraঅ্যাটgmail.com
---------------------------------
আমার অন্যান্যঃ
৫) গুই
৪) ডাইনি
৩) বিলুর ডায়েরি
২) ভালোবাসা- ভালোবাসা
১) লাবুদি
মন্তব্য
খুব ভালো হয়েছে, এক কথায় দুর্ধষ:-)
পাবলিশ করার পর ভুল ধরা পড়লো। গল্পের শিরোনামে 'জ্যৈষ্ঠ' বানানটাই ভুল করে রেখেছি।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ অতিথি লেখক।
আপনার লাখাটি অসম্ভব ভালো এবং অনবদ্য হয়েছে।
অনেক দিন পর অসম্ভব একটা লেখা পড়লাম। আর আপনার লেখা পড়ে শরীরে কাঁটা দিয়ে গেল। তাই আপনার লেখায় কোনো ভুল ধরার সাধ্য আমার নেই।
এজন্য আপনকেও অসংখ ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
বেশ ভাল।
আপনার হাচলত্বের জন্য সুপারিশ ঠুকে গেলাম।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনি কবিতার মানুষ। তবু গল্প ভালো লেগেছে, এই অনেক
আমিও ঠুক দিলাম।
দারুণ হয়েছে। আপনার ডাইনি গল্পটাও পড়লাম। ওটা এক কথায় অসাধারণ। সময় নেই বলে বাকিগুলো পড়িনি, সময় করে পড়ব। লিখতে থাকুন
বলছেন আপনি ? খুব ভাল্লাগলো জেনে
আপনার বাকি গল্প গুলোও পড়লাম। দারুণ লেগেছে , একটাই সমস্যা ,আমার নিজের গল্প লেখার সাহসটা কমে গেল , এই যা । মডুদের কাছে আপনাকে হাচল করার দাবী জানিয়ে গেলাম।
ভীষণ মন কেমন করা লেখা। ভালৈছে-----------
----------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
আমিই তো আপনার লিখার মহাভক্ত। সেই যে যাত্রাপালার মিস টিনা, মনে আছে আমার খুব।
কালকেই ঠিক করেছি আগামি একবছরের জন্য লেখালেখি থেকে আমার ছুটি। আপনার লেখা পড়ে লগিন না করে থাকা গেলনা। মুগ্ধ হয়ে গেলাম। পাঁচতারা।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
আপনি এমনই ! সবসময়ই একশো ডিগ্রি বাড়িয়ে বলেন। সেইজন্যই তো সবাই ঠাম্মি বলে
ইশ, কক্ষনও আমি বাড়িয়ে বলিনা। যার প্রশংসা প্রাপ্য তাকে তা না দেয়ার তো কোন যুক্তি নেই। আর মোটেও সবাই আমাকে ঠাম্মি বলেনা। সে তো দেখতে ভালো নই বলে সগোত্র ভেবে গুটিকয় বাঁদর হনুমান অমন বলে।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
বললেই হল?
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ভীষণ ভীষণ ভালো লাগলো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ শিমুলাপু। যার জন্য লিখা সে যদি পড়তো !
এখনো পড়েনি!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ভাল হয়েছে
তোমার মাথা !
আপনার গল্প আগে পড়িনি; কিন্তু আজকেরটি পড়ে বুঝতে পারলাম আগেরগুলো মিস করে বড্ড ভুল করেছি।
আপনার গল্প কেমন এক দূর দেশে নিয়ে যায়; ভাবালুতা, অব্যক্ত যন্ত্রনা আর সূক্ষ্ণ অনুভূতির দোলায় বেঁধে রাখে পাঠককে। গল্পটিতে অভিনবত্ব রয়েছে, সামাজিক নিস্পেষন রয়েছে, মানবীয় হাহাকার রয়েছে, তবে সবচেয়ে বেশী ভাল লেগেছে আপনার বলার স্টাইল। 'কেউ কথা রাখেনি'র যন্ত্রনা ফিরে এসেছে আপনার গল্পে।
আমার ভাল লাগার কয়েকটা লাইন কোট করছিঃ
শেষে একটা কথা। শিউলি ফুলের গন্ধ, রূপেশ্বরী নদী না পেলেও আপনি মেহগনি গাছের বন আর একখানা বাঁশি পেয়েছিলেন, অনেকের ভাগ্যে তাও জোটে না। ধুলি-ধোঁয়ার নাগরিক জীবনই তাদের দুনিয়া।
এমন আরও গল্প পড়ার প্রত্যাশায় থাকলাম।
অনেক অনেক ভালো লাগলো কাজি মামুন, আপনার এমন খুটিয়ে খুটিয়ে পড়া দেখে।
তবে এত কিছু ভেবে তো আমি লিখিনি ভাই, মনে আসলো যা তাই তুলে দিলাম।
ভবিষ্যতেও লিখবো নিশ্চয়ই। আপনার লিখাও পড়ার প্রত্যাশায়
অনেক ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
ভালোলাগার প্রত্যুত্তরে আমারো ভালো লাগা রইল।
জয় লেখা ভালো হয়েছে, শুরুটা তো অসাধারন......
তবে কিছু অভিযোগ ছিল আমার :
আমি তো সারাজীবনেও লাল আর কালো পিঁপড়ার পার্থক্য করি নি, আমার মত আরো অনেকেই করে নি কোনদিন। লাল আর কালো পিঁপড়ার পার্থক্যটা না করলেও পারতা। এই জীবনে কত মুহুর্ত এই লাল পিঁপড়াদের সাথে কাটিয়েছি......অথচ বুঝতে পারি নি একবারো ! দীপংকর বিশ্বাস, মিথুন রাহা, প্রীনন মহাজন, এই লাল পিঁপড়েগুলোই আমার, এবং আমার মত আরো কালো পিঁপড়ার বেস্ট ফ্রেন্ড।
মালোয়ান শব্দের অর্থও জানতাম না একসময়। এই লেখার মত আরো কিছু লেখার কল্যানে জেনেছি সেটা।
লেখার হাত ভালো তোমার। আর লিখো। ভালো থেকো।
অই তুমি কিডা? নাম বাতাও।
এই লিখার অফেনসিভ টার্মগুলোর একটাও কিন্তু আমি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে শিখিনাই। লাল পিপড়ার কথা জেনেছি বোধহয় তারেক মাসুদের একটা সিনেমায়, যবন-মালু জেনেছি মাইকেল মধুসূদনের একটা নাটক থেকে।
তুমি-আমি-আমরা ভাগ্যবান। তবে সবাই কিন্তু এত চমৎকার একটা শিক্ষিত পরিবেশে বড় হবার সুযোগ পায়না ভাই।
বিশাল মন্তব্যের জন্য বিশাআল ধন্যবাদ।
চমৎকার মন খারাপ করা লেখা। লেখা চলুক পুরোদমে।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
পুরোদম নেই, আমার দম ধুকপুকানি মার্কা থ্রিডি-কবি ভাই। তবু লিখবো। অনেক ধন্যবাদ।
অসাধারণ হয়েছে। একেবারে পাহাড়ি নদীর মত কলতান মুখর---
facebook
এইটা অসাধারণ হইলে আপনি যা লিখেন, তাকে কি বলা উচিত ?
অনেকদিন পর একটা ভালো লেখা পড়লাম। অবশ্য ভালো লেখা গুলা এমনই হয়, মনে হয় বহু যুগ পরে পরে ক্ষণিক দেখা দিয়ে যায়।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
এবং সচলের মজা হলো, এইরকম এবং এরচেয়েও অনেক অনেক ভালো লিখা প্রতিদিনই আমরা পড়ি, আর বলি, অনেকদিন পর পড়লাম।
অনেক ধন্যবাদ শিশিরকণা।
অসাধারন লাগলো। লাল পিপড়া কালো পিপড়ার কথা ছোটবেলায় বন্ধুদের কাছে শুনেছিলাম। কিভাবে ছোট থেকেই আমাদের সাম্প্রদিকতা শেখানো হয় - আশ্চর্য লাগে।
সেই-ই। তবু জানি। আঁধার দূর হবেই। আজ হোক। কাল হোক।
অনেক ধন্যবাদ সাফি।
দারুণ লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আহা! আপনার শিশুপালন! গোগ্রাসে খেতাম!
দারুণ সাত্যকি। তুমি একজন শক্তিমান গল্পকার।
---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়
কই ছিলেন সজলদা এদ্দিন? কোন লেখা নাই, লেখি নাই, কমেন্টও নাই !
খুব রিসার্চ চলছে, না ?
গ্রাজুয়েশন শেষ হইল, এখন আমিও বিএসসি এঞ্জিনিয়ার, হুহু, আপনের সমান।
অসাধারণ লাগলো।
...........................
Every Picture Tells a Story
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই মুস্তাফিজ।
আপনার গল্পের হাত দারুণ। আপনাকে হাচল করা হোক ... ফুউউউউউউউ ...
আইসা পড়সে উদাসদা! ইমো দেখে হাসি আর আটকানো গেল না ।
লাল পিঁপড়া আর কালো পিঁপড়া !!!!!!!!!!!
ছোট বেলায় বাবার কাছে জানতে চেয়েছিলাম আসলে ঘটনা সত্য কিনা ,বাবা আমার তাস্কি খেয়ে বলেছিল "সারা জীবন মনে রাখবা লাল আর কাল আসলে পিঁপড়া পিঁপড়াই ,অন্য কিছু না "।
ভাল লাগলো আপনার গল্প,
সৃতিজাগানিয়া ।
আপনার বাবার কথা শুনে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার নামটা কি পুপে ?
অনেক ধন্যবাদ নৈষাদ, পড়ার জন্য।
অসাধারণ।
আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না আপাতত।
আর কিছু বলা লাগবে না। যেটা বলেছেন সেটাই প্রাপ্যের চেয়েও বেশি।
অনুভূতিগুলো শব্দের জালে আটকাতে পারছি না। শুধু 'অসাধারণ'-র মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হচ্ছে বলে দুঃখিত। এটা অসাধারণেও বেশী কিছু।
ধন্যবাদ সজল। শুনে ভাল্লাগলো। অতটা প্রাপ্য নয় যদিও।
কখনো পড়ার সময় পাই, তো মন্তব্য করার সময় পাই না।
কখনো মন্তব্য করি তো মনে হয়- এই সময়টুকু তো অন্য পোস্ট পড়ার কাজে লাগাতে পারতাম।
জীবন এত ছোট কেন?
আমি শুধু বলতে এলাম, ভালো লেগেছে, আরো লিখুন।
আমিও আপনার খুদে সায়েন্স ফিকশানের ভক্ত। রোবটিক ফিকশনের অত্যাচারের মাঝে আপনারগুলো উজ্জ্বল ব্যতিক্রম।
চমৎকার ভাষা প্রয়োগ!
তাই বুঝি? খুব ভাল্লাগলো জেনে
স্রেফ চমৎকার। হাচল হলে কি খাওয়াবেন আগে বলেন, তারপর সুপারিশ করি ।
ধন্যবাদ ব্রুনো। আপনার প্রথম গল্প পড়েই মনে হয়েছে, দারুণ আইডিয়া জেনারেটর আপনি।
যাই খাওয়াই, ঘোল হবে না সেটা, নিশ্চিত
সাত্যকির গল্প ভালো হয়, বুঝে গেছি এতোদিনে
আমার একটা প্রশ্ন আছে। সাম্প্রদায়িকতা, মা- এরকম কোমল অনুভূতিগুলোই আপনার (তুমিও বলা যায় মনে হয় !)গল্পগুলোতে ঘুরেঘুরে আসে কেন ? যার লেখার হাত এতো ভালো, সে তো চাইলেই 'অন্যরকম' কিছু আমাদের পড়াতে পারে- নাকি ?? [এটা কিন্তু উপদেশ-টুপদেশ কিছু না, পাঠকের মত কেবল। অবশ্যই গল্পকার নিজের পছন্দমতোই লিখবেন। পাঠকের মাপে জুতো পড়বেন না :)]
পরেরবার আমি অন্ততঃ ভিন্নরকম কিছু পড়বার প্রত্যাশায় থাকবো কিন্তু।
ছদ্মবেশী লেখকরা এইরকম কমন সেন্টিমেন্ট নিয়ে লিখে। সেটাই সহজ বুদ্ধি। যদি কোনদিন সত্যিকারের লেখক হয়ে যাই, সেদিন দেখবা, জুতার তলা নিয়েও টানটান রহস্যগল্প লিখে ফেলেছি।
আজকে সকালে, কেন জানি, তোমার 'ছুটি' গল্পের প্যারোডি ভার্সনের কথা মনে পড়লো হঠাৎ। সেই যে, পড়ালেখা দাশ !
গুই এর পর আরেকটা গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো লেখা। অতি অসাধারণ এবং অনবদ্য। ভীষণভাবে নাড়া দিয়ে গেলো।
আপনার হাচলত্বের জন্য একটা আওয়াজ ঠুকে গেলাম।
ডাকঘর | ছবিঘর
সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তো আপনার বেশ কয়েকটা লিখা আছে, তাই না? এ লেখাটার সময় তাই আপনার কথাও মনে এসেছে।
অনেক ধন্যবাদ, বোথ ফর সুপারিশ এন্ড ফর প্রশংসা।
চমৎকার হাত, আর গল্প বলার কী অসাধারণ ভঙ্গী!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ওরে বাবা, ফটোব্লগারের অনেক অনেক বড় কমপ্লিমেন্ট পেয়ে গেলাম। সৌভাগ্য আমার!
আপনার ফ্লিকারের একটা ছবি অনেকদিন আমার ওয়ালপেপার ছিল। (ভীষণ অন্যায় যদিও, পারমিশন নেইনি, মাফ করে দিয়েন প্লিজ। )
ভালো লেগেছে বস, কয়েকটা গল্প যদি আরো পাই, তবে আরো ভালো লাগবে।
আছো কেমন ভাই?
_____________________
Give Her Freedom!
তুমি লিখ না ক্যান? লিখো।
মাঝে মাঝে একটু গল্প-টল্পও লেইখো। গরীবের এন্টেনাতে ধরা পড়বে তাইলে।
শুরুটা অনেক চমতকার হয়েছে। আপনার আসলেই বেশ লিখেন।
অঅঅ। তার মানে মধ্যেখানেরটা আর শেষেরটা অনেক খারাপ হয়েছে। লেখবই না।
আহা বললাম শুরুটা বেশী ভাল হয়েছে, পুরাটা গল্পই বেশ ভালো। আরে আরে গাল ফোলাবিনা পিচকি এই না সেদিন গ্রাজুয়েশন হয়েছে আমার পোষ্টে বললি, এত বড় মানুষ কথায় কথায় গাল ফুলায় নাকি। লিখে যাও, তোমার গল্প কিন্তু বেশ টানে।
এটা একটা অসম্ভব সুন্দর গল্প, অসম্ভব সুন্দর!
ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা
কবিদের কাছে দুনিয়ার সবই 'অসম্ভব সুন্দর'।
গল্পের শুরুটা কবিতার মতো
গল্পের মূল শক্তি কোনো গল্প বলার চেষ্টা না করা। এই ধরনের গল্প পড়লে আমার আখতারুজ্জামানের ''নিরুদ্দেশ যাত্রার কথা মনে হয়ে যায়
------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
দারুণ...
নতুন মন্তব্য করুন