FIFO রোস্টারে কাজ করছি, এইজন্য সময় পাইনা। ছুটির দিন ফুতকারে উড়ে যায়; কাজের দিন গত ও আগত ছুটির দিনের কথা ভেবে। পড়ি কিন্তু লেখা হয়ে ওঠেনা। অনেকদিনে পড়া মনের জং ছাড়াতে লেখা।
.......................................................................................................
আমিনুল ইসলামের সাথে আমার প্রথম দেখা সদরঘাটে। আমি বরগুনা যাব; ভাগ্নীর সাথে দেখা করতে। মেয়েটার বিয়ের পর কখনো যাইনি। বাপ মা মরা মেয়ে; ফোন করে কান্নাকাটি করে। আমি ঘরকুনো স্বভাবের মানুষ নই কিন্তু বরগুনা যাওয়া অনেক ঝক্কির ব্যাপার; বিশেষ করে বাসে। সেই ঝক্কির মধ্যে আছে ফেরীর লাইনে জন্য বাসের সীমাহীন সময় লাইনে দাড়িয়ে ফেরী পারাপার, খুবই বাজে বাস সার্ভিস আর সবচে ভয়ঙ্কর; দুর্ঘটনার হার। দিনে বাস মাত্র একটা, বাকিগুলো রাতে। বাস ড্রাইভাররা মনে হয় রাতে বাস চালাতে পছন্দ করে। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চালানো যায়। অনেক যাত্রীরাও তাই; আমার বেশীরভাগ বন্ধুরাই রাতে জার্নি করতে পছন্দ করে। আমার রাতে বাসে উঠতে ভয় লাগে।
তারপরেও লঞ্চে যাওয়ার চেয়ে আমি বাসে চড়তেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। প্রথম কারণ আমি সাতার জানি না। দ্বিতীয় কারণ বরিশাল, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ এই তিন জায়গার লঞ্চডুবিতে সবসময় মৃতের সংখ্যা শ’ ছাড়ায়। তারপরও হেমন্তের এক সন্ধ্যা্য আমি এম ভি মায়ের আচলের টিকেট কেটে ফেললাম। যাওয়ার কথা ছিল বাসে; কিন্তু বাস স্ট্রাইক। কবে ছাড়বে কেউ জানেনা। সরকারও মনে হয় নিয়তিবাদী হয়ে গেছে। বাস স্ট্রাইক হবে এটাই স্বাভাবিক। যোগাযোগ মন্ত্রী বলেছেন, সবাইকে সহনশীল হতে হবে। কার উদ্দেশ্যে বলা আল্লাহই মালুম।
ডেকে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছিলাম। পেছনে গলা খাকারির শব্দ শুনে ফিরে তাকালাম।
স্যার একটা সিগারেট হবে?
মধ্যবয়স্ক একজন মানুষ। খোচা খোচা দাড়ি, পরনে পাজামা পাঞ্জাবি গলায় ফুটকি তোলা মাফলার। এই মাফলার কে আমাদের স্থানীয় ভাষায় বলে কম্পাস। সিগারেট দিলাম।খুশী মনে না, বরক্ত হয়ে দিলাম। সিগারেটখোররা খুশী হয়ে সিগারেট দেয় না; মদখোররা দেয়। কারণ তাদের মন থাকে কোমল। সিগারেটখোরদের নার্ভ থাকে ইস্পাত কঠিন।
স্যার আমার নাম আমিনুল ইসলাম। লঞ্চে মলম, চিরুনি, ইদুর মারা বিষ এইসব হাবিজাবি ফেরী করি।
বিনয়ে বিগলিত হয়ে আমিনুল আমার পাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরাল। “স্যার কি এই প্রথম লঞ্চে উঠলেন?”
অনেকদিন পরে উঠলাম। সেই ছোটবেলায় উঠেছিলাম।
আপনাকে দেখেই বুঝা যায়। এইখানে দাড়ালে কেউ রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে থাকেনা। যারা প্রথম প্রথম উঠে তারাই এভাবে দাড়ায়। কেবিনে বসলেও ভাবে লঞ্চ ডুবে যাচ্ছে। কিছু একটা না ধরে দাড়ালে মনে শান্তি হয় না।
আমি লোকটার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতায় অবাক হলাম না। বিরক্ত হলাম। এরা মানুষ চড়িয়ে খায়, আর আমি মনে হয় দেখতে গোবেচারা টাইপ। দেখেই বুঝেছে পাইছি একজন। আমার পুরো বিপরীত হল আমার কলিগ জামান। চৌকস, চরম ঠোটকাটা। তারপরও জামান অফিসে সবচে জনপ্রিয়। কোন পার্টি, পিকনিক জামান কে ছাড়া চিন্তাই করা যাই না। আমি অনেক কষ্ট করেও চিন্তা করতে পারলাম না একজন ফেরিওয়ালা জামানের কাছে সিগারেট চাইছে। একবার এক রিকশাওয়ালা দুইটাকা বেশী চাওয়াতে জামান বলেছিল চাচামিয়া দুই টাকা আপ্নেরে বেশী দিলে অন্য রিক্সাওয়ালারাও বেশী চাইবে বুঝছেন, এইজন্য দিবনা।
স্যার যাইবেন কই?
বরগুনা।
ঠিক আছে স্যার, যাই তাহলে। আপনাকে অনেক বিরক্ত করলাম। স্লামালিকুম।
আমিনুল ইসলাম কে মনে রাখার কোন কারণ ছিলনা। লঞ্চ ছাড়ব ছাড়ব করছে এইসময় লঞ্চে ছোট একটা দুর্ঘটনা ঘটল। এক মা তার ছোট মেয়েকে নিয়ে লঞ্চে উঠছিল, সাথে দুটো বড় বড় ব্যাগ। মেয়েটা দুই হাতে মাকে ধরে আছে, বোঝাই যাচ্ছে ভয় পাচ্ছে। লঞ্চ থেকে একটা পাতলা পাটাতন দিয়ে ঘাটের যাত্রীদের উঠানোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। মাঝামাঝি এসে মেয়েটা মায়ের হাটার সাথে তাল মিলাতে না পেরে প্রথমে হাত ছেড়ে দিল, তারপর একপা হাটতেই ঝপ করে নীচে পড়ে গেল। পুরো ব্যাপারটা ঘটল চোখের নিমিষে। এমন সময় আমিনুল উদয় হল। পান চিবুচ্ছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই আমিনুল ঝাপিয়ে পড়ল।
মেয়েটিকে সুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। মেয়েটির বাবা খেলনা কিনতে গিয়েছিল, এসে আমিনুলকে জড়িয়ে ধরল। আমিনুল গম্ভীর গলায় বলল, মেয়েমানুষ কে একলা কোথাও ছাড়বেন না। এরা অবলার জাত, এদেরকে গাইড দিয়ে রাখতে হয়।
স্যার আমার মাফলারটা দেন। আমি খেয়াল ই করিনি, আমিনুল লাফানোর আগে তার মাফলার আমার কাছে দিয়ে গেছে। মাফলার নিয়ে আমিনুল গা মুছতে লাগল। তার চারপাশে অনেক লোক দাঁড়িয়ে গেছে তখন। আমি তাকে আমার রুমে নিয়ে এলাম। লোকটার শুকনো কাপড় চোপড় দরকার।
আমিনুল কোনরকম সংকোচ ছাড়াই কাপড়চোপড় পড়ল, চিরুনি দিয়ে চুল আচড়াল।
স্যার, নদীতে জলপরী আছে জানেন? অনেকে আবার বিশ্বাস করে না।
আমি গলা খাকরে বললাম, ভূত প্রেতে আমি বিশ্বাস করিনা। দেখলে বিশ্বাস করব, তার আগে না।
আমিনুল হাসল। বড়রা বাচ্চাকে ভূল করত দেখলে যেমন হাসি দেয়, তেমন হাসি। রাগে আমার গা জ্বলে গেল।
স্যার, মনে হয় আমার উপর রাগ করছেন। ভূল হইলে মার্জনা করবেন। আমি দেখছি, একবার না কয়েকবার।শুনতে চান?
আমি নিতান্ত অনিচ্ছায় বললাম, বল শুনি। স্যার আমি কিন্তু বি,এ পাশ। আমার পরিবারের অবস্থাও বেশ ভাল ছিল। আমার বাবা আজিজুল ইসলাম ছিলেন বরিশালের নামকরা উকিল। বাবা ভাল লোক ছিলেন, শুধু একটামাত্র দোষ তার ছিল; মদ। আমার বয়স যখন বার, বাবা মারা যান। আমার মা ছিলেন না। আমি হঠাত করেই অনেক সম্পত্তির মালিক হয়ে গেলাম। যে কারো মাথা বিগড়াবে, আমারো বিগড়াল; একটাই নেশাঃ মদ। নেশা সর্বনাশী, আমার সম্পত্তি হু হু করে উড়ে যেতে লাগল। দুই বছরের মাথায় আমি প্রায় কদর্পকশূন্য হয়ে গেলাম। চাচাদের সাথে বনিবনা ছিল না; তাছাড়া সম্পত্তি যখন ছিল তখন তাদের খোজ নেই নাই। এখন কিভাবে মুখ দেখাই। কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।
এইসময় আমি একটা কাজ করলাম। বাড়িতে তালা দিলাম। বাড়ির বাইরে থাকা শুরু করলাম। আমার মনে হচ্ছিল বাড়িটা অভিশপ্ত, এর মধ্যে আর ঢুকবনা। থাকার মধ্যে ছিল একটা বসত ভিটা আর নদীর পাশের একটা জমি। নদীর পাশে বললেও জমিটা আসলে নদীর নিচু জমিগুলোর একটু উপরে। তার পাশেই গোরস্থান, আমার মা বাবার কবর যেখানে। এইটানেই জমিটা বিক্রি করতে পারিনি। পুরোদমে পড়াশুনা শুরু করে দিলাম। বাবার ব্যাঙ্কে কিছু টাকা ছিল সেগুলো ফিক্সড ডিপোজিটে রাখলাম। চরম হিসাবি জীবনচলা শুরু করলাম। ইন্টার পাশ করেছিলাম, ডিগ্রীতে ভর্তি হয়ে গেলাম। কলেজে যাই, বাড়িতে ফিরে মাচায় শুয়ে থাকি। আমার যে জমিটা ছিল সেখানে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে একটা রাইসমিল দিলাম। আমার খাওয়া পরার চিন্তা থাকলনা।
এক দুপুরে মাচায় শুয়ে আছি, কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বলতে পারিনা।
স্যার একটা সিগারেট দেন।
খেয়াল করলাম আমিনুলের হাত কাপছে।
আমি বললাম, বাদ দেন, বলতে হবেনা। সবার জীবনেই তো কিছু ঘটনা থাকে।
আমিনুলের চোখে ঘোর লাগা দৃষ্টি।
কাপা হাতে সিগারেট ধরাল। ধরা গলায় বলল, বলতে গেলে আমি নতুন মানুষ হয়ে গেলাম। মদ খাইনা বই পড়ি, বিকেলে গান শুনতে যাই জহর বয়াতির বাড়িতে। আমার নতুন জীবনে এই একটা মাত্র মানুষকে আমি ছাড়তে পারি নাই। প্রতিদিন একটা গান না শুনলে আমার হয় না। জহর খুব চাপা স্বভাবের লোক। আমাকে সে পছন্দ করে নাকি করেনা কিছুতেই বুঝতে পারি না। আমার সাথে সে তেমন একটা কথাও বলে না। তবে আমি গেলে সে গান শুনায়। মাঝে মাঝে দু’একজন থাকে, মাঝে মাঝে আমি আর জহর একা। কেউ কারো সাথে কথা বলিনা, এইটা একটা আজব সম্পর্ক।
আমি বাইরে থাকে শুরু করার দ্বিতীয় রাত্রে আমি প্রথম জলপরী দেখি।
তখন রাত আটটা কি নয়টা হবে। গ্রাম অঞ্চলের নয়টা কিন্তু স্যার নিশুত রাত তার ওপর তখনো আমাদের গ্রামে ইলেক্ট্রিসিটি আসে নাই।
কুই কুই শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল। চোখ খুলে দেখি আকাশ ভাইঙ্গা জোছনা নামছে গাছের পাতা চুইয়া জোছনায় উঠান ভাইস্যা যাইতেছে। একটা বাচ্চা কুকুর আমার লুঙ্গি ধইরা টানাটানি করতেছে।
তারপর কেন আমি যে অইটার সাথে নদীর পাড়ে গেলাম কেমনে গেলাম কিছুই কইতে পারি না। ধু ধু বালির চর, একটা পাকুড় গাছের পাশে একটা মেয়ে শুয়ে আছে। গায়ে তার কিছুই নাই, কিন্তু তাতে তারে একটুও বে আব্রু লাগতেছে না।
আমি বললাম, কুকুরটা তখনও ছিল?
জ্বি স্যার, ছিল।
তারপর?
আমি আর আগাইতে সাহস পাইলাম না।
সে হাত ইশারায় কাছে ডাকল।
কাছে যেতে আমি বেলী আর কাঠাল চাপা মিলালে যেমন গন্ধ হয়, তেমন একটা ঘ্রাণ পেলাম। স্যার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি চোখের কোন পলক নাই। উপরের অংশ যুবতী নারীর, নীচের টা মাছ। কোমর পর্যন্ত আশ, লেজটা ক্রমাগত নাড়ছে জোছনায় দেখা যাচ্ছে তার লম্বা চুল।
আমি বললাম, কথা বলেছিলেন?
স্যার কথা বলতে পারে না।
আমি পাশে গিয়ে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম। কে তুমি?
তুমি ভয় পাওনি?
স্যার আমি তখন ছিলাম ঘোরের মধ্যে। ভয় অবশ্যি পেয়েছি। কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছিল মেয়েটি আমার কোন ক্ষতি করবেনা। আর মেয়ে মানুষকে আমরা স্বাভাবিকভাবেই কম ভয় পাই।
যাই হোক আমি পাশে যেতেই মেয়েটি উল্টে শুয়ে পড়ল। দেখলাম পিঠ বরাবর বড় একটা ক্ষত।
স্যার মটকার নাম শুনেছেন? আমাদের গ্রাম দেশে কারো হাত টাত কাটলে মটকা পাতা ডলে দেই। আমি কিছু মটকা পাতা নিয়া আইসা তার ক্ষতস্থানে ডলে দিলাম। মনে হল একটু আরাম হইছে।
এমন সময় আমার মনে একটা কথা হটাত খেলে গেল। আপনি বরশালের লোক না? আপনার কথায় তো এক্টুও আঞ্চলিক টান দেখছিনা।
আমিনুল বলল, স্যার আমি দেশে দেশে ঘুরি ২২ বছর হইল। এমন কোন ভাষা নাই আমি জানি না। যার লগে যেইটা খাটে।
তারপর কি করলে?
স্যার তারপরে আর বেশীক্ষণ থাকে নাই। ছেচড়াইয়া নদীতে গিয়া পড়ছে।
আর দেখা পাইছিলা?
স্যার এই ঘটনার তিন মাস পর আবার নদীর ধারে দেখা পাই। আসলে তারপরে আমি প্রতিদিনই নদীর ধারে গিয়া বইসা থাকতাম।
তারপর?
নদী থেইকা উইঠা আইসা পাচ মিনিট মত আছিল, তারপর আবার ডুব।
স্যার এইজন্য আমি সব সময় পানির কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করি। জীবনও তো বাচাতে হবে তাই এইসব ফেরী করি।
বিয়া শাদি কর নাই?
না স্যার। আমি অই জলকন্যা দেখার পরে আর কোন মেয়ের দিকে চোখ তুইলা তাকাইতে পারি নাই।
বছরে এক দুইবার দেখা হয়। এইটার জন্যই বাইচা থাকি।
----------------------------------------------------------------------
আমিনুল ইসলামের সাথে আমার আর দেখা হয়নি। তবে তার জলকন্যা প্রেমিকার কথা আমার মাঝে মাঝে মনে হয়। আমি আমিনুলের কথা বিশ্বাস করিনি। আমার ভাগ্নীর বাড়িতে গিয়ে তাদের কে এইসব কথা বলার পর তারা দৃঢ় কন্ঠে বলল, ২২ বছর ধরে আমিনুল মাছ খায়না। ঐ ঘটনার মাস তিনেক পরে সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।বছর খানেক পরে বসতবাটি বিক্রি করে সে একটা ইঞ্জিন নৌকা কেনে। নৌকাটা এক রাতে চুরি হয়ে যায়। কিন্তু সে সবসময়ই থাকে পানির কাছাকাছি। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস বড় শক্ত জিনিস। আমি আর কথা বাড়ালাম না। কিন আমি শহুরে মানুষ, আমাদের বিশ্বাস পলকা, বিশ্বাস করানো তার চেয়ে শক্ত।
---------------------------------------------------------------------------------------------
শ্যামল
ayon99eএটyahoo.com
মন্তব্য
ভাষা আর গল্প দুইটাই চিনা চিনা লাগতেছে। জং ছাড়াইতে হবে ভ্রাতঃ।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
অনেকদিন পর।
![চলুক চলুক](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/yes.gif)
লিখুন নিয়মিত..
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
পুরাই হুমায়ুন আহমেদ !!!!!!!!
জলপরী দেখার ইচ্ছে জাগিয়ে দিলেন, মশাই!![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মাঝে মাঝে জং ছাড়ানো খুবই প্রয়োজনীয়, তবে জং না পড়তে দেয়া উত্তম। পাঠক ভালো লেখা চায়, বোঝেনই তো![হাততালি হাততালি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/41.gif)
ভালোই তো!![হাসি হাসি](http://www.sachalayatan.com/files/smileys/1.gif)
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন