বেশ ব্যস্ত কিছু সময় পার করলাম গত এক মাসে। এই কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা আমার ধারাবাহিক স্মৃতিচারণকে অন্ততঃ এক পর্ব বাড়িয়ে দেবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সন্দেহ যেখানে সেটা হলো, পাঠক ধৈর্য ধরে আরো পড়বেন কি না। প্রথম দুই পর্বে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলাম। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বললে তিক্ততাই বাড়ে শুধু, তাই ঠিক করেছি ফাঁকে ফাঁকে অন্য বিষয় জুড়ে দেব, যাতে পাঠক একঘেয়েমিতে না ভোগেন।
বেশ ব্যস্ত কিছু সময় পার করলাম গত এক মাসে। এই কয়েকদিনের অভিজ্ঞতা আমার ধারাবাহিক স্মৃতিচারণকে অন্ততঃ এক পর্ব বাড়িয়ে দেবে, এতে কোন সন্দেহ নেই। সন্দেহ যেখানে সেটা হলো, পাঠক ধৈর্য ধরে আরো পড়বেন কি না। প্রথম দুই পর্বে কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিখেছিলাম। অপ্রিয় বিষয় নিয়ে কথা বললে তিক্ততাই বাড়ে শুধু, তাই ঠিক করেছি ফাঁকে ফাঁকে অন্য বিষয় জুড়ে দেব, যাতে পাঠক একঘেয়েমিতে না ভোগেন।
যা বলছিলাম। নতুন দেশে এসেছি। প্রাথমিক প্রস্তুতি (স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে রেজিস্ট্রেশন, বায়োমেট্রিক কার্ডের জন্য রেজিস্ট্রেশন, হেলথ ইন্স্যুরেন্স, হাউজহোল্ড থার্ড পার্টি ড্যামেজ ইন্স্যুরেন্স, লিগ্যাল প্রোটেকশন ইন্স্যুরেন্স, রেন্টাল অ্যাডভান্স ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স, টিভি/রেডিও লাইসেন্স রেজিস্ট্রেশন, ইন্টারনেট কানেকশন, সিম কার্ড ইত্যাদি) মোটামুটি শেষ। বেশ ঝক্কি ঝামেলা পার করে একটি সাড়ে তিন কামরার বাসা পেয়েছি। যে টিলাটি শহরের সবচেয়ে উঁচু স্থানের জন্ম দিয়েছে, তার ঠিক গোড়ায় চার তলা এক অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং। ১৯৬৮ সালে তৈরী, দেখতে গতানুগতিক। এটা অবশ্য একদিক দিয়ে ভালোই। আমার আশেপাশের তিন দিকের বাসাগুলো বেশ সুন্দর এবং বাগানগুলো ফুলে ফুলে সুশোভিত। আমি জানালা দিয়ে গলা বাড়ালে নিজের বাসা তো আর দেখতে পাই না, আশেপাশের গুলোই দেখি। চমৎকার লাগে দেখতে। যখন প্রথমবার এখানে আসি, তখন অ্যাপার্টমেন্ট মেরামত আর রঙের কাজ চলছিল, বাসায় ঢুকে তাই দুই তিন মিনিটের বেশি থাকি নি। শুধু মাঝের ঘরটায় পা দিতেই মেঝে এমন বিকট “ক্যাঁচচচ” আওয়াজ করে উঠল, আমি আর এগোবার সাহস পেলাম না, মেঝেটা আসলে কাঠের ছিল। ভাবলাম, মেরামত সম্পূর্ণ করবার জন্য নিশ্চয়ই কিছু একটা খুলে রেখেছে। যাই হোক, মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেই আমি খুশি, মেঝে কেমন তা দিয়ে আমি কি করব?
প্রথম দুই মাস কোম্পানীর ভাড়া করে দেয়া বাসায় ছিলাম, বারান্দায় দাঁড়ালে দেখতে পেতাম রাস্তার ওপাশের বাসার বারান্দায় গ্রিল করা হচ্ছে অহরহ। আমরা দেখি আর ভাবি, মাত্র কয়েকদিন, মালপত্র জাহাজে করে এসে পৌঁছল বলে, ধুমসে শুরু করব আবার, চুলো, গ্রিল সেট সবই যে কন্টেইনারে। নতুন বাসায় যখন মালপত্র পৌঁছেই গেল, আমরা একেবারে ছেলেমানুষের মত খুশি হয়ে উঠলাম। না, না, মাংস পোড়া খাবার লোভে নয়, অন্যের বাসায় থাকতে কি ভালো লাগে, বলুন? নিজের বাসা, নিজের আসবাবপত্র, হাত থেকে পড়ে যদি কিছু ভেঙে যায়, তার জন্য জরিমানা গুনতে হবে না, এটা আনন্দদায়ক এবং স্বস্তিকর।
দ্বিতীয় উইকএন্ডে কয়লা কিনে এনে বারান্দায় চুলো ধরালাম। নতুন পরিচয় হয়েছে স্থানীয় এক বাংলাদেশি পরিবারের সাথে, তাদেরও দাওয়াত করলাম। আগুন মাত্র জ্বলে উঠেছে, ডোরবেল বেজে উঠল। আমার ওপর তলার প্রতিবেশী নেমে এসে সক্রোধে জানালেন, আমাদের চুলোর ধোঁয়ায় তাদের দম আটকে মারা যাবার উপক্রম হয়েছে, আমরা যেন অতিসত্বর আগুন নিভিয়ে ফেলি। বুঝলাম বোকামী করে ফেলেছি, আগের বাসায় যাদের গ্রিল করতে দেখতাম তাদের উপর তলার জানালা সবসময় বন্ধ থাকতো, তাই হয়তো তারা পার পেয়ে গিয়েছে, সাধারণজ্ঞান বলে এই ঘটনায় অভিযোগ আসাটাই স্বাভাবিক। যাহোক ক্ষমাপ্রার্থনা করে পানি ঢেলে সাথে সাথেই আগুন নিভিয়ে ফেললাম এবং বেশ লজ্জায় পড়ে গেলাম। গ্রিল করব বলে বিশেষ কিছু রান্না করি নি, নতুন অতিথির সামনে মুখ দেখানোর জো বুঝি আর রইল না।
অতিথি এবার ত্রাণকর্তার ভুমিকায় অবতীর্ণ হলেন। আগে পর্তুগালে একটা রেস্টুরেন্ট চালাতেন, রান্নায় চমৎকার হাত, আধা ঘন্টায় ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে একটা পর্তুগীজ ডিশ তৈরী করে ফেললেন, আর আমরা সবাই এমন মজা করে সেটা খেলাম বলার নয়। ডিনারপর্ব শেষে কৃতজ্ঞচিত্তে পরিবারটিকে বিদায় জানালাম। কর্তা হেসে বললেন পর্তুগীজ রান্না খেতে ইচ্ছে করলেই যেন তার বাসায় চলে যাই, অথবা তাকে “দাওয়াত” করে নিয়ে আসি।
ডাকবাক্সে রোজ চিঠি আসে। সুইসরা চিঠির খুব ভক্ত। প্রথমে একটা চিঠি পাঠায়, তারপর আরেকটা পাঠিয়ে জানায় প্রথমটা যেন পাত্তা না দিই, ওটা ছাপাখানা ভুতেরা ছাপিয়েছে। তিন নম্বরে আরেকটা চিঠি আসে, ইচ্ছে করে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করে দেখি আবার কোন কারেকশান আসে কিনা! ফ্রেঞ্চ আমি একবর্ণও জানি না, তাই প্রতিটি চিঠি টাইপ করে করে গুগল ট্রান্সলেটর দিয়ে পড়ি। খুবই পীড়াদায়ক, বিরক্তিকর এবং সময়সাপেক্ষ একটা কাজ, সারাদিন অফিস করে এসে কত যন্ত্রণা ভালো লাগে? গন্ডায় গন্ডায় চিঠির ভীড়ে দুই দিন পরে যে নিরীহদর্শন চিঠিটা পেলাম সেটা এক সপ্তাহ পর্যন্ত খুলে দেখি নি। পড়ে জানলাম আমাদেরকে স্থানীয় আইন অনুযায়ী সতর্ক করে দেয়া হচ্ছে, আমরা যেন বাসায় এমন কিছু না করি যাতে আমার প্রতিবেশীকে বিরক্ত করা হয়, অন্যথায় উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ইত্যাদি। দোষটা যদিও পুরোই আমার, তবুও ভেবেছিলাম বলামাত্র আগুন নিভিয়ে ফেলায় এটা ফরমাল কমপ্লেইন পর্যন্ত যাবে না। যাই হোক, চিঠির উত্তরে আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করে বললাম আইন জানা না থাকার কারণে এমনটি ঘটেছে, ভবিষ্যতে এধরণের ঘটনা আমরা এড়িয়ে চলব।
দুই সপ্তাহ না যেতেই আবার কমপ্লেইন, এবার জানানো হল আমরা আমাদের বাসায় মাত্রাতিরিক্ত শব্দ করি, এতে নিচের তলার ভাড়াটিয়ার খুব অসুবিধা হচ্ছে। ভেবেই পেলাম না এই চিঠির মানে কি, কিসের শব্দ? কে করে? এক উইকএন্ডে ছেলের সাথে বসে তার খেলনা গুলো দিয়ে খেলছি, দেখলাম খেলনা গাড়িগুলো মেঝে দিয়ে গড়াবার সময়ে ভালোই শব্দ হয়। তাছাড়া ছেলেটা যখন দৌড়ে এক ঘর থেকে আরেকঘরে যায় তখন স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশি শব্দ হয়ে থাকে। আমার রিলোকেশন এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করলাম। সে যা বলল তার সারমর্ম হচ্ছে, আইন অনুযায়ী রাত দশটা থেকে সকাল সাতটা, এই সময়ের মধ্যে জোরালো শব্দ করা যাবে না, এছাড়া দিনের বেলায় নাচানাচি করলেও কারো কিছু বলতে পারার কথা নয়। অভ্যাস অনুযায়ী আমরা রাত দশটার কিছুটা পরে ঘুমোতে যাই, কাজেই ধরে নিলাম সেটাতেই আসলে কমপ্লেইন পেয়েছি, বাচ্চার খেলার জন্য নয়। নতুন নিয়ম চালু করলাম, রাত ন’টার মধ্যে খাওয়া শেষ করে সবাই বিছানায় উঠে পড়ি, ছেলে একটা ল্যাপটপে কার্টুন দেখে বা গেম খেলে, আমরা আরেকটায় ফেসবুক, সচলায়তন, অনলাইন পত্রিকা এসবে ঘুরে বেড়াই। বেশিরভাগ দিন কান্তিতে আমি আগেই ঘুমিয়ে পড়ি, আমার স্ত্রী প্রাণপণ চেষ্টা করে খেলাপাগল পুত্রটিকে ঘুম পাড়ান।
এরিমধ্যে আবিস্কার করেছি আমার স্ত্রীর মামাতো বোন জুরিখে থাকেন, একদিন তাদের ওখানে গিয়ে ঘুরে এসেছি, ফিরতি দাওয়াতে তারা এলেন তিন সপ্তাহ পরে শুক্রবার রাতে। পথে গাড়ি খারাপ হয়ে যাওয়ায় এসে পৌঁছালেন রাত বারটায়। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিছানায় যেতে একটা বেজে গিয়েছিল, তাই সোমবার বিকালে যখন আরেকটা চিঠি পেলাম খুব একটা অবাক হইনি। বিস্মিত হলাম আমার প্রতিবেশী এবং এজেন্সীর যুগপৎ কর্মতৎপরতায়। এখানে অবশ্য সুইসপোস্টের সেইম ডে সার্ভিসও কিছুটা দায়ী। এটা ২০১১ এর অক্টোবরের কথা। নভেম্বরের চার থেকে সাতাশ তারিখ পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে ছিলাম। ফিরে এসে একগাদা চিঠির ভিতরে যখন আরেকটা অভিযোগপত্র বুঝে পেলাম তখন মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ালো। মাত্র তের দিনের ব্যবধানে এজেন্সী আবারো জানাচ্ছে যে বার বার বলার পরেও আমি প্রতিবেশিদের প্রতি আমার আচরণ বদলাচ্ছি না, আমি নাকি তীব্র শব্দ করা অব্যাহত রেখেছি। আমি বেশ রেগেমেগে জানালাম যে প্রয়োজনে তোমরা আমার বাসায় এসে সারাদিন থেকে দেখে যাও আমরা কি করি না করি, অথবা জানিয়ে যাও তীব্র শব্দের সংজ্ঞা কি হওয়া উচিত। উত্তর অবশ্য আসে নি। তিন দিনের মাথায় আবার চিঠি। তবে এবার নতুন কমপ্লেইন। আমার উপরতলার প্রতিবেশী জানাচ্ছেন যে আমাদের ফ্ল্যাট থেকে রান্নার যে কড়া গন্ধ তারা পাচ্ছেন তাতে তাদের জীবন, যৌবন এবং আসবাবপত্র সবই হুমকির মুখে। বিশেষ করে তাদের অ্যান্টিক পিস গুলো নাকি ইতিমধ্যেই দুর্গন্ধযুক্ত এবং বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। আমি বেশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলাম। ব্যাপার সুবিধার মনে হচ্ছে না। এগুলো কি সত্যিই কমপ্লেইন? নাকি বিদ্বেষ? শুধু কমপ্লেনেই শেষ নয়, পরেরদিন সকাল আটটায় বেল বাজিয়ে কীর্তিমান নিজেই হাজির। ফরাসী ভাষায় আমাকে কিছু বললেন। আমি সবিনয়ে জানালাম যে আমি এই বিদঘুটে ভাষাটি এখনো রপ্ত করতে পারি নি। এবার ভাঙ্গা ইংরেজিতে তিনি জানালেন আমরা যেন রান্না করার সময় বাসার সবগুলো জানালা খুলে রাখি (বলা বাহুল্য ডিসেম্বরের তীব্র শীতে এটা অসম্ভব), আর কোন অবস্থাতেই যেন কিচেনের এক্সট্র্যাক্টর না চালাই। এটা পুরনো বাসা, এটার ভেন্টিলেশন ভালো নয়, এক্সট্র্যাক্টর বাতাস বাইরে ছেড়ে দেয়ার বদলে বাসার ভেতরেই ছাড়ে, এতে করেই সব গন্ধ তার ফ্ল্যাটে চলে যাচ্ছে। যুক্তিসঙ্গত কারণেই তার শেষ কথাটি বিশ্বাস করতে পারলাম না। এক্সট্র্যাক্টর না চালালে ধোঁয়া আমার কিচেন থেকে বের হবে কি করে?
(চলবে)
ইয়াসির
মন্তব্য
উরেব্বাস, আপনি তো ব্যাপক যন্ত্রনার মাঝে দিনানিপাত করছেন দেখা যাচ্ছে।
কি বোর্ড ধরেছি কি আর সাধে? দুঃখ ভাগ করলে কমে, এই বাণী থেকেই……..
ওরে খাইসে! আপনি আম্রিকা আইসা পড়েন...এইখানে লোকজন বন্দুক নিয়ে ঘুরলেও কিন্তু মানুষ ভালো
আম্রিকা তো ভাই জ্ঞানী গুণীদের জায়গা। আমার আবার বিদ্যা একটু শর্ট আছে
কানাডা আইসা পড়েন ।
সহমর্মিতার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আরেকদিকে পালিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে রেখেছি, প্রয়োজন পড়লেই যেন উড়াল দেয়া যায়
পর্তুগাল, স্পেন, ইতালি এসব দেশের লোকজন আবার এইদিক দিয়া অনেক ভাল
পর্তুগাল আর ইটালিতে থাকা বেশ কয়েকজন বাংলাদেশীর কাছ থেকে যেরকম শুনেছি, তাতে সেইরকমই মনে হয়। মূল সমস্যা গ্রহনযোগ্যতায়। সুইসরা সাধারণত অভিবাসী পছন্দ করে না। আমার এক স্প্যানিশ মহিলা কলিগ পাঁচ বছর এখানে কাটিয়ে দুঃখ করে একদিন বলছিলেন, তার অনেক বন্ধুবান্ধব, কিন্তু সুইস একজনও নেই তার মধ্যে। বাইরের কাউকে সহজে এরা আপন করে নেয় না।
আপনার ঝামেলা দেখে তো আমার ভয়ই করছে।
নাহ, দেশের বাইরে থাকার দেখি অনেক ঝামেলা !!
ভয় পাবেন না মোটেই, সবার ভাগ্য একরকম হবে এমন কোন কথা নেই। বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ লোক বিদেশে যাচ্ছে এবং সুখে শান্তিতে বসবাস করছে। প্রয়োজনে দেখে শুনে এমন জায়গা বেছে নেবেন যেখানে আপনার পরিচিত লোকজন আগে থেকেই থাকেন, ঝামেলা সব ওঁরাই স্বপ্রণোদিত হয়ে সামলাবেন। বান্ধবহীন প্রবাস জীবন কারাবাসের মতো........................
ডরালেই ডর। শুভকামনা। ঝামেলা একদিন শেষ হয়ে যাবে নিশ্চয়।
সেই আশাতেই টিকে আছি এখনও
প্রতিবেশি এতো পেইন দিলে তো সত্যিই মুশকিল!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
এদেশে আসার পরপরই একটা কথা শুনেছিলাম, গুড নেইবারহুড আর ব্যাড নেইবারহুড, পাত্তা দিই নি একেবারেই। আমি থাকব আমার মত, প্রতিবেশি কি করতে পারবে? এখন দেখছি অবস্থা ক্রুড অয়েল
>অনেক সুন্দর
অসংখ্য ধন্যবাদ
কীভাবে থাকেন এই জেলখানায় !
বিশ্বের সবচাইতে সুন্দর জেলখানা কিনা, তাই মানিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছি। কথায় আছে পেটে খেলে পিঠে সয়, এখানে তো শুধু খেয়েই চলেছি (তিন বেলা খাবার আর সপ্তাহে দুই সপ্তাহে একটি করে কমপ্লেইন), পিঠে কিছু পড়েনি এখন পর্যন্ত
খুব সুন্দর লিখেছেন। দিন কেটেই যায়, কস্ট গুলি মনে থাকে। একটু ভালো ব্যাবহারে অনেক কিছু মানিয়ে নেয়া যায়।
শুভ কামনা করি।
আপনার উৎসাহব্যাঞ্জক মন্তব্য পেয়ে খুশি হয়েছি। আমার কলিগ এবং স্থানীয় বাংলাদেশী পরিবারেরা সহানুভুতি এবং ক্ষেত্রবিশেষে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, এই স্মৃতি ভুলবার নয়। এই মুহুর্তে দুঃস্বপ্নের শেষ প্রহর চলছে, আশা করি কেটে যাবে শিগগিরই। এসব গল্প পরের পর্ব গুলোতে আসছে
নতুন মন্তব্য করুন