(ডিসক্লেইমারঃ গত পর্বে লিখছিলাম ভিনদেশে আমার প্রতিবেশীদের ধারাবাহিক অত্যাচারের গল্প। অস্বস্তির সাথে জানাচ্ছি সেটা এ পর্বেও চলবে। বিরক্তবোধ করলে লেখাটি এড়িয়ে যেতে পারেন অথবা বিস্তারিত জানতে আগেরটি পড়ে আসতে পারেন)
(ডিসক্লেইমারঃ গত পর্বে লিখছিলাম ভিনদেশে আমার প্রতিবেশীদের ধারাবাহিক অত্যাচারের গল্প। অস্বস্তির সাথে জানাচ্ছি সেটা এ পর্বেও চলবে। বিরক্তবোধ করলে লেখাটি এড়িয়ে যেতে পারেন অথবা বিস্তারিত জানতে আগেরটি পড়ে আসতে পারেন)
মানুষের জীবনে তার প্রতিবেশী এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এটা সুইজারল্যান্ড আসার আগে বুঝি নি। আগে অল্প সময়ের জন্য নাইজেরিয়া এবং তুলনামূলকভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য দক্ষিন আফ্রিকায় ছিলাম। অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত ভাবে দুটো জায়গাতেই শুধু মধুর স্মৃতি আছে, কষ্ট পাবার মত কিছু ঘটে নি। তবে এই তিন জায়গার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হচ্ছে ভাষার। আফ্রিকায় ইংরেজীতে কথোপকথন একশভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব ছিল, সুযোগ ছিল স্থানীয় লোকজনের সাথে মেশার, চেনাজানার। এখানে অনেকেই ইংরেজী জানে না বা জানলেও বলতে চায় না। যেখানেই যাই একজন করে দোভাষী সাথে নিয়ে যেতে হয়, সবসময় সেটা সম্ভবও হয় না। আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স বদল করে নেবার কাজ দীর্ঘদিন আটকে ছিল দোভাষী পাই নি বলে।
আমার প্রতিবেশীদের কথা কিছু বলি। যারা প্রথম কমপ্লেইন দিয়েছে তাদের বয়স অল্প। তিন রুমের ফ্ল্যাটে তিনজন থাকে, দুজন ক্লাবে বাদ্যযন্ত্রীর কাজ করে, একজন মনে হয় সারাদিন বাসাতেই থাকে। কারণ যখনই আমার ছেলে দৌড়ে এক ঘর থেকে অন্য ঘরে যায় তখনই নিচ থেকে কেউ একজন লাঠি দিয়ে ছাদ পেটায়। একদিন সন্ধ্যাবেলা তীব্র ঠোকাঠুকিতে বিরক্ত হয়ে আমি ওদের দরজার কড়া নাড়লাম। যে তরুণীটি বেরিয়ে এলো তাকে জিজ্ঞেস করলাম তোমরা কি করছ এই ভর সন্ধ্যাবেলায়? এত আওয়াজ কিসের?" সে মৃদু হেসে বলল, “দেয়ালে পেরেক লাগাচ্ছি, বেশি শব্দ হচ্ছে বুঝি?” আমি বললাম, “হ্যাঁ, হচ্ছে”। মুখের হাসি ধরে রেখে মেয়েটি বলল, “এইতো এখনি শেষ হয়ে যাবে, বেশি শব্দের জন্য দুঃখিত”।
একবার ভাবলাম, এবার আমি একটা কমপ্লেইন দিয়ে দেব নাকি? মনের সাড়া পেলাম না। ব্যাপার খুবই সামান্য, এটা নিয়ে ঝগড়া করা ওদের মানায়, আমি যদি একই কাজ করি তবে আর পার্থক্য থাকলো কোথায়?
ওপর তলায় এক বয়স্ক দম্পতি থাকেন, সম্ভবতঃ কাজ করেন না দুজনের কেউ। এখানে এই ব্যাপারটা বেশ চালু আছে, অনেকেই কাজ না করে দিনের পর দিন স্যোশাল বেনিফিট নিয়ে পার করে দেয়। খুব সহজ একটা কারণ দেখাতে হয়, কাজ খুঁজছি কিন্তু পাচ্ছি না। সচলে কৌস্তুভের একটা লেখা এসেছিল গত বছরে, তথ্য’সহ মিথ্যা কহ , সেখানে এই বিষয়ের কিছুটা উঠে এসেছে মন্তব্যগুলোতে। অথচ করতে চাইলে কাজের কোন অভাব নেই। ছোটখাট কাজে সুইসদের কর্মবিমুখতার জন্য জার্মানী আর ফ্রান্সের বর্ডারে থাকা প্রচুর লোকজন সুইজারল্যান্ডের ভেতরে এসে কাজ করে, কাজ শেষে ট্রেনে বা নিজের গাড়িতে ফেরত চলে যায়। অনেক পর্তুগীজ পাসপোর্টধারী লোকজন তো স্থায়ীভাবে থাকাই শুরু করে দিয়েছে।
যা হোক, দেরিতে শুরু করলেও ওপর তলার এই ভদ্রলোক পেইন দিচ্ছিলেন সবচেয়ে বেশি। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার আমার বাসায় নক করেন, হয় সকাল সাড়ে সাতটায় অথবা রাত সাড়ে আটটায়, ছুটির দিনে বিকাল তিনটায়। তার বক্তব্য ঘুরেফিরে একই। আমি যেন রান্না করার সময় সব জানালা খুলে রাখি। আমি বারবার বলে দিয়েছি আমরা গরমের দেশের মানুষ, ডিসেম্বরের তীব্র শীতে জানালা খুলে রাখলে নিশ্চিতভাবে ব্যামোয় পড়ব। গত পর্বে যে কথোপকথনের কথা বলেছিলাম তার পরের দিন সন্ধ্যায় ওই ভদ্রলোক আবার এসেছিলেন। বললেন রান্নার গন্ধে তার স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অথচ আমার স্ত্রী সারাদিন চুলোই ধরান নি, আগের দিনের রান্না করা খাবার গরম করে খেয়েছি আমরা। আমি তাকে বললাম, চল তোমার বাসায় গিয়ে দেখি কিসের গন্ধ পাচ্ছ তুমি। গিয়ে দেখি এয়ার ফ্রেশনারের গন্ধে ঘরে টেকা দায়। (ভদ্রমহিলার শুচিবায়ু আছে, আমরা প্রতিদিন অন্ততঃ দুইবার ভ্যাকুয়াম ক্লিনার চালানোর শব্দ পাই ওপর থেকে) আমাদের আজকের রান্নার(!) গন্ধ থেকে বাঁচার জন্য এই ব্যবস্থা। আমি জানালাম আজকে আমরা রান্নাই চড়াই নি, শুনে ভদ্রলোক এমনভাবে আমার দিকে তাকালেন যেন আমি এই পৃথিবীর সবচে কাঁচা মিথ্যাবাদী। বললেন, “তোমরা রান্না করেছ কি কর নাই সেটা আমার মাথাব্যাথ্যা না, আমি গন্ধ পাচ্ছি এটাই আসল কথা। তোমরা গন্ধ ছড়ানো বন্ধ কর।” আমি বেশ অপমানিত বোধ করলেও আরো কিছুক্ষন কথা চালানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। ভদ্রমহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম, "তোমরা কি ধরণের মশলা ব্যবহার কর আমাকে একটু দেখাবে? আমিও সেগুলো কিনব, তাহলে আর তোমাদের সমস্যা হবে না।" একগাল হেসে মহিলা তার মশলার ডিপো নিয়ে এলেন। দেখে চিনতে কষ্ট হলো না, বেশিরভাগই কাছের সুপারশপ থেকে কেনা, কিছু মশলার প্যাকেটের গায়ে তো রীতিমত মেইড ইন ইন্ডিয়া লেখা। আমি অবাক হয়ে প্রশ্ন করলাম, “ঠিক একই ধরণের মশলাই তো আমরাও কিনি, তোমাদের সমস্যা হচ্ছে কেন?” মহিলা মুখ ফস্কে বলে ফেললেন, “তোমরা কি সব মাছ রান্না কর আমার গন্ধ লাগে”। বুঝলাম আসল কথা। এনার মাছে অরুচী আছে, তাই চান আমরা যেন মাছ রান্না না করি। এই মামাবাড়ির আবদার তো আর ধোপে টিকবে না, এজন্যই গন্ধের কমপ্লেইন। আমার আরেকটা কথাও মনে হচ্ছিল। আমরা এই ফ্ল্যাটে ওটার আগে এটার রিনোভেশন চলছিল। প্রথমবার এসে দেখেছি রঙ করা, মেঝে পলিশ করা এইসব চলছে। আমরা যেদিন থেকে থাকছি সেদিন থেকেই কেমিক্যালের গন্ধ আমাদের সঙ্গী। জিজ্ঞেস করলাম, “আমরা ফ্ল্যাটে ওঠার আগে তোমরা কি রঙের গন্ধ পেতে?” ভদ্রমহিলা সম্ভবতঃ আবারও মুখ ফস্কে হ্যাঁ বলে ফেললেন। আমি দুয়ে দুয়ে চার মেলালাম। বাড়িটা পুরনো, মেঝে কাঠের। তাই হয়তো সব জায়গায় বায়ুরোধী নয়। আমাদের ফ্ল্যাট থেকে কেমিক্যালের বিদঘুটে গন্ধ যাচ্ছে, তার সাথে মাছের গন্ধ মিলে এদের জন্য একটা সমস্যাই তৈরী হচ্ছে বটে। কিন্তু এখানে আমি কি করতে পারি? মিনিট দশেক বোঝালাম তাদের। তারা ভাব ধরলেন বুঝতে পারছেন। আমি কিছুটা হাল্কা হয়ে নেমে এলাম নিজের বাসায়। ধরেই নিলাম সমস্যা মিটে গেছে।
ডিসেম্বরের শেষ দিনে এক সপ্তাহের জন্য একটা ভ্রমণে বের হয়েছিলাম (এটা নিয়ে এই সিরিজেই একটা পর্ব লেখার ইচ্ছে আছে, কিছু কিছু অভিজ্ঞতা ইউরোপে অভিযোজনের সাথে সম্পৃক্ত বলে মনে হয়েছে)। ফেরত এসে দেখি এজেন্সীর দুটো চিঠি পড়ে আছে মেইল বক্সে। একটাতে লিখা, আমি আমার প্রতিবেশীদের অব্যাহতভাবে বিরক্ত কে চলেছি। তারা খবর পেয়েছেন যে আমি এখনও প্রচুর শব্দ করছি, উপরন্তু আমি রান্না করার সময় কিচেনের এক্সট্র্যাক্টর চালাই না। (কেমন হারামী লোক দেখেছেন, কমপ্লেইনার খুব ভালো করে জানে সে আমাকে এক্সট্র্যাক্টর চালাতে নিষেধ করেছিলো এবং আমি সেটা শুনি নি)। তাছাড়া আমি সবসময় দরজা-জানালা বন্ধ রাখি যেটা বদ্ধ পরিবেশের সৃষ্টি করে। আমাকে অতিসত্বর কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্য চিঠিতে লিখা আমার বিরুদ্ধে আর একটা অভিযোগ পাওয়া গেলে তারা আমাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠাবে। আমি বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলাম এই চিঠি দুটো পেয়ে। রোষের সাথে জানালাম তাদের কথাবার্তায় হুবহু আমার প্রতিবেশীর সুর খুঁজে পাচ্ছি। দয়া করে আমাকে উপদেশ না দিলে আমি বাধিত হব, সভ্য দেশে বাস করার সাধারণ নিয়মকানুন আমি জানি। বরং তাদের আচরণকেই বলতে হয় অদ্ভূত। কোন নিরেট প্রমাণ ছাড়া শুধু একপক্ষীয় অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে দোষী সাব্যস্ত করা যেমন অবিবেচনাপ্রসূত, তেমনই অবিশ্বাস্য। আমি বারবার আহবান করা সত্ত্বেও কেন কেউ একবার এসে দেখবার পর্যন্ত প্রয়োজন বোধ করে নি?
দুদিন পর আরেকটি চিঠি পেলাম। ভেবেছিলাম দুঃখ প্রকাশসুচক কিছু একটা পাঠিয়েছে ওরা, কিসের কি! লেখা আমি নাকি অবৈধভাবে কমপ্লেক্সের কার পার্ক ব্যবহার করছি। চিঠি পাওয়ামাত্র যেন আমি গাড়ি সরিয়ে ফেলি এবং প্রয়োজন থাকলে তাদের নির্ধারিত মূল্যে পার্কিং স্পেস ভাড়া নিই। খুবই অবাক ব্যাপার, কেননা আমাদের গাড়িই নেই!
(চলবে)
ইয়াসির
মন্তব্য
জঙ্গলে টিকে আছেন/ছিলেন কী করে !
মানসিক উৎপীড়ন ছাড়া আর কোন সমস্যা নেই। এই দেশে চাকরি আমার আর্থিক সক্ষমতা বাড়িয়েছে, বাড়িয়েছে দায়িত্ব নেবার পরিধি। বাংলাদেশের ছেলে হয়ে এর বেশি আপাততঃ চাওয়ার নেই। তবে সুব্যবহার পেলে আরো ভালো লাগত নিঃসন্দেহে
কাহিনি দেখে মনে হচ্ছে চিঠি রিসিভ করা এবং তার উত্তর দেওয়ার জন্য একজন মানুষকে নিয়োগ দিলেই ভালো করতেন।
সত্যি কথা বলতে কি, প্রথম কয়েক মাসে চিঠির স্তুপ দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। এত চিঠি আসে যে সহনীয় মাত্রার অনেক বাইরে চলে যায়। তারওপর ফ্রেঞ্চ না জানার কারণে সমস্যা আরো গুরুতর ছিল
প্রতিবেশী এরকম জ্বালাতন করলে মেজাজ ঠিক রাখাই কঠিন।
________অলস অনড়
আহারে! সমবেদনা জানিয়ে গেলাম।
সমবেদনার জন্য ধন্যবাদ। সিরিজটি শুরু করার মূল উদ্দেশ্য ছিল এদেশে আসলে কি কি ধরণের সমস্যা হতে পারে তার একটা ধারনা দেয়া। সুইজারল্যান্ডকে পৃথিবীর স্বর্গ বলা হলেও কার জন্য স্বর্গ সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ।
সুইজারল্যান্ড হল মুভি বানানোর জন্য স্বর্গ ...বিশেষ করে বলিঊডি মুভির গানের শুটিং-এর জন্য
বেশ কঠিন। ধৈর্যশীল বলে বন্ধুমহলে আমার কিছুটা নাম ছিল। কিন্তু এই অত্যাচার সব সীমা পার করে গিয়েছিল। আমার দোষ থাকতো তবু একটা কথা ছিল।
আহারে!
যতটা খারাপ ভাবছেন ততটা বিষাদ্গ্রস্ত নই অবশ্য, নিজেকে শক্ত মনের মানুষ বলেই দাবী করব। পড়েছেন বলে অসংখ্য ধন্যবাদ
সুইসরা অন্যান্য ইউরোপীয়ান্দেরই সহ্য করতে পারে না। আর আপনি তো বাংগালি
আপনার এই কথাটির সত্যতা পেয়েছি আমি আমার দুই ফ্রেঞ্চ এবং হাঙ্গেরিয়ান সহকর্মীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে। প্রথম জন লুজানে বাড়ি কিনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার প্রবাসী সুইস বন্ধুরা তাতে বাধা দেয়। বলে যে পুরনো বাড়ি কিনে সেটা রিনোভেট করা খুব ভাল আইডিয়া নয়। প্রতিবেশীরা বেশ কয়েকজন মিলে আপত্তি জানালে কাজটির অনুমোদন না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে আপত্তি দেয়ার লোক পাওয়া যাবেই। দ্বিতীয় জনের কাহিনী অবশ্য একইরকম, বরং আরো প্র্যাক্টিক্যাল। ইনি চেয়েছিলেন নিজের ভাড়া করা ফ্ল্যাটে একটা ওয়াল কেবিনেট বসাতে। মালিকের সাথে কথা বলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি সংগ্রহ করে কাজ শুরু করে দেন। শেষদিকে কেবিনেটের ডিজাইন খানিকটা পরিবর্তন করে একটু বেশি জায়গা নিয়ে আর একটু কর্ণারে বসিয়েছিলেন। ঠিক এই কারণে হয়তো নয়, কিন্তু আপত্তি আসে প্রতিবেশির কাছ থেকে যে বেশ কয়েকদিন ধরে তার উপরের ফ্ল্যাটে জোরেসোরে শব্দ হচ্ছে। ব্যাপারটা পুলিশ হয়ে মিউনিসিপালিটি পর্যন্ত গড়ায় এবং প্রকাশ পায় যে অনুমোদিত ডিজাইনের বাইরে কিছুটা কাজ করা হয়েছে। সংশোধন করতে গিয়ে কার্পেন্টারকে অনেকখানি সময় এবং শ্রম দিতে হয়েছিল। এবার অবশ্য শব্দের আপত্তি এসেছিল কিনা জানা নেই।
এরকম সভ্য দেশে হয়, ভাবতেই অবাক লাগছে!
কষ্টও।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
প্রথম যখন অ্যাপয়েন্টমেন্ট কনফার্মেশন পেয়েছিলাম, নিজেকে বেশ ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল। দেখাই যাচ্ছে, বিধাতা একটু মুচকি হেসেছেন মাত্র
সুখপাঠ্য!
________
বুনোফুল
এ ধরণের মন্তব্য মনের জোর বাড়ায়, ধন্যবাদ আপনাকে
ভীষণ জ্বালায় আছেন বোঝা যাচ্ছে। কয়বার কমপ্লেন আসলে ওরা আইঙ্গত ব্যবস্থা নেয় খোঁজ নিয়ে ফেলেন জলদি, নইলে আবার নতুন কি যন্ত্রনায় পরেন কে জানে।
বিষয়টি ধরে ফেলেছেন দেখা যাচ্ছে।
পরের পর্বে বলব আইনগত জটিলতার কথা। আইনী মোকাবেলায় গিয়ে বুঝেছি, প্রতিবেশীর যন্ত্রণা বরং ভালো ছিল।
নতুন মন্তব্য করুন