আমি যখন বাবা হলাম
সেই ছোটবেলা থেকেই বাবাকে অনেক জালিয়ে আসছি। বাইনার কোন শেষ ছিল না। এটা দাও ওটা দাও আবার এটা খাবো ওটা খাবো বলে তাকে পাগল করে ছাড়তাম। বাবাও ছিলেন একেবারে বরফের মত ঠাণ্ডা।এত বিরক্ত করার পরও বাবা হাসতেন যেন তিনি আমার এই বিরক্তিতে আনন্দ পাচ্ছেন।কি এক অপরুপ বৈপরীত্য। তার ঠোঁটের কোনায় লেগে থাকা হাসি আজও আমার মনে আছে। ছোটবেলা থেকেই যা চেয়েছি তা তিনি পূরণ করার চেষ্টা করেছেন।আমাদের কোন চাহিদায় তিনি অপূর্ণ রাখেননি।
কাজের খাতিরে অনেক সময়ই তিনি অনেক রাতে বাসায় ফিরতেন। তার এই আগমনের অন্যতম একটা আকর্ষণ ছিল সঙ্গে নিয়ে আসা কিছু খাবার। রাত অনেক দেরি হলেও তিনি সেই রাতে আমাদেরকে ডেকে সেগুলো খাওয়াতেন। তখন খুবি রাগ লাগতো যে এত রাতেই কেন সবার ঘুম ভাঙ্গিয়ে এসব আমাদেরকে খাওয়াতে হবে। আসলে তখন না বুঝেই রাগ করতাম।বাবাও সেটা বুঝতেন আর মৃদুহেসে বলতেন যখন বাবা হবি তখন এই মাঝরাতে তোদের ডেকে খাওয়ানোর মাঝে যে কি আনন্দ তা উপলব্ধি করবি।
মনে আছে একবার সাইকেল চালাতে গিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম। সেদিন দূর থেকে দেখে আমাকে তড়িৎ বুকে জড়িয়ে আগে সাইকেল থেকে নিরাপদ দুরত্তে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন দেখেছি তার সেই সময়কার উৎকণ্ঠা। বড়ই অকৃত্রিম সেই ভালোবাসা যা মনে হয় একজন বাবাই পারেন। খুব ছোট বেলার কথা ঠিক সেভাবে মনে নেই তবে ছোটবেলায় তিনি যে কষ্ট করেছেন তা উপলব্ধি করলাম যখন বাবা হলাম।একই সাথে জানতে শুরু করলাম আমার মাঝের পরিবর্তনগুলো । হয়তো একই উপলব্ধি সব বাবারই হয় আবার ব্যতিক্রমও হতে পারে।তবে তা কেবল তখনই যখন তিনি বাবা হলেন - এর যাত্রা শুরু তখন থেকেই।
প্রথম যেদিন শুনেছিলাম আমি বাবা হব সেদিন মনের কনে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত আনন্দরা কেমন যেন নাড়া দিয়ে উঠেছিলো । নতুন একটি পরিচয় , নতুন একটা অনুভূতির ডানা বেশ প্রশস্ত হয়ে সারা পৃথিবীকে কেমন যেন একটা জানান্ দিতে চাইলো এই বলে যে তুমি এক নতুন পথের পথিক, এক আগন্তুকের নতুন ঠিকানা। সেদিনের পর থেকে আমার সকল কাজ আর চিন্তার পেছনে এই না দেখা এক আগন্তুকের ছবি ভেসে আসতো।
সময়ের সাথে সাথে আমার স্ত্রীর মাঝে অনেক শারীরিক পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। চাকরীর কারণে তাকে ঠিকমতো সময় আগেও দিতে পারিনি কিন্তু তখন এটা নিয়ে তার খুব বেশী অভিযোগ ছিলোনা অনেকটা সয়ে গিয়েছিলো বলা যায় কিন্তু তার পর থেকে , অর্থাৎ যখন তিনি সেই আগন্তুককে তার গর্ভে ধারণ করলেন ,আমার কাছ থেকে তার প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গিয়েছিলো। আমি বরাবরই একটু আড্ডা দিতে ভালবাসতাম আর সে কারনেই বাসায় আসতে একটু দেরী হতো।কিছুদিন যাবার পর আমার করে চলা এই অনিয়ম গুলো উপলব্ধি করতে শুরু করলাম। বাবা হবার জন্য যে আমাকে প্রতিদিন স্বপ্ন দেখাচ্ছে , যে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন এক একটি নতুন নতুন শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন নিজে একাই কষ্ট পেয়েও সহ্য করে চলেছে , সেই মেয়েটির জন্য বড় মায়া হতে লাগলো। প্রতিটি মুহূর্তেই যেন এক একটি কষ্টকে সে একাই বহন করে চলতে লাগলো। আমি প্রায়শই ওর এই কষ্টটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করতাম জানিনা সেটাতে সার্থক হতে পারতাম কিনা তবে আমার এই উৎকণ্ঠা সে অতি আনন্দের সাথে উপভোগ করতো। বিষয়টি বোঝার পর আমি বাসায় অনেক বেশী সময় দেয়া শুরু করলাম। আমার বাইরের সকল আড্ডা হল ঘরকেন্দ্রিক। আমার স্ত্রীই হোল আমার আড্ডা দেয়ার একমাত্র সঙ্গী। আমার অবসর সময়গুলো আমাদের সন্তান কি হবে, ওর জন্য আমরা কি কি করবো , তার আসার আগে আমরা কি কি কেনাকাটা করবো যেন পরে আর এগুলো নিয়ে ভাবতে না হয়, কি নাম রাখবো এসব নিয়েই দিন চলে যেতে লাগলো। এরই মাঝে অবাক হয়ে একদিন লক্ষ্য করলাম নিজেকে। যেই মানুষটি সারাক্ষণ অফিস , কাজ আর আড্ডা নিয়ে পড়ে থাকতো সেই মানুষটি হঠাৎ করে নিজেকে প্রয়োজনের বাইরে এসব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করলো।
আমি এবং আমার স্ত্রী আমরা দুজনই দুজনকে অনেক আগে থেকে চিনতাম। দীর্ঘ ৯ বছর জানা শোনার পর অর্থাৎ প্রেম করার পর আমাদের বিয়ে হয়েছিলো। কাজেই আমাদের মাঝে বেশ আগে থেকেই একটা বন্দেজ গড়ে উঠেছিলো। আমাদের দুজনার মাঝে যে বন্ডেজ ছিল তা ক্রমেই আরও গাড় হতে লাগলো । আমার সকল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু তখন আমার স্ত্রী আর সকল প্রতিক্ষার এক একটি প্রহর হল আমাদের সন্তান। এভাবেই পার হয়ে যাচ্ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে সেরা সময়গুলো। কাউকে সেবা করা বা কারো অসহায় অবস্থায় তার পাশে থাকতে পারার যে আনন্দ তা প্রতিটি কোষ ধরে ধরে উপভোগ করতে থাকলাম। দিন যতই যেতে থাকলো আমাদের উৎকণ্ঠাও বাড়তে থাকলো।
আমার স্ত্রীর অবস্থাও ক্রমেই খারাপ হতে লাগলো বিশেষ করে সেই অদেখা অতিথির আগমনের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসলো। এভাবেই একদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হল আর ঠিক তার পরদিনই ভুমিস্টো হল আমাদের সন্তান।
এতদিনের সকল অপেক্ষার হল অবসান। জীবনে সকল অপূর্ণতা সেদিন দূর হয়ে গিয়েছিল। এতদিন বুঝতে পারিনি এই আনন্দের ধরনটা কেমন হবে তবে আমার ছেলেকে যখন প্রথম নার্স আমার কোলে তুলে দিল তখনই মনে হয়েছিলো আমি যেন এক বিশাল দেশ জয় করে ফেললাম। এক বিজয়ী সেনা অনেক দিন যুদ্ধের পর একটা দেশ স্বাধীন করে ফেরার পর যে আনন্দ ঠিক সেইরকমের একটা হিরোইজম ভেতরে ভেতরে কাজ করতে থাকলো। নিজের অস্তিত্বকে উপলব্ধি করার মজাই আসলে আলাদা। আমি সেদিন সেই আলাদা একটা সত্তা, আলাদা একটা অস্তিত্তের মাঝে নিজেকে উপলব্ধি করা শুরু করলাম। আমি সেদিন বাবা হলাম।
এরপর থেকে আমার সকল কর্মে একজন বাবাকে দেখতে পাওয়া শুরু করলাম। একটি নতুন পরিচয়ে নতুন একটি মানুষের সামনে আমার আদর্শের আপরাইটনেস ঠিক কেমন ,আদৌ সেটা একটি মডেল হিসেবে তার সামনে উপস্থাপনের উপযোগী কিনা সেটা বারবার আমার সামনে ভেসে আসতে থাকলো। তখন থেকেই নিজেকে একজন যোগ্য মানুষ , যোগ্য স্বামী আর একজন আদর্শ পিতা হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজন উপলব্ধি করলাম। জীবনের ছোটখাটো যত লুপহোলস ছিল তা আস্তে আস্তে বন্ধ করতে শুরু করলাম। প্রতিটি কাজে, আমার সকল চিন্তায় কেবল একটাই বিষয় সামনে চলে আসতো আর তা হল আমি একজন বাবা।বাবা হবার পূর্বে নিজে কতটা পরিশুদ্ধ ছিলাম তা বিচার করার প্রয়োজন না হলেও তখন থেকে এই বিষয় গুলো জোঁকের মতো জেকে ধরল। একজন আদর্শ বাবা হবার তীব্র নেশা আমাকে পেয়ে বসলো। একইসাথে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম আমার ছেলেকে নিয়ে। একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে তাকে গড়ে তুলতে হবে আর নিশ্চিত করতে হবে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের।
আমার ছেলের বয়স আজ দুই বছরের কাছাকাছি। ঠিকমতো কথা সে বলতে পারেনা তবে বাবা বলে সে আমাকে অনেক আদর করে ডাকে। আমার প্রাণের মাঝে তখন নতুন উদ্যম ফিরে পায়। এত নিষ্পাপ একটি মুখ, এত সুন্দর হাসি আর মিষ্টি মধুর ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথা আমাদের ঘরকে সারাক্ষণ মুখর করে রাখে। এখন সে হাঁটতে শিখেছে। মাঝে মাঝে দৌড় দিয়ে চলে আসতে চাই কাছে। অনেক সময় কাছে আসতে যেয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যায় । তখন দৌড়ে গিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরি । জোর করে আলিঙ্গন করে চেপে ধরি বুকে। অতি সতর্কতার সাথে কাছে টেনে নেই পাছে যদি সে ব্যথা পায়।
জানিনা কেন তবে ইদানীং বাবার কথা খুব মনে পড়ে । কিভাবে আমাদেরকে তিনি ছোটবেলা থেকে আগলে রেখেছিলেন। কিভাবে নিশ্চিত করেছিলেন আমাদের জন্য একটি সুন্দর ছেলেবেলার। আজকে আমার যে অবস্থান তার পিছনে অনেক অবদানই আমার বাবার। আসলে বাবা হলে যা হয়- বাবারা হয়তো এমনই হয়।
অমি_বন্যা
মন্তব্য
ভালো লাগল আপনার লেখা পড়ে।আরও বেশি ভালো লাগল আপনার দায়িত্ববোধ দেখে।চালিয়ে যান।
দায়িত্ববোধ কতটুকু আছে জানিনা তবে নিজের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি সবসময়।
লেখাটা আপনার ভালো লাগলো জেনে ভালো লাগছে।
অনেক অনেক শুভকামনা ।
অনেক আদর দেবেন ওকে(বাবুর নাম জানাবেন আশা করি) ।
কড়িকাঠুরে
আপনাকেও শুভকামনা জানাচ্ছি। আপনার পক্ষ থেকে অনেক আদর ওকে দিয়ে দিলাম। আমার ছেলের নাম মাহদিন।
অনেক অনেক অভিনন্দন!! আপনার পরিবারের শান্তি কামনা করি।
______
বুনোফুল
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।
কিছু কিছু কথা মাঝে মাঝে দোলা দিয়ে যায়, এ পোষ্টটি অনেকটা সেরকম।।।।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা
#আশরাফুল কবীর
আশরাফ ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটি পড়েছেন আর আপনাকে কিছুটা হলেও আন্দোলিত করার জন্য।
আমি তো ভাবছিলাম আপনি মেয়ে যাকগে -
এই অনুভূতি স্বর্গীয়;
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
আমি আপনার একটা মন্তব্যের রিপ্লাই দিয়েছিলাম মনে হয় খেয়াল করেন নি।
আমরা শুধু দুজনেই ছিলাম, তাই ও যখন মাতৃত্বে তখন সঙ্গ দেওয়ার জন্য চাকরিটাই ছেড়ে দিলাম। চিরবাউণ্ডুল আমি সেই যে ঘরকুনো হলাম, এখন আর বের হতেই ইচ্ছে করে না। সাড়ে পাঁচ বছর চাকরি করি নাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, এই ঘরে যে কি শান্তি তা কেবল সেই জানে যে তা খুজে পেয়েছে। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
অপত্য স্নেহ বড়ই মধুর।
খুব সুন্দর অনুভূতি।
অনুভব করেছেন এজন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর!
সব বাবাই এমন দায়িত্বশীল হন না কিন্তু...
মাহদিনের জন্য আদর।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আপনার দেয়া আদর মাহদিন কে পৌঁছে দিলাম।
লেখা অনেক মায়াময়, কিন্তু বানান ভুল গুলো চোখে পীড়া দিল। পরেরবার আরেকটু সাবধান হবেন আশা করি। আপনার পিচকুকে ঠিক ঠিক বানানও কিন্তু শেখাতে হবে।
কোথায় যেন একটা লেখা পড়লাম যার ভাবানুবাদ হবে এমন, সন্তানের মুখ দেখার মূহুর্ত থেকে একজন ছেলে বাবাতে পরিণত হয়, কিন্তু একজন মেয়ে মায়ে পরিণত হয় যেই মুহুর্ত থেকে সন্তান তার গর্ভে আসে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বানানের দিকে খেয়াল রাখবো পরের লেখাগুলোতে। আপনার কথা ঠিক একজন মেয়ে অনেক আগেই মা হয় ঠিক যেই মুহূর্তে তার সন্তান তার পেটে নড়াচড়া শুরু করে।
লেখা ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ
আমার বাবা ও রাতে ফিরলে কিছু আনলে তখুনি আমাদের উঠিয়ে খাওয়াতেন। রাতে না খেলে এক পাখীর মাংস নাকি শরীর থেকে কমে যায় এই কথা বলে জোর করে নিজেই নলা তুলে খাইয়ে দিয়েছেন মেলা বড় হবার ও পর ও। খুব কষ্ট লাগছে আপনার লেখাটা পড়ে, চোখে জল চলে আসছে, এখন না খেলে কেউ নাই এখানে যে নলা তুলে জোর করে খাইয়ে দিবে।
আপনার জন্য খারাপ লাগছে। তবে বাবারা আসলেই এমন হয়। যে সেটা না পাবে সে হতভাগা আর কি!
এই উপলব্ধি খুব ভালো!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এই উপলব্ধি সবার হউয়া উচিৎ।
সেই কবে বাবা হয়েছি! প্রথম বাবা হবার যে অনুভুতি তা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। মনে করিয়ে দেবার জন্য ধন্যবাদ।
এত সুন্দর করে এত সত্য কথা গুলো আপনি লিখেছেন, সত্যিই খুব ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের ছোটবেলায় শীতের সময় রোজা ছিল। আমার বাবা আমাদের তুলে ধুঁয়া উঠা গরম ভাত দিয়ে মজার মজার সব তরকারী দিয়ে খাইয়ে দিতেন। আমার তখন রোজা রাখার বয়সও হয়নি। এখনও রোজার সময় বাবার কথা খুব মনে পরে।
লেখা টি পড়ে অনেক ভাল লাগলো। মাহদিন এর জন্য আদর।
নীলকমলিনী আপনার লেখাটি আপনাকে ছোটবেলায় নিয়ে যেতে পেরেছে ভেবে ভালো লাগলো। আপানর আদর মাহদিনকে পৌঁছে দিলাম। ভালো থাকবেন।
আপনার লেখা পরে অনেক কিছু মনে পরে গেল. আমাদের সন্তানদেরকে আমরা যেভাবে এখন আদর করি আমাদের মা-বাবাও আমাদেরকে তেমনি ভাবেই আদর আর যত্নে বড় করেছেন. কত ত্যাগ, কত কষ্ট করেছেন. আমাদের কে বুঝতে দেননি কোনো কিছু.
আমরা এখন দেশের বাইরে থাকি আর আমার মা-বাবা দেশে বসে আমাদের প্রত্যেকএর জন্মদিন আলাদা করে পালন করেন. জন্মদিন এর দিন গুলোতে মা আমাদের প্রিয় খাবার (যার জন্মদিন তার পছন্দ গুলো) রান্না করেন এবং খালা-মামা-চাচা-ফুপু ও কাসিনদের কে দাওয়াত করে খাওয়ান. বাবা কিনে আনেন যার যেটা প্রিয় ফল অথবা মিষ্টি ইত্যাদি. আমরা যে আশে-পাশে নাই সেইটা ওনারা মনে করতে চাননা. বিশেষ করে আমার বড় মেয়ের জন্মদিনে .... আমাদের লোকাল সময় হিসাব করে ১২ টার সময় টেলিফোন করে শুভেচ্ছা জানান.
ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে. অনেক দোয়া রইলো মাহদিন ও আপনাদের জন্য.
প্রত্যেক বাবা মা তাদের সন্তানদের জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসেন। জন্মদিন যাপনের যে কথা বললেন তা শুনে একটু আবেগ গলে পড়লো। আসলেই তারা ভুলে থাকতে চান পাছে আরও বেশী কষ্ট পাবার ভয় থাকে।
অনেক শুভকামনা আপনার বাবা মা ও পরিবারের জন্য। ভালো থাকবেন।
বাবা বা মা হওয়ার ব্যাপারটা স্বর্গীয়।
...যে প্রতিনিয়ত প্রতিদিন এক একটি নতুন নতুন শারীরিক বিভিন্ন পরিবর্তন নিজে একাই কষ্ট পেয়েও সহ্য করে চলেছে , সেই মেয়েটির জন্য বড় মায়া হতে লাগলো - আপনার এই উপলব্ধির ব্যাপারটাও দারুণ!
মাহদিনকে নিয়েও কিছু লিখে ফেলুন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপনাকে ধন্যবাদ। দেখি লিখবো আমার এই চঞ্চল দুষ্টটাকে নিয়ে।
অনেক ধন্যবাদ, আপনার অনুভুতি আমাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য।মাহদিন এর জন্য আদর ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।।
মাহদিনের জন্য অনেক অনেক আদর। আর তার বাবা-মার জন্য শুভেচ্ছা।
আপনার আদর ওর কাছে পৌঁছে দিলাম। লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নতুন মন্তব্য করুন