আমার জীবনে অসম্ভব ভাল লাগা কিছু স্মৃতি আছে। তার একটি আমাদের প্রথম বারের সাজেক ভ্রমণ। আমাদের জানামতে বিডিআর বা আর্মি, এবং আরেকটা সাংবাদিক গ্রুপ (এঁরা কারা ছিলেন আমরা জানতে পারিনি) বাদে আমরাই ছিলাম প্রথম বাঙ্গালী যারা ওইখানে গিয়েছিলাম। সে ছিল একটা ভ্রমণ। কত লুকিয়ে, পালিয়ে, আর্মি আর বিডিআরদের ফাঁকি দিয়ে রাতের অন্ধকারে সেই ৩০কিমি-র মতো পাহাড়ি পথ যাওয়া। সত্যিকারের এ্যাডভেঞ্চার ছিল সেটা। সেখানেই আবার তৃতীয়বার (আমার ২য় বার) যাওয়ার পর ধরা খেয়ে রাঙামাটির জেলে ১০ দিন কাটিয়ে আসা। আমার ইচ্ছে করছে লেখাটাই দিতে, কিন্তু প্রথমবারের ভ্রমণটা নিয়ে আমি ট্রাভেল এন্ড ফ্যাশান-এ কভার স্টোরি করেছিলাম আর আমাদের সাথের খাগড়াছড়ির আরেক সাংবাদিক ফারুক আযম লিখেছিলেন অনেক। তাই সাহস করে এখানে দিলাম না। যদি মডরা বলেন যে ৬/৭ বছর আগে প্রকাশিত লেখা প্রকাশে উনাদের আপত্তি (অবশ্যই মানসম্পন্ন হলে) নাই তাহলে দেয়ার ইচ্ছে থাকল। এখন উপভোগ করুন কিছু মেঘের ছবি। সেই প্রথম মেঘ দেখে আমার মনে হয়েছিল যে ইচ্ছে করলেই মেঘের উপর দিয়ে হেটে বেড়ানো সত্যি সম্ভব। ছবিগুলো সব রুইলুইপাড়া এবং তার আশেপাশে থেকে তোলা। আমার ক্যামেরায় এবং বেশিরভাগ আমারই তোলা। তবে দলগত ভ্রমণে যেটা হয় যে একই ক্যামেরা অনেকেই ব্যাবহার করেন; সেটা এখানেও হয়েছে। দুই চারটা আমার সহ-ভ্রমণকারীদের তোলা। আর হ্যাঁ, তখন আমার ছিল Canon-5000। নেগেটিভ থেকে স্ক্যান করেছিলাম অনেক আগে। ছবি তোলাতেও পারদর্শী ছিলাম না তত (এখনও নাই)। কাজেই ছবির মান সন্তোষ জনক নয় সবগুলো।
ছবি -২
ছবি -৩
ছবি -৪
ছবি -৫
ছবি -৬
ছবি -৭
ছবি -৮
ছবি -৯
ছবি -১০
ছবি -১১
ছবি -১২
ছবি -১৩
ছবি -১৪
ছবি -১৫
ছবি -১৬
ছবি -১৭
ছবি -১৮
সবাইকে শুভেচ্ছা।
-তদানিন্তন পাঁঠা
মন্তব্য
জায়গাটা সম্পর্কে কিছু জানতে পারলে ভাল হত। কেন যাওয়া নিষিদ্ধ সেখানে?
ফ্লিকার থেকে এমবেড করার সময় ৬৪০*৪৮০ সাইজের দিলে পোস্ট থেকেই ভালভাবে দেখা যেত, ফ্লিকারে আর যেতে হতনা। এখানে একদম ছোট দেখাচ্ছে।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
ধন্যবাদ। সেই এক পুরনো কাহিনী, নিরাপত্তার অভাব। তাই যাওয়া ছিল সম্পূর্ণ নিষেধ। এখনও সহজ গন্তব্য নয়। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়েই অনুমতি নিতে হয়। তবে চেষ্টা করলে পাওয়া যায়।
ছবি অনেকগুলো হওয়ায় সাইজ ইচ্ছে করেই ছোট করেছিলাম যাতে তাড়াতাড়ি লোড হয়। এত ছোট হবে বুঝিনি। পরেরবার ঠিক করে দেব।
যাওয়া হয়নি, এখনো অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয় ওখানে যেতে হলে ।
দেশের সুন্দরতম স্থানগুলোর একটা ।
অনেক 'ধইন্যাপাতা' ছবি গুলা দেখতে দিলেন ।
কড়িকাঠুরে
সেটাই। এখনও অনেক কঠিন। এবং এজন্যই হয়তো এখনও এত সুন্দর আছে। মাঝে মাঝে ভাবি যে আমরা বাঙালীরা সত্যি কবে একটা যায়গাকে, তাঁর বৈশিষ্ঠ্যকে, সৌন্দর্যকে সন্মান করা শিখব। ছবি আরো আছে। দেখবেন যদি দিতে পারি। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
ভালো লাগল ছবিগুলি। সুন্দর তো ভীষণ! লিখুন ছবির বা ভ্রমণের কথাও নিশ্চয়ই লিখুন। যায়গাটা বড্ড সুন্দর।
ডাকঘর | ছবিঘর
ইয়াল্লা!
পেছনের সাদা সাদা ওগুলো মেঘ! এরকম জমাটি মেঘ দেখিনি আগে। এরকম হলে তো সত্যি ওর ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ইচ্ছে করবে।
১৫ আর ১৮ নম্বর ছবি দুটো বেশি ভাল্লাগলো।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
ধন্যবাদ, সময় করে দেখা এবং মন্তব্যের জন্য।
সুন্দর ছবি ব্লগ।
১৫ নম্বর ছবিটা অদ্ভুত সুন্দর হৈসে।
ছবিতে একটা ক্যাপশন দিলে পড়তে আরাম লাগে। আরও বিস্তারিত পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
পথিক পরাণ
------------------------
পথেই আমার পথ হারিয়ে
চালচুলোহীন ছন্নছাড়া ঘুরছি ভীষণ---
ছবিতে আসলে সে সময়ের কিছুই ফোঁটাতে পারিনি। সেটা আমারই ব্যর্থতা। সম্ভব হলে কোনও এক শীতের শেষের দিকে ঘুরে এসেন। দেখবেন নিজেই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
কবে যাব পাহাড়ে, আহারে... [উদাস ইমো]
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
আহারে
দারুণ, আরো লিখেন !
facebook
সেই দিন আর নাইরে নাতি, খাবলা খাবলা ছাতু খাতি।
এই দিন দিন নয়, আরও দিন আছে
facebook
#অনেক সুন্দর
সুন্দর জায়গা।
অদ্ভুত সুন্দর
---------------------------------------------------------
ভাঙে কতক হারায় কতক যা আছে মোর দামী
এমনি করে একে একে সর্বস্বান্ত আমি।
নতুন মন্তব্য করুন