এক টুকরো শৈশব-২

মেঘা এর ছবি
লিখেছেন মেঘা [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ৩০/০৫/২০১২ - ৯:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পুতুল খেলা

আগেই বলেছি আপু আম্মু যা না করতো তাই করতে বেশী উৎসাহী ছিলো। আর আম্মু সেটা বুঝতে পারতো না। আম্মু নিজেও অনেক ছোট ছিলো তাই তার শখের অনেক জিনিস ছিলো আমাদের বাসায়। যেমনঃ কাপড়ের পুতুল, কাঠের পুতুল, পুঁতির মালা, চকমকি পাথর, মাটি দিয়ে বানানো আপেল-কমলা। পনের বছর বয়েসে বিয়ে হয়েছে বলেই হয়ত বিয়ের পর সে তার খুব শখের খেলনাগুলো ফেলে দিতে পারে নি। সেগুলো ছিলো আমাদের ঘর সাজানোর জিনিস তখন। আপুর হাত পা বের হবার পর থেকে সেই সব জিনিস দেখা ওর প্রিয় কাজ ছিলো। দেখাটা আবার নিরীহ ধরণের দেখা না। খুব মন দিয়ে সব কিছু খুলে খুলে দেখা। আম্মু তুলা দিয়ে বানানো কতোগুলো হাঁসের বাচ্চা কিনেছে বাসার উপর থেকে। সেগুলো এতো বেশি সুন্দর যে দেখলেই আদর লাগে। আপুর কোন কিছু খুব পছন্দ হলে সে ঠোঁট সরু করে দেখতো। আম্মু ওর চেহারা দেখেই বুঝতো ধরার জন্য জান বের হয়ে যাচ্ছে। আম্মু দিতো না। হাঁসের বাচ্চা কিনে আমাদের হাতে একটু করে দেখতে দিয়ে শোকেসে সাজিয়ে আম্মু গোসল করতে যাবার সময় আপুকে বলেছে, ‘দূর থেকে দেখো জুঁই কাছে যেয়ে ধরবা না’। আপু তো এইসব কথার জবাব দিতো না। আম্মু গোসল করে এসে দেখে ও এক গাদা তুলার মধ্যে বসে আছে। আম্মুকে দেখেই সাথে সাথে একটা হাসি নিয়ে বিজ্ঞের মতো করে বলে, ‘আম্মু এর ভেতর কিছু নাই খালি মাটি!’ ভাবটা এমন যে আমার আম্মু কত বড় বেকুব (!!!) না বুঝেই হাঁস মনে করে মাটি কিনে ফেলেছে।

আম্মুর যত পুতুল ছিলো সেগুলোর মধ্যে কী আছে দেখার জন্য সব ছিঁড়ে দেখা শেষ তার ততদিনে। আব্বু আমাদের জন্য মাঝে মাঝেই প্যাঁ পুঁ করে বাজে যেই পুতুলগুলো সেগুলো কিনে নিয়ে আসতো। আমার পুতুল আমি কোলে নিয়ে ঘুরতাম কিন্তু আপুর খেলার চেয়ে বেশি আগ্রহ ছিলো চাপ দিলে প্যাঁ পুঁ করে বাজে কেন সেটা অনুসন্ধানের দিকে। আব্বু পুতুল এনে দেবার একদিনের মধ্যেই সেই পুতুল ছিঁড়ে ওর ভেতরের বাঁশি বের করে দেখে তারপর আপুর শান্তি হতো। দেখা হয়ে গেলে আর সেই পুতুলের গায়ে হাত দিতো না। কিন্তু আমারটা নিয়ে কাড়াকাড়ি করতো এবং একটু কিছুক্ষণের মধ্যে আমারটার অবস্থাও করুণ করে দোতলা থেকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দিতো। পুতুল নষ্ট করে সেগুলো আর চোখেই দেখতে পারতো না। কারণ ও খুলে ভালো করে দেখতে গেছে তাই বলে পুতুল আর প্যাঁ পুঁ কেন করবে না?!!

তো পুতুলের উপর আমাদের প্রবল আগ্রহ ছিলো। আমরা দুপুরে যেভাবে বাসা থেকে বের হতাম একদিন ঐরকম ভাবে করে বাসা থেকে বের হয়ে চলে গেছি একটা বাসায়। সেই বাসার ছেলেকে আমরা মামা (মামার নাম আম্মু নিজেও ভুলে গেছে!) ডাকতাম। মামাদের বাসার একটা রুমে যেয়ে দেখি সেখানে কোনার মধ্যে খুব সুন্দর সুন্দর পুতুল সাজানো অনেকগুলো। দেখে তো আমাদের খুশী ধরে না। তার উপরে পুতুলের সামনে আবার পুতুল রঙ করার জন্য এক বাটি রঙ রাখা। আপু তখন মাত্রই রঙ করতে শিখেছে। সে খুশী মনের আমাকে সাথে নিয়ে নিজের শেখা বিদ্যা জাহির করতে বসে গেছে। পুতুলকে ভালো করে রঙ দিতে যেয়ে আমারও ততক্ষণে লাল টুকটুকে হয়ে গেছি। রঙ করার পর আপুর মনে হলো ভালো হয় পুতুলগুলো তুলে বাসায় নিয়ে গেলে। অনেকক্ষণ চেষ্টা করেছে ওগুলো তুলে নিয়ে আসতে কিন্তু পারে নি। সেই সময় মামা রুমে ঢুকে দেখে ঘরের লন্ডভন্ড অবস্থা। সে আমাদের পিছনের দরজা দিয়ে বের করে দিয়ে বলেছে, ‘দৌড় দিয়ে বাসায় চলে যাও নাহলে পিট্টি লাগাবে!’ আমরা খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম এটা কোন ধরণের কথা! বাসায় আসার পর আম্মু তো আমাদের দেখেই চিৎকার এইরকম ভুতুম হয়ে আসলাম কোথেকে! ঐ মামা আমাদের বের করে দিয়ে নিজেই একটু পরে এসে আম্মুকে বলে, ‘আপা জানেন আপনার দুইমেয়ে কি করেছে? বৌদি’র পূজার ঘরে ঢুকে ঠাকুরের মূর্তিতে সিঁদুর দিয়ে পুরো মাখামাখি করে রেখে আসছে সেই সাথে নিজেদের গায়ে মেখে ভুতুম হয়ে বসে ছিলো! বৌদি যদি দেখতো তাহলে কী করতো!’ আম্মু তো এটা শুনে সাথে সাথে আমাদের পারলে তখনই মারে! আশ্চর্য!! এটা কী ধরণের কথা! আমরা কীভাবে জানবো সব পুতুল নিয়ে খেলতে হয় না?!!

হাঁসের বাচ্চা ঘুমায়!

আমার আপুজি আমি হবার পর মেয়ের পর মেয়ে হওয়া দেখে খুব বিরক্ত হয়ে আমার আম্মুকে বলেছিলো ‘তোর পেট দিয়ে ওই বের হবে’ (!) আপুজি আমাকে বেশি একটা কোলে নিতো না আদর করতো না। কিন্তু আমার বোন তার জানের টুকরা নাতনি ছিলো। আমাকে আদর করে না দেখেই মনে হয় আমি সব সময় আপুজির সাথে খাতিরের চেষ্টা করতাম। যাহোক আমরা রাজশাহী চলে যাবার পর কেন যেন আমার আপুজির আমার জন্য মায়া বেড়ে গেলো। সে আমার জন্য কান্নাকাটি করে কিছুদিনের মধ্যেই ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী চলে গেলো। ততদিনে আমরা দুইজন এলাকার বিখ্যাত ডাকাত (!) হয়ে গেছি তাই আমাদের সবাই চিনত। মঠ পুকুরের কাছে যেয়ে জুঁইদের বাসা কোনটা বলার সাথে সাথেই নাকি কে যেন দেখিয়ে দিয়েছে বাসা! আপুজি আমাদের সাথে অনেকদিন ছিলো তাই আম্মু একটু শান্তিতে ছিলো। আপুজি আবার যখন ঈশ্বরদী চলে যাবে তখন আমরা গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে কান্না সাথে যাবার জন্য। কারণ আগে কোনদিন দেখি নি আপুজি আমাদের রেখে কোথাও ব্যাগ নিয়ে চলে যাচ্ছে। আব্বু আমাদের স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে যাবে মনে করে সাথে নিয়ে গেছে বাসার জামা, পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডাল পরা অবস্থায় (আমি কোলে ছিলাম তাই খালি পায়ে)! আপুজির সাথে আমরাও ট্রেনে উঠে বসে আছি। আপুজি অনেক পান খেতো। আব্বু আমাদের রেখে গেছে পান আনতে গেছে তার মধ্যেই ট্রেন ছেড়ে দিবে দিবে ভাব। আব্বু আমাদের যখন বলেছে নামতে আমি আর আপু সাথে সাথে বলেছি বাসায় যাবো না আমরা আপুজির সাথে চলে যাবো। আমার আপুজি তো খুব খুশি তাই শুনে আর আব্বু খুব অবাক হলেও কিছু না বলে আমাদের দিয়ে দিয়েছে সাথে। বাসায় আসার পর আম্মু দেখে আমরা নাই আব্বুর সাথে! জানি না আম্মুর তখন কেমন খারাপ লেগেছিলো সারাদিন দৌড়ের উপর রাখা বাচ্চাগুলো হঠাৎ করে নাই হয়ে যাওয়াতে। আম্মু খুব রাগ করছিলো আমাকে দিয়ে দেবার জন্য। আমি তখনো দুধের বাচ্চা ছিলাম। আমরা ছিলাম না বলে আব্বু প্রত্যেকদিন বাসায় আসার সময় আমাদের জন্য অনেক করে চকলেট এনে আমাদের খেলার ব্যাগের মধ্যে রেখে দিতো! অনেক মিস করতো মনে হয়। দুই/তিনদিন পর আম্মুর কান্নাকাটিতে আমাদের রাজশাহীতে পাতানো এক মামাকে আমাদের নিতে ঈশ্বরদী পাঠিয়েছিলো আব্বু। মামা যেয়ে দেখে আমরা খুব আনন্দের সাথে বসবাস করছি। আমাদের কোনই অসুবিধা নাই আম্মু ছাড়া। আম্মুর কথা মনে হলে আমি একটু কান্না কান্না ভাব করি আবার ভুলে যাই! মামাকে দেখেই জুঁই বিরক্ত হয়ে বলে ‘তুমি কেন আসছো?’ মামা যখন বলেছে আমাদের নিতে তখন সে মামাকে বলে, ‘আমাদের তো আমাদের নানার সাথে বিয়ে হয়ে গেছে আমরা যাবো না!!!’ (এটা আমার আপুজির শিখিয়ে দেয়া অবশ্যই)। মামা আমাদের কথা শুনে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো, ‘একসাথে দুইজনার একটা নানার সাথেই বিয়ে হয়ে গেলো?!’ এতো প্যাচের কথা আমরা বুঝতাম না। আমরা সাথে সাথে বললাম, ‘হ্যাঁ একটা নানার সাথেই দুইজনার বিয়ে হয়ে গেছে।’

আমাদের মামার সাথে পাঠিয়ে দেবার জন্য আপুজি সাজিয়ে গুছিয়ে স্টেশনে নিয়ে গেছে। সাথে অনেক পিঠা, নাড়ু দিয়ে দিচ্ছে আপুজি। ট্রেনে উঠার আগে আপু কী মনে করে বললো, ‘যাবো না’। আপু যাবে না মানে আমিও যাবো না। মামা আমাদের কিছুক্ষণ জোর করে নিয়ে যাবার চেষ্টা করতেই আমরা স্টেশনের মধ্যে গড়াগড়ি দিয়ে কান্না। সেই সময় আমার আবার কান্নার স্টাইল ছিলো এটা। আমার মন মতো কিছু না হলেই মাটিতে গড়াগড়ি নিয়ে কান্না শুরু করে দিতাম। তারপর আমরা আবার আপুজির সাথে ঈশ্বরদী বাসায় চলে গেলাম আর মামা রাজশাহী যেয়ে আম্মুকে জানালো যে আমরা নানাকে বিয়ে করে ঈশ্বরদীতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি।

আব্বুর সেই সময় সাইটে এমন কাজের চাপ ছিলো যে সে আমাদের নিতে যেতে পারছিলো না। কিন্তু আমার আম্মুর তো অবস্থা খারাপ। দুই/তিনদিন পর আম্মুর এক চাচার সাথে আম্মু আমাদের নেবার জন্য ঈশ্বরদী চলে গেছে আব্বুকে রেখেই। আম্মু বাসায় ঢোকার সাথে সাথে আমরা দুইবোন ঝাপ দিয়ে যেয়ে আম্মুর কোলে উঠে বসে আছি। তখন আর কেউ কোল থেকে নামি না। যাহোক আম্মু আমাদের নিয়ে কয়েকদিন ঈশ্বরদীতে থাকার পর আবার যখন রাজশাহী চলে যাবে সেদিন দুপুরে আপুজি আমাদের খাওয়াতে বসিয়েছে। সেই সময় আমাদের সব খাবারের একটাই নাম ছিলো সেটা হলো ‘দাল’। যা দিয়েই খাই না কেন জিজ্ঞেস করলে সব কিছু ‘ডাল’ হয়ে যেতো। তো আপুজি আমাদের দুধ দিয়ে ভাত মাখিয়ে দিয়েছে। আপু ‘দাল’ দিয়েও ভাত খেতে চায় সেই সাথে। আমরা চলে যাবো ভেবে আমার আপুজির এতোই মন খারাপ ছিলো যে সে দুধ ভাতের মধ্যেই ডাল দিয়ে দিয়েছে। সেই কুখাদ্য তো খাওয়া যায় না। আপুজি আবার নতুন ভাত নিয়ে আমাদের খাইয়ে দিয়েছে। আম্মুর তখনো খাওয়া হয়নি তাই আমরা দুইবোন তখন ভাবলাম আমরা একটু ঘুরে আসি।

আপু আমাকে নিয়ে গেছে ছাদের উপর। আপুজির তখন অনেক হাঁস মুরগী। ছাদে যেয়ে দেখি অনেক অনেকগুলো পিচ্চি পিচ্চি হাঁসের বাচ্চা বাঁশের খাঁচার (যেটা দিয়ে মুরগীর বাচ্চা ঢেকে রাখে। নাম ভুলে গেছি জিনিসটার!) দিয়ে ঢেকে রাখা। আমরা তো দুইজন এতো ছোট হাঁসের বাচ্চা দেখে খুব খুশী। অনেকক্ষণ হয়ে গেছে আমাদের খবর নাই ঐদিকে ট্রেন ছেড়ে যাবার সময় হয়ে যাচ্ছে তাই আম্মু আমাদের খুঁজতে ছাদে যেয়ে দেখে আমার হাতে একটা হাঁসের বাচ্চা আর আপুর হাতে একটা। বাকী বাচ্চা আমাদের সামনে লাইন দিয়ে সাজিয়ে রাখা। আম্মুকে দেখে আপু লাইটের মতো হাসি দিয়ে বলে, ‘দেখো আম্মু সবগুলো হাঁসের বাচ্চাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছি!!’ আম্মু খেয়াল না করেই বলে, ‘আচ্ছা ঘুম পাড়াতে হবে না রেখে দাও। ট্রেন ছেড়ে দিবে। চলো!’ আপুজি তখন ছাদে এসে বলে, ‘কী রেখে দিবে! দেখ সবগুলো হাঁসের বাচ্চা টিপে টিপে মেরে ফেলছে!!!’ আমরা হাঁসের বাচ্চা হাতে নিয়ে টিপে টিপে আদর করছিলাম!! কখনোই মারতে চাই নাই!!! এতো সুন্দর আর নরম ছিলো বাচ্চাগুলো যে টিপতে খুব মজা লাগছিলো। যখন ওগুলোর চোখ বন্ধ হয়ে গেছে তখন আপু মনে করেছে ঘুমিয়ে পড়েছে। একটা ঘুমানোর পর ওর মনে হয়েছে হাঁসের বাচ্চা ঘুম পাড়ানো খুব মজার একটা কাজ। ২০টা বাচ্চার মধ্যে ৪টা মাত্র বেঁচে ছিলো! কিন্তু চলে যাবার সময় ছিলো তাই সেদিন আমরা মার খাই নাই আম্মুর হাতে। যদিও পরে বাকী বাচ্চারাও বাঁচে নাই। বাচ্চাগুলো একটু বড় হবার পর ছাদ থেকে নিচে তাকিয়ে মনে করতো নিচে পানি। তাই সবগুলো ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পরে মরে গেছে!

(চলতে পারে যদি এটা প্রকাশিত হয়)

মেঘা
toree.ahmed এট ইয়াহু ডট কম

এক টুকরো শৈশব


মন্তব্য

ক্রেসিডা এর ছবি

ভালো লাগলো আপনার লেখাটি। আমাদের বাচ্ছারা আজকাল আর কাপড়ের পুতুল, ঘটা করে পুতুল বিয়ে দেয়া, হাঁসের বাচ্চা, মুরগীর বাচ্চা হতে নেয়া, ধরতে যেয়ে মুরগীর ঠোকর বা তাড়া খাওয়া, এগুলোর সাথে পরিচিত হয় না। আফসোস; কিন্তু এগুলো নির্মল আনন্দ. এই আনন্দ তো আর টিভি বা কম্পিউটার গেমসে পাওয়া যায় না! আমার ইচ্ছে আছে, মেয়ে আর একটু বড় হলে, যেভাবেই পারি, এগুলোর সাথে পরিচয় করাবো। আকাশের পরী তো আর আনতে হবে না, একটু চেষ্টা করলেই হবে।

শুভকামনা।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

মেঘা এর ছবি

অনেক ধব্যবাদ ভাইয়া। বাচ্চাদের এইসব অনেক প্রিয় স্মৃতি বড় হবার পর। আমার এখনো ভালো লাগে পুতুল বিয়ে দেবার ব্যাপারটা !

মরুদ্যান এর ছবি

বিরাট বড়। কিন্তু আমি এইটা পড়সি পরশু চোখ টিপি । বলেন দেখি কেমনে?? খাইছে

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

মেঘা এর ছবি

কিভাবে? অ্যাঁ

মরুদ্যান এর ছবি

আপাতত না বলি শয়তানী হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ক্রেসিডা এর ছবি

অতিথি লেখক হিসেবে লগইন করে কি কীর্তিকলাপ এ দেখা যায়? মনে পড়ছে না। সেভাবে হয়তো শয়তানী হাসি

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

মেঘা এর ছবি

লেখাটা আমি বেশ আগেই দিয়েছিলাম। কিন্তু কেন জানি আসে নাই তখন। বেশ অবাক হয়েছিলাম না আসাতে। ভাইয়া কি মডু নাকি? অ্যাঁ নাহলে তো লেখা দেখার কথা না ইয়ে, মানে... তার উপর আপনি ২/৩টা লেখা দিয়েই মনে হয় হাচল হয়ে গেছেন। মডু না হয়েই যায় না দেঁতো হাসি আমার লেখাতে মডুর কমেন্ট হাসি

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

একটা জিনিস বুঝছি।
ভাইয়া 'মড়ু' না হইলেও 'মরূ' তো বটেই, সন্দেহ নাই। দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
শিশুকাল ছিল ভালো যৌবন কেন আসিল ট্যাং টে টেটেং ট্যাং

মেঘা এর ছবি

কথা সত্য ইয়ে, মানে...

অতিথি লেখক এর ছবি

বেশ ভালো লাগলো। আসলে সবকিছুর সাথে আমরাও বদলে যাচ্ছি। সময় আমাদের কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। একটিবার দারিয়ে ভাবার অবসর পাইনা, কি করছি আর কি ছাড়তে হচ্ছে।

Jawad

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ জাওয়াদ ভাই। আমি তাও আমার নানা বাড়ি ঢাকার বাহিরে হবার কারণে অনেক মজা করতে পেরেছি। যদিও এই ছোটবেলার কোন কথাই আমার মনে নাই। ৩ বছর বয়েসে আবার ঢাকা চলে এসেছিলাম। তখন তো আর কোন মজা ছিলো না। খেলার মাঠ ছিলো না। কষ্টকর ছিলো।

কানিজ ফাতেমা এর ছবি

প্রত্যেক মানুষের শৈশবকাল অতিশয় মধুমাখা।অনেক ভাল লাগল আপনার লেখা।অবশ্যই চালিয়ে যান।

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ আপু। এই লেখাটাতে আমার চেয়ে আমার আম্মুর ভূমিকা বেশি। একটু করে লিখেই আম্মুকে ডেকে এনে শোনাই সব ঠিক মত লিখছি কিনা। আব্বুও দেখলাম খুব আগ্রহ নিয়ে লেখা পড়ছে আর বলছে আমাদের দুইবোনের মত আর কারো বাচ্চা আছে কিনা খোঁজ নিতে খাইছে তার ধারণা আমরা দুইবোন স্পেশাল ছিলাম আর কেউ এমন হয় না দেঁতো হাসি

তাপস শর্মা এর ছবি

মজা লাগল খুব। ইনফেক্ট আগেরটার থেকেও ভালো জমেছে। খুব সুন্দর সব স্মৃতিগুলো।

পুরাই জিডুশ পুলাপান ছিলেন আপনারা। আমার এমন ছিলনা। একোডিং টু মা, আমি খুব শান্ত ছিলাম। খেলনার চেয়ে কমিক্সে বেশী উৎসাহ ছিল, আমার খেলনা দিয়ে অন্য পিচ্চিরাই বেশী খেলত। শৈশব সত্যিই তুলনাহীন। হাসি

মেঘা এর ছবি

যে বয়েসের কথা লিখেছি তখন লেখাপড়া জানতাম না গন্ড মূর্খ্য ছিলাম। আর যখন বই পড়তে শুরু করেছিলাম তখন বই পড়া ছাড়া আর কোনো কিছু করার মতো অবস্থা আমাদের ছিলো না। এমন কী বাসার বারান্দাতেও বের হতে পারতাম না। খুব কষ্টকর সময় গুলোই আমি মনে করতে পারি। এই মজার স্মৃতিগুলো কোথায় জানি হারিয়ে গেছে মাথা থেকে।

লিখবো কোন একদিন আমার বই পড়ার শুরুর ঘটনাটা।

তাপসদা লেখাটা পড়ছেন শুরু থেকে তার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। হাসি

ফরিদ  এর ছবি

এতই ভাল লাগল যে ফেসবুকে শেয়ার করে ফেললাম। (অনুমতি ছাড়াই মন খারাপ )

মেঘা এর ছবি

অনুমতির কোনই দরকার নেই। লেখা ভালো লাগলে শেয়ার করবেন এটাই তো ভালো। আন্তরিক ধন্যবাদ ফরিদ ভাই।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

দারুণ শৈশব কথন। চলুক (গুড়)

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ ভাইয়া হাসি

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

ভাল লাগল।
চালিয়ে যান। চলুক

শুভেচ্ছা।

মেঘা এর ছবি

ধন্যবাদ দাদা।

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।