আচ্ছা প্রধানমন্ত্রী কি রাষ্ট্র ?? যে তার সমালোচনা করলে রাষ্ট্রদ্রোহ হবে । ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই বলতেন "I am the state." মানে "আমিই রাষ্ট্র"। তার এই স্বৈরাচার ফ্রান্সকে রক্তক্ষয়ী "ফরাসি বিপ্লব"-এর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। আর বাংলাদেশের মত একটি People's Republic বা গণপ্রজাতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট সহ সকল মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য জনগণের টাকায় বেতনভুক্ত কর্মকর্তা বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত (ইংরেজিতে এই ধরণের কর্মকর্তাদের বলা হয় Public Officials)। তাদের সমালোচনা করার অধিকার কি জনগণের নেই ??
আচ্ছা প্রধানমন্ত্রী কি রাষ্ট্র ?? যে তার সমালোচনা করলে রাষ্ট্রদ্রোহ হবে । ফ্রান্সের রাজা চতুর্দশ লুই বলতেন "I am the state." মানে "আমিই রাষ্ট্র"। তার এই স্বৈরাচার ফ্রান্সকে রক্তক্ষয়ী "ফরাসি বিপ্লব"-এর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। আর বাংলাদেশের মত একটি People's Republic বা গণপ্রজাতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট সহ সকল মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য জনগণের টাকায় বেতনভুক্ত কর্মকর্তা বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত (ইংরেজিতে এই ধরণের কর্মকর্তাদের বলা হয় Public Officials)। তাদের সমালোচনা করার অধিকার কি জনগণের নেই ??
আর President শব্দের বাংলা 'রাষ্ট্রপতি' না হয়ে 'সভাপতি' হওয়াই সমীচীন। President শব্দের বাংলা "রাষ্ট্রপতি" Deputy-Commissioner এর বাংলা 'জেলা প্রশাসক"-এর মতই অসামঞ্জস্যপূর্ণ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পতি মানে মালিক কোন একক ব্যক্তি নয় সামষ্টিক ভাবে জনগণ।
এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করার কারণে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছিল। গত ১ জুন '১২ দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি খবরে(১) দেখা যায় এবার ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করায় অভিযোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
এখানেই শেষ নয় গত ৪ জুন '১২ দৈনিক সমকালে প্রকাশিত একটি খবরে(২) দেখতে পাই "নির্বাচিত সাংসদ এবং মন্ত্রীদের কোনো নীতি নেই, তারা চোর-ডাকাতের মতো আচরণ করেন"- অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এমন বক্তব্য দিয়ে সংবিধান, সংসদ এবং মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করেছেন বলে সংসদ থেকে দাবি করা হয়েছে। এমন বক্তব্য সংবিধানের লঙ্ঘন বলেও দাবি করেন সাংসদ অধ্যাপক আলী আশরাফ। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে সংসদে দাঁড়িয়ে ১৬ কোটি মানুষের কাছে শর্তহীনভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াল চোর চুরি করবে, ডাকাত ডাকাতি করবে আর তার সমালোচনা করলে, বিচার চাইলে বিচার প্রার্থীরই সাজা হবে , তাকে লাঞ্ছিত হতে হবে অথবা তাকে 'ক্ষমা' চাইতে হবে চোর-ডাকাতদের কাছে। (সত্যিই আরেকবার প্রমাণিত হলো "চোরের মায়ের বড় গলা।" এই চোরের মায়েদের আর চোরের বাপদের হাত থেকে জাতি কবে যে মুক্তি পাবে ??)
বাংলাদেশের সংবিধানের 29(2)(b) তে মৌলিক অধিকারের মধ্যে লেখা আছে "the right of every citizen to freedom of speech and expression" তাহলে বর্তমান সরকারের এই মামলা আর অভিযোগগুলো কী জনগণের বাক-স্বাধীনতার সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা নয় ??
(১)প্রথম আলোতে সংশ্লিষ্ট খবরটি পড়তে ক্লিক করুন
(২)সমকালে সংশ্লিষ্ট খবরটি পড়তে ক্লিক করুন
লেখক: তারিফ হক
শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য
ধন্যবাদ, প্রিয় মডারেটরকে লেখাটি প্রকাশের জন্য। তারিফ হক।
প্রিয় তারিফ হক, সচলায়তনে পূর্বপ্রকাশিত লেখা প্রকাশ করা হয় না। আপনার লেখাটি ইতিপূর্বে একাধিক জায়গায় প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে সচলায়তনের নীতিমালা পড়ে দেখার জন্য আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে আমরা নতুন ও অপ্রকাশিত লেখা কামনা করি। পূর্বপ্রকাশিত লেখা পরবর্তীতে সচলায়তনে পোস্ট করলে তা প্রকাশিত হবে না। ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে