শিক্ষা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০৮/০৬/২০১২ - ৮:২৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'শিক্ষা' একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক উদ্যোগ।

গ্রাম এবং মফস্বলের স্কুল কলেজগুলোর স্বল্পসুবিধাপ্রাপ্ত ছেলেমেয়েদের কাছে প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় করে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি গ্রামের বা মফস্বলের তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা একজন স্টুডেন্টকে মেইনস্ট্রিমের একটা স্টুডেন্ট যেসব সুযোগ সুবিধা পায় সেগুলোর সাথে পরিচিত করে তোলাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

এ লক্ষ্যে আমরা কয়েকটি ধাপে কাজ করছি।

আমাদের পুরো টিমটাকে ভাগ করা হয়েছে ৩টা মেজর গ্রুপে -

১) থিওরী টিম,
২) ইন্সট্রুমেন্টাল টিম,
৩) দৌড়ঝাঁপ টিম।

এই তিনটা টিমের নামই আসলে এদের কাজ সম্পর্কে অনেকটা ধারণা দিয়ে দেয়।

থিওরী টিমের কাজ হল বোর্ডের বইগুলোকে ঠিকঠাক করা!! আমরা বহুদিন ধরেই বলে আসছি যে আমাদের টেক্সট বইগুলো বাচ্চাদের উপযোগী না বা বইগুলো আকর্ষণীয় না কিংবা দরকারি তথ্য নাই, আবার বয়সের সাথে অপ্রয়োজনীয় তথ্যে ঠাসা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরা এই ধরণের অ্যানালাইসিসের পেছনে খুব বেশি সময় না দিয়ে সমাধানের পথে পা বাড়াতে বেশি আগ্রহী। তাই আমরা নিজেদের ক্ষুদ্র পরিধির মধ্যে নতুন করে লিখে ফেলছি বোর্ডের বইগুলোকে। তৈরি হচ্ছে 'প্যারালাল টেক্সট'!!!

আমাদের ইন্ট্রুমেন্টাল টিম কাজ করছে বইগুলো থেকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টগুলোকে আলাদা তালিকাভুক্ত করতে এবং সেগুলো হাতেকলমে দেখানোর জন্য প্রয়োজনীয় সেটআপ তৈরি করতে। আমরা কাজ করছি আমাদের একদম হাতের কাছে অ্যাভাইলেবল খুচরো জিনিসপত্র দিয়ে এই সেটআপগুলো বানাতে, যেন বাচ্চাদের মধ্যে নিজে নিজে এমন নানা সেটআপ বানানোর আগ্রহ তৈরি হয়। (ইন্সট্রুমেন্টাল টিমের কচিকাঁচাদের নিয়েই আলাদা একটা নোট লিখব ভাবছি!!! খাইছে)

আর আমাদের দৌড়ঝাঁপ টিমের কাজ হচ্ছে এই থিওরি আর ইন্সট্রুমেন্ট টিমের তৈরি কাজগুলো নিয়ে গ্রামেগঞ্জে ছুটে বেড়ানো!!! আমরা ইতোমধ্যে ঘুরে এসেছি কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলা থেকে, আমাদের সদস্যরা ঘুরে এসেছে মুন্সীগঞ্জের একটি আঞ্চলিক বিজ্ঞান উৎসব, আমরা ঘুরে এসেছি লালমনিরহাটে আয়োজিত প্রথম গণিত অলিম্পিয়াড থেকে। যেখানেই কেউ শিক্ষা নিয়ে, গণিত নিয়ে, বিজ্ঞান নিয়ে কোন আয়োজনের জন্য স্বেচ্ছাসেবক দরকার মনে করছে সেখানেই আমরা আমাদের ক্লাসের শিডিউলের ফাঁকে ফাঁকে দৌড় দিচ্ছি!!!

এর বাইরে আমরা আরো দুইটা পর্যায়ে কাজ শুরু করছি।

এদের একটা হল ঢাকাতে আমাদের আশেপাশের স্কুলগুলোতে সাপ্তাহিক বিজ্ঞান কর্মশালা করা। আর আরেকটা হল একটা ওয়েবসাইট চালু করা। আমরা ইতোমধ্যে ঢাকার তিনটা স্কুলে যোগাযোগ করেছি। আশা করছি এদের মধ্যে অন্তত একটাতে আমরা শীঘ্রই আমাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারব। আর আমাদের সাইট বানানোর কাজ হয়ে গেছে, এখন চলছে এর টেস্টরান। আশা করছি পহেলা জুলাই থেকে আমরা এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে পারবো। আমাদের সাইটটার ঠিকানা হল - www.shikkha24.com

সংক্ষেপে এই হল আমাদের কার্যক্রম।

শেষ করি আমাদের স্বপ্নের কথা বলে। আমাদের স্বপ্ন হল বুয়েটসহ দেশের সব ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টদেরকে গ্রামে/মফস্বলে শিক্ষা বিস্তারের কাজে যোগ দেয়ার মতো একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। যেন আমরা নিজেদের শিকড়কে ভুলে না যাই, যেন আমরা আমাদের উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করার পেছনে যে কোটি মানুষের শ্রম রয়েছে তাদের প্রতি দায়িত্বের কথা ভুলে না যাই। আর আমাদের নিজ নিজ অবস্থান এই ছোট ছোট উদ্যোগগুলোই একসময় বদলে দিবে বাংলাদেশ। কারণ, আমরা চাইলেই পারি...

বিঃ দ্রঃ একটা কার্যক্রমের কথা লিখতে ভুলে গিয়েছি। আমরা লালমনিরহাটে একটা প্রোজেক্ট শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে ২০টা স্কুলের ক্লাস নাইনের ৪০ বাচ্চাকে নিয়ে আমরা কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ্য এদের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ (দূরশিক্ষন বলা যায়!!) আর অনুপ্রেরণা দেয়ার মাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নিয়ে আসার মতো অবস্থা তৈরি করা। আমাদের বিশ্বাস এরাই তারপর তার নিজ এলাকার উন্নয়নের হাল ধরবে!!!

{ খুব সংক্ষেপে আমাদের কাজগুলো তুলে ধরলাম। অনেক জায়গাতেই বক্তব্যের অস্পষ্টতা আছে জানি। আমাদের প্রতিটা কাজের পেছনেই আসলে একেকটা গল্প আছে, ধীরে ধীরে সেই গল্পগুলোও আশা করি বলা হবে। আর আপনি কিভাবে এই কার্যক্রমের সাথে যুক্ত হবেন সেটা নিয়ে শিগগিরই আরেকটা নোট লিখে ফেলব! (আমি ধরেই নিচ্ছি আপনি আগ্রহী হয়ে উঠবেন!! খাইছে) আর এপর্যন্ত আমাদের বেশিরভাগ কাজই সম্পন্ন হচ্ছে 'বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি' আর 'বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি'র ছত্রছায়ায়!!! তাই আপনি চাইলে সরাসরি আমাদের এই দুটি প্রতিষ্ঠিত প্ল্যাটফর্মের সাথেও কাজ করা শুরু করে দিতে পারেন! হাসি }

- অন্যরকম ধ্রুব

ছবি: 
08/24/2007 - 2:03পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

চমৎকার উদ্যোগ!
শুভকামনা দূরদেশ থেকে

অমি_বন্যা এর ছবি

আপ্নারদের এই যাত্রা শুভ হোক। শুভকামনা রইলো আপনাদের জন্য। আপনাদের প্রতিটি কাজের পিছনে সেই গল্পগুলো জানাবেন আশাকরছি।

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

সাথে কিছু দিকনির্দেশনা দিলে আরো ভাল হয়। আর সবচেয়ে ভাল হয় উদ্যোগের বিভিন্ন দিকের সমালোচনা করলে!!! হাসি

ধ্রুব

হিমু এর ছবি

আপনাদের ওয়েবসাইটে ভাইরাসের কথা বলছেন একজন। এ ব্যাপারে আপনাদের কাছ থেকে নিশ্চিত তথ্য পেলে ওয়েবসাইটের ঠিকানাটা আপাতত সরিয়ে রাখা যেতে পারে (সাইট ঠিক না হওয়া পর্যন্ত)।

কিছু আইডিয়া নিয়ে পরে মন্তব্য করছি।

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

এই বিষয়ে আমার অজ্ঞতা স্বীকার করে নিচ্ছি। আর অনাকাঙ্ক্ষিত এই সমস্যার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি! লিঙ্কটা আপাতত ডেড করে রাখলেই মনে হয় ভাল হয়। মন খারাপ
আর আইডিয়ার সমালোচনা সত্যিই দরকার। নয়তো পারফেকশানের দিকে আগানো যাবেনা। খাইছে

হিমু এর ছবি

১. আপনাদের অনুমিতি হচ্ছে বোর্ডের বইয়ে কিছু পরিবেশনাগত ত্রুটি আছে, যা আপনারা সংশোধন করে "প্যারালেল টেক্সট" তৈরি করছেন নিজেদের উদ্যোগে। এই বিকল্প বই কি অনলাইনে রাখছেন আপনারা? খুব ভালো হতো যদি পিডিয়েফ করে কোথাও আপ করে রাখতে পারতেন।

গণিত নিয়ে স্কুলছাত্রদের উদ্দেশ করে নির্মিত একটি ওয়েবসাইটে দেখেছিলাম শুরুতেই অয়লারের কোয়নিগসবের্গের সাত সেতু নিয়ে লেখা একটি পোস্ট। গ্রাফ থিওরির জন্যে এ ধরনের সমস্যা বেশ চিত্তাকর্ষক, কিন্তু একজন স্কুলপড়ুয়া ছাত্র গ্রাফ থিওরি না বুঝলেও কোনো সমস্যা নেই (বুঝলেও কোনো সমস্যা নেই)। যিনি লিখছেন, গণিতের প্রতি তাঁর নিশ্চয়ই আগ্রহ আছে, এবং তিনি হয়তো মনে করছেন এ ব্যাপারে আরেকটু কম বয়স থেকে জানলে স্কুলপড়ুয়াদের জন্যেই আখেরে ভালো হবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত গ্রাফ থিওরি ঠিক স্কুলপাঠ্য বিষয় নয়। আপনারা যারা বোর্ডের বই "ঠিকঠাক" করছেন, তারা এ ধরনের কিছু যোগ করছেন কি না, সেটা যদি কেউ জানতে চান, তাহলে যাতে সহজে ওয়েবসাইট থেকেই দেখে নিতে পারেন, সেজন্যে এই অনুরোধ করছি।

২. এটা খুব, খুব, খুবই কাজে আসতে পারে। ক্লাস সিক্সে আমাদের বিজ্ঞান বইতে লেখা ছিলো, এনোফিলিস মশা ভূমির সাথে পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি কোণ করে বসে, আর কিউলেক্স মশা বসে ভূমির সমান্তরালে। আমরা তখনও ভাসাভাসা জ্যামিতি শিখেছি, আমার মাথায় আর কিছুতেই ঢুকলো না এই পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রী কোণ কোন বিজ্ঞানী কীভাবে মাপলো, আর মশাটাই সেই মাপামাপি কীভাবে অ্যালাও করলো। ক্লাস টেনে উঠে জিনিসটা নিজে হাতে কলমে মেপে দেখে সাংঘাতিক আনন্দ পেয়েছিলাম। কীভাবে মাপলাম সেটা আপাতত না বলি। এক্সপেরিমেন্টের আনন্দবঞ্চিত বিজ্ঞানশিক্ষা একটা চরম প্রতারণা, আপনাদের এই উদ্যোগ একটা ভালো সাড়া পাবে বলে মনে করি এবং আশা করি।

৩. বাংলাদেশের প্রত্যেক এলাকাতেই নিজস্ব কিছু "সমস্যা" থাকে। সেটা সুপেয় পানি নিয়ে হতে পারে, জলাবদ্ধতা হতে পারে, মশার উৎপাত থেকে শুরু করে অনেক কিছু হতে পারে। মানুষ নিজের প্রতিবেশের সাথে শিক্ষার যোগসূত্র খুঁজে না পেলে শেষ পর্যন্ত শিক্ষায় ত্রুটি থেকেই যায়। আপনারা আপনাদের বিকল্প টেক্সট আর এক্সপেরিমেন্টাল সেটআপ নিয়ে যখন বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করে যাবেন, স্কুলপড়ুয়াদের কি এই সমস্যাগুলোর ব্যাপারে এনগেজ করানো সম্ভব হবে? আপনারা একটা ওয়েবসাইট যেহেতু তৈরি করছেন, তাদের সমস্যাগুলোর কথা সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বহুর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে, এবং ক্রাউডসোর্সড সমাধানও হয়তো পাওয়া যাবে। মৃদু ইনসেনটিভ যদি চালু করা যায়, স্কুলপড়ুয়ারা নিজেরা একে অন্যের সমস্যার সমাধান করা নিয়ে মাথা ঘামাবে। আমার কাছে এই চর্চাটাকে বিজ্ঞান মেলার চেয়ে বেশি কার্যকর মনে হয়।

৪. বাংলাদেশে বিজ্ঞান নিয়ে সক্রিয়তার প্রসঙ্গ উঠলে এখন শুধু গণিত, কম্পিউটিং আর মহাকাশ নিয়ে সক্রিয়তার কথা শোনা যায়। আমি এগুলোকে কোনোভাবেই খাটো করছি না, শুধু বলছি, আমাদের দেশে সামনে বড় সমস্যা হবে পরিবেশ আর জীববৈচিত্র্য নিয়ে। আমরা এই ব্যাপারটাকে পাঠ্যক্রমে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছি, আমি জানি না, কিন্তু আমি যখন স্কুলে পড়তাম, তখন পাঠ্যসূচি আমাকে আমার চারপাশের গাছপালা, পোকামাকড়, পশুপাখি নিয়ে তেমন কিছুই শেখায়নি। যারা ঢাকা শহরে বড় হচ্ছে, তাদের সে সুযোগ আরো কম। কিন্তু ঢাকার বাইরে বাচ্চাদের এখনও একটা সুযোগ আছে। আপনারা কি আপনাদের কার্যক্রমে পরিবেশশিক্ষাকেও একটা ননক্রেডিট মডিউল হিসেবে যোগ করার কথা ভেবে দেখবেন? প্রয়োজনে দ্বিজেন শর্মা স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, আমার বিশ্বাস তিনি অত্যন্ত আগ্রহের সাথে আপনাদের সাহায্য করবেন এ ব্যাপারে।

আরো চিন্তা এলে যোগ করে যাবো। আপনাদের এই উদ্যোগ দেখে খুব ভালো লাগছে।

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

১) সাইটে আমাদের টেক্সট এবং ভিডিও ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে। একসাথে কিছু লেখা তৈরি হয়ে গেলে নেটে আপলোড করা শুরু করে দেব। তবে থিওরীর কাজে আমরা এখনও আঁতুড় ঘর থেকে বেরোতে পারিনি!!! মন খারাপ

২) বাচ্চাদের জন্য জিনিসপত্র বানাতে গিয়ে আমি নিজেই যে কি ভীষণ মজা পাচ্ছি! অনেক কিছুই স্কুলে থাকতে বই পড়ে চলে আসছি, এখন বসে বসে এক্সপেরিমেন্ট করে দেখছি!! দেঁতো হাসি আশা করি ওদের সাথে এই আনন্দটা ছড়িয়ে দিতে পারবো।

৩) আমরা কিছুদিন আগে বুয়েটে একটা কাজ করেছিলাম - "প্রোজেক্টঃ নাল পিরান' নামে। সেটার পরের ফেজ শুরু করার ইচ্ছা ছিল কোন একটা গ্রাম সিলেক্ট করে। ইচ্ছা ছিল সেখানকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পরিবেশ এসব নিয়ে ভার্সিটি স্টুডেন্টরাই কাজ করবে, কাজ করবে বেকারত্ব, দারিদ্র্য নিয়েও, কাজ করবে গ্রামটার সার্বিক উন্নয়নের জন্য। কিন্তু আমাদের সাধ্যের সাথে সাধের মিল হয়নি! এবং সেকেন্ড ফেজ একঅর্থে ব্যর্থ হয়েছে বলা যায়। কিন্তু 'শিক্ষা'র কাজে কুষ্টিয়ার চরাঞ্চলে গিয়ে ইচ্ছাটা আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। দেখি এবারে কিছু করতে পারি কিনা! হাসি
আর ক্রাউডসোর্সড সমাধানের বিষয়টা আমাকে সবসময়ই টানে! বিনা পরিশ্রমে অনেকগুলো মানুষের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানও যায়! (ইন ফ্যাক্ট ব্লগে লেখা দেয়ার পেছনে এটা একটা বড় কারণ! চোখ টিপি )

৪) অনেকগুলো স্বপ্ন আছে ভাইয়া, অনেক! তবে গণিত অলিম্পিয়াড আমাদের গণিত নিয়ে কাজ করার জন্য খুবই ইফেক্টিভ একটা প্ল্যাটফর্ম বানিয়ে দিয়েছে, তাই আমরা আপাতত সেটার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বিজ্ঞান নিয়ে কাজ শুরু করছি। অথচ আমার নিজের ইচ্ছামতো কাজ করার সুযোগ পেলে বাচ্চাদের ধরে ধরে প্রাচীন ইতিহাস পড়াতাম! (জানি একদিন পড়ানোর সুযোগ পাবও!) দেখি কতখানি আগাতে পারি।

সত্যি বলতে আমরা নিজ নিজ অবস্থা থেকে যদি ছোট ছোট সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেই, তবে পরিবর্তন আনাটা মোটেও অলীক কল্পনা মনে হবেনা!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সাবাশ !! দৌড়াক এই কার্যক্রম।

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

সুহান ভাই, ট্র্যাকে চলে আসেন না!!! একসাথে দৌড়ানো যাক!!! দেঁতো হাসি

এবিএম এর ছবি

অসাধারন একটা আইডিয়া। তোমরা সফল হও। চলুক
এই দেশটাকে বদলানোর জন্য এরকম একটা আইডিয়া দরকার ছিল। আমাদের সাপোর্ট থাকবে সবসময়। আর আমরা কে কিভাবে সাহায্য করতে পারি, সেটা নিয়ে ও কিছু লিখো। অপেক্ষায় থাকলাম। হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চমৎকার উদ্যোগ। প্রতিবন্ধকতার সময়টুকুতে হাল ছাড়া যাবে না শুধু।

বুদ্ধিবৃত্তিক কাজটুকু বাস্তবায়ন করা সহজেই যাবে। সমস্যা হবে প্রয়োগ করতে গিয়ে বা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে। তবে যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিশ্বাস হৃদয়ে, দেখা হবে বিজয়ে.......


_____________________
Give Her Freedom!

অতিথি লেখক এর ছবি

উত্তম জাঝা! চলুক

সৌরভ কবীর

অতিথি লেখক এর ছবি

বিজ্ঞান শিক্ষার প্রয়োজন ঘরে ঘরে। এর কোন বিকল্প নেই।
আপনাদের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

মোঃ নাজমুন নূর

অতিথি লেখক এর ছবি

অত্যন্ত ভালো একটা উদ্যোগ । আশা করছি সরকার ও এই বিষয়ে মনোযোগ দিবে।

সজল এর ছবি

দারুণ উদ্যোগ। কোনভাবে কাজে আসতে পারলে জানাবেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

টেক্সট বই নিজেদের মত সাজানোর ধারণাটা বৈপ্লবিক, কিন্তু সাথে মনে হয় কারিকুলাম এবং শিক্ষা বিশেষজ্ঞ কাউকে রাখলে ভালো। তা নাহলে আমাদের মনের মত বই সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মনের মত নাও হতে পারে।

[অফ টপিকঃ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির প্রথম মিটিং এ আমি ছিলাম। ওইদিন প্রস্তাব দিয়েছিলাম, "কিছু প্রজেক্ট নিয়ে সুবিধাবঞ্চিত গ্রামের স্কুলগুলোতে ডেমনস্ট্রেট করতে গেলে কেমন হয়?"। মুনির ভাই আমাকে "আমরা বাম রাজনীতি/বিপ্লব করতে আসি নাই" এই রকম কিছু একটা বলে থামিয়ে দিয়েছিলেন। শুধু ঢাকার স্কুলগুলোর সীমানা থেকে বেরোনোর কথা শুনে যুগপত অবাক ও খুশি হলাম।]

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

শিশিরকণা এর ছবি

খুব ভালো উদ্যোগ!। ওয়েবসাইটটা তাড়াতাড়ি চালু হোক, আর নিয়মিত আপডেটেড থাকুক। গ্রামের বাচ্চাদের জন্য বিজ্ঞান এক্সপেরিমেন্টের ব্যাবস্থা করাটা খুবই ভালো আইডিয়া। প্যারালেল টেক্সট এর বই গুলো এমন হওয়া উচিত যাতে সেখানে হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন জিনিস দিয়ে পরীক্ষা করার উপায় ব্যখ্যা করা থাকে,।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

মরুদ্যান এর ছবি

হাততালি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

চমৎকার উদ্যোগ। সফলতা কামনা করছি। হাসি

স্পর্শ এর ছবি

দারুণ উদ্যোগ! এমন একটা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সেচ্ছাসেবা নেটওয়ার্ক তৈরি হয়ে গেলে কী যুগান্তকারী একটা ব্যপার যে হয়ে যাবে!
নানান কারণে (সেশন জ্যাম... ইত্যাদি) আমাদের ছেলে মেয়েদের হাতে অনেক সময় থাকে। অনেকেই তাই আগ্রহী হবে নিশ্চয়ই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

তানভীর এর ছবি

ভালো উদ্যোগ চলুক

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

দেঁতো হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার উদ্যোগ... চলুক

কড়িকাঠুরে

অতিথি লেখক এর ছবি

ভীষণ আশা জাগানো একটা উদ্যোগ। আপনারা মফঃস্বলের ছেলেমেয়েদের কথা ভাবছেন। সবাই মিলে এরকম একটু একটু করে উদ্যোগ নিলে এতদিনে আমরা অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ফেলতাম।

কয়েকটি বিষয়ে মন্তব্য না রেখে পারছিনা। (আপনাদের এই উদ্যোগ যদি পাঠ্যবইয়ের বাইরে বাচ্চাদের জন্য শিক্ষা সচেতনতামূলক/ আনন্দদায়ক/ কৌতূহলোদ্দীপক কিছু হয়, তবে আমার নীচের অনেক বক্তব্যই এই আলোচনার সাথে যাবে না। )

১। আপনারা প্যারালাল টেক্সট- এর কথা বলছেন। পাঠ্যবইকে বাস্তব উপযোগী আর আনন্দদায়ক করে তুলতে পারলে তা একটা বিরাট কাজ হবে। কিন্তু প্যারালাল টেক্সটটি মূল বইটির থেকে একটু বেশি আলাদা হয়ে গেলে (আমি ঠিক জানিনা মূল বইয়ের পাঠ্যসূচি কতোটুকু এবং কিভাবে আপনারা অনুসরণ করতে চাচ্ছেন) বাচ্চাদের পরীক্ষার সময় সমস্যা হতে পারে। পরীক্ষার বৈতরণী পার হবার ইদুর দৌড় থেকে বাচ্চাদের আমরা খুব দূরে রাখতে পারছিনা। ওদের, বিশেষ করে মফঃস্বলের বাচ্চাদের জন্য এটি বড় সমস্যা। ধারণা করছি, এবিষয়ে আপনারা ভেবে রেখেছেন আগেই।

২। ইন্সট্রুমেন্টাল টীমের কাজ খুব আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে। এইরকম কিছু সেটআপ দাড় করাতে পারলে ‘’মফঃস্বলের’’ বাচ্চাদের বিজ্ঞান ভীতি কিছুটা কমবে বলে ধারণা করি। মফঃস্বলের বিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার হার খুবই হতাশাজনক। লালমনিরহাট আপনাদের একটা টার্গেট এরিয়া। এই জেলার বিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ১০ ভাগের বেশি হবে বলে মনে হয় না(একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের বিদ্যালয়গুলোর নবম দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান/বানিজ্য/ মানবিক অনুপাত হিসেবে বললাম)। অনেক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের ভালো শিক্ষক নেই। কিছু বিজ্ঞান পরীক্ষার উপকরণ হয়তো বিদ্যালয়ে আছে, কিন্তু সেগুলো কেউ ব্যবহার করতে আগ্রহী নয়। কাজেই নতুন ধরণের উপকরণ পেলে বাচ্চারা তাতে আগ্রহী হয়ে উঠবে ধরে নেয়া যায়।

৩। ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে সকল কার্যক্রম তুলে ধরার ধারণাটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। তবে এক্ষেত্রে আমি বলব, ওয়েবসাইটের পুরো সুফল পেতে আমাদের আরও বেশকিছু বছর অপেক্ষা করতে হবে। বড় বা মাঝারি শহরের বিদ্যালয়ে ওয়েবসাইট এখনই কাজে লাগানো যেতে পারে। তবে একটু দূরে, মফঃস্বলের বিদ্যালয়ে, যে বিদ্যালয়গুলোকেই বেশি সহযোগিতা করা দরকার বলে মনে হচ্ছে, এখনো তথ্য প্রবাহ পৌঁছায়নি। লালমনিরহাটেরই একাধিক বিদ্যালয়ে নতুন কেনা কম্পিউটার বাক্স বন্দি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে আমি আশাবাদী এই ভেবে যে একবার বাচ্চাদের ভেতর আগ্রহ তৈরি করে ফেলতে পারলে ওরা নিজেরাই তখন ভালো সব কিছু খুঁজে নেবে।

৪। লালমনিরহাটের ২০৩ টার মত উচ্চ বিদ্যালয় আছে(তথ্যবাতায়ন থেকে নেয়া)। এর ভেতর ২০টা স্কুলে দুরশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করলে ১০ ভাগ বিদ্যালয় এর আওতায় আসবে। আশা করছি অদূরভবিষ্যতে বাকি বিদ্যালয়গুলোও আপনাদের এই উদ্যোগের সুফল পাবে। আপনাদের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

-----------------
পথিক পরাণ

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

উঁহু! আমাদের প্রধান টার্গেট প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাকে সাপ্লিমেন্ট করা।

১) আমরা পুরোপুরি সিলেবাসের ভেতরে থাকতে আগ্রহী। যেন প্যারালাল টেক্সট পড়লেই তার পরীক্ষায় উত্তর করতে পারে। এটা আমাদের লেখকদের সবার প্রথমেই বলে দেয়া হয়। অবশ্য প্যারালাল টেক্সট প্রাথমিক কিছু সাফল্য পেলে অ্যাডভান্সদের জন্য প্যারালাল টেক্সট বানানোর ইচ্ছা আছে। কিন্তু এখন সেটা আমাদের কার্যক্রমের মধ্যে নাই।
তবে "রামানুজন গণিত সংঘ' গণিতের অ্যাডভান্সডদের জন্য একটা কন্টেন্ট তৈরির কাজ করছে।

২) কয়েকটা জায়াগায় আমাদের কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা আসলেই আশাবাদী। বাচ্চারা হাতেকলমে শেখার সুযোগ দিলে আসলেই মজা করে বিজ্ঞান শিখতে চায়!!! দেখি তাদের আগ্রহ বাড়াতে আমরা কতটুকু অবদান রাখতে পারি।

৩) আগামী পাঁচ বছরে ওয়েবসাইট 'অনেক' কাজে লাগবে বলে আমরাই চিন্তা করছিনা!!! শয়তানী হাসি তবে ইন্টারনেট অ্যাভাইলেবল হতে হতে আমরা আমাদের প্রস্তুতির কাজটা শেষ করে ফেলতে চাই। যেন তখন আমাদের নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগানোর উপযোগী হয়ে উঠতে বেশি সময় না দেয়া লাগে।

৪) ৪০টা বাচ্চার মধ্যে থেকে যদি ৪টা বাচ্চাও পরবর্তীতে নিজেদের এলাকায় কাজ করে, সেটাও বিশাল বড় একটা প্রাপ্তি হবে কিন্তু! হাসি

আর আপনার ম্যামথ কমেন্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ! হাসি

ধ্রুব

Anik Samiur Rahman এর ছবি

বি ডি ও এস এন ঠিক একি রকম কিছু উদ্দোগ নিয়েছে, প্লিস যোগাযোগ রাখবেন, http://www.bdosn.org/
বি ডি ও এস এন সম্পর্কে জানেন নিশ্চই, মুনির হাসান স্যার, জাফর ইকবাল স্যাররা আছে এর দায়িত্বে। তাঁদের একটা নতুন প্রজেক্ট হল মফস্বল ও গ্রামের ৬-৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষা নিয়ে কাজ করা, কেননা এই জুনিয়র লেভেলের পরেই সাবজেক্ট চয়েস করতে হয়, তাই তাঁরা শুরু করছেন জুনিয়র লেভেলের শীক্ষার্থীদের নিয়ে, যাতে বিজ্ঞান শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পায়।

এছাড়া গণিত অলিম্পিয়াড কমিটিও কিছু প্যারালাল ম্যাথ স্কুল প্রোগ্রাম চালাচ্ছে বেশ কিছু জেলা সদরে। সাথে যোগ করবো, সদ্য শুরু হওয়া জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াড কমিটিও প্যারালাল বায়োলজি স্কুল পরিচালনা শুরু করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে, আমি যার সাথে যুক্ত। আমার মনে হয় এই প্যারালাল শিক্ষা প্রোগ্রাম গুলির নিজেদের মধ্যে ঐক্য আর সমন্বয় থাকা খুব জরুরি, তাই জানালাম। তাছাড়া জীববিজ্ঞান বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথেও আমি যুক্ত হতে চাই, যেহেতু প্যারালাল বায়োলজি স্কুলের কাজের সাথে এগুলো মিলে যায়(উদ্দেশ্য আর বেশ কিছুটা কর্ম পদ্ধতি নিয়েও)। প্লিস যোগাযোগ রাখবেন।
-অনীক সামীউর রহমান
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

এই উদ্যোগটার কথাই মুনির হাসান 'শিক্ষা কার্যক্রম' হিসেবে উনার শেষ কয়েকদিনের স্ট্যাটাস-নোটে উল্লেখ করেছেন! হাসি :) হাসি আপনি আগে থেকেই জানেন বলে আনন্দ পেলাম!

তবে BdOSN না, মূলত 'বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি' এই উদ্যোগটার সাথে জড়িত! আমরা তাদের সাথেই সমন্বিতভাবে কাজ করছি। অবশ্য 'বাবিজস' এর কর্তাব্যক্তিও সেই মুজাই, ফারসীম মান্নান, মুনির হাসান স্যাররাই! দেঁতো হাসি আমার লেখায় কার্যক্রমের দিকে ফোকাসটা বেশি ছিল বলে পেছনের ব্যক্তিবর্গের কথা উঠে আসেনি। আশা করি, আমার বক্তব্যের অস্পষ্টতা দূর হবে! হাসি
(অবশ্য আমাদের 'শিক্ষা'র বেশিরভাগ মিটিং ওএসএন অফিসেই হয় তো, সেজন্যও অ্যাপারেন্টলি একে BdOSN এর কাজ মনে হতে পারে!!! চাল্লু )

সৌমিত্রদার সাথে অনেকদিন অনেকদিন দেখা হয়না, দেখা হলে আলাপ করার ইচ্ছা আছে বায়োলজি নিয়ে। আপাতত মেডিক্যালের কিছু বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষী আর বুয়েটের "মেডিক্যালে চান্স পাওয়া'দের দিয়ে বায়োলজির দিকটা সামলাচ্ছি। আপনারা যোগ দিলে সেটা অনেক বেশি এনরিচ হবে। হাসি আর ইন্ডিভিজুয়ালি আপনার আগ্রহের কথা মুনির হাসান স্যারকে মেইল করে দিতে পারেন। আমরা খুব চাইছি এই বন্ধে ঢাকা ভার্সিটির স্টুডেন্টদের 'শিক্ষা'র কাজে পেতে।

আর আপনি ওএসএন অফিসে আসেন নাকি মাঝেমাঝে?! এই মঙ্গলবার চলে আসতে পারেন! পুরি-পেঁয়াজুসহ একটা আড্ডা হয়ে যাবে। সাথে বুধবার মানিকগঞ্জ যাচ্ছি, সেটা নিয়েও আলাপ করা যাবে!!! দেঁতো হাসি

গৌতম এর ছবি

এরকম উদ্যোগের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা। দুয়েকটি মতামত দিচ্ছি-

- প্যারালাল টেক্সটের বদলে বইয়ের কনটেন্ট এবং সিলেবাস 'যথাযথকরণ', 'আকর্ষণীয়করণ' এবং 'সহজীকরণ' করা দরকার। প্যারালাল টেক্সটে (যদি সেটা বইতে না থাকে) শিক্ষার্থীরা সাময়িক আগ্রহী হলেও পরীক্ষানির্ভর পড়াশুনার কারণে পরবর্তী সময়ে তাদেরকে পাওয়া যাবে না।

- এই কাজে আপনাদের স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি স্থানীয় তরুণদের জোরালোভাবে যুক্ত করতে হবে যাতে স্বেচ্ছাসেবকদের অনুপস্থিতিতে তারা কাজগুলো ঠিকমতো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি এক-দুবছর পর বর্তমান শিক্ষার্থীদের যাতে রিসোর্স পার্সন হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সেই পরিকল্পনাও শুরুতে রাখা প্রয়োজন।

- আপনাদের ওয়েব সাইটের পাশাপাশি প্রয়োজনে www.bdeduarticle.comwww.bn.bdeduarticle.com সাইট দুটোকেও প্রচারণার কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

- কোনো প্রয়োজনে আমাকে কাজে লাগাতে পারেন। আমি শিক্ষা নিয়ে টুকটাক কাজ করি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

বোর্ডের বই বা সিলেবাস - কোনটাই মোডিফাই করার অথরিটি তো আমরা পাবনা, তাই 'ঠিকঠাক' করার কাজটাই করছি। মানে 'যথাযথকরণ', 'আকর্ষণীয়করণ' এবং 'সহজীকরণ' এর চেষ্টাতেই আছি। আর সেই লেখাগুলো তৈরি হচ্ছে পুরোপুরি সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে, যেন সেটা পড়েই পরীক্ষায় বসা যায়।

লোকাল অর্গানাইজার আর ট্রেইনার বানানোটা আমাদের অন্যতম প্রধান টার্গেট। আশা করি আমাদের নিজেদের প্রতুতি পর্বটা ভালমতো পার হয়ে গেলে এ কাজটাতেও হাত লাগাতে পারব।

আর আপনার দেয়া সাইট দুটা দেখা শুরু করলাম। সচলে শিক্ষা ক্যাটেগরিতে দেয়া আপনার কটা লেখা আগেই পড়েছি!! হাসি

shikkha_bd@yahoo.com এই মেইলটার মাধ্যমে আপনি যেকোনো সময় আমাদের সহায়তা করতে পারেন!

ধ্রুব
________________________________________________________________________

আমরা জানি আমরা চাইলেই পারি!

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

সবার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনারা যদি কোনভাবে আমাদের সহায়তা করতে চান, সেটা আইডিয়া দিয়ে হোক বা সময় দিয়ে হোক বা একই সেক্টরে কাজ করছে এমন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ স্থাপনে সহযগিতার মাধ্যমে হোক, আমাদের

এই মেইল আইডিতে জানাতে পারেন।

আর আমি বিশেষভাবে অনুরোধ - সচলে অনেক অসাধারণ লেখক আছেন যারা চাইলেই বাচ্চাদের উপযোগী অসাধারণ সব লেখা লিখে ফেলতে পারেন। আপনারা প্লিজ এগিয়ে আসুন আপনার লেখনীর শক্তি নিয়ে। আপনার দশ মিনিটে লেখা একটা আর্টিকেল অসংখ্য শিশুকে আগ্রহী করে তুলতে পারে বিজ্ঞানের প্রতি, পড়ালেখার প্রতি। একটু কষ্ট করে ঢুঁ মারুন এনসিটিবির সাইটে, সেখানে সব বইয়ের পিডিএফ ভার্সন আছে। সেখান থেকে যে বইয়ের যে টপিকটা নিয়ে আপনার লিখতে ইচ্ছে হয়, লিখে ফেলুন দু'কলম। এভাবে আমাদের সবার ছোট ছোট অবদান সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান করে ফেলতে পারে আমাদের দেশের প্রধানতম সমস্যাটিকে।

এর জন্য আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে না কোন গোষ্ঠীর দিকে, কোন সরকারের দিকে কিংবা বিদেশী দাতা সংস্থার দিকে। আমাদের নিজেদের সম্মিলিত উদ্যোগই যথেষ্ট।

আমাদের একটা লেখা এককভাবে হয়তো দেশকে বদলে দিবেনা। কিন্তু আমাদের একেকটা লেখা একসাথে তৈরি করতে পারে পরিবর্তনের একটি অসামান্য প্ল্যাটফর্ম।

আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। এখানে আমার অনেকগুলো স্বপ্নের কথা একসাথে বলে ফেললাম, হয়তো অনেকগুলোই অবাস্তব শোনাচ্ছে এখন। তবে আমি একটা কথা খুব বিশ্বাস করি - আমরা চাইলেই পারি।

(আরেকটা কথা - আপনারা যদি লেখা সম্পাদনার কাজে হেল্প করতে চান, তাহলে খুব ভাল হয়।)

ইয়াসির এর ছবি

লেখা সম্পাদনার কাজে অংশ নিতে চাই। দয়া করে আমাকে ইমেইল করুন yasir.arafatঅ্যাটnsn.com এই ঠিকানায়। ফোন নাম্বার দিয়ে দিলে আমি ফোন করব। ধন্যবাদ

Md Mirazul Islam এর ছবি

Dear Bro,
I am very happy to see your innovative activity for the rural students. I can’t bind myself without writing to you about my story. I am a student of DU from a remote village of Magura District. I already take a procession to do some this type of work in our locality (upozela, Mohammadpur). I have founded a organization name VWSC(Voluntary work for social change) with some of my local friends. Our main goal is to make a positive change on education in school and college level, to make them innovative and optimistic. Our activity os going on…….
I think it would be better for VWSC if you can help me about this type of education related voluntary work.
I want to talk to you in details directly, if you can.
Md. Mirazul Islam
DU, Email:mirazul.du.bc@gmail.com
01913726175.

অন্যরকম ধ্রুব এর ছবি

আপনাকে মেইল করেছি। ওখানেই বিস্তারিত কথা বলছি।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এই চমৎকার উদ্যোগের বর্তমান আপডেট কি?

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।