বুয়েটের আহসানউল্লাহ হলে সম্প্রতি রুম নিয়ে অনেক ঘটনা হল। ভার্সিটি বন্ধ করে হল ভ্যাকেন্ট করে দেয়ারও একটা সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পত্রপত্রিকা ব্লগে ঘটনাটা সেভাবে আসেনি, যা এসেছে তাও ভুল তথ্যতে ভরা। অন্য হলের ছাত্র হওয়ার কারণে পুরো ঘটনা মাত্র আজকে জানতে পেরেছি এবং দেরীতে হলেও তা সবাইকে জানাতে চাই।
ঘটনার শুরু এরকম ০৯ ব্যাচের রাতুল ফেসবুকে ছাত্র লীগের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেয়। তখন বুয়েট সদ্য বিলুপ্ত ছাত্রলীগের কমিটির আঠার জন সহসভাপতির সতের নাম্বার জন ০৭ ব্যাচের দেবাশীষ সাহা তাকে ডেকে থ্রেট দেয়। পরে রাতুল থ্রেট দেয়ার ঘটনা ব্লগে বেনামে প্রকাশ করে। দেবাশীষ তখন থেকে রাতুলের ওপর রাগ পুষে রাখে।
পরে রাতুল আর ০৯ ব্যাচের আরও দুজন ছেলে ৪৫১ নাম্বার রুমে অ্যালটমেন্ট পায়। পাঁচ তারিখ রাতে তারা প্রভোস্টের অনুমতি নিয়ে ওই রুমে ওঠে। কিন্তু দেবাশীষ রাত ১০টার দিকে এসে তাদেরকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে। সেই সময় ওই ফ্লোরের ০৯ ব্যাচের সবাই রাতুল আর বাকি দুজন ছেলের পক্ষ নিয়ে কথা বলে। এসময় ০৯ ব্যাচের শাওনের সাথে দেবাশীষের কথা কাটাকাটি হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, দেবাশীষ বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আহমেদের পক্ষের হয়ে আর শাওন সভাপতি মিশু বিশ্বাসের পক্ষের হয়ে রাজনীতি করত। কথা কাটাকাটির সময় মিশু বিশ্বাস ওই জায়গায় উপস্থিত হয়ে সবাইকে রুমে যেতে বলে। সেই সময় যে যার রুমে চলে গেলে মিশু বিশ্বাসও হলের বাইরে চলে যায়। দেবাশীষ তখন অন্য হল থেকে নিজের গ্রুপের ছেলেদের ডেকে আনে। তারা হলের মাঠে চাপাতি, স্টাম্প আর হকিস্টিক নিয়ে অবস্থান নেয়। আর এক ঘন্টার মধ্যে ৪৫১ নাম্বার রুম খালি না করলে শাওনকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এসময় মিশু বিশ্বাসের পক্ষের ছেলেরা চলে আসলে হলের বাইরে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। ওইদিন গভীর রাতেও এঘটনা নিয়ে বিভিন্ন রুমে ভাংচুর চলে।
পরবর্তীতে এঘটনার শেষ হয় বুয়েট ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তকরণের মাধ্যমে। দেবাশীষ আর আহসানউল্লাহ হলের ০৭ ব্যাচের উজ্জ্বল হলের অন্য রুমের সিট নিয়েও বাণিজ্য চালিয়েছে বলে শোনা গেছে। বুয়েটে রাজনীতিটা সাম্প্রতিক সময়ে এত প্রকট ছিল না। কিন্তু এসব রুম নিয়ে বাণিজ্য আর কোন্দল সত্যিই নিন্দার যোগ্য।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
মন্তব্য
রাজনীতি বলতে কি বুঝাইলেন পরিস্কার করলে ভাল।
ছাত্রলীগের কমিটি তো বিলুপ্ত হইছে। তারপরে তাদের কার্যক্রম নিয়া আর কিছু 'শোনা গেছে' ? তাইলে সেইগুলা জানান। আর এই খবর পত্রপত্রিকায় ভালই আসছে। প্রথম আলো, ডেসটিনি, বাংলানিউজ২৪, বাংলাদেশ প্রতিদিন এইসব সার্চ দিয়া পাইলাম। আরেকটা বিষয়, আপনি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী না, জানছেনও ঘটনার কয়েকদিন পরে, আপনার শোনা কথা দিয়া সাজানো, সুতরাং 'খবর' হিসাবে ট্যাগ করার কোনো অর্থ দেখতেছি না এই পোস্টটাকে। কে কারে দেইখা নেয়ার হুমকি দিছে এইসব, আর একই পার্টির দুই দল কোপাকুপি করছে এইসব তুচ্ছ ডিটেইলস জানার প্রয়োজন বোধ করি না। আপনি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির পরও তাদের হম্বিতম্বি মাস্তানি কট্টুক জারি আছে সেইটা নিয়া লিখেন। বাই দা ওয়ে, লেজিটিমেট কমিটি যে একটা ছিল এইটাও আমি সম্প্রতি পত্রিকা মারফত জানলাম। আমি এখনো নিশ্চিত না বুয়েটে অফিসিয়ালি কোনো ছাত্র সংগঠনের কমিটি আছে কিনা।
এই ধরণের পোস্ট পড়লে বুঝা যায়, বুয়েটে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। সরকারী দলের পাণ্ডারা গলায় চিপি দিয়া রাখছে সবাইকে। কিন্তু এইটাও বুঝা যায়, তাদেরকে কেউ উল্টা চিপি দেয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা সোশাল মিডিয়াতে কান্নাকাটি করে। এই কান্নাকাটিতে কিছু হাসিল হবে নারে ভাই। গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের কিছু নাই। জনমত তাদের পক্ষে না। প্রকাশ্যে জড়ো হন, চিপি দেন।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
লগইন করতে ভুলে গেছিলাম
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
কী আর বলব, লেখার চাইতে মন্তব্যই বেশি ক্ষুরধার
আমি শুধু দুটি কথা বলতে চেয়েছিলাম, তাও দেখি আপনি আগেই বলে ফেলেছেন
সবাই প্রকাশ্যে জড়ো হতে পারেনা, তাদের জন্য লেখালেখির রাস্তা খোলা রাখা দরকার।
কেউই প্রকাশ্যে জড়ো হতে পারে না, এইটাও সুলক্ষণ না। লেখালেখির রাস্তা খোলা থাকুক। কিন্তু লেখালেখিকেই একমাত্র ওষুধ ভাবাটা (কেউ ভেবে থাকলে) সমস্যাজনক।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
আমার মনে হয় আমরা কেউই মুখোমুখি দাঁড়ানোর সাহস রাখিনা। যেকোন আন্দোলনে নুর হোসেনরাই আগে প্রাণ দেয়।
---------------------
আমার ফ্লিকার
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
লেখাট হুট করে লেখা এবং এত দ্রুত বর্ণনা করা হয়েছে যেন মুখস্ত বলা হচ্ছে। আরেকটু বিস্তৃত করে লিখলে লেখার প্রতি পাঠকের আগ্রহ বাড়ে।
অনিন্দ্য ভাইয়া আপনার এই কথাটি একদম ঠিক-"এই ধরণের পোস্ট পড়লে বুঝা যায়, বুয়েটে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নাই। সরকারী দলের পাণ্ডারা গলায় চিপি দিয়া রাখছে সবাইকে। কিন্তু এইটাও বুঝা যায়, তাদেরকে কেউ উল্টা চিপি দেয় না।"
আর লেখক প্রতক্ষ্যদর্শী না হলেও এখানে যা বর্ণনা দেওয়া আছে তার কোনটাই ভুল না।
"এই কান্নাকাটিতে কিছু হাসিল হবে নারে ভাই। গুণ্ডাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের কিছু নাই। জনমত তাদের পক্ষে না। প্রকাশ্যে জড়ো হন, চিপি দেন।"
এইখানেও একমত পোষণ করছি , কিন্তু কথা হচ্ছে সব আন্দোলনই কোন না কোন মানুষকে লিড করতে হয়, সেইরকম মানুষের বড়ই অভাব দেখছি। আমার মাঝে এই দক্ষতাটুকু নাই , থাকলে পরে আমি নিজেই দাড়াতাম। কিন্তু কোন আন্দোলন শুরু হলে সেখানে ১০-২০ জন মানুষ যোগ করার ক্ষমতা আমার আছে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ আন্দোলন শুরু করার।
আম্মো বুয়েটের ছাত্র, তয় বুজিনা বুয়েটে কিছু হৈলেই ক্যান সচলে টেস্টিমনি পড়তে থাকে?
বোঝার চেষ্টা করেন।
পিপিদা অন ফায়াআর!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থাউগ্গা, আঁন্নে তো মোনে হয় বুজছেন ভালাই, সেইটাই ইনাফ।
নতুন মন্তব্য করুন