ইদানিং বাজেটে সারপ্রাইস কম থাকে। জনমানুষের অনুভূতিতে ধাক্কা লাগবে এমন কোন প্রস্তাব বাজেটের সাধারনত রাখেন না অর্থমন্ত্রিরা। কারন এই সময়টাতে আমাদের অর্থনীতি বিমূখ মিড়িয়া কিছুটা হলেও অথনীতি বুঝার চেষ্টা করেন।
তবু ভুল করে অনুভূতির লাগার মাত্র এটা গুরুত্বপূর্ন কথা আবুল মাল সাহেব বলে ফেলেছেন। তার ইচ্ছে হয়েছে আমাদের রাস্তাঘাটে চলাফেরার উপর রোড় ট্যাক্স বসানোর। কিন্তু রাজনৈতিক কারনে হইতো খায়েস পূরন হয়নি। দেশটা এখন অর্থমন্ত্রি বা আওয়ামীলীগ সরকারের বাপের তালুক। এই তালুকের প্রজাদের রাস্তা দিয়ে চলতে গেলে তালুকের মালিকদের ট্যাক্স দিতে হবে।
সরকারের কাছে টাকা নাই। সংস্কারের নামে বরাদ্দ কোটি কোটি টাকা আওয়ামীলীগের পোষ্যদের দ্বারা লুটপাট করে, বিটুমিনের বদলে নষ্ট হওয়া মোবিল দিয়ে (সিলেটে নিজের চোখে দেখা) রাস্তা সংস্কার করে, টাকা খাইতে খাইতে, টাকার শর্ট পড়ে গেছে। তাই জানগনের উপর রাস্তাই চলার জন্যে ট্যাক্স লাগবে, আররাম লুঙ্গি।
দ্বিতীয়টা অবশ্য স্যার মুখে বলেন নাই, কাজ বাস্তবায়ন করে ফেলেছেন। এখন থেকে আমাদেরকে কথা বলার জন্য ট্যাক্স দিতে হবে। ট্যাক্স টা আবার উৎসে কর কর্তন। ফাঁকি দেয়ার সুযোগ নাই। মোবাইল কোম্পানিদের কাছ থেকে পৃথিবীর সর্বচ্চো বেশী মুল্যের ট্যাক্স আদায় করে (যা আপনার আমাদের পকেট থেকে গেছে)সরকারের খায়েস মিটে নাই। এখন আপনাকে প্রতি কলে সরকারকে ট্যাক্স দিতে হবে।
চারটা মজার পয়েন্ট বলি। পরে রিলেট করব। নাম্বার এক, কয় দিন আগে, প্রথম আলোতে একটা হেডলাইন পড়েছিলাম। ট্যাক্স প্রদানের হিসেবে বাংলাদেশ ২ কোটিপতির সংখ্যা নাকি মাত্র ২০০০। পয়েন্ট দুই, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে ২ লক্ষ্ লোকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এক কোটি টাকার উপরে আছে। পয়েন্ট তিন, গবেষণাই পাওয়া গেছে আমাদের জিডিপি এর ৩৭% হচ্ছে কালো টাক। চার নাম্বারটা হল, এবার কোন প্রশ্ন ছাড়া যে কোন সময়ের দুর্নীতি দ্বারা আয় করা যে কোন পরিমান অর্থ আপনি সাদা করে নিতে পারবেন।
পয়েন্ট গুলো রিলেট করলে যা হয় তা হলো-
বাংলাদেশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট গুলোতে দুই লক্ষ লোক এর এক কোটি এর উপরে টাকা আছে। তার মানে দুই লক্ষ মানুষ বা প্রতিষ্ঠানের এক কোটি টাকা ব্যালেন্স আছে। (খেয়াল করুন এদের সম্পদের পরিমাণ আরো অনেক বেশি, এই কোটি টাকা হচ্ছে জাস্ট এদের ব্যাংক এর ব্যালেন্স। এদের গাড়ী বাড়ী দাম এখানে ধরা নাই)। এই দুই লাখ লোকের মধ্যে মাত্র, ২০০০ লোক দুই কোটি টাকা এর উপরে ক্যাপিটাল গেইন হিসেবে ট্যাক্স দেয়।
সো আমরা যে কালো টাকা কালো টাকা বলে গলা ভাঙ্গিয়ে ফেলি এই ১৯৮,০০০ লোকই মূলত সেই কালো টাকার মালিক। মধ্যবিত্ত ও আর গরিব লোকের কাছে তো টাকাই নাই, কালো টাকা তো দূরের কথা। এই টাকা তাই আজ অর্থনীতির ৩৭% বলে বলা হছে। সরকারের কাছে এদের নাম,
ঠিকানা, হিসাব , অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স সহ সব তথ্য থাকার পরও সরকার এদেরকে না ধরে, আমজনতার উপরে, নিম্ন মধ্যবিত্ত উপরে এখন চাপিয়ে দিছে মোবাইল ফোনের মতো অত্যাবশকীয় খরচের উপর ট্যাক্স।
সরকার এদের কেন ধরাবে না? কারন এরাই সরকারকে প্রতিনিধিত্ব করে। কারন এই ১৯৮০০০ লোকের মধ্যে আছে, আওয়ামীলীগ আর বিএনপি এর আমলে লুটবাটপারি করে, পয়সা কামানো মিনিমাম ৫০ হাজার নেতা/আমলা/ঠিকাদার/কমিশনখোর/মন্ত্রী এমপি/তাদের ভাই ব্রাদার ইত্যাদি। সো এটাই স্বাভাবিক যে বাজেটে সরকার এদের ইন্টারেস্টটাই দেখবে এবং আমজনতার কথা বলার উপর ট্যাক্স বসাবে।
সরি বাজেট ভাবনা দূরে চলে গেলাম।
এই বাজেট এর মূল বৈশিষ্ট্য অর্থনীতি বিমুখ মিডিয়া এর নজর এড়িয়ে গেছে। এড়াই নি। রয়টার্স এর
http://in.reuters.com/article/2012/06/07/bangladesh-budget-idINL3E8H761920120607
এর হেডলাইন ছিল, “ Bangladesh increase spending by 19%,” সরকারের বাৎসরিক খরচ ২০% বেড়ে গেছে শুনলে যেমন লাগে তেমনি প্রথম আলোর হেডলাইন “আশাবাদ বেশি পদক্ষেপ কম” কোন মজেজা আনেনা। কোন জিনিস এর দাম বাড়ল আর দার কমলো সেই গতানুগতিক হাইলাইট করে, আজকের দিনের দায়িত্ব খালাস করছেন, আমাদের চিন্তা চেতনার ইজারদের এই পরত্রিক্তাতি। অন্য পত্রিকা গুলার আলামতও একই রকম। এমন নন কোয়ালিফাইড হেডলাইন হতাশা জনক এবং আমাদের মেইনষ্টীম মিডিয়া অর্থনৈতিক রিপোটিং এর দীনতা নির্দেশ করে।
রয়টার্স হেডলাইনে কিন্তু ফুটে আজকের বিশ্ব অর্থনৈতিক বাস্তবতা। গ্রীক ডুবছে, EU বলে দিয়েছে সরকারকে, খরচ খাতে হবে। নইলে লোন দেবেনা সরকার। সরকার চাইলে টাকা ছাপাতে পারেলা। কারন EUতে আছে সেন্ট্রাল ক্যারেন্সি। গ্রীকরে নামাচ্ছে রাস্তায়, তাদের এই সংকোচন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য। এমন কি ইইউ থেকে গ্রীকদের বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব এসেছে। সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক index আর শেয়ার মার্কেট গুলোও প্রতিদিন পেনডুলামের মত উঠানামা করছে, ইইউ থেকে গ্রীক বের হয়ে গেলে, কি ঘটবে সেই ভয়ে।
বিশ্বের অর্থ গতি নিয়ে চারিদিকে ব্যাপক অস্থিরতা। টিভি খুললে বিল্লেষকদরে বির্মষ মূখ। কেউ নিশ্চিত নয়, ২০১৩ তে কি ঘটবে। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশে চলছে সরকারি অপব্যয় কমানোর প্রতিযোগীতা। কিছু কিছু অর্থনীতিবীদ যদিও বলছেন ব্যয় সংকোচনটা হয়তো পরবর্তীতে ক্ষতির কারন হবে, কিন্তু অপব্যয় কমানো নিয়ে কারো কোন দ্বীমত নাই। বৃটেনের জেমস ক্যমেরনের দন সরকারি খরচ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে, লেবারকে সরিয়ে দিয়েছেন ক্ষমতা থেকে। ক্যমেরনের সরকার ২৫০০o GBP এর উপরে প্রতিটি মিনিস্ট্রিতে যত খরচ হয়, তাকে ওয়েবসাইটে দিয়ে দিতে বলেছেন। যাতে মানুষ দেখতে পারে আমলারা অপচয় করছে কিনা।
পর্তুগাল এবং স্পেন তালমাতাল। গোড়া ডান পন্থী মতবাদ থাকা সত্ত্বেও আমেরিকাতে, টি পার্টি পাচ্ছে ব্যাপক জন সমর্থন, শুধু মাত্র সরকারকে খরচ কমানোর ব্যাপারে প্রেসার ক্রিয়েট করার প্লেটর্ফম হিসেবে।
এদিকে আমাদের অর্থমন্ত্রী এই অস্থিতিশীল এবং দোদূল্যমান বিশ্ব অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সময় সংসদে গত ৬ জুন বাজেট বক্তিতায় ঘোষণা করেছেন,২০১৩ তে বিপর্যয় কেটে যাবে, আমরা ভালো আছি, আমাদের কোন ভয় নাই। ট্যাক্স বাড়াও, খরচ বাড়াও, এক্সপোর্ট এও ট্যাক্স বাড়িয়ে দাও।
সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক স্থবিরতার এই পরিষ্কার চিহ্ন দেখা সত্ত্বেও, সংসদে দাঁড়িয়ে তার এই নির্লজ্জ আচরণ আমাদের রাজনীতিবিদ দের বাস্তব জ্ঞান এর অভাব, রাজনৈতিক দৌলিয়াত্ত আর মেধার সল্পতাকেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এই হিসেব টা মাথায় রেখে তিনি ১.২ পার্সেন্ট উৎস কর চাপিয়েছেন সব এক্সপোর্ট এর উপর। স্বভাবতই নড়ে চড়ে উঠেছে বিজিএমইএ। আমাদের রপ্তানি সক্ষমতা গেল গেল বলে রব উঠেছে।
যে স্পিরিটে এই কর বৃদ্ধি টা হয়েছে তা হয়ত ভুল। কিন্তু আমি মনে করি, গত এক বছরে আমদের টাকা এর দাম পড়ে যাওয়ার মুখে এই ভুল কারন neya ভুল সিদ্ধান্তটি আসলে প্রয়োজনীয় ছিল। গত এক বছরে টাকা অবমূল্যায়নের কারনে রপ্তানিকারকেরা অনেক বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। এই সুবিধাটা পেয়ে কিন্তু তারা শ্রমিকদের বেতন বাড়াননি। চুপে আরাম টা এনজয় করে গেছেন। তাই এখন সরকারই ভাবে ১.২ পার্সেন্ট কাটা গেলে তাদের বাড়তি প্রোফিট টাতে টান পড়বে, কিন্তু তাদের সক্ষমতাই ব্যাপক আঘাত পড়ে তারা অর্ডার হারাবেন বলে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি না।
আমাদের গার্মেন্টস ওয়ালাদের, দেশকে প্রত্যক্ষ কর হিসেবে কিছু দেয়ার সময়ও চলে এসেছে। পাচ বছর অন্তর, কম্পানি কে লোকসানই দেখিয়ে পাচ বছর পর কম্পানি এর নাম নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করে, ট্যাক্স হলিডে নেয়ার যে অনৈতিক সিস্টেম পুরো গার্মেন্টস সেক্টরে চলছে, তা থেকে বেরিয়ে আনার মত প্রসেস মাল সাহেব করতে পারবেন না। কিন্তু মোটা দাগে কিছুটা ট্যাক্স বাড়িয়ে নিতে তিনি পারবেন। এতে আসলে তেমন কোন ক্ষতি নাই, এই সময়ে।
অনেকই আমরা একটা জিনিস চিন্তা করি না। সেটা হচ্ছে, বাজেট কিন্তু জন মানুষের কোন বিষয় নয়। আমরা ভাবি, আহা আমার দেশের বাজেট। বাস্তবতা হলো, আজকের সম্পূর্ণ রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক সিস্টেম এবং রাষ্টর প্রতিটি স্তম্বই খা’ই খা’ই মাক্সিমাইজ করার একটা যন্ত্রে পরিনত হয়েছে। রাষ্ট্র আর জনগণ এখন দুটো সেপারেট এন্টিটি। এই দুটো এন্টিটি এর ইন্টেরফেস এখন খুবই কম।
আজকের বাংলাদেশে বাজেট হচ্ছে রাষ্ট্রের বাজেট। জনগণের সাথে বাজেট এর সম্পর্ক খুবই কম। কারন বাজেটের কোন খরচ জনগণের কাছে পৌছায় না। পৌছানোর আগেই তা বানরের পিঠা ভাগ করার মত ভাগ হয়ে যায়।
জনগণ ট্যাক্স দেয়। সরকার ওই ট্যাক্স এ বেতন নেয়, পাজেরো কিনে, প্রজেক্ট বানায়, আমলা, আওয়ামীলীগ, কমিশন পার্টিরা মিলে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। জনগণের কোন উপকারে আসে না। তো আজকের বাজেট, শুধু মাত্র সরকার সিস্টেমের বাজেট, জনগণের বাজেট নয়।
আওয়ামীলীগ, এমপি মিনিস্টার,পতি নেতা, বড় নেতা, প্রশাসন, আমলারা পুরো এক বছরে কতো টাকা খাবে বাজেট হচ্ছে তার একটা বাৎসরিক হিসাব।
এই টা মাথায় রেখেই নিচের বিশ্লেষণ
তবুও, এই বাজেট নিয়ে আমাদের কনসার্ন আছে। কারন বাজেট এর টাকা আমাদের পকেট থেকে আসে।
বাজেটের মূল একটা অংশ যায় প্রশাসনিক ব্যয় মেটাতে। এই প্রশাসন এর অনেক টুকুই সম্পূর্ণ প্রয়োজনহীন এবং নন ফাংশনাল, শুধু মাত্র বাজেট টা খেয়ে খাওয়ার জন্যেই এরা থাকে। ব্রিটিশ আমল থেকে এই প্রশাসন এর কোনো সংসার হয়নি। শুধু একটা ছোট্ট এক্সেম্পল দেই। টাংগাইল এ দেখলাম বিশাল বড় তুলা উন্নয়ন বোর্ড। ১০০০ এর উপরে কর্মচারী। বাংলাদেশে তুলা এর উপাদন এতই নেগলিজিবল, এই বোর্ড এর গবেষণা করার প্রয়োজন ২০ বছর আগেই ফুরিয়েছে। এমন হাজারো অপ্রয়োজনীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান এ আমাদের দেশ টা ঠাঁসা।
বাজেট এর একটা বড়ো অংশ থাকে এডিপি, যেটা হচ্ছে জনগণের জন্য নেয়া সরকার এর বিভিন্ন প্রজেক্ট. বর্তমান এডিপি এর মাত্র ১৫% টু ২০% এর সুফল মানুষের কাছে পৌছায়। বাকি সব আওয়ামী লীগ আর সিস্টেম মিলে খেয়ে নেয়। আগে বিএনপি খেতো।
জানার জন্য বাজেটের খাতওয়ারি গ্রাফটা দিলাম কিন্তু। আমি এ নিয়ে কোন বিশ্লেষণে যাবনা।
একটু দেখাই আমাদের টোটাল বাজেটের সাইজটা কেমন। নিচের টেবিল এ আছে
Year 2012-13 2011-12 2010-11
Total Budget in crore taka 191,738 161,213 128,267
একটু খেয়াল করে দেখেন। ২০১০-১১ থেকে বর্তমান বাজেট এর সাইজ বেড়েছে ৬৩৪৭১ কোটি টাকা। এবং পার্সেন্টেইজ হিসেবে প্রায় ৫০% খরচ বেড়েছে। অন্যভাবে বলতে গেলে, মাত্র এক বছর এর ব্যবধানে সরকার তার মতো খরচ ৫০% বাড়িয়ে ফেলেছে। যেখানে বিশ্ব বাস্তবতাই হওয়া উচিৎ ছিলো ব্যয়সংকোচন এবং আপব্যয় বন্ধ কর, সেই যায়গাই সরকার হাসতে হাসতে মোট খরচ ৫০% বেরিয়ে নেয়ার প্ল্যান করেছে মাত্র ১ বছর এর ব্যবধানে। ভয়াবহ ব্যাপার!
আমরা একটু ডিটেইলস এ গিয়ে দেখি এর বৃদ্ধিটা সরকার কোন খাতে করেছে। বাজেট কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়, একটা হচ্ছে অনুৎপাদনশীল আরেকটা হচ্ছে উন্নয়নের জন্যে ব্যয়। যেই টাকে আমরা সবাই এডিপি বলে জানি।
এই পুরো সরকার সিস্টেম, আমলা, কর্মচারী, পুলিশ, আর্মি, মন্ত্রী এমপি বেতন, সরকারি পাজেরো গাড়ি কেনার খরচ, গারি এর তেল এবং আরো বিবিধ বিবিধ সম্পূর্ণ এডমিনিস্ট্রেটিভ এবং অনুৎপাদনশীল খাতে খরচ টা তাকে আমরা বলবো নন ডেভেলপমেন্ট এক্সপেনডিচার। একটু দেখি ওটা।
বছর 2012-13 2011-12 2010-11
Total - Non-Development Expenditure 112,900 102,130 83,723
Developmental Expenditure 56,439 42,364 34,002
2010-11 সাল থেকে 2012-13 সালে কোটি টাকাই পার্সেন্টেইজে
অনুপাদনশীল খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে (কোটি টাকাই) 29,177 34.84
ADP তে খরচ বেড়েছে বাড়িয়েছে 22,437 65.98
এখানে কয়েকটা লক্ষ্যনীয় বিষয়ে। ২০১০/১১ থেকে ২০১২/১৩ সালে, মাত্র ek বছর এর ব্যবধানে অনুপাদনশীল খাতে সরকার খরচ বৃদ্ধি করার প্ল্যান করেছে, প্রায় ত্রিশ হাজার কোটি টাকা??? ওহ মাই গড।
যদি আপনি ধরে নেন, যায়গা জমি সহ এভারেজ একটা পাবলিক ইউনিভার্সিটি করতে সরকার ২০০ কোটি টাকা খরচও হয়। তাহলে এই টাকে দিয়ে ১৫০টি ইউনিভারসিটি করা সম্ভব। এটা একটা হিউজ বৃদ্ধি, যেটা একটা কল্যাণ মূখী সরকার এর উচিৎ ছিল নিয়ন্ত্রণ করা। আমরা জানি ২০১০ সাল এর শেষ থেকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কি হুমকির মুখে পড়ছে। এ্ই সময়ে ব্যয় সংকোচন না করে সরকার বেতন ভাতা এবং অন্যান্য খাতে ৩০০০০ কোটি টাকা এর বেশি খরচ বেড়েছে। আমাদের এ নিয়ে অবশ্যই প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।
এডিপি বৃদ্ধি এর বিষয় টা আলাদা। এডিপি তে দরকার দুর্নীতি হ্রাস করা এবং প্রজেক্ট গুলো ঠিক মত হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা। বড় এডিপি দেশের জন্যেই ভালো। সহনীয় দুর্নীতি হলেও আমরা এডিপি বৃদ্ধি তে খুশি হই। কিন্তু আমরা সরকার এর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এ কোনো উন্নতি দেখিনা। আনিসুল হক কিছু দিন আগে লিখেছে, কেমনে পুকুর চুরি এর ধরন পাল্টেছে। ফলে এই এডিপি বৃদ্ধি টা মুলত, আমলা, এমপি অর গ্রাস রুট লেভেল এ আওয়ামী লীগ এর খাস লোকদের পকেটেই গেছে।
আমাদরে দশেরে রাস্তা ঘাটের অবস্থা আমরা জানি। আমাদরে বিভিন্ন সরকার প্রোগ্রামরে এর কথা আমরা জানি যার কার্যত কোন সুফল জনগণ পায় না। এক বছরে এডিপি এর খরচ বেড়েছে ২২,৪৩৭ কোটি টাকা । ৬৫% ইনক্রজি। এই টাকা দিয়ে দুটো পদ্মা ব্রিজ হয়। (১.২ বলিয়িন ইউএসডি হিসেব করে)
আপনার আমার কাছ থকেইে এই লুটপাটরে খরচ টা সরকার আদায় করে নিবে। ওই আলোচনার আগে একটু দেখেনি এই বাজটে এর খাতওয়ারী আয়
সরকার এর প্রথম আদায় করার খাত হল ট্যাক্স। খরচ বেড়েছে তো সরকারকে ট্যাক্স বাড়াতে হবে। তো আমরা একটু কয় বছরের ট্যাক্সটা পর্যালোচনা করে দেখি।
2012-13 (in crore) 2011-12(in crore) 2010-11(in crore)
Total TAX and VAT from all sources 116824 96,285 79,548
Bangladesher jonoshonkha 16 16 16
Jono proti average kor adai 7301 taka 6017 4971
2010-11 theke koti takai bereche 37,276
2010-11 theke percentage e bereche 46.85%
২০১০-১০১১ সালে সরকার পুরো ট্যাক্স নিতো ৭৯,৫৪৮ কোটি টাকা। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে সরকার এখন আপনার উপর প্রত্যক্ষ ভাবে কর বাড়িয়েছে ৩৭,২৭৬ কোটি টাকা। যা আপনাকে সামনের বছরেই পে করতে হবে। এবার উপরে গিয়ে দেখেন সরকার এর অনুতপাদনশীল খাতে, চুরি চামারি এর জন্যে ব্যয় কত বেড়েছে?? ২৯,১৭৭ কোটি টাকা, এবং এডিপি বেড়েছে ২২,৪৩৭ কোটি টাকা। তো এই বাড়তি পুরো টাকা টা কিন্তু সরকার আপনার পকেট থেকে আদায় করে নিচ্ছে।
এর মানে ২০১০-১০১১ সালে আপনি যদি ১০০০ টাকা ট্যাক্স দিতেন এখন আপনি ট্যাক্স দিবেন ১৪৬৮ টাকা। তার মানে বাংলাসেশের মত দরিদ্র দেশে, যেখানে জনশক্তির ৬০% দরিদ্র সীমার নিচে বা দরিদ্র সীমার বর্ডার লাইনে থাকে, এই খানেও সরকার এখন দরিদ্রতম নাগরিকের কাছ থেকে ৭৩০১ টাকা খাওয়ার ধান্ধা করবে ২০১২-২০১৩ সালে। মাফ নাই ভাই। পাচ বছরের জন্য যখন লিজ দিয়াই দিয়েছেন এখন সামলান।
একটা জিনিস খেয়াল রাখবেন, গত কয় বছরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমি একটা ডবল ডিপ রেসিশানে পড়ার লক্ষনের মধ্যে আছে। রেসিশান এর একটা ভালো জিনিস আছে, রেসিশান এর সময় তেল এর দাম কমে। চাল, ডাল সহ অন্য কমোডিটি এবং বেস মেটাল মানে ইস্পাত, কপার, জিঙ্ক এই সব এর দাম কমে। এখনও কিন্তু ওয়ার্ল্ড ইকোনমি ওই কমতি এর মুখে আছেই। তেল এর দাম ১০০ ইউএসডি এর নিচে নেমে আসছে ব্যারেল এ যেটা গত বছর ছিল ১২৬ ইউএসডি এর উপর।
কিন্তু ২০১০ সালে থেকে বাংলাদেশে সব কিছুর দামই হিউজ বেড়েছে,যেটা অস্বাভাবিক। এই হিসেব টা বলে দাম বাড়ার মূল কারন সরকার এর ৪৫% ট্যাক্স ইনক্রিজ। নরমাল ইনফ্লেশান এর কারনে যে দাম বাড়ে, তা এই দাম বাড়ার মূল কারন কিন্তু না। এখন আপনার মোবাইল থেকে নিবে, আরও অনেক রাস্তা বাহির করেছে সরকার। কারন সরকার কিন্তু তার খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনার কাছ থেকে নেয়া ছাড়া উপায় নাই(এখন ধরেন টাক্কুরে)।
ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, এই এভারেজ ট্যাক্স টা আরো বেশি হলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু সেটা আসতে হবে, সেই ২লাখ, এক কোটি টাকা এর উপর একাউন্ট এ টাকা রাখা গোষ্ঠীটার কাছ থেকে। উৎসে কর কেটে, সমস্ত জন গোষ্ঠীকে একটা পানিশমেন্ট দিলে দরিদ্ররা বেশি খতিগ্রস্ত হয়। মোবাইল ফোন এর কথা বলার উপর ২% চার্জ করাটা আমি মনে করি সিমপ্লি ক্রিমিনাল।
সরকার এর কামাই করার আরেকটা বড় রাস্তা আছে। সেটা হল ব্যাংক থেকে লোন করা। এইটা আমরা সবাই জানি। সরকার গত এক বছরে ব্যাংক থেকে লোন নেয়া হঠাৎ বাড়িয়ে দিয়েছে। এইবার বলছে কম নিবে। কম নিবে মানে, ব্যাংক থেকে নিবে না কিন্তু আপনার পকেট থেকে নিবে ট্যাক্স এর মাধ্যমে, কারন সরকার এ যন্ত্র কিন্তু তার নিজের খরচ টা না কমিয়ে বাড়িয়ে নিয়েছে।
একটু দেখে নেই।
(২০০৯ সালের ডাটাটা আমি নিয়েছি ২০১১ এর বাজেট স্পীচ থেকে। এই ডাটাটার সাথে আবার তার আগের সালের বাজেট স্পীচ রের্কড এর ৩০,০০০ কোটি টাকা এর ডেভিয়েশান খুজে পেলাম।
২০১১/১২ এর স্পীচ
http://www.mof.gov.bd/en/budget/11_12/brief/en/st6B.pdf?phpMyAdmin=GqNisTr562C5oxdV%2CEruqlWwoM5&phpMyAdmin=XRGktGpDJ7v31TJLuZ5xtAQmRx9) এ এসে ২০০৯/১০ এর ব্যাংক থেকে লোন ৩৩,১৯৫ কোটি টাকা।
২০১০/১১ এর স্পীচ এসে
http://www.mof.gov.bd/en/budget/10_11/brief/en/st6B.pdf?phpMyAdmin=GqNisTr562C5oxdV%2CEruqlWwoM5 ২০০৯/১০ এর ব্যাংক থেকে লোন ৬৬,৬৮০ কোটি টাকা।
তার মানে ২০১০-১১ এর বাজেট স্পীচ অর্থমন্ত্রী প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকা এর হিসেব লুকিয়েছেন বা না জেনে ভুল হয়েছে। কোনটা ঠিক আল্লাহ্ই জানে। কিন্তু একটু রিসার্চ এই আমাদের অর্থ মন্ত্রনালয়ের বাজেট হিসাবে ৩০,০০০ কোটি টাকা ভুল বের হয়ে যায়। কি লজ্জা! আমরা যেমন মানুষ, তেমন আমাদের নেতা, তেমন আমাদের আমলারা।
আলোচনাই আসি
2012/13 2011/12 2010/11 2009/10
Borrowing from banking system in crore 96,064 80,194 62,880 33,195
যদি লাস্ট ডাটাটাকে কারেক্ট ধরে নেই, তবে দেখেন ২০০৯/১০ সাল থেকে ২০১২-১৩ সালে প্রায় ৬০০০০ কোটি টাকা এর লোন বেশী নিচ্ছে সরকার। এই টা একটা ভয়াবহ, ভয়াবহ, ভয়াবহ bridhi. আমজনতার নীরবতার প্রশ্রয়ে লুটপাত করার জন্য ৯৬০০০ কোটি টাকা এর ঋণ চাপে বসবে এই বছর। ঘোর বিপদ! মিলাদ দেয়া শুরু করেন।
আমাদের সমষ্টিক অর্থনীতিকে একটা অতল গর্ভে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন আমাদেরকে আবুল মাল সাহেব এবং শেখ হাসিনা এর সরকার। হাজারো দুর্নীতি সত্ত্বেও গত বিশ বছরে আমাদের অথনীতির একটা ফাউন্ডেশন ছিলো এবং একটা ধারাবাহিকতা ছিলো। সরকার একটা সুনির্দিষ্ট হারে ঋণ করতো, সুনির্দিষ্ট হারে দুর্নীতি করতো, সুনির্দিষ্ট হারে এডিপি করতো।
গার্মেন্টস এর শ্রমিকেরা, এর মরুর বুকে চড়ে বেড়ানো লেবার দের ঘাম এর টাকায় অর্থনীতি একটা গতিতে চলছিল। আমাদের রাজনীতিবীদরা যার বেনিফিশারী হয়ে, এই করেছি, অই করেছি গলাবাজি করে গেছেন। বাট গত দুই বছরে সরকার যেনো পাগলের মতো উন্মত্ত হয়ে গেল। সব সিস্টেম ভেঙ্গে যা ইচ্ছা খরচ করলো এবং ২০১২/১৩ বাজেট এ সেই ধারাবাহিকতাই বলগাহিন খরচ এর বাজেট করে রেখেছেন।২০১২/১৩ budget এর নেয়া ঋণ, ২০১০/১১ budget এর পড়েই ৫০%, হিসেব ছাড়া ঋণ করা শুরু করেছেন তার লূটপাট অর্থনীতি এর ব্যয় সংকুলান এর জন্য। ইচ্ছা মতো লক্ষ্য কোটি টাকা এর খরচ করছে সরকার, সম্পর্ণ অনুৎপাদনশীল খাতে কোনো জওবাব ছাড়া। এর দায় আগামী বছর গুলো তে নিতে হবে। এবং অলরেডি নিচ্ছি আমরা।
তাহলে কি চাওয়া উচিত ছিলো এই বাজেট ?
সমালোচনা করা অনেক সহজ। বাংলাদেশ এর মতো দেশে সব সরকারি নুন আনতে পানতা ফুরায় মতো অবস্থা হয়। লোন করতে হয়। এই দেশের বাজেট সব সময় ঘাটতি বাজেট হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাহলে এই ২০১২ / ১৩ এর বাজেট টা কেমন হওয়া উচিত ছিলো।
সরকার যদি সত্যি আয়নায় নিজেকে দেখতে পেতো, বিশ্ব অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশের নাজুক অবস্থা কে এনালাইজ করতো এবং আমাদের অর্থনীতি কে একটু একটা সমূহ বিপর্যয় এর মুখ থেকে নিয়ে আশার প্রয়াস রাখতো তবে গড্ডালিকা প্রবাহে ভেসে থাকা, একটা অক্ষম দুর্নীতিমগ্ন জনপ্রশাসন কে, কলার চেপে ধরে তার লাগামহীন ব্যয় কে কন্ট্রোল করার প্রচেষ্টা এই বাজেট এ থাকা উচিত ছিলো সবার আগে।
এইটা একটা পলিসি ডিসিশন। আমরা এখন ব্যয় সংকোচন করবো। অপব্যয় কমাবো।
বিশ্ব অর্থনীতি এর অবস্থা ভালো নয়, আমাদের রপতানি কমছে, তেল এর দাম বেশী, কুইক রেন্টাল করে ফেলছি না বুঝে, এখন বন্ধ করারো ও উপায় নাই। বিদ্যুৎ লাগবে। এর সব কিছু আওয়ামী লীগহ এর নিজের ভুল এর কারণে হয় নাই, সো এই টা মেনে নিলে তেমন কোনো কবিরা গুনাহ হতো না।
একটা পরিসিলিত আত্মসমালোচনাকারী ছোট বাজেট ছিলো এই দেশের জন্য.অর্থনীতি এর জন্য ছিল সব চেয়ে কাম্য। অপব্যয় কে খোঁজ করে, তাকে খালাস করাই ছিলো সবচেয়ে কমন সেনস ডিসিশন। এই ডিসিশন টা নিতে অর্থনীতিবিদ হয় না। এটা একটা সিম্পল কমন সেনস ডিসিশন।
অর্থ মন্ত্রী এর উচিত ছিল প্রতিটা মন্ত্রী এর সাথে ওয়ান টু ওয়ান মিটিং করে তাদের ডিপার্টমেন্ট এর বাজেট এবং গত তিন বছর এর project গুলো পর্যালোচনা করা, department এর নন adp খরচ কে, মাইক্রস্কপে এর তলাই নিয়ে আসে পাই পাই করে হিসেব নেয়া।। তার আরো উচিৎ ছিল মন্ত্রীদের কে বলা, আপনার ডিপার্টমেন্ট এর ইন ইফিসিয়েন্সি খুঁজে বের করেন। এডিপি বারাবো, বাট নন এডিপি খরচ কমান।
তারা কিভাবে খরচ করেছে গত ৩ বছর এবং তার থেকে কি সুফল এনেছে তা পর্যালোচনা করে,যদি সুফল এসে নাই থাকে তবে ওই খরচ এর যৌক্তিকতা প্রশ্ন করে একটা ব্যাপক অপব্যয় সংকোচন এর প্রয়াস হতে পাতো একজন কমন সেনস ওয়ালা অর্থনীতিবিদ এর প্রধান কর্তব্য। দুর্ভাগ্য আমাদের অর্থ মন্ত্রীর এর সিম্পল কমন সেনস টাই নাই, প্রগতি আর ভীষণ আশা করা তো অনেক দূরের বিষয়।
এই নাজুক বিশ্ব অর্থনৈতিক বাস্তবতায়, তিনি এই দেশকে যুক্তিহীন, মেধাহীন অত্তো বিধ্বংসী একটা গতানুগতিক বাজেট দিয়ে আওয়ামী লীগ সহ পুরো রাজনৈতিক পদ্ধতি এর অযোগ্যতা কে নতুন করে প্রমাণ করেছেন। ছাত্রলীগ গনমূখী বাজেট ঘোষণায়, গুলি ফাটিয়ে মিষ্টি বিতরন করে, এই বাজেট কে স্বাগত জানিয়েছে । বিএনপি গনবিরোধী এই বাজেটকে গণ বিরোধী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে, এবং কমিউনিষ্ট পার্টিরা পুঁজিবাদী বাজেটকে প্রত্তাখান করেছে. আর ম্যাংগো পিপল ঘুমিয়ে আছে, বুঝতে পারছেনা, কি বাশ তাদের দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ এর এই গন্ড মুখ অর্থমন্ত্রী।
আর্মচেয়ার ইকনমিস্ট
মন্তব্য
মোবাইলের বিলের ওপর ২% সারচার্জকে ক্রিমিনাল মনে করেন কেন?
১০০ টাকার কথা বললে ২ টাকা দিবে। মাসে যদি গড়ে ৫০০ টাকার কথা কেউ বলে তার বিল বাড়বে ১০ টাকা। খুব বেশী তো না!
এই মাত্র টিভিতে শুনলাম প্রতি কলের জন্য ১৫ পয়সা করে সারচার্জ কাটবে। একজন দিনে দশটা কল করলে দিনে ১.৫ টাকা দিতে হবে।
চোর ডাকাতরা দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় করবে সেখান থেকে সরকার একটু সারচার্জ নিলেই তো পারে।
ওই প্রশ্নটাই তো পুরো লেখা জুড়ে ব্যাখ্যা করলাম,ব্রাদার
আপনার লেখা একটু অসংলগ্ন, পড়ে মনে হয় সরকারের সবচেয়ে বড় পাপ মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে চড়াহারে কর আদায় আর মোবাইল বিলের ওপর সারচার্জ আরোপ। আপনি কি সেটাই বলতে চাইছেন?
মোবাইল ফোন অত্যাবশ্যকীয় খরচ এই কথাটা মানতে কষ্ট হচ্ছে। পোস্ট পড়তে কষ্ট হলো খুব, তারপরও এরকম লেখার জন্য ধন্যবাদ। বাজেটের কচকচি নিয়ে (অপেক্ষাকৃত)সোজা ভাষায় লেখা খুব ভালো লাগে।
লেখা টা আসলেই অসংলগ্ন হয়েছে, নইলে লেখার মূল স্পিরিট টা এভাবে পিছ্লে যেতনা।
যেটা বোঝাতে চেয়েছি, তা হলো সারা দুনিয়াতে অর্থনৈতিক মন্দা এর মুখে সরকার খরচ কাট ছাট না করে, এক বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ বাড়িয়েছে। যা দিয়ে ৫ টি পদ্মা সেতু করে সম্ভব।
আরেকটা মূল ইস্যু হলো, ওই খরচ বৃদ্ধি টা সরকার চাপিয়েছে উৎস ট্যাক্স আকারে পুরো জনগণের উপরে। ২০১১ সালে আপনি যদি ১০০০ থেকে ট্যাক্স দিতেন, ২০১২ সালে এসে আপনি দিবেন ১৫০০ থেকে। সরকার এর লুটপাট অর্থনীতি কে সাপোর্ট দেয়ার জন্যে এই ট্যাক্স বৃদ্ধি, আতঙ্ক জনক।
অথচ সরকার ধরতে পারত, ১৯৮০০০ ব্যাংক হিসেব ধারি যাদের একাউনটে ১ কোটি এর উপরে টাকা আছে। সরকার ওদের না ধরে, সরকার যদি সমস্ত জনগণের কথা বলার উপরে source ট্যাক্স আকারে যদি ২% আদায় করে তা হবে অন্যায়।
আপনার আমার গায়ে লাগবেনা, কিন্তু যাদের এয় minimum income threshold এর আসে পাশে, তারা সবাই effected হবে।
আমাদের দেশে economic ডাটা analyse করা খুব কঠিন, কারণ পর্যাপ্ত ডাটা নাই। তাই নিজের মত করে, analyse করে নিতে হয়।
একটু দেখেন
আমাদের population ১৬ কোটি।
Poverty line এর নিচে আছে ৫০% (এইটা unicef ডাটা। বিবিএস ২০১১ সালে এই টাকে ৩২% এ নিয়ে গেছে যেইটা সুপার ভূয়া)
Borderline এ আছে ২০%
তাইলে মোট population এর ৭০% দারিদ্র বা নিম্নবিত্ত।
income দিয়ে মোটামুটি আরামে সংসার চলে যায় ৩০% এর যা হবে ৪.৮ কোটি
দেশের মোট মোবাইল ব্যবহার কারী ৮.৬ কোটি(BTRC এর ডাটা)
তাইলে মোবাইল ব্যবহার করে কিন্তু দরিদ্র ৩.৮ কোটি
আজকে ওই ৩.৮ কোটি হছে, আপনার ড্রাইভর, দরিদ্র রিচকশাওয়ালা, পিওন, শ্রম জিবি মানুষ, এমন কি daily লেবার। যাদের মাসিক আয় ৭০০০ থেকে ৯/১০০০০ টাকা। এই টাকা টা দিয়ে এরা পুরো ফামিলি চালায়। কেমনে চালায় আল্লাই যানে। আবশকিয় কাজে এরা মোবাইল ফোনে বাবহার করে। এদের মোবাইল ফোন এর উপর আরো ২% কর চাপিয়ে দেয়া টা আমার কাছে অন্যায় মনে হয়।
আর ট্যাক্স যে দিছিনা তাত না। ৪৫% corporate ট্যাক্স আছে মোবাইল company এর(publicly listed company এর জন্যে ৩৫%). এইটা সারা পৃথিবী এর highest। এই থেকে টাও তো আমরাই দিছি।
আপনার logic টা বুঝতে পাড়ি, মাত্র ২% টাক্স কেন দিতে পারবেনা ?? এই অতিরিক্ত ৬০,০০০ কোটি টাকা জোগানের জন্যে শুধু মোবাইল তো না আর অনেক কিছু এর উপরেও ট্যাক্স বসিয়েছে, যা নিম্নবিত্তের সাংসারিক খরচে আঘাত করবে। টার সংসার এর foodbusket এবং পুষ্টি তে অল্প হলেও এটার প্রভাব পড়বে।
ওই দরিদ্র দেশে সেটা অমানবিক।
এটি নৈতিক প্রশ্ন, সরকার এর অর্থনৈতিক অদক্ষতা আর লুটপাট কে জোগান দেয়ার জন্যে, সাধারন মানুষের অত্তাবসশকিয় মোবাইল খরচে কেন হাত কেন দেয়া হবে।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।
প্রশ্নমালায় পিছিয়ে যাবেন না আশা করি। আপনার কাছে আরো লেখার প্রত্যাশা করি।
আপনার লেখার শুরুর পয়েন্টটা খুবই ভ্যালিড। কিন্তু আপনি কয়েকটা জিনিস যেভাবে তুলে ধরেছেন, তাতে ব্যাপারটা মোবাইলকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এই যে আপনার ক্ষোভ, করের টাকার অপব্যবহার নিয়ে, এটাই আরো জোরে নাগরিকদের মাঝে উচ্চারিত হওয়া প্রয়োজন, এবং প্রতিটি সরকারি খাতের ব্যয়কে চ্যালেঞ্জ করার মতো বুদ্ধিবৃত্তিক সামর্থ্য আর সক্রিয়তা আমাদের মধ্যে থাকা দরকার। সেটা কেন নেই, আপনাকে ইকোনমিস্ট হিসেবে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।
মোবাইল নিয়ে আপনার লজিকটা আমার কাছে শক্ত মনে হয়নি, কারণ বাংলালিংক (ওরাসকম) আমাদের মার্কেটে ঢোকার আগে যে দরিদ্রদের নিয়ে আপনি এতো চিন্তিত, তাদের মোবাইল ব্যবহারের পেছনে মিনিটপ্রতি পাঁচ থেকে সাত টাকা খরচ হতো। এখন গড়ে সর্বনিম্ন কলরেট মিনিটপ্রতি সত্তর পয়সা (ভুল হলে শুধরে দেবেন)। মোবাইল কোম্পানিগুলো তখনও করের হার নিয়ে কান্নাকাটি করতো, এখনও করে। তারপরও তারা কলরেট কমাতে বাধ্য হয়েছে প্রতিযোগিতার কারণে। আপনি বরং রাগতে পারেন এটা জেনে যে বিউটি পারলারের মতো খাতে মূল্য সংযোজন কর এ বছর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু নিয়ে আপনার জানায় গলদ আছে। পদ্মা সেতুর খরচ ২৯০ কোটি ডলার, আপনি বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণটাকে (১২০ কোটি ডলার) মোট খরচ ধরেছেন।
মোবাইলে ২% সারচার্জ আরোপে আপনি মধ্যবিত্তের ফুড বাস্কেটের কথা ভেবে বিচলিত হচ্ছেন দেখে আমি একটু অবাক হচ্ছি। মধ্যবিত্তের ফুড বাস্কেট এই সারচার্জের কারণে যতো না প্রভাবিত হবে, তারচেয়ে অনেক বেশি প্রভাবিত হবে মূল্যস্ফীতির কারণে। কৃষিতে ভর্তুকি কমিয়ে দেয়া হয়েছে (আমি জানি না আপনি ভর্তুকিকে "অপব্যয়" ভাবনেওয়ালাদের মধ্যে পড়েন কি না), সেটার প্রভাব সরাসরি খাবারের দামের ওপর পড়বে। তেলকেন্দ্রিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পারপেচুয়েট করার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়বে, তখন অন্যান্য আমদানি ব্যয় টাকায় বেড়ে যাবে, সেটার প্রভাব পড়বে আমদানি করা খাবারের দামের ওপর।
আপনি যেভাবে ষোলোকোটি দিয়ে ভাগ দিয়ে করের হিসাব করলেন, সেভাবে হিসাব করলে বাংলাদেশের সবচেয়ে দরিদ্র লোকটাকেও বছরে সাড়ে আটশো ডলারের আয়ের কৃতিত্ব দেয়া যায়, তাকে একটা বিএমডব্লিউয়ের মিলিয়নভাগের এক ভাগ মালিক হিসেবে দেখা যায়। আমাদের করের হার বাড়েনি, বেড়েছে কর আদায়, কারণ বাংলাদেশে কর না দেয়া লোকের সংখ্যা অনেক। তবে করের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর দুর্বৃত্তি হচ্ছে করমুক্ত আয়ের নিম্নসীমা না বাড়ানো (মূল্যস্ফীতির পরেও), আর সর্বনিম্ন করের পরিমাণ দুই হাজার টাকা থেকে তিন হাজার টাকা করে দরিদ্রের ওপর করের বোঝা বেশি চাপানো। আপনি সেটা নিয়ে কিছু বলেননি। আপনার রাগ সবই মোবাইলকেন্দ্রিক।
আপনি কি কোনো মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত? ব্যক্তিগত প্রশ্ন, উত্তর দেয়ার বাধ্যবাধকতা আপনার নেই, মনক্ষুণ্ন হয়ে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করে রাখছি আগাম।
আপনার প্রথম পয়েন্টের সাথে আমি একমত। সরকারের এখন এবং সবসময়ই উচিত অপটিমাইজশনের দিকে মন দেয়া। তারা সেটা করে না এবং নাগরিকরা সেটা নিয়ে কোনো বড় আউটক্রাই তৈরি করে না বলে চর্চাটা টিকে থাকে। এ পর্যন্ত সরকারী টাকা নয়ছয় করার কারণে কেউ কোনো শাস্তি পেয়েছে বলে কোনো খবর আমার চোখে পড়েনি, কারণ সরকারী কর্তারা এসব ঘটলে কৈফিয়ত হিসেবে "সরল বিশ্বাসে" ফ্রেইজটা ব্যবহার করে পার পেয়ে যায়।
আপনার লেখাটার সাথে আনু মুহাম্মদের এই লেখাটার তুলনা করুন। অর্থনীতি নিয়ে সহজ ভাষায় লেখা বরাবরই প্রত্যাশিত, কিন্তু বক্তব্যটা যেন সহজে বোঝা যায়।
Comment এর ভাল observation এর জন্যে ধন্যবাদ। কিন্তু লেখা টা মোবাইল কেন্দ্রিক হয়ে গেছে কেন বলছেন সত্যি বুঝতে পারছিনা। সরকার এর লাগাম ছাড়া খাই খাই এর হাত থেকে অপরিহার্য মোবাইল ও বাদ যায়নি, এই point টা highlight করার জন্যেই মোবাইল এর প্রসঙ্গ এসেছে কয় একবার। কিন্তু মূল বিষয় হিসেবে নয়। সরকারী ব্যয় আর ট্যাক্স বৃদ্ধি নিয়েই তো বকবক করলাম। চেষ্টা করবো পরবর্তীতে আরো গুছিয়ে লিখতে যাতে ওই রকম সন্দেহ আর না হয়।
টাকা এর দাম কমে যাওয়াতে, import এর খরচ বেড়ে যাওয়ার বিষয় টা আমার আলোচনায় এড়িয়ে গেছে। ধরিয়ে দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ। মূল্য বৃদ্ধির কারনে নিম্নবিত্তের ফুড busket এ যে আঘাত পড়বে টা নিয়ে আপনার সাথে শত ভাগ একমত। একই সাথে একটা একটা গুরুত্বপূর্ণ point হছে , বিশ্ব অর্থনীতি তে deflationary trend সত্ত্বেও, আমাদের দেশে inflation টা হছে শুধু মাত্র সরকারী ট্যাক্স এক বছরে ৫০% বেড়ে যাওয়ার জন্যে। নইলে অনেক গুলো product এর এখন দাম কমার কথা। নিম্ন বিত্তের ফুড busket ওই প্রভাব টা, এক টাকা দুই টাকা করেই পড়বে, এবং জমতে জমতে দেখবেন প্রায় ১৫%/২০% সক্ষমতা কমে গেছে। এইটা কিন্তু ব্যাপক। কোটি টাকার মালিক দেরকে না ধরে,সহজে কেটে নেয়া যায় সেইরকম উত্স কর্ দিয়ে পুরো জনগশঠির উপর কর চাপানো টা আমার কাছে ক্রিমিনাল।
ষোল কোটি দিয়ে ভাগ দেয়াটা অর্থনীতি এর খুব কমন একটা বিষয়। Per Capita হিসেবে নিয়ে না আসলে তুলনা গুলো বোঝা যায় না। তাতে দোষণীয় কিছুই নাই।
সরবনিমন নিম্ন টাকস ২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়ানো তে নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা কম। কেন জানেন ? ওই ট্যাক্স bracket এ খুবি negligible amount এর লোক ট্যাক্স দেয়। এই budget এ minimum taxable salary হছে, ১.৮ লাখ। মানে মাসিক ১৫ হাজার ।
এই টার পরবর্তী bracket টা হছে ১.৮ লাখ থেক ৩ লাখ, যেটার ট্যাক্স ১০%। বাংলাদেশে NBR এর হিসেবে large taxable প্রতিষ্ঠান মাত্র ৮০০ টি। আমার জানা মতে শুধু গুলশান এর থেকে বেশি large taxable প্রতিষ্ঠান আছে।
আর ওই ৮০০ company গুলো বিভিন্ন compliance requirement এর কারনই ওই salary ট্যাক্স টা দিতে বাধ্য হয়। ড্রাইভর/কেরানি এবং বাকি নিম্ন আয় এর কর্মচারী রা ওই ট্যাক্স bracket এ আসেনা। আমাদের সর্ব নিম্ন ট্যাক্স এর প্রধান ফায়দা হলো, অনেক উপরের earnings এ লোক দেরকে, house rent/health allowance ইতাদি হিসেব কেটে সর্ব নিম্ন ট্যাক্স bracket এ এনে, minimum ট্যাক্স টা সরকার কে দেয়া। ৯০% প্রতিষ্ঠান এই কাজ টা করে।
বাজি ধরেন। SME রা তো income ট্যাক্স দেয়ই না, আর income ট্যাক্স এর লোক জন ও SME দেরকে অফিস Staff এর income ট্যাক্স এর জন্যে ধরেনা। মালিক কে ধরে ঘুষ এর টাকা টা খায় capital Gain ট্যাক্স এর জন্যে। এই টা অলিখিত practise
তাই ওই minimum ট্যাক্স এর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত লোক এর সংখা আমার আন্তাজে খুবি নগণ্য। আর যে স্যার রা, ৩০০০০ টাকা আয় করে ১৫,০০০ টাকা আয় দেখায় তদের মাসিক টাক্স ১৬০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় নিয়ে গেলে তেমন কোন ক্ষতি নাই।
এতো তীক্ষ্ণযুক্তির মধ্যে, মোবাইল প্রতিষ্ঠান এর angle টা প্রত্যাশিত ছিলনা। আমি করিনা। কিন্তু যদি করতাম ও তবুও একটা academic discussion এ এই পরিচয়টা টেনে এনে চিন্তা এর দেয়াল এ অপযুক্তির বাঁধা সৃষ্টি করা টা শোভন হোতো না ।
সুন্দর পর্যবেক্ষণ আর মন্তব্যের জন্যে আবার ধন্যবাদ।ভাল থাকবেন।
আবারও একটা পয়েন্ট ভালো করে বোঝার চেষ্টা করি। সরকারের কর কি ৫০% বেড়েছে, নাকি কর আদায় বেড়েছে?
গুড জব। লেখা পোস্ট করার আগে একবার একটু চেক করে নেবেন। তাহলে ভুল বানান, বাক্যের অসংলগ্নতা, বাংলার মধ্যে ইংরেজী ঢুকে যাওয়া এগুলো রোধ করতে পারবেন। সিরিয়াস লেখাতে এমন অনিচ্ছাকৃত ভুলগুলো পাঠের ছন্দপতন ঘটায়, পাঠকের মনোযোগ নষ্ট করে। আপনি যেহেতু এখনো অতিথি লেখক তাই লেখা পোস্ট করার পর এডিট করার সুবিধাটি আপনার নেই। তাই যা কিছু করার পোস্ট করার আগেই করতে হবে।
বাজেট ততক্ষণ পর্যন্ত গণমূখী, কল্যানকামী ও যথাযথ হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকার ও রাষ্ট্র তদ্রুপ হয়। রাষ্ট্রের মৌলিক চরিত্রটি যদি শোষণভিত্তিক ও লুটেরাপ্রকৃতির হয় তাহলে সেই রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন সরকার যত জনপ্রিয় বা বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আসুক তার পদক্ষেপগুলোতে গণবিরোধী, বৃহত্তর জনগণের স্বার্থের প্রতিকুল বিষয়গুলো থেকেই যাবে। বাজেট, বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, স্বল্প-মধ্য-দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রতিটিতেই তখন লুটের সুযোগ, শোষণের সুযোগ থেকে যাবে।
তাই বাজেট নিয়ে আলোচনায় রাষ্ট্রের চরিত্র ও সরকারে ক্ষমতাসীনদের শ্রেণীচরিত্রটিকে উপেক্ষা করার উপায় নেই।
অর্থনীতি দরকারী বিষয়। এর গোড়ার বিষয়গুলো সবার জানা থাকা উচিত। বাংলাতে সহজ ভাষায় অর্থনীতির উপর লেখালেখি করার মতো লোকের ঘাটতি আছে। আশা করি আপনি সে চেষ্টাটি এখানে চালিয়ে যাবেন।
অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটা ঘটনা না উল্লেখ করে পারছিনা,
গতকাল ফ্ল্যাট বাসার ট্যাক্স দিতে যেয়ে (৩ বছর বকেয়া ছিল) ১২ হাজার ট্যাক্স এর সাথে ৩ হাজার টাকা জরিমানা, যেটা দিতে কোনই আপত্তি নাই, কিন্তু মজার বিষয় হল এই টাকা জমা দিতে ১৫০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। তা নাহলে টাকা জমা নিবে না্। বাংলাদেশ একমাত্র দেশ যেখানে ট্যাক্স দিতে ঘুষ দিতে হয় হাহাহা
(সরকারি) লোকজন এর খাই খাই স্বভাব কতদুর পর্যন্ত পৌঁছেছে ।.।.।. দুঃখ জনক
নতুন মন্তব্য করুন