আজ দুলু মামার বিয়ে। আর তাকেই নাকি এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ! এখন বাজে সকাল ৯টা । ১০ টায় বরযাত্রী রওনা হবার কথা। প্রায় ৫০ কিমি দূরে আমাদের হবু মামীবাড়ি। রাস্তার অবস্থা বেশ নাজুক। রাস্তাটা একে তো সরু তার উপর প্রচণ্ড আঁকাবাঁকা।এক একটা বাঁক যেন মরণ-ফাঁদ। তাই একটু আগেভাগে রওনা হবার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরেই।
বাড়িটা তন্ন তন্ন করে খোঁজা হচ্ছে। খাটের তলা, বাথরুম কিছুই বাদ যাচ্ছে না খোঁজার তালিকা থেকে। বড় মামা বিরাট হম্বি-তম্বি করছেন। যে যার মত খুঁজে চলছে। বাড়ি ভর্তি মানুষ কিন্তু যে মানুষটিকে এত হুড়াহুড়ি সেই মানুষটিই নাকি উধাও। এত দেখি মহা ঝামেলার কথা।
এদিকে উঠানে বরের গাড়ি সাজানো হচ্ছে। দুলু মামার বন্ধুরা গাড়ি সাজাচ্ছে। আমরা কাচ্চাবাচ্চারা তাতে সহায়তা করছি। কখনও ফুলটা এগিয়ে দিয়ে, আবার কখনও টেপ কেটে, কখনও বা কাচি এগিয়ে দিয়ে সাহায্য করছি। মাঝে মাঝে আবার ছোট-খাটো সৌন্দর্যবর্ধন আইডিয়া দিচ্ছি। মামার হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়াতে সব কাজে ভাটা পড়েছে।
গতকালটা কেটেছে প্রচন্ডরকম আনন্দ আর হৈ-হুল্লোড়ে। কারণ কাল ছিল দুলু মামার গায়ে হলুদ। হলুদের স্টেজের জন্য একটা সাইজের নৌকা আনা হয়েছিল। সেই নৌকাকে উঠানের একদিকে বসিয়ে খুব সুন্দর করে স্টেজ সাজানো হয়েছিল। পুরা নৌকাটা হলুদ-লাল কাপড়ে মুড়ে, অর্ধেকাংশ ছৈ বানিয়ে মরিচ বাতি সহযোগে খুবই চমৎকার একটা স্টেজ সাজানো হয়েছিল। হৈ-হুল্লোড়ে চলেছে মাঝ রাত অবধি।
এখন নৌকার মালিক এসেছেন তার নৌকা নিতে। সাথে তার একটা ঘোড়ার গাড়ি। ঘোড়ার গাড়িতে করে নৌকা নিয়ে যাওয়া হবে। বহুত কসরত করে নৌকাটা ঘোড়ার গাড়িতে তোলা হয়েছে। আমার কেমন যেন একটু সন্দেহ হল। আমি নৌকার মালিককে বললাম, দাঁড়ান দেখি আপনার নৌকাটা একটু তল্লাশি করতে হবে। কষ্ট করে বেয়েছেয়ে ঘোড়ার গাড়ির উপরে উঠে তারপর নৌকার উপরে উঠে গেলাম। পাটাতন উঠিয়ে নৌকার খোল চেক করলাম। সবাইতো আগ্রহ নিয়ে আমার কাজ-কারবার দেখছে। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে দিয়ে বললাম, অভিযান ব্যর্থ। এখানে মামা লুকিয়ে নেই।
আমার তৎপরতা দেখে বড় মামা খুশি হলেন নাকি নাখোশ হলেন তা বোঝা গেল না। তবে তিনি যা করলেন তা হলো, তিনি একটা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করলেন। এই কমিটির কাজ হবে বাড়ির ভিতর ও আশেপাশের জায়গাগুলোতে দুলুমামাকে খোঁজা। আর অবাক ব্যপার হচ্ছে সেই অনুসন্ধান কমিটির প্রধান নাকি আমি। আর আমার সহকারী হিসাবে আমার তিন খুদে মামাত-খালাত ভাইবোন। অংকা,টংকা আর ঝন্টু।
আমরা মহা-উৎসাহে কাজে নেমে পড়লাম। আমাদের দায়িত্ব বাড়ির ভিতর ও আশেপাশে খোঁজা। আর বড়মামা দায়িত্ব নিলেন বাইরে দূরে খোঁজাখুঁজির ব্যপারটা। আমি সাঙ্গপাঙ্গগুলোকে নিয়ে একটা ছোটখাটো সিটিং এ প্রথম মিটিং টা সেরে নিলাম। কোথায় কোথায় খোঁজা হবে তার একটা খসড়া দাড় করানো হল।
দুলু মামার বিয়েটা আমাদের জন্য খুবই আকাঙ্ক্ষিত একটা ব্যপার। কারণ কোনও এক বিশেষ কারণে তাঁকে কোনোভাবেই বিয়েতে রাজি করানো যাচ্ছিল না। এদিকে বয়স বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ির ছোট ছেলেটাকে বিয়ে করানো যাচ্ছে না দেখে নানা-নানুর চোখে ঘুম নাই। সেই দুলু মামা আবার কেন জানি হঠাৎ করেই কোনও এক বিশেষ কারণে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলেন। পরিবারের এই প্রজন্মের শেষ বিয়ে, তাই মহা ধুমধাম আয়োজন। এবং বিয়েটা সেই সাথে পরম আকাঙ্ক্ষিত তার ভাগ্নে-ভাগ্নি, ভাইস্তা-ভাইস্তিদের কাছে । সকলের কাছে তিনি অতি সুপ্রিয়। দুলু মামা কখনো কার সাথে রেগে কথা বলেছেন বলে শুনিনি আর দেখিওনি।
আমরা তার শোবার ঘর থেকেই তালাশি অভিযান শুরু করলাম। এটা দুলু মামার ঘর হলেও বিয়ের ভিড়ে কারো ব্যক্তিগত ঘর বলে কিছু নাই। ঘরজুড়েই বিছানা। এখনো কেউ কেউ পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছে। বুঝলাম এই ঘরে রাতে বিরাট তাস পিটানো হয়েছে। কারণ তাসের প্যাকেট থেকে অর্ধেকটা তাস উঁকি দিয়ে তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। আমি যতদূর জানি কার্ড খেলাটা মামার পছন্দের তালিকায় নাই।তার মানে অন্যরা তাসের দানে হুল্লোড় করেছে আর দুলুমামা পাশে বসে সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়েছে। হাজার হোক এই হুল্লোড় এ তো আর চোখের পাতা এক করার জো নাই। আশেপাশে প্রচুর সিগারেটের পুচ্ছাংশ দেখতে পাচ্ছি। এই সিগারেট জিনিষটা মামার বিশেষ প্রিয়। আমরা রুমে কোনও আলামত পাওয়া যায় কিনা খুঁজছি।
এর মধ্যে অংকা একটা জিনিস খুঁজে পেয়েছে মামার বিছানায়, বালিশের পাশে। মোবাইল হেড-ফোনের তার কিন্তু তারের মাথায় দুইটা বল্টু মানে কানের মাঝে ঢুকানোর দুইটা শ্রবণযন্ত্র উধাও। এরকম মাথাছাড়া হেডসেট দেখতে বড়ই অদ্ভুত লাগছে। ঝন্টুটা খাটের নিচে ঢুকে বেশ কিছুক্ষণ কচরমচর করে বের হয়ে আসল। না, কিছুই পায়নি সে। কিন্তু তার মাথার চুল ইতিমধ্যে ময়লা ঝুলে ধূসর-বর্ণ ধারণ করেছে। টংকা ততক্ষণে যেকজন পড়ে পড়ে ঘুমচ্ছিল সে কজনকে ধাক্কাধাক্কি করে ডেকে তুলে ফেলেছে। তারা ঘুম ঘুম চোখে কি ব্যাপার বোঝার চেষ্টা করছে। তারা অবশ্য তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারল না। শুধু জানা গেল, দুলু মামা রাতে এ ঘরেই ছিল। তারা প্রায় ভোরের আলো ফোঁটা পর্যন্ত হৈ-হুল্লোড় করেছে।
ঘর থেকে বের হয়ে মামার মোটরবাইকটার খোঁজ নিলাম। কারণ মামার বাইক প্রীতি ব্যাপক। এবং তার বাইক দুর্ঘটনার ঘটনাও অনেক। দুলু মামার হাতে, পিঠে ,কপালে , মাথায় ছেঁড়া-কাঁটার দাগও প্রচুর। কখনও রাস্তার গরুটাকে বাঁচাতে গিয়ে রাস্তার পাশের গর্তে, কখনও বা স্পীডব্রেকার দেখতে না পেয়ে ছিটকে রাস্তার মাঝে, আবার কখনও পড়ে না চোখের পলক জাতীয় ঘটনায় বেরসিক গাছের সাথে সংঘর্ষ। যাই হোক মামার বাইকটাকে দেখলাম জায়গা-মতই আছে।
আমরা মামার রিক্সা-ওলা কালু মিয়াকে খুঁজে বের করলাম , সে এই বাড়িতেই আছে এখন। বিয়ে উপলক্ষে এখানেই তার সার্বক্ষণিক ডিউটি। ও বলে রাখি এই কালু মিয়া একদিন মামার কাছে আসে সাহায্যের জন্য। নদী-ভাঙ্গায় বাড়িহারা লোক। মামা তাকে একটা রিকসা কিনে দিল। আর কয়েকদিন পর একটা মোবাইলও কিনে দিল কালু মিয়াকে। যখনই দরকার হয় তখন কালু মিয়াকে ডেকে নেয় মোবাইলে। চমৎকার ব্যবস্থা। আমারাও মামাবাড়ি আসলে কালু মিয়ার রিক্সায় ঘুরি।
দুলুমামার সিগারেট প্রীতিটা আমার ভালো মতই জানা। মামা আমাদের বাড়িতে যখন যায় তখন মামাকে ঘুম থেকে জাগানোর দায়িত্বটা পড়ে আমার উপর। আমি সে মহা দায়িত্ব মহা উৎসাহে পালন করি। গ্রামে ভোরের আলো ফুটে যাবার পরে ঘুমিয়ে থাকাটা রীতিমত অপরাধ বলে গণ্য হয়। কিন্তু আমার শহুরে দুলু মামার ঘুম কি আর এত সহজে ভাঙ্গে। আমি মাঝে মাঝে মামাকে এসে গুঁতা মেরে যাই। কাজ হয় না। কিছুক্ষণ পর আবার গুঁতা। তাতেও কাজ না হলে পানি ঢালার হুমকি দিয়ে পানি আনতে যাই। মগ-ভর্তি পানি এনে দেখি মামা বিছানায় নাই। খুঁজতে খুঁজতে মামাকে পাই বাড়ির পাশের আমবাগানে কিম্বা আরেকটু দূরে পাটক্ষেতের মাঝে। হাতে জ্বলন্ত সিগারেট। এরকম একটা সন্দেহ নিয়ে বিয়েবাড়ির আশপাশটা ভালোমতো চক্কর দিলাম। বাড়িভর্তি গিজগিজ মানুষ তাই যদিও লুকিয়ে থাকাটা প্রায় অসম্ভব তারপরও খুঁজছি। না কোথাও নাই।
ছাদটা খোঁজাটা তখনো বাকি। অনেক পুরানো একতালা দালান। সরাসরি ছাদে উঠার কোনও সিঁড়ি নাই। ছাদে উঠার দুইটা পথ আছে। একটা ছাদ-সংলগ্ন আমগাছ অথবা মই। এই মুহূর্তে আমগাছ বেয়ে ছাদে উঠার চিন্তা বাদ দিলাম। টংকা আর ঝন্টুকে একটা মই জোগাড় করার দায়িত্ব দেয়া হল। আমি আর অংকা আশেপাশের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। শুধুমাত্র একজন বাবুর্চি সহকারী বলল, সে নাকি দুলুমামাকে কলপাড়ে দেখেছে সেই কাক-ডাকা ভোরে। চারিদিক তখনও ফর্সা হয়নি।
ততক্ষণে টংকা আর ঝন্টু একটি ভাঙ্গাচোরা মই জোগাড় করেছে। মই এর ঝন্টু প্রথম সিঁড়িতে পা দিতেই মড়মড় আওয়াজ করে উঠল। বুঝলাম এই মই আমার ভার বইতে অপরাগ। তাই হ্যাংলু-পাতলু ঝন্টুকেই উঠতে বললাম। ঝন্টু প্রথমে একটু গাইগুই করলে আমি এমন একটা চাহনি দিলাম যে সে আর না করার সাহস পেল না। হাজার হলেও অনুসন্ধান কমিটি প্রধানের নির্দেশ, সে অমান্য করে কিভাবে।
ঝন্টু ছাদে উঠেই হাওয়া হয়ে গেল। নিচ থেকে আমরা তার মাথাটাও দেখতে পাচ্ছিনা। হঠাৎ ঝন্টুর চিৎকার শুনলাম ‘ইউরেকা’, ‘ইউরেকা’। আমরা সবাইতো হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। সাথে সাথে আনন্দে হাততালি দিচ্ছি। ঠিক তখনই ঝন্টুর মাথাটা দেখা গেল। সে নিচের দিকে মাথা ঝুঁকিয়ে একটা লাল টেপ-টেনিস বল দেখাল। যে বলটা সে গতকালকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে হারিয়ে ফেলেছিল। এই হল ঝন্টুর ‘ইউরেকা’ তত্ত্ব। অনুসন্ধান কমিটি আবার হতাশ। কিন্তু এই কমিটি এত সহজে হাল ছাড়বার পাত্র নয়।
আমরা সবাই মিলে এবার সিদ্ধান্ত নিলাম বাড়ির বাইরের আশপাশটা খুঁজে দেখব। বাড়ি থেকে বের হতেই দেখলাম পাশের খালি জায়গাটায় বরযাত্রী যাবার জন্য একটা বাস আর খান সাতেক মাইক্রোবাস দাড়িয়ে আছে। মাইক্রোবাসগুলো সকালে আসলেও বাসটা কাল রাত থেকেই এখানে অবস্থান নিয়েছে। আমরা সেগুলো পেরিয়ে আরেকটু সামনে এগুলাম। কাছেই রাস্তায় একটা মোড় আছে। মোড়টার নাম ‘কি পাইলাম ? মোড়’। অদ্ভুত নাম। এলাকার বেকার ছোকরারা এখানে বসে জীবনে কি পাইলাম আর না পাইলাম তাই নিয়ে বিস্তর আড্ডালাপ চলে বলেই মোড়ের এরকম নামকরণ। দুলু মামার সাথে এই মোড়ে অনেকবার এসেছি। পাশেই একটা ক্লাবঘর আছে। সেখানে মামা বন্ধুদের সাথে নিয়মিত ক্যারাম খেলে, সেটা আমি জানি। কিন্তু এই সকালে মোড়টা একদম ফাঁকা। ক্লাবঘরটাও বন্ধ।
‘কি পাইলাম ?’ মোড়ে একটি ত্রিকোণ সিমেন্টের ফলক আছে। যেই ফলকে মোড়ের সুন্দর নামটা বড় বড় করে লেখা। সেটাকে পাশ কাটিয়ে বাসার দিকে এগুতে লাগলাম। মামাকে নিয়ে এবার সত্যি সত্যি বেশ চিন্তায় পড়ে গেছি। লোকটা হুট করে গেল কোথায় ? শুনেছি, পরিরা নাকি পছন্দের ছেলেদের মাঝে মাঝে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরকম কোনও পরীরানী তার বাচ্চা পরীর জন্য মামাকে উঠিয়ে নিয়ে গেল নাকি ? ধুর কি সব আবোল তাবোল ভাবছি! মাথাটা আওলা হয়ে যাচ্ছে। অনুসন্ধান কমিটির প্রধানের এরকম মাথা আওলা হয়ে গেলে তো চলবে না।
ইতিমধ্যে রোদটাও তেতে উঠেছে। বরযাত্রী যাবার জন্য যে বাসটা ভাড়া করে আনা হয়েছে সেটা মনে হচ্ছে একেবারে নতুন। বাসটা বেশ মনে ধরে গেল। দূর থেকেই সিদ্ধান্ত নিলাম, মাইক্রবাসে নয়, আমরা এই বাসে করেই বরযাত্রী হব। অংকা বলল, ভাইয়া তার জন্য-তো আগে আমাদের মামাকে খুঁজে বের করতে হবে। না হলে-তো, আমদের কেন ? কারই বরযাত্রী যাওয়া হবে না। টংকা বলল, রোদে ঘুরে মাথা গরম হয়ে গেছে, চলো আমরা বাসটার ভিতর বসে ঠাণ্ডা মাথায় আরেকটু গবেষণা করি। অংকাকে এক-বোতল ঠাণ্ডা পানি আনতে বাড়ির ভিতর পাঠালাম। আর আমরা উঠলাম বাসের ভিতর।
আমি ইঞ্জিন-কভারে হার-পা ছড়িয়ে বসে টংকা আর ঝন্টুকে সামনের সিটটায় বসতে বলি। ড্রাইভারকে খুঁজে পেলাম না। পেলে মাথার উপর ঝুলতে থাকা ঝকমকে ফ্যানটাকে ছাড়তে বলতাম। টংকা হঠাৎ বলল, ভাইয়া কেমন যেন একটা শব্দ শুনতে পাচ্ছ ? আমি আর ঝন্টু বললাম, কিসের শব্দ ? তারপর কান খাড়া করলাম। হ্যাঁ , তাই তো কেমন যেন একটা নাক ঘড়ঘড় শব্দ আসছে পিছন থেকে থেমে থেমে।
এগিয়ে গেলাম বাসে পিছন দিকটায়। হঠাৎ থমকে দাঁড়ালাম। একটি তিনজন বসার সিটে গুটিসুটি মেরে একজন লোক শুয়ে আছে। গভীর ঘুমের সাথে নাসিকাগর্জনের শব্দটার মাঝে মাঝে ছন্দপতন ঘটছে। বলা বাহুল্য লোকটা আমদের দুলু মামা। কানে সেই হেডসেটের তারছাড়া বল্টু দুটো গোঁজা। যা তাকে বাইরের জগতের শব্দদুষন থেকে মুক্ত করে নিয়ে গেছে ঘুমের রাজ্যে। সাউন্ড-প্রুফ ঘুম। গতরাতে না ঘুমাতে পারা মানুষটার জন্য এর থেকে ভাল ঘুমানোর কি ব্যবস্থা হতে পারে !
আর তাকে তো আজকের রাতটাও জাগতে হবে, তাই না ...?
ঃঃঃ স্বপ্নখুঁজি ঃঃঃঃ
মন্তব্য
লেখনী বেশ মজারু আপনার, ভাই স্বপ্নখুঁজি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ
আপনার কমেন্ট টাও বেশ মজারু। লেখাটা পড়েছেন , মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
খ্যাক খ্যাক---
খালি দুলু মামা না, আফনে স্বপ্নও খুইজা পাইবেন মুনে কয়--
পথিক পরাণ
আপনার মুনে কইলে আবশ্যই পামু।
লেখাটা পড়েছেন , মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
লেখা মজার। চালিয়ে যান।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ভাই কবি,
লেখাটা পড়েছেন , মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
হলুদের স্টেজের আইডিয়াটা বেশ ভালো তো! লোকজন সাধাসিধা চৌকীর উপর বসতে বসতে ভোঁতা হয়ে গেলো। এবার থেকে আশাকরি রাজনৈতিক হলুদের স্টেজ হবে। নৌকা, ধানের শীষ, লাঙ্গল ইত্যাদি।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লাঙ্গলের উপর বসবে কেডায়?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
লাঙ্গলের উপর বসবে কেডায়? তাইত, আইডিয়াদাতাকে বসিয়ে দিলে কেমন হয়...!!
খুবই ভাল বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
তবে কি, আমরা যখন এই নৌকায় হলুদের স্টেজটা করার চিন্তা করেছিলাম, তখন কোনও রাজনৈতিক চিন্তা মাথায় ছিল না। একটু নতুনত্বের খোঁজে এটা করা।
সচলে আমার আগে প্রকাশিত লেখাগুলো।
১। [url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/43595 ] (ঃঃ স্কুলব্যাগ, তুমি বড্ড ভারি ঃঃ)[/url]
২। [url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/43684 ](বাটুল বৃক্ষ ঁ)[/url]
৩। [url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/43899 ](স্কুলঃঃঃ মন ছুটে যায়...)[/url]
৪। (ওরে ইলিশ, মাঝে মাঝে
৫। [url=http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44049 ](আকু-পাকু’র কথোপকথনে...)[/url]
৬। (ভাবছি, আমিও কি রাস্তায় নেমে যাব ?)
৭। (চার দেয়ালের ভিতর থেকে বৃষ্টি উপভোগ...)
ঃঃঃ স্বপ্নখুঁজি ঃঃঃঃ
ভাল লিখা চলুক - কিছুদিনের মধ্যেই হাচল হয়ে যাবেন নিশ্চয়ই
অনেক ধন্যবাদ। আপনার শুভকামনা পাথেয় হয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ্।
বাপ্পীহায়াত ভাই, আপনার আন্দাজ সঠিক। হাচল তো দেখি হয়ে গেছি।
আপনাকে আবারও আনেক অনেক ধন্যবাদ
ভাই এই লেখাটার একটা অনুলিপি পেলাম এখানে।ওই সাইটটা কি আপনার?
http://news39.net/news/0120407008
মোটেই না। আমি খুবই অবাক হ্লাম। আমার লেখাটা (ওরে ইলিশ, মাঝে মাঝে তোর স্বাদে একটু ডুবতে দিস...) সচলে প্রকাশ হয়েছে ৩১শে মার্চ ২০১২, আর ঐ সাইটা টা মাত্র ৭ দিনের মাথায়ই সেটা চুরি করে প্রকাশ করেছে ৭ই এপ্রিলে। খুব খারাপ লাগল দেখে। এমনকি লেখার হেডিং টা পর্যন্ত পাল্টায় নাই।
ঃঃঃ স্বপ্নখুঁজি ঃঃঃ
আপনার লেখার হাত খুব ভাল।
দারুণ লাগল।
বাপ্পীহায়াত ভাই ঠিকই বলেছেন।
হাচল আপনি হলেন বলে।
অগ্রিম শুভেচ্ছা।
আহা ! বড় আনন্দের কথা শোনাইলেন। আপনার কথা সত্যি হোক।
অনেক ধন্যবাদ, প্রদীপ্ত দা।।
প্রদীপ্ত দা, আপনার আন্দাজ সঠিক। হাচল তো দেখি হয়ে গেছি।
আপনাকে আবারও আনেক অনেক ধন্যবাদ
ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে। ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দিলেন।
পাঠকের ভাল-লাগাতেই আনন্দ।
লেখাটা পড়েছেন , মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
ঃঃঃ স্বপ্নখুঁজি ঃঃঃঃ
লেখার স্টাইল ভালো লাগলো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও আনেক ভাল লাগলো।
লেখাটা পড়েছেন , মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
লেখা ভালো লেগেছে। হলুদের স্টেজের আইডিয়াটা র্দুদান্ত! মনির হোশেনের বিয়েতে এইরকম কিছু করা যেতে পারে।
দাড়িপাল্লা করলে কেমন হয়? দুই পাল্লায় দুইজন বসবে।
স্বপ্নখুঁজি, লেখা খুব ভালো লেগেছে। স্টেজটাও খুব সুন্দর।
দাড়িপাল্লার আইডিয়া টা তো আরও দারুন।
লেখাটা পড়েছেন , মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
শুনেছিলাম কোন এক কালে নাকি এক ইসলামী ব্যাংক জিএম তনয়ার বায়োডেটা একই সাথে আমাদের রঙিন ভাই আর জলদস্যু ভাইয়ের কাছে ফরোয়ার্ড মেইলে গিয়ে পৌঁছেছিলো... তবে সেটা সেইইইইই ঊনিশশো তেপান্ন সালের কথা... আমরা ছোট মানুষ অত মনে নেই!
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
লেখাটা পড়েছেন , মন্তব্য করেছেন এজন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো লাগল। ছবি লেখা দু'টোই।
- জোনাকীপোকা
দারুন মজার লেখা। এমন ছোটদের গল্প অনেকদিন পরে পড়লাম।
তাই নাকি ! অনেক উৎসাহ পেলাম। অনেক ধন্যবাদ
সচলায়তনে ছোটদের গল্প বেশ কম আসে, মন দিয়ে পড়লাম। ভালো লেগেছে। একদম শেষের লাইনটা ছোটদের লেখা হিসেবে একটু কেমন যেন। তবে হলুদের স্টেজটা মারাত্মক হয়েছে! তবে সত্যিকারের নৌকা এনে করা এই স্টেজটা আসলেই ভালো লাগছে দেখতে, নৌকার গায়ের আলপনা আর নকশাও। ধরেই নিচ্ছি এটা আপনাদের বাড়ির কারও হলুদের অনুষ্ঠানের স্টেজ, যার মাথা থেকেই আইডিয়া এসে থাকুক তার একটা 'সাবাশ!' প্রাপ্য। আরও লিখুন।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
শেষের লাইনটা নিয়ে কেমন যেন লাগাটা একদম সঠিক। এটা আসলে ছোটটদের গল্প হিসাবে যায় না। আমিও ভেবে রেখেছি, যদি ভবিষ্যতে আর কোথাও ছোটদের গল্প হিসাবে এটা প্রকাশ করি, তাইলে শেষের লাইনটা বাদ দিয়ে দিব। এটা এখানে প্রকাশ হবার সাথে সাথেই আমি ভাবছিলাম, শেষের লাইনটা নিয়ে কেউ সমালোচনা করবে। সেটা একটু দেরিতে হলেও এসেছে।
সমালোচনা আমার কাছে সবসময়ই স্বাগত।
আর হ্যাঁ, স্টেজ নিয়ে আপনার ধারনা একদম সঠিক। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
নতুন মন্তব্য করুন