আমার খুব কাছের বন্ধুদের মিস করছি কয়েকদিন ধরে। কারো সাথেই আমার এখনকার পার্থিব দূরুত্ব হাজার কিলোমিটারের কম না। লেখাটা তাদের জন্য। আজকাল চিঠি লেখার চল উঠেই গেছে। তবু আমার মাঝে মাঝে চিঠি লিখতে ইচ্ছা হয়। সেই ইচ্ছাটাও একটা অনুঘটক।
কল্যাণীয়াসু,
হতে পারে পথের ধারে এই এলোমেলো গাছের সারি বনের সম্মান পায় না। কিন্তু একজন ঢাকাবাসীর জন্য যে পঁচিশ বছর বয়ষ পর্যন্ত জীবনে ত্রিশ দিনের বেশি ঢাকা ছেড়ে থাকে নি তাকে মুগ্ধ করার জন্য যথেষ্ট। আমার মনে আছে স্নানঘরে চুরি করে খাওয়া তেঁতুলবিচিতে অঙ্কুর দেখে কি অদ্ভুত লাগতো আমার। অথবা, সেই গাছটার কথা যার দিয়ে তাকিয়ে অসংখ্য স্কুলের দুপুর কাটিয়েছি আমরা ঘুমঘুম চোখে। কমলাপুর রেললাইনের পিছনে বিস্ময়ের মত অন্ধকারাচ্ছন্ন জঙ্গুলে জায়গাটার কথা মনে আছে তোমার? রেল হাসাপাতালের পিছনে গাছগুলো? কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি দিয়ে বিনিসুতায় মালা গাঁথা অথবা ঘাসের সুতোয় টগরের নূপুর… জ়াফলং থেকে ফেরার পথে সিএনজির পেছনের জানালার ফ্রেমে মেঘালয়ের পাহাড় গুলো আমি চিরতরে স্মৃতিবন্দী করে রেখে দিয়েছি।
বইপড়ার ব্যপারে আমার কোনকালে বাছবিচার ছিল না। খুচরো ডালের মোড়ক থেকে স্টিফেন হকিং, সবই এক নিঃশ্বাসে পড়তাম। ব্যতিক্রম শুধু শিকার আর ভ্রমন কাহিনী। আর ব্যতিক্রমের ব্যতিক্রম হল পালামৌ আর অরণ্য। আমি চোখ বন্ধ করলে স্পষ্ট টের পাই একটা একশিলা পাহাড়, রাধার মান ভাঙ্গানো আশ্চর্য পাখি, মন্দ্র কাষ্ঠঘন্টা ধবনি, সরস্বতী কুন্ডু, শুকনো মৌরিফুলের গন্ধ। অষ্টআশির বন্যার আগে আমাদের একতলার বাসার জানালার ওইপাশে একটা গোলাপ গাছ ছিল। আমার মাথা তখনো জানালা ছোঁয়নি বলে গোলাপগাছটা আমার দেখা হয়নি কখনো। এখনো মাঝে মাঝে সেই নাদেখা গোলাপগাছ কে স্বপ্ন দেখি।
দেখা না দেখা স্বপ্ন গুলোকে খুব মিস করি বন্ধু আজকাল। স্বপ্নসংগীদেরও। শৈশবের অবিমিশ্রিত খেলার সকাল, বয়ো:সন্ধির নির্জন দুপুর, তারুন্যের সোনালী বিকেল…যখন বাবারা ছিলেন আকাশের চেয়ে উঁচু, মায়েরা ছিলেন পৃথিবীর চেয়ে গুরুভার। স্বপ্নগুলো কে পুটুলিবন্দী করা আছে যত্নে। তাই মাঝেমাঝে কৃপণের মত নেড়েচেড়ে দেখি। বিকেলের রোদ আরো গাঢ় হচ্ছে। কাল থেকে আবার সপ্তাহ শুরু। অসংখ্য আটপৌরে কাজ পরে আছে। কোন একদিন স্বপ্নের পথে পায়চারীর ইচ্ছা দুর্নিবার হলে জ্বালাবো আবার।
রিক্তা
-----------
মন্তব্য
মডারেশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ১ম ("কল্যাণীয়াসু" সম্বোধনের পর) আর ২য় প্যারার আগের একটা অতিরিক্ত লাইন গ্যাপ দিয়ে ফেলেছিলাম। সেটা মুছে ফেলা যাবে কি?
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
অনুভুতিগুলো একদম তরতাজা
ড্রাইভ করতে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গায় ক্ষনিকের জন্য চোখ যায়। ইচ্ছে করে পরের সপ্তাহান্তে ঘুরতে আসবো। অসংখ্য আটপৌরে সপ্তাহের ছুটির দিনগুলো শেষ। কয়েকদিনের ব্যবধানেই ফলগুলো ফলে রুপান্তর হয়। ফুল-ফল কিছুই ঠিকমতো আর দেখা হয় না।
ফ্রুলিক্স
ধন্যবাদ ফ্রুলিক্স। আর সপ্তাহান্ত! সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব সপ্তাহান্ত বুকড
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
চমৎকার
..................................................................
#Banshibir.
গুনীজনের প্রশংসা পাইতে ভালোই লাগে :D। ধন্যবাদ দিয়ে আপনাকে একটু খাটো করার দরকার ছিল। শুধু আপুর খাতিরে মুক্তি দিলাম।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আপনার লেখা, ভাষা ব্যবহার, বাক্যভঙ্গি... মুগ্ধ করলো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ধন্যবাদ নজরুল ভাই।
স্মৃতিগুলোই মুগ্ধতাজাগানিয়া। বারবার ভাবলেও পুরান হয়না।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ অমি_বন্যা।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
সত্যি আপনার লিখার মাঝে কেমন একটা মুগ্ধতার জাল বিছানো আছে, খুব ভালো লাগ্লো।
ধন্যবাদ বন্দনা। আপনার লেখাগুলোও আমার খুব ভালো লাগে। আলসেমি আর সময়ের অভাবে মন্তব্য করা হয়ে ওঠে না।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
বেশ ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ অতন্দ্র প্রহরী।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
আমি ভেবেছিলাম প্রোগ্রামারের ডায়েরী বুঝি এমন হবে...
ইত্যাদি...
জোকস অ্যাপার্ট, ভালো লেগেছে।
তা যা বলেছেন। আমার নিয়মিত লুপ চালায়ে বাসন মাজতে আর ঘর ঝাড়ু দিতে মন চায়।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ভাল লেগেছে।
আরও লিখুন।
ধন্যবাদ প্রদীপ্তময় সাহা। উৎসাহটা খুব ভালো লাগলো।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
ধন্যবাদ রঙধনুর কথা।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
অনেক ভালো লাগলো।
"প্রোগ্রামারের ডায়েরী" কেন ?
ধন্যবাদ।
"প্রোগ্রামারের ডায়েরী" কারনঃ
১ করি কামলার কাজ, পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। দিনের ৫০% সময় প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নিয়ে কাজ করি।
২ এটা কিওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করছি। খুঁজতে সুবিধা।
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
রিক্তা
--------------------------------
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব – বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার ।
নতুন মন্তব্য করুন