পশ্চিম আফ্রিকায় অবস্থিত আইভরি কোস্ট দেশটি ১৯ টি রিজিয়ন নিয়ে গঠিত। আমাদের দেশের বিভাগ এই দেশে রিজিয়ন নামে পরিচিত। আইভরি কোস্টের একটি রিজিয়নের নাম হল ১৮ মাউনটেন রিজিয়ন। এই রিজিয়নের একটি শহর হল মান।এই রিজিয়নের বানিজ্যক রাজধানী এটি। এখানকার সবার কাছে শহরটি মা হিসেবে পরিচিত।কাউকে মান বললে নাও চিনতে পারেন কিন্তু মা বললে সবাই চেনে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য এই জায়গাটার একটা আলাদা গুরুত্ব আছে।আর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল পাহাড় আর মেঘের খেলা। পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই রিজিয়নের উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অনেক উপরে । যে কারণে এখান থেকে আকাশ খুব কাছে মনে হয়। দেশটির উত্তরে যাবার সাথে ক্রমেই উচ্চতা আরও বাড়তে থাকে।
অনেক গুলো পাহাড়ে ঘেরা এই মান শহর। পাহাড়ের গায়ে গায়ে লেগে থাকে সাদা মেঘ। চলতি পথে পাহাড়ে উঠেই হাত বাড়ালে মেঘেদের সাথে একটা নান্দনিক সংঘর্ষ হবে বলে মনে হয়। এই মান শহরে আছি বেশ কিছুদিন হল। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই যে দৃশ্যটি মন কেড়ে নেয় তা হল নিচের এই ছবিটি
(১)
রাতের আকাশ দেখতে পাই না তবে সারাটা দিন ধরে মেঘ আর পাহাড়ের যে লুকোচুরি তা সবসময় উপভোগ করি। কখনও কখনও মেঘকে মনে হয় নিজেকে আর শুন্যে ধরে রাখতে পারছে না তার বন্ধু পাহাড়ের সাথে যেন সে জরুরী কোন কমিটমেনট এ বাঁধা । সে কারণেই ক্ষণে ক্ষণে তার দেখা পাহাড়ের সাথে। পরিস্কার নীল আকাশে মেঘেরা ছুটে বেড়ায় একেবারে স্বাধীন মত কোন অজানা প্রান্তে। তখন ওই মেঘমুক্ত আকাশের সাথে কোন লেনদেন নেই এই বিশালদেহি পাহাড়ের। তার যত পাওনা তা পরে নিতেও সে প্রস্তুত। কিন্তু বৃষ্টি আসার উপক্রম হলেই আর কোন ছাড় দিতে সে নারাজ। আকাশকে যেন বলা আছে একেবারে কোমল পরশ বুলিয়ে দিয়ে তবেই যেন হাওয়ায় মিলিয়ে যায় মেঘ দল। মেঘদল ও যেন অনেক দিনের দায়ে বাঁধা । কিছুতেই এই অনুরোধ ফেলবার নয়।এবেবারে শিশুর মত যেন তার মায়ের কোলে ঢলে পড়ছে।
আর মা তার জন্য জায়গা করে দিয়েই চলেছে। মাঝে মাঝে চলছে লুকোচুরি খেলা। এ পাশ থেকে ওপাশে ছুটে চলেছে মেঘ। অনেক পুরানো বয়স্ক মা তাই যেন গায়ের জোর কম। একেবারে অনড় হয়ে পড়ে রয়েছে আর মেঘমালা একবার এদিক আর একবার ওদিক কানামাছি খেলাতে মেতে উঠছে তার সাথে।
(৪)
পাহাড়ের গা ঘেঁসে গজে উঠেছে ছোট ছোট অনেক আগাছা। একটু ঝড়ো হাওয়া হলেই তারা মেলে তাদের শাখা প্রশাখা। সাদা পেখম খুলে তখন ময়ূরের নৃত্যে মেতে ওঠে মেঘরাশি । সাদা রঙয়ের চাদরে ঢেকে দেয় পাহাড়ের উন্মুক্ত শরীর ।
(৫)
কখনও কখনও আবার মেঘ নেমে আসে একেবারে পিত কালো হয়ে। তখন আবার মেঘেদের ভিন্ন সাজ। এখানে সবেমাত্র বর্ষা শুরু হয়েছে চলবে একেবারে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত । বৃষ্টির প্রধান আকর্ষণ রাতে। ঠিক ঘুমোতে যাবার আগে। টিনের ঘরে রিমঝিম রিমঝিম শব্দে তৈরি হয় এক ভিন্ন সুরের মূর্ছনা ।সারারাত ধরে মেঘ ঝরে ঝরে ভোর বেলা ফিরে আসে পাহাড়ের কাছে। তখন আবার দেখা যায় মেঘ পাহাড়ের মাঝে এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য । পাহাড় ঢেকে যায় মেঘে। হঠাৎ একেবারে অদৃশ্য করে দেয় তার এই বিশালতাকে। সূর্যের কিরণে ক্রমেই কেটে যায় মেঘ । আবার উকি দিয়ে দাড়িয়ে ওঠে পাহাড় ।
(৬)
(৮)
(৯)
(১০)
(১১)
প্রকৃতির এই অপরূপ সাজ সত্যি মনোরম । মান বা মায়ের এই সৌন্দর্য দেখার মত।
( উপরের ছবিগুলো তোলা হয়েছে সনি সাইবার সট ক্যামেরা থেকে। রেজুলেশন অতটা ভালো না তারপরও একটা ছবি ব্লগ দিতে মন চাইল। খুব বেশী ভিন্নতা আনতে পারিনি ছবিগুলোতে কারণ পাহাড়টা আমার ঘরের একেবারেই সামনে। মেঘের খেলা বেশীরভাগই জমে এখানটাতে ।)
অমি_বন্যা
মন্তব্য
ছবি গুলো বেশ ভাল লাগল। এই রইল (গুড়) , বাকিটা এই পড়ছি বলে
-লাবণ্যপ্রভা
ধন্যবাদ আপনাকে। এই নিন
ভাল লাগলো।
ধন্যবাদ রংধনু আপনাকে।
"মেঘের পরে মেঘ জমেছে, আধাঁর করে আসে।" ছবির জন্য ধন্যবাদ । ঘুম ভেঙ্গে যে এত সুন্দর একসাথে দেখে, তার চোখ না পাছে ঝলসে যায়। সাবধানে থাকবেন। হি হি হি।
ধন্যবাদ আপনাকেও। গানের লাইনটি আমার প্রিয়।
সবাধান হলাম। চোখ তুমি ঝলসে যেও না।
সুন্দর!!
ভালো লাগলো।
ডাকঘর | ছবিঘর
তাপসদা ধন্যবাদ ।
ছবি তোলার ক্ষেত্রে আধুনিক সভ্যতার কে জিনিসটিকে আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি তা হল কারেন্টের তার( কেবল)
facebook
অনু ভাই এর পরে এ ভুল আর হবে নানে ।
তারের কিছু কম্বিনেশান কিন্তু খুবই ভাল লাগে অণুদা। আপনার তোলা একটা ছবির কথা মনে আছে, সূর্যাস্ত, গোধুলির লাল রং আর অসীমের দিকে চলে যাওয়া বিদ্যুতের তার। ছবি তোলার পুরা ব্যাপারটাই আসলে কম্পোজিশান, তাই না?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
কবি ভাই যা বলেছেন সেটাও ঠিক।
কিন্তু আমার ক্ষেত্রে বহুবার এই তার জিনিসটা বহুত ঝামেলা পাকিয়েছে।
অণুদার মতো আমারও ছবির মধ্যে তার অপছন্দ
মেঘের ছবিগুলো বেশ সুন্দর
হিল্লোল
ধন্যবাদ হিল্লোল আপানকে ।
চমৎকার সব ছবি।সকালে ঘুম ভেঙ্গে এমন দৃশ্য দেখলে মন এমনিতে ভাল হয়ে যায়।ভাল তুলেছ।
ভালো লাগলো যে তোমার মন ভালো করে দিতে পারলাম। ভালো থেকো । ক্যামেরা তেমন ভালো না তাই হয়ত অতটা ভালো হয়নি। তবে মেঘের খেলা সত্যই সুন্দর।
দারুণ লাগল ছবিগুলো ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শহরটি কি 'মানে'র সংক্ষিপ্ত রূপ হিসাবে 'মা' নামে পরিচিত? ওখানকার বর্ষাকাল দেখছি বাংলাদেশের মতই! 'মা'তেও রয়েছে 'টিনের ঘরে রিমঝিম শব্দ'? আপনাকে হিংসে হচ্ছে ১ নং ছবিটি দেখে!
আপনার লেখায় কাব্যিকতা রয়েছে; সামনে আরো নিয়মিত লিখবেন আশা করছি!
সঠিক ধরেছেন এটা মানের সংক্ষিপ্ত রুপ। এখানকার বর্ষা আমাদের মতই তবে শুরু হলে একটানা ৪-৫ দিন ধরে চলে। আমি টিনের ঘরে থাকি তাছাড়া ছাদের পরিবর্তে টিনের প্রচলনই এখানে বেশি । এই দৃশ্য আমার প্রতিদিনের । তবে বর্ষকালে এটার দেখা আরও বেশী মেলে।
লেখার চেষ্টা করছি। নিয়মিত হতে চাই সবসময় ।
ছবি, লেখা দুটোই দুর্দান্ত!
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না
ধন্যবাদ ওডিন আপনাকে।
কোট-ডি-ভোয়া (উচ্চারণ ঠিক হলো তো?) নিয়ে আরো জানতে ইচ্ছে করে। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। ছবি কয়েকটা ভাল হয়েছে।
উচ্চারণ হবে কোত দি ভোয়া । আমার এটা ২য় লেখা। আর একটা লেখা আছে দোজো সম্প্রদায় নিয়ে। লিংক ট্রাই দিলাম যাচ্ছে না। অভিজ্ঞতা সঞ্চারিত হচ্ছে শেয়ার করবো শীঘ্রই ।
ভালো থাকবেন।
ভাল লাগল। চালিয়ে যান।
ধন্যবাদ আপনাকে । চলছে কোন মতে , দোয়া করবেন।
ছবিগুলো খুব সুন্দর এসেছে।
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার মতো ক্যামেরা থাকলে আরও ভালো আসতো । সনি সাইবার সটে যা হয়েছে আর কি। ভালো থাকবেন।
প্রথম ছবিটা দারুণ লাগলো। অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে ভালো লাগলো।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
ধন্যবাদ আশালতা আপনাকে। আমি নিয়মিতই তাকিয়ে থাকি আর অবাক হই প্রকৃতির এই বৈচিত্র্য দেখে।
আপনি কি দেশের বাইরে থাকেন নাকি? লেখা ভালো লেগেছে। কারেন্টের তারো। ওগো বিদুৎ দেখলাম
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ক্রেসিডা ,আপনার তাতে কোন সন্দেহ আছে নাকি? লেখা ভালো লেগেছে এই নেন । তারসহ আর ছবি দেখবেন না। অনু ভাইয়ের ভালো লাগেনা তার।
চমৎকার জায়গা। ঘুম ভেঙ্গে এত সুন্দর দৃশ্য যে দেখতে পায় তাকে হিংসে হচ্ছে খুব। নাহ, আমি দিন কে দিন হিংসুটে হয়ে যাচ্ছি।
হিংসা কইরেন না এই নিন (গুড়)
বান্দরবান, খাগরাছড়ি বা সুনামগঞ্জে গেলে ভোরে সবার আগে উঠেই যা দেখতে ইচ্ছা করে তা হলো পাহাড় আর মেঘের খেলা। পাহার আমার বরাবরই খুব পছন্দের জিনিশ
ছবিগুলো ভালো লাগলো। আরো তুলুন, আরো লিখুন ... ...
(৭ আর ৮ তো একই !!!)
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
এবার দেখি বান্দরবানে যাবো তখন মেঘ আর পাহাড়ের ফটক তোলা যাবে।বান্দরবানের নীলগিরি গিয়েছেন নাকি অ ত্রি দা ? শুনেছি নাকি বেশ ভালো মেঘ আর পাহাড়ের খেলা জমে সেখানে।
৭ ও ৮ নং ছবি একই- প্রিভিউ এর সময় ঠিক করে নেয়া দরকার ছিল। ধন্যবাদ দাদা , ভালো থাকবেন।
অনেক সুন্দর...
ওখানকার আরও লেখা চাই(ছবিও)...
ধন্যবাদ আপনাকে। আরও লেখা আর ছবি পাবেন পরবর্তীতে ।
লেখা এবং ছবিতে এরকম মেঘের দল কাছে জমে থাকতে দেখলে ইচ্ছে করে তাদের উপরে চেপে বসি, তারপর উড়ে চলে যাই দূরে কোথাও।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
আমারও তাই মনে হয় তবে এখন কাছে গিয়ে খুব ধরতে ইছছে করে। একদিন পাহাড়ে গিয়ে মেঘ ধরার ইচ্ছে আছে।
ধন্যবাদ দাদা আপনাকে ।
বেশ হয়েছে ছবিগুলো। লেখাও। ৭ / ৮ একই।
ধন্যবাদ আপনাকে। ৭/৮ আসলেই একই । একটু ভুল হয়েছে ।
জায়গাটার সৌন্দর্য ছবিতে ঠিকমতো বোঝা যাচ্ছে না। ছবিগুলোও পুনরাবৃত্তিপ্রবণ হয়েছে। আপনি কি এ শহরেই থাকেন? ভালো হতো যদি মেঘ, রোদ, কুয়াশা, বৃষ্টি সবকিছুর ছবি নিয়ে একটা ফটোব্লগ দিতে পারতেন।
একটা চিন্তা মাথায় এলো। ফরাসিরা বলে কোত দিভোয়া, জার্মানরা বলে এলফেনবাইনকুয়স্টে, স্প্যানিশরা বলে কোস্তা দে মারফিল, কিন্তু আমরা বাংলায় কেন এই দেশটাকে ইংরেজি নাম আইভরি কোস্ট হিসেবেই চিনি? দেশের নামও যে অনুবাদযোগ্য, সেটা এই উদাহরণ থেকে বোঝা যায়। একে গজদন্ততট বা এরকম কোনো নামে ডাকলে অনেক কথা শুনতে হবে, যদিও অন্য ভাষাভাষীরা এ কাজটাই করে চলছে।
আফ্রিকান মানুষের নামও মাঝে মাঝে অনুবাদযোগ্য হিমু ভাই। আমার সাথে এক জিম্বাবুইয়ান কাজ করত তার নাম Rejoice, কারণ তার ভাষায় তার নামের অর্থ ঐ। এদেশে কাউকেই সে তার আফ্রিকান নাম বলে না, এমনকি লিগ্যাল পেপারওয়ার্কেও তার নাম রিজয়েস
..................................................................
#Banshibir.
তার মানে জিম্বাবুয়েতে উৎপল শুভ্রকে অন্য কোনো নামে ডাকা হয়?
..................................................................
#Banshibir.
অনু দা , আমি এ শহরেই আছি বেশ কিছুদিন । পুনরাবৃত্তি হয়েছে এটা ঠিক তবে মেঘের খেলা এখানটাতে একটু বেশী মনে হয়। এর পর এ জায়গার আরও সৌন্দর্য আর মেঘ, রোদ , কুয়াশা , বৃষ্টির কম্বিনেশনে আলাদা একটা ফটো ব্লগ দেয়ার ইচ্ছা আছে।
যেহেতু ব্রিটিশরা এটাকে আইভরি কোস্ট বলে সেখান থেকেই আমাদের কাছে এই নামটা আসা। অন্য ভাষাভাষীদের সাথে তুলনা করলে গজদন্ততট বলাটা আমাদেরও সাজে তবে অফিসিয়ালই আমরা আইভরি কোস্ট নামেই দেশটিকে চিনি।
@হিমু ভাই, কোত দিভোয়ার-এর সরকারী নামই কোত দিভোয়ার। বিশ্বজুড়ে এটার পরিচিতি (জাতিসংঘে ও এই দেশ এই নামেই সদস্যপদ লাভ করেছে) এরকমই, অন্ততঃ আইভরিয়ানরা সেটাই বলতে চায়। ইংরেজরা তো ফরাসীদের দেখলেই উল্টো-পাল্টা সব কারবার করে বসে। ফ্রেঞ্চ কিস, ফ্রেঞ্চ লিভ, ফ্রেঞ্চ উইনডো ইত্যাদি। আইভরি কোস্ট এর সুন্দর একটা বাংলা নাম আছে কিন্তু ' গজমোতির কূল'। @মঁসিয়ু, সরি, ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
কিন্তু আইভরি তো গজমোতি না।
খুব সুন্দর একটা জায়গায় থাকেন আপনি যেখানে পাহাড়চূড়ায় মেঘ ছুয়ে যায়। তবে আর ও কিছু ছবি দিলে ভাল হত অমি।
তা আপনি মন্দ বলেননি একেবারে পাহাড় আর মেঘের অপূর্ব খেলা এভাবে দেখা যায় না সচরাচার সেই বিচারে জায়গাটা খুব সুন্দর।
আরও কিছু ছবি দেয়া যেত তাহলে মেঘ পাহাড় ছাড়া অন্য কিছুর ছবি দিতে হত। এর পর দেখি এখানকার অন্যান্ন অনেক ছবি নিয়েই একটা ছবি ব্লগ দেব।
ভালো থাকবেন ।
জায়গাটির সাথে আমাদের বান্দরবানের অনেক মিল আছে মনে হলো। তবে জায়গাটি কি সারা বছরই এমন মেঘের চাদরে ঢাকা থাকে কম-বেশি?
বর্ষাকালে খুব বেশি যেমন এই সময়।
চমৎকার ছবিব্লগ। আফ্রিকার দেশগুলো কি ছবিতে বেশী সুন্দর নাকি? এত গরমের গপ শুনি, কিন্তু এখানে তো রীতিমত সবুজ বর্ষা!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড় সন্ধানী ভাই । ছবির মতই দেশ ও অনেক সুন্দর। এখানকার মানুষ , এদেশের প্রকৃতি , আবহাওয়া সবি খুব সুন্দর। গরম খুব বেশি না এখানে। রাতের বেলা কাথা ছাড়া ঘুমানো যায় না । দিনের বেলা খোলা আকাশের সূর্যের নিচে বেশ গরম তবে যে কোন শেডের নিচে গেলেই একটা শীতল ভাব অনুভুত হয়।
আর সবচেয়ে মজার হল অনেক জার্নি করার পরও আপনি ক্লান্ত হবেন না কারন আপনি ঘামাবেন না এত সহজে।
টিনের চালে বৃষ্টির ছবিটি দেখে অবাক হলাম।আর আপনার থাকার জায়গাটাও অনেক সুন্দর।আপনি তো অনেক প্রবাসীর চেয়ে ভাগ্যবান,ওখানেও টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনতে পান!
আসলেই ভাগ্যবান আমি। এখানে দেশের মতই মেঘ, বৃষ্টি , বিজলী চমকানো , টিনের উপর টাপুর টুপুর শব্দের মূর্ছনা একেবারে মন ভরে যায় । আর বৃষ্টি যখন হয় একেবারে গলগল করে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
চমৎকার লেখা। ছবিও কয়েকটা খুব সুন্দর। কম্পোজিশানের দিকে আরেকটু নজর দিলে একেবারে ফাটাফাটি হত। আরও লিখুন।
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ধন্যবাদ ত্রি ক দা। ছবি তোলায় একেবারে কাচা হাত আমার। এতদিন ধরে শুধু নিজের ছবিই তুলছি এখন থেকে নিজের বাদে অন্য কিছু সুন্দর ছবি তোলার একটা তাগিদ অনুভব করলাম।
আরও লিখব । ভালো থাকবেন ।
কয়েকটা ছবি খুব ভালো লেগেছে। কয়েকটা ততটা নয়।
কিন্তু ছবি, লেখা, সব মিলিয়ে সুন্দর।
যেগুলো আপনার ভাল লেগেছে তাতেই মন ভরে গেছে। এরপর দেখি সবগুলোই ভালো লাগানো যায় কি না?
ধন্যবাদ প্রদীপ্ত দা। ভাল থাকবেন।
ভাল লাগলো বর্ণন ও ছবিগুলোও।
ধন্যবাদ প্রৌড় দা। ভালো থাকবেন।
নতুন মন্তব্য করুন