অভিযোজন কাহিনী – সুইজারল্যান্ড ৬

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি
লিখেছেন ইয়াসির আরাফাত [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/০৭/২০১২ - ৮:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশ ছেড়ে বাইরে থাকা যুগপৎ সুখের এবং বেদনার ব্যাপার। সুখ এইজন্য যে, আয় এবং ব্যয় সঙ্গতিপূর্ণ। সুখ এইজন্য, কারণ লোডশেডিং নেই। সুখ এইজন্য, সরকারী অফিসগুলো ঘুষ ছাড়াই কাজ করে দেয়। সুখ এইজন্য, কথায় কথায় স্থানীয় প্রভাবশালী মাস্তানেরা ধমক দিয়ে যায় না। এতসব সুখের ভীড় ছাপিয়ে কেবল দুঃখটাই প্রবল হয়ে ওঠে, নিঃসঙ্গতা। চেনা মানুষগুলো কেউই যে পাশে নেই!

আমরা তিনজন নিজেরাই নিজেদেরকে সঙ্গ দিয়ে যাই। দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি আমাদের কখনো আনন্দ দেয়, কখনো মন খারাপ করিয়ে দেয়, কখনোবা বিরক্তিরও উদ্রেক করে। এতসবকিছু থাকার পরও জীবনটা একঘেয়ে হয়ে যেতে পারত, যদি কিছু মানুষ ক্রমাগতভাবে আমাদেরকে নিয়ে ভাবাভাবি না করত। যারা আগের পর্বগুলো পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কাদের কথা বলছি। আমার প্রিয় দুই প্রতিবেশী অনেকভাবে এজেন্সীকে বলার চেষ্টা করছেন, আমরা সভ্যসমাজের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাদের বিরক্ত করে চলেছি। তারা নিয়ম করে প্রতি দুই সপ্তাহে একবার আমাদের নামে অভিযোগের চিঠি পাঠাচ্ছেন। এজেন্সী সেই চিঠি পাঠাচ্ছে আমাকে। আর আমি দুই অভিযোগের জবাব এক চিঠিতে দিয়ে দায় সারছি। কেউই কাউকে পছন্দ করতে পারছে না। চার পক্ষের বিরক্তি চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে।

হঠাৎই একটি সংবাদ আমাদের জীবনে নিয়ে এলো স্বস্তি। সহজ একটা টেস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাদের সংসারে নতুন অতিথি আসছে। অনাবিল আনন্দের পাশাপাশি অন্য একটি কারণেও আমাদের মুখে হাসি ফুটল, কারণ অনেক সমীকরণ সহজ হয়ে গেল।

এদেশে আসার কিছুদিনের মধ্যেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম এই জায়গা আমার জন্য নয়। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন নেই, ভাষা জানি না, ব্যয়বহুল জীবনযাত্রা, সব মিলিয়ে দম বন্ধ হয়ে আসে। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সুযোগ পেলেই তুলনামূলকভাবে সুবিধাজনক অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাবো। আর কিছু না হোক শখানেকের বেশি বন্ধু, সুহৃদ আছে, ভুলে যেতে বসা স্যোশাল লাইফের পুনরুজ্জীবন তো ঘটবে!

ঠিক হলো, আমার স্ত্রী বাংলাদেশে চলে যাবেন, মাতৃত্বকালীন সময়ে যে বাড়তি যত্নের প্রয়োজন তা এখানে সম্ভব নয়। নিরানন্দ সুইজারল্যান্ড থেকে মুক্তির আনন্দে তার মুখ উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। তিনি অল্প সময়ের জন্য বাচ্চাকে ফ্রেঞ্চ স্কুলে দেয়ার পক্ষে ছিলেন না, বাংলাদেশে চলে যাবার ফলে ছেলের স্কুলের সমস্যা মিটবে। বড় বাসার আমাদের আর প্রয়োজন নেই, কাজেই আমি নিশ্চিন্তে এজেন্সীকে জানিয়ে দিতে পারি যে তোমাদের বাসায় আমরা থাকছি না, টা টা। আমি প্রতি দুই-তিন মাসে একবার বাংলাদেশে ঘুরে আসব সপ্তাহ-দশ দিনের জন্য। নবজাতকের কাগজপত্র তৈরী হয়ে গেলে কোন এক শুভক্ষণে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে উড়াল দেব। ভেরি ওয়েল সেট প্ল্যান।

চার দিনের মাথায় নীল কাগজে লেখা একটা রেজিস্টার্ড চিঠি এলো। এজেন্সী জানাচ্ছে যে পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী (পর্ব ৫ দ্রষ্টব্য, নতুন অভিযোগ পাইবামাত্র অ্যাপার্টমেন্ট ছাড়িবার নোটিশ দিতে বাধ্য থাকিব) আমাদের বাসা ভাড়ার চুক্তিপত্র বাতিল করা হচ্ছে, ৪৫ দিন সময়, আমরা যেন ৩১ শে মার্চ ২০১২ এর মধ্যে বাসা খালি করে দেই। তোফা! এজেন্সীকে চিঠিটা পর্যন্ত লিখতে হলো না, ওরাই পাঠিয়ে দিয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাসা ছাড়ার আগে আমাকে চার মাসের নোটিশ দিতে হতো, এখন ৪৫ দিন পরেই মুক্তি পাচ্ছি। সোনায় সোহাগা আর কাকে বলে!

সেই মুহুর্তেই জবাব লিখে পাঠিয়ে দিলাম, তোমাদের চিঠি পেয়েছি এবং সানন্দে বাসা ছেড়ে দিচ্ছি ৩১ শে মার্চ। তারপর কল দিলাম জুরিখে আমার স্ত্রীর ভগ্নিপতিকে। তিনি কম খরচে প্লেনের টিকেট কেটে দেবার ব্যবস্থা করলেন। খবর জেনে ঢাকার দুই বাসাতেই আনন্দের বন্যা বয়ে গেল। আমার পুত্রের দাদা-দাদি, নানা-নানি, খালা, চাচা, ফুপু সবাই তাকে বড়ই মিস করছিল, এবার তারা খুশি। সাথে উপরি পাওনা নতুন জন। আমি সঠিক (!) সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অনেক সাধুবাদ পেলাম বলাই বাহুল্য।

দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়ে রওনা দিলাম ঢাকায়। কোন পূর্বাভাস ছাড়া হঠাৎ এভাবে হাজির হয়ে যাওয়াতে অনেক বন্ধু বেশ বিস্মিত হলো, কেউ কেউ আশংকা করল খারাপ কিছু ঘটেছে কিনা। সবাইকে আলাদাভাবে বিস্তারিত বলতে গিয়ে হাঁপিয়ে যাচ্ছিলাম। ভাবলাম একটা কাজ করি, লিখে ফেলি আগাগোড়া। আবার কেউ জিজ্ঞেস করলে মেইল করে পাঠিয়ে দেব। লিখতে থাকার মাঝে মনে হলো, সচলায়তনে প্রকাশ করার চেষ্টা করলে কেমন হয়? আমি নীরব পাঠক, কেবল পড়ি, মন্তব্য করা হয় না একেবারেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সচলের মডারেশন পার হতে পারব কি না? অতশত ভেবে লাভ কি? বিফল হবার সম্ভাবনা মাথায় রেখেই পোস্ট করে দিলাম প্রথম অংশটুকু। কি আশ্চর্য! ঘন্টাখানেকের মধ্যেই নীড়পাতায় লেখা দেখতে পেলাম। কি যে অদ্ভুত আনন্দ পেয়েছিলাম সে আর বলার নয়। মনে মনে ধন্যবাদ দিলাম সেই মডারেটরকে, যিনি লেখাটি কষ্ট করে পড়েছেন এবং প্রকাশিত হবার সুযোগ করে দিয়েছেন। পরবর্তী দুর্ভাবনা, পাঠক প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? এই সচলে সবাই মুখফোড়, কেউ রাখ ঢাক করে সমালোচনা করেন না, যা বলার স্পষ্ট ভাষায় সরাসরি বলে দেন। “এই লেখা মডারেশন পার হলো কেমন করে” শুনতে কেমন লাগবে তাই ভাবছিলাম। আশঙ্কা মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে অনেকেই যখন উৎসাহ দিলেন, বুকে বল পেলাম খুব। প্রিয় পাঠক, আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনারা নিরুৎসাহিত করলে আর লেখাই হতো না হয়ত।

যা বলছিলাম, আমার স্ত্রী আর পুত্র ঢাকায় রয়ে গেল, আমি লুজানে ফেরত এলাম একা। এয়ারপোর্টে ঢোকার পর থেকেই মিথ্যে আনন্দের মুখোশটা মুখ থেকে খুলে গিয়েছিল, মুখে যতই বলি না কেন, আমরা দুজনেই জানতাম এই সিদ্ধান্ত সহজ নয়। প্রায় এক বছর পুত্রের মুখ বেশিরভাগ সময়ের জন্য দেখব না, এটা মেনে নেয়া কঠিন। কেবলই মনে হতে লাগলো, কি আর হবে, সব ছেড়ে ছুঁড়ে চলে যাই। একটা চাকরী কি পাব না ঢাকায়? না হয় থাকলাম কষ্ট করে এক বছর, আবার চলে আসার সুযোগ তো থাকছেই। তারপর মনে পড়ল দেশের বাইরে চাকরী নিয়ে চলে আসার আগেকার কথা। মামা-খালুর খুঁটির জোর বড় ভয়ানক দরকারী জিনিস প্রিয় জন্মভুমিতে, সব সময় নিজের যোগ্যতায় চাকরী পাওয়া সহজ নয়। সিমেন্সে জয়েন করেছিলাম ২০০৫ সালে, তখন ঢাকায় টেলিকম বুম চলছে। এক এক জন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের হাতে তিন চারটা করে চাকরির অফার, যে যার মত যাচাই করে সুবিধাজনক কোম্পানীতে যোগ দিচ্ছে। চাকরী পাওয়া তখন কোন ঘটনাই নয়। ২০০৮ এর দিকে মনে হতে লাগলো, এক কোম্পানীতে অনেক দিন হলো, এবার কিউবের অন্য পিঠগুলোও দেখা উচিৎ। প্রায় এক বছর যাবৎ বিভিন্ন ওপেনিংয়ে ট্রাই করলাম, ফলাফল শূন্য। পরিচিতদের অনেকেই ধুমসে চাকরি বদল করে চলেছে, কোন সমস্যাই হচ্ছে না। নিজের কোয়ালিফিকেশন নিয়েই সন্দিহান হয়ে পড়লাম একসময়, হীনমন্যতা বড় খারাপ জিনিস! অবশেষে ২০০৯ এর মাঝা মাঝি যখন একসাথে দুটো দেশ থেকে চাকরির প্রস্তাব পেলাম তখন কিছুটা আত্মবিশ্বাস ফিরে এলো। কিন্তু এখনকার চিন্তা হচ্ছে দেশে ফিরে গিয়ে আবার সেই কুচক্রে পড়ব নাতো?

একলা জীবনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকলাম, আগেই এই প্রস্তুতি নেয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু সত্যি সত্যি একা হবার আগে পর্যন্ত তীব্রতাটা অনুভব করতে পারি নি। প্রথম প্রস্তুতি, নিজের রান্না নিজে করে খাওয়া। স্বভাবে প্রচন্ড অলস আমি কখনোই এই কাজটি করি নি। খুব সাধারন কিছু রান্নাও আমার জানা নেই। চলে যাবার আগে সহধর্মিনী কিছু ট্রেনিং/টিপস দিয়েছিলেন, কিন্তু রাতের ঘুমের মধ্যে সেটা খেয়ে ফেলেছি বলে আমার ধারণা। বিপদ বুঝে ঢাকা থেকে বেশ অনেকটা রান্না করা খাবার ফ্রোজেন অবস্থায় দিয়ে দেয়া হয়েছে, তিন চার সপ্তাহ নিশ্চিন্তে চলে যাবে তাতে, কেবল ভাত রেঁধে নিলেই হবে। সেটা কোন ব্যাপার নয়, রাইস কুকার রয়েছে। দ্বিতীয় প্রস্তুতি, সময় কাটানো। কোন ব্যাপার নয়, ইন্টারনেট তো আছেই, সাথে বাসা খোঁজার ঝামেলা আছে না? সময় মাত্র ২৫ দিন। ৫ই মার্চ ফেরত এসেছি, বাসা খালি করে দিতে হবে ৩১ তারিখে। দিনরাত বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়াই, এক বা দুই রুমের বিজ্ঞাপন গুলো দেখি। লোকেশন আর দর পছন্দ হলে বাসা দেখার অ্যাপয়েন্টমেন্ট ঠিক করার চেষ্টা করি। বেশিরভাগই সফল হয় না। কারণ ভাষার সেই অনতিক্রম্য ব্যবধান। যাচ্ছি যাব করে ফ্রেঞ্চ ক্লাসে আর ভর্তি হই নি। অফিসের পলিসিও কিছুটা দায়ী অবশ্য। নিয়ম হচ্ছে অফিসের নমিনেটেড স্কুলে যেতে হবে, নিজের পকেট থেকে আগে টাকা দিতে হবে, পাস করলে সার্টিফিকেট দেখিয়ে টাকা তুলে নিতে হবে। গোল বাঁধিয়েছে ওই নমিনেটেড স্কুল। ওখানে কোর্স ফি দু’হাজার ইউরো। অল্প দিনে দু’বার ঢাকায় গিয়ে একাউন্ট খালি করে ফেলেছি, আপাততঃ এই কোর্স বাদ।

যাই হোক, একে একে ছয়টি অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া গেল। চারটিতে গেলাম, দুটি বাতিল হয়ে গেল এরই মাঝে বাসা ভাড়া হয়ে গেছে বলে। বাসা দেখে পছন্দ হলে অ্যাপ্লিকেশন দেবার নিয়ম। আবেদনপত্রের সাথে কি কি লাগে তার একটা তালিকা দ্বিতীয় পর্বে দিয়েছিলাম। তিনটা বাসার জন্য আবেদন করা গেল। চতুর্থটি বাদ কারণ একই এজেন্সীর দুটো বাসার জন্য একই সাথে অ্যাপ্লাই করা যাবে না। প্রথমটা ভাড়া হয়ে যাবার পর সুযোগ থাকলে দ্বিতীয়টা, তারপর তৃতীয়, চতুর্থ ইত্যাদি। আবেদনকারীকে নিজের বিবেচনায় ঠিক করতে হবে কোন বাসাটি পাবার সম্ভাবনা সর্বোচ্চ, তারপর সেটার জন্য এগোতে হবে। যে বাসার ভাড়া কম সেখানে গিয়ে লাভ হবে না, কমপক্ষে তিরিশ জনের সাথে পেরে ওঠার কোনই সম্ভাবনা নেই, প্রেফারেন্স লিস্টে বাংলাদেশীরা (পড়ুন দক্ষিন এশীয়) অনেক নিচের দিকে। তিনটি থেকেই রিজেক্টেড হলাম। সুন্দর সুন্দর চিঠি আসে, আমরা খুবই দুঃখিত যে এই বাসাটি তোমাকে দিতে পারছি না, দয়া করে আমাদের কোম্পানীর ওয়েবসাইটে যাও এবং অন্যান্য বাসার খোঁজ কর। ধন্যবাদ।

বিপদের চিত্রটা পরিস্কার হতে থাকলো। এখানে এজেন্সীগুলো একাট্টা, নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ খুব ভালো। একটা অ্যাপ্লিকেশন পেলে প্রথমে এরা যে কাজ করে সেটা হচ্ছে আগের এজেন্সীর কাছ থেকে সেই লোকের খোঁজ খবর করা। যেইমাত্র শোনে আমাকে আগের বাসা ছাড়ার নোটিস দেয়া হয়েছে, তক্ষুনি রিজেকশন লেটার পাঠিয়ে দেয়। মারাত্মক চিন্তায় পড়ে গেলাম। কি করি?

(চলবে)

ইয়াসির


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

সুইসগুলোর ব্যবহার এতো খারাপ?? ভাগ্য ভালো ঐদিকে ট্রাই করিনি। জার্মানরা সেই তুলনায় অনেক ভদ্র মনে হয়।

--ফ্রুলিক্স

ইয়াসির এর ছবি

ইতিমধ্যেই বেশ অনেকগুলো মন্তব্য চলে এসেছে, তাই সাবধান হয়ে রিপ্লাই দিচ্ছি। খেয়াল করে দেখবেন আমি কেবল আমার সমস্যা নিয়েই নানান ভাবে কথা বলে চলেছি, যেগুলো না ঘটলে হয়তো এই লেখার প্রয়োজনই পড়ত না, আর দশটা গড়পড়তা প্রবাস জীবনের মত আমারটাও হতে পারত "চলে যাচ্ছে" টাইপ। তাই আমি বলব আমার ঘটনাটিকে ব্যতিক্রম ধরে নিতে হবে, কারন মাহমুদ ভাই এবং দেবাশীষের জীবন কোন কমপ্লেইন ছাড়া চলছে যথাক্রমে তিন এবং চার বছর ধরে। আপনার আগ্রহ থাকলে আপনি নিশ্চিন্তে এদিকে ট্রাই করতে পারেন। জার্মানদের প্রসঙ্গ যখন চলেই এসেছে, আমার অভিজ্ঞতার কথা বলি। আমি গত সাত বছরে বারো জনের মত জার্মান কলিগ পেয়েছি। এগারো জনই নিপাট ভদ্রলোক/ভদ্রমহিলা, যাকে বলে একেবারে মাটির মানুষ। শুধু একজনকে পেয়েছিলাম একটু চাঁছাছোলা, সুযোগ পেলেই অধীনস্তদের গালিগালাজ করত। কাজেই আমার হিসাবে ৯০ শতাংশ জার্মান স্বভাবে ভদ্র।

সুমাদ্রী এর ছবি

বোন শঁস মঁ ফ্রের।

আপনি দারুণ লেখেন। আপনি মডুদের ভয় পাবেন কেন? আপনার লেখাগুলো পড়ছি মন দিয়ে, জেনেভার দিকে কাজ করার আগ্রহ আছে, জেনেভা ভাল লেগেছিল খুব, তবে মাত্র একদিনের দেখা তো, যা দেখেছি সব ভুলও হতে পারে, তাইতো আপনার লেখা মন দিয়ে পড়া।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

ইয়াসির এর ছবি

চারটার মধ্যে তিনটা শব্দের মানে বুঝেছি, মানে ৭৫%। মন্দ নয়, কি বলেন?
যদি সুইজারল্যান্ডে আসেন তাহলে লোকেশন নিয়ে ভাববেন না, এখানকার শহরই কম বেশি সুন্দর, তবে কিছু কিছু এলাকা একেবারে মাত্রা ছাড়ানো দর্শনীয়।

দারুণ ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে

তারেক অণু এর ছবি

আপনার এই সিরিজের সবগুলো লেখা পড়েছি, কেন জানি মনে হয়েছে প্রথম থেকে আপনি সুইজারল্যান্ড এবং এর অধিবাসীদের মন থেকে পছন্দ করতে পারছেন না। মুস্কিল হচ্ছে কি, যদি দীর্ঘ দিন এই দেশে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার এই অপছন্দ একটা সময়ে আপনার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝেও সঞ্চারিত হবে। যেটি কোনমতেই ভাল কিছু নয়!

দেখুন বিশ্বের সব অঞ্চলেই ভাল এবং খারাপ মানুষ আছে, এদের নিয়েই জীবন চলে। কিন্তু আপনার লেখাতে কেবল ঋণাত্মক বিষয়গুলোই উঠে আসছে বারবার। এতটাই অপছন্দ হলে অবশ্যই ভবিষ্যতে অন্য কোথাও সেটল হওয়াটায় আপনার জন্য ভাল হবে ( এটি আপনার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার, এই নিয়ে আমি কোন পরামর্শ দিচ্ছি না)।

ভালো থাকুন সবসময়।

debashish এর ছবি

সহমত।
প্রথম মন্তব্যকারী যেমন আপনার লেখা পড়েই ভয় পেয়েছেন এবং ধরেই নিয়েছেন যে সুইসদের ব্যবহার খুব খারাপ।
সবাই যে একরকম হবে তা বোধকরি আশা করা উচিত নয়। আমি নিজে গত চার বছর ধরে জুরিখে আছি। আমি কিন্তু কমপ্লেইন করার মত কিছু পাইনি। আর আরেকটা ব্যাপার, আমরা আর কতজনের সাথেই বা মিশি, কত জনকেই বা চিনি। সেটা হিসেবে নিলে আপনার লেখার টোনটা একটু মিসলিডিং হয়ে যায়। আপনি নিজেও হয়ত সেভাবে বোঝাতে বা লিখতে চাননি যাতে করে লেখাটা ঢালাও অভিযোগের মত শোনায়। সুইজারল্যান্ড তো আর কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউএসএ এর মত অভিবাসীবান্ধব দেশ নয়। ভাষাও একটা দেয়াল যদি জানা না থাকে। সো সবকিছু মিলিয়েই প্রথমে একটু বিরক্তি আসতেই পারে। আমাকে কেউ প্রশ্ন করলে আমি বলব, সুইজারল্যান্ড থাকবার জন্য চমৎকার জায়গা। নিতান্তই ব্যক্তিগত অভিমত।
তবুও, যেখানে আপনার ভাল লাগবে আপনি সেখানেই থাকবেন। আমরা সবাই তাই করি, তাই না?
আপনার অনাগত অতিথির জন্য অনেক শুভকামনা রইল। যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন।

ইয়াসির এর ছবি

আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনার কমেন্টটা একটু অবাক করেছে। আমার মতে এই লেখায় ঢালাও অভিযোগ নেই। আমি কয়েকটা স্পেসিফিক সমস্যার কথা লিখছি যেগুলোর মধ্য দিয়ে আমি গিয়েছি। খুব বেশি লোক এতে ইনভল্ভডও নয় (দুই প্রতিবেশী আর এজেন্সী)। তবে যদি পুরো সিরিজের ইন্টারপ্রিটেশন যদি এই করে থাকেন যে সুইস মাত্রই খারাপ, তাহলে সেটাকে আমি আমার লেখার সীমাবদ্ধতা বলে মনে করব, কারণ এরকম বলা আমার উদ্দেশ্য ছিল না মোটেই।

আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা। ভালো থাকবেন

Debashish এর ছবি

ইয়াসির, আমি লিখেছিলাম "ঢালাও অভিযোগের মত"। খেয়াল করবেন, প্রথম মন্তব্যকারীর করা মন্তব্যটি। তিনি (হয়ত তাড়াহুড়ায়) লিখেছিলেন "সুইসদের ব্যবহার এত খারাপ ??" (তখনও আপনার প্রতিমন্তব্য আসেনি)। সেই মন্তব্যের জের ধরেই আমি লিখতে চেয়েছিলাম যে আপনার "লেখাটির টোন" হয়ত মিসলিডিং হতে পারে।আমি বুঝতে পারছি আপনার অবস্থান। সেইজন্য খারাপও লাগছে। আশাকরি সামনের সময়গুলি উপভোগ করতে পারবেন।

ইয়াসির এর ছবি

তারেক ব্রাদার,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সময় করে সবগুলো লেখা পড়ার জন্য। আপনার কথা সত্যি, আমি এই দেশের অধিবাসীদের মন থেকে পছন্দ করে উঠতে পারি নি, সেটা আমার সীমাবদ্ধতা। কিন্তু দেশ পছন্দ না করে উপায় আছে? এত সুন্দর সাজানো গোছানো বাগানের মত পুরো দেশ, সত্যি মুগ্ধ হবার মত।

আপনি হয়তো খেয়াল করেননি, আমি কিন্তু লিখেছি এক্সিট প্ল্যানের কথা। যথাসময়ে সেটা করা হবে। আমি চাই না আমার সন্তানেরা এখানে বড় হোক (সেটার পেছনের হিসাব নিকাশ একান্তই আমার ব্যক্তিগত)। ভালো থাকবেন।

অঃটঃ আপনি ঘুরে বেড়ান আরো, খবর্দার মঙ্গল গ্রহে যাবার রিয়েলিটি শোতে নাম লেখাবেন না, ওখানে গেলে আমরা আর ভ্রমণ কাহিনীটা পাব না

ফাহিম হাসান এর ছবি

সুন্দর উত্তর দিয়েছেন। আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থাকতেই পারে। আর সেই অপছন্দের কথা সচলায়তনের পাতায় লিখতেই পারেন। আপনার লেখা পড়ে মনে হয় নাই যে আপনি ঢালাও অভিযোগ করছেন।

পল্লব এর ছবি

হুম, আমারো মনে হয়নাই লেখক এইখানে ঢালাও অভিযোগ করছেন। প্রথমে একটা লেখায় একটু সরলীকরণ থাকলেও লেখক শুধরে নিয়েছেন এখন। পুরো সিরিজটাই অল্প কয়েকজন মানুষকে নিয়ে লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। এর মধ্যে পাঠকরা এখন সরলীকরণ খুঁজে নিলে - সেটা সুইস বা লেখক যার মধ্যেই হোক - ব্যাপারটা দুঃখজনক।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

একটা জিনিষ আমি বুঝিনা আপনার যখন এতই খারাপ লাগে অন্য কোন দেশে চলে গেলেই তো পারেন!!
গত কাল ঘটে যাওয়া একটা ঘটনার উদাহরন দেই
আমরা বেশ কটা বাংলাদেশী ফেমিলি জারমাত থেকে ফিরছি মাঝ পথে Mcdonald থামলাম খাবারের বিরতিতে, এক বাংলালি ভদ্রলোক ওয়াস রুমে গিয়ে বেসিনে পা তুলে অজু করতে লাগলেন। এক সুইস লোক ওয়াস রুমে আসতেই তার গায়ে ওই বাঙালি ভদ্রলোকের কারনে পানির ছিটা পড়ল। এখন দোষটা কার? সুইস ভদ্রলোক তেমন কিছু না বলে শুধু বললেন কিপ ইউর কালচার ইন ইউর ওন কান্ট্রি বলে সে টিস্যু দিয়ে তার গা থেকে পানির ছিটা পরিষ্কার করলেন। বিদেশিটা যাবার পর বাঙালি ভদ্রলোক বললেন দেখছেন দেখছেন সাদারা কত খারাপ। সামান্য একটু পানি পড়তেই খোটা দিয়ে দিল। আমি কিছুই বলিনাই কারন আমিতো দেখছি দোষটা কার ।
আসলে ভাই নিজে যেমন দুনিয়াটা তেমন আমি ৩ বছর ধরে সুইজারল্যান্ড থাকি আজ পর্যন্ত তেমন কোন অভিযোগ নাই, যে দেশে থাকেন ওই দেশের মানুষদের সাথে মিশতে না পারলে নিজের দেশে চলে জাওয়াটাই মনে হয় বেটার।

ইয়াসির এর ছবি

আপনার চোখ রাঙ্গানিতে ভয় পেলাম। বিস্তারিত আলোচনায় গেলাম না, কারণ আপনি সেই মুডে নেই।

মাহমুদ.জেনেভা এর ছবি

আমি চোখ রাঙ্গানোর কে আমি এখানে একজন সাধারন পাঠক ? আপনার ৬ পর্বের সুইস “বদনাম নামা” দেখে মনে হল একান্তই যদি খারাপ কাটে পৃথিবীর কত চমৎকার যায়গা আছে কোথাও এক যায়গায় ঠাই করে নিতেই তো পারেন। আপনাকে আমি একটা পরামর্শ দেই। www.glocals.com নামে একটা অর্গানাইজেশন আছে যেখানে অনেক বিদেশি এবং সুইসদের মেম্বারশিপ আছে ওদের লুজানে ও একটা ব্রাঞ্ছ আছে। আপনি ওটার মেম্বার হয়ে যান দেখবেন আপনার সব অভিযোগ শেষ। তার উপর বাড়িভাড়া সহ নানান বিষয় নিয়ে ওরা আপনাকে সাপোর্ট দিবে। আমি আমার ফ্রি সময়ে ওদের সাথে আড্ডা দেই।
ইনফ্যাক্ট আপনাকে আমার জেনেভাতে দাওয়াত দেয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্ত আপনার বদনাম নামা দেখে ভয় পেয়ে গেছি। পরে ভাবলাম থাক আপনি কি না কি লিখে বসেন ফিরে গিয়ে

ইয়াসির এর ছবি

এবার আর না হেসে পারলাম না, সত্যিই ছেলেমানুষী একটা কমেন্ট দিয়ে বসেছেন। নিশ্চিন্তে থাকুন, আপনাকে নিয়ে কিছু লেখার সুযোগ আমিই আমাকে দেব না হা হা। আর যদি বানিয়ে বানিয়ে কিছু একটা লিখে দেই তাহলে ওপেন ফোরামে আপনার পাল্টা লেখার সুযোগ তো থাকলই।

কষ্ট করে লিংকটা দিয়েছেন বলে অনেক ধন্যবাদ।

তানজিম এর ছবি

"ইনফ্যাক্ট আপনাকে আমার জেনেভাতে দাওয়াত দেয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্ত আপনার বদনাম নামা দেখে ভয় পেয়ে গেছি। পরে ভাবলাম থাক আপনি কি না কি লিখে বসেন ফিরে গিয়ে"
ভালো লাগে নাই কথাটা চিন্তিত

mefisto এর ছবি

"নিজে যেমন দুনি্যা তেমন?" ক্যন? ভালো মাইনষের জন্য দুনিয়াটা খারাপ হইতে পারে না?
"দাওয়াত দেয়ার ইছা ছিলো, কি না কি লিখে বসে ফিরা গিয়া একারনে দা্ওয়াত দেন নাই" - হাহাহাহাহাহা্হাহাহাহাহাহ!!! মজা পেলুম!!!
-মেফিস্টো

তিথীডোর এর ছবি

একটা জিনিষ আমি বুঝিনা আপনার যখন এতই খারাপ লাগে অন্য কোন দেশে চলে গেলেই তো পারেন!!

বেশ আপত্তিকর মন্তব্য! অফ যা

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

গৌতম এর ছবি

সুইজারল্যান্ড বিষয়ে আপনার লেখা এবং মাহমুদ জেনেভার লেখা বিপরীত। আপনাদের ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর কারণে এমনটি হচ্ছে কিনা বুঝতে পারছি না, তবে দৃষ্টিভঙ্গীর বদলে ফ্যাক্ট উঠে আসা দরকার। কারণ এই লেখাগুলো শুধুই ব্যক্তির ডায়েরি নয়, পাঠকদের মনেও একটি দেশ সম্পর্কে চিত্র এঁকে দেয়, তথ্য দেয়। সুতরাং সেভাবে চিন্তা করে লিখলে আমাদের মতো পাঠকদের জন্য সুবিধা হয়।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ইয়াসির এর ছবি

গৌতম, আপনার কমেন্ট পেয়ে ভালো লাগলো। আমার মনে হয় এখানে দৃষ্টিভঙ্গির চেয়ে ঘটনাটাই বেশি প্রভাব ফেলছে লেখায়। আমি আমার সুইস জীবনের গল্পটা লিখছি। একটা কথা বলতে পারি, লেখাটিতে এক বর্ণও অতিরঞ্জন নেই। যেভাবে ঘটেছে, যে ক্রমে ঘটেছে, সেভাবেই লিখছি। দুর্ভাগ্য হলো, আমার অভিজ্ঞতাটা খারাপ। এখানে ঘটনার মধ্যে যেহেতু আমি নিজে জড়িত, সেই সময়ে আমি কি ভাবছিলাম সেটাও লিখছি। কাজেই ঋনাত্নক বর্ণনা চলে আসছে বারবার। "ফ্যাক্ট উঠে আসা দরকার" এই কথাটা যদি একটু ব্যাখ্যা করতেন ভালো হতো।

সুইজারল্যান্ডে শুধু খারাপ ঘটনা ঘটে এটা আমার বক্তব্য নয়, এটা সম্ভবও নয়। কিন্তু যদি প্রতিকুল পরিস্থিতি সম্বন্ধে একটা ধারণা থাকে তাহলে মন্দ কি? হোক সেটা ঘটার সম্ভাবনা মাত্র ৩৩% অথবা নিম্নতর?

ভালো থাকবেন

গৌতম এর ছবি

আপনার খারাপ লাগার অবস্থান বুঝতে পারছি- সেটা নিয়ে তাই কিছু বলি নি! বলতে চাইছি, আপনার আর মাহমুদ জেনেভার লেখা পড়ে আসলে এই দেশটা সম্পর্কে দুই ধরনের অভিজ্ঞতা হচ্ছে। আপনার এই সিরিজটা শেষ হলে নিজের ব্যক্তিগত অবস্থানটিকে ভুলে দেশটিকে নিয়ে আরো কিছু লেখা দিন- গড়পড়তায় বাঙালিরা সেখানে কীরকম আছে, যে অভিজ্ঞতাগুলো বললেন, সেগুলো অন্য দেশের ক্ষেত্রে কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি।

আপনার অভিজ্ঞতা খারাপের থেকে ভালোর দিকে যাক...

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ইয়াসির এর ছবি

আপনার এই সিরিজটা শেষ হলে নিজের ব্যক্তিগত অবস্থানটিকে ভুলে দেশটিকে নিয়ে আরো কিছু লেখা দিন- গড়পড়তায় বাঙালিরা সেখানে কীরকম আছে, যে অভিজ্ঞতাগুলো বললেন, সেগুলো অন্য দেশের ক্ষেত্রে কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি

একজ্যাক্টলি! আপনি কি ওয়ার্ডটা বলে দিয়েছেন, "এই সিরিজ শেষ হলে"। ঠিক এই কাজটিই করব বলে ভেবেছি একদম শুরু থেকে। যখন লেখা শুরু করি তখন ছয় পর্ব পর্যন্ত ঘটনা ঘটে গেছে, আমার ইচ্ছে ছিল এতটুকু বলেই সিরিজের ইতি টানার। কিন্তু পরের চার মাসে এমন কিছু ঘটনা আছে যেগুলো না লিখলে পুরো গল্পটা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে, কাজেই মনে হচ্ছে এই সিরিজ আমি আরও দুই পর্ব টানব। এরপর আসবে কেবলই ঘোরাঘুরির গল্প, আর কাঁচা হাতে তোলা ছবি, অন্ততঃ তিন পর্ব। দেখা যাক মডুদের কি ইচ্ছা!

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রতিমন্তব্যের জন্য।

পল্লব এর ছবি

চলুক

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

কাজি মামুন এর ছবি

প্রেফারেন্স লিস্টে বাংলাদেশীরা (পড়ুন দক্ষিন এশিয়) অনেক নীচের দিকে

ঠিক বুঝতে পারলাম না!
এমনিতে আপনার লেখা থেকে অনেক কিছু জানতে পারছি! তবে আমি অণু ভাই আর গৌতমদার সাথে একমত! দৃষ্টিভঙ্গির বদলে ফ্যাক্ট জরুরি, যেহেতু স্মৃতিকথার আদলে লেখা হচ্ছে! আর সত্যি তো, ভাল-মন্দ সব দেশেই আছে! খুব বেশি নেগেটিজম লেখার বস্তুনিষ্ঠতাকে ক্ষুন্ন করতে পারে!

ইয়াসির এর ছবি

বাড়িওয়ালাদের প্রথম পছন্দ সুইস (অথবা প্রতিবেশী জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ইটালিয়ান), দ্বিতীয় পছন্দ স্ক্যান্ডিনেভিয়ান (অথবা ইউ এস এ, ইউ কে কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মানুষ), তৃতীয় দুরের প্রতিবেশী (পর্তুগীজ, স্প্যানিশ ইত্যাদি), চতুর্থ ইস্ট ইউরোপীয়ান (পোলিশ, হাঙ্গেরিয়ান), পঞ্চম পূর্ব এশীয় (তাবৎ চৈনিক, জাপানী, কোরিয়ান) এরপর অবশিষ্টরা। এটা আমার বিশ্লেষন নয়, আমার রিলোকেশনের দায়িত্বে যে সুইস মহিলা ছিল তার।

যেহেতু আমি বানিয়ে কিছু লিখছি না, আমার মতে পুরোটাই ফ্যাক্ট। বস্তুনিষ্ঠতার ব্যাপারটা বুঝতে পারছি না।

হিমু এর ছবি

আপনি একেবারে শুরুতেই বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন বলে আপনার ভেতরে এক ধরনের রিজেকশন প্রবণতা চলে এসেছে হয়তো। বিশেষ করে ওখানকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আপনি যেহেতু একটা বড় পারিবারিক কমপ্রোমাইজ করতে একরকম বাধ্য হয়েছেন, একটা বড় ক্ষোভ আপনার মাঝে কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। আপনি যদি সামনে দীর্ঘ সময় সুইটজারল্যান্ডে কাজ করতে চান, আপনাকে ঠাণ্ডা মাথায় কিছু পরিকল্পনা নিতে হবে। কাজ চালানোর মতো ফরাসি ভাষা শিখতেও আপনার লম্বা সময় লাগবে, শুধু স্কুলে ভর্তি হলে বা সার্টিফিকেট পেলেই চলবে না। আপনি সম্ভবত পদে পদে বিভিন্ন অ্যাড হক সলিউশন খুঁজছেন, সেটা না করে আপনার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে বসে একটা লম্বা মাস্টারপ্ল্যান করুন। আপনার প্রথম সমস্যা বাসা, সেটাকে সলভ করলেই দেখবেন মাথা ঠাণ্ডা লাগছে। এরপরের "সমস্যা" ফরাসি ভাষাভাষী সুইস সমাজ, তাদের কাবু করতে হলে আপনাকে কাজ চালানোর মতো ফরাসি শিখতে হবে, ইনটেনসিভ কোর্স নিলে কমপক্ষে এক বছর। এভাবে শর্ট-মিডিয়াম-লংটার্ম টার্গেট ঠিক করে বসুন। হাঁসফাঁস বোধ করলে মাঝেমধ্যে বন্ধুদের ফোন দিয়ে গালাগালি করে মাথা হালকা করে নেবেন।

ইয়াসির এর ছবি

ক্ষোভের জায়গাটা আপনি ঠিক ঠিক ধরতে পেরেছেন, এরকম হবার কথা ছিল না। পরিচিত অপরিচিত অনেকেই বিদেশে থাকেন, কারও এমন হয়েছে বলে শুনি নি। আমি নিজে খুব গা বাঁচিয়ে চলা লোক, গোলমাল দেখলে সবার আগে সরে পড়ি। কারো সাথে আমার কখনো লাগে নি, না ঢাকায়, না লেগোস এ, না সেঞ্চুরিয়নে। বলতে পারেন নির্ঝঞ্ঝাট জীবন কাটিয়ে এসেছি একত্রিশ বছর। বত্রিশে ফেঁসে গেলাম। আমার অনভিজ্ঞতা আমার দুর্দশার জন্য অনেকখানি দায়ী, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমি ভালো নেই, এটা আমার লেখায় চলে আসছে, সত্যি কথা বলতে কি, নিজের দুরবস্থা ঢাকার চেষ্টা করছি না আমি। সহজ ভাষায় যা ঘটেছে তাই লিখছি। এটাকে যদি রিজেকশন টেন্ডেন্সী নাম দিতে চান, আমার আপত্তি নেই।

আপনার পরামর্শগুলো সত্যিই কাজের, বিশেষ করে বন্ধুদের সাথে সাথে গালাগালি করে মাথা হালকা করে নেবার ব্যাপারটা খুব পছন্দ হয়েছে। ভালো থাকবেন

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

পড়ছি।

ইয়াসির এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

হিমু ভাইয়ের সাথে একমত।
তবে নেগিটিভ কিছু তো লেখায় দেখি না। উনি ভুক্তভোগী।
একই বিল্ডিংয়ে যদি টিপিক্যাল ঐদেশী থাকে, বিশেষ করে বুড়ো-বুড়ি তাহলে জীবন পুরো তন্দুর। আপনার কপাল খারাপ। আমিও প্রাথমিক পর্যায়ে একটু সমস্যায় পড়েছিলাম। আমার নীচতলার বুড়ি সারাক্ষন বাসায় থাকতো। বাসাটাও ছিলো পুরনো। একটু জোরে হাটাচলা করলেই নীচ থেকে চিল্লাইতো। তবে বেশী চিল্লাইতো সন্ধ্যা ৮টার পর একটু জোরে কথা বল্লেই। কিছু বল্লেই বলতো পুলিশ ডেকে দিবো। পরবর্তিতে আমিও শয়তানী শুরু করে দিলাম। সকাল ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত শব্দ করলে ওর কিছু করার থাকতো না। আমি ড্রিল মেশিন দিয়ে ফ্লাটে এদিক-সেদিক খুচানো শুরু করে দিলাম। বুঝ ঠেলা।

খারাপ ভালো সব জায়গায়ই আছে। তবে সাধারনত ওরা বিদেশীদের পছন্দ করে না। বিদেশীরা এসে মোটামুটি ভালো আয় রোজগার করতেছে। ভালো একটি গাড়িও দৌড়াচ্ছে। ঐটা দেখে সাধারনদের তো জ্বলবেই। আমার ১০ বছরের অভিজ্ঞতা।
লেখা ভালো হচ্ছে। চলুক...............

--ফ্রুলিক্স

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হয় লেখককে তার মতো লিখতে দেয়া দরকার।

ফাহিম হাসান এর ছবি

একমত

ইয়াসির এর ছবি

একেবারে মনের মত একটা কথা বলেছেন। আপনাকে উত্তম জাঝা!

পল্লব এর ছবি

পুরোপুরি একমত।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

ফাহিম হাসান এর ছবি

ভাই, আপনি বিদেশে গিয়ে চিপার মধ্যে ছিলেন, স্পষ্ট করে সেই চিপার কথা বললেন - আমি এতে সমস্যার কিছু দেখি না। যে কোন দেশের ভালো আছে, মন্দ আছে - আপনি মন্দের ভালো কী পেলেন - সেটা আপনার ব্যাপার।

আপনার কপাল খারাপ - আপনার প্রতিবেশি আপনাকে ব্যাপক পেইন দিছে। সেটা আপনি লেখায় শেয়ার করতে চাইছেন - করেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করা দোষের কিছু না। খালি খেয়াল রাইখেন যে অতি সরলীকরণ যাতে না হয়ে যায়।

আপনার বাংলা লেখার হাত বেশ ভাল। রাম খচ্চর ঐ প্রতিবেশি ছাড়াও নিশ্চয় অনেক ভালো মানুষের সাথে দেখা হয়েছে। কোন সুহাসিনী সুইস তরুণীর সাথে পরিচয় হয় নাই? ওদের কথাও মিষ্টি করে দুই-একটা লাইন লেইখেন দেঁতো হাসি

গৃহবাসী বাঊল এর ছবি

ফাহিম, খুউপ খিয়াল কইরা, ভাবি আছে কিন্তু। একে তো প্রতিবেশী দিয়া অশান্তি, তার উপর আবার সুহাসিনী, সুবাসিনী সুইস তরুণীর কথা লিখলে ঘরেও অশান্তি শুরু হয়ে যাবে। তখন পুরা "ভিক্ষা চাই না, কুত্তা সামলা" সিচুয়েশন। চোখ টিপি

ইয়াসির এর ছবি

ফাহিম হয়তো বলতে চেয়েছেন, ভাবি তো নাই, দেশে চলে গেছে, এখন না হয় একটু.................।

মুশকিল কি জানেন, ঘুড়ি যত দুরেই উড়ুক, লাটাইওয়ালাই কিন্তু তাকে চালায় হাসি

বাপ্পীহায়াত এর ছবি

দেঁতো হাসি

ইয়াসির এর ছবি

"মাইনকা চিপা" কথাটা অনেক শুনেছি, বলেছি, কিন্তু সেটা কি জিনিস হাড়ে হাড়ে বুঝলাম এখানে এসে। দেঁতো হাসি
অতি সরলীকরণ এড়ানোর জন্য "সব সুইস এইরকম ব্যবহার করে বা বলে" জাতীয় বক্তব্য পরিহার করছি। ইন ফ্যাক্ট, এরকম বলার মত কোন কারণ ঘটে নি।

হাসপাতাল, শপিং মল, ট্যুরিস্ট অফিস, রেলের কাউন্টার, পোস্ট অফিস, প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট অফিস, লেকের ধার সর্বত্র সুহাসিনী সুইস তরুণীদের দেখা মেলে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে কারও সাথেই যাকে বলে "পরিচয়", তা হয়নি। ক্ষীণ লুপ্তপ্রায় কেশ, কিঞ্চিৎ স্ফীত উদর এবং বাকপটুতার অভাব এই তিনের কম্বিনেশনে সম্ভাবনা অ্যাবসলিউট জিরো। আমার স্ত্রী প্রায়ই ঠাট্টা করে বলেন, তুমি প্লীজ আরেকটা প্রেম করে দেখাও যে তোমাকে সঙ্গী করার মত বেকুব এই পৃথিবীতে একমাত্র আমিই নই।

লেক জেনেভার তীরে আমরা কয়েকটা ছোটখাট বারবিকিউ পার্টি করেছিলাম, চোখ রাইখেন সচলের পাতায়, উর্বশীদের কথা চলে আসতেও পারে চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

হাততালি

লতিফ হোসাইন

তারিক এর ছবি

আপনি যেভাবে লিখছেন, লিখতে থাকুন। সত্যি ঘটনা ভাল হলেও সত্যি, খারাপ হলেও সত্যি। এখানে তো আর আপনি সুইসদের সম্পর্কে বানোয়াট কথা বলেননি, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন। ওরা অন্যায্য কথা বললে/কাজ করলে, বা আপনার সাথে অসম আচরণ করলে আপনারও সেটা লিখে প্রকাশ করার অধিকার আছে।

বিদেশে আছি বলে ওদের সব কথায় জি হুজুর ভাব করাটা কিংবা মুগ্ধ হওয়াটা আবশ্যক নয়। ভাল খারাপ সব দেশেই আছে, সেটা শিক্ষিত পাঠক মাত্রেই জানে - আপনার লেখা পড়ে ঢালাও ভাবে কেউ সুইসদের খারাপ ভাবলে সেটা তার নিজের চিন্তার সীমাবদ্ধতা ও সংকীর্ণতা, আপনার লেখার দোষে নয়।

আপনার সন্তানদের জন্য থাকলো অনেক, অনেক শুভকামনা ।

ইয়াসির এর ছবি

আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা। ভালো থাকুন আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

অতৎপর সাইফ এর ছবি

আপনি কি ৯৮ ব‌্যাচের ইয়াসির ভাই?

ইয়াসির এর ছবি

জ্বী, কিভাবে বুঝলেন? খাইছে

অতৎপর সাইফ এর ছবি

হ্যাঁ, আসলে ওয়াইল্ড গেইস বলতে পারেন, সাথে কিছু কিছু তথ্য উপাত্ত মিলিয়ে মনে হচ্ছিলো আপনিই হবেন। আমি আপনার হলের এবং জুনিয়র ব্যাচ। আপনার লেখার হাত ভাইয়া যথেস্ট ভাল, অনভ্যাসের খুব একটা ছাপ নেই। আপনাদের সবার জন্য এবং অনাগত সন্তানের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
ভাল থাকবেন।

ইয়াসির এর ছবি

এইবার তো লজ্জ্বায় ফেলে দিলে ভাই, শুধু নামে তোমাকে স্পষ্ট মনে করতে পারছি না। আমার ধারণা ছিলো আমার রুমমেট শাহাব ছাড়া আমাকে আর আর কোন জুনিয়র চেনে না। কত নম্বর রুমে থাকতে তুমি?

আর্য এর ছবি

এইটা কি সেই ইয়াসির, যার সাথে আমি টিফিনের টাকা দিয়ে নীলক্ষেত থেকে কিনে গল্পের বই পড়তাম, আর দুই গোয়েন্দার কার্ড বানাতাম? দুনিয়াটা আসলে বেশি বেশি ছোট। ঠিক গতকাল থেকেই আমি মনে মনে তোকে খুজছিলাম, ফেসবুকে কতক্ষণ ঘাটাঘাটিও করলাম পাওয়া যায় কিনা দেখার জন্য, পেলাম না। পরে আজ দেখি আরেক বন্ধুর প্রোফাইলে এক ইয়াসিরের মন্তব্য। সেখান থেকে পেলাম তোর প্রোফাইল, সেখান থেকে পেলাম সচলের এই লেখাগুলো যেগুলো আমি অনেক আগেই পড়েছি, আবার ফেরত গেলাম ফেসবুকে, ইতিহাস দেখলাম, মনে হলো এটা তো তোরই হবার কথা!!!

ইয়াসির এর ছবি

বুড়ো হয়ে যাচ্ছি বোধহয়। আর্য নামটা মনে দোলা দিচ্ছে না কোন। এটা কি কোন নিক?
আমি আজকে ফেসবুকে প্রোফাইল দেখছিলাম ক্লাস সেভেনে হারিয়ে যাওয়া বন্ধু সুমন্ত সাহা'র। কাকতাল???

আর্য এর ছবি

কাকতাল বোধহয় না হাসি আমি ছাড়া আর কার সাথে দুই গোয়েন্দার কার্ড বানিয়েছিলি শুনতে চাই হাসি আর তুই করলেও আমি তোর সাথে ছাড়া আর কারো সাথে লালবাগের গলি ঘুপচি চষে বেড়াই নি

অতৎপর সাইফ এর ছবি

ভাইয়া, ৪১২ নং রুমে থাকতাম। আর হল ক্রিকেটেও খেলছিলাম আপনাদের সাথে। আহ, স্মৃতি তুমি বেদানা।

ইয়াসির এর ছবি

সত্যিই বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। তবে নামে না চিনলেও চেহারায় তোমাকে চিনব এটা গ্যারান্টি দিতে পারি এখনও।
শুধু দুঃখ স্বীকার করে পাশ কাটানো ঠিক হবে না, হাজার হলেও তুমি আমার সহখেলোয়াড়, দেখা হলে ভরপেট খাইয়ে দেব, ঠিকাছে?

প্রতিক এর ছবি

অভিজ্ঞতা ভাল হোক আর খারাপ হোক সত্যিটাই তো লিখেছেন। যে যেভাবেই নিক তাতে লেখক কে আক্রমণ কেন?

ইয়াসির এর ছবি

প্রথমে কিছুটা বৈরী মনে হলেও সার্বজনীন পাঠক প্রতিক্রিয়া স্বস্তিদায়ক, ভাল বোধ করছি এখন। আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম থেকেই আপনার লেখার সাথে আছি।ভাষা না জানার কারনে সম্পুর্ন নুতন দেশে আপনার অবস্থা বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে না, আমি নিজেও বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন দেশে গিয়ে অনেক ভুক্তভোগী। অভিজ্ঞতাই তো লিখছেন, খুব ভালো লাগছে পড়তে। আপনার পরিবারের জন্য রইলো অশেষ শুভ কামনা।

আসমা খান, অটোয়া

ইয়াসির এর ছবি

আপনি আমাকে প্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন সবসময়, এটা খুবই ভালো লাগে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, শুভকামনা।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

প্রথম থেকেই আপনার লেখা পড়ছি।

আমি কিন্তু আপনার অভিজ্ঞতাগুলোকে একান্তই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলে ধরেছি এবং আপনার জন্যে খারাপও লেগেছে। এখনও লাগছে। তবে সুইটজারল্যাণ্ড দেশটা সম্পর্কে কোন নেতিবাচক ধারণা আমার তৈরী হয়নি। নেতিবাচক ধারণা তৈরী হয়েছে আপনার ঐ প্রতিবেশীদের ব্যাপারে।

জলদি পরের পর্ব লিখুন।
অনাগত অতিথির জন্যে আন্তরিক শুভকামনা আর আপনিও ভালো থাকুন।

ইয়াসির এর ছবি

আপনাকেই আমি খুঁজছি। যে সবটা পড়বে এবং বলবে, ডর দেখান মিয়া? যান ডরাইলাম না, কি করবেন?
আপনাকে উত্তম জাঝা!

হাসিব  এর ছবি

ইয়াসির ,
ইশ , তোর মত যদি লিখতে পারতাম তাহলে আমার মরককোতে ১ বছর নিয়ে ানেক কিছু লিখতে পারতাম।।।বিশেস করে েখানকার ঘুরাফিরার কাহিনি।।।।।।

ইয়াসির এর ছবি

হাসিব, তোর ছবি দেখি আর বলি, ইশ, যদি এত ঘুরতে পারতাম!
লিখতে কি লাগে? কিছুই না। একটু সময়, একটা কম্পিউটার আর অভ্র। সবই তো তোর আছে। এরপরও যদি না লেখস তাইলে সেটা পুরাই ল্যাথার্জিক। শয়তানী হাসি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার লেখা অনেক সাবলীল আর গতিময়।
পড়তে ভালো লাগে।
শুভ সংবাদে শুভেচ্ছা। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ইয়াসির এর ছবি

সম্মানিত বোধ করছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

উত্তম জাঝা! চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

ইয়াসির এর ছবি

ধন্যবাদ কবি

বন্দনা এর ছবি

অনাগত শিশুর জন্য অনেক অভিনন্দন রইলো। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

ইয়াসির এর ছবি

প্রতি পর্বেই আপনার মন্তব্য পেয়েছি। আপনি ৬/৬ হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

খুব ভালো লিখেছেন ভাই,তোফা । ভাই হাতে কলম বুকে বল টাইপ লিখে যান, ভালো লাগছে ।

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

ইয়াসির এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।