বেশ কয়েক দিন ধরেই ভাবছি কাজু বাদাম সম্পর্কে কিছু লিখবো। আর এর পিছনে যে বিষয়টি বেশী কাজ করছে তা হল কাজু বাদামের শহর নামে পরিচিত ওদিয়ানের মধ্য দিয়ে আমার গাড়ি চেপে ঘুরে আসা। ওদিয়ানে আইভরি কোস্টের একেবারে উত্তরের শহর।আসতে আসতেই ভাবছিলাম যে এই বাদাম নিয়ে যদি কিছু লেখা যেত তবে মন্দ হত না।
আমাদের দেশে কাজু বাদাম বা ক্যাসো নাট ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দাম বেশি হবার কারণে এটা সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকলেও উচ্চ বিত্তদের জন্য এটা একটি লোভনীয় খাবার বিশেষ করে স্যুপের সাথে খেতে ভারি মজা।
আমি আইভরি কোস্টে আসার আগে এই বাদামের গাছ দেখিনি। তাই আমার কাছে এই গাছটি ছিল একেবারেই নতুন।
(১)
গাছটির মোটা গোল গোল ভরাট পাতা দেখতে অনেকটা কাঁঠাল পাতার মত। উঁচু ভূমি আর একটু বেশী তাপমাত্রা এই গাছের জন্য বেশ উপযোগী । আইভরি কোস্টের উত্তরে যাবার সাথে সাথেই ভূমির উচ্চতা বাড়তে থাকে। সেই সাথে বাড়তে থাকে গরম। ওদিয়ানেতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই আকাশ খুব কাছে মনে হওয়া শুরু হয়।মান থেকে উত্তরে ওদিয়ানের পথে যেতে যেতে একটি শহর চোখে পড়ে যার নাম তুবা । এই তুবা পার হয়ে সর্ব উত্তরের শহর ওদিয়ানে যেই শহরটি কাজু বাদাম উৎপাদনের জন্য এদেশে বেশ প্রসিদ্ধ। তুবা শহর পার হবার সাথে সাথেই রাস্তার দুই ধার দিয়ে শুধু কাজু বাদামের গাছ চোখে পড়বে । এখানে একটি শহর পার হবার পর বেশ কিছু গ্রাম চোখে পড়ে তাও আবার ২৫-৩০ কি মি পর পর। তাই এই সময়টুকু শুধু দুই ধারের গাছ আর একঘেয়ে রাস্তা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না।
(২)
(৩)
(৪)
এভাবে গাড়ি চলতে চলতে এক সময় পৌঁছে যাবেন সর্ব উত্তরের শহর ওদিয়ানেতে। আপনি দক্ষিণের খুব কম মানুষই পাবেন যারা এখানে এসেছেন । এই জায়গায় আসার নাম শুনলেই ওদিককার মানুষের গায়ে জ্বর এসে যায়। মূল কারণ হল দূরত্ব । সর্ব দক্ষিণ থেকে এই জায়গার দূরত্ব প্রায় ৬০০ কি মি এর বেশী।
যাহোক আমি মূল বিষয় থেকে একটু দূরে সরে গেছি মনে হয় । কাজু বাদাম গাছে ফুল আসা শুরু হয় সাধারণত ফেব্রুয়ারি/মার্চ মাসে। অবশ্য দেশ ভেদে এই সময়ের তারতম্য ঘটে । আর গাছে ফল আসা শুরু হয় এক থেকে দেড় মাস পর।
(৫)
ফল পরিপক্ব হয়ে পাকতে সময় লাগে আরও দুই মাস। অর্থাৎ জুলাই মাস থেকে ফল পাকা শুরু হয়। মূলত দুই ধরনের ফল এখানে দেখতে পেলাম - হলুদ আর লাল।
(৬)
এই ফল দেখতে অনেকটাই আপেলের মত যা ক্যাশু আপেল নামেও পরিচিত। হলুদ অথবা সাদা রঙয়ের এই আপেল দেখলে প্রথমে বিশ্বাস হবে না যে এটা কাজু বাদামের গাছ ঠিক আমার ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছিল। মান শহর থেকে ২৫০ কিলো মিটারের বেশী দূরত্বের এই ওদিয়ানে শহরে যাত্রার শুরুতেই ভেবেছিলাম কাজু বাদাম গাছ দেখবো । আমার সাথে থাকা কলিগের কাছেও এই গাছ অপরিচিত কিন্তু বাদাম খেয়ে যাচ্ছি দুজনেই দেদারসে নিয়মিত। তাই রাস্তার দুই পাশের গাছে ঝুলে থাকা ফল দেখে শুরুতে আমাদের মনে হয়েছিল আপেলের মত কোন ফল যা একেবারে কামড়ে খেতে হয় হয়ত। এই ধারণা নিয়েই পৌঁছে গেলাম ওদিয়ানেতে। পৌছা মাত্র একজনকে এই ফলের নাম আর গুনাগুণ সম্বন্ধে জানতে চাইলাম। আর তার উত্তরে যেটা পেলাম তাতে আমরা একেবারে তাজ্জব বনে গেলাম। সে বলল এটি কাজু বাদামের গাছ।
(৯)
প্রথমে বিশ্বাস হয়নি যে এটাই সেই গাছ। অজানা থাকলে যা হয় আর কী ।গাছ তো পাওয়া গেল তাহলে বাদামখানি কোথায় সেটা জানার পালা। আমি শুরুতে ভেবেছিলাম হয়ত বাদাম এই ফলের মধ্যে। ফলটি কাটলেই তার মধ্য থেকে বের হয়ে আসবে বাদাম। আমার এই কথা শুনে তিনি একটু মুচকি হাসলেন। তারপর সোজা ফলের কাছে নিয়ে গিয়ে দেখিয়ে দিলেন ইংরেজি সি আকৃতির একটা বাদামের দানা যা একেবারে আঠার মত লেগে আছে আপেল সদৃশ ফলের পশ্চাদ দেশে। তাহলে কি ওই একটা ফলে একটাই বাদাম। উত্তর একেবারেই সঠিক । এক ফল এক বাদাম। ব্যাপারটা কি অদ্ভুত তাই না? তখনই মাথার ভিতর চট করে উঠলো এর দাম । একটা গাছে প্রচুর ফল কিন্তু বাদাম তো ওই এক ফলে একটাই । সে কারণেই এর দাম এত বেশী।
তাহলে তো হিসেব সোজা ফল থেকে বাদাম পেড়ে নিয়ে তারপর করা হয় বাজারজাত।
এইতো হিসেবে আবার ভুল। এই বাদামের সংগ্রহের প্রসেস একটু ভিন্ন। আপেল ফল পেকে গেলে নাকি বেশ সুস্বাদু হয় তাই ফল পাকলেও তার ছাড়াছাড়ি নেই। এই ফলে কমলার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি ভিটামিন সি আছে। এছাড়াও এতে ক্যালসিয়াম বিদ্যমান। যাহোক ফল পাকার পর পরই তা গাছ থেকে পেড়ে নেয়া হয়না। পাকার পর অপেক্ষায় থাকা হয় ততক্ষণ যতক্ষণ তা নিজ থেকে খসে মাটিতে পড়ে। পাকা ফল গাছ থেকে মাটিতে পড়ার পর শুরু হয় ফল সংগ্রহের পালা। তারপর আস্তে আস্তে ফল থেকে ছাড়িয়ে নেয়া হয় বক্রাকৃতির ইংরেজি অক্ষর সি সদৃশ কাজু বাদাম।
(১০)
তুবা এবং ওদিয়ানেতে রয়েছে এই ফ্যাক্টরি । ১১.৭ কেজি ওজনের এই প্যাকেট তারা রপ্তানি করে বিভিন্ন দেশে। তাদের প্রধান ক্রেতা হোল অ্যামেরিকা ।
সেদিন বেশ দেরী হয়ে গিয়েছিল এই বাদাম গাছ দেখতে দেখতে। সকালে মান থেকে রওনা দিয়ে আবার ফিরে আসতে একেবারে সন্ধ্যা হয়ে গেল। সারাদিনের ওই ক্লান্তি একেবারেই পুষিয়ে দিয়েছিল জীবনে প্রথম বারের মত দেখা কাজু বাদামের গাছ।
(১২)
(১৩)
গাছের উপর ঝুলে থাকা লাল আর হলুদ রঙয়ের এই পাকা ফল দেখতে দেখতেই সেদিনকার মত যাত্রা শেষ হয়েছিল।
আইভরি কোস্ট নিয়ে আমার অন্য লেখার লিংক
১। http://www.sachalayatan.com/guest_writer/44877
২।http://www.sachalayatan.com/guest_writer/45222
অমি_বন্যা
মন্তব্য
কবে আইবেন দেশে ভাই? কাজু বাদাম গিফ্ট চাই
বাদাইম্যা লেখা.. মানে ভ্রমন আরকি.. ভালো লাগলো, সুস্বাদু লাগলো।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
ঠিকানা দ্যান লগে লগে দিয়া আসুম। আইতাছি শীঘ্রই ।
ধন্যবাদ ক্রেসিডা ,একটা স্বাদ আপনার গালে লাগিয়ে দিতে পেরে।
ভালো থাকবেন।
আইলে ঠিকানা দিমুনে
অমি_বন্যা [অতিথি] আকারে আপনার নিক শীঘ্রই দেখতে পাবো আশা করি।
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
প্রেরণা পেলাম।
কাজু ফল খেয়ে দেখেছেন? খুব ভাল লেগেছিল আমার। এই লেখা কাজু চাচ্চু পড়লে তো এখনই মান থেকে ওদিয়েনে যাওয়ার বাস ধরবেন। সারা বছর এন্তার কাজু খাওয়ার এই সুবর্ণ সুযোগ মিস করতে চাইবেননা। শুনেছি ওদিকটায় পেতি কোলা আর টাইগার নাটের ফলনও ভাল হয়। বুঝুন এবার ও দারুণ সব ছবি তুলেছেন। এসএলআর( ক্যামেরা, ক্যামেরা কিন্তু) একটা নিয়েই ফেলুন এবার।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
কাজু ফল খাওয়া হয়নি শুধু দূর থেকে দেখা আর ছবি তোলা ওই পর্যন্ত । পেতি কোলা আর টাইগার নাটের কথা শুনেছি মাথায় রাখলাম।
ভালো একটা কামরা না কলনেই নয় দেখছি। অনেক ছবি তোলার এখনও বাকী ।
ধন্যবাদ দাদা , ভালো থাকবেন।
ওয়াও! এখন কাজু পাব কোথায়!
facebook
অনু দা ভালো লাগলো আপনার ওয়াও দেখে। এই নিন
বাজারে খোঁজ করেন শিঘ্রি পেয়ে যাবেন ।
দারুণ।
ডাকঘর | ছবিঘর
ধন্যবাদ তাপস দা ।
ক্যাশু আপেলের পুচ্ছদেশে কাজুবাদাম ফলে
আসলেই ঘটনাটা একটু
কাজু বাদাম আমার অত্যন্ত প্রিয়। কোথাও পেলে কিনে ফেলি, তবে ভালো কাজু পাওয়া খুবই মুশকিল। একবার ত্রিপুরা থেকে বেশ কিছু কাজু বাদাম নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের রাঙ্গামাটি-বান্দরবানে পাওয়া যায় অবশ্য- কিন্তু ততোটা মানের না!
আপনার লেখা পড়ে কাজু ফল খাওয়ার ইচ্ছে জাগলো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
কাজু বাদাম দেশে থাকতে অতটা খাওয়া হয়নি যতটা এখানে খাচ্ছি। দাম আমাদের ওখানে বেশী তাই প্রিয় আইটেমের তালিকায় আনতে পারিনি । তবে এখন অসম্ভব প্রিয় হয়ে উঠেছে ।
ভালো কাজু পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার। এখানকারটা কিন্তু এক্কেবারে আসল।
কোথায় আছেন তাইলে পাঠায় দেই এখান থেকে।
ভালো থাকবেন গৌতম দা।
এই লেখাটা কদিন আগে লিখলে ভালো হতো, এক বন্ধু কাজ করছিলো আইভরি কোস্টে জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী বাহিনীতে। ওকে দিয়ে আনাতে পারতাম।
তবে ভাবনা নেই। আপনি দেশে আসার সময় খবর দিয়েন, এয়ারপোর্টে তো এতো ব্যাগ বইতে পারবেন না, কাজুবাদামের ব্যাগগুলো না হয় আমার হেফাজতেই রাখলেন!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতমদা, আপ্নে কেন খামাখা কষ্ট করবেন? আমি উনার কাছ থেকে নিয়ে আপনার বাসায় দিয়ে আসবনি।
ওহ! লেখা আর ছবি ভাল লাগল। রাঙ্গামাটিতে একবার লবন দেয়া কাজু খেয়েছিলাম এক যায়গায়। সেরকম লেগেছিল।
যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...
ধন্যবাদ জুন আপনাকে। পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে তাতেই আমার ভালো লাগা। আপনার ক্ষেত্রেও একই -ঠিকানা দেন যথাসময়ে ডেলিভারি পাবেন।
গৌতম দা ,ঠিকানা দেন মাল পৌঁছে যাবে যথাসময়।
আর আমি?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আপু আপনি কই ছিলেন? কন তাড়াতাড়ি কন কোথায় পাঠাতে হবে ?
এই না হলে ভাইয়া!
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
গাছ দেখে মুগ্ধ হয়ে ওটার ফল প্রসেস না করেই কিন্তু খেতে যাবেন না। কাঁচা ফলের খোসায় যে রস থাকে তা মারাত্মক তেজালো। চামড়ার যেখানে যেখানে লাগবে পুড়ে গিয়ে ভয়ানক ঘা হয়ে যাবে। আমাদের গ্রামের বাড়ির বাগানে এই গাছ ছিল। ভুক্তভোগীরা ওটার নাম দিয়েছিল 'মুখপোড়া গাছ'।
----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি
উইকিপিডিয়াতে এই সমস্যাটার কথা বলা আছে: http://en.wikipedia.org/wiki/Cashew
আমেরিকায় এটা ক্যাশিও নাট নামে পরিচিত। লাইটলি রোস্টেড ক্যাসিও খেতে মজা।
ধন্যবাদ মুরশেদ ভাই লিংকটার জন্যে। অনেক ভালো লাগছে আমার কোন লেখায় এই প্রথম আপনার কোন কমেন্ট দেখে। ভালো থাকবেন ।
এখানে আরো বিস্তারিত: http://www.evilmadscientist.com/2007/cashews-the-nut-you-cant-buy-in-a-shell/
একমত। ফল থেকে বাদাম ছাড়ানোর বেশ ভালো অ(!!)ভিজ্ঞতা আছে।
হাত প্রচন্ড চুলকায়( স্হানীয় পদ্ধতিতে ছাড়ানোর ফল)
--ফ্রুলিংক্স
অভিজ্ঞতা নাই আগের । আজ জানলাম
ভালো থাকুন।
ঠিক বলেছেন আশা দি। তবে এখানকার লোকেরা দেখি দেদারসে গাছ থেকে পেড়েই খেয়ে যাচ্ছে । ইস্পিশাল মুখ মনে হয়।
একদিন টেস্ট করে দেখতে মঞ্চায়।
ভালো থাকবেন ।
ঠিক বলেছেন আশা দি। তবে এখানকার লোকেরা দেখি দেদারসে গাছ থেকে পেড়েই খেয়ে যাচ্ছে । ইস্পিশাল মুখ মনে হয়।
একবার টেস্ট করে দেখতে মঞ্চায়।
অপূর্ব! অপূর্ব! অপূর্ব! বাদাম খেতে মন খুব চাইছে। কাজু বাদামের গাছ এই প্রথম দেখলাম। বাদাম ধরার কোয়ালিটি দেখে বেশি ভালো লাগছে। ক্যাশু আপেল খেতেও মন চাইছে। কি যে করি??
সবুর করো । জানোতো সবুরে মেওয়া ফলে। এবার ফলবে কাজু বাদাম।
অনেক সুন্দর-
ধন্যবাদ আশরাফ ভাই । পরপর দুইবার আপনার কাছ থেকে পেলাম। ভালোই লাগছে।
ভালো থাকবেন।
লেখার সাথে সাথে ছবিগুলোও মন ভরাতে সক্ষম হয়েছে! কাজু বাদাম আমারও খুব প্রিয়! রাঙ্গামাটিতে যেয়ে খাওয়া কাজু বাদামের কথা ভুলতে পারিনি এখনো!
ডাকটিকিটের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া দেশটি আস্তে আস্তে মূর্ত করে তুলছেন! সামনের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম!
অনেক ভালো লাগলো মামুন ভাই।
দেখি আস্তে আস্তে আইভরি কোস্টের আর কি নিয়ে লেখা যায়।
অনেক প্রেরণা পেলাম যে আমার লেখার কোন পর্বের অপেক্ষায় কেউ থাকে এই কথাটি ভেবে।
মন্তব্যের জন্যে এই নিন
আমি আমার শৈশবে এই পানসা ফলটা খাই একবার। মনে আছে।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
এবার খান।
আহা, কি সৌন্দর্য! আমি কাজু বাদাম খাব। আমি কাজু বাদাম খাব।
ধন্যবাদ প্রৌঢ় দা আপনার এই আহার জন্যে।
অ্যা আমিও কাজু বাদাম খাবো । আমারে খোসা ছাড়াইয়ে দ্যাও।
দাদা আসল জিনিস টাই বাদ গেছে। পাকা কাজুর ফল। একটু টক মতন খেতে। দারুন জিনিস। খেলে নেশা হয়। খান দশেক খেয়ে গাছের তলায় ঝিমোন।
আমাদের কলেজের বোটানি ডিপার্টমেন্টের বাগানে ছিল কাজু গাছ - অনেক গুলো। সেই ফল খেয়ে লেডিজ হস্টেলের সামনের আম বাগানের ছায়ায় উদুম ঘুম।
ডেটা স্ট্রাকচার, ডেটাবেসের ক্লাশ কোন শালা করে !! ধুর !!
ভালো জায়গায় উদুম ঘুম দিয়েছিলেন। এইরকম ঘুমের কাছে কোন ক্লাস কি আর পাত্তা পাই নাকি।
ভালো বলেছেন । এই নিন
সাতকরার আচারের মতো কাজুফলের আচারও নিশ্চয়ই বানানো যাবে। কেন যেন মনে হচ্ছে জিনিসটা বেশ ইয়ামি হবে।
আমার স্মৃতি বলে জিনিসটা এর উপযুক্ত না। পানির ভাগ বেশি এমন ফলকে ডিহাইড্রেটেড করতে অনেক বেশি সময় লাগবে, সুতরাং আচার বানাইতেও। তবে আচার না করে, সান-ড্রাইড টমাটর মতন উপাদেয় কিছুর ট্রাই মারা যায়।
রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক
হিমু দা, একবার ট্রাই দিয়ে দেখবেন নাকি। মনে হয় ইয়ামিই হবে।
আমি এই ফল পামু কই? আপনি বরং দেশ থেকে আচার বানানোর একটা রেসিপি যোগাড় করে এক কেজি কাজু ফল নিয়ে বসেন। আমাদের দেশে যদি কোথাও কাজুবাদাম চাষ হয়, সেটার অফশুট হিসেবে কাজুর আচারের একটা ছোটো মার্কেটও তৈরি হতে পারে। ইন ফ্যাক্ট, নিকোবিনা কোম্পানির কাছে এই আইডিয়াটা পাস করা উচিত আমাদের।
দেখি তাই করতে হবে। এইরকম একটা আচার বানাইতে পারলে তো পোয়া বারো ।
বাদাম জিনিসটাই আমার ভীষণ প্রিয়। তা সে যে বাদামই হোক না কেন! আর কাজু বাদাম তো আসলেই অনেক সুস্বাদু একটা খাবার। এই ফল আমি দেখেছি মাসখানেক আগে মনে হয়। প্রথম আলোতে। ক্যাশু আপেল কি বাজারে কিনতে পাওয়া যায় না? আমি যদি খেয়ে দেখতে চাই তাহলে কই পাবো?
লেখা আর ছবি আর পোষ্ট খুব স্বাদু হয়েছে
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
ক্যাশু আপেল আমাদের বাজারে পাওয়া যায় কিনা জানিনা। খেতে চাইলে পার্বত্য চট্টগ্রামে খোঁজ করে দেখতে পারেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মেঘা আপু। ভালো থাকবেন।
ছবিগুলো সুন্দর হইছে-
চলুক "আইভরি" থেকে ভুরিভুরি লেখা...
চলবে লেখা ভুরিভুরি ।
ভালো থাকুন কড়িকাঠুরে ভাই ।
অস্ট্রেলিয়াতে ট্রেইল মিক্স নামের একটা স্ন্যাকস খুব জনপ্রিয়: মূলত শুকনা ফল (কিসমিস, অ্যাপ্রিকট ইত্যাদি), কুমড়ো বীচি এবং কাজু ভাজার মিশ্রন, সাথে অন্যান্য বাদাম-ও থাকে অনেক সময়।
সত্যি বলতে কি আমি এই মূহুর্তেই ট্রেইল মিক্স খাচ্ছি আর টাইপ করছি
আপনার লিখা এবং ছবি দুইটাই ট্রেইল মিক্সের মতন সুস্বাদু হয়েছে
ধন্যবাদ বাপ্পী ভাই । এখন খান
এই কাজুবাদাম গাছের ডালে ডালে বাদরামী করতে করতেই আমার বেড়ে ওঠা । আপনার ছবির গাছগুলো বেশ ছোট আকারের। উচ্চফলনশীল ভিন্ন কোন জাত সম্ভবত। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় এ ফলের নাম টাম। স্থানীয় লোকেরা সুর কেটে বলে--আমের ভাই টাম । বাদাম নিয়ে মাথা ঘামাতাম না, রসালো তীব্রগন্ধী ফলটাই খাওয়া হোত। অনেক বর্ন, গন্ধ আর আকারের হয় এই ফল--লালচে, হলদে,গোলাগাল-হৃষ্টপুষ্ট, চোখা-লম্বাটে। কিছু জাত সুমিষ্ট, সুস্বাদু -- মোটেই পানসে নয়; বৃষ্টি গায়ে মেখে পাকা ফলের কথা ভিন্ন। টাম আর কাজু ফল যে একই বস্তু, আর পশ্চাৎদেশের আপাত-গুরুত্বহীন বিঁচি খানা যে কাজু বাদাম চট্টগ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই সেটা জানা নেই। বাংলা পাঁচের মতো দেখতে কাজু-বান্দরের কষ কিন্তু ভয়াবহ। কম বয়সে একবার কাঁচা খাওয়ার খায়েশ হয়েছিলো ।
আসাদ ভাই,
চিটাগং-এ আরেকটা বাদাম গাছ মনে হয় হরহামেশা পাওয়া যেত - কাঠবাদাম (অ্যামন্ড) গাছ কি?
শৈশবে অনেক স্মৃতি আছে কাঁচা কাঠবাদামের শাস চিবিয়ে খাওয়ার
স্মৃতি তুমি বেদনার...
হুম, কাঠবাদাম। এইটা অবশ্য বেশ কমন গাছ। আমি তো অনেক জায়গাতেই দেখলাম।
হ ভাই, স্মৃতি বেদনার। তয় হায়-আফসোসের কিছু নাই ।
আসাদ ভাই , এখানকার গাছ ওই ছবির মতই ছোট । তবে বড় গাছ যে নেই তা না তবে তবে ওই রকম চোখে পড়ার মত না। আমারও জানা হত না এখানে না আসলে যে এর আকার এমন হতে পারে।
কাচা খাওয়ার খায়েস আমারও জাগে দেখি কি করা যায়।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
মধুপুর বনে মুক্তাগাছার দিক থেকে ঢোকার মুখেই পাশাপাশি দুইটা বনঅফিস আছে। আমাদের ছোট বেলায় মানে সেই পাকিস্তান আমল থেকেই তার ভেতরে কাজু বাদামের বাগান দেখে এসেছি। কাজু ফল খাওয়া যায়না। যদিও খেতে মিষ্টি কিন্তু এটার রস (কষ) ঠোটে লাগলে জ্বলে। ছোট বেলায় কখনও কখনও অনেক কসরত করে চিপে কিছুটা রস মুখে দিতাম।
রাঙ্গামাটিতে বানিজ্যিক ভাবেই এর চাষ হয়।
...........................
Every Picture Tells a Story
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ মুস্তাফিজ ভাই ।
মধুপুরের সেই বন অফিসে কয়েকদিন আগেই ঘুরে এলাম। এরকম বাগান চোখে পড়ে নি।
রাঙ্গামাটিতে আদিবাসীদের পরিচালিত কিছু দোকান আছে, ওগুলোতে কাজুবাদাম কিনতে পাওয়া যায়। তার মানে রাঙ্গামাটিতে বাণিজ্যিকভাবে যে চাষ হয়, তার ফসলগুলো ওখানে কিছুটা বিক্রি হয়। কিন্তু মান ভালো মনে হয় নি!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
১৯৯২ সালের দিকে কুয়াকাটা সৈকতে আমার বাবার এক বন্ধুর নারিকেলের পাশাপাশি কাজু বাদাম এর বাগান দেখেছিলাম। কাজু বাদাম এর খোসা থেকে ছাড়ানোর জন্য অবশ্য বিশেষ পদ্ধতি আছে। কারণ কাঁচা কাজু বাদাম খেতে যেয়ে কষ লেগে ঠোঁট অনেক জ্বলছিল। জানি না এখন সেই বাগান আছে কি না
আপনার ছবি তোলার হাত বেশ।
ধন্যবাদ সন্ধি আপনাকে।
কাজু খাইতে মুঞ্চায়
কাজু খুবই প্রিয়। পোস্ট কাজুর মতোই সুস্বাদু হয়েছে।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
আহা! কাজু বাদাম খাবার তীব্র ইচ্ছা জাগিয়ে দিলেন
ইয়াসির
ইয়াসির, ইচ্ছা করিলে তাহাকে দাবাইয়া রাখা কি ঠিক । তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলেন।
মন্তব্যের জন্য ধনবাদ। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
বাদামের মধ্য সবচেয়ে প্রিয় কাজু। বিস্তারিত জানলাম এ ব্যাপারে। ছবি ও লেখা খুব সুন্দর হয়েছে।
আসমা খান, অটোয়া
ধন্যবাদ আপনাকে।
কাজুবাদাম বেটে মুরগীর কোর্মায় দিলে ঐটা তখন বেহেশ্তী চেহারা আর স্বাদ পায়।
আপনার লেখা আর ফটোগুলো চমৎকার হয়েছে
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
এ ছাড়াও কাজু বাদাম কাচ্চি বিরিয়ানিতে দিতে দেখেছি । তখন বাদাম একটা ভিন্ন স্বাদ পায়।
লেখা ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ উচ্ছলা।
ছবিগুলো তো বেশ।
কাজু আমার পছন্দের একটা খাদ্য। আগে অনেক সময় খালি খালি চিবুতাম মুভি দেখার সময়। দেশে যা দাম !!
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ অরফিয়াস ভাই ।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে সমুদ্রের ধারে, যেমন দীঘা'তে, প্রচুর কাগু বাগিচা আছে, ছোটবেলায় অনেক দেখেছি। কাজু/ফল কাঁচা অবস্থায় খেতে বারণ করে জানতাম।
ছবি সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ কৌস্তুভ ভাই । ভালো থাকবেন।
কাজুবাদাম আমার খুব প্রিয়, যদি হাল্কা ফ্রায়েড উইথ সল্ট হয়
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
ত্রি ক দা এটা আমারও খুব প্রিয় তবে লবণটা বিট হলে বেশী ভালো মনে হয়।
লেখা ও ছবি দুইটায় দারুন হয়েছে অমি, যদি ও কেন যেন কাজুবাদাম আমার সহ্য হয়না ঠিক। বাদামের ব্যপারে অনেক কিছু জানা গেল আপনার লেখায়।
ধন্যবাদ বন্দনা আপনাকে। বাদাম সম্বন্ধে জানাতে পেরে ভালোই লাগছে।
কাজু বাদাম আমার খুব প্রিয় হলেও এই প্রথম তার গাছের শোভা দেখলাম। সাথে সাথে বুঝলাম এই বাদামের এরকম অসহ্য দামের কারণ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ নীড় দা । গাছের শোভা আপনাকে দেখাতে পেরে ভালো লাগলো ।
নতুন মন্তব্য করুন