কুলুপ বাজারের কলপাড় থেইকা রহিম মিয়ার কান ধইরা নিয়া যাইতাছে ছদরুল । পাবলিকও পাছেপাছে কেউ কেউ লগেলগে যাইতাছে । কেওই এহনো জানে না ঘটনা কী । বেবাকে জিগায়তাছে, তয় ছদরুলের মুখ দিয়া খালি একটা কথাই বাইরইতাছে- “আইজকা পাইছি, মাতারির লগে পিরিতি? চুনু- পাউডার? পিরিতি ছুডাইতাছি?”
রহিম মিয়া- ছদরুল এক দুহানেই থাকে । কাম করে । আবুল শেখ মহাজনের ঘর, বড় পাইকার আবুল শেখ । চাইল- ডাইল- ত্যাল- হাবিজাবির মস্ত কারবার । রহিম- ছদরুল ছাড়াও আরও ৫জুন মানুষ কাম করে হের দুহানে । ক্যাশিয়ার- ম্যানিজার তো আছেই ।
তা ছদরুল খালি আবুল মিয়া’র কানে ধইরাই রইছে না মইদ্যে মইদ্যে দুই-একটা চড়-থাপ্পরও দিতাছে । পাবলিকও মাগনা পাইয়া দুই-একটা দিতাছে, মাগনা পাইছে- ছাড়বো ক্যান্? এবা কইরা কান ধইরা আর থাপরাইতে থাপরাইতে নিতে নিতে আবুল শেখের দুহানের সামনে আইতেই ভরা পাবলিক জড়ো হইয়া যায় । বেকের মুহেই পশ্ন- কী হইছে? এর ফাকেফুকে চড়-থাপ্পরও চলে ।
আবুল শেখ ইট্টু আগেই দুহানে আইয়া বইছে । কই জানি গেছিল- পাবলিক ফিসফিস করে । তা আবুল এই অবস্থা দেইখা গদি থেইকা খাড়াই পরে ।
“ওই, কী অইছে?”
“আফনেরে কইছি না হালায় চুর ।” আর একটা চড় দিতে দিতে ছদরুল কয় ।
“অইছে খাড়া, কান ছাড় আর ক কী অইছে?” আবুল শেখের কথার লগেলগে পাবলিকের গলার জুড় বাড়ে-
“হ হ, আগে ক কী হইছে?” “ওই ছদরুল কী হইছে?” ভরা কথা হুনা যায় এইরহম ।
ছদরুল আরকয়ডা চড় দিবার শেষ সুযুগ ছাড়বার পারে না । চটাচট কয়ডা দেয়, তার কয়ডা মুন মত লাগে আবার কয়ডা লাগে না- রহিম মিয়া’র হাতে না অইলে অন্য পাবলিকের হাতে লাগে ।
পাবলিক এর মইদ্যে আরও বাইরা গেছে । কয়জন গইন্যমাইন্য মানুষও আইয়া পড়ছে ।
“কী গো, কী অইলো?” একজন গইন্যমাইন্য জিগায় আইতে আইতে । ঘরে ঢুইকা চিয়ার খুঁইজা বইয়া পরে । হেরপরে আরও- আরও আহে।
তা হেরপরে ছদরুলই শুরু করে, “আমি আগেও কইছি মহাজুনরে, এ হালায় বদ, খাইছ্ছত খারাপ । মহাজুন ভাল মানুষ, তাই এদ্দিনেও হালারে বদলায় নাই । হেইদিনও মহাজুন কত সুন্দর কইরা বুঝাইয়া কইলো কামের জায়গায় উল্টাপাল্টা কইরা ধরা পরলে জামিন নাই, চুরি-চামারি করিস না । তগোরে বদলামু ক্যা - তগোরেই রাইখা দিমু ।”
কথা বেশি হইয়া যাইতাছে ।
“আইজকা কী হইছে?” পাবলিক লেটেস্ট নিউজ জানবার চায় । সিটিবি খবর টিবি’র নিচ দিয়া লেইখা দেয় আবার ভরা কিছু লাইব দেহায়- পাবলিকের লাইব দেখতে ভাল লাগে- মচমচা খবর । ছদরুলের তাই লেটেস্টে আইতে অয় ।
“ইট্টু আগে ফুলমতি আইছিল । পানি দিয়া গেছে মফিজের ঘরে । হেইসুম রহিম আর ফুলমতি দুইজুন দুইজুনরে চোখ মারছে আমি দেখছি । হেরপরেই রহিম দেহি ঘর থিকা বাইরইতাছে । ম্যানিজার সাব কই যাস জিগাইলে উত্তর দিলো আইতাছি । আমিতো বুইঝা গেছি । আমি পিছে পিছে কল পারে যাইয়া দেহি ফুলমতি আর রহিম । আর কেউ নাই । ফুলমতি কী জানি টুনায় হান্দাইলো আমারে আইতে দেইখা । হেরপরে এইদেহেন ডিস্কু সাবান আর কালুকুসুম ত্যাল বাইর কইরা আনছি ফুলমতির টুনা থেইকা ।”
ছদরুল তার উদ্দার করা জিনিসপাতি আদালতে জমা দেয় রহিমের মিহি চাইয়া ।
তো যারে নিয়া এত কিছু সেই রহিম মিয়া কইলাম এতখুনেও কিছুই কয় নাই । ছদরুল বা পাবলিকের চড়-থাপ্পরেও ক্যা-ক্যু ছাড়া আর কুনো শব্দ মুখ দিয়া বাইরয় নাই । এহন আর থাকপার পারলো না । এক চিক্কুর দিয়া মহাজুন আবুল শেখের পায়ের উফরে উফুর হইয়া পইরা গেলো- “মহাজুন, আমারে বদলাইন না জানি । কী খামু?”
“পিরিতি খাবা, পিরিতি ।” ছদরুল কয়
“অহন আফনেরাই কইন- চুরির বিছার করবাইন আগে না- পিরিতির?”
আবুল শেখ মহাজন এহন কথা কয়, “রহিম- কথা সইত্যো?”
রহিম মিয়া ধরফর কইরা উইঠা পড়ে, “মহাজুন, আমারে- আমারে বদলাইন না জানি । আমি- আমি ।”
রহিম মিয়া দেহে তার লগে কেউ নাই- আশেপাশে কেউ নাই । মহাজুন বা ছদরুল বা পাবলিক । কেউ নাই । রহিম মিয়া চোখ কচলায় ।
পত্তেকদিন এইরহম বদ হফন দেইখা ঘুম ভাঙ্গে রহিম মিয়ার । আর চাইয়াই দেহে সুর্যের আলু ঘরের চালের ছেন্দা দিয়া আইয়া চৌউক্ষে পরতাছে । এতু আলু মাইনষের সইয্যো অয় না । রহিম মিয়া উইঠা পরে । বদ হফনের নিগাই হউক আর আলুর ত্যাজেই নিগাই হউক, যার নিগাই ঘুম ভাঙ্গুক- রহিম মিয়ার কামে লাগে । ঘুমডা সুময় মতো ভাঙ্গে । বদ হফন আর টিনের ছেন্দা নিয়া রহিম মিয়া তাই টেনশন নেয় না, বউ পেনর পেনর করলেও না । কয়দিন দিন দইরাই বউ টিন বদলাবার কইতাছে । বদ হফনের কথা বউ জানে না- জানলে হেইডাও বদলাবার কইতো ।
এতো পেচালের সুময় নাই । এহনি দৌড় দেওন লাগবো কুলুপ বাজার । হারাহারি উইডা গুছল কইরা আইয়াই দেহে বউ খাওন নিয়া রেডি । আর যাই হউক সকালের খাওন দিতে বউ কুনোদিন দেরি করে নাই । ভ্যাজাল হইলো গিয়া পত্তেকদিন খালি জাও রান্দে । জাও আগের রাইতের তরকারি দিয়া খাইতে খারাপ লাগে না তয় পত্তেকদিন জাও- কিবা কিবা জানি । রহিম মিয়া বউ রে কইছেও কয়দিন- বউ না বদলাইলে হে কী করবো? পিডাপিডি করবো নাকি? বউ পিডাইলে তো দুই দিন পরে পরে বউ বদলান লাগবো । বউরা অহন সাদিন হইছে- হেইদিন আর নাই ।
রহিম মিয়া আজাইরা পেচাল-টেনশন ফালাইয়া থুইয়া খাবার বহে । আর বইয়াই তো আসমান থেইকা পরে । দেহে বউ চাইয়া চাইয়া মিটমিট কইরা হাসতাছে ।
রহিম মিয়া জিগায়, “আইজকা খিচুরি রানলা যে?”
বউ কয়, “আন্নেই তো খালি বদলাবার কইন, পত্তেকদিন জাও ভাল্লাগে না । হের নিগাই তো আইজকা খিচুরি রানছি । জাও এর বদলে খিচুরি । তাত্তারি খাইয়া বাজারে মেলা করুইন । দেহুইনগা, মহাজুন আবার কী করলো ।”
রহিম মিয়া তো টাসকি খায়, “মহাজুন কী করলো মানে?”
বউ কয়, “ক্যা, কাইল রাইতেও তো চিক্কুর দিয়া উঠলাইন- মহাজুন আমারে বদলাইস না কইয়া । কয়দিন দইরাই তো রাইতে পেচাল পারতাছুইন মহাজুন- মহাজুন কইয়া ।”
রহিম মিয়া আর কথা কয় না । হাপুস- হুপুস কইরা খাইয়া কুলুপ বাজারের পথ ধরে । যাইতে যাইতে, ঘুমাইয়া ঘুমাইয়া না জাইগা থাইকাই কয়- “শুক্কর বারেই ঘরের টিন বদলান লাগবো, আইজকার পরে আর ওই ছেমরির মিহি চামুনা আর বদ হফন- আইজ রাইতেই ডিলট ।”
-----------------------------------------------------------------------------------
২০.০৬.২০১২
কড়িকাঠুরে
মন্তব্য
ভাল লেগেছে। তবে কিছু প্রশ্ন ছিল।
১। গল্পটা কোন ভাষায় লিখিত? বর্ণমালা তো বাংলা দেখছি। সংলাপ ছাড়াও গল্পের অন্যান্য বাক্যগুলোতে আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করেছেন। আমি চট্টগ্রামের লোক। আমি যদি একটা গল্প লিখি পুরোটাই চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাতেই তা কতটুকু বাংলাভাষী পাঠকের বোধগম্য হবে আপনি মনে করেন?
২। লেখার ক্ষেত্রে আমরা বানানের শুদ্ধতার কথা বলি সবসময়। আমার নিজের বাংলা বানান প্রায়শই ভুল হয়, সেটা অজ্ঞানতার কারণেই। বানান একটু এদিক ওদিক হয়ে গেলে শব্দই বললে যায়। আপনি পুরো গল্পটাই যখন কোন একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলের ভাষায় লিখেছেন সেক্ষেত্রে ' চুর' 'জুড়' 'ত্যাল' 'চিয়ার' এইরকম আরো আরো শব্দগুলোকে কিভাবে দেখবে পাঠক? বানানের ভুল হিসেবে নাকি আপনার গল্পে ব্যবহৃত আঞ্চলিক ভাষাটির পদোন্নয়ক হিসেবে?
৩। আপনি যখন ছাত্রকে ইংরেজী শেখাতে যান তখন তাকে কি নিউজিল্যান্ডের মাউরিদের বা ত্রিনিদাদের স্থাণীয় অধিবাসীদের মুখে মুখে প্রচলিত ইংরেজিটা শেখান? সে যদি জোহান্সবার্গের স্থানীয় ইংরেজি ভাষায় একটা গল্প লিখে তার কোরীয় বন্ধু কিমকে সেটা পড়তে দেয় কিম সে গল্পের কতটুকু বুঝতে পারবে?
এই প্রশ্নগুলো একান্ত ব্যক্তিগত কিছু ভাবনা থেকে আসা। আপনি ভাল লেখেন। শুভকামনা রইল।
অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।
ময়মনসিংহের দিকের টান মনে হইল।
আমার মনে হয়নাই বাংলাভাষী পাঠকের জন্য খুব দুর্বোধ্য লেখাটা। আর আঞ্চলিক ভাষায় গল্প তো পাইসি আগে, মানে পুরাটাই আঞ্চলিক ভাষায়। যদিও জানিনা এটা দিয়ে মান বিচার করে নাকি। লেখাটার উদ্দেশ্য তো ভাষাশিক্ষাও না। আঞ্চলিক ভাষায় অবশ্য বানান নিয়ে সমস্যা হয় অনেক।
==========================
আবার তোরা মানুষ হ!
ময়মনসিংহের দিকের টানেই চেষ্টা করেছি ।
আর আমার নিজের কাছে খুব বেশি দুর্বোধ্য মনে হলে আর একবার ভাবতাম লেখাটি জমা দেয়ার আগে । তবে যেহেতু আমার কাছে আঞ্চলিক টানটি পরিচিত তাই আমার কাছে দুর্বোধ্য না মনে না হওয়াই স্বাভাবিক । তাই আগের কথাটা বলা মনে হয় ঠিক হলো না ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
ময়মনসিংহের লোক হিসেবে টানটা ময়মনসিংহের মনে হলো না। বেশ খুঁজে বের করতে হয়েছে কোথায় ময়মনসিংহের টান আছে, তাও ঠিকভাবে আসেনি। যেমনঃ
'মহাজুন, আমারে বদলাইন না যে, কী খায়াম'
ময়মনসিংহের ভাষা হলে বাক্যটা এমন হতো।
ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় বাক্য/শব্দে টান ও বিভিন্ন জিনিসের নামের পার্থক্য হয় কিন্তু ক্রিয়াপদগুলো মোটামুটি একই রকম থাকে। তাই আপনার গল্পের ভাষাটিকে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ধরে নেয়া যাচ্ছে না। তবে আমার কাছে দুর্বোধ্য লাগেনি।
ঠিক...
তবে যেটা বলেছি যে শব্দগুলো যেভাবে এসেছে মাথায় সেভাবেই লিখেছি- পুরোপুরি আঞ্চলিক হতে পারি নি- এটা আমার ব্যর্থতা ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
চেষ্টা করছি আপনার প্রশ্নের প্রেক্ষিতে কিছু বলার জন্য-
১. যখন গল্পটা লিখেছিলাম তখন যেভাবে শব্দগুলো মাথায় এসেছে সেভাবেই লিখেছি । তবে সম্ভবত কোন শব্দ নিজে বানিয়ে লিখি নাই । গল্পটা কোন ভাষায় লিখিত এর উত্তর কী দেবো বুঝতে পারছি না তবে কিছু কিছু শব্দে ময়মনসিংহ অঞ্চলের টান হয়তো পাবেন ।
আর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গল্প লিখলে অবশ্যই আপনাকে বারবার প্রশ্ন শুনতে হবে এই শব্দের মানে কী, ঐ শব্দের মানে কী, আমি নিজেই করবো ।
২. আমারও বানান ভুল হয়, বলতে পারেন অনেক হয় । অজ্ঞানতা, অসাবধানতাই মূল কারণ । আর এক্ষেত্রে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক হবে যে, উচ্চারণের রকমফেরেও বানান অনেক ভুল হয় । এ গল্পেই যেমন আপনি দেখিয়েছেন । তবে এ শব্দগুলো এভাবেই আমি লিখেছি গল্পে, সজ্ঞানে তবে তা অসুস্থ মস্তিষ্কেও হতে পারে । কারণ এরকম অপ্রচলিত ভাষায়(ব্যাপক ভাবে প্রচলিত নয়) লেখা কোন কিছু আমি নিজেই আগে কখনো পড়েছি কিনা, মনে পড়ছে না । আর “এক দেশের গালি, আর এক দেশের বুলি” বলে একটা কথা ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি, সেজন্যও এ ব্যাপারটা আমার মাথায় রাখা উচিত ছিল ।
৩. শেখানোর কথা না, নিজে শেখার কথা বলি । অবশ্যই শিখতে গেলে শিখবো ব্রিটিশ বা আমেরিকান ইংরেজি, জামাইকান ইংরেজি নয় । যদি কখনো জামাইকান ইংরেজি শিখতে যাই তবে তা হবে অতি বিশেষ প্রয়োজনে বা শুধুই শখের বশে । আর আপনার উল্লেখিত ক্ষেত্রে কিম অনেক কিছুই বুঝবে না, সেটা শুধু শব্দ না, শব্দের মানে বুঝলেও অনেকাংশে বাক্যের মূল ভাব বুঝতে হয়তো তাঁর চুল ছিঁড়তে হবে ।
অনেকেই এ প্রশ্নগুলো করতে পারে, স্বাভাবিক এবং প্রাসঙ্গিক । যেকোনো ভুল ধরিয়ে দিলেই অনেক বেশি খুশি হবো । আপনাকে আবারও অনেক ধন্যবাদ ।
অনেক ধন্যবাদ ।
দারুণ একটা লেখা। খুব ভালো লাগল আমার কাছে!!
এমন গল্প আরও আসুক! আঞ্চলিক ভাষার চর্চা আরও সমৃদ্ধ হোক।
ডাকঘর | ছবিঘর
অনেক ধন্যবাদ তাপস দা ।
আমাদের লোকসংস্কৃতি সমৃদ্ধ হোক, টিকে থাকুক...
কড়িকাঠুরে ভাই , আঞ্চলিক ভাষাই লিখছুইন ,ভালাই তো হইছুইন ।
হ- আফনেও তো ভালোই কইলাইন ।
ধন্যবাদ ।
ময়মনসিংহের ভাষাটা আমার খুব পরিচিত। তাই বুঝে নিতে তেমন কষ্ট হয়নি। তবে অন্য কোন এলাকা, যেমন নোয়াখালী, সিলেট বা উত্তর বঙ্গের ভাষা আমার খুব পরিচিত নয়।
ঐ অঞ্চলের ভাষায় কেউ পুরো গল্প বলে গেলে আমায় আটকে যেতে হবে।
এই কথাটি অ- ময়মনসিংহীয় সকলের ক্ষেত্রেও একই মাত্রায় ময়মনসিংহের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা পাঠোদ্ধার করার ক্ষেত্রে কম বেশি খেটে যাবে মনে হয়।
সে যাই হোক। লেখা আসুক আরও--
ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভাষা নোয়াখালী, চট্টগ্রাম বা সিলেট অঞ্চলের মত এত কঠিন হয়তো নয় । খুব বেশি আলাদা শব্দও তাঁরা ব্যবহার করেন না যেটা করেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের লোকজন । তবে যেহেতু অভ্যস্ততার প্রশ্ন সেহেতু এই লেখা বুঝতে (হয়তো) অনেকেরই সমস্যা হয়েছে । স্বীকার করছি ।
যাই হোক- উৎসাহ দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
চট্টগ্রাম এর আঞ্চলিকতা বুঝতে অবস্যই সবার কষ্ট হবে, কিন্তু তাই বলে যে ময়মনসিংহের আঞ্চলিকতা সবার জন্যে সহজ লভ্য হবে সেটা মেনে নিতে পারছিনা. আমার আসলেই গল্প টা বুঝতে কষ্ট হয়েছে।
নতুন মন্তব্য করুন