মাদক গোপনে নষ্ট করে কিছু মানুষকে,টেলিভিশন প্রকাশ্যে নষ্ট করে কোটি কোটি মানুষকে।
১...
মানুষের বহুত রকমের খায়েশ থাকে।গাড়ির,বাড়ির,নারীর খায়েশ।কিন্তু সুরুজ মিয়ার আজন্ম একটাই খায়েশ ছিল।একটা টেলিভিশন এর খায়েশ।
সুরুজ ছোটবেলায় চেয়ারম্যান বাড়ির উঠানে শুক্রবার দুপুরে গ্রামের সবার সাথে বসে ফিলিম দেখত;ফিলিম শেষ হইত,চেয়ারম্যান এর দারোয়ান টেলিভিশন ঘরের ভিতরে ঢুকাইত কিন্তু সুরুজের দেখবার খায়েশ মিটত না।তখন থেকেই বোধহয় এই রঙিন চাইরকোনা জিনিসটার প্রতি সুরুজের বিশেষ আকর্ষণ।
২...
পরিবার আর ছেলে মেয়েকে গ্রামে রেখে কেরানীর চাকরি নিয়া ঢাকায় আসবার পর থেকেই সুরুজ টেলিভিশনের জন্য পয়সা জমাইতে শুরু করছে।প্রথম প্রথম এত্ত কম বেতনের চাকরিতে গ্রামে টাকা পাঠাবার পর টেলিভিশনের জন্য তেমন কিছু থাকত না।কিন্তু উপরি ইনকামের ব্যাপারটা আয়ত্তে আনবার পরে আর তাকে পিছন ফিরে তাকাইতে হয় নাই,তরতর করে তার টেলিভিশনের টাকা জমে গেছে।গত বছর ঈদেই গ্রাম থেকে ছেলে মেয়ে পরিবার ঢাকায় আনছে সুরুজ মিয়া আর তাদের কিনে দিছে একটা চব্বিশ ইঞ্চি কালার টেলিভিশন(সাথে ডিশ ফ্রি),ছেলে মেয়ে সুন্দর পরিবেশে বড় হবে এই আশা তার সার্থক হইছে এই ভেবে সেইদিন সুরুজ চোখের পানি আটকাইতে পারে নাই।
কিন্তু ছেলে মেয়েকে নিয়ে টেলিভিশন দেখবার সৌভাগ্য সুরুজের দিন দুয়েকের বেশি স্থায়ী হয় নাই।উপরি আয়ের সদ্ব্যবহার করতে অফিস টাইমের পরে একটি ব্যবসা আরম্ভ করায় সুরুজ এরপর দিন রাত সেইখানে ব্যাস্ত থাকতে আরম্ভ করে।এরপর থেকে ছেলে মেয়েদের সাথে তার সামনা সামনি দেখা খুব বেশি না হইলেও মৌসুমির কাছে নিয়মিত সে তার ছেলে মেয়ের খবরাখবর পাইত।
৩...
টেলিভিশন কিনবার সুফল হাতে নাতেই পাইতেছিল সুরুজ মিয়া।কিছু দিনেই তার ক্লাশ ফাইভের মেয়ে রীতিমত গান নাচে বিশেষ পারদর্শী হয়ে উঠল(মৌসুমির কাছে পাওয়া খবর)
তার ক্লাশ টু’র ছেলেও বিদ্যাধর হওয়ার সকল লক্ষণ প্রকাশ করতে শুরু করল।এলাকার আশেপাশে অনুষ্ঠিত সকল গ্রন্থমেলাতে তার যাওয়া চাই ই চাই।পয়সার কারণে ছেলের যেন গ্রন্থ কিনতে সমস্যা না হয় সেইজন্য সুরুজও কয়েকটা হাজার টাকার নোট মনে করে মাসের শুরুতেই স্ত্রীকে দিয়া রাখতে শুরু করল।
আর মৌসুমির পরিবর্তনের কথা কি বলবে সুরুজ!!গ্রামে থাকতে অনেক চেষ্টাতেও সে মৌসুমিকে দিয়ে তার নাম(সুরুজ) ধরে ডাকার অভ্যাস করাইতে পারেনাই।কিন্তু টেলিভিশন কিনে দেওয়ার একমাস পরেই মৌসুমি তাকে অটোমেটিক ‘সুজ্জু’ বলে ডাকতে আরম্ভ করছে।তার উপর মাঝে মাঝেই রাতে ঘুমের ঘোরে মৌসুমি সুরুজকে জড়ায় ধরে চিৎকার করে উঠে “না,সুজ্জু চুরি করেনাই,সব ষড়যন্ত্র!!”।মৌসুমিরআষ্টেপৃষ্রু
মৌসুমির এই আষ্টেপৃষ্ঠে ভালোবাসা সুরুজ মিয়ার মনে অফিসে চুরির ব্যাপারে দ্বিগুণ সাহস দেয়,ষড়যন্ত্রের ব্যাপারটা ঠিক ধরতে নাপারলেও সুরুজ মিয়া ছেলে মেয়ের এতসব ভালো খবর আর বৌয়ের ভালোবাসা নিয়া বেশ শান্তিতেই ছিল।
কিন্তু সুখ চিরস্থায়ী হইল না।দ্বিগুণ উৎসাহে চুরি করতে গিয়া সুরুজ মিয়া অচিরেই চাকরি থেকে নিষ্কৃতি পাইল।
আর এই ভয়াবহ ধাক্কা সামলাতে সুরুজ কিছুদিন পরিবারের সাথে থাকবার সিদ্ধান্ত নিল।
৪...
প্রথম কয়দিনে ছেলে মেয়ে আর সাধের টেলিভিশন কাছে পাওয়ার আনন্দে চাকরি যাবার ধাক্কা সুরুজ সামলিয়ে উঠেছিল প্রায়।কিন্তু টানা কয়দিন ধরে ছেলে মেয়ে পরিবারের সাথে টেলিভিশন দেখে সুরুজ নতুন নতুন ধাক্কা খাইতে লাগল।
সুরুজের মেয়ে নাচ গানে পারদর্শী হইছে এতে সন্দেহ নাই,প্রথম দিন সুরুজ মেয়ের নাচ গান দেখে বিশেষ প্রীত হইছিলও বটে কিন্তু এরপরের কয়েকদিনেই সুরুজ বুঝতে পারছে মেয়ে গুটি কয়েক হিন্দি ফিলিমের ‘খাই দে’ টাইপের নাচ গান ছাড়া অন্য কোন গান নাচ পারেনা।এইখানেই শেষ না,সর্বনাশী ধাক্কাটা সুরুজ খাইল যখন সে বুঝল তার মেয়ে সারাক্ষণ হই হই রই রই করে হিন্দি বলতে থাকে,বাঙলা বলবার চেষ্টাটুকুও সে করেনা।
পাঁচ বছরের ক্লাশ ওয়ানের ছেলেটা রাগ করলেই অকারণে সকল কিছু চিৎকার করে তিন বার করে।কোথাও পান থেকে চুন খসলেই “বাবা!বাবা!!বাবা!!!” চিৎকারে ছেলে বাবার কানে তালা লাগায় দেয়।প্রথম প্রথম এই চিৎকার সুরুজের খারাপ লাগত না।কিন্তু কয়েকদিন টেলিভিশন দেখে তার খটকা লাগল;একি তবে ‘হিন্দি সিরিয়ালি চিৎকার’!!
হঠাত সুরুজের খেয়াল হইল বাসাভর্তি(বিশেষ করে ছেলের ঘরে)নানা সাইজের ‘একটি বিশেষ পুতুল’ যার কর্মকাণ্ড সারাক্ষণ সুরুজের ছেলে টেলিভিশনে দেখতে থাকে।এইখানে শেষ হইলেও সুরুজ আরেকটা ধাক্কা খাইত না।
এই বিশেষ পুতুল যে আজকাল বিভিন্ন গ্রন্থমেলায় বিক্রি হয় এইটা জেনেই সুরুজ ধাক্কাটা খাইছে।তবে কি গ্রন্থ কিনতে সুরুজের দেয়া টাকায় তার বিদ্যাধর পুত্র বিভিন্ন গ্রন্থমেলা থেকে এই বিভিন্ন সাইজের বিশেষ পুতুল সংগ্রহ করে আনছে!!
এইখানেই শেষ না।অনেক সিরিয়াল দেখার পর একদিন বৌএর প্রিয় সিরিয়াল দেখতে বসে সুরুজ শেষ ধাক্কাটা খাইছে।খাবারই কথা।সিরিয়ালের নায়কের নামও যে ‘সুজ্জু’!!শুধু তাই না,এই সিরিয়ালের সুজ্জু প্রতিদিনই তার নিজের ঘরে চুরি করবার মিথ্যা অভিযোগে আক্রান্ত হয়,ষড়যন্ত্র করবার লোকের অভাব অন্তত এই সিরিয়ালে নাই।তাহলে কি মৌসুমির ঘুমের ঘোরের দরদ এই সিরিয়ালের চোরের জন্য!!
ধাক্কা সামলাইতে বাসায় এসে এইরকম একের পর এক নতুন ধাক্কায় সুরুজ কয়দিনেই কাহিল হয়ে পড়ল।
৫...
ঈদ আসন্ন।ছেলেকে ইস্কুলে দিয়া বৌ মেয়েকে নিয়া সুরুজ বাধ্য হয়ে ঈদের বাজার করতে গেল।
শাড়ির দোকানে বসামাত্র মৌসুমি দোকানিকে ‘শিলা কি শারারাতি’ ‘মুন্নি কি কমজোরি’ শাড়ি দেখাইতে বললেন।সেইসব শাড়ি কয়েকদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে বলে দোকানিও তাদের ‘আজুবা গিন্নী’ ‘তামান্না চুন্নি’ শাড়ি দেখাইতে লাগল।বিরক্তির শেষপ্রান্তে পৌছাইলে সুরুজ দোকানিকে জিজ্ঞাসা করল “ভাই,দেশি শাড়ি নাই???”দোকানিও মোলায়েম হাসি দিয়া জানাইল “ঐ সিরিয়ালটা হিট হয় নাই”।
একে একে শ’খানেক দোকান ঘুরে ফিরে সুরুজের বৌ ‘লায়লি কি ভোগলামি’ শাড়ি,‘মাকরু ভাবি’ স্যান্ডেল আর সুরুজের মেয়ে ‘সানি লীন’লেহেঙ্গা,‘দিলওয়ালে পাণ্ডে’ কানের দুল কিনল।বৌ মেয়ের মুখ ফ্লাশ লাইটের মত জ্বলতে থাকলেও পুরাপুরি বিধ্বস্ত মুখে মাথায় আগুন নিয়া সুরুজ বাসায় ফিরল।
বাসায় ফিরে ঘরে ঢুকতেই সুরুজ টেবিলের উপর উঁকি মারতে থাকা তার নামোল্লিখিত খামটি বাইর করে দেখল,তার পুত্র গণিত পরীক্ষার খাতায় গণিত না করে একটি বিশেষ পুতুলের বিভিন্ন সাইজের ছবি অঙ্কন করে বিদ্যাধর হবার চেষ্টা করায় শিক্ষক তাকে(সুরুজকে) শীঘ্রই প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করতে অনুরোধ করেছেন।
ঠিক সেই মুহূর্তেই ঈদের বাজার থেকে পিতা তার জন্য কিছু আনেন নাই কেন এই অভিমানে (নাকি রাগে!!) গুণধর বাবাজি সোল্লাসে “বাবা!বাবা!!বাবা!!!” হুঙ্কার দিলে সুরুজ আর সামলাইতে পারল না।সাথে সাথে ছেলের গালে কয়েক চটাস চটাস ঝাড়তে লাগল।সুরুজের মেয়ে “ইয়ে ঠিক নেহি” জাতীয় বাক্যে সুরুজকে বাঁধা দিতে গেলে সুরুজের হাতটি মেয়ের গালে ঠাডা হয়ে পড়ল।ছেলের গাল আর পিঠের উপর দিয়ে ভালোই চলছিল।
কিন্তু হঠাত কি কারণে যেন সুরুজের সকল আক্রোশ গিয়ে পড়ল সাধের নির্বোধ টেলিভিশনটার উপরে।সে একলাফে টেলিভিশনটা দুইহাতে তুলে ফেলল মেঝেতে আর তারপরই পাশের লাঠিটা ক্রিকেট ব্যাটের মত ধরে আশরাফুলের মত আনাড়ি ভাবে কোপাইতে লাগল।
দিগ্বিদিক কোপানোর শেষ পর্যায়ে সুরুজ মিয়া হঠাত বুকে হাত দিয়া মাটিতে ধপাশ হয়ে জ্ঞান হারাইল।
৬...
এত্ত বড় ধাক্কা সামলানোর মত দুর্দান্ত হৃদপিণ্ড সকলের থাকে না(ঈশ্বর কখনো কখনো ঠিক জায়গায় ঠিক জিনিস দেন বৈকি!!)আজ সকালে হাসপাতালে সুরুজ মিয়ার জ্ঞান ফিরেছে।
সুরুজের হাত ধরে পাশে তার মেয়ে বসে একখানা হিন্দি সুর গুনগুন করছে।তার গুণধর পুত্র একহাতে গাল আরেকহাতে 'একটি বিশেষ পুতুল' ধরে দরজার ফাঁক দিয়ে সুরুজের দিকে তাকায় আছে।মৌসুমির চোখে মুখে এখনো বিস্ময়।এত বড় একটি ঘটনার পিছনে কারও ষড়যন্ত্র নাই(বিস্ময়কর বটে!!)
সুরুজ মিয়া তাকায় আছে ঘরের কোনায় রাখা নিরীহ টেলিভিশনটার দিকে।বন্ধ টেলিভিশনের দিকে তাকাইতে আরাম আছে।
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
মন্তব্য
আপনার ইট্টু ভাল্লাগছে জাইনা আমার বহুত ভাল্লাগছে।
ধন্যবাদ কল্যাণ ভাই
এখন আর কেউ ফ্রাইডে ইভেনিং শো দেখে না, সিরিয়াসলি সিরিয়াল দেখে। ভালো লেখছেন।
ধন্যবাদ
স্যাটায়ার সেরকম হয়েছে।
[আমার চারপাশ]-[ফেবু]-[টিনটিন]
অনেক ধন্যবাদ রাজা ভাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
হাহা দারুন হইছে.. আপনার রম্যরচনা উপভোগ করছি একের পর এক..
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
অনেক ধন্যবাদ ভাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
হুরররর মিয়া.. আপু পাইলেন কই
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
খুব দুঃখিত ভাই,মাফ চাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
আসলে উনি এইটা বলেন নাই।
ইয়ে মানে উনি 'আপু' না এইটা বলছেন।
জ্বি ধন্যবাদ
হাহাহাহা.. মাফ নাই; একদিন দাওয়াত দেন
টেক ইট ইজি বস!!
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
হা হা!!আমি ভাবছি আপনি চেতছেন
আপনার নিকটা কিন্তু পুরাই পাপী নিক
ধন্যবাদ
দাওয়াত থাকল পলাশীর রোড ডিভাইডারে সন্ধ্যায় কাপে কাপে চা এর
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
পলাশীর রোড ডিভাইডারের উপর মানেই বুয়েট। সব ট্রেড মার্ক বুয়েট এখানে। আমরা কিছু মনে হয় অন্য দুনিয়া থেকে এসেছি
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
এলিয়েন..বিশেষ করে আমি ও অমি ভাই এই ভাই তো এই আপু
__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
'একটি বিশেষ পুতুল' জিনিসতা ঠিক ধরতে পারি নাই
হালার চ্যানেল গুলা এমনই ফকির, কিছু জাপানিজ ৮০ দশকের জাপানীজ কার্টুন এনে হিন্দিতে ডাব করে ব্রডকাস্ট করে, নাম "দোরায়মন" (হিন্দিতে কয় "ডোরেমন" )। তার কিছু একশন ফিগার আজকাল দেশে পাওয়া যায়, মনে হয় লেখাতে সেগুলার কথাই বলছে।
অনেক ধন্যবাদ রামগরুড় ভাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
বিশেষ পুতুল কি 'ডোরেমোন নাকি?'
নিঃসন্দেহে
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
ডোরেমন (খুব সম্ভবত)
অবশ্যই ডোরেমন
অনেক ধন্যবাদ
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
মজা পাইসি।
তয় আমিও পুতুলের ব্যাপারটা ধর্তারিনাই।
..................................................................
#Banshibir.
পীর ভাই,দেশে তো অনেকদিন আসেন না।দেশের পিচ্চি পুলাপাইন 'ডোরেমন' নামের এক জাপানি(হিন্দি ডাবিংকৃত) সিরিয়াল সারাদিন দেখে আর কোন এক অদ্ভুত কারণে কোন বইমেলায় ঢুকলেই আপনি দেখবেন সারি সারি ডোরেমন আপনার দিকে চাইয়া রইছে।
সব পিচ্চিই আজকাল বড়দের বইমেলায় যায় আর হাত ভরতি ডোরেমন নিয়া ফেরে।
আমার আরও ঠিক করে লেখা উচিত ছিল বোধ হয় কিন্তু আমি ভাবছি এই ব্যাপারটা এমনেই ধরা যাবে,দুঃখিত
ধন্যবাদ ভাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
আপনার কাচ্চাবাচ্চা নাই মনে হয় ।
BANGLA NEWS
sundor hoisa
ধন্যবাদ
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
জটিল স্যাটায়ার হইছে কাকু।।
আবছায়া
ধন্যবাদ ভাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
ভাল হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
facebook
ধন্যবাদ অণু দা
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
দারুন।
ধন্যবাদ ভাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
বেশ রসিয়ে লিখেছেন,মজারু
ধন্যবাদ ভাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
মজা পাইছি কুচকুচ ভাই।
ধন্যবাদ বন্যা ভাই
কাক্কেশ্বর কুচকুচে
মজা পেয়েছি পড়ে। এই বিশেষ পুতুলের হাত থেকে আমরা কবে মুক্তি পাবো?
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
মুক্তি পেতে হয়ত নতুন একটা বিশেষ পুতুল লাগবে
মজা প্লাম।
'দুপুর দুটোর ঘুমপাড়ানিয়া গানে রেমেদিওস, গোলাপের কোমল নিঃশ্বাসে রেমেদিওস, প্রজাপতির জল- ঘড়ি রহস্যে রেমেদিওস,সকালের ধোঁয়া ওঠা রুটিতে রেমেদিওস, প্রতিটি স্থানে রেমেদিওস, অনন্ত কাল রেমেদিওস....''
'নিঃসঙ্গতার একশ বছর' বইখানার এই অংশকে প্যারোডি করে বলা চলে---
'দুপুর দুটোর ভাতঘুমের গানে ডোরেমন, রাতের হোমওর্য়াক ঝটপট শেষ করার প্রলোভনে ডোরেমন, সবজি আর হরলিক্স গেলার বিনিময়ে ডোরেমন, প্রতিবেশির শিশুটিকে আর খামচি না মারার বিনিময়ে ডোরেমন, সকালের ইশকুল বাসের জন্য এক ডাকেই উঠে পড়ার পেছনেও ডোরেমন, তাবৎ তামাশায় ডোরেমন...'
এই হলো আজকালকার বেশিরভাগ কাচ্চাবাচ্চার হালহকিকত!
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি
একদম খাসা বলেছেন
মজা পাইলাম
ধন্যবাদ
ভালো লাগছে। অবশ্য পুতুলের ব্যাপারটা ধর্তে পারি নাই, পরে মন্তব্য পড়ে বুঝলাম, তখন আর ইট্টু ভাল্লাগ্লো।
_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩
আপনার ইট্টু ভাল্লাগছে জাইনা আমার বহুত ভাল্লাগছে।
ধন্যবাদ কল্যাণ ভাই
ডোরেমন!!!
নতুন মন্তব্য করুন